Skip to main content

Full text of "Tattwajnanamrita Vol. 4 Ed. 1st"

See other formats


তত্বজ্ঞানাম্বত। 


চত্তুত্খ এগ । 
ভীন্ল্লীতলপ্রসক্ষর স্ুশ্খোগ্পাধ্যান্্র হর্স, 
অনুদিত, সঙ্কলিত ও বিরচিত। 


ক্লোকার্ধেন প্রবঙ্্যামি ষছৃক্তং গ্রন্থকো।টি তি; | 
্রন্ধ সত্যং জগন্সিথা৷ জীবে! ব্রদ্দবণাপরঃ ৰ 

দৃশ্দ,শৌ ছে পদার্থে স্তঃ পরস্পর বিলকিএণীত 
দুখ দ্ধ দৃশ্তং মায়েতি সর্ববেদান্ত্-ডোুইখু €: 


ওরব্স্মনেটততলিল 


কজিকাডা.। 
বাণী স্ব? 
১২ নং চোরবাগান লেন, হইতে 
ীশান্তকুমার চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক 


মুদ্রিত ও প্রকাশিত। 





শকালা ১৮৩৮, ইংয়াজী ১৯১৬. 


বিষয়। 
জীবের লংসার গতি ধর্ণম 


সূচীপত্র 


চতথ শগ্ু। 
প্রথম পাদ। 


দ্বিতীয় পাদ । 


০ রর 
4 ০ (৬ দহ 


জীবন্ত বিঘানের বাবহার সম্বন্ধে ও মুক্তি সতবন্ধে কিঞিং বিচার ্ 


ভৃতীয় পাদ। 


গুরু শিবের লক্ষণ ও গুরুতর ফল নিরূপণ 


উপসংহায় 


চতৃথ পাদ। 


২১৯ 


৩৪, 


তত্বজ্ঞানামৃত। 


হরি ও তৎসঙ ব্রল্গাণে নমঃ । 


চ্তর্থ শত 1. 


প্রথম পাদ । 


জীবের সংলারগতি বর্ণশ। 


জীবের উৎপতি বিষয়ে বাদিদ্রিগের যে সকল ধিগ্রতিপত্তি আছে সে 
সমস্ত পূর্বে সবিস্তারে বণিত হহয়াছে। বোদক মতে জীব স্বন্থুৎপদ্যমান্‌ 
পদ্দাথ? কেন-নাঃ তন্মতে অবিকারী পরত্রন্মই শবীরে গ্রবিষ্ট হইয়া জীবরূপে 
বিরাজমান আছেন অর্থাৎ অবিকৃত পরমাত্বাই জীবেশ্বর জগত্রূপে ভাসমান 
হওয়ায় তাহাতে জীবেশ্বর জগত্ভাবধের যে প্রতীতি তাহ। অনাদি সিদ্ধ 
অজ্ঞানদ্বার! কল্লিত। এইরূপ জীবেশ্বরের অল্লজ্ঞত। সর্বজ্ঞতাদি ভাবের 
তথ জগতের নানাত্ব পরিচ্ছিশ্নতাদি ধর্শের গ্রতীতিও আবিদ্ভক অর্থাৎ 
অবিস্ভাকৃত। কধিত কারণে এমতে ব্রদ্দ ভিন্ন তত্বাস্তর নাই এবং নাই 
বলিয়াই জীব ব্রদ্মের অভেদের শ্বাতাবিকতা ও তেদের আবিষ্ভকতা নিবন্ধন 
্রন্মবি্ঠা অবিস্ত। নিবৃত্ত করিয। অপবিমিত ব্রন্ধাত্মন্তাব জন্মাইতে সমথ 
হয়। যে কাল পর্যন্ত জীব তবজ্ঞানপ্বারা আপনার ব্রন্ধাত্বতাব, জানিতে 
শক্য না হয়, সেকাল পর্যযত্ত অনিভ্য অবিদ্ভাকত দৃষ্ট দেহাদি উপাখিতে 
আত্বস্তীবে ভাবিত হইয়। ও তন্বর্দ সকল আপন ধর্ম নিশ্চয় করিয়া ব্রহ্গ 
হইতে স্থাবর পর্য্যন্ত যোনিতে স্বীয় কণ্মানথুমারে ভ্রমণ করত; নূতন নূতন 


২ তত্বক্কানাগৃণ। 


শরীর ধারণ-বীরে, কারয়া পুনঃ পুনঃ সংসার গতি প্রাপ্ডি পুর্ব বর্তমান 
. দেহ) ত্যাগ করে ও অন্য সংঘাত গ্রহণ করে। এবন্াকারে 
ব্বারদ্থার নদীর প্রবাহের ন্যায় জীব আবহমান কাল হইতে অবিস্া 
কাম ও কর্মের বশে জন্ম মরণরূপ বন্ধে যুক্ত হইয়। আসিতেছে । ততজ্ঞান 
বার! ব্হ্গায্তাব নিশ্চিত হইলে, স্বাভাবিক একাত্ম বিজানতাকীপ্রকটিত 
হইলে, উক্ত সকল তেদ নিবারিত হইয়া জীব শ্বপারমাথিক স্বরূপে অবস্থান 
. করে, ইহাই পরমগতি বলিয়া বেদান্ত শাস্ত্রে প্রতিপাদিত হহয়াছে। 
কথিত প্রকারে আব্রন্ম স্থাবর পর্য্যন্ত জীব মাঞ্জই পরমার্থতঃ ব্রহ্ম শ্বরূপ 
অনাদি শ্বয়ংসিদ্ধ বস্ত, কিন্তু তাহাতে নানার পরিচ্ছিনত্ব অনিত্যত্বাদি ধর্ম 
সকলের যে প্রতীতি হইয়া থাকে তাহা অবিদ্ধা কল্পিত হওয়ায় মিথ্যা। 
এই মিথ্য। জ্ঞান তত্বজ্ঞান দ্বার উপমদ্দিত ন! হওয়া পর্য্যন্ত জন্ম মরণাি 
স্ধক্ম-সুক্াখ 'দুদ্ধি হেতু “জীব কোথা হইতে আমিল, মরণের পর কোথায় গমন 
করে, কিরূপ গতি হয়, ভাবিদেহ কিরুপে গ্রহণ করে, ভোগান্তরে আবার 
কোথায় যায়,” ইত্যাদি সকল আশঙ্কা! লোকের চিত্তে সতত উদ্দিত হুইয়। 
থাকে। এই সকল বিষয় এক্ষণে বেদোক্ত প্রণালী অন্থলারে ব্যাখ্যাত 
হইবে।, ছান্দোগ্যউপনিষদের পঞ্চাগ্রিবিগ্যাপ্রকরণে তথা বৃহদারণযক 
উপনিষদের জ্যোতিঃ ব্রাঙ্গণে ও শারীরকত্রাহ্গণে ইহ! সকলের বিস্তারিত 
বিবরণ আছে। এই সকল উপনিষদের যে সকল সন্দপ্ধ অংশ আছে সে 
সমস্ত ব্যাসদেব দ্বারা শারীরক হুত্রে (বেদান্ত দর্শনে ) বিশদরূপে মীমাংসিত 
হইয়াছে। পুনর্জন্ম গ্রহণ বিষয়ে বৈদিক প্রণালী সহিত অন্য সকল 
মতের এঁক্য নাই, অনেক ভেদ আছে। যথা--সাংখ্য মতে আত্মা ও 
ইান্ত্রয়গণ ব্যাপক, কর্ম প্রভাবে যে স্থানে দেহ উৎপন্ন হয় সেই স্থানেই বিষয়- 
গ্রহণোপযোগী ইন্তিয়ন্রত্তি সকল আবিভূত হয়। বুদ্ধ বলেন দেহাস্তর 
গ্রাণ্ডে অসহায় আত্মা নুতন দেহে নুতন হীন্দ্রয় লাভ করেন, এইরূপে সেই 
তাবী দেহই বৃত্তিমান হয়। বৌদ্ধ মতে ধারাবাহিনির্ধিকল্পক। অহং অহং 
ইত্যাকার ) জ্ঞানের নাম আত্মা, তাহাতে সরিকল্পক জ্ঞান হওয়া বৃতিলাভ। 
কগাদ বলেন মন সঙ্গে যায়, অন্টান্ত ইন্তিয় তদদেহে নৃতন উৎগ্প হয়। 
জৈনগণ বলেন পক্ষী যেয়ন বৃক্ষ হইতে বৃক্ষান্তর গমন করে, জীবও তজ্জপ এ 
দেখ ত্যাগ করিয়া দেহান্তরে গমন করে। এইরূপ এইরূপ মতান্তরে পুন- 


জীবের সংসারগতি বর্থন। ৩" 


জন্ম বিষয়ক প্রালীতে অনেক জল্পনা আছে। শ্রত্যু্ত প্রণালীর সার এই-_ 
জীব বখন পুনর্জন্ম গ্রহণ করিতে যাগ তখন দ্েেহবীজ সুক্ভূতে বেট, 
হইয়া সপ্রাণ পেক্ত্রিয় সমমস্ক ও অবিস্ত। ধর্্মাধর্ম ও জন্মাস্তরীয় সংস্কার সহ 
অস্ত নূতন শরীর গ্রহণ করিয়াই যায়, কণাদ সাংখ্যের তায় ইন্জিয় দেহবীঞ 
প্রভৃতি ব্ুহিত হইয়া অথব! বৌদ্ধ জৈনের ন্যায় ইন্তরিয় মন দেহবীজ (সু 
ভূত) প্রভৃতি সমস্তই রহিত হইয়। ভাবী জন্ম গ্রহণ করিতে যায় না। আব 
বলা বাহুল্য এই বৈদিক প্রণালীই যুক্ত্যন্থুগৃহীত বলিয়া প্রমাণীকৃত হয়, 
কেন না? যে দেহেন্দ্রিয়ের আশ্রয়ে অনন্ত সৎকর্ম আচরিত হইয়াছে সেই. 
ভূত হুল দেহবীজে পরিবেষ্টিত হইয়! জীব ভাবিদেহ গ্রহণ না৷ করিলে স্বকীগ 
কর্ম জনিত উপযুক্ত কারণীভূত দেহবীজরূপ কু্মভূতের উপাদানতার 
অভাবে ভাবিদ্রেহে বিবয়গ্রহণোপযোগী পূর্বজন্মকৃত . কর্মসংস্কারের 
অভিব্যঞ্জকতা অসম্ভব হইবে এবং তৎকারণে পুর্কোত্তর দেহের আনন্তধ্্য বিনষ্ট 
হওয়াব তথা নুতন .ভৃতাবয়বন্ধারা ভাবিশরীর আরম্ভ হওয়ায় নিমিত্ত- 
নৈমিত্তিক (কারণ-কার্ধ্য ) তাবেরও উচ্ছেন হইবেক। অর্থাৎ বিদ্কা, কর্ম ও. 
পূর্বপ্রজ্ঞা, এই তন তোগোপযোগী শপীরাস্তপের প্রাপ্তি ও উপতোগের সাধন 
হওয়ায় উক্ত দেহান্তরের উৎ্পতিতে পূর্বদেহের বীজাৰয়ব না থাকিলে স্বকীয় 
কারণীভূত তৃতনৃক্ষমের অভাবে যেরূপ সর্বমৃদ্দেশ হইতে ঘট উৎপন্ন হয় না, 
অথব৷ যেরূপ তিলাবয়ব বিনা তিল তৈলের উৎপস্তি হয় না, অথব! যেরূপ 
মার্জার ভোগোপযোগী মার্জার শরীরে মন্ুন্ত ভোগোপযোগী ভোগ হইতে 
পারে না, তদ্রুপ নিত্য গৃহীত পূর্বজন্মান্তরীয় আরভক যোগা উপাদানের 
অসত্তাবে স্বকর্মনিত তোগোপাযোগী শরীরান্তরের প্রাপ্তি ও পূর্ব প্রজ্ঞাদি 
নামক বাসনার (সংস্কারের ) অভিব্যক্তি অসম্ভব হইবেক এবং তৎকারণে 
দেহের পৃর্বাপরীতাব ও আনন্ত্য্য বিনষ্ট হওয়াম্স কারণ-কাধ্যতভাবেরও উচ্ছেখ 
হইবেক। কথিত কারণে মতাস্তরীয় সমস্ত প্রক্রিয়া শ্রুতি বাধিত হওয়ায় 
অযুক্ত ও অগ্রমাণ। শ্রত্যুক্ত রীত্যন্থপারে জীব মরণকালে তেজ মাত্র! 
অর্থাৎ বাকাদি করণ সমূহ গ্রহণ করিয়া হৃদয়ে ( পুগুরীকাকাশে ) গমন করে, 
করিলে হদয়-ছিজ্রের অগ্র ( নাড়ীমুখরূপ ) নির্গবনঘার] প্রদ্যোতিত 
( প্রকাশিত.) হয়, এবং ইহা! হইলে জীব উপরোক্ত তেজ মাতাদি সহিত চক্ষু 
হইতে (যদি আদিত্য-লোকের প্রাপ্তি নিমিত্ত জান বা কর্ণ হয়) বামূর্ধা 


$ ততঙ্ঞানামৃত। 


হইতে ( বদি 'ব্র্ধলোকের প্রাপ্তি নিমিত্ত জ্ঞান বা কর্ম হয়) বা অন্ত শতীর- 
দেশ হিতে (বাহার যেরূপ কর্্ম হয়) উৎক্রান্ত হইয়] প্রয়াণ করে। শরীর 
হইতে প্রয়াণ করিবার সময়ে কর্মের বশে হ্গীব বিশেষ বিজ্ঞানবান্‌ হয়, অর্থ 
এই যে, ইহলোক্ষে কর্মবশে তাহার যেরূপ ভাবনার প্রাবল্য ছিল সেই 
ভাবনায় দু ভাবিত হইয়া অনুত্তাব্যযান অস্তরঃকরণবৃত্বি বিশেষের আশ্রিত 
বাপনাত্মক বিশেষবিজ্ঞানদ্বারা তাহার পর্বলোক এইকালে সবিজ্ঞান হয় ও 
সবিজ্ঞানপুর্বকই গণ্তব্পথে এন্থগমন করতঃ হদয় দেশেই বিশেষ 
রিজ্ঞানদঘ্বার] উদ্ভাসিত যে শরীর তাহাই প্রাপ্ত হয় এবং তদনস্তর পিগি- 
তেন্ত্ির় হয়। পরলোকগন্তা! জীবের প্রয়াণকালে সাকটিক সম্ভার স্থানীয় 
মার্গের সম্বল উপরোক্ত বিগ্তা কর্ম ও পূর্বপ্রজ্ঞা। ' বিদ্বা সর্কপ্রকারের 
বিহিত, প্রতিযিদ্ধ, অবিহিত ও অপ্রতিবিদ্ধরূপ হয়; এইরূপ কর্মমও হয়। 
আর্বাৎ বিহিত-বি্ভা আধ্যাত্মিক, প্রতিসিদ্ধ নগ্রন্্রীর দর্শনরূপ, অবিহিত ঘটাদি 
বিষয়ক, ও অপ্রপিদ্ধ মার্গে পতিত তৃণাদি বিষয়ক হয় । এইরূপ বিহিত কর্ম 
যাগার্দি, প্রতিসিদ্ধ ব্রঙ্গ হননার্দি অবিহিত গযনাদি। ও অপ্রসিদ্ধ চক্ষুপক্ষ্ের 
বিক্ষেপাদি রূপ হয়। পূর্ববান্থুভূত বিষয়ের যে জ্ঞান তাহাকে পূর্বপ্রজ্ঞ। বলে, 
অর্থাৎ অতীত কর্মম-ফলের অনুতবের যে বাসনা তাহার নাম পৃর্বপ্রজ্ঞা। 
আর এই পূর্ব প্রজ্ঞা অপৃর্ব কর্ম্দাবস্তের তথ! কর্ম্-বিপাকের অঙ্গ। কারণ, 
উক্ত বাসন! ব্যতীত কেহই কোন প্রক্কার কর্ম করিতে ও ফল উপভোগ 
করিতে শক নহে। অনত্যপ্ত বিষয়ে ইন্দ্রিযগণের কৌশল হয় না, পূর্বানথু- 
ভূতের বাসনা দ্বারা প্রবর্তমান ইন্ত্রিয়ের ইহলোকে অভ্যাস বিনাই কৌশল 
সম্ভব হয়। অনেকের বিষয়ে কত বিচিত্র কন্মার্দিরপ ক্রিন্নাতে বিন 
অভ্যাসে জন্ম হইতেই কৌশল দৃষ্ট হয়। আবার অনেকের বিষয়ে কতখত 
অত্যন্ত সামান্য ক্রিয়াতেও অপটুতা দেখা যায়। এইরূপ বিষয়ের উপভোগেও 
অনেকের স্বস্বতাবেই কৌশল্যাকৌশল্য দৃষ্ট হইয়া থাকে, ইহা! সমস্তই 
পুর্বপ্রজ্ঞার উত্তব ও অনুত্ভবরূপ নিষিত্ত-বিশিষ্ট । সুতরাং বিদ্যা কর্ম ও 
পূর্বপ্রস্তা এই ভ্রিতয় সাকর্টিক সম্ভার স্থানীন্ন পরপোক-মার্গের সম্বল হওয়ায় 
ইহ] দঘ্বাব। দেহাস্তরের প্রাপ্তি ও উপভোগ হইয়া থাকে। উক্ত পূর্ব প্রজ্ঞারূপ 
ষে বাসন] তাহ! বিদ্য। কর্মের বশে পরলোকগামী জীবের হৃদয়ে স্বিতিকালেই 
উদ্দিত হইয়া স্বপ্নের ন্যায় গ্ররূত দেহ হইতে দেহান্তর আরম্ভ করে। যেমন জলা 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ৫ 


সুকা তৃথাস্তর গ্রহণ নূর্বঁক গৃহ্থীত তৃণ ত্যাগ করে, তেমনি জীবও 'ব্ন্তর গ্রহণ 
করিয়া পূর্ব দেহ ত্যাগ করে। অর্থাৎ জীবের হৃদয়ে স্থিত যে পৃব্ব ৭াপম1ও' 
কর্ম্মাশয় তন্দারা আকুষ্ট হইব্ল। জীব.প্রধাণ কালে স্বপ্নের ন্যায় দেহাস্তর গ্রহণ 
করে ও তাহাতে আত্মভাব করিয়া পূর্ব শ্রয় ত্যাগ করে, করিয়া পিঙিতেক্তিয় 
হয়। যেমন স্ুবর্ণকার স্বর্ণের মাত্র! (অবয়ব ) গ্রহণ করিয়। পৃর্র্ব রচন। 
বিশেষ হইতে অন্য নবতর কল্যানতর রূপ নির্মাণ করে, তজ্রপ এই সংসারী 
আত্মা নিত্য গৃহীত পৃথিব্যাদ্রি পঞ্চ$ুত নির্মীত সুবর্ণ স্থানীয় এই শরীরকে 
উপমর্দন করতঃ অন্য দেহাস্তর নবতবু কল্াযাণতররূপ পিতৃুলোকের উপভোগ 
যোগ্য ব। গন্ধববলোকের উপভোগ যোগ্য বা দৈব বা প্রাজাপত্য বা! ব্রহ্ম 
লোকের উপভোগ যোগ্য রচনা করে, অথবা যথা কর্ম যথা শ্রুত অন্য ভূত 
সম্বন্ধী শরীরান্তর রচন| করে। প্রদশিত প্রকারে জীব পরলোকে কর্ম-ফল 
ভোগ করিয়! অনারন্ধ বা অভুক্ত শেষ কর্মের বশে পুনরায় কর্ম করিবার 
জন্য মর্ভে আগমন করে। উক্ত সমস্ত কথার নিষ্কধিত অর্থ এই-_-মরণকালে 
জীব এতদ্দেহের অভিমান ৭ কাঁ্ধ্য কলাপ ভূলিয়! যায়, অনন্তর জীবের ফলা তি- 
মুখ উদ্ধদ্ধ ক্মাসংস্কারদ্বারা ভাবিদেহবিষয়ক জ্ঞানমন্জ বা ভাবনাষয় শরীর 
উৎপন্ন হয় অর্থাৎ আমি দেব বা মনুষ্য ইত্যাকার স্বপ্রবৎ দর্শন হয় ও তাহাতে 
গাঢ় অভিমান জন্মে, পরে দেহ পরিত্যাগ হয়। এই সময়ে অর্থাৎ দেহের 
পরিত্যাগ সময়ে জীব পিঙিতেক্দ্রিয় হয়, অর্থ এই ষে, ইন্জ্রিয় নির্যাপার ও 
যনে লয় গ্রাণ্ত হইলে জীবের জড়বৎ ভাবে অবস্থিতি হয়। এইরূপে জীব 
মৃডাকালে ভাবিদেহের বীঙগস্বরূপ ভূতসুক্মে পরিবেষ্টিত হইয়! ভাবনাময় 
দেহ বিশেষ দ্বারা শুপগ্তবৎ এতল্লোক হইতে প্রয়ান করতঃ স্বকর্মানুসারে হয় 
চক্রলোকে (পিতৃযান » দক্ষিণায়ন মার্গে) না হয় ব্রহ্ম-লোকে (দেবযান »* 
উত্তরায়নমার্গে) অথবা যমলোকে গমন পূর্বক স্বকৃত কর্মফল তোঁগ করে, 
করিয়া ভোগের অবসানে অনারন্ধ অভুক্ত শেষ সঞ্চিত কর্ম সহিত মন্ুস্ 
যোনিতে অথব! শুকর বা কুন্ধুর যোনিতে অথব! চাগাল যোনি প্রস্কৃতিতে 
পুনরাগত হয়। এই প্রকারেই শ্রুতি কর্তৃক পুনঃঞন্ম বিষয়ক ভাবিগেহ 
গ্রহণ ও পুনরবতরণ প্রণালী বণিত হইয়াছে। এক্ষণে মার্গের আরোহণ ক্রম 
বলা যাইতেছে। 

দেবযান-মার্শ_.অন্সিলোক, দ্িবদলোক, শুক্ুপক্ষলোক, ধণমাসাত্মকউত্তরায়ন- 


৬ তত্বজানামুত । 


২ঞনেক, সংবৎসরলোক,. দেবলোক, বাযুলোক, হূর্যলোক, চন্রলোক, 
“বিছ্যৎলোক, বরুণলোক, ইন্দ্রলোক, প্রজাপতিলোক ও ব্রহ্মলোক। 
পিতৃযান-মার্ _ধূম, রাত্রি, কৃষ্ণপক্ষ, দক্ষিণায়নরূপঘটমাষ, পিতৃলোক, আকাশ 
ও চন্ত্রলোক ৷ (অবরোহণ ধথাগত ক্রমে বা অনিয়মে উভয়ই 
রূপে হইয়া থাকে )। 

যমলোক-মার্গ_যাম্যপূর, সৌরিপুর, স্বরেন্্র বা নগেন্্র ভবন, গন্ধবর্ব নগর, 
শৈলাগমপূর, ুরপূর, ক্রৌঞ্চপৃর, বিচিত্র নগর, বহ্বাপদপৃর, ছুঃখ- 
পুর, নান। ক্রন্দপূর, স্ৃতপ্ত ভবন, রৌদ্রপূর, পয়োবর্ষণপুর, শীতাগ্ 
নগর, বহুহীতিকরপুর। ততৎপরে বৈবশ্বহ গৃহ অর্থাৎ সংযমনীপুরী 

(ষমলোক)। গরুড়পুরাণ ষষ্ট অধ্যায় দেখ। 
উপাসনাপি প্রভব দেবধানগতি লাভ হইলে দেবধানমার্গ হইতে জীবের 
অবরোহণ নাই । ব্রহ্গলোকগত মুক্তপুরুষগণ মহাপ্রলয়ে ব্রপ্ধলোকের 
অধিষ্ঠাতা হিরণ্যগর্ভ (ব্রঞ্ধা) সহিত পরব্রন্মে একীভূত হন, ইহাই ক্রমমুক্তি 
বলিয়া শাস্ত্রে অভিহিত হইয়াছে । শেষোজ ছুই মার্গ হইতে জীবগণের 
মর্ভলোকে পুনরাগমন হইয়া থাকে। মার্গাভিমানী দেবগণ পরলোকগত 
জীবের বাহকতা৷ কার্ষ্য নিষুক্ত হয়েন, কিন্তু ত হীম স্থানে অনিষ্ট-কর্শ। জীবেরা 
মৃত্যুর পরে যমদৃত দ্বারা বাহিত হয়। ব্রক্ষলোক বিষ্ভা সহিত হষ্টকর্মচারীর 
প্রাপা অর্থাৎ নিগুণ বা সগুণ বর্গের অহংগ্রহ-উপাসনার প্রভাবেই 
দেবযানগতি লাত হইপা থাকে, সুতরাং অহংগ্রহ-উপাদ্ন। দেবযান-গতি 
লাতের ও অপুনরাবতরণের একমান্র উপায় । চন্দ্রলোক প্রতীক-উপসঙ্ষা। 
সহিত ইন্পূর্তাদিকর্মচারী জীবগণের প্রাপ্য ও যমলোক অনিষ্ট-কর্মমচারী 

জনগণের গমনীয় । 

উল্লিখিত মা্গত্রয়ের অতিরিক্ত আর একটা স্থান আছে যাহাতে গমনা- 
গমন নাই। এই স্থানটা নিজ স্বরূপে অবস্থানরূপ মোক্ষ, ইহ তত্বেস্ত! 
বিদ্বানের প্রাপ্তিধোগ/ | ধীহারা ইথলোকে ব্রহ্মবিস্থ! প্রভাবে ব্রক্ষাত্মভাব 
অপরোক্ষ সাক্ষাৎকার করিয়াছেন তাহার! বর্তমান শরীর ত্যাগ কালে সেই 
প্রদশেই নির্বিকার ব্রন স্বরূপে স্থিত হইয়া কেবল হন, অর্থাৎ কৈবঙ্যপদ 
প্রাপ্ত হন, তাহাদের কোন স্থানে যাতায়াত নাই, তাহার! সর্ব প্রকারে গমনা- 

গমন রহিত হই? স্বস্বরূপাবস্থানরূপ যোক্ষ লাভ করেন। 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ণ 


উপরে অতি সংক্ষেপে শরীরে অনুপ্রবিষ্ট হইয়া যোক্ষ রয্যস জীবের 
সংসার-গতি যাহ! বণিত হইল তাহা সমস্ত বিশদরূপে শারীরক হত্রের শঙ্কর” 
তাস্তে বেদের সন্দিগ্কাংশ মীনাংসার অবসরে অনেকানেক যুক্তি প্রদর্শন 
পুর্বক বিচারিত হইয়াছে। জীবের সংসার যাক্জা, তাহার ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা, 
পুনজ্জন্ম, দেব-যান প্রভৃতি মার্গের ভেদ, মার্গের ক্রম, গতিবিষয়ক সাধন 
ঘটিত বিচার, উপাসনার তেদাতেদ, মোক্ষ, ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ের বৈদিক 
প্রণালী অতি ম্পঞ্টরূপে শারীরকে ব্যক্ত আছে। প্রত্যেক বিষয়ের উপযোগী 
সুত্রে, সথঞ্জার্থ ও সুত্র-ভাঁয্ভের বঙ্গানুবাদ উক্ত সকল বিষয়ে? পোষক প্রমাণে 
উদ্ধত করা যাইতেছে । তথা, 

উপরে বলা হইয়াছে যে, জীব যখন বর্তমান শরীর ত্যাগ করিয়] স্বকর্্মফল 
ভোগের নিমিত্ত অন্ত নুতন শরীপ গ্রণ করে, তখন সেম্তিয় সমনস্ক সহ 
ভাবি-দেহের বাগস্বরূপ ভূত-সথপ্মে পরিবেষ্টিত হইয়াই উক্ত শরীর গ্রহণ করে। 
এই সিদ্ধান্ত নিয়োক্ত সকল কত্রে স্থাপিত হইয়াছে এবং তৎসঙ্গে প্রসঙ্গাগত 
অন্যান্য বিষয়ও বিচারিত হইয়াছে । উক্ত সিদ্ধান্তের প্রথম সক এই-- 


তদন্তরপ্রতিপ্তৌ রংহতি সম্পরিষক্তঃ 
প্রন্মনিরূপণাভ্যাম্‌॥ অ ৩, পা ১ মু ৩॥ 


হু্লার্থ-জীবঃ তদস্তরপ্রতিপতৌ দেহান্তরগ্রহণার্থং দেহবীটজভূতিহৃক্মৈঃ 
সম্পরিঘক্তঃ পরিবেষিতে। রংহাত গচ্ছতীতি প্রশ্ননিরূপণাভ্যমিতি স্থব্র- 
যোজন|।--জীব যখন এতদ্দেহ ত্যাগ করিয়া দেহাগ্তর বা পুনর্জন্মগ্রহণ 
করিতে যায়, তখন সে দ্েহ-বাঁজ ভূতক্ক্ষে পরিবেষ্টিত হইয়াই যায়। শ্রুতিতে 
এই বিষয়ের প্রশ্ন ও প্রত্যুত্তর আছে, সেই প্রশ্নোত্তরের দ্বার! এ সিদ্ধান্ত জ্ঞাত 
হওয়। (গয়াছে। 

ভাস্তার্থ--বেদান্ত-বিহিত ব্রঙ্গজ্ঞানের সাহত সাংখ্যের ও ন্যায়ের যে 
বিরোধ, তাহার পরিহার |দ্বতীয্াধ্যায়ে হইগ্রাছে এবং শ্তিসমূহের বিরোধ- 
তঞ্জনও হইয়াছে । জীবাতিপিক্ত পদার্থ সকল জীবের উপকরণ (ভোগের 
জিনিশ ) ও ব্রহ্ষ-প্রভব, এ কথাও দ্বিতীয়াধ্যায়ে বল! হইয়াছে। সম্প্রতি 
এই তৃতীয়াধ্যায়ে ভ্ীবের সংসারগতি,, তাহার ভিপ্ন ভিন্ন অবস্থা ব্রহ্মতাব, 


৮  তন্জানামৃত। 


উপাসনার ভেদাভেদ, গুণের (উপাসনাঙ্গের ) সংগাহ ও অসংগ্রহ, তত্বজ।নে 
/মাক্ষ, ত্জ্ঞানের উপায় অর্থাৎ সাধন ও তদ্বিধানের প্রতেদ, মুক্তিফলের 
ইকরূপ্য,-.এই সকল নিরূপিত হইবে এবং প্রসঙ্গাগত অন্তান্ত কোন কোন 
ববয়ও (দেহাত্মবাদ দূষণাদি ) বিচারিত হইবে। তন্মধ্যে এই প্রথম পাদে 
জীবের বৈরাগ্য উৎ্পাদনার্থ পঞ্চাগ্সি বিগ্ঠা * অবলম্বন করিয়া সংলারগতির 
প্রতেদ বণিত হইবে। পঞ্চাগ্রি-বিষ্তার শেষে “জুগুগ্গা। অর্থাৎ হেয় বোধ 
করিবেক” অইরূপ শুনা যায়, সুতরাং স্পষ্ট বুঝা যাইতেছে যে জীবের বৈধাগ্য 
উৎপাদন করাই পঞ্চাগ্মি-বিদ্য। 'উপদেশের আগিপ্রেত। সংসার প্রকরণস্থ 
শ্রাতর “অনস্তর অর্থাৎ মরণকালে এই-সকল প্রাণ (মুখ্যপ্রাণ ও ইন্ত্রিয়) 
হৃদয়ে আগমন করে, অনন্তর জীবে একীতৃঙ হয়।” এই স্থান থেকে 
“অভিনব ও কল্যাণকর শরীরান্তর ধারণ করে।” এই পর্যন্ত বাক্যসন্ম্ভের 
ও ধন্মাধর্মফলতোগসভ্তাবনাসংস্থ!ণক যুক্ত দ্বারা জানা যাইতেছে যে, প্রাণ- 
সহায় জীব পুর্ব শরীর পরিত্যাগ করতঃ সেন্দ্রয়, সমনস্ক ও আবস্তা, কর্ম 
(ধর্মাধন্ম) ও জগ্মান্তরীয় সংস্কার সহ অন্ত নূতন শরীর গ্রহণ করে। এই 
স্থানে সন্দেহ ও বিচার এহ ষে, তান যখন এতদ্দেহ ত্যাগ করতঃ দেহাস্তর 
প্রাপ্তর উদ্দেশে গমন করেন, নুতন জন্ম লহবার জগ্ঠ যান, তখন (তান 
দেহবীজ তৃত-হুপ্মে ( ভূত-গুক্মুল পঞ্চাকৃত মহাভূতের এঙ্্ অংশ--যাহা ভাবি- 
দেহের খীঞ্জন্বরূপ -তাবস্যতে যাহা পরিণামে এন্ শরার হইবে) সমালিঙ্গিত 
অর্থাৎ পরিবেষ্টিত হইয়া যান কি-না । অর্থাৎ ততসঙ্গে দেহবীজ ভূত-হ্ল্ম যায় 
(ক-না। প্রথমতঃই পাওয়। যায়, জীব দেহবীজ হুঙ্্ভুতে পরিবেষ্টিত হইয়া 
যায় না। অর্থাৎ হুম্ সুক্ষ ভূতাংশ তৎ সঙ্গে যায় না। হেতু এই যে, শ্রুতিতে 
ইন্তিয়গ্রহণের স্তায় তুত-স্্্ গ্রহণের উল্লেখ নাই। শ্রুতি “সেই মুহুর্যু জীব 
এই সকল তেজোমাত্রা অর্থাৎ চক্ষুরাদি হীন্দ্রয় গ্রহণ করতঃ--” এই সন্দর্ডে 
তেঞজোমাত্রা-শবিত ইন্্িয়ানচয়ের কীর্তন করিয়াছেন কিন্তু ভূত-হুক্ম গ্রহণের 
কীর্তন করেন নাই। এ সন্দর্ভের শেষ তাগেও চচ্ষুরাদি হীন্দ্রিয়ের কীর্তন 
* ইহা এক প্রকার উপাসনা । দিব, পঞ্জন্য, পৃথিবী, পুরুষ, যোষিৎ। 
এই পাঁচ অগ্নি, ইহাতে শ্রদ্ধা সোম, বৃষ্টি, অন্ন, রেত, এই পাঁচ আহ্তি। 


এই প্রকার জ্ঞান বা ভ।বন। করিতে হয়। এই ভাবনাস্মক জ্ঞান পঞ্চ প্লি-বিষ্ক। 
নামে ধ্যাত। 


4 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ৯ 


আছে, কিন্তু ভূতমাক্রার (স্থক্্-ভূতের ) কীর্তন নাই। না থাকা ইগ্জা্সত। 
যেহেতু ভূতমাঞ্জো সুলত-সর্বক্জ পাওয়া যায়। যেস্থানে দেহ জন্মিবে সেই 
ানেই সুঙ্ম-ভূত পাওয়া যাইবে অথব1 আছে সুতরাং হক্দ-ভূত সর্গে লওয়া 
নিপ্রয়োজন। অতএব, জীব সুক্ম-তৃত সমালালগত না হইয়াই যায়। এতৎ- 
প্রাপ্তে আচার্য্য ব্যাস ধলিতেছেন,_-জীব দেহান্তর পাইবার জন্য সুম্ষর-ভূত- 
পরিঘ্বক্ত হইয়। অর্থাৎ দেহবীক্গ সুক্ষ হুক্ ভূততাগে বেষ্টিত হইয়া গমন করে, 
ইহ! শ্রত্যুক্ত প্রশ্ন ও নিরূপণ দ্বারা জানা যায়। প্রশ্ন যথা! .-“মাপ. পাঁচ 
প্রকার অগ্নিতে আহ্‌ত (প্রক্ষিপ্ত ) হইয়া যে-প্রকারে পুরুষ-শব্দের বাচা হয় 
অর্থাৎ মন্ুষ্ঠাকারে পরিণত হর--সেই প্রকারটী কি জান ?” (রাজা প্রবাহন 
শ্বেতকেতুকে এই প্রশ্ব করিয়াছিলেন )। ইহার নিরূপণ অর্থাৎ প্রত্যুত্তর-_- 
দিব, পর্জন্ত, পৃথিবী, পুরুষ ও যোষৎ, এহ পাঁচ অগ্নির শ্রদ্ধা, সোম বৃষ্টি, অনল 
ও রেত, এই পাঁচ আহুতি, ইহ খলিয়া “এষ্ঠ প্রকারে আপ পঞ্চমী আহুতিতে 
পুরুষ-শব্দের বাচ) হয়” এইরূপে প্রদত্ত হইয়াছে । এ প্রশ্ন ও প্রতিবচন দ্বার 
চুঝ] যায় যে, জীব অপ.পপ্রিবেষ্টিত হইয়াই গমন করে অর্থাৎ দেহ হইতে 
বহির্গত হয়। যদি বল, অন্ত এক শ্রাত বলিয়াছেন) জীব জলৌকার স্তায় 
যে-পর্য্যন্ত দ্রেহাস্তর না পায় সে-পধ্যন্ত পুর্বদেহ ত্যাগ করে না, যথা--“যেষন 
জলাযুক' তৃণাস্তর গ্রহণ পুর্বক পুববগৃহীত তৃণ ত্যাগ করে, তেমনি, জীবও 
দেহান্তপ গ্রহণ করিয়। পৃর্বদেহ ত্যাগ করে।” ইহা উল্লিখিত পক্ষের বিরোধী, 
এ বিষন্ধে আমরা বাল, বিরোধী নহে। কারণ, মরণকালে অপ.-পরিবেষ্টিত 
জীবের যে-পুর্্বকম্মম তবিষ্াদ্দেহবিষরক ভাবনা জন্মায় --ভাবনাময় দেহবিশেষ 
জন্মায়, তাহাই উক্ত শ্রুতিতে জলৌকার সহিত তুলিত হইয়াছে। ; অভিপ্রায় 
এই যে, আগে ভাবিদেহবিষয়ক-জ্ঞান বা ভাবনাময় দেহ হয়। অথাৎ 
আমি দেব বা মনুয্যঃ ইত্যাকার স্বপ্নবৎ দর্শন ও তাহাতে গাঢ় অভিমান 
জন্মে। ততৎপরে দেহ পারত্যাগ হয়। মব্রণ-যন্ত্রণা এতদ্দেহের অভিমান ও 
কার্যকলাপ ভুলাইয়া দেয়, অনন্তর কর্ম-সংস্কার উদ্ধদ্ধ হইয়| ভাবিদেহবিষয়ক 
ভাবনা উৎপাদন করে) সুতরাং অবিরোধ--অল্পমাত্রও বিরোধ নাই। 
শতুযুক্ত পুনর্জন্মগ্রহণ প্রণালী খিছামানে বুদ্ধ মাক্জর কল্পিত জন্থ্ন্তর গ্রহণের 
ভিন্ন ভিন্ন প্রণালী শ্রুতিবাধিত বিধায় আদরের অযোগ্য অর্থাৎ হেক্স। 
গুকুষবুদ্ধির উতপ্রেক্ষিত জন্ম।স্ত£গ্রহণবিষখক তিন্ন তিন্ন মত যখা।--সাঙ্ঘ 
২. 


১৬ '_ তত্বজ্ঞানামৃত। 


বলেন, ইন্ত্িয়গণ ব্যাপক, আত্মাও ব্যাপক, কর্মপ্রভাবে যেস্থানে দেহ জন্মিবে 
সেই সার্নেই সে সকল বৃত্তিমান্‌ (বৃত্তি বিয়গ্রহণ সামথেণর আবির্ভাব) 
হইবেক | বুদ্ধ বলেন, অসহায় আত্ম। দেহান্তর প্রাণ্ডে তন্দেহেই বৃভিলাত 
করেন। যেমন দেহ নূতন হয়, তেমনি ইন্দ্রিয়ও সেই সেই দেহে নুতন 
উৎপন্ন হয়। এই মতে ধারাবাহি-নির্বিকল্পক (অহং অহং ইত্যাকার ) 
জ্ঞানের নাম আত্মা, তাহাতে শব্ার্দ সবিকল্পক জ্ঞান হওয়া বৃতিলাত। 
কণাদ বলেন, মন সঙ্গে যায়, অন্যান্য ইন্দ্রিয় তদ্দেহে নৃতন হয়। €ঞনগণ 
বলেন, পক্ষী যেমন বৃক্ষ হইতে বৃক্ষান্তরে যায় সেইরূপ জীবও এ দ্রেহ ত্যাগ 
করিয়া দ্রেহান্তরে গমন করে। এসমস্তই শ্রতিবাধিত, সুতরাং অগ্রাহা। 
এক্ষণে বলিতে পার ষে, যেরূপ প্রশ্ন ও প্রতিবচন-- তাহাতে কেবল জল- 
সুক্মাংশসমেত জীবের গমন প্রতীত হয়। প্রশ্র-প্রতিবচন আতিতে জলবাচী 
অপ শবেরই শ্রবণ আছে, অন্য ভূতের শ্রবণ নাই। তবে কিপ্রকারে বলিলে, 
প্রতিজ্ঞা করিলে, জীব সমুদ্রায় ভূতের সুক্াংশ সহ গমন করে? স্ব্রকার 
ইহার প্রত্যুত্তর বলিতেছেন -- 


্রযাত্বকত্বাত্ত ভূয়ন্ত্ীৎ ॥ অ ৩, পা ১, সু২।॥ 


ত্রার্থ--তু-শবঃ শঙ্কোচ্ছে্দার্ঘঃ। কেবলাভিরস্তিঃ সম্পারঘক্তোরংহতীতি 
নাশক্ষিতব/ম। যতস্তাস্ত্যাত্মিক। ক্রযা।ত্বকত্বেইপি ভূয়স্থাৎ অব্বাহুল্যাদাপ 
ইত্যুকিঃ ।--এমন মনে করিও না যে, কেবল জলহ্ক্মাংশই সঙ্গে যায়। 
কেনন।, জলভূতও ব্রিরত্কৃত অর্থাৎ ত্র্যাত্মক-_জল, পূথিবী, তেজ, এই তিন 
মিশ্রিত। সুতরাং জলের গমনে অন্ত দুএর গমন ( সঙ্গে যাওয়া ) সিদ্ধ হয়। 
আধিক্য অনুসারে নামোল্লেখ হইয়া থাকে; স্বৃতরাং জলের আধিক্য থাকানর 
জলবাচী আপ-শব্দের উল্লেখ হুইয়াছে। এঁস্থলে ফলিতার্থ--এমন বুঝিতে 
হইবে নাযে, আপ হুঙ্মাংশই সঙ্গে যায় ভূতান্তরের সুক্মাংশ যায়না । সমুদায় 
ভূতেরই স্ক্মাংশ সঙ্গে যায়। 

তায্যার্থ_তু-শবের হার] উক্ত আশঙ্কার উচ্ছেদ কর! হইয়াছে । অর্থাৎ 
প্রো আশঙ্কা! অবকাশ পায় না, ইহাই তু-শবে বলা হইয়াছে । কারণ এই 
যে, সে অনুগযামান জল ত্র্যাত্মক, কেবল জল নহে। ভ্রিবৃৎ্করণ শ্রুতি 
তাহার প্রমাণ। ঝবৃত্কত পঞ্চীকৃত ) ভূতই দেহাধির উৎপাদক, ইহ! স্থির 


জীবের সংসারগতি বর্ণন'। ১১ 


ও স্বীকুত আছে। সুতরাং জল ভূতের আরম্ভকত্ধ স্বীকারে অন্য ভূতত্বয়ের 
স্বীকার সুতরাং হইয়া থাকে । দেহ ত্র্যাত্মক-_ভূতত্রয়ের পরিণাম'। কারণ 
এই যে, দেছে তেজ, জল ও পৃথিবী, এই তিনেরই কার্য দেখা যাঁয়। 
্র্যাত্মকতার অন্ত নিদর্শন ব্রিধাতু অর্থাৎ বাত, পিত্ত ও শ্লেম্মা। এই তিনের 
দ্বারা দেহ বিধৃত আছে । অতএব, বিন! ভূতান্তরের যোগে কেবল জলে দেহ 
জন্মিতে পারেনা । দেহ যদি কেবল জলজ হইত, তাহা হইলে ইহাতে 
বায়ব্য ও তৈজস কার্যয থাকিতনা। ইত্যাদ্িবিধ কারণে বুঝিতে হইবে, 
আপের পুরুষ-শব্দবাচ্যতা অথাৎ শতীরাকারে পরিণামপ্রাপণ্ত হওয়ার কথা 
আধিক্োের অনুসারী অথাৎ জলের ভাগ অধিক বলিয়াই এ উক্তি অসঙ্গত 
নহে। অতএব, প্রশ্নে ও প্রতিবচনে যে অপশবের প্রয়োগ আছে, তাহ। 
কেবল জল বুঝাইবার জন্য নহে, কিন্তু জলের আধিক্য বুঝাইবার জন্ত। 
দেখাও যায়, সমুদায় দেহে রপরক্তাদি দ্রবপদার্থত অধিক। শরীরে পৃথিবী- 
ধাতুর আধিক্য দেখা যায় সত্য; পরন্ত্ তাহা অন্যাপেক্ষা অধিক, জলধাতু 
অপেক্ষা অধিক নহে। দেহের বীজ শুক্রশোণিত, তাহাতেও দ্রব-বাছল্য 
দেখা যায়। (ফলিতাথ? দেহে জলধাতুই সর্বাপেক্ষ। অধিক )। সেই সকল 
ভূতহ্ক্ম দেহের উপাদান-কারণ এবং কর্ম্ম তাহার নিমিত-কারণ। অগ্রি- 
হোত্রা্দি কর্ম ( তজ্জনিত অপূর্ব বা শক্তিবিশেষ ) তৎকাঁলে সোম, আজ্য 
(ঘ্বৃত ) ছগ্ধ ও দধি প্রতৃতি দ্রবদ্রব্য আশ্রয় করে। সেই কর্শাসমবায়ী দ্রবদ্রবা 
বা আপ. এতৎ শাস্ত্রে শ্রদ্ধা শব্দে কথিত হয় এবং তাহাই কর্মকারী পুরুষকে 
চ্যুলোক্যাধ্য অগ্রিতে প্রক্ষেপ করে (লইয়া যায়)! এ সকল কথ! পরে 
বলা হইবে। এতদম্ুসারে আপেরই আধিক্য প্রথিত হয়, সেই আধিক্য 
অন্থুসারেই অপ.-শবের কখন। স্থুতরাং অপ-শব্ের কণনে সমুদ্ধায় দেহবাঁজ 
ভূত হুক্ষ্ের কথন সিদ্ধ হইয়াছে। 


প্রাণগতেশ্চ ॥ অ ৩,পা ১জু৩॥ 


স্ুস্জার্থ__দেহান্তরপ্রতিপত্যর্থং প্রাণানাং গতঃ আায়তে তন্মাদপি ন 
কেবলাভিরাস্তঃ পরিবেষ্টিতে। গচ্ছত্যপিতু তূতাস্তরৈঃ | _-ইন্ভরিয়াদির সঙ্গে 
প্রাণেরও গমন শুনা যায়। প্রাণের নিরাশ্রক়্া গতি সম্ভবে না। স্থৃতরাং 
তদাশ্রয়ীভূত ভূতগঞ্চকের গমন স্বীকার্যয। (প্রাণ শবে ইন্দ্িয়)। 


১২ * তত্বজানামুত। 


তাল্ঠার্থ-_দেহান্তর প্রাপ্তির জন্য প্রাণেবাও জীবাআ্সার সঙ্গে যায়, ইহ! 
শ্রুতি$ শুনাইয়াছেন । যথা-_''জীব উতক্রমোগ্থমে অন্যান্ত প্রাণও উৎক্রো- 
মোস্তত হয়।” আশ্রঙ্স ব্যতীত নিরাশ্রয়ে প্রাণগণের অর্থাৎ ইন্দ্রিয়গণের গতি 
সম্ভব হয় না; স্থৃতরাং বুঝা যায় উন্তিয়গণের আশ্রয় স্বরূপ ভূতান্তর পরি- 
মিশ্রিত জলভূত (সুক্ম ) তৎসঙ্গে গমন করে । যখন জীবদ্দশায় প্রাণগণকে 
নিরাশ্রয়ে অবস্থান ও গমন করিতে দেখ যায় না, তখন অন্ত অবস্থাতে ও তাহ! 
নহে, ইহ! বুঝিতে হইবে । 


অগ্ন্যাদিগতিশ্রুতেরিতি চেম্ন ভাক্তত্বাৎ ॥ 
অঅ পাও১সু৪॥ 


সক্লার্থ-_অগ্র্যাদিগতিএতেশ্র্ণকালে বাগাদয়ঃ প্রাণ। অগ্রযাদীন্‌ গচ্ছতীতি 
শ্রবণাৎ প্রাণ ন জীবেন সহ গচ্ছতীতি ন কিন্তু গচ্ছত্যেব । কুতঃ ? 
ভাক্তত্বাৎ। তাক্তং হি প্রাণাদীনামগ্নাদিগমন: ন তু তন্বথ্যম্‌। মরণ কালে 
বাগাদি অগ্ন্যাদি দেবতায় গমন করে, এই এঁতি দেখিয়া সে সকল পুনর্জন্ম 
গ্রহণার্ধা জীবের সহিত গমন কৰে না, এরূপ বলিতে পার না। কারণ, এ 
উক্তি (প্রাণাদির অগ্র্যাদি দেবতা যাওয়1) গৌণ, যুখ্য নহে। অর্থাৎ এ 
উক্তির অভিপ্রায় অন্তরূপ। | ভাস্তান্তবাদে ব্যক্ত আছে )। 

ভাঙ্যার্থ_-যদ্রি বল, প্রাণাদ্ধি অগ্নি প্রভৃতিতে গমন করে, এইরূপ শ্রুতি 
থাকায় প্রাণের! দেহান্তর প্রাপ্তার্থ গীব পহ গগন করে না, মরণ কালে বাক্‌ 
প্রভৃতি প্রাণ | ইন্দ্রিয়) অগ্যাদি দেবতা গমন করে, তাহা অতি কর্তৃক 
দর্শিত হইয়াছে, ঘথ।--“তখন এই মৃত পুরুষের বাক্যেন্দ্িয় অম্িদেবতায় ও 
প্রাণ বায়ুদেবতায় অপায় (ল্পপ্রাপ্ত ) হয়।” হার প্রতিবাদ এই যে, এ 
উক্তি (বাক্যার্দি অগ্লাদিদেপতায় লীন হয়, এই কথন ) তাক্ত অর্থাৎ গৌণ 
(আরোপিত )। যখন ওষধিতে ও বনম্পতিতে লোমের ও কেশের গমন 
ৃষ্ট হয় না, অর্থাৎ লোমের ওষধিগমন ও কেশের খনম্পতিগমন যখন গৌণ, 
উপচার মাত্র, তখন অবশ্যই তৎসহপঠিত বাক্যাদির অগ্ন্যা্দিগমনও গৌপ 
(ভাক্ত বা ওঁপচারিক)। “অগ্নিং বাশপ্যেতি” ইত্যাদি বাক] যেস্থানে 
পঠিত হইয়াছে সেই স্থানে “লোম সকল ওষধিতে ও কেশ বনস্পতিতে 
গমন করে।” এ বাকাও উচ্চারিত হইয়াছে। লোম ও কেশ কি চলিয়। 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৩ 


গিয়া! ওষধি ও বনস্পতি প্রাপ্ত হয়? তাহ। হয় না। তাহা সম্পূর্ণ অসম্ভব 

*অপিচ, প্রাণ জীবের উপাধি, 'তাহার গমন না মানিয়া কিরূপে আর্টিবর গমন 
মান্য করিবে? কল্পনা করিবে? প্রাণের গমন স্বীকার না করিলে কোনও 
ক্রমে জীবের দ্েহান্তর-ভোগ উপপন্ন হষ্টবেক না। প্রাণেরা যে জীবের 
সহিত যায়, অন্য শ্রুতি তাহ। ম্পষ্টাভিধানে বলিয়াছেন। তাহাতে ইহাই 
বুঝা য়ায় যে, জীবদ্দশায় অগ্র্যাদি দেবতা যে বাক্যাি-ইন্দ্রিয়ের উপকার করে, 
তাহাদের স্বকার্য্যশক্তির সহায়তা কৰে মরণকাঁলে সে সহায়তা বা সে 
উপকার থাকে না অর্থাৎ নিবৃত্ত হয। শ্রতি সেই নিরৃত্তিতাৰ “অগ্নিং 
বাগপোতি” ইত্যাদি উপচারিক প্রয়োগে ন্যক্ত করিয়াছেন। 


অশ্রুতত্বাদিতিচেনেষটাদিকারিণাৎ প্রতীতেঃ। 
অ১অ৩,পা১সু৬॥- 


সুত্রার্থ -অস্ত নামাহপাং গতিন-ত্বস্ভিঃ সহ জীবোরংহত্যশ্রুতত্বাদিত্যাক্ষিপ্য 
সমাধত্তে। অশ্রুতত্বাৎ শব্বৈরবোধিতত্বাৎ জীবো নাত্তিঃ সহ দেহান্তরগ্রতি-: 
পত্তয়ে রংহভীতি চেদুচ্যতে তন্নে।চাতাম্‌। কুতঃ? ইঞ্টাদিকারিণাং প্রতীতেঃ। 
প্রীয়তে হাষ্টাদিকারিণাং জীখানামত্তিঃ সহ গতি; শ্রদ্ধাহুতিবাক্যাৎ । বিবরণন্ত 
ভাসে দ্রষ্টব্যম।--শ্রদ্ধাশব্দে আপ. ও আপের পরিণাম পুরুষ, এতদ্বভয় স্বীকার 
করিলেও আপের সহিত জীবের গমন হয়, এ কথা অস্বীকার্ধ্য। কারণ, এ 
তত্ব অশ্রত অত শ্রতিতে তদ্বোধক শব নাই। যদি কেহ একপ বলেন, 
তবে তদুত্তরে বল! যায়) তাহা! নহে । অর্থাৎ সে কথা বলিবার উপায় নাই। 
কারণ, ইষ্টাপুর্তীদিপুণ্যকর্্মকারী জীব ধূমাদি অবলম্বনে পিতৃষান পথে চন্ত্র- 
লোকে যায়, গমন করে, এই বাক্যে আপের সহিত জীবের গমন প্রতীত 
হয়। তাস্য দেখ, বিশেষ বিবরণ পাইবে । 

ভাস্তার্থ--আপ. শ্রদ্ধাদিক্রমে পঞ্চমী আহুতিতে পুরুষাকার প্রাপ্ত হয়, 
ইহা প্রশ্ন প্রতিবচন-শ্রুতির দ্বারা নির্ণীত হইলেও জীব যে আপ্বেষ্টিত হইয়া 
দেহাম্তর পাইবার জন্য গমন করে, তাহ! নির্ণীত হয় না। কেন-না, তাহা 
অশ্রুত অর্থাৎ শ্রুতিতে তাদৃশ অর্থের বোধক শব্দ নাই। যেমন আপ বোধক 
শব্দ আছে, তেমনি যদি জীববোধক শব্ধ থাকিত, তাহ। হইলে অবশ্যই তন্দারা 
জীবের আপের সহিত গতি বুঝা যাইত। কিন্তু তাহ! নাই। যেহেতু নাই, 


১৪ 'তত্বজ্ঞানামূত । 


ঘ্রেই হেতু "জীব আগ্ীরিঘক্ত হইয়। গমন করে” এ কথা অযুক্ত। এই 
আপত্তির" প্রত্যুত্তর বা খণ্ডন এই যে, সেরূপ শব্ধ না থাকা দোষ নছে। 
অর্থাৎ নিদর্শিত-স্থলে সাক্ষাৎ তদর্থের বোধক শব্দ না থাকিলেও “টষ্টাপৃর্তী দি- 
কর্ম্মকারী জীব চক্্রলোকে গমন করে” এই ব্যাক্ের দ্বারা তদর্থের প্রতীতি 
হয়। “যাহারা ইষ্টাপূর্ত দান করে এবং তদর্থ উপাসনা (ধ্যান) করে, 
তাহার! প্রথমে ধূমে অতিসম্ভূত অর্থাৎ ধূম প্রাপ্ত হয় ৮” এই শ্রুতি বলিতেছেন, 
ইষ্টাপূর্তকর্মাকারী জীব (যজ্ঞাদি উগলক্ষ্যে দান ইষ্ট। তন্ডিক্ন দান-বাপী 
কূপ তড়াগ প্রতিষ্ঠা গ্রভৃতি--পূর্ত ) ধূমাদিক্রমে পিতৃযান পে চন্দ্র প্রাপ্ত হয় 
অথণৎ চন্দ্রলোকে গমন করে। এ অথ” “আাকাশ হইতে চন্দ্রঘা প্রাপ্ত হর, 
ইনি সোমরাজ” এততঞ্রুতিতেও প্রতীত হইতেছে । “দেবতারা এই 
অগ্নিতে শ্রদ্ধানততি দান করেন, সেই শ্বাছুতি হইতে রাজ। সোম উৎপন্ন 
( পরিপু্ট ) হন” এ অআতিতেও সোমরাজ-শব থাকায় অদ্ধা-শন্দ কথিত 
আপের সহিত জীবের চন্দ্রলোকগতি প্রতীত হয়। শগ্নি-হোত্র, দর্শ ও 
. পৌর্ঘমাস প্রভৃতি বজ্ঞকর্ম্ের গাধন (উপকরণ) দধি, হুগ্ধ ও সোযরস 
প্রভৃতি-_সমগ্তই দ্রববহুল। সুতরাং সে সকল আপ. বলিয়া গণ্য । হোম- 
কর্মের দ্বারা সে সকল সক্ষমতা প্রাপ্ত অর্থাৎ পরমাণুভাবপ্রাপ্ত হয়, হইয়া 
অপূর্বব বা অদৃষ্টর্ূপে পরিণত হয় । অবশেষে তাহা যক্ঞাদিকারাকে আশ্রয় 
করে। পুরোহিতগণ তাহাদের সেই শরীর যরণনি মিত্তক অন্তো্টি-বিধানে 
অস্ত্য অগ্নিতে (শ্রশানাগ্রিতে) হোম করে-মন্্রপাঠপূর্বক নিক্ষেপ করে। 
মন্ত্রের অর্থ এই--“এই যঙ্জমান স্বর্গ উদ্দেশে গমন করিয়াছেন” | অনস্তর 
সেই শ্রদ্ধা পূর্ববক-পূর্বদেহাস্থৃঠিত-কর্মম-সম্পর্কযুক্তা আহুতিমগ়ী হুমম আপ, 
অপূর্ব, অদৃষ্ট বা পুণ্যরূপে ( ভবিয্যদ্দেহের বীঞ্জ বা ভখিষ্যৎ পরিণামের 
শভিবিশেষরূপে ) পরিণত হইয়া তাহাকে বেষ্টন কএতঃ অনুরূপ ফলদানার্থ 
( পুনর্ভোগ গ্রদানার্থ) সেই পেই লোকে লইয়! যায়। অর্থাৎ তাহারই 
শক্তিতে জীব পুনর্ভোগা়তন (দ্রেহ) পাত করে। এই তত্বটী “অন্ধাং 
জুহোতি” এতদ্বাকে। জুহোতি-শবে অভিহিত হইয়াছে । অগ্গিহোত্র 
প্রকরণের শেষে ছয়টী প্রশ্ন ও তাহার প্রত্যুত্তর বাক্য আছে; * সে 

* জনক যাজ্ঞবন্ধযকে অগ্নিহোতাছতি সম্বন্ধে ছয়টী প্রশ্ন করেন। 
তদযথা-তুমি কি সায়ংকালের ও প্রাতঃকালের আহতির উৎক্রান্তি, গতি, 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৫ 


বাক্যেও প্রদর্শিত হইয়াছে। য্জমানের ফলো্পাদনার্থ অর্থাৎ ভবিয্যস্তো গার্থ 
ততৎ্সঙ্গে সেই সেই হুশ্সমতা প্রাণ্ড অগ্রিহোত্রাহুতিনিচয় লোকাস্তদী পর্য্যস্ত 
গমন করে। এ সকল দেখিলে স্পষ্টই বুঝ! যায়, জীব আহছৃতিময়ী 
আপপরিবেষ্টিত হইয়া স্বকম্মফলভোগের নিমিত্ত গমন করে। প্রশ্ন 
ইষ্টাপূর্তা দিক রী অর্থাৎ পুণ্যকর্্মকারী জীব স্বকৃতকর্শের ফল ভোগার্থ আপ 
পরিবেষ্টিত হইয়া গমন করে, এ প্রতিজ্ঞা কিন্ূপে সমধিত হইতে পারে ?' 
অন্ত এক শ্রুতি বলিয়াছেন, যাহারা পূমাবলম্বনপুর্ববক পিতৃষান পথে গমন 
করতঃ চল্জপ্রাপ্ত হয়--তাহারা দেবগণের অন্ন (ুক্ষ্য) হয়। যথা_-'এই 
চক্র রাজা, ইনি দেবতাদের অন্ন, দেবতায়া ইহাকে তক্ষণ করেন।” “যাহারা 
চন্্রপ্রাপ্ত হইয়া অন্ন হয়, দেবতারা তাহাদিগকে, চন্দ্রের ন্যায় পুনঃ পুনঃ 
আস্বাদন করতঃ ভক্ষণ করেন।” এ শ্রাতও পূর্বশ্রুতির সহিত সমানার্থ। 
অতএব, দেবতারা যাহাধিগকে ভক্ষণ করে--বাগ্রাদির ন্যায় উদবস্থ করে 
কিপ্রকারে তাহাদের স্বকন্মফলতোগ হইবে ? 'হ্হার প্রতুযুক্তর--- 


ভাত্তং বাহনাত্ববিত্বাৎ তথা হি দর্শয়তি॥ 
অ১৩পাড১,সুণ॥ 


সুত্রার্থ -তেষামন্নত্বকথনং ভাঞ্তং ন তু চব্বণনিগ্ণযা 5)|ং মুখাম। হি যঙঃ 
এতব্রপ্যনাত্মবিদাস্তেষামনাত্মবিত্বাদেব তথা দর্শয়তি পশুবর্দেবভোগ্যতাং 
খ্যাপয়তি ন তু চর্বণীরভাবমাত সুত্রার্থঃ।-চন্জলোকপ্রাপ্ত পুণ্)কর্শকারী 
জীব দেবতার অন্ন অর্থাৎ তক্ষ্য, এ কথা মুখ্য নহে, পিত্ত ভাক্ত অর্থাৎ 
গুপচারিক | কেননা, তাহারা অনাআবিৎ--পঞ্চাগ্রিবিষ্কা বিদিত নহে । 
যেহেতু তাহারা পঞ্চাগ্রিবিগ্া বিদ্বিত নহে, সেই হেতু শ্রুতি তাহাদিগকে 


প্রতিষ্ঠা, তৃপ্তি, পুনরাগমন ও লোকের অর্থাৎ ভে!গায়তনের উত্থান (উৎপত্তি) 
জান? যাজ্বন্ধ্য ইহার নিরূপণ অর্থাৎ প্রত্যুত্তর দেন। তদ্যথা--সেই এই 
আহুতিঘ্বয় হবনের-পরু উৎক্রান্ত হর, পরে তাহ অন্তরিক্ষ পথে ছ্যলোকে 
যায় দ্যুলোকরূপ আহবনীয়কে প্রতিষ্ঠা করে,-_ছ্যুলোককে পরিতৃপ্ত করে, 
পরে তাহা পুনরাগত হন্ঈ' অনন্তর পৃথিবীতে পুরুষে ও স্ত্রীদেহে হাত হয় 
তৎপরে তাহ! পুরুষাকাবে উখ্িত অর্থাৎ উৎপন্ন বা পরিণত হয়। 


১৬ ' তত্বজ্ঞানাখুত | 


পুর ন্যায় দেবভোগ্য বলিয়াছেন । দেবতার] পণ্ড চর্ধণ করেন না' 
তাহাদের দ্বার! তপ্তিমাত্র আহরণ করেন । 

তাণ্যার্থ-__বা-শবের প্রয়োগে প্রদত্ত দোষের নিষেধ দেখান হইয়াছে। 
অর্থাৎ এ দোষ বাঁ আপত্তি হইতে পারে না। কারণ, এ অন্নত্ব-কথন মুখ্য 
নহে; কিন্তু তাক্ত অর্থাৎ ওপচারিক | এ অরত্ব মৃখ্য হলে অর্থাৎ চর্ধবণপুর্ব্বক 
নিগরণীয় রূপ হইলে (গেলা বা গলাধঃকরণ করা হইলে ), “অধিকারী স্বর্গ 
কামনায় যাগ করিবেক” ইত্যাদি শ্রুতি নিকুদ্ধা হয়। লোকসকল সুখভোগের 
লোভেই যাগপ্ররত্ত হয়, কিন্তু চন্দ্রমগলে ব' স্বর্গে গিয়া যদি সুখের পরি- 
বর্তে দেবতার ভক্ষ্য হইতে হয়, তাহা হইলে লোকে কিজন্য ক্লেশকর যজ্ঞাি 
করিবে? করিবেক না। ন/করিলেই এ এ শাস্ত্রের নিরোধ বা আনর্থক্য হইল। 
অতএব, শান্ত্র-সার্থক্য রক্ষার নমিতত বলিতে হইবেক, মানতে হইবেক, এ অন্র- 
শব গৌণ, মুখ্য নহে। যেমন তক্ষ্য-দ্রব্য নকল ভোগের সাধন (উপকরণ), 
তেষনি, চন্দ্রলোকগত জীবের দেবগণের ভোগের সাধন (উপকরণ )। 
'শ্রুতি এই অভিপ্রাপ়েই চন্দ্রলোক প্রাপ্ত জাবদিগকে দেবগণের অন্ন বলিয়াছেন। 
শত শত স্থানে ভোগোপকরণন্ বিধায় অননন পদার্থে অন্লশন্দের ওপচারিক 
গ্রয়োগদেেখাযায়। যেমন ঝাঁজগণের অন্ন বৈগ্ঠ এবং বৈশ্যের অন্ন পণ্ড, ইত্যাদি। 
(বেগের! রাঙগাদিগের তোগের উপায়, সে বিধায় তাখারা বাঙজাদিগের অন্ন 
অর্থাৎ ভোগের ছিনিষ।) অতএব, ইহ-লোকে মন্ধুষ্তেরা যেমন বাঞ্ছিত স্ত্রী, 
পুত্র ও মিত্রাদি লইয় সুখে বিহার করে, সেই সেই স্ত্রীপুত্রাত্ধি ষেমন সেই 
বিহ্র্ভী পুরুষের তোগের উপকরণ, তেমনি, দেবতারাও ইট্টাপুর্তাি পুণ্য- 
কর্মকারী সেই সেই জীবদিগকে লইয়া সুখে বিহার করেন, তদনুলারে 
তাহার! দ্রেখগণের ভোগের সাধন, _অন্্নের ন্যায় উপক্রণ-_ সুতরাং অন্ন। 
প্রোজস্থলে এরূপ অন্নই অতিপ্রেত, এবং এরূপ ভক্ষণহ অন্ন-শ্রুতির তাতপর্য্য। 
বে ভক্ষণ চত্বণ ও নিগরণ ( গিপিয়া ফেলা) দ্বারা নিম্পন্ন হয়, নিদরশিতস্থলে 
সে তক্ষণ নহে। মনুষ্য মোদক চর্ধণ করে, চর্ধবণ করিয়া নিগরণ ( গলাধঃ- 
করণ ) করেঃ তাহাকেই লোকে মুখ্য ভক্ষণ বলে। কিন্তু দেবতারা চন্তর- 
লোনগত জীবকে সেরপে ভক্ষণ করেন না। সুতরাং তাহার] তাহাদের 
মোদ্কাদির ন্যায় অন্ন নহেন। “দেবতার! গলধঃকরণরূপ তক্ষণ ও পান 
করেন ন', ঠাহ!র। সেই ৫সই অবৃঠ (সুখসাঁধন) দেখিয়াই তৃপ্ত হন।” এ 


জীবের সংসারগতি বর্ন। ১৭ 


তিও দেবগণের চর্বণাদি ব্যাপার.নাই বলিয়াছেন। যেমন রাষ্রেপজীবী 
পরিজনগণের সুখভোগ সম্ভবে ও উপপন্ন হয়, তেমনি, দেবান্থগামী ইঞ্টাদি- 
কারী জীবেরও স্বকর্মফলভোগ সম্ভব ও উপপন্ন হয়। ইন্টার্দিকারীরা কন্ধার্, 
তাহার] আত্মতত্বজ্ঞ নহে, সেই জন্ট তাহার! দেবগণের উপভোগ্য বা ভোগো- 
পকরণ। শ্রতিও অনাত্মজ্ঞ জীবের দেবভোগাত। দেখাইয়াছেন। যথা-“ষে 
উপাসক আত্মতিন্ন দেবতার উপাসনা করে, আমি এই ও ইনি আমার 
উপাস্ত, এইরূপ ভেদ-বুদ্ধি অবপস্বন করে, সে আপনাকে জানেনা অর্থাৎ সে 
অনাস্মজ্ঞ। যদ্রপ পশু; সেও দেবগণের নিকট তদ্রুপ ।” সে এ লোকে যাগ 

যজ্ঞাদি কর্মের দ্বারা দেবগণের সন্তোষ উৎপাদন করতঃ পশুর ন্যায় উপকার 

ক্ষরে, এবং পরলোকেও দেবোপন্দীবী হইয়া দেবতাদের আদেশ প্রতিপালন 

ূর্বক,স্থোপাঙ্জিত কর্মের ফলতোগ ও পশুর ন্তায় দেবোপকার করিতে থাকে। 

অগ্ঠ প্রকার ব্যাধ্য। এই যে, ইষ্টাদিক্ধাকারীরা কেবল কন্মণ আত্মবিৎ নহে। 

অর্থাৎ জ্ঞান ও কর্ম, উভয়।নুষ্ঠায়ী নহে। অনাস্জ্ঞ জীব দেবভোগ্য হয়ঃ এই 

বাক্যে যে আত্মজ্ঞ বা আত্মধিগ্ঠ। অর্তিহিত হইয়াছে, প্রকরণ অনুসারে তাহ . 
পঞ্চা গ্রিবিষ্ভাতে পর্যাবমিত। অর্থাৎ পঞ্চা গ্নবিষ্ঠাই উপচার ক্রমে আত্মবিদ্তা" 
শব্দে কথিত হইয়াছে । ইট্টাদ্িকার'র৷ পঞ্চা গ্রিবিষ্কা-বিহীন, অর্থাৎ তাহার। 
পঞ্চাগ্নি উপাসনায় অনভিজ্ঞ বলিয়া পঞ্চাগ্নি। বদ্ধ র প্রশংসার্থ ও তদনভিজ্ঞ্দিগের 
নিন্দার্থ ইষ্টাদিকর্মক|রীদিগকে দ্েখগণের অন্ন বলা হইয়াছে । প্রোক্ত 
বাক্যের যেরূপ তাৎপর্য্য, তাহাতে স্থির হয়, পঞ্চাপ্লিবিদ্ঞাই এ প্রকরণের 
বিধিৎসিত। চন্দ্রম্লে ষে ভোগ আছে তাহ! শ্রত্যন্তরেও প্রদর্শিত হইয়াছে। 
যথা-“সেই উপাসক জীব চন্দ্রলোক খীশ্ব্ধ্য অন্ুতব করিয়। পুনরাবর্তিত 
হয়।” এ কথা অন্ত আ্রতিতেও আছে। যথা --“পিতৃলোকজয়ীর ষে আনন্দ 
কন্মদেবদিগের সেই আনন্দ। যাহারা কন্মের দ্বার দেবত্ধ লাত করে, 
তাহার! কর্মমদেব 1” এ শ্রুতিতেও ইষ্টদ্িকন্কারীর দেবগণের লহিত বদতি ও 
নুখভোগ শ্রুত হইতেছে । অতএব, শ্রুতি যে বলিয়াছেন, ইষ্টার্দিকারীর। 
চন্দ্রমগ্ুলে গিয়! দেবগণের অন্ন হয়, প্রদর্শিত কারণে তাহা মুখ্য নহে? কিন্ত 
ভাক্ত অর্থাৎ-গোৌণ। যেহেতু গৌণ, সেইহেতু স্থব্রকারের “রংহাত সম্পরিষক্তঃ, 
এ কথা বুক্তিযুক্ত | 


১৮ তত্বজানামৃত । 


_ « ক্কৃতাতায়েহনুশয়বান্‌ দৃষ্স্থৃতিভ্যাং 
যথেতমনেবঞ্চ ॥ অ ৩, পা ১, সু ৮॥ 


ুত্রার্থ--ইদানীমাগতিং নিরূপয়তি। রুতস্ত অন্ুষ্িতশ্য ই্টাদেঃ কর্মণঃ 
অত্যয়ে ভোগেনোপক্ষয়ে সতি, অনুশয়বান্‌ ভুক্ঞাবশিষ্টকর্ণ! সহিতশ্নত- 
লোকাদিমং লোকমববোহত্যাগচ্ছতি পুনর্জন্ম-প্রতিপন্ভত ইত্যর্থঃ' কুত 
এতজজ্ঞায়তে? তত্রাহ দৃষ্টেতি। শ্তিম্বতিভ্যামিভার্থ;। কেন পথাইব- 
রোহতীত্যপেক্ষায়ামাহ যধোত। যথেতং যথাগতং যেন মার্সেণ গতবান্‌ তেনৈব 
মার্গেণ অনেবঞ্চ তদ্ধিপর্য্য়েণ চ। বিপর্যয়োইধিকোইব্রাদিং।--ঘাহার। এই 
লোকে ইঞ্টাদিকর্ের দ্বার! পুণ্য সঞ্চর করিয়া দেহান্তে চন্্রলোকে গিয়াছে 
তাহার! সে স্থানে নিরন্তর কন্ধানুরূপ সুখসস্তোগ করিতে থাকে। তোগ 
করিতে ক৫তে ক্রমে পুণ্যক্ষয় হইলে সে আব সেস্থানে থাকিতে পারে না। 
কিছু শেষ থাকিতে থাকিতেই তাহার পুনব্বার এতক্লোকে আগমন করে অর্থাৎ 
জন্মগ্রহণ করে। এ তণ্য শুতি ও স্থৃতি উভয় প্রমাণে প্রমিত। তাহার! 
'যে পথে ও যে ক্রমে চন্দ্ররোহণ করিয়াছিল অবতরণকালে সেই ক্রেমে 
পুধিবীতে আগমন করে। শ্রতিতে আরোহণ পথের যেরূপ ক্রম বর্ণিত 
আছে, অবরোহণ পথের ক্রমে তদ্দপেক্ষা কিছু আধক পদার্থ কথিত হইয়াছে। 
সে অধিক অবভ অথাৎ আকাশ প্রভৃতি কএকটী। 

ভান্াথ--ইষ্টাপুর্তাদিকম্মকারী ধৃমাদি পথে চন্দ্রলোকে আরোহণ করে-_ 
আবার ভোগান্তে পুনরবতরণ করে, ইহ! শ্রুতিকর্তৃকক কথিত হইয়াছে। 
যথা--“যাঁবৎ কন্ম তাবৎ সেই চন্দ্রলোকে বাস করে; পরে, যথাগত পথে 
এতাল্লোকে পুনরাগত হয়। যমণীয়াচাণীরা ব্রাঙ্গণার্দি যোনিতে ও পাপা- 
চাঁরীরা কুক্ুরাদি যোনিতে-।” ইত্যাদি । এ বিষয়ে এই বিচার উপস্থিত 
হইতেছে যে, তাহারা নিঃশেধিতবূপে কর্মকলতোগ করিয়। অবতঞ্ণ করে? 
কি কিছু শেষ থাকিতে অধভরণ করে? প্রথমতঃ পাওয়া যায়, নিরন্ুশয় 
হইলে অর্থাৎ সঞ্চিতাদৃষ্ট নিঃশেধিত হইলে অবতরণ করে। কেন-না। এ 
স্বানে যাবৎ সম্পাতং--সম্পতন পর্য্যন্ত চন্দ্রলোকে বাস করে, এইরূপ উদ্ভি 
আছে। যাহার দ্বারা ফলভেগার্থ পরলোকে সম্যক পরিপতিত হয়, গমন 
করে, এই বুুৎপত্তিতে সম্প।তশন্দে কর্মাশধ, সুতরাং যাবৎসম্পাতং শ্রুতি 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৯ 


“সেখানে নমুদার় কর্মের ফলভোগ বলিয়াছেন। “যখন সেই ইষ্টাদি পু কর্ম- 
কারীদিগের কর্ণ ( পুণ্য) পরিক্ষীণ হত--তখন তাহার! পুনর্ধার এই লোকে 
আইসে।” এ শ্রুতিও & অর্থ দেখাইয়াছেন-_বলিয়াছেন। যে পরিম[ণ 
কর্ম সেই লোকের উপভোগপ্রদ্দানে শক্ত- সেখানে সেই পরিমাণ কর্মের 
ফলভোগ হয়, এরূপ কল্পনা করিতে পার না। কারণ যে, মস্ত শ্রুতিতে 
যৎকিঞ্চিৎ_যে কিছু--এইরূপ বিশেষণ আছে। যথা-“জীব ইহলোকে 
যে-কিছু কর্ম করে, ভোগের দ্বারা সে সমস্তের অন্ত অর্থাৎ নাশ হইলে পুনঃ 
কর্ম করিবার জন্য ইহলোকে আগমন করে|” এই আরতি নিব্বিশেবদ্ধপে 
যৎ্কিঞ্চ*--যে-কিছু এইরূপ প্রয়োগ করিয়াছেন। তাহাতে দেখাইয়াছেন, 
জানাইয়াছেন, এতল্লোককৃত সমস্ত কর্মই চন্দত্রলোকে ভোগন্ধার! ক্ষয়প্রাপ্ত 
হয়। অগ্ঠ হেতু এই যে, অথাৎ এ বিষয়ে যুক্ঞন্তর এই .যে, মরণ যাবন্ত 
অনাবুক্ফল কম্মের আতব্যঞক। যে সকল কর্শা ফলদানে উন্মুখ হয় নাই; 
সঞ্চিত ব। স্তিমিত থাকে, মরণ উপলক্ষ্যে সে সকল ফলদানে উন্মুখ বা উদ্ত 
হয় । অতএব, মরণের পুর্ধে অনারন্ধফল কর্ম ঘকল আরবফলকর্শে 
প্রতিবদ্ধ থাকায় তৎ্কালে ( মরণের পৃব্বে) সে সকলের অতব্যক্তি হওয়া 
অযুজ্জ_যুক্তবহিভূতি। বখন কোন [ধশেষাতিধান নাই, তখন ইহাই 
বুঝিতে হইবে ষে, যে-কিছু সঞ্চিত বা স্তিমিত ( অনারব্ধফল ) কর্ম থাকে-_ 
মরণ সে সমুদ্বায়কে অতিবাক্ত অথৎ ফলদানে উন্মুখ করায়। নিমিত্ত ব৷ 
কারণ সাধারণ; নৈমিত্তিক বা কার্য অশাধারুণ, ইহা কোনও ক্রমে সঙ্গত 
হয় না। দীপের নৈকটযাদি সম্বদ্ধের কোনরূপ ইত4 বিশেষ নাই, অথচ ঘট 
অব্যক্ত হয় ও পট অভিব্যক্ত হয় না, এ বিষয় ব। এ কথ সব্বথা অন্ুপপন্র । 
এই সকল যুক্তিতে পাওয়া যায়, চন্রলোকস্থ জীব অনুশয়শুন্য হইয়1((নরবশেষ 
কর্মফল ভোগ করিয়া) এতল্লোকে আগমন কক্ধে। এইরূপ পূর্ববপক্ষ 
প্রাণ্ডে বল। যাইতেছে, জীব কৃতকর্মের বিনাশ হইলে সাচ্ছশয় হই অর্থাৎ 
যৎকিঞ্চিৎ কর্মশেষ সহ এতল্লেকে অবতরণ করে নিরমুশয় হইয়। নগে। 
পুণ্যকর্মা জীব যে পুণ্যকর্শে চন্দ্রলোকগামী হইয়াছিল, পে কর্থ সেখানে 
ভোগদ্বার। ক্রমে ক্রক্রে ক্ষযপ্রাণ্ত হইলে, ভোগের নিমিত্ত সে স্থানে তাহাদের 
যে জলময় শরীর হইন্নাছিল সে শরীর তখন তোগক্ষয় দর্শনোৎপন্ন শোকাগ্নির 
সবার] বিগলিত হইতে থাকে--ক্ষয়গ্রাপ্ত হইতে থাকে । যেমন হুর্য্যকিরণ- 


২৩ ' তত্জ্ঞানামৃত । 


স্পর্শে হিমসঙ্ঘাত ও করকা দ্রবীভূত হয়, মগ্নিশিখাসম্পর্কে ত্বৃতকাঠিস্ , 
বিগলিঠ হয়, তেমনি, তোগনাশ দর্শনজ শোকান্সির দ্বারা চন্দ্রগোকবাসী : 
ক্ষীণকর্্া জীবের জলময় শগার প্রবীভূতণ হয়। অনন্তর ইষ্টাদিকর্মকারীর 
কশ্ধবল ( পুণ্য ) ভোগ দ্বারা ক্ষয় হওয়ায় সান্ুশয় অর্থাৎ অভুক্ত কর্ম্মশেষ 
থাক। অবস্থায় তাহারা এতল্লোকে পুনরাগত হয় । এ দিদ্ধান্তের হেতু 
প্রত্যক্ষ ও অন্মান অর্থাৎ শ্রুতি ও স্বৃতি। শ্রতিই সাক্ষাৎ প্রমাণ, তাহ 
সাম্থুশয় ( কর্মশেষযুক্ত ) জীবের অবরোহণ বলিতেছে। যথা--“অবতরণ- 
কারী জীবের মধ্যে যাহারা পূর্ধে এই কর্মভূমিতে রমণীয়চারী অর্থাৎ পুণ্যকর্ম্মা 
ছিল, তাহার! রূমণীয় যোনি প্রাপ্ত হয়। ব্রাহ্মণ-যোনিতে, হ্ষত্র-যোনিতে 
অথব] বৈশ্ব-যোনিতে জন্মগ্রহণ করে! যাহারা পাপাচারী ছিল তাহার! 
পাপ-যোনি প্রাপ্ত হয়। হয় কুক্ুর-যোনিত না হয় শুকর-যোনিতে অথবা 
চগ্ডাল-যেনিতে উদ্ভৃত হয়।” আ্ততে যে চরণ-শব্দে আছে, তাহার দ্বারা 
অন্ুশয়ের সুচনা অর্থাৎ অন্মান করিতে হইবে, সুত্রকার উহা বলিবেন। 
জন্মের দ্বারাই প্রাণিগণের উচ্চ।বচ ভোগ হইতে দেখা যায়, তাহা! আকন্মিক 
অর্থাৎ নিষ্কারণক নহে। আকস্মিক কোন কিছু হওয়া! অসম্তব। সেই জন্তই 
উচ্চাবচ বা বচিএ েগের কারণন্বরূপ অন্ুশয়ের অস্তিত্ব শুচিত( অন্থমিত ) 
হয়। ( মনুষ্য জন্মে একরূপ ভোগ, পশু জন্মে অন্যরূপ ভোগ, মন্ুষ্তের মধ্যে 
ত্রাঙ্মণ জন্মে একপ্রক্তার ভোগ, ক্ষত্রিয় জন্মে অন্কপ্রকার ভোগ,-এ সকল 
বিভাগের বা তারতমোর মুপে যে কারণ আছে, সে কারণ অন্ত-কিছু নহে, 
কম্মাশয়হই তাহার কারণ, ইহ! অনুমান করা যাইতে পারে )। অভ্যুদয়ের 
ও প্রত্যবায়ের অর্থাৎ মঙ্গলের ও অমঙ্গলের ( অথব। সুখের ও দুঃখের ) জনক 
হেতু সুকৃত ও দুষ্কৃত, শাস্ত্র তাহ সামান্যকারে বলিয়াছেন, বিশেষ করিয়া 
বলেন নাই। অর্থাৎ অমুক সুকৃতে অমুক সুখ--অমুকপ্রকার অভাদয়, 
এরূপ অঙ্গুলিনির্দেশন্যায় অবলম্বন করিয়া বলেন নাই। স্থৃতিও বলিয়াছেন, 
স্বকর্মানিষ্ঠ ব্রাহ্গণাঁদ বর্ণ ও ব্রন্মচার্য্যাদি আশ্রমী, সকলেই স্ব স্ব কর্মের ফল 
অন্ুতব করিয়।-ভূক্তাবশিষ্ট কম্মলেশের সামর্ধে বিশিই দেশে, জাতিতে 
ও কুলে, জন্মগ্রহণ করতঃ রূপধান্‌, দীর্ঘায়ু, অপাপ-জীবন, পঙ্ডিত ব1 মেধাবী, 
সদাচারী, ধনী ও বুদ্ধিমান্‌ হয়। স্থতি এইরূপ বলিয়। হইাই দেখাইয়াছেন 
ঘে, অন্ুুশয়ী জীবেরই অবতরণ হয়, নিরমুশক্প অর্থাৎ নিরধশেষকন্ট্ীর নহে। 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ২১ 


নিঃশেষিত কর্ণক্ষিয়ে মোক্ষ, তখন জন্মাভাব। অন্ুশয় কিএী এই প্রশ্্ের 
প্রত্যুক্তরে কেহ বলেন, অনুশয় ভুক্তফল কর্মের কোনও এক অবর্শের্ট, তাহ! 
ভাণ্তাঙ্থুগত স্নেহের ( দ্বত তৈলাদির) মন্রূপ। যেমন স্নেহভাগ রিক্ত হইলেও 
( তন্মধ্যস্থ ঘ্বতাদি নিষ্কাশিত হইলেও) তাহ] নিঃশেধিত রূপে হয় না, কোন 
কিছু শেষ ভাগডাশ্রিত হইয়া! থাকে, তেমনি, কর্মবৃন্দ ভোগপ্বার! ক্ষয়িত হইলেও | 
'নিঃশেধিতরূপে ক্ষয়প্রা্ড হয় না, কিছু না কিছু অবশেষ থাকে । যদি বল, 
সে অদৃষ্ট স্বর্ভোপেরই জনক সুতরাং তাহার অনুবৃত্ধি বা অবশেষ মর্ভ্যভোগ 
জন্মাইবে কেন? এতদুত্তরে বলা যায়, তাঁঠা অযু নহে। কেন-না, সেই 
কর্মের সার্বাত্মিক বা নিরবশেষ ফলভোগ হয়, ইহা আমাদের গ্রতিজ্ঞাত 
নহে। জীব নিরবশেষ কর্মফল তোগ করিবার জন্যই চন্্রলোকে যায়, 
ভোগশেষ না! হইলে আসবে কেন? ঠহা আমরাও স্বীকার করি, কিন্ত 
কথা এই যে, জীব স্বল্লাবশেষ কনম্ম লইয়া সেখানে থাকিত পারে না। কোন 
সেবক সেবার উপকরণ সমূহ লইয়! রাজকুলে স্ুথে বাস করে, কিন্তু যখন 
সে-সকলের অধিকাংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, অর্থাৎ ছত্র পাছুকাদিমাত্র অবশেষ, 
থাকে, তখন যেমন সে বাজকুলে অবস্থান করিতে শক্ত হয় না, তেমনি, 
চন্ত্রমুলেও কর্মী জীব কন্মালেশ লইয়া! অবস্থান করিতে সমর্থ হয় না। 
সম্প্রদায় বিশেষের এই মত যুক্তিযুক্ত বলিয়া বোধ হয়না। কারণ, ষে 
কর্তনের ফল স্বগ, সে কম্ম ্বর্গভোগই প্রদান করিবে ইহাই সঙ্গত কথা। 
কিন্তু তাহার অবশেষ মর্ভ্জন্মে অনুবৃতত হইবে, অর্থাৎ মর্ভফল প্রদান করিবে, 
এ কথা সঙ্গত নহে এবং বিধিরিরোধ হেতু উপপন্নও হয় না। এ কথা৷ পূর্বেও 
বল! হইয়াছে । (ন্বর্গফলের উদ্দেশে যাহার বিধান তাহার শেষ যাদ মর্ত্যফল 
জন্মায়, তাহ] হইলে '্বর্গকামে। যজেত, ইত্যাদি বিধি সার্থক্য ও প্রামাণ্য 
থাকে না)। বলিয়াছিলে যে, স্বর্গকলক কর্মের নিঃশেষ ভোগ হয় না? সে 
কথা সন্তোধঙ্গনক নহে। স্বর্গজনক কর্ম স্বর্ণস্থ জীবের সমগ্র স্বর্গফল জন্মায় 
এবং স্বর্ঁচ্যুত হইলে তাহার শেষ মর্ত্যতে(গ জন্মায় এ কথা শবপ্রম!ণবাদী 
মীমাংসক বলিতে পারেন না। তৈল-তাণ্ডে তৈলের অন্থবর্তন দৃষ্ট হয়, সুতরাং 
নেস্থলে তাহ। অন্থুপপন্ন নহে। সেবকগণেরও উপকরণ শেষের অন্ুধর্তন 
থাকে, তাহ। দেখাও যায়, কিন্তু স্বর্গঞজনক কর্মের শেষ অর্থাৎ স্ব্পশেষাংশ যে 
জনুবৃত্ত হয়, মর্ত্যজগ্মীয় ভোগ প্রদানূ. করে, তাহা কেহ কখন দেখে নাই 


২২ ' তত্বজ্ঞানামূত । 


এবং তাহা কর্পকীর ( অগ্ুমানের) ও অগোচর। তত্গ্রতি.কারণ এই যে, তাহা 
দ্বগফলবৌধক শাস্ত্রের বিরোধী । ইহ। নিশ্চিত জানিও যে, নন্তুশয় শ্বর্থকলক 
ইষ্টদ্িকশ্মের ভাগান্ুগত তৈলাদ্িব ন্যায় শেষান্বর্তীন নহে। জীব যে- 
সুককৃতে-যে ইষ্টাদিকর্মে বর্গ অন্থভব করিয়াছে, সেই সুকৃতের--সেই কর্বের__ 
শেষ ভাগকে অন্থুশয় বলিতে গেলে এমণীয় ভাগকেই অনুশয়্ বলিতে হয়, 
তদ্বিপরীত অর্থাৎ অরমণীয় বা পাপ-শাগকে অনশন বলা যায় না। পাপভাগ 
অনুশয় মধ্যে নিবিষ্ট না হইলে “যাহারা ইহ-লোকে রূমণীয়চারী--আর . 
'যাহার। এতলোকে কপুয়কাণা অর্থাৎ অশোভনকর্মকারী” এই অনুশয়- 
বিঙাগক্রতির উপরোধ (পীড়া বা ব্যর্থত1) হয়। অন্ততঃ সেই জন্য বল! উচিত, 
স্বীকার করা উচিত, তল্লোকীয়ফলপ্রদ কর্ম্সমূহের ফলতভোগ শেষ হইলে 
এতল্লোকীয়ফলপ্রদ অবশিষ্ট কর্মনিচয়ে-যাহা-তৎকালে কল্মান্তরান্ষ্ঠানে 
সঞ্চিত হইয়াছিল-_তাহাই অন্নুশয় এবং জা ততসহ অবরোহণ করে অর্থাৎ 
সেলোক হইতে এ লোকে জন্মগ্রহণ করে। বঙগিয়াছিলে যে, শ্রতিতে 
'শ্যিকিঞ্চ--ঘে কিছু” এই সাধারণ কথা থাক।য় ইহাই প্রীত হর যে, যখন 
সমুদয় কৃতকন্ম তোগ দ্বাণা শ্ষয় প্রাপ্ত হয়, কিছুমাত্র অবশেষ থাকে না।, 
তখন জীব অবরোহ্ণ করে, পুনজ্জন্ন গ্রহণ করে। সেকথা নিতান্ত অন্যায্য 
অর্থাৎ তাহ হইতেই পাবে ন।। অবরোহণকালে যে অন্ুশয় ( সঞ্চিত 
কর্মশেষ ) থাকে তাহ! শ্রতিকর্তৃক,বোধিশ হইয়াছে। শ্রুতির তাৎপর্ষ্ে 
জান! যায় পারক্রিক ফলপ্রদদ ও আরবভোগ (যাহা সে লোকে ভোগ দিতে 
আরম্ত করিয়াছে) এমন যেকটু কর্ম--সে সষস্তই ফলতোগে ক্ষীণ হইলে 
জীবের ইহ-লোকে অবরোহণ হয়। আর এক কথা খলিয়াছিলে যে, মরণ 
নির্বিশেষভাবে সমুদায় অনারন্ধ (সঞ্চিত) কন্মের অভিব্যগ্রক--মরণক!লে 
সমুদার সঞ্চিত কণ্ম ফলদানে উন্নুখ হয়--সে কথায় এই পোষ হয় বে, কোন 
কর্ম পারত্রিক ফল জন্মায় এখং কোন কন্ম এতল্লে।কীয় ফল জন্মায়, এ বিভাগ 
অসম্ভব। মরণই সমুদার সাঞ্ত কর্দোর আভব্যঞক, ইহা সম্পূর্ণ যুক্তি-বিরুদ্ধ 
এবং তাহা অন্গশয় ( অনারনবফল কর্ম) সত্তাব প্রাতপানে প্রত্যুক্ত হইয়াছে। 
অন্ত কথা এই পে, মঞ্ণ সমৃদায় অনারন্ধফগ কর্মের আতিব্যগ্রক (কলোদুখ- 
কারী), এ প্রতিজ্ঞা তুমি কোন্‌ হেতু অখলম্বনে (কোন্‌ যুক্তিতে ) করিতে 
পার, তাহ। ধলিতে হইবে। কিন্তু তাহা বলিতে পারিবে না"। অর্থাৎ তাহার 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ২৩ 


( ষরণের ) নিখিল কর্্মীতিব্যঞ্জকত্ব পক্ষে কোনও পরিষ্কার হেতু দেখাইতে 
পারিবে না। যেকর্শের ফল আরন্ধ হইয়াছে সে কর্ন অনারবফর্গ কর্মকে 
রুদ্ধ রাখে। রুদ্ধ রাখায় তাহার বৃত্তি (ফঙ্াবস্থাপ্রাপ্তি) হয় না। তাহ! 
উপশাস্তই থাকে । মরণকালে বন্তযত্তব ( অভিব্যক্তি) হয় বলিলে আমর! 
বলিব, যেষন মরণের পূর্বে আরব্ধফলকর্খে অনারন্ধফল ( সঞ্চিত_-যাহা 
পশ্চাৎ ফলপ্রদ.হইবে) কর্ম প্রতিরুদ্ধ থাকায় ধৃত্তিমান্‌ হয় না, ফলপ্রসব 
করে না, তেমনি, মরশ সময়েও বিরুদ্ধফল বন্ধ কর্ম যুগপৎ (এক কালে ব! 
এক সময়ে ) ফলপ্রপব করিতে বা ফলদানে উন্ুখ হইতে পারে না। বলবান্‌ 
চুর্বলের অধরোধক সুতরাং প্রবল কর্মের দ্বারা ছুব্ধল কর্মের অবরোধ ঘটন। 
হওয়ায় দুর্বল তত্কালে বৃত্তিমান্‌ হইতে পারে ন। অর্থাৎ ফলদানোনুখ হইতে 
পারে না। এ বিচারের সার কথা এই যে. বিরুদ্ধ স্বর্গ নারক-দেহোৎ্পাদক 
বু কর্মে এক দ্বেহের উৎপত্তি অসম্ভব । স্বর্গফল আবু হয় নাই) নরকফলও 
আরন্ধ হয় নাই, অর্থাৎ সেই সেই দেহ উত্পাদন করে নাই, এরূপ কর্মনিবহ্র 
হতর বিশেষ তৎকালে বোধগম্য না হইলেও যে সকলের ফল দেহান্তরোপ-. 
ভোগ্য -সে সকল কম্মও মরণে আভিব্যক্ত হয়, হইয়া তদ্দেহ উৎপাদন করে, 
এরূপ বলিতে পারক নহ। হেতু এই যে, তাহাতে অনুগতফলত্বের বিরোধ 
আছে। (যেকন্মেস্বর্গ হয়সে কম্মেনরক হয় না, এবং যে কর্মে নরক হয়, 
সে কর্দে ব্বর্গ হয় না। স্বর্থজনক কর্টে প্বর্থ* হয়, নরকজনক কর্শে 
নরকই হয় । ইহাই নিয়ত অর্থাৎ নিয়মিত। সুতরাং মরণে সমুদায় 
সঞ্চিত কন্মের অতিব্যাক্ত নিয়মবিরুদ্ধ অর্থাৎ হইতেই পারে না)। এমন 
কথ! বলিতে পারিবে না যে, মরণে কতকগুল কর্ণ অভিব্যক্ত হয়, 
ফলদানোনুখ হয়, কতকগুলি বা লোপ হয়। বলিলে কর্মের এঁকাস্তিকফলত্ব- 
নিয়ম । সুর অবশ্ঠন্তাব ) থাকে ন1। প্রায়শ্চিত্তাদি নাশক হেতু (প্রান্শ্চিতত, 
বরদ্ষজ্ঞান ও ব্রন্গধ্যান ও তোগ ) ব্যতীত অন্ত কিছুতে কর্মের উচ্ছেদ 
(বিনাশ বা ক্ষর হওয়ায় সম্ভাবন। নাই। ফলিতার্থকোনও কালে মরণ 
কর্খের নাশক হয় না। কর্ম বিরুদ্ধফল কর্মের বারা অবকৃদ্ধ হইলে--এক 
কণ্ম.অন্য কর্মে গতিবদ্ধ হইলে--তাহ] দীর্ঘকাল তদ্দবন্থ থাকে, ফলোনুখ হয় 
না, এ কথা শ্বৃত্তিতেও আছে । যথ। -'কখন কখন এমনও হয় .যে, সংসার- 
তভোগকারী জীবের যত কাল ন! সেই সেই ছঃখের অবসান হয়, পাপকর্ের 


২৪  তত্বজঞানামূত । 


ফলতোগ সমাপ্ত হয়, তত কাল তাহার পূর্ববোপার্জিত সুরত কর্ম কুটস্থ 
(নিষধ্যাপার বা স্তিমিত) থাকে ।” মরণ যদি সমুদায় অনারন্ধফল্প করছ 
অভিব্যক্ত করিয়া একমাক্র জন্ম আরম্ভ ( এক দেহ উত্পাদন ) করায়, তাহ 
? হইলে স্বর্গীয়, নারক অথবা তিরযযুক, এতনাধ্যে যে-কোন জন্ম হউক, সেই সেই 
' জন্মে কর্মে অনধিকার থাকা সুতরাং থন্মাধম্ম উপার্জিত না হওয়ায় 
কারণের অভাবে তৎপরে অন্য জন্ম হওয়! অবরুদ্ধ হয়|” তাহ! হইলে 
মংসারোচ্ছেদ হইবে। (মরণকালে সঞ্চিত সমুদায় কর্ম এক কালে 
ফলদানোশ্ুখ হইয়া তির্ধ্যক্‌ নারক অথবা স্বর্গীয় জন্ম উপস্থিত কৰিল, 
অনধিকার প্রযুক্ত সে জন্মে ধর্্মাধর্্ম সঞ্চিত হইল না, অথবা পূর্ববকর্মাশয় সমস্তই 
সেই জন্মের তোগু ক্ষয়প্রাপ্ত হইল, স্থৃতণাং তাহার আর পরজন্ম হওয়ার কারণ 
থাফিল না, কারণ না থাকায় জন্মও হইল না, এবং জ্ঞান না থাকায় মোক্ষও 
হইল না। প্রত্যেক জীবের প্রত্যেক জন্ম এরূপ হইলে সংসার থাকে না। 
তাহ! কি হয়? নাসম্ভব?)। আপচ, এ অর্থ শ্মতিবিরুদ্ধ। শ্মতিতে জাছে, 
ঝ্রন্মহত্যাদি কন্ম অনেক জন্মের কারণ ।--“ব্রহ্গর নরকতোগান্তে কুকুর, শুকর, 
গর্দভ, উদ্ঠ, গো, ছাগ, মেষ, মৃগ, পক্ষী, চগ্ডাল, পুক্কশ (নীচ জাতিবিশেষ ), 

এই সকল যোনিতে উৎপন্ন হয়।” শান্তর ব্যতীত মন্ত কোন প্রমাণে কি 
ধর্শের স্বরূপ, ফল ও সাধন ঞ্জানা যায়? তাহা যায় ন৷ এবং জানিবার 
সম্ভাবনাও নাই। যেসকল কর্মের ফল দৃষ্ট-দেখা যায়__-অর্থাৎ এঁহিক, 
মরণ সে সকল কর্মেরও অভিব্যঞজক, ইহা সন্ভাবিত নহে। (বৃষ্টিকাষনায় 
কারীরী যাগ করে, তদ্দিনেই তাহার ফল হয়, সুতরাং তাহা মরণ প্রতীক্ষা 
করে না।) অতএব, মরণ সর্ধকন্মের অভিব্যঞগক, এ কল্পন। সঙ্গত নহে। 
প্রদীপ ঘৃষটান্তগী কেবল কর্মের প্রবল দুর্বল বুঝিবার জন্য অন্য কিছুর জন্য 
নহে। প্রদীপ যেমন স্থুলনথক্ম রূপের অুভিব্যঞ্জক ও অনভিব্যঞ্ক হু্টসেটরূপ। 
নৈকট্য সমান, অথচ প্রদীপ স্ুলরূপ ব্যক্ত করে, শৃঙ্ষরূপ ব্যক্ত করে না। 
সেইন্ূপ মরণও অনারন্ধফঞ কর্শেরি মধ্যে যাহা প্রবল হইয়াছে, ফল দিবার 
অবসর পাইয়াছে, তাহাকেই বৃতিমান করে -ফলদানার্থ উদ্ুখ করে। কিন্ত 
যাহা! দুর্বল থাকে তাহাকে উদ্ধদ্ধ করিতে সমর্থ নহে; প্রত্যুত তাহাকে রুদ্ধ 
রাখে। এই সকল কারণে, শ্রুতি স্মৃতি ও যুক্তিবিরুদ্ধ বলিয়া, মরণকালে 
সমুদায় কর্ম অভিবাক্ত হর, হইয়া জন্মাণস্ত করে। এই মত অগ্রাহা। কর্ম্দশেষ 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ২৫ 


থাকিলে মোক্ষ অসম্ভব হয় অর্থাৎ মোক্ষ উৎপাদনার্থ কশ্মের একভবিষ্ু্জ নিয়ম 
স্বীকার করা কর্ডব), এ আপত্তি বা এ সকল কথ! এতত্স্থানের যোগ্য নহে। 
কেন-না, শ্রুতি বলিয়াছেন, সম্যক্জ্ঞানেই নিঃশেষিতরূপে কর্মনিবৃত্তি হয়, 
অন্য কিছুতে নহে। এন দর বিচারের পর স্থির হইল যে, অনুশয় বিশিষ্ট 
জীবেরই অবরোহণ এবং অভুক্ত বা সঞ্চিত কর্মের নাম অনুশয়। তাহাদের 
অবরোহণ আরোহণক্রমে ও তদতি রিক্ত ক্রমেও হয়। “ষথেতং শব্দের অর্থ 
যথাগত । অভিপ্রায় এই যে, যে প্রকারে বাযে ক্রমে আরোহণ করিয়াছিল 
সেই প্রকারে বা সেই ক্রমে । “অনেবং শব্দে -তদ্বিপরীত ব। তদতিরিক্ত 
ক্রম। অবরোহণকালে পিতৃধান পথে পূমের ও আকাশের কথন আছে, সে 
জন্য, যথেত শব্দে 'যথাগত+ এই অর্থ প্রতীত হয় এবং তাহাতে রাত্রির উল্লেখ 
ন। থাকায় ও মেঘের গ্রহণ থাকায় বিপরীত ক্রমও প্রতীতু হয়। 


অনিষ্টাদিকারিণামপি চ শ্রুতম্‌ ॥ 
অ ৩, পা ১, সু১২॥ 


স্রার্থ__পুব্বপক্ষসথ্রমেতৎ ; অনিষ্টাদিকারণামপি চন্দ্রযগ্ুলং গন্তব্যত্েন 
শ্রুতিমিতি হুত্রার্থত | -“যে-কেহ এ লোক হইতে প্রগ্নাণ করে,” এই অতিতে 
“যেকেহ” এইরূপ সাধারণ উল্লেথ থাকায় বলিতে পারি, ধাহার৷ শান্ত্র-নিন্দিত 
কর্ম করে- তাহাবাও চল্ত্রলোকে যায়। 

তাস্টার্থ বল হইয়াছে যে, হঞ্াপুর্ভীদিপুণ্য কম্মকারীর। চন্দ্রলোকে গমন 
করে। কিন্তু যাহার তদ্বিপরীতকারী (1নন্দিতকর্মকারী ) তাহার কোথার 
যায়? তাহারাও কি চন্দ্রলোকে যায়? অথব! যায় না? এই প্রশ্নের প্রথম 
পক্ষে বল! যায়, কেবল ইঞ্টকাবীবাই যে চন্দ্রলোকে যায় এষন নহে, অনিষ্ট" 
কারীরাও যায় । কেন-না, চন্দ্রমণ্ডল অনই্কারীদিগেরও গন্তব্য, ইহ। শ্রুত 
আছে (শ্তিতে উক্ত আছে)। যথ1--''যে কেহ এলোক হইতে প্রয়াণ করে-_ 
তাহার সকলেই চন্দ্রগোকে যায়।” কৌবিতকি-ব্রাক্গণের এই শ্রুতি ইঞ্টকারী 
ধায় আর অনিষ্টকারী যায় না, এমন কোন অযধারণ বাকা বলেন নাই, সামা- 
স্ততঃই বলিয়াছেন । আরও দেখ, যাহার। পুনর্ধার জন্সিবে তাহাদের দেহোৎ্- 
পতি চন্দ্রগমন ব্যতীত হয় বলিতে পার না! কারণ, “পঞ্চমী আহুতিতে--” 
এই ভ্রতিতে আহুতি সংখ্যার নিয়ম আছে। অতএব, সাধারণতঃ সকলেই 

১] 


২৬  তন্বজ্ঞানামৃত | 


চন্্রলোকে যায়, ইহ! অবগ্য শ্বীকর্তব্য । যদি বল, ইষ্টুকারী ও অনিষ্টকারী 
্ী 

উভয়ের সমান গতি হওয়। উচিত নহে, তাহার প্রত্যত্তর এই যে, অনিষ্টকারীর। 

চন্দ্রমগ্ডলে যায় মাত্র, কিন্তু সেখানে তাহাদের সুখতোগ হয় ন1 (পূর্ববপক্ষ )। 


সংযমনে ত্বন্ৃভূয়েতরেষামারোহাবরোহো 
তদগতিদর্শনাৎ ॥ অ ৩, পা ১, সু১৩॥ 


ুত্জার্থ_তু-শবদঃ পূর্বপক্ষব্যাবর্তকঃ। সর্ব ন চন্দ্রমগ্ডলং গচ্ছন্তাতার্থঃ। 
ধযমনে যমপুরে যামীঃ যাতনা অন্ুভূয় ইতরেধাং অনিষ্টকারিণাং অবরোহন্তী- 
ত্যেবমারোহাবরোহো আয়েতে ইতি স্জ্রার্থ;।- সকলেই চন্দ্রলোকে যায়, 
ইষ্টানিষ্টকারীর বিশেষ নাই, এ পক্ষ অগ্রাহা। কারণ, শ্রুতিতে অনিষ্টকারীর 
আরোহাবরোহ নিম্মলিখিত প্রকারে অভিহিত হইন্নাছে। যথা _-অনিষ্ট- 
কারীরা যমপুরে আরোহণ কত্রে, সেখানে যমকৃত-যাতনা ভোগ করিয়। 


ভোগান্তে পুনরশবোহণ-অর্থাৎ পুনর্দেহ গ্রহণ করে। 
ভায়্ার্থ__তু-শবদ পৃর্ধবপক্ষের নিষেধক। অর্থাৎ সকলেই যে চন্দ্রলোকে যায়। 


"তাহ! যায় না। কেন? তাহ! বিবেচনা] কর। চন্দ্রে আারোহণ অর্থাৎ চন্দ্রলোকে 
যাঁওয়৷ ভোগের নিমিত্ত, স্থৃতপাং তাহা নিপ্্রয়োঞজন নহে । লোকে যেষন 
ফল-পুষ্পাদি গ্রহণের নিমিতুই বৃক্ষারোহণ করে, অথবা নিজ্রয়োজনে কিংবা 
পড়িবার গন্য বৃক্ষ।রোহণ করে না) তেমনি, জীবও তোগের উদ্দেশে চন্দ্রা- 
রোহণ করে, নিশ্রয়োজনে অথবা! পতনের জন্য চন্্রারোহণ করে না। সেখানে 
তাহাদের চন্দ্রলোক্যোগ্য ভোগ হয় না এ কথ! পুর্বে বলিয়াছ, স্বীকার 
করিয়াছ, সে কারণ, ইহ! অবশ্ঠ স্বীকার্ধয হইবে যে, ইষ্টার্দিকারীরাই চন্ত্র- 
লোক যার, বিপরীতকাবরীর। যায় না। যাহার! নিন্দিতকর্মকারী তাহারা 
যমালয় গমন পূর্বক সেথানে সেই সেই ছুষ্ৃত কর্মের অনুরূপ যমপ্রদত্ত যাতনা 
অন্ুতব করিষা তত্পরে ইহ লোকে আগমন করে। তাহাদের যে কথিত 
গ্রকার আরোহণাবরোহুণ হয় তাহ] যমবচনবূপ। শ্ররতিতে আছে। তাহাদের 
তজপ গতি অর্থাৎ যমবশ্ঠত। শ্রুতিকর্তৃক ব্যক্ত হইয়াছে । যমের উত্ভি 
যথা--“সাম্পরায়ের অর্থাৎ পরলোকের শুত উপায় অজ্ঞের বিশেষতঃ ধনমুগ্ধের 
নিকট প্রতিভাত (প্রকাশিত ) হয় না। তাহারা মনে করে, এই লোকই 
আছে, এ লোক অর্থাৎ পরলোক নাই। সেই জন্যই তাহার। পুনঃপুনঃ 
আমার বশতাপন হয়।” 'যষলোক পাপিজনের গমনীয়” এইরূপ ও অন্তন্ধগ 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ২৭ 


অনেক বাক্য আছে যাহাতে পাপীর যমনশ্ততা প্রাপ্তির লোধক কথ। 
আছে। 
স্মরস্তি চ ॥ অ ৩, প| ১, সু ১৪॥ 

* শ্ত্রার্থ-সংষমনাধ্যে যমপুরে যমায়ত্তং পাপিনাং পাপকর্শমবিপাকমিতি 
পূরণীয়ম।--মন ও ব্যাস প্রস্তুতি খধিরাও ঘমপুরে পাপীর পাপকর্শের 
ফলতভোগ হওয়] বর্ণন করিয়াছেন। 

তাস্ার্থ_মন্থু ও ব্যাস প্রভৃতি খষিরাও নাচিকেত উপাধ্যানাদিতে 
যমের সংযমনামক পুরে যমপ্রদত্ত পাপ করের ফলভোগ বর্ণন করিয়াছেন। 


অপি চসণ্ত॥অ ৩, পা ১, সু ১৫॥ 


সত্রার্থ-নরকাঃ সন্ভীতি শেষঃ। তে চ ছুষ্কতকর্্মফলতোগভূময় ইত্যতি- 
গ্রায়ঃ।--রৌরব মহারৌবর প্রভৃতি সাত প্রকার নরক স্থান আছে। দেই সকল 
স্থানে পাপীর গমন ও দুস্কতফলভোগ হয়, ইহা পুরাণাদিতেও বিত আছে। 

ভান্তার্থ_পৌরাণিকেরাও হুষ্কৃত কর্মের ফলভোগস্থান রৌরব প্রসৃতি 
সপ্তসংখ্যক নরকের বর্ণনা করিয়াছেন । তীহার্দের অভিপ্রায় এই ষে' 
অনিষ্টকারীরা সেই সকল স্থানেই যায়, চন্দ্র তাহাদের ুর্লভ | চন্দ্রলোকে 
গমন করা দুরে থাকুক, তাহাদের চন্দ্র দর্শনও হয় না। বলিতে পার যে,, 
পাগীরা যমপ্রদত্ত যাতনা! ভোগ করে, এ কথা বিরুদ্ধ । কেন-না, স্বতিতে 
আছে, চিন্জগুগ্তাদি রৌরধাদি নরকের অধাশ্বর, সুতরাং তাহারই সেই সেই 
নরকে নাবুকী জীখকে যাতন। প্রদান করেন, সেখানে যমের কর্তৃত্ব নাই। 
যদ্দি কেহ এরূপ বলেন, তাহ হইলে তদুত্তরার্থ শ্ত্র এই-- 


তত্রাপি চ তদ্বযাপারাদবিরোধঃ ॥ 
অ ৩,পা ১, সু১৬॥ 


স্ুক্রার্থ--তেঘশি নরকেষু তত্যাপারাৎ তস্য যমস্য কর্তৃত্বাত্যুপগমাৎ 
অবিরোধঃ বিরোধোনাস্তীতি যে।জনা। -সে সকল স্থানেও যমের কর্তৃত্ 
থাকায় কথিত সিদ্ধান্ত স্বতিবিরুদ্ধ নহে । (ভাস দেখ) 

ভাস্তার্--সে সকল স্থান অর্থাৎ বৌরবাদি সপ্ত নরক যমের কর্তৃত্বাধীন, 
ইহ! শ্বীকৃত থাকাদ প্র সিদ্ধান্ত অবিরুদ্ধ। চিত্রগুপ্তাদিও যমনিঘুক্ত, তৎ্কর্তৃক 
নিযুক্ত হুইগ়্াই তাহার! পাপিঞনপুর্ণ নরকের উপর আধিপত্য করেন। 


২৮ . তত্ঙ্ঞানামৃত । 


বিদ্যাকর্মণোরিতি তু প্ররুতত্বাৎ॥ 
অঅ, পা! ১, সূ 5৭। 


শুতোর্থ-_তুঃ পৃর্বোক্তিনিরাসায় । যছৃক্তং মার্গাস্তরাভাবাৎ পাপিনামপি, 
১ন্দ্রগতিরিতি তন্ন । তৃতীয়মার্গশ্রতেরিতি গর্ভিতার্থ; । তত্র “এতয়োঃ 
পথোঃ” ইতি শ্রুতিভাগস্য “এতয়োর্বিষ্কা কর্মীণোঃ পথঘয়সাধনয়োঃ” ইখমর্থত 
কার্ধ্যঃ | কুতঃ? প্রকৃতত্বাৎ তত্প্রক্রিগামুক্তত্বাদিত্যর্থঃ | অন্যৎ ভাসে 
রষ্টবাষ্‌ ।-শ্রুতি দেবযান ও পিতৃযান এই দ্বিবিধা গতি বলিয়৷ তৃতীয় 
গতি বালবার জন্য অথ শব্ধের প্রয়োগ করিয়াছেন এবং তশুপ্রস্তাব 
অনুসারে “এতয়োঃ পথোঃ এই বাক্যের তাতপর্য্যার্থ “সেই ছুই পথের 
প্রাপক বিদ্যা ও কর্ম ।” 
তাস্তার্থ -পঞ্চাগ্রিবিদ্বা প্রস্তাবে একটী প্রশ্ন আছে। যথা--“তুমি কি 
তাহ! জান ?” এই প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে শুনা যায়--"যে সকল জীব দেবযান ও 
পিতৃযান এই ছুই পথের অন্যতর পথের অন্ুপযুক্ত-_তাহারা পুনঃপুনঃ জন্ম- 
মরণ-যুজ তৃতীয় স্থানস্থ এই সকল ক্ষুদ্র জীব ( দংশ মশকাদি) হয়। ইহার! 
জন্যে, আবারও শীপ্রই মে । ইহার। তৃতীয়-স্থান শর্থ।ৎ প্রেক্ত পথঘয়াতিবিক্ত 
তৃতীয়স্থানেই থাকে, চন্দ্রে গমন করেনা। সেই জন্য চন্দ্রলোক পূর্ণ হয় ন।” 
(ফলিতার্থ_পাপীর চন্দ্রলোক গতি হয় ন|, সেই কারণে সে লোক পূর্ণ হয় 
না)” এই শ্রুতিতে যে “এই ছুই পথের--) কথ আছে, তাহার অর্থ 
তদুতয় পথের সাধন বিদ্যা ও কর্্ম। উহা প্রকৃত অর্থাৎ জ্ঞানকর্শ প্রকরণে 
কধিত। সেখানে বিদ্যা (জ্ঞান বা উপাসনা )ও কর্ম এই দুইটী যথাক্রমে 
দেবযান ও পিতৃষান পথের প্রাপক বা' প্রাপ্তিসাধন, এই প্রস্তাব কৃত হইয়াছে। 
“যাহার এই প্রঙ্গারে জানে” এই বাক্যে বিদ্ভার কথন, তন্বার! দেবধানপথ 
প্রাপ্তব্য । (ফলিতার্থ_জ্ঞানই দেবযান পথে লইয়। যায় )। “ইষ্ট, আপর্ত 
ও দত্ত, এ সকল কর্মা।' এ সকলের দ্বারা পিতৃষান পথ প্রাপ্তব্য। ( কর্মই 
পিতৃযান পথে লইয় যায়.)। ইহারই পরে ক্রুতি “অথ” বঙ্গিয়৷ বলিয়াছেন 
“এই ছুই পথের” ইত্যাদি। এ অথ-শবের দ্বার! তৃতীয় পথ বা তৃতীয়স্থান 
শৃচিত হয়, তাহা প্রদশিত পথের অতিরিক্ত । এ ক্রতিতে ইহাই কথিত হই- 
সনাছে যে, যাহারা বিদ্যাসাধন দেবযান পথের অনধিকারী, অথব! যাহারা কর্ম 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ২৯ 


সাধন পিতৃষান পথের অধিকারী নহে, তাহারা এই সকল শীন্র জনম-সু্ঠণ-শীল 
ক্ষুদ্ধ জন্তরূপ তৃতীয় স্থান বা ততীয়৷ গতি প্রাপ্ত হয়। এ সকল কারণে সিদ্ধান্ত 
হয় যে, অনিষ্টার্দিকারীর। চন্দ্রলোকে যায় না। যদি বল, এরূপ হইলেও ত 
হইতে পারে যে, তাহার! চন্দ্রমগুলে আরোহণপূর্বক পরে তথ] হইতে আগমন 
করতঃ ক্ষুদ্রজন্তত্ব প্রাপ্ত হয়? ইহার প্রতুত্তর_-তাহা নহে। অর্থাৎ তাহ! 
হয় না। কেন-না, ভোগ না থাক্ষায় আরোহণ নিষ্রয়োজন। আরও দেখ, 
সকলেই যদি মরিয়া চন্দ্রলোকে যায়, তাহ! হইলে চন্দ্রলোকের পর্ণতাই স্থির 
থাকে সুতরাং “পূরণ হয় না কেন?” এ প্রশ্ন হইতে পারে না। অতএব, 
এ অর্থ প্রশ্নবিরুদ্ধ। (প্রশ্ন _-সম্পৃরণ হয় না কেন? “সম্পুরণ হয় না, ইহাই স্থির, 
কিন্তু “কেন?” ইহা! অস্থির বা সংশয়িত। সেই জন্যই তদ্বিযয়ক প্রশ্থ অসম্ভব )। 
সম্পৃরণ হয় না কেন? তাহাই বলিতে হইবে, সম্পূরণের প্রকার বলিতে হইবে 
না। যদি বল, অবরোহ্ণ স্বীকার করায় অসম্পূরণ বলা হয়, বস্ততঃ তাহ। হয়ন|। 
কারণ, তাহ। অশ্রত অর্থাৎ শ্রুতি তাহা বলেন নাই, এবং সেরূপ প্রশ্নও করেন 
নাই। অবরোহণ (তথ! হইতে নামিয়৷ আসা) স্বীকারে অসম্পূরণ দেখান্‌ 
নাই। শ্রুতি তৃতীয়স্থান কীর্ডন করিয়! বলিয়াছেন, পাপীরা চন্দত্রলোকে যায় 
না, তাই চন্দ্রলোকের পূরণ হয় না। যথা--“ইহা” তৃতীয় স্থান অর্থাৎ কথিত 
দেবযান গতির ও পিতৃধান গতির অতিরিক্ত তৃতীয়! গতি। সেই কারণে 
এই চন্দ্রলোক সম্পুরিত হয় না। (খালিথাকে )।” অতএব, আরোহুণ।- 
বরোহণ ব্যতীত প্রকারান্তরে অসম্পূরপ হওয়াই শ্রুতির ও যুক্তির অন্গুমত | 
অবরোহ্ণপ্রযুক্ত অসম্পুরণ, ইহা স্বীকার করিতে গেলে ইঠ্টার্দিকারীর সহিত 
অবিশেষ ঘটনা হয় এবং তৃতীয় স্থান কথনের প্রয়োজন থাকে না। অন্থ 
শাখাস্থিত শ্রতিতে যে সমুদায় জীবের চন্দ্রগতি শুনা যায়-_-তৎ শ্রবণে যে 
সমুদ্ধায় চন্দ্রগতি হওয়ার আশঙ্কা জন্মে হ্ত্রকার সে আশঙ্কা তু-শবের 
প্রয়োগে বিদুতিত করিয়াছেন । তাহাতে বুঝিতে হইবে, শাখাস্তরীয় 
বাক্যে ষে সর্বশবধ আছে, তাহ! অধিরুতাপেক্ষ অর্থাৎ তাহার অর্থ অধিকারী 
সকল। ফলিতার্থ এই যে, যে সকল অধিকারী (চন্দ্রপোকে যাইবার যোগ্য) 
এতল্লোক হইতে প্রয়াণ করে, তাহার নকলেই চন্ত্রপ্রাণ্ত হয়।” বলিয়াছিলে 
যে, আহুতিসংখ্যার নিয়ম থাকায় ( চতুর্থী আহ্ুতির পর পঞ্চমী আহুতিতে 
পুরুষখববাচয অর্থাৎ দেহোৎপত্তি হওয়ার নিয়ম থাকায় ) সকলকেই চন্রা- 


৩, _ তত্বজ্ঞানামূত। 


লোক খাইতে হয়, হুরকার এক্ষণে তাহার প্রতিবন্ধ বলিতেছেন। (পঞ্চমী 
আন্তি স্ক্ীযোনিতে নিক্ষিপ্ত হওয়া । চন্দ্রলে।কে না৷ গেলে বর্ষণাদির স্বার। 
পৃথিবীতে আস! ঘটে না এবং রেতে বা রক্তে বাস করাও ঘটে না)। এক্ষণে 
স্থঞ্জেবু দ্বারা এ আপত্তির প্রত্য(পত্তি প্রদর্শিত হইতেছে। 


ন তৃতীয়ে তঘোপলবেঃ ॥ অ ৩, পা ১ সূ ১৮॥ 


স্তক্রোথ-_ভৃতীয়ে স্থানে দেহলাভায়াহুতিসংধ্যানিয়মে! নাপেক্ষিতঃ | 
কুতঃ? তথোপলব্ধেঃ। বিনাপি হি পঞ্চমীমাহুতিং জায়ম্ব ঘিয়ন্বেত্যে তৎ 
প্রকারেণৈব তৃতীয়স্থানপ্রাপ্তিকপলভ্যত ইতি স্ুর্রাক্ষরাণাঘথ?। তৃতীয় 
স্থান প্রাপ্তিতে অর্থাৎ কীটপতঙ্গাদি শবীর লাভের নিমিত্ত আহুতি নিয়ম 
নাই। কেন-না, বিনা আহৃতিতে এ সকল জীবের দেহ হইতে দেখা যায়। 
( ভাস্যান্্বাদ দেখ )। 

ভাঙ্যাথ-_তৃতীয় স্থানে শরীরোত্পত্তির নিমিত্ত আহ্ুতির ও আহৃতি- 
সংখ্যার [নিয়ম নাই। শ্রত্যুক্ত এ আহুতিসংখ্য। তৃতীয়স্থানে আদর্তধ্য নহে। 
কেন-না তাহাই উপলব্ধ (প্রতীত)হয়। নিয়মিত আহুৃতি সংখ্যা ব্যতীত 
কথিত প্রকারে অথাৎ 'জন্যে আর মরে ।” এইরূপে তৃতীয়স্থান লাভ হওয়া 
প্রতীত হয়। “মাপ, পঞ্চমী আহুতিতে পুরুষ- শব্দের বাচ্য হয়” এই্ট ষে 
শ্রত্যুক্ত আহুতি সংখ্যার নিয়ম, এ নিয়ম মানব-শরীরবিষয়ে, কীট-পতঙ্গাদি 
শরীরবিষয়ে নহে । কারণ, এ পুরুষ-শব--মহুষ্যজাতিরই বোধক। কীট 
পতঙ্গার্দর বোধক নহে । আরও দেখ, শ্রুতি পঞ্চমী আহুতিতে আপের 
পুরুষপাদবাচ] হওয়ার উপদেশ করিয়াছেন সত্য? কিন্তু অপপঞ্চমী আহুতিতে 
তাহার নিষেধ করেন নাই। (পঞ্চম আহৃতিস্থান ব্যতীত পুরুষদেহ হইবে 
না, এমন কথ! বলেন নাই)। এ এক বাকের বিধিনিষেধ উভয়াথ” 
স্বীকার করিতে গেলে তাহার দ্বার্থত। দৌব স্বীকার করিতে হইবে। (এক 
বাকে) ছুই অর্থ প্রতীত হয় না। তাহা বলাও অন্তায্য)। অতএব, 
বুঝিতে হহবে, যাহাদের অঝোহাবরোহ সম্ভব, আপ. পঞ্চমী আহৃতিতে 
তাহাদেরই দেহ জন্মায়, তন্ডিয্ন জীবের দেহ বিনা আহতিতে ভৃতান্তর 
ংস্থষ্ট আপের দ্বার উৎপন্ন হয়। সে সকল শরীর আহুতিসংখ্যার নিম্নষ 
বহিভূতত। র 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ৩১ 


স্মর্যযতেহপি চ লোকে ॥ অ ৩, পা ১, সু৯॥ 


স্ত্রাথ- লোকাতেইনেনেতি লোকো ভারতাদিঃ।-__খাধষিরা ভারতাদ্দি 
গ্রন্থে আহুতিসংখ্যার আদরাঞ্াব স্বরণ করিষ্বাছেন, এবং জীবলে কেও তাহা 
দেখা যায়। « 

তাস্াথ-_অন্ট শরীরের কথা দূরে থাকুক, মন্ুম্যশরীরোৎপত্তিতেও যে 
আহৃতিসংখ্যার নিয়ম নাই, ভাহা তাবতাদিগ্রন্থে ড্রে।ণ, ধৃষ্টছায়, সীত1 ও 
দ্রৌপদী প্রভৃতির অযোনিজত্ব কথন দ্বারা দর্শিত হইগাছে। দ্রোণাদির 
জন্মে যোষিদ্বিযয়ক এক আহনুতির অভাব এবং ধৃষ্টদবায়াদির স্ত্রীপুংসংসর্থরূপ 
আচ্তিত্বয়ের অভাব আছে। যেমন সে সকল দেহে আহৃতিসংখ্যানিয়মের 
অভাব আছে, তেমনি, দেহান্তরেও তাহার অভাব দেখা যায়। বকী বিন! 
রেতঃসেকে গর্ভণী হয়, এ সংবাদ লোক-সমাজে প্রসিদ্ধ! (খতুমতী বকী 
মৈথুন্ট ধর্মে গন্তিণী হয় না, যেঘগঞ্জন শ্রবণে গর্তিণী হয়)। 


দর্শনাচ্চ ॥ অ ৩, পা ১, সৃ২০॥ রি 

সঞরাথ-বিনাপি গ্রাম্যধস্মমুৎ্পতদর্শনাদিতথ21--চতুব্বিধ ভূত আমের 
মধ্যে দ্বিবিধ ভূতের বিনা মৈথুন্যন্মে দেহোতপত্তি হইতে দেখ! যায়। 

ভঙ্যাথ---অপিচ, জরাযুজ (১) অগুজ (৯)স্বেদর্জ (৩) ও উত্ভিজ্জ (৪) 
এই চতুর্বিধ জীবজাতির বা ভূত গ্রামের মধ্যে ব্বেদঞ্জ ও উতিজ্জ ভূতের বিন! 
গ্রাম্যধন্ম্মে উৎপত্তি হইতে দেখা যায়। তাহাতে বুঝিতে হইবে, তাহাদের 
সম্বন্ধে আহুতিসংখ্য। অনিয়মিত। যথন স্বেদজ ও উত্ভিজ্জ জন্মে আন্তি- 
সংখ্যার অনাদর দেখ! যায় তখন যে অন্ত জন্মেও আনৃতিসংখ্যার অনাদর 
থাকিবেক তদ্বিযয়ে আর কথা কি। যদ্দি বল, শ্রুতি জিবিধ ভূতগ্রাম বা 
জীবজাতি বলিয়াছেন, যথা_-“মওদ্গ (১)। জীবজ বা জরামুজ (২)। ও উত্তিজ্জ 
(৩)।” কিন্তু তুমি বলিতেছ, ভূতজাতি চতুব্বিধ। ইহার কারণ কি? সুত্রকার 
এ প্রশ্রের প্রতুযুত্তর দিতেছেন-_ 


তৃতীয়শব্বাবরোধঃ সংশোকজস্য ॥ 
অ ৩, পা ১ সু ২১॥ 


শআাগু-_তৃতীয়েনোত্তিজশন্দেন সংশোকজন্য শ্েদঞ্জস্য অবরোধ্ঃ সংগ্রহঃ 


৩২ . তত্বজান।মূত। 
কতঃ ৃ্ুত্যতি শেষঃ | _শ্রুতি উত্ভিজ্ঞ শবে স্বেদ্জ জাতির সংগ্রহ করিয়াছেন, 
ইহা বুঝিতে হইবেক। 

ভাষ়্াথ-_“অগুজ, জীবজ ও উত্তিজ্জ।” এই শ্রুতিতে যে তৃতীয় উত্ভিজ্জ 
শব আছে, এ উত্ভিজ্ঞ শব্দে স্বেদজের সংগ্রহ হইয়াছে, ইহা বুঝিতে হইবেক। 
কেন না, স্বে্্জ ও উদ্ভিজ্জ এই ছুএর মধ্যে ভূমি-ঞজল-উত্তেদ-পুর্বক উৎদন্ন 
হওয়ার প্রণালী তুল্য। স্থাবরোডেদের লক্ষণ জঙ্গমোত্েদে নাই। সে 
কারণেও তদ্দয়ের তেদবাদ অবিরুদ্ধ। 


সাভাব্যাপত্তিরুপপত্তেঃ অ ৩ পা ১, সৃ২২॥ 


হক্রার্থসমানোভাবে ধর্ম বস্য স সতাবস্তস্ত ভাবঃ সাভাব্যং সাম্যমি- 
ত্যথঃ | সায্যাপ্রতির্ভবতি ন তু তত্তস্ভাবাপত্তিবিতাতিপ্রায়ঃ | তদের 
ভ্যপপগ্ভতে ন ত্বন্ঠ, 1-__-অবরোহণকারীরা অবরোহণ হ্কালে আকাশাদির 
সমান হয়, আকাশাদি হয় না। কেন-না, আকাশাদির সমান হওয়াই 
ন্ুক্তিসিদ্ধ। 

ভাষ্যাথ-_ ইষ্ট দিপুণ্যকম্মকারার। চন্দ্রম। প্রাপ্ত হইয়। সে স্থানে পতনের 
পুর্ব পর্য্যন্ত বাদ করিয়৷ অবশেষে অভুক্ত কর্মসংস্কারের সহিত অবরোহণ করে 
অর্থাৎ পুনব্বার এতল্লোকে জন্মগ্রহণ করে, ইহা বল! হইল। এক্ষণে কিরূপে 
অবরোহণ করে? তাহা বিচারিত হইবে । অবরোহ্ণ-বিষক্ষিণী শ্রুতি 
এইরূপ--“অনন্তর তাহারা ষথাগত পথে পুনরাগমন করে। ভোগাস্তে 
শরীর ভ্রবূত হইলে তাহার! প্রথমে আকাশ প্রাপ্ত হয়, আকাশ হইতে 
বাযুপ্রাপ্ত, বাঘু হইয়৷ ধুম হয়, ধৃষের পর অবত্র হয়, অব্ভ্র হুইয়৷ মেঘ 
হয়। মেঘ হইয়া বর্ণ করে।” ইত্যাদি। এখানে নংশয় এই যে, 
অবরোহণকারীরা কি আকাশাদি স্বরূপ প্রাপ্ত হয়? অথবা আকাশার্দির 
তুলাতা প্রাণ্থ হয়? পৃব্বপক্ষে পাওয়া যায়, আকাশাদি স্বরূপপ্রাপ্ত হয়। 
তাহাই শ্রুতির অথ, অন্যথ! শ্রুত্যথে লক্ষণ করিতে হয়। (মুখ্যার্থের 
সম্ভব থাকিলে লীক্ষণিক অর্থ গ্রহণ কর! অগ্ঠায্য )। যে স্থানে শ্রোত অর্থাৎ 
আক্ষরিক অর্থ ও লক্গণা-জনিত অর্থ উপস্থিত থাকে, পে স্থানে আক্ষরিক 
অর্থেরই গ্রহণ হয়, অন্যাধ্য বলিয়। লাক্ষণিক অর্থের গ্রহণ হয় না। লাক্ষণিক 
অর্থের গ্রহণ না হইলেই 'খাছু হইয়। ধুম হয়” এইরূপ এইরূপ পাঠ সেই 


জীবের সংসারগতি বর্ণন । ৬৩ 


সেই পদার্থের খ্বরূপ প্রাপ্তির বোধক হইয়া থাকে। সুতরাং পাওয়া গেল, 
অবরোহণকারীরা অবরোহণকালে আকাশাদির স্বরূপ হয়, আকা শা তুল্য 
হন না। শৃত্রকার এইরূপ পক্ষ প্রাপ্ত হইয়া! বলিতেছেন, তাহার আকাশাদির 
স্বরূপ প্রাপ্ত হয় না; কিন্তু আকাশাদির লহিত তুল্যতা প্রাপ্ত হয়। ভোগের 
নিমিত চন্দ্রমগুলে যে জলময় ভোগদেহ উত্পন্ন হইয়াছিল, ভোগ সমাপ্তিতে 
তাহ! বিলীন হইয়া যায়। বিলীন বা বিদ্রত হইয়া! (গলিয়! গিয়া) সঙ্গ 
আকাশের সমান হয়। আকাশের গ্ঠায় হুক্ম ও লঘু হয় বলিয়! ধূমাদির সহিত 
সংস্থষ্ট ( মিশ্রিভ ) হয়। এতদ্রপ ক্রমে অবক্রপ্রবিষ্ট ( গুলগর্ত মেঘ অবত্র এবং 
বর্ষণকারী মেঘ মেঘ। মেঘের সঞ্চারাবস্থা অব ত্র, বর্ষণাবস্থা মেঘ।), ততৎপরে 
বৃষ্টিজল প্রবিষ্ট, তৎপরে পৃথিবীতে আপিয়া ধান্যাি প্রবিষ্ট হয়। এরুতি এই 
তথ্যটী “যথাগত আকাশকে প্রাপ্ত হয় এবং মাকাশ হইতে বায়ুত্ব প্রাপ্ত হয়” 
ইত্যাদি শব্দে বলিয়াছেন। ইহাই উপপর্ন অর্থাৎ তার্থ। এরূপ হইলেই 
আতার্থ ঠিক্‌ থাকে, অন্যথা যুখ্যার্থের অবরোধ হয়। অর্থাৎ উক্ত স্থলে যুখ্যার্থ 
অসম্ভব ব। অন্ুপপন্ন । জীব আকাশত্ প্রাপ্ত হইলে তাহার বায়ু-আদি-ক্রমে, 
অবরোহণ উপপন্ন হয় না। আকাশ বি, তাহার সহিত জীবের (নতা- 
সম্বন্ধ। সে কারণ, আকাশ-সদৃশ হওয়া ব্যতীত অন্য সম্বন্ধ ঘটনা হ॥ না। 
ধেখানে শ্রত্যর্থের অর্থাৎ আক্ষরিক অর্থের অসম্ভাবন|, সেখানে লক্ষণার 
আশ্রয় ন্যাধা। সেই নাই বলি, শ্রুতি আকাশসাম্য হওয়াকেই উপচার 
ক্রমে আকাশতাব প্রাপ্তি বলিয়াছেন । | 


নাতিচিরেণ বিশেষাৎ ॥ অ ৩, পা ১, আু২৩॥ 


স্জ্জার্থ-_নাতিচিরেণ অনতিবিলন্বেনাকাশাদিসাম্যেনাববস্থাম ভুবমা- 
পতন্তীতি শেষঃ। তত্র বিশেধাদিতি হেতুঃ। বিশিনষ্টি হি জ্রতির্রাহাদি- 
তাবাপত্তিং “অতো বৈদুমিস্রপতরং" ইত্যাদিনা সন্দর্ভেগণ | অত্র হুঃখেন 
্রীহাদিভাবানিঃদরণমুক্তম্‌। তেনায়াতং সুখেনাকাশাদিতাবান্লিঃসরণস্তবতীতি 
তদেব চ বিশেষদর্শনমিতি ।--অনুশয়ী জীব অল্পে অন্ন বা শীত্র শীপ্র আকাশাদি 
ভাব হইতে নিষ্রান্ত হইয়া পৃথবীতে আইসে। পৃথিবীতে আলিলে বে 
শস্যাদিতাব প্রাণ্ড হয়, সে অবস্থা শীপ্র যার না, এ কথা শ্রুতি বলিয়াছেন। 


৩৪ তন্বজঞানামৃত। 
ঞ্তির সে কথায় বুঝ! যার, পূর্ব পুর্র্ব অবস্থা শীগ্র শীত অতিক্রান্ত হয়, কেবল 
ধানকিদ অবস্থা! বিলম্বে অতিক্রান্ত হয়। ] 
তাস্তার্থ_বলা হইল, অন্ুশয়ী জীব আকাশাদিপ্রাপ্তিক্রমে পৃথিবীতে 
আনিয়া ধান্যাদ্িভাব প্রাপ্র হয়। এই স্থানে সংশয়, ধান্তাদিভাব প্রাপ্তির 
পূর্বে যে আকাশাদিভাব প্রাপ্তির ক্রম আছে, সে ক্রম কি শীঘ্র সমাপ্ত হয়? 
কি বিলম্বে সমাপ্ত হয়? অর্থাৎ জীব কি দীর্ঘকাল পূর্ব্ব পৃথ্ব পদার্থের 
সানৃস্ত-বিশিষ্ট থাকিয়৷ পর পর পদার্থের সদৃশ হয়? কি অল্পে অন্ে অর্থ: 
শীঘ্র পূর্ববপূর্বব সারৃশ্ত অতিক্রম করিয়া পর পর সদৃশ হইয়া পৃথিবীতে অবতরণ 
করে? সংশয়ের পর পূর্বপক্ষ । তাহাতে পাওয়] যায়। সে বিষয়ের নিন্ম 
নাই। কেন-না নিয়মকারী শাস্ত্র নাই। (বিলম্বও হইতে পারে, শীত্বও 
হইতে পারে )। এই পূর্ব্বপক্ষের সমাধানার্থ “না তিচিরেণ” সুপ্রে বলা হইল। 
অথ এই যে, অন্নকাল আকাশাদিতাবে অবস্থান করিয়া বৃষ্টি ধারাদির সাহত 
এই পৃথিবীতে অবতরণ করে। বিশেষ দর্শন থাকাতেই উক্ত সিদ্ধান্ত 
অবিচাল্য। কি বিশেষ? তাহা বলিতেছি। ধান্তাদিশস্যভাব প্রাপ্ত হইলে 
সে অবস্থা যে পুর্বাবন্থাপেক্ষা বিশিষ্ট, তি তাহা দেখাইয়াছেন। যথা 
“ইহা হইতে হুমিপ্রপতর হয়।” বৈদিকপ্রক্রিয়া অনুসারে একটি ত লু 
আছে। উহার অর্থ ছুনিক্রমতর অথাৎ জীব অতি হুঃখে ত্রীহ্থা্দি হতে 
নিক্রাস্ত হয়। এই ছুংখনিক্রমই পৃব্ব পুর্ব অবস্থার স্থানক্ষম বলিতেছে। 
নিষ্ষমের সুখদুঃখ কালের অল্পস্ব দীর্ঘত্ব ঘটিত। অর্থাৎ অল্পকালে নিক্ষান্ত 
হওয়াই সুখ. আর দীর্ঘকাল ব্রীহাদিভাবে থাক।ই ছুঃখ। সে সময়ে শরীর 
নিম্পতি হয় না, জুতরাং তদবস্থায় উপভোগ অসম্ভব । এই সকল হেতুবাদ 
দ্বারা স্থির হয় যে, অগ্ুশয়ী জীব যত দিন নাধাশ্তাদিভাব প্রাপ্ত হয় তত দিন 
শীঘ্র শীঘ্র আকাশাদিভাব হইতে নিষ্রাপ্ত হইয়া অল্পকালের মধ্যেই পৃথিবাঁতে 
আইসে। 


অন্যাধিষ্টিতে পূর্ববদভিলাপাৎ ॥ 
অ ৬৩,পা ১ সু২৪॥ 


হুঞ্জাথ-- অনে)ন জীবান্তরেণ। ধিষ্ঠিতে জাতিস্থীবরে ব্রীহা।দৌ সংসর্শমাঞ্জ- 
মন্ুশয়িনঃ প্রতিপদ্যন্ত ইতি পুরণীয়ম। কুত এতৎ? তত্রাহ পূর্ববদিতি। 


জীবের সংসারগতি বর্ণন।' ৩৪ 


অপ্রাপি পুর্ববৎ বায়াদিবং অভিলাপঃ শ্রোতং সঙ্কীর্ভনমত্তীতি।_্বরচ্যুত 
কর্ণশেধী জীবের জাতিস্থাবর হয় না। জীবান্তরাধিষিত জাতিস্াঁবরে 
সংশ্লেশমাজ্জ লাভ করে। কারণ এই ষে, শ্রুতি ব্রীহ্াদি জন্মেও পূর্বের স্টান্ 
বায়ু ধূমাদিভাব প্রাপ্তির তুল্যতা বলিয়া ছেনগ্ু 

ভান্তাথ--শ্র'তি স্বর্চ্যত জীবের অবতরণ প্রণালী বলিতে বৃষ্টিধারা বর্ষণ 
পর্ধ্স্ত বলিয়া বলিগ্নাছেন “তাহার! ধান্য, যব, ওষধি, তিল, মাব+-ইত্যাদি 
ইত্যাদি হয়।” এখানে সংশয় এই যে, স্বর্গচ্যুত জীবেরা স্থাবর-জাতি প্রাপ্ত 
হইয়। স্থাবরোচিত স্ুুখছুঃখভাগী হয় “ অথবা জীবান্তরাধিষ্ঠিত সেই সেই 
স্থাবরশরীরে প্রবেশমাত্র লাভ করে? প্রথমতঃ পাওয়া যায়, স্থাববরজাত্যাপত্র 
কর্মশেষী স্বর্মচ্যুত জীবের স্থাবরোচিত সুখছুঃখভাগী . হয় । ইহা কেন 
বলি ?_ন! এরূপ হইলেই জন-ধাতুর অধর মুখ্যতা থাকে । স্থাবর ভাব 
যে স্থখছুঃখভোগের স্থান, তাহ! শ্রুতি-শ্বতি উভয়ত্রই প্রসিদ্ধ। অপিচ, 
ইষ্াপুর্তাদ্দিকর্ম্ে পশুহিংসাদির সংযোগ থাকায় দে সকলের তাদৃশ অনিষ্ট 
ফল হওয়া অসম্ভব নহে । অতএব, কর্মাশেষী স্বর্গচ্যুত জীবের যে ধান্যাদি 
জন্ম হয়, অবশ্তই তাহ] কুকুরাদি জন্মের ন্যায় মুখ্য জন্ম। “কুকুর-যোনি, 
চগডাল-যানি” ইত্যাদিস্থলে যেমন ততৎ সুখছ্ঃখান্থত ককুগাদি যোনি প্রাপ্তি 
অভিহিত হইয়াছে, ধান্যাছি জন্মও সেইরূপ জানবে। এইরূপ প্রথম পক্ষ 
প্রাপ্তিতে বলা হইল, স্বর্গচ্যুত কর্মশেষী জীব জীবান্তরাধিষ্টিত ধান্যা্দিতে 
অথণখৎ্ বাছু ধ্মাদির ন্যায় স্থাবপ ভূতে সংশ্লেষমাত্র প্রাপ্ত হয়; সুতা 
স্থাবর-স্থখদুঃখভাগী হয় না! অনুশয়ী অথাৎ কর্মশেষী দ্বর্গচ্যত জীবের 
বাম ধৃযাদিতাব যেমন প্রকৃত বায়ুংধূমাদিভাব নহে, সংশ্লেবমাত্র, সেইরূপ, 
ধান্যাদিভাবও জা1তস্থাবরের সহিত সংশ্লেষমাত্র। ইহ। অভিলাপের অর্থাৎ 
শ্রোত কথনের তত্বপ্তাবের ত্বার। জানাযায়। অভিলাপের তত্বপ্তাব স্ কর্মা- 
ব্যাপারের অকীর্তন। শ্রুতি বেমন আকাশাদি প্রবর্ষণ পর্যযস্ত অবস্থার 
কোনরূপ কর্মব্যাপার বলেন নাই, তেমনি, ত্রীহ্থা্দ জন্মেও কর্মব্যাপার 
বলেন নাই। ( কর্মব্যাপার * পুণ্যপাপের ননুধায়ী জন্মপ্রণালী )। অতএব, 
স্র্চ্যুত অনুশগ্ী জীব ধান্যাদিভাব প্রাপ্তিতে তজ্জাতীয় সুখছুঃখ তাগী হয় না। 
যেস্লে নুখভুঃখতাগিতা ও জন্মবিশেষ কর্ম্ম-বিশেষ উল্লেখে কথিত হয়, সেই 
স্থানেই মুখ্য জন্ম জানিবে। যেমন, বল! হইয়াছে__রমণীয়াচারি পরমণীর যো 


৩৪ - তত্বজানামৃত । 
শ্রুতিব্ সে কথায় বুঝ যায়, পূর্ব পুর্ব অবস্থা শীপ্র শীত্র অতিক্রান্ত হয় কেবল 
ধানছি।দ অবস্থা বিলম্বে অতিক্রান্ত হয়। 
ভাস্তার্থ-_বল! হইল, অনুশদ্দী জীব আকাশাদিপ্রাপ্তিক্রমে পৃথিবীতে 
আপিয়া ধান্যাদ্িভাব প্রাপ্ত হয়। এই স্থানে সংশয়, ধান্ঠাদিতাব প্রাপ্থির 
পূর্বে যে আকাশাদিভাব প্রাপ্তির ক্রম আছে, সে ক্রম কি শীগ্র সমাপ্ত হয়? 
কি বিলম্বে সমাণ্ড হয়? অর্থাৎ জীব কি দীর্ঘকাল পূর্বব পৃ পদার্থের 
সার্বৃশ্ত-বিশিষ্ট থাকিয়! পর পর পদার্থের সূৃশ হয়? কি অল্পে অ্জে অর্থ/ৎ 
শীত পূর্বপূর্বব সাৃগ্ত অতিক্রম করিয়া পর পর সদৃশ হইয়! পৃথিবীতে অবতরণ 
করে? সংশয়ের পর পৃর্বপক্ষ। তাহাতে পাওয়া যায়। সে বিষয়ের নিয়ম 
নাই। কেন-না নিয়মকারা শান্্র নাই। (বিলন্বও হইতে পারে, শীত্বও 
হইতে পারে )। এই পূর্ববপক্ষের সমাধানার্থ “নাতিচিগেণ” সুত্র বলা হইল। 
অথ এই যে, অল্পকাল আকাশাদিতাবে অবস্থান করিয়া বৃষ্টি ধারাদির সহিত 
এই পৃথিবীতে অবতরণ করে। বিশেষ দর্শন থাকাতেই উক্ত সিদ্ধান্ত 
অবিচাল্য। কি বিশেষ? তাহ বলিতেছি। ধান্থা দিশস্তভাব প্রাপ্ত হইলে 
সে অবস্থা যে পৃর্বাবস্থাপেক্ষা বিশিষ্ট, রতি তাহা দেখাইয়াছেন। যথা-_ 
“ইহা হইতে ছুনিশ্রপতর হয়।” বৈদিকপ্রক্রিয়া অনুসারে একটী ত লুপ্ত 
আছে। উহার অর্থ ছুনিক্ষমতর অথাৎ জীব অতি ছুঃখে ত্রীহাদি হ্গতে 
[ন্রান্ত হয়। এই দুঃথণিক্রমই পৃর্ব পূর্ব অবস্থার সুথনিক্ষম বলিতেছে। 
নিঙ্রমের সুখছূঃথ -কালের অন্পত্থ দীর্ঘত্ব ঘটিত। অর্থাৎ অল্পকালে নিঙ্ষান্ত 
হওয়াই সুখ, আর দীর্ঘকাল ব্রীস্থাদিভাবে থাকাই দুঃখ | সে সময়ে শরীর 
নিষ্পভি হয় না, সুতরাং তদদবস্থায় উপতোগ অসন্তব। এই সকল হেতুবাদ . 
দ্বার] স্থির হয় যে, অন্থশয়ী জীব বত দিন ন। ধান্তাদিভাব প্রাপ্ত হয় তত দিন 
লী শীঘ্র আকাশাদিভাব হইতে নিক্ষান্ত হইয়। অল্পকালের মধ্যেই পৃথিবীতে 
আইসে। 


অন্যাধিষ্ঠিতে পূর্বববদভিলাপাৎ ॥ 
অ ৬, পা ১ সু২৪॥ 


হুঞ্জাথ-_ অনেযন জীবান্তরেণাধিষ্ঠিতে জাতিস্থাবরে ব্রীহাদৌ সংদর্গমাতর- 
মন্থশয়িন: প্রতিপদাস্ত ইতি প্রণীয়ম্। কুত এতৎ? তত্্রাহ পৃর্ববর্দিতি। 


জীবের সংসারগতি বর্ণন ।' ৩৫ 


অগ্রোপি পুর্বববৎ বায়াদিবং অভিলাপ: শ্রোতং সন্ধীর্তনমন্তীতি ।_স্বগাঁচ্যুত 
কর্শেষী জীবের! জাতিস্থাবর হয় না। জীবান্তরাধিষিত জাতিস্বাবরে 
সংগ্লেশমাত্র লাভ করে। কারণ এই যে, শ্রুতি ব্রীন্থাদি জন্মেও পূর্বের টায় 
“বাস ধূমারদিভাব প্রাপ্তির তুল্যত! বলিয়াছেন 

তাস্তাথ--শ্রুতি স্বর্নচযত জীবের অবতরণ প্রণালী বলিতে বৃষ্টিধারা বর্ষণ 
পর্য্যস্ত বলিয়া বলিয়াছেন “তাহার! ধান্য, যব; ওষধি, তিল, মাব।_ ইত্যাদি 
ইত্যাদি হয়।” এখানে সংশয় এই ষে, স্বর্গচ্যত জীবের! স্থাবর-জাতি প্রাপ্ত 
হইয়। স্থাবরোচিত ন্ুথছুঃখভাগী হয়; অথবা জীবান্তরাধিষ্টিত পেই সেই 
স্থাবরশবীরে প্রবেশমাব্র লাভ করে? প্রথমতঃ পাওয়া যায়, স্থাব এজত্যাপন্র 
কর্ণশেবী স্বর্টচ্যত জীবেরা স্থাবরোচিত অুখছুঃখতাগী . হয়। ইহা কেন 
বলি1--না এরূপ হইলেই জন-ধাতুর অরে মুখ্যতা থাকে। স্থাবর ভাব 
যে সুখদুঃখভোগের স্থান, তাহা শ্রুতি-স্বতি উতয়ত্রই প্রসিদ্ধ। অপিচ, 
ইষ্টাপুর্ভা্িকর্মে পশুহিংপাদির সংযোগ থাকায় সে সকলের তাঘ্বশ অনিষ্ট 
ফল হওয়া অসম্ভব নহে । অতএব, কর্মশেষী স্বর্গচ্যুত জীবের যে ধান্যাদি 
জন্ম হয়, অবশ্যই তাহ] কুকুরাদি জন্মের ন্যায় মুখ্য জন্ম। “কুক্কুর-যোনি, 
চগাল-:যানি” ইত্যাদিস্থলে যেমন তত্তৎ সুথছুঃথান্বিত ককুগাদি যোনি প্রাপ্তি 
অতিহিত হইয়াছে, ধান্যাদি জন্মও সেইরূপ জানিবে। এইরূপ প্রথম পক্ষ 
প্রাপ্তিতে বলা! হইল, স্বর্গচ্যত কর্মশেষী জীব জীবান্তরাধিঠিত ধান্যাদিতে 
অথণৎ বাধু ধ্মাদির ন্যায় স্থাবর ভূতে সংশ্লেষমাত্র প্রাপ্ত হয়; সুতর়া 
স্থাবর-নুখদুঃখন্ভাগী হয় না! অনুশয়ী অথাৎ কর্মশেষী স্বর্গচ্যিত জীবের 
বায়ু ধৃমাদিভাব যেমন প্রকৃত বায়ুধৃমাদিতাব নহে, সংশ্লেবমান্রে, সেইরূপ, 
ধান্যাদিভাধও জাতিস্থাবরের সহিত সংগ্লেষযাত্র। ইহা অতিলাপের অর্থাৎ 
শ্রোত কথনের তত্বন্তাবের দ্বার জান1যায়1 অভিলাপের তত্বস্তাব স্ম কর্ণম- 
ব্যাপারের অকীর্ডন। শ্রুতি যেমন আকাশাদি প্রবর্ধণ পর্যাস্ত অবস্থার 
কোনরূপ কর্শব্যাপার বলেন নাই, তেমনি, ত্রীহাদি জন্মেও কর্ণব্যাপার 
বলেন নাই। ( কর্মব্যাপার - পুণ্যপাপের অনুযায়ী জন্মপ্রণালী )। অতএব, 
বচ্যুত অকুশয়ী জীব ধান্যাদিভাব প্রাপ্তিতে তজ্জাতীয় সুখছুঃখ তাগী হয় না। 
যেস্থলে সুখছুঃখতাগিতা ও জন্মবিশেষ কর্প-বিশেষ উল্লেখে কথিত হয়, সেই 
স্থানেই মুখ্য জন্ম গানিবে। যেমন, বল। হুইয়াছে--রমণীয়্াচারি বমর্ীয় যো” 


৩৬ *  তথ্জ্ানামূত। 


প্রাপ্ত হয় এবং নিন্দিতাচারী নিন্দিত যোনি লাত করে। আরও দেখ, যদি 
অনর্শী'দগের ধান্যাদি জন্ম মুখ হয়, তাহা হইলে তদতিমানী অন্ুশর়ীর। 
অবশ্তই ধান্যাদ্ির ছেদনে, কুঝ্টনে, ভঙ্জনে, পচনে ও তক্ষণে অর্থাৎ ধান্যাদি 
দেহের নাশে তঙ্দেহ হইতে উৎক্রান্ত হয়, ইহ! মানিতে হইবেক। (যানিলে 
রেতঃসেক-ষোগে মন্ধুয়া দিদেহোতপত্তি, এ সিদ্ধান্ত বিঘটিত হইবেক )। 
গ্রসিদ্ধই আছে যে, যে জীব যে দেহের অভিমানী সে সে দেহের পীড়নে 
প্রয়াণ করে অর্থাৎ সে দেহ ত্যাগ করিয়া যায়। ধান্যা্দি জন্ম মুখ্য জন্ম 
হইলে শ্রুতি ধান্যাদ্দিভাবপ্রাপ্তিপূর্বক রেতংসেকযোগে দেহোৎপত্তি হয়, 
এক্ধপ বলিবেন কেন? এই সকল কারণে স্থির হয়, জীবান্তরা ধিঠিত স্থাবর- 
দেছে চন্দ্রমগ্ুলচ্যুত অন্শমীদিগের কেবলমাঞ্র সংশ্লেষ হয়, মুখ্য ধান্যাদি 
জন্ম হয় না। এই বিচারের ফলিতার্ধে বলিতে হইবেক, প্রতিবাদ করিতে 
হইবেক যে, এঁ জন্শ্রতি-মুখ্যা নহে এধং সেই স্থাবরতাব তাহাদের মৃখ্য 
ভোগাক়তনও নছে। আমর সামান্যত; স্থাবরুভাবের ভোগস্থানতার 
প্রতিবাদ করি না। পাপপ্রতাবে অন্যান্য জীব স্থাবরত্ব প্রাণ্ড হইলে 
তাহাদের দেহ সেই সেই পাপতোগের আয়তন হয় হউক, কিন্তু, যাহায়। 
চন্রলোক হইতে অবতরণ করে, করি স্বাণরভাব প্রাপ্ত হয়, তাহার! 
স্থাবরে সংশ্লিষ্ট হয় মাত্র! সুতরাং সেই সেই স্থাবর দেহ তাহাদের 
ভোগায়তন নহে, ইহাই আনাদের এ কথ! বলিবার উদ্দেশ্য | 


অশুদ্ধমিতি চেন্নশব্দাংৎ ॥ অ ৩, পা! ১, সু২৫॥ 


স্ত্রার্থ--মণুদ্ধং অনর্থহেতুনা ছুরিতাপূর্বেণ মিলিতমাধ্বরিকং কর্ণ 
হিংসাদিযোগাদিতি ন। হেতু মাহ শব্ধাদিতি। শব্দাৎ শান্ত্রাদেব হি তথা 
শুদ্ধত্বমবধার্য্যতে ।-_-জ্যে।তিষ্টোমাদি যাগ পণ্ুহিংস! সাধ্য, সেকারণ তত্প্রভব 
অপূর্ব ( ধর্ম) অশুদ্ধ (অশুদ্ধমিশ্রিত), সেই কারণে চন্দ্রমগুলচাত জীব ধর্মফল- 
ভোগান্ত্রে অংশ্মকল ভোগার্থ স্থাবর জন্ম পায়, এরূপ বলিতে পার না। 
কারণ, শাস্ত্রে নিশ্চিত আছে, বঙ্গীয় হিংসার ছুরিতা পুর্ব জন্মে ন। অর্থাৎ অধর্শা 
হয় না। যদি তাহ! না হয়, তবে ততৎফলভোগার্থ স্বাবর হইবে কেন? 

তায্াথ--বল! হইয়াছে যে, পশুহিংসার্দি সম্পর্ক থাকায় হজ্ঞকার্ধ্য 
অশুদ্ধ; সেই কারণে তাহ। অনিষ্ট ফল প্রসব করিতে সমথ” এবং সেই হেতু 


জীবের শংসারগতি বর্ণন। ৩৭ 


চন্রলোকচ্যুত অন্ুশয়ীদিগের ধান্যাদি জন্ম মুখ্য, গৌণ নহে। ধান্যাদি- 
জন্মের গৌখত্ব কল্পনা নিরর্থক । এই হ্ত্রে সেই পূর্বোক্ত শ্ীবববাদের 
পরিহার হইবে। যজ্ঞাদি-জনিত অপূর্ব (ধর্ম) অশুদ্ধ অর্থাৎ দুরিতা- 
পূর্বমিশ্রিত নহে। কারণ এই যে, তদ্বিজ্ঞানের প্রতি অর্থাৎ ধর্মাধর্মজ্ঞানের। 
প্রতি একমান্্র শাস্ত্রই হেতু (গমক বা বোধক)। ধর্মাধর্ম অতীজ্জিয়, 
চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয়ের অবিষয়, সুতরাং তাহ! জানিবার শাস্ত্র বাতীত অঙ্গ 
উপায় নাই। বিশেষতঃ তদ্বয়ের দেশকালাদির নিয়ম নাই। যেদেশে 
যে কালে ও যে উপলক্ষে বাযে নিমিতের বশে যাহা ধর্ম বলিয়। গণ্য হয়, 
তাহাই আবার দেশান্তরে কালাস্তরে ও নিমিতাস্তরের বশে অধর্ম হইয়] 
দাড়ায় । সুতরাং শান্ত্রাবলম্বন ব্যতীত কোনও ব্যক্তির ধর্মাধর্ম-বিষয়ক 
বিজ্ঞান জন্মিতে পারে না। তাদৃশ শাস্ে ইহাই অবধারিত হইয়াছে যে, 
হিংসাদি অনুগৃহীত অথবা হিংসা ও অনুগ্রহাদিযুক্ত ( যজ্ঞে হিংসাও আছে; 
অনুগ্রহও আছে ) জ্যোতিষ্টোমাদি যাগ ধর্ম ( ধর্ম জনক )। অতএব, শান্ত্রাব- 
ধৃত যক্তকর্মাকে কিরূপে অশুদ্ধ বলিতে পার? বলিতে পার যে, “সর্ধভূতে . 
অহিংস কর্ধিবেক” এই নিষেধ শান্তর ভূত-(ভৃত-্প্রাণ )-বিষয়ক হিংসার 
অধন্্রজনকতা জানাইতেছে। স্বীকার করি, এঁটী শাস্ত্র, কিন্তু উহা! উৎসর্গ অর্থাৎ 
সামান্ত শাস্ত্রে । & সামান্য শাস্ত্রের অপবাদক অর্থাৎ বিশেষ শাস্ত্র এই-__“আগ্নি 
ও সোম দেবতার উদ্দেশে পশুঘাত করিবেক।” সামান্য ও বিশেষ দ্বিবিধ 
দর্শন হইলে বিষয়তেদে ব্যবস্থা হইয়া থাকে। বিশেষ ভিন্ন স্বলগুলিতেই 
সামান্য শাস্ত্রের অধিকার নির্ণাীত হয়। (তাতপর্য্য এইট ষে, অবৈধ হিংসার 
অধর, আর বৈধ হিংসায় ধর্ম )। অতএব, বৈদিক কর্মকলাপ অগ্ুদ্ধ নহে, 
কিন্তু শুদ্ধ। শুদ্ধ বলিয়াই শিষ্ইগণ তাহার অনুষ্ঠান করেন এবং কোনও শান্ত 
ধর সকল কর্মের নিন্দা অভিহিত হয় নাই। 'যর্দ ভাহা অস্তদ্ধ নাহয়, তবে, 
কি-জন্য তাহার জাতিস্থাবরত্ব ফল হইবে? ধান্তাদিজন্ম কুকুরাদিজন্মের 
সমান হইতেই পারে না। কেন-না, সে সকল পাপকর্মীচরণ উপলক্ষ্যে 
কথিত হইয়াছে । সেস্বলে কোন বিশেষ অধিকার বা উপলক্ষ[ও নাই। 
উল্লিখিত হেতুসমূহের ত্বারা সিদ্ধ হন যে, চন্দ্রলোকচ্যুত অন্ুশয়বান্‌ জীব 
ত্রীছি প্রভৃতির সহিত সংশ্লিষ্ট হয় মাত্র, ব্রীহিষবদি 5য় না। শ্রুতি সেই 
সংশ্লেষভাবকে ই উপচার বাক্যে ব্রীহাদিতাব শঙ্ধে বলিয়াছেন। 






৩৮ তত্বজানামৃত। 


রেতগুিগ যোগোইথ ॥ অ ৩, পা ১, সু২৬॥ 


সুত্রার্থ_-অথ ব্রীহাদিভাবপ্রাপ্তানগ্তরং রেতঃসিগ্যোগঃ গ্তাদন্থশয়িনামিতি 
যোজন। ।--অনুশয়ী ব্রীহার্দিভাব প্রাপ্তির পর রেতঃসিক্সন্বন্ধ প্রাণ্ড হয়। 
৬. কলিতাথ' তাব্যে ব্যক্ত হইয়াছে )। 

ভাস্তার্থ -ত্রীহাদিসংশ্লেবই ক্রীহাদিভান, এতত্প্রতি অন্য কারণ এই যে, 
্রীন্থাদ্িতাবের পর অন্গশমী রেতঃপিগ ভাব প্রাপ্ত ( রেতঃসেক্তা ) হয়। 
এতদথে” শ্রুতি এই যে “যেহেতু অন্ন ভক্ষণ করে, রেতঃসেক করে, সেই হেতু 
সে পুনর্ধার হয়।” বিবেচনা কপ, এখানে মুখ্য রেতঃপিগভাব সম্ভব হয় 
না। ষে জন্মিপ্না অনেক কাল অতিবাহন করিয়াছে, প্রাপ্ত-ষৌবন 
হইয়াছে, সে-ই রেতঃসেক্ত। হয়? অতএব, উপচার বা রূপক কল্পনা ব্যতীত 
অল্লান্থগত অনুশয়ী জীব কিরূপে মুখ্য রেতঃসিগ ভাব প্রাপ্ত হইতে পারে ? 
এ স্থলে ইহা অবশ্থ স্বীকার্ধয হইবে যে, রেতঃপিক্পন্বন্ধ হওয়াই রেতঃপিগ ভাব 
প্রাপ্তি (অভিপ্রায় এই যে, দেহ বিটুণিত হইলে সে দেহে জীব থাকে না, 
বহির্গত হইয়া ধায়, সুতরাং দেহমাত্র ভক্ষণে তক্ষক জীবের সহিত সম্বপ্ধ 
ঘটে না। সংগ্লেধ স্বীকার করিলে তৎসংশ্রিষ্ট ব্রীহ্াপিদেহ ভক্ষণেও দন্বন্ধ 
হয়। ) এবং তৃষ্টান্তে ব্রীহা!দি সংগ্লিষ্ট হওগাই ব্রীহাদিতাব প্রাপ্তি; এইরূপেই 
বিশোধ ভঞ্জন হইতে পারে। 


যোৌনেঃ শরীরম ॥ অ ৩, পা ১, সূ ২৭। 


হুযাথ--যোনেঃ শরীরমিতি শ্রতেন্ন ত্রীহ্াদিশবীরত্বমন্থশগ্িনামিতি 
হাথ ঃ ।--রেতঃসিগ ভাব প্রাপ্তির পর যোনিদেশে ও রেত-উপাদানে 
অন্গুশয়ীদিগের অভুক্ত শেষ কর্দের ফলভোগ যোগ্য শরীর জন্মে। 
( কথাগুলর ফল ভাম্য ব্যাখ্যায় ব্যক্ত শাছে) 

তাস্তাথ-_রেতঃসিগ ভাব প্রাপ্তির পর যোনিনিধিজ্ত রেতে যোনির 
অভ্যন্তরোর্ধে অন্থশরাদিগের ভোগায়তন অর্থাৎ দেহ জন্মে। এ কথাও 
“যাহার ইহলোকে রমণীয়াচরণ করে” ইত্যাদি শাস্ত্রে অভিহিত হুইয়াছে। 
ইছারও দ্বার! জান! যায়, অবরোহকালে যে ব্রীহাদি প্রাপ্তি হয়, তাহ। ব। 
সেই ত্রীহাদি শরীর তৎসন্বন্ধীর সুসছঃখান্িত নছে। প্রদর্শিত হেতুবাদের 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ৩৯ 


দ্বারা সিদ্ধ হইতেছে যে, অন্শয়ীদিগের ত্রীহ্া্দি জন্ম প্রকৃত জন্ম নছে, 
তৎসংশ্লিষ্ট হওয়াই উপচারক্রমে তজ্জন্ম নামে কথিত হইক়্াছে।' 

উপরে অর্থাৎ অব্যবহিত পূর্ব শাস্ত্রে পঞ্চাশ্সি বিদ্যার উদ্দাহরণে জীবের 
নান। প্রকার সংপার-গতি সবিস্তরে বলা হইল। এইক্ষণে নিয়্োক্তসকল সুত্রে, 
স্বীবের অবস্থা তেদ বণিত হইতেছে । তথাহি, | 


সন্ধে সুষ্টিরাহ হি ॥অ ৩, পা ২, ষু১॥ 


সজার্থ_দ্বয়োর্লো কন্তানয়োর্জা গ্রৎুযুস্তিগ্থানয়োর্ধা সন্ধৌ অন্তধালে গবং 
সন্ধ্যং স্বপ্রঃ। তন্িন ব! হ্ষ্টিঃ সা তথারূপা ভবিতুমহতি। হি যতঃ আহ 
শ্রুতিরিত শেষঃ। পুর্বপক্ষন্থত্রমেতৎ ।--ইহ-পরু-লোকের সন্ধিতে (যরণ 
হইয়াছে, জন্ম হয় নাই, এই অগ্তরালীবস্থায় ) অথব! জাগ্রৎ সুষুগ্তির মধ্যে 
্বপ্স্থান, তত্রত্যা হুষ্টি জাগ্রৎ স্প্টির হ্যা সত্য। এ কথা বলিবার কারণ 
এই যে, শ্রুতি তাহাই বলিয়াছেন । ( এটী পূর্ববপক্ষ সুত্র )। 

ভাস্যার্থ--শ্রুতি “সেই জীব যাহাতে সুপ্ত হয়” এই উপক্রম, 
বলিয়াছেন__“সেখানে রথ নাই, অশ্বাদি নাই এবং পথ নাই। জীব 
রথ, বরথযোগ (অশ্ব) ও পণ স্যঞ্জন করেন ।” এখানে সংশয় এই যে, 
স্বাপ্রিক সৃষ্টি কি জাগ্রৎ সৃষ্টির ন্যায় পারযাধিক? সত্য? অথবা তাহ! 
মায়ামদ়্ী? রজ্জব সর্পাদির ন্যায় যিখ্যা? এই সংশগ্নের পুর্বপক্ষ কোচীতে 
গাওয়া যায়, সন্ধা অর্থাৎ স্বপ্নস্থানীয় স্থষ্টি সত্য । সন্ধ্য-শবে স্বপ্রস্থান। বেদেও 
স্বপনস্থান-অথে সন্ধ্-শবের প্রয়োগ দেখ। যায়। যষখা-“ভৃতীয় শ্বপ্রস্থান 
তাহা সন্ধ্য আখ্যায় অভিহিত।” যাহ। দুই লোকের 1 (ইহপরলোকের ) 


1 ইহ-পর-লোকের অন্তরালে বা সন্ধিতে জীবের এক প্রকার দর্শন 
অথব। স্বপ্ন-সদৃশ প্রতীতি উপস্থিত হয়। তাহা কাদা চিতৎক ও নিত্যন্বপ্লের 
তায় সন্ধ্য। বৃত্যুকালে যখন সমুদায় ইন্দ্রিগ্ নির্ব্যাপার হয় তথন আব সে এ 
লোক অন্ুুতব করে না। তখন দে বাপনা বা সংস্কারমাতজ অবলম্বনে 
এ৩ল্লোক অতি অন্পষ্টরূপে স্মরণ করিতে থাকে | এ সময়ে তাহার পূর্ববকর্ম- 
বলে মানস পরলোক ক্ষুত্তিরূপ জ্ঞান উদ্দিত হইতে থাকে। অর্থাৎ সে 
পরলোকে যেরূপ হইবেক সেইরূপটী তাহার তাবনা পথে আইসে। এই 
ভাবনায় জ্ঞান শ্বপ্রসর্ধশ বালয়। স্বপ্ন । এই স্বপ্ন উক্ত গ্রকারে লোকছয়ের 
সদ্ধিতে হয় বলিয়। সন্ধা, 


৪৪ জীবের সংসারগতি বর্ণন | 


অথব1 জাগ্রৎৎ ও নুযুণ্তি, এই ছুই অবস্থার সন্ধিতে বা অন্তরালে হয় তাহা 
সন্ধ্য। গুহ" বুযুৎপত্তি অন্থসারেও সন্ধ্য-শবে স্বপ্প। এই স্বপরস্থানের সৃষ্টি 
(ম্বপ্পে যাহা দেখ! যায় তাহ।) বস্তভৃত অর্থাৎ জাগ্রত সৃষ্টির ন্যায় সত্য। 
সত্য বিবার কারণ এই যে, প্রযাণরূপ! শ্রুতি তাহাকে সত্য বলিয়াছেন, 
"যথা--“অনস্তর রখ, রথ-যোগ ও পথ সৃজন করেন।” ““তিনই কর্ত। অর্থাৎ 
সথষ্টি করেন।” এই শেষ বাক্যেও উহার সত্যত। প্রতীত হয়: 


নির্মাতারঞৈকে পুত্রাদয়শ্চ ॥ অ ৩, প।২ সৃই। 


সুত্রার্থ--একে শাখিনঃ কামানাং নিম্মাতারমাতআ্মানযামনস্তি কামাশ্চ 
পুআাদয়ঃ | কাম্যা ইত্যন্মিযথে কাম] ইতি | কোন শাখা (বেদভাগ) 
বলিয়াছেন, সন্ধ্যস্থানে যে কাম্য নির্মাণ হয় তাহার কর্তা আত্মা। আত্মাই 
সেই সেই পদার্থ সৃষ্টি করেন অর্থাৎ দেখেন। 

ভাস্তার্২--আরও দেখ, কোন কোন শাখায় কথিত আছে, সন্ধ্য অর্থাৎ 
'ক্প্স্থানে কাম্যনিবহের অর্থাৎ অভীপ্সিত পুঝ্রাদি পদার্থের স্থাজনকর্তা আত্মা । 
যথা--“ইন্জ্িয়গণ সুপ্ত হইলে যে পুরুষ কাম অর্থাৎ বাঞ্ছিত পদার্থ সৃষ্টি 
করতঃ জ্াগ্রৎ থাকেন-- হত্যাদি। এই শ্রতিতে যে কামশব্ আছে, 
তাহার অর্থ পুত্রাদি কাম্য পদার্থ। যাহা কামের অর্থাৎ ইচ্ছার বিষয় 
তাহাও কাম। কাম-শক্ধের দ্বারা ইচ্ছা-বশেষহ কথিত হয়, অন্ত কিছু 
কথিত হয় না, তাহা নহে। কেন-না, “তুমি শতবর্ষজীবী পুত্রপৌন্ত্র প্রার্থন। 
কর” এই প্রক্রমের পর “শেষে তোমাকে কামভাগী অর্থাৎ পুক্রপৌত্রাদি- 
বিশিষ্ট করিব” এই বাক্যে প্রস্তাবিত পুন্রপৌঞ্জাদি পদার্থে কাম-শকের 
প্রয়োগ দেখা! বাইতেছে। অপিচ, প্রকরণ ও প্রস্তাবের শেষ বাকা, এই 
ছুএর দ্বারা জান! যাইতেছে, প্রাজ্ঞ আত্মাই এ সন্ধ্যস্থানীয় পদার্থের নির্মাতা 
অর্থা€স্সৃপ্টি-কর্তী । প্রকরণটী প্রাজ্জবিষয়ক | কেন-না উহা “যাহ। ধর্মতীত, 
অধন্দাতীত, কার্যকারণের অতীত, তাহা বল --” ইত্যাদিবাক্যের পর উক্ত 
হইয়াছে । প্রকরণের শেষেও ধন্মান্কতীত প্রাজ্জ আত্মার কথন আছে। 
যখা--.'সেই বস্ত্র শুক্র অর্থাৎ স্বপ্রকাশ ত্রন্ধ অর্থাৎ নিরতিশয় বৃহৎ অমৃত 
অর্থ মুক্ত। এই সমুদ্দায় পোক তাহাতেহ আশ্রিত (1স্থৃত ) এবং কেহই 
তথ্স্ত আতক্রম করিতে সমথ নহে।” যেহেতু স্বাপ্রিক সৃষ্টির অঙ্টা প্রাজের 


পন সুপকিত, ২৮ € বা পপ ই তে পা. সলমন ই লাখ খত 


জীবের সংসারগতি বর্ণন'। ৪১ 


প্রস্তাবে কথিত, সেই হেতু স্বাপ্রিক সৃষ্টির অঙ্টা প্রা্জ। গাজর জাগ্রৎ 
স্থষ্টি যখন সত্য; তখন তাহার স্বাপ্রিক স্থষ্টিও সত্য। এ বিষয়ে শ্রাতিবাক]ও 
আছে । যথা_“পণ্ডিতের৷ বলিয়াছেন, এই জাগ্রৎ স্থানও ইহার। ইনি 
জাগ্রংস্থানে যাহা দেখেন, তাহাই সুপ্ত অর্থাৎ স্ব স্থান স্থিত হ্হয়! দেখেন ।” 
এই শ্রুতি স্বপ্রের ও জাগ্রতের সাম্য দেখাইয়াছেন। অতএব, সন্ধ্য- 
সৃষ্টিও জাগ্রংৃষ্টিয় স্টায় তথ্যরূপা। এইরূপ পূর্বপক্ষ প্রাপ্ডে হত্রকার প্রত্যুত্তর 
বপলিতেছেন-- 


মায়ামাত্রস্ত কাৎমে নানভিব্যক্তত্বরূপত্বাৎ ॥ 
অ ৩, পা ২, সু ৩.॥ 


ুতরার্থ-_তু-শবদেন পুর্বপক্ষং নিষেধতি । সন্ধ্যে হৃষ্টির্ন পারমািকীতি 
যাবৎ। সা মায়ামাত্রং যায়াময্েব। যতঃ সা কাতক্বেণন দেশকালনিমিত্তা- 
দির্ূপেণ পরমার্থবস্ধন্মেপ অভিব্যক্তস্বরূপা ন ভবতি ততঃ সা স্ঙ্টিন 
পরসার্থরূপা কিন্তু মায়ামমী। জাগ্রদর্থহ্য সত্যত্বব্যাপকো যে! যো ধর্মঃ 
স্বপ্পে তদভাবোদৃষ্ঠত ইতি নিক্র্ষঃ ।--ন্বাপ্রিক সৃষ্টি জাগ্রৎ স্থষ্টির ন্যায় তথারূপ। 
নহে। তথ্গ্রতি কারণ এই যে, তাহা জাগ্রৎ্পদাখীয় ধন্ম সমূহের দ্বারা 
অভিব্যক্ত নহে অর্থাৎ প্রক[শিত নহে। (ভায্ানুবাদ দেখ )। 

ভাস্তার্থ-তু-শব্দ উদঘাটিত পুর্ববপক্ষের নিরানক। বলিপ্বাছিলে যে, 
স্বাপ্রিক স্থঙ্টি জাগ্রৎ শৃষ্টির স্টার সত্য; তাহা নহে। স্বাপ্রিক যায়ামর়ী। 
তাহাতে সত্যের নাম গন্ধও নাই | কারণ এই যে, তাহ! সম্পূর্ণরূপে 
অভিব্যক্ত নহে। সত্য বস্তর যে যে ধর্ম, সে সকল ধর্ম স্বপ্নের শ্বরূপে 
প্রকাশ প্রাপ্ত হয় না। দেশ, কাল, নিমিত্ত ও বাধরাহিত্য, এই গুলি 
স্ত্রস্থ কাৎন্গয-শঘ্ের ঘারা গ্রহণ করিবে । সত্যবস্ত দর্শনবিষন়ক দেশ কাল 
নিমিত্ত ও বাধ-রাহিত্য, এ সকল স্বাপ্প পদাথে সম্ভাবিত নহে। স্বপ্নস্থানে 
কি রথাদ্দি থাকিবার যোগ্য দেশ আছে? না এই সঙ্কুচিত দেহস্থানে রথাদি 
পর্য্যাপ্ত হয়? আচ্ছা, এমন হইতেও ত পারে যে, জীব দেহের বাহিরে 
শিল্প! স্বপ্পু দেখে ? জীব যখন দ্রেশাস্তরীয় দ্রব্য দর্শন করে, তথন কেন-না মলে 
করিব যে, জীব দেহ হইতে নিক্ষান্ত হইয়া স্বপ্ন সন্দর্শন করে? শ্রুতিও 
দেহের বাহিরে যাওয়ার কথা বলিগ্ধাছেন। ঘথা-_"নেই অমৃত পুরুষ (আত্মা) 

৬ 


৪ ' তত্বজানামৃত। 


কুলায়ের অর্থাৎ দেহ-গৃহের বাহিরে যথ। ইচ্ছা তথায় ইচ্ছান্থরূপ রিহার 
করেনঞ্"' আরও দেখ, জীব যদ্দি দেহ হইতে নিজ্ঞান্ত না হয় তাহা হইলে 
স্থিতি, গত ও ভিন্ন ভিন্ন জ্ঞানের কারণ ( অমুক স্থানে অবস্থান করিতেছি, 
যাইতেছি ও অমুক দেশের অমুক পদার্থ দেখ! হইল, এ সকল বা! ইত্যাদি 
গ্রকার স্বপ্ন ) সঙ্গত হয় না। প্রশ্নকারীর এই প্রশ্ন সাধু বা সঙ্গত নহে। 
কেন? তাহা বিবেচনা কর। ন্ুপ্ত জীব কি ক্ষণকালমধ্যে যোজন দুরে 
গিয়া পুনর্বার ফিরিয়া আপিতে পারে? না তাহার তাদশ সামর্থ্য সম্ভাবিত। 
(তাহা কি যুক্তির দ্বারা বুদ্ধিস্থ করা যায়?) আবার এমন ম্বপ্রও আছে, 
যাহ গ্রত্যাগমনবর্ষিত। ্রুতিও এরূপ একটী স্বপ্ন শুনাইয়াছেন। যথা _ 
“আমি কুরুদেশে শয্যায় শয়ন করিয়া নিদ্রায় অতিতৃত হইয়! স্বপ্নযোগে 
পাঞ্চালদেশে গেলাম এবং তনুহূর্তে প্রতিবুদ্ধ হইলাম। (সে দেশ হইতে 
আর প্রত্যাবর্তন করি৷ ঘটি না)" জীব য্দি সত্য সত্যই পঞ্চালদেশে যাইত 
তাহ। হইলে পঞ্চলদেশেই থাকিত, পঞ্চালদেশেই জাশ্ৎ হইত, কিন্তুসে 
পঞ্চালদেশে থাকে নাই, জ।গ্রৎও হয় নাই, সেই কুরুদেশেই আছে ও জাগ্রৎ 
হইয়াছে | সে স্বপ্নকালে বে-দেহে দেশান্তরে গিয়াছিল, পার্স্থ লোক 
ঠাহার সে দেহ শয্যাতেই অশস্থিত দেখিয়াছিল। অপিচ, স্বপ্নে যে-প্রকার 
দেশাস্তর দেখে, সে দেশান্তর ঠিক সে প্রকার নহে। বাহিরে শিয়া দেখিলে 
স্বপ্রে অবশ্যই জাগ্রদর্শনের সমান দর্শন হইত; কিন্তু তাহা হয় না। স্বপ্নে 
অনেক বিপর্যয় ও অল্পষ্ঠ দর্শনও হয়। দেহের মধ্যেই স্বগ দর্শন হয়. ইহা 
শ্রুতিও বলিয়াছেন । যথা--“'ধীহাতে দর্শন হয়” এই উপক্রমে বল! 
হইয়াছে “তিনি স্বীয় শরীরেই কামান্ুরূপ পরিবর্তিত হন।” অতএব, জীব 
দেহের বাহিরে স্বপ্ন দর্শন করে, এই শ্রুতির গৌণ ব্যাখ্যা গ্রহণ করিবে, 
তাহা হইগে আর ভ্রতি-যুক্তি-বিরোধ হইবে না। সে গোৌপ ব্যাখ্যা এই__ 
“অমৃত (আত্মা) যেন শরীরের বাহিরে গিয়া” ইত্যাদি । যে শরীরে 
থাকিয়াও শরীর দ্বারা গ্রয়োজন সাধন করে না, সে অবশ্তই শরীরবহিব্তার 
সায়। স্বপ্নে অবস্থান ও যাওয়া প্রভৃতিও এরূপ অর্থাৎ গৌণ (যেন 
যাইতেছে, ইত্যাদ্িবিধ) বলিয়া স্বীকার করিতে হইবে। স্বপ্পে কালের 
বিরোধিতাও দেখ! যায়। রজনী সময়ে স্বপ্নগত হইবামাত্র সবপ্তরষ্টা্র এই" 
তারতবর্ধেই দিবস দর্শন হয়। আরও দেখ, গ্থপ্প মুহছুর্থধাত প্রবর্তিত 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ৪৩ 


কিন্তু স্বপরত্রষ্টা কখন কখন দেখে, শত শত বর্ষ অতিবাহিতক্থাীম়াছে । 
স্বপ্রবিষয়িণী বুদ্ধির অথব! ক্রিয়ার উপযুক্ত নিষিতও নাই | (নিমিত্ত 
কারণ)। তৎকালে ইন্দ্রিযমগণ সুপ্ত, স্থতরাং তখন রথাদি দর্শনের 
উপযুক্ত চক্ষুরাদি ইন্্রিয় নাই। জীবের কি নিমেষকালমধ্যে রথাদি প্রস্তত 
করিবার সামর্থ আছে ? না তথায় কাষ্ঠাদি উপকরণ দ্রধ্য আছে? তাহ। 
নাই। আরও দেখ, স্বপ্নদৃষ্ট রথাদি জাগ্রদ্দশায় রঙ্ছুপর্পের ন্যায় বাধিত হয় 
অর্থাৎ থাকে না। অদর্শনপ্রাপ্ত হ়। অধিক কি, স্বপ্রকালেও তাহা বাধিত 
(লুপ্ত) হয়। স্বপ্নে নিশ্চয় হইল, এটী রথ, কিন্তু ক্ষণকাল পরে তাহা! আর 
রথ রহিল না। রধেন্প পরিবর্তে তাহা মনুষ্য হইলে, দেখিতে দেখিতে তাহা 
আবার রক্ষ হইল। রতি স্বপরনৃষ্ট বথাদির অভাব ম্পষ্টরূপে শুনাইয়াছেন। 
যথ।--“সে রথ নাই, অশ্বাদি নাই, পথও নাই।” ইন্যাদি। এই সকল 
কারণে স্থির হয়, স্বাপ্রিক্ক স্ষ্টি মায়িক অর্থাৎ মায়ামন্ত। 


সূচকশ্চ হি শ্রুতেরাচক্ষতে চ তদ্বিদঃ ॥ 
অ৩পা২,সু৪॥ 


সুত্রার্থ-মার়িকোহপি স্বপ্ন সাধ্বসাধুনোর্ভবিষ্যতোঃ সচকোহস্ুমাপকোহ- 
তস্তত্র পরমার্থগন্ধো!। নাস্তীতি ন বক্তব্যমূ। আয়তে হি শ্বপ্রন্য তবিষযৎসাধব- 
সাধুহ্চকত্বম। তদ্ধিদনঃ স্বগ্নবিদ আচক্ষতে চ। _-্বপর মা়ামাত্র সত্য; কিন্ত 
তাহ। ভবিষ্যৎ শুভাশুভের স্ুচক--অন্ুমাপক | কেন-না, শ্রুতি ও স্বপ্ন তত্ববিৎ 
পণ্ডিতগণ স্বপ্রের তদ্রুপ রূপতা বলিয়াছেন । 

ভান্তার্থ স্বপ্ন মায়িক ! সংস্কার-সহায় অজ্ঞানের পরিণাম বিশেব ), তাই 
বলিয়া তাহাতে সত্যের লেশ নাই, সত্যের সহিত তাহার আদৌ সম্পর্ক নাই, 
এমত নহে। স্বপ্ন তবিষ্যৎ শুভাশুভের কুচক। এ কথা শ্রতিতেও শুনা যায় 
এবং স্বপ্রতত্ববিৎ পঙ্িতেরা৬ সে কথ। বলেন। শ্রুতি যখ!--“যদি শ্বপ্রে 
কাম্যকর্দবিষয়ে স্ত্রী সন্র্শন করে, তাহা হইলে জানিবে, সেই স্বপ্ন দর্শনের 
দ্বার! সে কার্য্যের সমৃদ্ধি বা সুসিদ্ধি হইবে ।” “ন্বপ্ে বদি রুষ্ণদন্ত ও কৃষ্ণবর্ণ 
পুরুষ দৃষ্ট হয়, তবে, সেই ্বপ্ৃষ্ট পুরুষ তাহাকে বিনষ্ট করে।” উত্যাদিবিধ 
সপ্ন স্বপ্রত্রষ্টার যরণের নৈকট্য জানায়। স্বপ্রাধ্যায় ( শান্ত্রবিশেষ ) বেতৃগণও 
বলিয়াছেন, স্বপ্নে কুঞ্জবারোহ্ণাদি শুত এবং গর্দতারোহণাদি অণ্ডতত। মঙ্ত্রের 


৪8 তত্বজানামূত। 


দ্বারাসথরমিকতানুগ্রহের দ্বার! ও ওষধিবিশেষ সেবনের দ্বারা যে সকল স্বপ্পবিশেষ 
দৃষ্ট হয়, সে সকলের অনেকগুলি সত্য। ( এতাবতা এই বল! হইল ষে, স্বপ্ন 
নিজে মিথ) হইলেও তাহা ভবিষ্যৎ সত্য ঘটনার বোধক ) ফলিতার্থ ব 
অভিপ্রায় এই যে, শুচ্যমান বস্ত সত্য হয় হউক, স্চকম্ত্ীসন্দর্শনাদি মিথ্যা । 
প্রদর্শিত হেতু সমূহের দ্বারা স্বপ্রের মায়িকত্ব উপপ্ন হয়। স্বপ্নের উৎপপ্ডিরপতা 
পক্ষে যে শ্রুতিপ্রমাণ আছে, তাহ1 গৌণ অর্থে যোজনা কর। যেমন নিমিত- 
মাত্র লক্ষ্য করিয়া লোকে বলে লাঙ্গল গে! প্রভৃতিকে চালাইতেছে, বস্তুতঃ 
লাঙ্গল গবারদির চালক নহে; তেমনি, নিমিত্ত সামান্য লক্ষ্য করিয়া শ্রুতি 
বলিয়াছেন, সুপ্ত রথাদি সৃষ্টি করে এবং সুপ্ত রথাদির স্থজন-কর্তী। কিন্তু 
তিনি বাস্তব পক্ষে রথাদি স্যঞ্জন করেন না। স্বপ্নেও রধাদি দর্শনের পর 
হ্র্যবিষাদাদি হয়। . তাহাতে বিবেচনা করিতে হইবে, মানিতে হইবে যে, 
সেই সেই স্বপ্রসন্দর্শনের কারণীভূত সুরুত দুষ্ুত ( পুণ্য-পাপ ) সেই সেই স্বপ্ন 
সন্দর্শনের কর্তরূপ নিমিত্ত কারণ। অন্ত কথা এই যে, জাগ্রৎকালে 
বিষয়েক্দিয়সংযোগ থাকে এবং আদিত্যাদি প্রকাশক পদার্থের বাতিকর 
(মিশ্রণ, স্পষ্ট সম্পর্ক বা প্রকাশ ) থকে, সেই কারণে আত্মার স্বয়শ্রকাশতা 
তৎকালে দুব্বিবেচনীয় হয়। ন্মাত্মার ওপই ছুব্বিবেচ্য স্বয়ম্প্রকাশতাকে 
সুবিবেচ্য বা সুখবোধ্য করিবার জন্ত শ্রুতি কথিত প্রকার স্বপ্ন বর্ণন করিয়া- 
ছেন। ভ্রতি অর্থাৎ সাক্ষাৎ ভদ্বোধক শব্দ আছে বলিয়। যদি রথাদিস্ষটি- 
বাকের মুখ্যার্থ গ্রহণ কর, তাহা হইলে আত্মার স্বর়শ্রকাশত। সুখনির্ণীত 
হইবে না। অতএব, রথাদির অভাববাদিনী শ্রাতির সাহায্যে রথাদ্দিস্থষ্টি- 
বাকের গোৌণার্থ গ্রহণ করা উচিত। এতদ্বার! রথাদিক্ৃট্িক্রতির সায় নির্মাণ 
এ্তিরও গোৌণার্থ ব্যাখ্যাত হইল। বলিয়াছিলে যে, স্বাগ্ন পদার্থের নির্মাণ-কর্ত! 
প্রান্ত আত্মা, তাহ! সাধু নহে । কেন-না,অন্য ক্রুতিতে শুন! যাকস,তাহ] জীবেরই 
ব্যাপারবিশেষ । যথা--“জীব বিহত করিয়া অর্থাৎ জাগ্রদ্দেহ নিশ্চে্ট করিয়। 
নিজ্গ বাসনার ত্বার। বামনাময় দেহ নির্মাণ করতঃ স্বীয় বা স্বাশ্রিত বুদ্ধি-বৃত্তির 
(বুদ্ধিবৃত্বি-্- বুদ্ধির এক প্রকার অবস্থা) ও স্বরূপ চৈতন্যের দ্বার! স্বপ্রান্তব 
করেন।” কঠ শ্রুতিতেও “ইন্দিযগণ সুপ্ত হইলে এই যে ইনি জাগ্রৎ থাকেন” 
এতদতিধেয় প্রসিদ্ধ জীবাত্মার অন্বাদে জীবেরই কাম্য র্ট তব অর্থাৎ স্বাপ্- 
পদ্ধার্থের নির্মাভৃত্ব কথিত হইয়াছে । পরে “তিনিই শুদ্ধ ও ব্রহ্ম”? এই শেষ 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ৪৫ 


বাকো জীবের জীবত্ব নিষেধ পূর্বক ব্রন্মতের উপদেশ হইয়াছে খাট তম সি” 
ইত্যাদ্দি স্থলে যেমন প্রসিদ্ধ জীবান্ুবাদের পর জীবভাব নিষেধ ও তাহার 
ব্রঙ্গতাবের উপদেশ হইয়াছে, প্রদর্শিত স্থলেও সেইরূপ জানিবে এবং তাঙ্থা- 
তেই ব্রন্গপ্রকরণের বিরোধ বা বাধ হয়না। স্বপ্নে প্রাজ্জ আম্মার কোনও 
ব্যাপার নাই, এমন কথ। আমরাও বলি না। তিনি সর্বেশ্বর। সকল সময়ে 
ও সকল অবস্থায় তাহার অণিষ্ঠাতৃত্ব আছে। স্বপ্াশ্িত সি আকাশাদি 
সির হ্যায় গারমার্ধিক অর্থাৎ সত্য নহে; এইমাত্র অভিপ্রেত ব৷ প্রতিপাগ্ঠ। 
আকাশাদি সৃষ্টিরও আত্যপ্তিক সত্যতা নাই। সমুদায় প্রপঞ্চ মায়িক, মিথ্যা, 
এ সকল “তদনন্থস্থং,ঃ হুপ্ধে প্রতিপাদত হইম্াছে, দেখান হইয়াছে । যাবৎ 
ন৷ ব্রন্ধাত্মদাক্ষাৎকার হয় তাবৎ আকাশাদি প্রপঞ্চ যথাবস্থিতরূপে থাকে) 
কিন্তু স্বগ্নাশ্রিত প্রপঞ্চ প্রতিদিনই বাধিত ( অন্যথা ) এইমাত্র বিশেষ ব! 
প্রতেদ। 


পরাভিধ্যানাত্ত, তিরোহিতং ততো হস্থয 
বন্ধবিপর্যযয়ৌ॥ অ ৩, পা ২, সূ&॥ 


সুত্রার্থ_ঈশ্বরাংশো! জীবস্ততশ্চ তয়োজ্ঞানৈশ্বর্ষে] সম্মানে ইতি মত্াহ 
পূর্বপক্ষী পরেতি। তৎ্সমাধানম!হ-তিরোহিতমিতি। তুঃ পরাভিমতপক্ষ- 
ব্যাবত্ত/র্৫ঃ। পরাভিধ্যানাৎ পরমেশ্বরসন্কল্লাৎ সা সতোতিপক্ষে। ন সাধীয়ানি- 
ত্যর্থঃ। যগ্যাপ জীবস্তেশ্বরসমানধন্মত্মন্তি তথাপি তৎ তিরোছিতমাবৃতমে- 
বাস্ত্যবিষ্ঞয়া। ততস্তন্মাদেব নিমিত্ত্যদীশ্বররূপাদন্ত জীবগ্য বন্ধবিপর্যযয়ো 
বন্ধমোক্ষে ভবহঃ।--জীবই পরমাত্বা, পরমেশ্বর, তাহার সঙ্কলে সত্য সৃষ্টি না 
হইবে কেন? এ আশক্কা করিতে পার না। কেন-না, জীব ঈশ্বর হইলেও 
জীবের এশ্বর্ধ্য-শক্তি অবিদ্ার দ্বারা তিরোহিত আছে এবং বন্ধন ও মোক্ষ 
উচ্চয়ই ঈশ্বরনিমিভক | তায ব্যাখ্যায় বিশদার্থ বলা হইয়াছে। 

ভাস্তার্থ__বিস্ফুলিঙ্গ যেমন অগ্নির অংশ, জীব তেমনি পরষেশ্বরের অংশ। 
ধেমন দাহ-প্রকাশ-শক্তি উভয়েরই সমান, তেমনি জ্ঞনৈশ্্যযশক্তিও ছ্ীবে- 
খবরের সমান। জীব যখন ঈশ্বরাংশ ও এঙ্বরয্য-বিশিষ্ট, তখন এরূপ হইতেও 
পারে যে, এখধযবলে জীবের হৃষ্টি-সক্ষল্প হয়, সেই সক্কয়ে সত্য স্বপ্ন রথারদির 
সৃষ্টি হয়। ( ফলিতার্থ--সতাসক্কল্প পরমেশ্বরের সকলে সত্য হৃষ্টির সম্ভব 


৪৬ তত্বজ্ঞানামৃত। 


আছে গু" এই আপওির প্রতযাপভিতে বল! যায়, অংশাংশিভাব থাকিলেও 
জীবেশ্বরের বিরুদ্বধর্মবন্তা প্রত্যক্ষ । জীব অপত্সন্তল্প। কিন্তু ঈশ্বর সত্যসন্বয়, 
ইত্যার্দি। তবে কি জীবের ঈশ্বরত্ব নাই? নাই বলা যায়না । আছে, 
কিন্তু তাহা অবিষ্ঠাব দ্বার তিরোহিত অর্থাৎ আচ্ছাদিত (প্রতিবন্ধ ব] 
অনতিব্যক্ত ) আছে। আবরণ-বিধ্বস্ত হইলেই তাহা! অভিব্যক্ত ব৷ প্রকাশ 
প্রাপ্ত ( কার্য্যক্ষম) হয়। যেজীর পরষেশ্বরের অহংগ্রহ উপাসনায় রত থাকে, 
নিষ্পাপ, যতমান অর্থাৎ বৈরাগ্যবিশিষ্ট, ঈশ্বর প্রসাদে সেই জীবেরই 
অবিষ্তাবরণ তিরোহিত হয়, তখন তাহার স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞানৈশ্বর্যযশক্তি ঘথাবৎ 
আবিভূ্ত হয় | যেমন তিমিরযোগে দৃকৃশক্তি তিরোহিত থাকে, পরে ওষধ 
সেবায় তিমির বিনষ্ট হয়, তখন পুন্নবৎ দৃক্শক্তির আবির্ভাব হয়, সেষ্টরূপ। 
অতএব, থাকিলেও খ্বভাবতঃই যে সর্ব জীবের জ্ঞানৈশ্বর্ষ্য প্রকট প্রাপ্ত থাকে, 
তাহা থাকে না। সেই কারণেই ঈশ্বর নিমিতক বন্ধতাব ও মুক্তভাব। 
ঈশবর স্বরূপতঃ অক্ঞ।ত থাকায় বদ্ধ, পরিজ্ঞাত হইলে মোঞ্ষ। এ কথা ভ্তিও 
বলিয়াছেন। যণা সেই দেবকে অহংজানে জানিলে সযুদায় পাশের 
অর্থাৎ বন্ধন রজ্জুর (অবিগ্ভাদি ক্লেশ-পঞ্চকের) বিনাশ হয়। কেশ সকল 
ক্ষয় প্রাপ্ত হইলে তজ্জনিত জন্মমৃত্যুন্ূপ বন্ধনও প্রকুষ্টরূপে বিনষ্ট হয়।” 
তাহার অভিধ্যানে মর্ত্যদেহ পাত ও সিদ্ধদেহ লাভ হইলে (অহংগ্রহ 
উপাসনায় ) বন্ধ-মোক্ষ অপেক্ষা তৃতীয় অণিমাদিরূপ অষ্টেশ্বর্য ( অণিমা ও 
লঘিম! প্রস্ৃতি ৮ প্রকার শক্তি ) লাভ হয়, তৎপরে (ভোগান্তে) সে কেবল 
অথাৎ দ্ৈতরহিত ও আপ্তকাম (প্রাপ্ত স্বাআ্সানন্দ ) হয়। ( এইট শেষার্ধে 
সগুণ-জ্ঞানের ক্রুমযুক্তিফল বলা হইল এবং পুক্বার্দে নিগু পক্জানের মোক্ষকল 
বল! হইয়াছে, ইহ স্মরণ করিতে হইবেক )। 


দেহযোগাদ্ব1। মোইপি॥ অ ৩, পা১, সু৬॥ 

সত্রার্থ_.কিঞ্চ সঃ জ্ঞানৈশ্ব্ধযতিরোভাবঃ দেহ যোগ।ৎ দেহাদিসম্পর্ক।ৎ 
ভবতীতি শেষঃ ।__ীব ঈশ্বর সত্য) কিন্তু দেহ ও ইন্ত্রিয় প্রভৃতির সহিত 
ঘোগ অর্থাৎ সম্বন্ধ ঘটনা হওয়ায় তাহার জ্ঞান ও এশ্বর্ষ্য অতিভূত হইয়া 


আছে। 
ভাস্তাথ_জীব পরমাত্মাংশ, অথচ তাহার জ্ঞানৈশ্ব্য লুপ্ত, ইহার 


কারণ কি? যেমন বিশ্ফুলিগের দাহ-প্রকাশ-শজি অতিরন্বত থাকে, তেমনি, 


* | জীবের সংসার়গতি বর্ণন | ৪৭ 


জীবেরও জ্ঞানৈষ্বর্য্য অতিস্কত থাকা উচিত। ইহার প্রত্যুত্তর এই যে, তাহ 
সত্য বটে) কিন্ত দেহসম্বন্ধ ধাকায়-_ দেহ, উন্তরির, মন. বুদ, বিছীিটি তব ._ 
এই সকল থাকায়-তীহার ( জীবের ) জানৈশ্ব্য্য তিরোভূত আছে। 
ইহার দৃষ্টান্তও আছে। যদ্্রপ দাহ-শক্তি 'ও প্রকাশশক্তি থ।কিলেও 
কাণ্ঠান্তগ্গঁত বহ্ছির ও তক্থাচ্ছন্ন বহর তুহা তিরোভূত থাকে, তন্রপ, জীবেরও 
অবিষ্ভাজনতনামরূপকুতদেহাদি-সম্পর্কে জ্ঞানৈশ্ব্্য তিগোভূত ( বিলুপ্ত ) 
হয়। জীব ও ঈশ্বর অত্যন্ত ভিন্ন, এ আশঙ্ক। নিবারণার্থ সত্রে বা শব প্রযুক্ত 
হইয়াছে । যদ্দি বল, জীব ঈশ্বর হতে অত্যন্ত ভিন্ন, তাহাতেই জীবের 
জ্ঞানৈশর্ষয অল্প, দেহ-সম্পকে জ্ঞানৈশ্বষ্যের তিরোভাব, এ কল্পনার প্রয়োজন 
কি? প্রয়োজন আছে। জীবকে ঈশ্বর হইতে অত্যন্ত ভিন্ন বলিবার 
বাধা আহে। জীবের আত্যস্তিক ঈশ্বরতিন্রতা উপপন্ন হয় না। কেন? 
তাহ বলিতেছি। “সেই এহ দেবতা আলোচন! করিলেন ।' এই উপক্রষের 
পর বল হইয়াছে, “জীবরূপী আত্মা হইয়া অন্ধু গ্বেশ পূর্বক--। এই শ্রুতি 
আজশব্দের দ্বারা জীবের অন্ধসন্ধান (উল্লেখ) করিয়াছেন। ( ইহাতেও 
স্থির হইতেছে ষে, পরামাত্মাই জীবরূপে দেহাদিতে অন্ুপ্রবিষ্ট আছেন )। 
এতভিন্ত্র অন্ত এঞাতও আছে। যাথা--“হে শ্বেতকেতে! ! সে-ই সত্য, 
তিনিই আত্ম, তিনিই তুমি।” এ ঞতিও জীবের উদ্দেশ করিয়া তাহারই 
ঈশ্বরাত্বুতা উপদেশ করিয়াছেন অর্থাৎ জীবেশ্বরের অতেদ বর্ণন করিয়াছেন। 
এই জন্তই বলিতে হয়, মানিতে হর, জীব ঈশ্বর হইতে অভিন্ন হইলেও, ভিন্ন 
ন! হইলেও, দেহযোগ হওয়ায় বিলুপ্তজ্ঞানৈশ্বর্ষ্য হইয়ছেন । যেহেতু জীব 
তিরদ্কতজ্ঞানৈশ্বর্যয --সেই হেতু তিনি স্বপ্নে সংকল্পের দ্বার! সত্য রথাদি স্বজন 
করিতে পারেন ন1। স্বাপ্মিক সৃষ্টি সঙ্কল্পপৃর্বিক] হইলে কে1নও ব্যক্তি অনিষ্ট 
স্বপ্ন সন্দর্শন কারিত না। কে আপনার অনিষ্ট সঙ্কল্প করে? বলিয়াছিলে যে, 
জাগরিত-দেশ-শ্রুতি অর্থাৎ জাগ্রতের সমান স্বপ্ন, এই উক্তি স্বপ্নের সত্যতা 
স্থাপন করিবে, বস্ততঃ তাহা! করিবে না। সত্যতা অভিপ্রায়ে এ সাম! 
অভিহিত হয় নাই। স্বপ্ন জাগ্রৎবাসন! ( সংস্কার) প্রভব। সেই কারণে 
স্বপ্নকে জাগ্রত্ত ল্য বল! হইয়াছে। অন্তথা আত্মার স্বয়জ্প্রকাশতার ব্যাঘাত ও 
শতিতর্ভুক স্বাপ্ররথাদির মিথ্যাত্ব কখন বাখিত হইবেক1 উপসংহার এই 
থে, প্রদশিত কারথে স্বপ্ন মায়াময়। সত্য নহে। 


৪৮ ' তত্বজ্ঞানাযৃত । | 
এছদভাবৌনাড়ীযু তচ্ছুতেরাত্বনি চ॥ 
অ১অ৩, পা, সু৭॥ 


স্ত্রার্থ--তদভাবঃ স্বপ্নদর্শনাভাবঃ নুষুণ্তমিতি বাবৎ। সচ নাড়ীঘ মনি 
চেতি তবতীতি শেষঃ | কুতঃ? তচ্ছুতৈঃ। তো সুষুপ্তস্য তথা বিধত্বমুচ্যত 
ইত্যথ?। অনেন নাড়াদীনাং সমুচ্চয় উজ? |-_জীব নাড়ী সম্বন্ধ দ্বারা 
আত্মাতে ( আপন স্বরূপে ) সুপ্ত হয়, ইহ! শ্রুতির দ্বারা জানা যাইতেছে । 

ভাষ্যাথ--স্বপ্লীবস্থা বিচারিত হইল, এক্ষণে সুষুপ্ত্যবস্থা ধিচারিত হইবে। 
সুযুপ্তি-বিষয়ে এই সকল এুতি আছে । এক স্থানে স্তন! যায়, “'যে প্রকারে 
সপ্ত হয় সে প্রকার এই -জীব যখন সুপ্ত হয়, সমস্ত অর্থাৎ বাহ্‌ করণ নির্ব্যা- 
পার হয়, সম্প্রসন্ন অর্থ মনোলয় হেতু প্রসন্ন ( শান্ত শিব 'ও অধবৈতপ্রায়) 
হয়, জীব তখন, নাঁড়ীস্থানগত থাকেন।” অন্ত স্থানেও নাড়ী অন্ুক্রমের 
পর অভিহিত হইয়াছে, “সেই সকল নাঁড়ীর দ্বারা প্রতাবসর্পণ পূর্বক 
পুরীতত নায়ী নাড়ীতে শয়ন করেন।৮ অন্য শ্রুতিতেও নাড়ী উল্লেখের পর 
কথিত হইয়াছে_-'বখন সুপ্ত হন, কোন প্রকার স্বপ্ননন্দরশ্ন করেন না, 
তখন, অভিহিত নাড়ীস্থানে থাকেন। অনন্তর প্রাণের সহিত একত প্রাপ্ত 
হন।” আবার ঞত্যগ্তরে এইরূপ শুন যায়--“এই যে হদয়াস্তরস্থ আকাশ 
(ব্রহ্ম ), এই আকাশে শয়ন করেন ।” আবার অন্য এঞতিতে অন্ত প্রকার 
গুনাও যায়| যথা _“হে সৌম্য শ্বেতকোতো ! সেই সময়ে সৎসম্পন্ন 
(ত্রঙ্মলম্পন্) হয়।” “সেই সময়ে প্রাজ্ঞ আত্মায় সমাক পরিধষক্ত ( একত্ব- 
প্রাপ্ত ) হওয়ায় বাহা ও আন্তর জানিতে পারে না--বিভেদজ্ঞান থাকে ন1।” 
এই সকল শ্রুতির তাৎপর্যযার্থে সংশয় এই যে, শ্রত্যুক্ত নাড়ী, পৃরীতৎ, 
ও ব্রঙ্গ--এগুলি কি পরম্পর নিরপেক্ষরূপে বা পুথক পুথক স্তুপ্তিষ্থান ? 
অর্থাৎ কথন বাড়ীতে, কখন পুরীততে ও কখন ব্রহ্গে শয়ন করেন ? 
অথবা পরম্পরাপেক্ষরূপে একই স্ুপ্তিস্থান ? (ভাবা এই যে, জীব কি 
এ সকল পুথক্‌ পৃথক্‌ স্থানে বিকল্পে সুপ্ত হন? অথবা নাড়ীপথে পুরীতৎ 
গমন করতঃ ব্রন্মে শয়ান হন?) পূর্বপক্ষে পাওয়। বায়, এ সকল 
জুপ্তিস্থান পরম্পর নিরপেক্ষ অর্থাৎ স্বাধীন বাভিন্ন। অর্থাৎ বৈকাল্লক। 
ভিন্ন বা বৈকল্পিক হইলে এ সকলের একার্থত। স্থির থাকিতে পারে। 


জীবের সংপারগতি বর্ণন'। নং 


বে সকল পদার্থ একার্থ--এক প্রয়োজনের নিমিত্ত কধিত-এসুসকল 
পদার্থের পরস্পর নিরপেক্ষত| অর্থাৎ বিকল্প দুষ্ট হয়। ব্রা 
ও যব প্রভৃতি । ( পুরোডাশ প্রস্তত করণার্থ ব্রীহিষবের উপদেশ, সে নিমিত্ত 
তাহাদের পরম্পরাপেক্ষতা নাই । উহা কেহ কাহার অপেক্ষা করে না। 
তাহাতেই তাহাদের বিকল্প হয়। বিকল্প হয় কিনা, ব্রীহির দ্বারাও হয়, 
যবের দ্বারাও হয়, ইহা মীমাংসকদিগের সিদ্ধান্ত । ) সেইরূপ, শ্রতিতেও নাড়ী 
প্রভৃতির একার্থতা দেখ! যায়। নাড়ীতে গমন করেন, পুরীততে শয়ন করেন, 
এ নকল স্থলে তুল্যরূপে সপ্তমী বিভক্তির বিহ্াস আছে। (তাহাতে স্থিবু 
হয়, বুঝ। যায়, সুপ্তিরূপ প্রয়োজনের নিমিত্ত এ সকল স্থান তুল্যরূপে অবস্থিত। 
অর্থাৎ নাড়ী গত হইলেও স্ুাপ্ত হয়, পুরাততে শয়ন করিলেও স্বুপ্তি হয় এবং 
ব্রজে একত্ব প্রাপ্ত হইলেও সুপ্তি হয়।) যদি বল “সতা সৌম্য তদা--” এ 
আতিতে সপ্তমী বিভক্তি নাই, কিন্তু তৃতীয়া বিভক্তি আছে, তাহার প্রতুযন্তরে 
আমরা বলি, সপ্তমী [বন্তক্তি না থাকিলেও দোষ হইতেছে না। কেননা, 
এ তৃতীয়া সপ্তমী অর্থে ব্যবস্থাপিত। বাক্যের শেষে আছে, “জীব 
আয়তনাম্বেধী অথণং আশ্রপ্বান্বেধী হইয়া ঘতে (ব্রন্মে) উপগত হয়।” “অগ্ 
কোথাও আশ্রয় লাত না করিয়া প্রাণে উপগত হয়।” (প্রাণ_ সং ঝা 
ব্রঙ্গ)। আয়তন বা আশ্রয় সপ্তমী বিতক্তিরই অর্থ। বাক্ক্যশেষে স্পঞ্ট 
সপ্তমী বিভক্তিও আছে । যথা-__“নতে সম্পন । একীভূত ) হুইয়াও তাহারা 
জানে নাযে, আমরা সতে অথ ব্রন্ষে সম্পন্ন ( একত্ প্রাপ্ত ) হইয়াছি।” 
বিশেষ বিজ্ঞানের অথাৎ ঘৈতজ্ঞানের উপশম হওয়ার নাম সুপ্তি, তাহ! 
সর্ধজ্জই লমান। (নাড়ীস্কানে, পুরীততে ও ব্রন্ষে। সর্বস্থানেই সমান, ইতর- 
বিশেষ নাই )1 এ সকল দেখিয়! বলা যায়, জীব সুযুপ্তির উদ্দেশে নাড়ী, 
পুর্বীতৎ্" ও পরমাত্মা এই তিনের বিকপ্লিত বা অন্ততম স্থানে উপদর্পিত হন। 
এই পুর্বপক্ষে উপর বলা হইয়াছে, তদতাঁব নাড়ীতে ও আত্মায় ঘটনা হয়।, 
তদভাব শবের অথ" স্বপ্নদর্শনের অভাব অর্থাৎ সুবুপ্তি। তাহা মাড়ী ও 
আত্মা উতয়সমুচ্চিত স্থানে হয়। অথাৎ জীব সুবুপ্তির ন্ঠ একযোগে নাড়ী 
প্রভৃতিতে উপগত হন। বিকল্পে অথাৎ কখন নাড়ীতে ও কখন পুরীতৎ 
প্রভৃতিতে, এরূপে উপগত হন না। কেন-না এতি এরূপ হওয়ার কথাই 
বলিগ্নাছেল। নাড়ী, পুরীতৎ ও সৎ (ক্রন্ধ) এই তিনই সুপ্তিষ্থান বলিয়া 
ও ণ 


ষ্ঠ ' তত্বজানাগৃত। 
শ্তুংকেতিহিত আছে। সে অভিধান বাসে সকল সমুচ্চর় পক্ষেই দঙ্গত, 
বিকল্প পঙ্ষে বাধিত। এক প্রগ্নোজনে কথিত ব্রীহিযবাদির স্তায় সুপ্ডিকূপ 
এক প্রয়োজনে কথিত নাড়]াদির বিকল্প গ্রহণ যুক্তযুক্ত নহে । এক বিভক্তি 
নির্দেশ থাকিলেই যে একাথ” ( এক প্রয়োজন ) ও বিকল্প হয়, তাহা হয় না। 
নানার্থতা ( অনেক প্রয়োজন বা অনেক উদ্দেস্ঠ ) ও সমুচ্চয় ( যদ্দারা! একই 
কার্ষা ছুএর বা ততোধিক পদাথের যোগ ) এই উভয় স্থলে এক বিতক্তির 
প্রয়োগ দেখা যায়। প্রাসাদে শয়ন করে ও পধ্যন্কে শয়ন করে, ইত্যাদির 
গায় (কণন প্রাসাদে, কখন পধ্যঙ্কে, এরূপ বকল্প নহে) নাড়ীতে পুরীততে 
ওব্রঙ্গে সুপ্ত হয়, এইরূপ সমুচ্চয় হওয়াই যুক্তিযুক্ত বা সঙ্গত। ক্রতিও 
সুযুপ্তিতে নাড়ীর ও প্রাণের (ক্রন্দের ) সমুচ্চয় শুনাইয্সাছেন। যথা--“যখন 
সেই নাড়ীসমূহে থাকেন, তখন সুপ্ত হন, কোনও প্রকার স্বপ্ন দেখেন না। 
অনন্তর এহ প্রাণে (পরমাখ্মায়) একীভূত হন।” এস্থলে একবাক্যে উভয়ের 
গ্রহণ হওয়ায় সমুচ্চয় অথই প্রতীত হইতেছে । এাঁতস্থ প্রাণশব্দ যে রঙ্গের 
বোধক, তাহা “প্রাণন্তথান্্রগমাৎ্” সুত্রে পাওয়া [গয়াছে। যে শ্রুতিতে নাড়ী 
নিরপেক্ষ (তন্ন বা স্বতন্ত্র) নুপ্তিস্থান বলিয়। প্রভীত হয় যথা--:সেই সময়ে 
(তিনি এই সকল নাড়ীতে সুপ্ত হন অর্থাৎ সঞ্চরণ করেন” হত্যাদি, পে সকল 
শ্রুতির অর্থগ্রহণকালে বুঝিতে হইবে, এ্রত্যন্তর প্র সন্ধ ব্রন্মের নিষেধ না থাকায় 
জীব নাড়ী সঞ্চরণ পূর্বক ব্রচ্দে গিয়া সুপ্ত হন। এক্স অর্থ সপ্তমী বিভক্তি 
বিরুদ্ধ নহে। ফলিতার্থনাড়ীপথে ব্রঙ্গে উপসর্পিত ( অবস্থিত ) হইয়া 
যেন নাড়ীতেই আছেন। যে গঙ্গা দিয়া সাগরে যায়, অবশ্যই তাহাকে 
গঙ্গাগত বলা যায়। এ সকল শ্রুতির এ তাৎ্পধ্যও হইতে পারে থে, 
ব্রহ্ধলোকের পথ নাড়্যাকার রাম অথবা বশ্মিসন্বদ্ধ নাড়ীরূপ পথ। * সেই 
কারণে নাড়ীর প্রশংসার্থ এরূপ নাড়ী সুপ্তির কথন হইয়াছে। শ্রুতি 
- “নাড়ীতে সুপ্ত হন” এই কথার পর: সেই কারণে কোনও পাপ তাহাকে 


* মঙথুয়ের শিরঃকপালে একটী লুপ্ম ছদ্র আছে, তাহার নাম বন্য, । 
এ ব্রদ্ধরন্ধ, দিয়া সব্বদাই হুম্মনাড়ীসদৃশ জ্যোতিঃ নিঃসৃত হইতেছে। সেই 
জেযোতন্ময় নাড়ী কুর্যযলোক পর্য্যন্ত স্পর্শ করিতেছে (হূর্যযকিরণম্পর্শ দ্বার] )। 
ঘোগীর। প্রাণত্যাগ পূর্বক এই ব্রন্মগন্ধ, দিয় নাড়ী পথে পরলোকগামী হল 
.ইইয়। হুর্্যাপি ক্রমে ত্রহ্মলোক গমন করেন। | 


জীবের সংগারগতি বর্ণন'। &৯ 


স্গর্শ করে না” এইরূপ বলিয়! নাড়ীরই প্রশংস1 করিয়াছেন ৯৫৩৪ রণে 
পাপস্পর্শ হয় না তাহাও বলিয়াছেন। যথা--“সেই কালে তিনি তেঞজঃ- 
সম্পর হন )” অভিপ্রায় এই যে, নাড়ীগত পিশ্তনামক তেজোঘ্বার। তাহার 
ইন্জিয় সমুদায় অভিভূত হয়, সেই কারণে সে আর বাহিক বিষ ঈক্ষণে 
সমর্থ থাকে না। অর্থাৎ বিশেষ বিজ্ঞান-রহিত হয়। অথব। এরূপ বলিতে ও 
পার যে, তেজঃ শবে ব্রহ্ম, নাড়ী সঞ্চয়ণ করিতে করিতে তাহাতে সম্পন্ন 
অর্থাৎ একত্থ প্রাপ্ত হয়, সেই ক্লারণে পাপ তাহাকে স্পর্শ করিতে পাবে না। 
(দ্বৈত বিজ্ঞানও রহিত হয়)। তেজঃ শবের ব্রন্গার্থতা। শ্রত্যন্তর প্রসিদ্ধ । 
দেখ, "ব্রদ্ধই তেজ 1" এই আুতিতে ব্রন্মে তেজং-শদ্ধের প্রয়োগ হইয়াছে। 
পাপম্পর্শ না হওয়ার কারণ ব্রহ্ষপম্পন্ন হওয়া । ব্রন্গপ্রাণ্ত হইলে পাপ 
তাহাকে স্পর্শ করে না, এ তথা "যেহেতু এই ব্রঙ্লোক নিম্পাপ-_সেই হেতু. 
সমুদায় পাপ তাহা হইতে নিরত্ত হয়।” এই শতির দ্বারা জান গিয়াছে। 
তাহাতে শিদ্ধাপ্তলাত হয় যে, প্রদেশান্তর প্রসিদ্ধ ব্রহ্মই স্ুৃপ্তগ্থান, নাড়ীনমূহ 
তাহার অন্ুবল (দ্বারন্বরূপ) মাত্র । আপচ, ব্রন্দের প্রস্তাবে পুথীততের কখন 
থাঞ্চার জান! যায়,পুরাতত স্বুপ্তিস্থানটা ব্রন্ষেরই অন্ুগুণ ব্রহ্ম গমনের উপায়)। 
*এই যে, হদয়ান্তবর্তী আকাশ, জীব এই আকাশে সুপগ্ত হয়।” শ্রুতি 
এইরূপে বদ কাশকে স্ুপ্ডিস্থান বলিয়। প্রপ্তাব করিয়াছেন, পরে এ প্রস্তাবেই 
ব্পিয়াছেন *পুরীততে শয়ন করে ও সুপ্ত হয়।” পুরীতৎ্ শক হৃদরবেই্টন। 
ধে তন্মধ্গত আকাশে শয়ন করে, অবশ্যই বল! যায় সে পুরীততে শয়ন 
করে। যে প্রাচীরপরিবেষ্টিত পুরে বিরাজ করে, অবশ্হ বলা ষায়সে 
প্রাকারে বপধাঞ্জ করে। হ্বনয়াকাশ-শবে ব্রদ্ধ, ইহা “হর উত্তরেভ)১ 
স্তরে পাওয়। গিয়াছে । “নাড়ীর দ্বার প্রতিগমন করে? কিয়] পুরীততে 
ঝুগত হয়।” এই ভ্রুতিতে একত্র কথন হেতু নাড়ীপুরীততের সমুচ্চয়ই প্রতীত 
হয়, বিকল্প গ্রতীত হয় না। সতের ও গ্রাজ্ঞের ব্রঙ্গতা সব্ধত্র. প্রসিদ্ধ অর্থাৎ 
সমূর্ধায় স্থলেই সৎ শবে ও প্রা শবে ব্রহ্ম বুঝায়। এ সকল শ্রতিতে নাড়ী, 
পুরীতৎ ও ব্রহ্ম, এই [তনই সুপ্তিস্থান বলিয়া! কথিত হইয়াছে সত্য) কিন্ত 
তন্মধ্যে নাড়ী ও পুরীতৎ্ এই দুইটি স্ুপ্তিষ্থান ব্রঙ্গপ্রাপ্তির ছ্বার স্বরূপ। 
বন্ততঃ ব্রদ্দই সুপ্তির অনপায়ী ( অনশ্বর ) মুখ্য বা অদ্বিতীয় স্থান। আরও 
দেখ, নাড়ীই হউক, আর পুরীতৎ-ই হউক, বাহ! জীবোপাধির আধার 


&২ '_ তত্তবজ্ঞানামৃত। 

বিমর্ষ হইবে অবশ্তই তাহাতে ইন্জ্িয়গণ বিদ্বমান থাকিবেক। 
কিন্তু উপাধিসন্বন্ধ ব্যতীত ছীবের স্বতঃ আধারতা অসভুব। কারণ, দীধ 
উপাধিশৃস্ত হইলেই ব্রদ্গািন্ন হয় এবং ব্রহ্মও শ্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত ( বিরা- 
জিত)। (অভিপ্রায় এই যে, স্ুযুতিতে উপাধির লয় হয়, সুতরাং বর্ষ 
ব্যতীত অন্য কিছু--পুরীতৎ অথব! নাড়ী মুখ্য সুপ্তিস্তান হইতে পারে না)। 
জীবের ব্রহ্মাধারতও সভ্তবে না। কেন-না, বে জীব, সে-ই ব্রহ্ম । নুযুপ্তিতে 
আধারাধেয়ভাব ভেদ্কথন অতিপ্রার উত্ত$ হয় নাই। সে ভেদ প্রকৃত 
হইলে তাদাম্ম্-শ্রতির গতি কি হইবে? তাদাত্য বা অভেদ-শ্রুতি 
যথা_-.হে সৌম্য! জীব সেই সময়ে সতের (ত্রঙ্গের ) সহিত সম্পন্ন বা 
অভিন্ন হয়। -স্বরূপ প্রাপ্ত হওয়ায় সুপ্ত হয়।১ অন্য কথা এই যে, যাহা যাহার 
স্বরূপ তাহা তাহ! হইতে চাত হয় ন| বলিয়া যে কোনও কালে জীবের 
্রন্বত্বপ্রাপ্তি হওয়া নাই, এমত নহে। স্বপ্নে ও জাগ্রতে উপাধিসম্পর্ক থাকায় 
পররূপাপত্তির স্তায় থাকেন, কিন্তু সুুতিতে তাহার উপশম ( অভাব ) হক্স | 
তাহাই তাহার স্বরূপ প্রাপ্তি ও সংসম্পন্ন হওয়া এবং তাহাই শ্রুতির 
বিবক্ষিত। অতএব, স্বুমুপ্তীপস্থা় কখন সংসম্পন্ন ও কখন সৎসম্পন্ন 
নহে, এ কথা অযুক্ত অর্থাৎ অপঙ্গত। (যখন নাড়ীতে ও পুরীততে 
সুপ্তি, তখন সৎ সম্পন্ন নহেন।) ইচ্ছ! হয় স্কানবিকল্প (হয় নাড়ী স্থানে 
না হয় পুরীততে সুপ্তি হয় ইহা । স্বীকার কর, কিন্তু তাহাতে বিশেষবিজ্ঞান- 
নিবৃতিরূপ স্ুযুপ্তর বিশেষ (তেদ) হইবে না। সর্বত্রক্ট একত্ব ও সৎ্সম্পন্নতা 
হেতু বিশেষবিজ্ঞান রহিত হয়, ইহাই যুক্তি ও শ্রুতি উতয়পিদ্ধ। এঞতি যথা 
_-৫সে সময়ে কে কি দিয়াকি দ্োখবে? ইত্যাদি । নাড়ীতে ও পুরীততে 
(হৃদয়বেষ্টনান্তরে ) শয়ন করিলে যে বিশেবাবজ্ঞান থাকিবে না, তত্প্রতি 
ফোন কারণ নাই। আত্মৈক ব্যতীত অন্ত সমস্তই ভেদের বিষয়--ভেদ- 
জ্ঞানের স্থান। শ্রতিও বলিয়াছেন, “আত্ম! যে-সময়ে অন্তের স্তর থাকেন 
বা হন পেই সময়ে অন্থ হইয়া অন্য দর্শন করেন যদ্দি বল, তৈতাজানের 
প্রতি দূরত্বাদি কারণ থাকিতে পারে, দুরত্বাদি দোষেঃ দ্বৈত অজ্ঞাত থাকিতে 
পারে, তাহাতে আমর! বলিব, তাহ] সত্য বটে; পরন্ত জীবের পথ্বন্ধে তাহ। 
র্বাভীবিক'নহে। বিষুমিত্র দুরদেশে, সে জন্ত সে আপন গৃহ দেখে না। 
কিন্তু জীব সেরূপ দুরবর্তী নহে। জীবের সম্বদ্ধে নিদ্নঘ এই যে, দৃষ্ত হইতে 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। &৩ 


থে ষ্টার দুরবত্তির তাহা উপাধিক। কেন না, জীব দ্বতুুপুরিচ্ছিন্ন নহে; 
উপাধির ঘারাই পরিচ্ছিন্ন। যদি উপাধি-নিষ্ঠ দৃরতা তাদৃশ জীবিজ্ঞানের 

কারণ, ইহ? স্বীকার কর তাহা হইলে মানিতে হইবেক,* গ্রদশিতস্থলে 
উপাধি নাই। উপাধি স্টউপশান্ত হইয়াছে, সুতরাং সংসম্পন্ন (ব্রহ্মসম্পন্ন ) 
হওয়ায় দ্বৈতাতাবশতঃই তৎকালে দ্বৈতজ্ঞান অর্থাৎ ভেদজ্ঞান থাকে 
ন1। শেষ কথা এই যে, আমরা নাড়ী প্রভৃতির সমুচ্চক়তা মুখারূপে 
প্রতিপার্দন করি না। ,কন-না, নাড়ী সুপ্তিস্থান? কি পুরীতহ স্ুপ্তিস্থান ? 
ইহা জানিবার অল্পমাত্রও গরয়োজন নাহ। তঘিজ্ঞানের কোনবূপ 
ফলও নাই এবং তাহা কোন ফলগ্রদ্দ পদার্থের অঙ্গও নহে । একমাত্র ব্রহ্ধই 
অনপায়িম্প্তিষ্থান, এভাবৎ মাত্র তত্ব আমাদের. প্রতিপাদ্য এবং তাহাই 
জানিবার প্রয়োঞঙ্জন। উহাতে শীবের ত্রহ্ষাত্বতা নিশ্চয় ও স্বপ্র-জাগ্রৎ" 
ব্যবহার হইতে তিনি মুক্ত হন, এ নিশ্চয় এই দই প্রয়োজন সিদ্ধ হয়। 
এই সকল কারণে স্বীকাধ্য হয়, আত্মাঃ স্ুপ্তিস্থান | 


অতঃ প্রবোধোহম্মাৎ ॥ভা ৩, পা২,সু৮॥ 
নুত্রার্থ--অভঃ অস্মাৎ কারণাৎ আত্মনং সুপ্তিষ্থানত্বাদিত্যথ? | অন্মাৎ 
আত্মন এব প্রবোধঃ স্তাদতি যোজনা । যেহেতু আত্মাহ স্ুপ্তিস্থান-_ 
আত্মাতে (অ।পনার স্বরূপে) সুপ্ত হয়, পেই হেতু আত্ম। হইতেই প্রবুদ্ধ বা 
উত্থিত হয়। 
ভান্তার্থ যেহেতু আত্মাই সুস্তিস্থান, সেই হেতু বা সেই কারণে শ্রুতি 
ুযুপ্ত্যধিকারে নিত্য নিয়মিতরূপে মাতম হইতে প্রবুদ্ধ ( জাগ্রং অবস্থা / হওয়া 
উপদেশ করিয়াছেন। “এ সকল আবার কোথা হইতে আপিল?” এই 
প্রশ্নের প্রতুাত্তর প্রসঙ্গে গ্রুতি বলিয়াছেন “যেন অগ্রি হইতে ক্ষুত্ ক্ষত 
পরুলিঙ্গ বহির্গত হয়, সেইরূপ, আত্মা হতে এই সমুদায় প্রাণ (ইন্জরিয়) 
বহিরাগত হয়|” ইতাদি। “সৎ (ব্রহ্ম) হইতে আসিয়াও জানিতে 
গারে না যে আমরা সৎ হইতে আসিয়াছি।” ইত্যাদি। স্ুপ্তষ্থান যদি 
বিকল্পিত হইত, পৃথক্‌ পৃথক হইত ( কখন হয় নাড়ী, কন পুরীততৎ হইত) 
তাহা হইলে শান্্রও বলিতেন যে, কখন নাড়ীস্থান হইতে প্রবুদ্ধ হয়, উত্থিত. 
হম, কখন ব। পুরীত২ হইতে প্রবুদ্ধ হয়, উখিত হয়। কিন্তু শাগ্ব তাহ! 
বলেন মাই। অতএব, মায়াই সুপ্তিস্থান, ইহ। অশংসগিত সিঙান্ত। 





রি “অজ্ঞান মুক্ত. আরা 
পক্ষে শইতাত্য[গস ও রুতপ্রণাশ এই ছুই দোখি ুমিবাধধয |. ( সা, 
কতক, ৭৫ভাগ করিল না)আর প্রবুদ্ধ বা উখিত আত্মা কিছু না করিয্াও 
ভোগ করিলএ নিশ্চয় বা এ সিদ্ধান্ত যুক্তি বহিতূতি)। এই সক কাগণে। 
থে. আত্মা সুপ্ত হয় সেই আত্মাই উঠে - প্রবুদ্ধ হয়। বলিয়াছিলে যে, যেমন 
জলরাশিতে জল(বন্দু প্রক্ষিপ্ত হইপে সে জলাবন্দুর উদ্ধার (উঠাণ) অশক।, 
তেষমি, জীব পতে (ব্রদ্দে) একীভূত হইয়া বাওয়ায় সে জীবের উত্থান 
কসম্ভব। এই আপত্তির নিরাপ এইরূপে হইতে পারে। জলরাশিমধ্যগত 
'জলবিদ্দ উদ্ধার অশক্য লতা; কেন না, সেস্থলে বিবেক্-কারুণের অভাব 
আছে (পৃথক করিবার ব! জানিবার উপায় নাই )। কিন্তু প্রকৃত স্থলে 
গনাইান্তিকে অর্থাৎ সুপ্ত জীবের উথান পক্ষে) তাহার অভাব নাই। 
গ্রকুতস্থলে বিবেক-কাধ্ধণ বিশেধরূপে বিগ্কমান আাছে। জীবের কর্ম 
৮9. বিগ্কা অর্থাৎ জ্ঞান, এই ছুএর দ্বার। সেই ক না তাহা বিবেচিত 

তে পারে। অতএব, জলপ[শিতে জলবিন্দুধ প্রবেশ, আর পরমাজ্ম 
রা প্রবেশ সমান নহে । তাহ। পারামশ্রিতরূপ নহে । ক্ষার-নীর হইতে 
ঙ্ীর উদ্ধত করিবার ক্ষমতা অস্মদ|াদর না থাকলেও তাহ! হংসঙ্জাতীয় 
জীবের আছে। অন্য কথা এই থে, পরমাক্মা হইতে পুণক্‌, এমন কোন জীব 
সবাক পদার্থ নাই যে তাহাকে গলরাশি হইতে অপবিন্দুর ম্টায় পুথক্‌ 
'কঙ্গিবার চেষ্টা করিবে। পরমাম্মাই উপাধিসম্পর্কে কল্পনায় জীব নাম প্রাপ্ত 
'ছহ়াছেন, ইহা বার বার বল! হইয়াছে - দেখান হইয়াছে । অতএব, যাবৎ 
অক উপাধিতে বন্ধের অন্্বপ্তন--ভাবৎ এক জীব বলিয়া ব্যবহার এবং 
সপাধ্যস্তরে অর্থাং অন্য উপাধিতে বন্ধ।মবপ্তন হইলে তাহা অন্য জীব বলি 
ব্যবহৃত হয়। বীগরাপ্ুরসমান স্ুযুপ্তি ও জাঞরৎ এই ছুএর মধ্যে একই উপাধি 
টিবমান, নুতরাং সেই একই জীব উতয়াবসথায় স্থিত। অর্থাৎ যে সুপ্ত হয় 
নই জীবই প্রবুদ্ধ হন, এ ।নর্ণয়ই যুক্তিযুক্ত | 


ুগ্েহ্ধসম্পততিঃ পরিশেষাৎ॥ অ ৩, পা ৯, সৃ১০ ॥ 


যি 
ক 
১, 
। ন্‌ 


1... সজার্থ-পরিশেষাৎ জাগ্রাদাদিবৈলঙ্গণ্যাৎ মুগ্ধে মৃচ্ছিতেত্সম্পততিঃ সর্ধ 
যা দিংশৈরসমপরত জ্ঞাতব্যা। সর্বৈঃ শুযপ্তিবন্থৈরসন্পননে। বুদ্ধ: সুযুগ্তো 
নি ভবতি সর্বৈধরণাখস্থাধন্ম্ৈরনদ্পতেমূতোহপি ন কিন্বস্থান্্ং, গত ইতি 


জাবের সংসারগতি বণন। ৫৭ 


তাঁবঃ।---জাগ্রণ্ স্বপ্ন) সুযুপ্তি, মরণ, এই চার অবস্থার যু পুজী্ছিত 
অবস্থাটা অতিরিক্ত | কেন-না ইহাতে অর্ধসম্পন্্তা দৃষ্ট হয়। (ফোন কোন 
জাগ্রতধন্ম দৃষ্ট হয় এবং কোন কোন স্ুযুণ্তযাদধন্মও দৃষ্ট হয়। সুতরাং 
ূঙ্ছ। অর্ধসম্পত্তি বলিধ। গণ্য ;। 

ভাত্তার্থ-যুগ্ধ-নামক এনটী অবস্থ। আছে, লোকে যাহাকে মুচ্ছ? বলে, 
সম্প্রতি সেই অবস্থার পরীক্ষ। হইবেক। শনীরস্থ জীবের প্রধানহঃ তিনটা 
অবস্থা প্রাসদ্ধ। জাজ স্বপ্ন ও সুমাপ্ত । এতত্িন্র আব এক্টী অবস্থা 
আছে তাহা শরীর হইতে অপপর্পণ 1 যপণ )1 এ অবস্থাটা চতুথী বলিয়া 
গণা। জীবের এই চার অবস্থা বাতীত অন্ত কোন অবস্থা! শ্ততে ও 
স্মৃতিতে প্রখ্যাত নহে। সেই কারণে পাওয়া বান, বলা যায়, মুগ্ধ ব। 
যুচ্ছিতাবস্থাটী এ চারের মধ্যে একটা । এতৎ প্রাপ্তে 'বল। হইল, যুদ্ধে- 
ইন্দিনম্পর্তিঃ। মুগ্ধাবস্থাটী খাখববস্থ!মধ্যে নিবিষ্ট শহে। কেন-ন, মুচ্ছিত 
পুরুষ তত্কাঁলে ইন্দ্রিয় দ্বারা ববরাস্বতণ করেন না। যে অবস্থায় ইন্দ্রিয়ের 
স্বার। বস্ত জানা যায সেই অবস্থার নাম জঠাত। এ লক্ষণ মুগ্ধ অবস্থায় নাই)। 
আচ্ছ। এমন হইতেও ত পারে যেও মুগ্ধ ইমুকারের গাষ? ( ইনুক্কারল 
শরনিশ্মাতা শিল্পী) ইমুকার যেমন জাগ্রৎ থাকিয়াও শএসক্ত চিত হওয়ায় 
বিষয়ান্তর দর্শন করে না, তেমনি, মৃচ্ছিত ব্যাক্জও প্রহ(রজনিত ছুঃথানু ভব- 
নিষগ্র থাকায় বিষয়াস্তর দর্শন করতে পারে না। এহ বিষয়ের প্রতাত্তর- 
তাহা নহে। কেন-ন। মুগ্ধের চৈতন্য থাকে না-চৈতন্য লুপ্ত থাকে। 
ইযুকার ইযুনন্মাণ ব্যাপারে নিমগ্র থাকে বটে; কিন সেবিরতব্যাপার 
হইলে বলে, এতক্ষণ আমি ইবৃমাজ দেখিতেহিলাম, অন্য কিছু দেখি নাই। 
কিন্তু মৃচ্ছিত পুরুষ সংঙ্ঞালাতের পর বপে, এ পর্য্যগত মামি ঘোর অজ্ঞানান্ধ- 
কারে নিপতিত ছিলাম, অচেতন ছিলাম । ( শামার কিছু মাত্র চৈতন্য 
ছিল না )। মারও দেখ, জাগাৎকালে চিত্ত একবিষয়াসক্ত থাকিলেও 
তাহার দেহ বিধত থাকে কিন্তু মুচ্ছিতের দেহ ধরণীতে নিপতিত হয়। 
প্রদশিত কারণে মুগ্ধ পুরুষ জাগ্রৎ নহে | মুগ্ধাবস্থা স্বপ্রাবস্থাও নহে । 
তত্প্রতি হেতু সংজ্ঞাতাব। স্বপ্বস্থাম সংজ্ঞা থাকে, চ্ছান থাকে, মুচ্ছিতের 
তাহা থাকে না। যুচ্ছিত মৃতও নহে। তত্প্রতি কারণ। ঘুচ্ছিতের দেহে 
প্রাণ ও উদ্ম। থাকে । জন্ত মৃচ্ছিত হইলে লোকে জীবিত আছে কি মৃত 

৬ 


৫৮ তহজানামুত | 


হইয়া সংশয় করণে, অনন্তর উন্মা (তাপ) আছে কি-না জানিবার 
জন্য তাহার ছৃদয়দেশে হস্তার্পণ করে। পরে প্রাণ আছে কি-না জ।নিবার 
জন্ নাসিকাদেশে হস্তার্পণ করে। যদ্দি প্রাণের ও উদ্মার অস্তিত্ব অন্গুভূত 
না হয় তবে তখন তাহারা নিশ্চগ্ধ করে, এ ব্যক্তি মৃত হইয়াছে । তখন 
তাহর দেহ দাহার্থ শশানভূমে লইয়। যায়। যদি তাহার প্রাণের ও উন্মার 
অস্তিত্ব জানিতে পারে, তাহ! হইপে নিশ্চয় করে। এ মরে নাই, জীবিত 
আছে। তখন তাহার স'ঞ্জালাভার্থ যত্রবান্‌ হয়। অপিচ, মুগ্ধের পুনরুথান 
হয়, মরণ হইলে তাহা হয় না। যে যখলোকে গিয়াছে সেকি আর 
তদ্দেহে ঘমলোক হইতে প্রত্যাগহ হয়? মুচ্ছ কালে সংজ্ঞা থাকে না, 
সুখদুঃখমুক্তিও হয়, স্বরাং মুচ্ছ। স্ুমুপ্তি ফীপো নিবিষ্ট । ইহার প্চ্ঠান্তর 

তাহা নহে । কনন।, তছুগুবের মধো বৈলক্ষণ্য আনে । মুচ্ছিত জন্ত ঘখন 
দীর্ঘকাল রুদদখাস থাকে, তাহা দেহ অনেক্ক সময়ে কল্প থাকে, তাহার 
মুখ ভীষণঢূগ হয়, নেএও বস্ধাপিত হয়; কিন্ত শুমুপ্তের বদন স্বপ্রসহ্ণ, নে 
নিমীলিত এবং দেহ নির্চ“প এবং তাহার শবাসপ্রশ্বাস সমান নিয়মে নিব্দাহিত 
হয়। অপিচ হল্তাপমসণ দ্বারা লুমপ্তকে উাপিত করা যায়, কিন্ত যুগ 
প্রহারেও মাঙ্ছতের উদ্বান হর না। যুচ্ছ।র ও সুযুপ্তৰ কারণ এক নহে 
কিন্ত তিন্ন। প্রহাগা'দকা€ণে যৃচ্ছা হয, ইঞ্ডিমক শ্রম কারণে সুমুপ্তি হয়। 
অপিচ, কোনও লোকে যুচ্ছিভকে সুপ্ত বলে না? এষ সকল কারণে, 
পরিশেষ প্রযুক্ত, মুগ্ধ তা অদ্ধসম্পন্তি বলিয়া গণ্য । ( সম্পন্নও বটে, অসম্পন্নও 
বটে। এক অংশে সম্পন্ন, অন্ত অংশে অসম্পঃ, সুতরাং অদ্ধসম্পন্ন ) সংজ্ঞা- 
শন্তত] বিধায় সম্পন্ন এবং সুষুপ্তি ও মরণ হইতে বৈলক্ষণা খাকায় অসম্পন্ন। 
যদি খল, মৃচ্ছা অর্ধসম্পত্তিবূপ। এ কথা বলিতে পার কৈ? শ্রুতি ুযুপ্তি 
বণনায় বলিয়|ছেন-...তখন সংসঞ্প্ন হয়” এ সময়ে চোরও সাধু হয়। 
“দিন ও রাখি এ মর্যাদা উল্লঙ্ঘন করে না” ণজণা, মৃত্যু, শোক, সুক্কত, 
ছষ্ুত? এ সকল, কিছুই থাকে না।” ইত্যাদি । ভ্রীব যে স্থুকৃত ছৃষ্কত অর্থাৎ 
পুণাপাপ প্রাপ্ত হ্গ তাহা স্ুথিত্ব দুঃখিত্ব জ্ঞান পৃর্বক। কিন্তু স্ুযুপ্তিতে 
স্থিত জ্ঞান থাকে না, ছুঃখিত্ব জ্ঞানও থাকে না। অতএব, উপাধি উপশান্ত 
( নিবৃন্ত। হওয়ার বৃচ্ছাও সুধুপ্তির ন্যায় পূর্ণসম্পত্তি, অন্ধসম্পত্ত নহে। উহার 
প্রত্ুত্তর এই যে, আমরা এমন কথা বণি না যে, মুচ্ছাকালে জীবের ক্রদ্গ 


জীবের সংসারগতি বর্ণন'। ৫৯ 


অর্ধসম্পত্তি হয়। আমরা বলি, যুচ্ছায় সুযুণ্তি পক্ষের অর্ধীলন্ষপদ্পাম্মনুঞঞ্জরের 
অর্ধ লক্ষণ আছে। মুচ্ছার ও ন্মযুপ্তির বৈষমা দেখান হইয়াছে 1 মুগ্ধ 
মরণের দ্বার স্বরূপ। যদি তাহার (যুর্ছিতের ) কম্মাশেষ থাকে, তবে তাহার 
বাকা ও মন প্রত্যাগমন করে, নচেং উহাতে প্রাণ ও উদ্মা পর্যান্ত অপগত 
হয়। সেই কারণে ব্রদ্ষজ্ঞগণ অর্ধসম্পত্তি বলিতে ইচ্ছা করেন। বলিয়াছিলে 
যে পঞ্চমী অবস্থার প্রসিদ্ধি নাই, তাহার প্রত্যুত্তর এইট যে, প্রসিদ্ধি না থাকায় 
কি দোষ হইতেছে? মুচ্ছিতা বন্থা নিতাযবৎ নছে, কদাচিৎ হয়। তাহাতেই 
উহ্থার ভত প্রসিদ্ধি নাই । অপিচ, ঞততে ও স্মৃতিতে উহ্হাব্র প্রসিদ্ধি না 
থ!কিলেও লোকে ও আঘুব্বেদে উহার প্রসিদ্ধ আছে। অপি, অর্দসম্পন্তি 
বলিষা গণ্য হওয়ায় উহা! পঞ্চমন্থানে গণ্য হইঠে পারে না। 

উপরে জীবের ভিন ভিন অবস্থা বর্ণিত হইল। এক্ষণে শিচার্যা এই ষে, 
শাস্ত্রে আছে, নিগুণ সগুণ ত্রন্গোপাসাসকের দেহ পাতকালে পাপ পুথ্যের 
বিনাশ হয় । এম্কলে !গ্রজান্য -তাত়শ উপাগক সকলই কি অবিণেষে দেবযান 
পথে গমন করে, বাবিতাগ ক্রমে ? এ বিষয়ে যে শান্ধীয় সিদ্ধান্ত আছে তাহ 
নিয্বোক্ত কতিপয় গে মীমাংসত হয়ছে! তথাহি, 


সম্পারায়ে তর্তব্যাভাবীক্তথা হ্থান্টে ॥ 
অ৩,পা ৩ সু২৭॥ 


গরার্থ-সাম্পরারে দেহত্যাগন্তাঙে অথবা মপ্থ[ৎ প্রাক সুকতদ্যত- 
(য়াহানস্ভবভীতি শেষঃ। অত হেতুঃ -তর্ভপ্যাভাবাদিতি। সম্পরেতস্য ক্িৎ 
কালং কঙ্সপত্ে ফলাভাবাৎ দেবযান-প্রবেশাযোগাচ্চাদাবের ক্ষ ইতি 
হেতুপদানামর্পঃ। অন্তে শাখিনঃ শাট্যায়নিনঃতথা আছরিতি যোঞ্জনীয়ম্‌ !- 
অশ্ব যেমন মন পুরাতন রোম ত্যাগ করি নিম্মল হয) ভেমনি, দেহ 
ত্যাগের পুরে জ্ঞানীর পুণ্যপাপ ক্ষয় হয়। ইহ। শাট্যায়ন শাখার কথা। 
আবার কৌধীতকি শাখাস্থ শুতি বালরাছেন, অদ্দ পথে সুরত দুতে বিধুনিত 
হয়। এই দ্বিবিধ বাকা দৃষ্টে সংশয় হয়) কোন্‌ ত্রতি বলবতাঁ। তাহার 
সিদ্ধান্ত--মধ্যে তর্তুব্য অর্থাৎ মধ্যে পাপপুণ্যের প্রাপ্তব্য ফল না থাকায় দেহ 
পাত সময়েই জ্ঞানীল্স পুণ্যপাপ বিধুনিত হয়, ইহা অবশ্য স্বীকার্ধ্য। এ কথা 
শাখান্তরেও স্পষ্টতঃ কথিত হইয়াছে। 

তাস্যার্থ কৌধীতকি-শাধাধ্যামীরা পর্যাঙ্কবিগ্। পাঠ করেন । দত যণ1-- 





ভাত বরাত 4৬৫18:81 দর 


৬৪৫ ততুজ্ঞানা মৃত | 


জ্ঞানই: রি থ পর্য্যক্কস্ ত্রন্গের অভিমুখে গ্রস্থিত হইলে অধ্ধপথে তাবু 
সুকৃত । | পুণ্য-পাপ) বিরাম গ্রাপ্ত হয়। কৌষীতকিক্রতি--“সেই 
জ্ঞানী অর্থৎ নিগুণোপাপক দেবযান পথ প্রাপ্ত হই অথিলোকে গমন 
করে।” এইরপে প্রস্তাবারন্ত করিঝ় বলিয়াছেন “অনন্তর সে বিরজ্গা নদীতে 
আইসে- তাহা! সে মনের দ্বারাই অতিক্ম করে এবং তংপরে সে পুণ্যপাপ 
বিধৃত ( ত্যাগ) করে।” এইস্তানে বিচার্য্য জ্ঞানী কি এততহ্রুতি অনুসারে 
সেই অদ্ধপথে পপপুণ্যশন্ত হয়? ক দেহত্যাগকালে সুকৃত দু্তপরিহীন হম । 
আতিপ্রামাণা স্বীকার করিতে গেলে উক্ত ঞুত্যগ্রপাবে ইহাই পাওয়া যায় যে, 
অর্ধপথে পুণ্যপাপ পরিভাল্ত বপাপক্ষর় প্রাপ্ত হয়। 'আচাধ্য ব্যাস এই 
সংশয়ের সিদ্ধান্তার্থ ২৭'ক্ত্র বলিয়াছেন জ্ঞানী যখন দেহ হইতে অবস্থপ্ত হয়, 
দেহ পরিত্যাগ কৰে, তখনই জ্ঞানের শভিতে তাহার স্বকৃত দুক্কত প্রক্ষয় হইয়া 
থাকে। এই প্রতিজ্ঞার সাধক হেতু তত্তৰা!ভাব অর্থাৎ ফলপ্রা-প্তর অতাব। 
বিদ্বান যখন বিদ্যার দ্বার! ব্রন্ষপ্রাপ্ত হইবার জন্য প্রস্তুত হয়, ঘাট্কৌশিক 
দেহ পরিতাগ করে, আর্থাং বিদেহ হয়, তধন হইতে--ব্রগগপম্পনন হওয়। 
পর্যন্্--মধ্যে যে যৎকিঞ্িহ ক্ষণ অবস্থিত, সে বতকিঞিৎ ক্ষণে সুকৃত-দুষ্কত 
থাকার কোনও রূপ কার্য ব। ফল থাকা আত ও অনুমিত হয় না। সুরৃত- 
ুষ্কতের দ্বারা গ্রাপ্তধ্য অর্থাং পুণ্যাপুণের ফপভোগ যদি তৎকালে না-ই 
থাকিল, তবে আর ক্িসের গন্য ৩ৎকালে স্ুকৃত দুষ্কৃতের অস্তিত স্বীকার বা 
কল্পনা করবে? বিশেষতঃ সুকৃত-দুষ্কত উভণই খিগ্যাবিরোধী, সুতরাং 
বিদ্যার সামর্ধো উভয়েরই ক্ষ হওয়। স্বীকার । বিদ্কা ফলোশ্ুখী হইবামাত্রই 
তদভয়ের ক্ষয় হওয়া যুক্তিপিদ্ধ। আতিতে যে অদ্ধপথে তছুতথ্রর ক্ষয় হওয়! 
পঠিত হইয়াছে, প্রদর্শিত যুক্তি অবলম্বনে বুঝিতে হইবে যে, তাহা ওপচারিক। 
পূর্বেই সুকুত-দুষ্কত য় হইয়াছিল, এরি তাহা নদী উত্তরণানস্তর বিজ্ঞাপিত 
করিয়াছেন মাত্র। তাতী ও শাট্যামনী এই দুই শাখা নদী সম্তরণের পুর্বে 
নুককৃত-ছুষ্কৃত ক্ষয় হওয়ার কথা বলিয়াছেন। যথা--“অশ্ব যেমন রোম বিধৃত 
করিয়। নির্মল হয়, সেইরূপ, এই জ্ঞানীও পাপ বিধুন করিয়া” “তাহার 
পুত্রের তাহার দায় (ধনাদি), সুহদ্দেরা তাহার সৎকার্য্য (পুণ্য) এবং 
শক্রগণ তাহার পাপ উপল।ত অর্থাৎ গ্রহণ করে|” ( এই ছুই শ্রুতিতে দেহ- 
ত্যাগের সঙ্গে পুণ্যপাপের ত্যাগ স্প্টতঃ উপদিষ্ট হইয়াছে । ) 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ৬১. 


ছন্দতঃ উভয়াবিরোধাৎ॥ অ৩, পানপাপসু্৮। 


সুত্রাথ- মুতস্য যথাকামং বিগ্য[নুষ্ঠানানুপপত্তেরভয়ো বিবদীকর্ক্ষয়য়ো- 
হেঁতুফলভাবে! বিরুধ'তে। অপিচ, তব মতে সতি হেতো ন কার্যযবিলম্ব 
ইতি ন্যায়বুংহিততাঙ্যাদিশ্রতিবারোধ এব স্তাৎৎ |. অস্মৎপক্ষে ত্বিরোধ 
এব ম্যাদ্িতি ক্ত্রতাতপর্যাম। ছন্দতঃ ইচ্ছাতঃ।--বাদীর পক্ষ উভয়বিরুদ্ধ । 
পরস্ত অস্মৎপক্ষ উভয় প্রকারেই অবিরুদ্ধ। অভিপ্রায় এই ফে, দেহ পাতের 
পর অভিলাধান্ুূপ বিগ্যাজ্জন করার অধিকার থাকেনা । তাহা না থাকায় 
পুণাপাপক্ষয়রূপ কার্যোর সহিহ বিগ্ারূপ কারণের সম্বন্ধাভ।ব ঘটন? হয । 
যাহা! কারণ-তাহাকে কার্ষোর অবাকাহত পৃর্বঙ্গণে থাকিতে হইবেই 
হষ্ঠটবে | স্তরাৎ বিলম্ববাদীর মতে কারণহ্থের বাথাত। অথব] উপযুক্ত 
কারণ বিদ্যমান থাকিপে কার্যোত্পত্তির অবিলন্বই, ন্যায়োপেত, বিলম্ব 
হওয়। ন্যায়বাহা। 

ভাম্গাথ'_ ত্যক্তদেহ ও দেবঘান পথে প্রস্তিত জ্ঞানীব যদি অর্ধীপথে 
পুণ্যপাপ ক্ষয় হওয়া স্বীকার কর তাহা হইলে দেহপাতের পর সে ইচ্ছাপুর্বক 
যখনিয়মাদ্িবিগ্ঠাত্যাসাম্মক পুণাপাপ ক্ষয়ের কারণ উপাজ্জন করিতে ন! 
পারায় বিদ্যাত্র ও বিগ্ভাফল পুণাপাপক্ষয়ের কার্য-কারপ ভান সংবক্ষিত হউবে 
না। ক্ণ্তি দেহপাতের পূর্বে পাধকাবস্থায় যেমন ইচ্ছা তেমনি বিগ্ঠানুষ্ঠান 
করে ও করিতে সমর্থ; তংপুর্বক (বিচ্কাকারণক ) পুণ্যপাপের হানি অর্থাৎ 
প্রক্ষয়। ইন্ধাই দ্রষ্টব্য অর্থাৎ ক্দীকার্ষা হয়। এরূপ হষ্টলেই ভাগ্ডিশাখাস্থ শ্রুতির 
ও শ্াট্যায়ন-শাখাস্ত শ্রতির সঙ্গতি হয়» এবং বিদ্যার ও বিদ্তাফল পুণ্যপাপ 
ক্ষয়ের নিমিত্ত-নৈমিত্তিকতাবও সংরক্ষিত হয়। 


গতেরর্৫থবতৃমুভয়থান্যথ| হি বিরোধঃ ॥ 
অশ১, পাও, সু ২৯।॥ 


সুত্রার্থ-উভয়থ! মবিভাগেন গতেদ্দেব্যানস্ত পথোহর্থবন্তং সাঁফল্যং ভবি- 
তুমর্তি। ছি যতঃ। অন্যথা বিতাগেন বিরোধ এব স্যাৎ। পাপপুণ্য 
প্রক্ষয়ের নিকটে কোন কোন এতিতে দেববান পথের শ্রবণ আছে, কোন 
কোন শ্রুতিতে তাহার শ্রবণ নাই। তাহাতে সংশয় হয় অবিশেষে কি 
দেবধান পথ লাভ হইবে? কি বিভাগক্রমে (কোন উপাপনার ফলে দেবধান 





০০০০০০১০০১০: 


৬২  তত্বজ্ঞানামুত । 


পগ এবং নুন গান বিগ্ভার ফলে অন্ত পথ) লন্ধম হউবে 1 পংশয়ের দিদ্ধান্ত 
পক্ষ এক ।বতাগ ক্রমেই দেবধান *হির সার্থক্য লাভ হইবে। ইহার 
বিরুদ্ধপক্ষে রো আছে। 

ভাষ্যাথ কোন কোন এতিতে পাপপুণ্য বিনাশের সন্নিধানে দেবযান 
পথের শবণ আছে এবং কোন কোন এতিতে তাহা নাই। (মরণের পর 
জ্ঞানীর পুণ্যপাপের বিনাশ ও দেবধঘান পথে গমন হয় কিন্তু কোন কোন 
শুতিতে কেবল পাপপুণ্য বিনাশের উল্লেধ আছে, দেংযানপথের উল্লেখ 
নাই )। তাহাতে সংশঘ হয়, সর্ঘএই কি প্ুণাপাপ বিনাশের সঙ্গে অবিশেষে 
দেবযান গতি শন্বিত হহবে+ ক এ দেবযানগতি বিতাগক্রমে উপস্থিত 
(লাভ) হইবে? অর্থাং,.কোন কোন জ্ঞাণার দেবযানে গতি ও কোন কোন 
জ্ঞানীর অন্য পথে গতি, এইরূপ ব্যবস্থ। হইবে? পৃব্বের পিদ্ধান্ত অনুসারে 
সর্বত্র সমানরূপে দেশযান গতি লব্ধ হইতে পারে। | পূর্বের সিদ্ধাপ্ত এই যে, 
পুণপাপ হ্ানর সঙ্গে ঘবিশেষে অর্থাৎ সন্দজ্র উপায়নের অন্ুবত্তন স্বীকত 
হয়। তর্ষ্টান্তে অবিশেষে অর্থাৎ সব্দঞ্জ বা সমুদয় উপাসকের দেবযান পথ 
লব্ধ হইতে পারে ।)। এঠরূপ পৃব্ব পক্ষ প্রাণ্ডে সিদ্ধান্ত বলা হইতেছে 
বিভাগ ক্রমেই দেবধান শথ প্রাপ্তব্। আভাগে বহে! আবশেষে গাত 
অঙ্গীকার করিতে গেশে খিখোধ উপস্থিত হইপে। *দেবযান গতি “জ্ঞানী 
পুণ্যপাপ বিধত করি নিরঞ্জন ৬ পরমণাম্য ' ব্রহ্ম) প্রাপ্ত হন, এত্ৎ প্রাতিরু 
বিরুদ্ধ। যেনিরগ্রন অগঞ্ত--সে কি প্রকারে কোন্‌ দেশান্তররে গমন করিবে? 
তাহার গন্তব্য পঠমসাম্য (তরঙ্গ )। তাহা দেশান্তর প্রাপ্তির অদীন নছে। 
অতএব, পরমসম]প্রাপ্তিহথলে গতিশ্তির আানর্থক্যই বিবেচিত হয়। 


উপন্নস্তলপক্ষণার্থোপলব্বেলেণিকবৎ। 
অ ৩, পা ৩, সু ৩০ ॥ 


সুত্রার্থ - সাগতিল্ল ক্ষণং কারণং যন্যাইথ স্য স তল্পক্ষণাথস্তস্ঠো পল্ধিস্তম্মাৎ 
গতিএতেরুতয়থাভাব ৬পপন্ো বুক্তঃ1 লোকবৎ লোক ইব। যর দেশান্তর- 
প্রাপ্তিবূপা গতিবপেক্ষতে তত্র তশ্যাঃ সার্থক্যং যন্ত্র তদ্বিপর্ধ্য়স্তত্র গরতিকারগা- 
ভাবাৎ নৈরর্থকামিত্যদোষঃ। সগুণোপাসনায়াং গতেঃ কারণভূতোইথ” 
উপলভাতে ন নিগুণবিষ্যারাং সুতরাং গতিশ্্তেরুতয়থাভাব এবসবমিতি 


জবর সংসারগতি বর্ণন। ৬৩. 






নুঞ্জতাত্পধ্যম1--উপালকের ধেববান পথে গতি হয়, টা সে এ 
তির অর্থ সগ্ুণ উপাসনাকেই স্পর্শ করিতেছে, নিগুণ 17নীসনা স্পর্শ 
করিতেছে না। একই এ্রু'তর এরূপ দ্বেবিখ্য লোক দৃষ্থাত্তে সঙ্গত হইতে 


পারে। গতির কারণীভূত বস্ত সগ্ডণ বিদ্যাতেচ দেখা যার, নিগুণ বি্ায় 
নহে। (ভাষ্য ব্যাখ্যা দেখ)। 


ভাস্যার্থ এ উত্য়খাভাব অর্থাৎ স্থলাবশেষে গতিএতির সার্থকা ও 
ইলবিশেষ নৈরর্থকা, ইহ অনুক্ত নহে) প্রত্যুত যুক্তিপিদ্ধ । কেন-না। 
পর্যযক্কগ্য! প্রভৃতি সগুণবিদ্যা স্থলে গতির কারণীভূত অর্থ উপলব্ধ হম্। 
পর্যক্কবিগ্ায় গতির ( প্রাপ্তর | কারুণীভূত বু অর্থ আছে। পর্যযক্কারোহণ, 
পর্যস্কসথ ব্রদ্মের সঠিত কথোপকথন, বিশিইই গঞ্ধাদি প্রাপ্তি, ইত্যাদি ইত্যাদি 
দেশাস্তর প্রাপ্তর অধীন পু প্রকার ফল এত আছে স্তর সগুণোপসকের 
সন্বন্ধেই গঠি-এতির সাথকা . কিন্তু জ্রানীর সম্বন্ধে তাহার নৈরর্থকা। 
খাহাপ জ্ঞানে আম্মাতিবিক্ত নস্ত নাই, যে আগ্ুক্ম, এতংশরীরে যাহার 
সমুদায় ক্লেশবাজ দগ্ধ হইয়াছে, সে কেখল প্রারন্ধ কম্মের। যে কন্ম ভোগবিতে 
আর্ত কারয়ছে অর্থাৎ শরীর গন্মাইয়ছে সেহ কম্মের । ক্ষয় প্রতীক্ষা 
কারতে গাক্ে। তোগ দ্বাধা প্রারন্ধ কের ক্ষয় হইলেই তাহারা কতার্থ 
তয়। তাঁহাদের সন্বঙ্গে গতিশগতর সার্থক্য কি? (তাহাদের তস্থানাস্তর 
গ্রমন নাই।।) এ বিভাগে লৌকিক বৃষ্টগ্ত অনুসরণীয় এবং লৌকিক্‌ 
দৃষ্টান্ত অনুমারে এরূপ বিভাগ স্বীকার্্য। যেখন লোক মধ্যে দেখা যায়, 
গ্রাম পাইতে হইলে দেশান্তর প্রাপুক পথের প্রয়োজন, কিন্তু আরোগা 
পাইতে হইলে দেশাস্তও প্রাপক কোন কিছুর প্রয়োজন নাই; সেইব্ধপ, 
জ্ঞানীর পক্ষেও ব্রহ্ম প্রাগুতে লোকান্তর প্রাপক পথের প্রয়োজন নাই। 
চতুথাধ্যায়ে এ বিভাখ বিস্ৃতরূণে প্রদর্শিত হইবে। 


অনিয়মঃ সর্ববানামবিরোধঃ শবানুমানাভ্যাম ॥ 
অ ৩,পা ৩, সু ত৬॥ 


হজ্াথ--সর্বাসাং সঞগ্গানাং বিগ্ভানাং অনি্যমঃ অবশেষ এব আবরোধোই- 
বিরুদ্ধ ইতি শব্গান্ুমানাত্যাং শ্রঠিস্বতিভাং বিজ্ঞাযতে। শব তি এবং 
অন্থমান স্বতি। এতন্ৃভয়ের ভ্বাঝা সগ্ুণ উপাসন। সাধারণ্যে দেবযান গতি 
লাভ হয় বলিলে বিরোধ থাকে না। (ভাস্তান্থুবাদ দেখ)। 


* ৬৪ ' তত্বজানা মৃত । 


তাস ধরব হইল যে, সপ্ণ বিদ্তাতেই ( উপাসমাতেই ) গতি-্রতির 
সাথকা,।.. ৭ পরমাস্মবিগ্ঠায় নহে। কিন্তু কোন কোন বগুণবিদ্যাতে গতির 
শ্রবণ আছে, সকল সগুণবিদ্যায়--গতিশ্রনণ নাই । পর্ষ)ক্কাবদ্যার, পঞ্চাপ্নি- 
বিদ্যায়। উপকোশলবিদ্যায় ও দহরবিগ্ঠাঘ দেবযান গণি শুনা যায়, অন্যত্র 
নহে। অথাৎ মধুবিদ্যায়। যোড়শকলবিদ্যার ও বৈশ্বানরবিদ্যায় তদগতির 
অশবণ নাই। সেই জন্ত লংশয় হয়, যে, যে ধিদ্যায় (উপাস্নায়) তদগতিবু 
শ্রবণ আছে, সেই সেহ বিদ্যাতেই কি দেবযান-গাত লব্ধ হইবে ; অথবা 
তজ্জাতীয় সমূদায় (সগুগ উপাসনা মাতে প্রোজিগ:ত অনুগমন করিবে? পুবব- 
পক্ষে নিয়মের প্রাপ্তি । অথাৎ তাহা সার্বিক নহে? াকন্তযেযে বদ্যায় 
গতিশ্রবণ আছে সেই সেই বিদ্বাতেই এ গতিব প্রাপ্তি, এহরূপ অর্থ ই লব্ধ 
হয়| প্রকরণ মাঞ্জেই নিয়ামক, সুতরং উহা যেযে গ্রকরণে ঞত সেই সেই 
প্রকরণেই উহার প্রাপ্তি, হহা নিঘ্মিত। এক উপাসনার আহপদাথ যদ অগ্ঠ 
উপাপনায় নন্বিত বা সন্বপ্ধ হইত ৬াহা হলে এভ্যাদির প্রামাণা থাকত ন। 
(কিন্তু করাত) প্রকরণ, স্বানঃ সমাথা। অথাত শাম, সমন্তহ বানযোগ্গক বিষয়ে 
প্র্াণ। এ কথ) পৃ্বমীমাংসায় ব্যক্ত আছে। এ' ৩ অথাৎ সাক্ষাৎ অধ 
বোধক শব্দ) এবং সমস্তহ সব্গ্তর অঙ্গ হইতে পাঠ আরও দেখ, 
এক অচ্গিরাধি গতি অপাং দেববান পথ উপক্টে(শলবিদ্যার ও পথ গ্রাবদ্যায় 
তুপ্যরূপে পঠিত হইয়াছে । উহা যাঁদ সমুদায় বিদ্যার প্রাপ্য হয় তাহা 
হইলে এ পুনবিচন অবশ্যই নিরর্ক। এই সকল কারণে বলিতে হয় যে। 
উহা! ( দেবধানাদি পথে গাত ) শিরমিত বা! ব্যবস্থিত অর্থাৎ যথাশ্রুত 
বিদ্যাতেই প্রাপ্য । এই পৃথ্বপক্ষের প্রতিপক্ষে হুএ বলা হইল অনিয়ম: 
সর্ধাসাম। যে সকল উপ[সনার ফল অভ্যুদয় প্রাপ্তি, সে সকল বা তাদৃশ 
সগুণ উপাদন! মাঝেই অনিয়মে অর্থাৎ নিব্বিশেষে (তুল্যরূপে) এ দেবযান 
গতি লব্ধ বা অন্বিত হইভে পারে। এবছ্িধ অনিয়মের স্বীকার প্রকরণ 
বিরুদ্ধও নহে। কারণ এই যে, উহ! শব্দ ও অনুমান অর্থাৎ শ্রুতি ও স্থতি 
উতভগ্পেরই দ্বারা প্রান্ত হওয়া যায়। (প্রবল শাতি স্বাতর নিকট প্রকরণ 
দুর্বল) সুতারাং এ সিদ্ধান্ত প্রকরণা্দিবরুদ্ধ নছে। প্রকরণ প্রবল শ্রুতি স্মৃতির 
বাধ জন্স(ইতে পারে না। এ্রতি “যে এবন্প্রকারে হানে, উপাপনা করে? 
ইত্যাদিক্রমে পঞ্চাগিবিদ্যানুণীলীকে দেবযান পথে আরোহণ করাইয়া পরে 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। রি 


“যাহারা অরণ্যে থাকিয়া শ্রদ্ধা ও তপঃ সহকারে উপাসন", পাস্পপুট্যা দি 
বাক্য সন্বর্ভে --অন্ত বিদ্যানুণীলীদিগেরও এ পঞচারিবিদযানথমীলীদি সমান 
গতি বর্ণন করিয়ছেন। যদি বল, অন্য বিদ্যান্ুশীলাদগের গতিও পঞ্চাগি- 
বিদা।নুশীলীদিগের গতির পহিত মান, উহা তোমরা কিসে জানিলে? যে 
শ্রুতির উল্লেখ করিলে সে এ্তিতে শ্রদ্ধা ও তপঃপরারণদিগেরুই এ গতি 
বণিত হইয়াছে --তাহাতে বিদ্যার ধা জ্ঞানের প্রসঙ্গও নাই? এতৎ প্রশ্নের 
প্রত্যুত্তর এই যে, বিদ্যার অনুল্লেখ খাকিলেও দোষ হইতেছে ন1। কারণ, 
জ্ঞানধল বাতীত কেবল শদ্ধা ও তপঙ্গার দ্বার! গতি লাশ করা যায় না। 
এ কথা শ্রুতি স্পষ্ট করিয়। বাশয়াছেন। যথা -ষে লোকে কামদোষ পরাস্ত, 
জ্ঞানী সেই ব্র্দলোকে আরোহণ করে। কেবল কন্টন ও তপঙ্গী গে লোকে 
আরোহণ কাধতে পারে ন)? এঠ বিষ্পষ্ট আতির ছারা বুঝা যাহতেছে যে, 
এ শদ্ধা-তপঃ-শব্দ বিদযান্তরের উপলক্ষক | অর্থাহ শদ্ধাতপ:সহরূত উপাসনার 
প্রভাবেই দেব্যান গভি লাত ক্রু যায় | বাজসণেয়ী-শাখাধযাযীরা 
পর্চাপ্রিবিদ্যাধিকারে বলিয়!ছেন 'ষাহাব্ হঙাকে এবরূপে জানে, যাহারা 
শরদ্ধাপু হইয়া অরণ্য অবস্থান করতঃ সভার (বর্গের) উপাসন। করে, 
তাহারা দেবধানপথে আরোহণ করে ।॥ এদ্ধাশকের অথ আদ্ধান্বিত হইয়া 
এবং সতাশন্দের অথ বর্গ! বন্ধ অথে পুনঃপুনত সতাশবের প্রয়োগ দেখা 
যায়। প্রদর্শিত এ'তিতে পর্চাগ্রিবিদ্যাপিৎ “দে এবংরপে জানে" এইরূপে 
গৃহীত বা উদ্লিখিত হওয়ায় উহাতে বিদ্যাস্তরপরায়ণ ব্যক্তির গ্রহণও ন্টায্য 
হইবেক। “যাহারা এই ছৃহ পথ (দেখান ও পিতৃযান) না আনে তাহারা 
কীট পতঙ্গ ও দন্দশুক হয়”? এই পতি পথদ্বয়ন্্রষ্টদিগের কষ্টদায়িনী অধো- 
গতি বুঝাইয়া দিয়া পৃক্ধোক্ত গতিগ বেবযান পিতৃযানের অন্তরভাবতা দেখাইয়া- 
ছেন। তন্মধ্যে বিদ্ভাবিশেষ দ্বারা তাহ!দের দেবযান পথ গ্রাপ্তও ধলিয়া- 
ছেন। স্বতও বাপয়াছেন থা শতিতে জগতের ছিবিধাগতি কথিত 
হইয়াছে! শুরু! গতি ও কষা! গতি । তমধো জীব একর ছার ( শর। 
গতির দ্বারা) অনাবৃর্তি অর্থাৎ মোক্ষ ও অপরের 1 কষ্তাগতির । দ্বারা 
পুনজ্জন্ প্রাপ্ত হয়।” উপকোখল-বিগ্যামু-অচ্চিরাদি দেবযান পথ উক্ত 
হইয়াছে, পুনরপি তাহা পর্চগগ্রি-াবদ্যায় কথ হইঘ্নাছে। উক্ত উভয় 
উপাসকের ও অন্ান্ত সপ্তণ উপাসকের তুল্যন্জপে & গতি লাত হইর1 থাকে, 
ঈ 





৬৬ ' তত্বজ্ঞানামূত। 
ইহ বলাইইিরুচ্চারণের উদ্দেশ্য । ফলিতার্থ বা সিদ্ধাস্ত এই যে, শ্রততুযুক্ত 
দেবা, /৩ অনিন্মিত অর্থাৎ সগুণব্রক্দোপাসক সাধারণ্যে এ গতি লন্ধ বা 
অন্ুক্রান্ত হংয়া থাকে । 

এক্ষণে ব্রহ্মজ্ঞগণের পুনজ্বন্ম হয় কি, না? এ বিচার আবগ্তক, কারণ, 
ইতিহাস পুরাণাদিতে ব্রদ্গদ্রনীরও পুনক্চন্ম হওয়ার সংবাদ পাঁওয়। যায়। 
এ বিষয়ের মীমাংসা বেদান্ত দর্শনের তৃতীয় অধ্যায়ের তৃতীয় পাদেত্র ৩২ স্প্রে 
আছে। উক্ত সুত্র এস্ঙে পা-সৌকর্ষযাথ উদ্ধৃত হইল। তথাহি, 


যাবদধিকারমবস্থিতিরাধিকারিকাণাম্‌ ॥ 
অ ৩, পা ৩, সু ৩২॥ 


শধার্থ--আধিকারিকাণাং অধিকারনিযুক্তানাং যাবদধিকারং অধিকার 
পর্যন্ত অবস্থিতিরাতি যোজনা । লোকন্যবন্থাস্থ স্বামিহমধিকারন্তৎপ্রাপকং 
প্রারন্ধং যাবদন্তি তাবত্কাল” গাবশুক্তবেনা ধিক[রিকাণামবস্থিতিস্ততশ্চ তেষাং 
কৈবল্যমিতি নিদর্ষ;।--তব্ুজানী খাষরা--ধাহরা লোকস্থিতিকারণ বেদ- 
প্রবর্তনাদি কার্যে নিযুক্ত ( অনৃষ্টপহ্ায় ঈশ্বরের আজ্ঞায় ) ভাহার।-- যাবৎ 
তাহাদের সেই সেই অধিকার সমাপ্ত ন] হয় তাবৎ পধ্যন্ত জীবশুক্ততাবে সেই 
সেই অধিকার সম্পাপনে অবস্তান করেন। অধিকার সমাপ্ত হইলেই ঠাহার! 
তত্বঙ্জান ফল কৈখলা প্রাপ্ত হন। 

ভান্ার্থ-তহঙ্জানীব দেহ পাত হইগে তাহাদের পুনদেহ ( পুনজ্জন্ম । 
হয় কি-না তাহা বিচাপ্রিত হইতেছে । যদ বল, মোক্ষসাধন জ্ঞান সুসম্পন্্ 
হহলে মোক্ষ হয় ক-ন। এ |ধচারেরু অধতারণ। অযোগা; পাসসাধন 
বহ্যাদি প্রযুক্ত হইলেও ওদনে|ৎপর্তি হইবে কি-না এ খিচাঁর ঘদ্রপ অসস্ভব_ 
উক্ত বিচারও তদ্রুপ অসন্তণ। পোঁঞ্নকারী ভোক্ধন করিয়া তৃপ্ত হইবে 
কি ন1 এ চিন্তা কেহই করে না। ইহার প্রত্যুত্তর এই যে, এ বিচার অযোগ্য 
নহে; প্রভাত যোগ্য । বিটা ডখানের কারণ এই যে, আতি শ্বতি 
ইতিহাস পুরাণাদ্ধিতে ব্রঙ্গজ্জেরও পুনজ্জন্ম হওয়ার সংবাদ পাওয়। যায়। 
অপাস্তরতম-নাম। জনৈক পুরাতন খাম ও বেদাচার্ম্য তগবান্‌ বিষ্ণুর আদেশে 
কলিঘাপরের সন্ধি সমস রুষ্কদ্বিপায়ন ( ব্যাস) হইয়া জন্মিয়াছিলেন। বশিষ্ঠ 
এক জন ধার্ষ। বিশেষতঃ তিনি ব্রহ্মার মানস পুত্র, তিনিও নিষি রাজার 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ৬ 


শাপে গতদেহ ও ক্রন্ষার আদেশে পুনব্বার মিত্রাবরুণের বারা একা লাভ 
করিয়াছিলেন । ব্রহ্মার মানসপুক্ধ ভৃগু প্রস্তুতি কতিপয় খীও বরুণের 
ঘজ্ছে পুনরুৎপন্ন হইরাছিলেন। ব্রহ্মার অপর মানস-পুত্র সনৎকুষার, তিনিও 
কুদ্রের বর উপলক্ষ্য কান্তিকেয় হইয়া জন্মগ্রহণ কারয়াছিলেদ। এইরূপ, 
শ্তিতে দক্ষ নারদ প্রভৃতি তব্বজ্ঞানীর সেহ সেই কারণে দেহাস্তরোতপঞ্তি 
হইতে শুনা যায়। এই সংবাদের অধিকাংশই এতিস্থ মন্ত্রে ও অর্থবাবে 
উপলক্ষতরূপে কগিত হ্ইয়াছে। সেই সকল জ্াানীর কেহ পুর্দেহ পথি- 
পতনের পর দ্েহান্তর গ্রহণ, কেহ বা তদ্দেহেই যোগৈশ্বধ্যবলে যুগপথ্জ বনু 
দেহ স্বীকার করিয়াছিলেন। তাহারা সকলই বেদার্থতঙ্ুক্র এবং সকলেই 
সোক্ষপাধন জ্ঞানে অধিত। অতএব, এতাদি-শান্ে জানার দ্েহোত্পর্তি 
হইতে গুন! যায়। যেহেতু এনা যায় সেই হেতু বরঙ্গবিদ্যার পাক্ষিকত্ব অর্থাৎ 
পক্ষে ব্র্গবিদ্ভার ঘোক্ষ কারণত এবং পঞ্ষে মোক্ষাকারণহ্ উভয়ধাভাব প্রাপ্ত 
হওয়] যায়। সেহ জন্য তাহার উত্তারার্থ- তৎ্সংশয়চ্ছেদনার্ঘ সন বলা হইল। 
সজ্ের মর্থ এই যে, অপান্তপতম প্র্থতি আধিকারিকেরা অধিকার সমাপ্তি 
পাস জীবনুক্তভাবে অবস্থান করেন, আঁধ্কাএ' লোকস্থিতকারক বেদ- 
প্রবর্তনাদিকাধ্য ) সমাপ্ত হইলেই তীাহ।রা কেবল হন। যদ্ধপ এ তগনান্‌ 
সবিতৃদেব যুগনহস পধাণ্ড জগতের অধিকার (ভাগপরদানাদি কার্ধা) নির্বাহ 
কন্যা অধিকারোত্পাদক প্রারকককম্মের অব্সানে উদয়ান্ত বঙ্জিত কৈপল্য 
( অব ব্রশ্ধ ঠাব) নন্গুতব করেন, তদ্দাপ। সুর্যের ভাত ত্রঞ্গতাব বোধিনী 
এ্রতি এই--"অধিকার সমাপ্তির পরে সৌগদেহ ত্যাগ করিলে ইনি আর 
উদ্দিত ও অন্তমিত হন না। তখন ইনি অদ্বঃ হইম। যধ্যে অর্থাৎ অনঙ্গ 
আত্মন্বরূপে অবস্থান করেন।” যদ্রপ ইদানীন্তনীন ব্রহ্মবিৎ খধিরা প্রারক্ধ- 
ভোগের ক্ষয় হইলে কেবলা হন, তদ্রপ সেই সেই পুরাতন খাষরাও 
প্রারব-ভোগের অনন্তর কৈবল্য প্রাপ্ত হন। ইদানীন্তনীন খধির যে প্রারদ্ধ- 
ভোগের পর (পেহপাতের পর) যুক্ত হন, সে সঘন্ধে ঞ্তিপ্রমাথ আছে। 
যথা--“তাহার সেই পর্য্যন্ত বিলষ্ষ__-যাবং তিনি দেঁহবিষুক্ত ন| হন। তিনি 
দেহপাতের পরেই ত্রহ্মসম্পন্ন হন।” অপাগুরতম প্রভৃতি ধধির। সকলেই 
ঈশ্বর অর্থাৎ খ্রশ্বর্য্যশালী ব। অধিকার প্রাপ্ত ( কর্মবলে )। তাহারা পরমেশ্বর 
কর্তৃক সেই সেই অধিকারে নিযুক্ত । কৈবল্যোথ্পাদক তব্জ্ান থাকিলেও 


2১১ 


৬৮ তর্থজ্ঞানামুত । 


ঠাহাঙত ০ **।। হওয়ায় কর্ীনীত অধিকারে অবস্থান করেন- -কর্দাক্ষয় 
না হওয়া্তই অবস্থান করেন। কিন্তু কর্মক্ষর় হইলে লার তাহ।রা 
তদ্বাধকারে থাকেন না, অধিকারবিধুক্ত ও কেবল হন অর্থাৎ মুক্ত হন। 
এ সিদ্ধান্ত সব্থা অবিরুদ্ধ | ভাহারা অধিকাবুফল প্রদাত। সক্কং প্রবৃত্ত 
কম্মাশয় মতিবাহন করতঃ স্বাধীনভাবে এক গুহ হইতে অন্ঠ গৃহে গমনের 
য় এক দেহ তাগ করিয়া অন্ত দেহে সঞ্চরণ করেন । আাপন মাপন আধ- 
কার নির্বাহাগ ) সুতগাং তাহাদের স্মৃতি অনুপ্ত থাকে । যেহেও স্বৃতি বিলোপ 
হয় না এব, তাহারা যোগবলে দেহে জয় প্ররুতিপণা, সেই হেতু কাহার] এক 
সমরে অথবা ক্রমান্বয়ে বন দেহ শিম্মাণ করিথ। সেই সেই অধিকারে অধিষ্ঠান 
করেন । “তাহারা5 হার) এঠরপ স্বাত গ্রশাঞ্ধ থাকায় তাহাদিগকে 
জাতিশ্মর বলিয়া গণ্য কবা হয় না। সুভ নায়ী বঙ্গবাদিনী নারী বাজধি 
জনকের সহিত যোগাবপ!র করিবাও ইচ্ছায় শিজদেহ পাগতা।থানস্তর জনকের 
দেহে প্রণেশ করিয়াছিলেন এলং পুন্কাপি [শি্গ দেহে আইিয়।ছিলেন। এ 
সংবাদ স্বতিগসদ্ধ। যদি সকতগ্রর উপযুক্ত (উপভুক্ত) কর্মকালে জানীর 
দেহাস্তরোত্পাদক কষ্মান্তা আবিষ্ঠত হঠত তাহা হইলে অব অন্ট 
( গারকাতিঞিক্ত ) অদদ্ধ কন্ম থাকা প্রসক্ত হইহ এবং পেশ প্রক্তিতে 
বরঙ্গাবন্যার পাক্ষিক লোক্ষ-ক্কারণ7 অণব! মোক্গাহেতত্ আশঙ্কিত হইতে 
পারিত। পরুন্ত সে আশঙ্কা নাহ । জ্ঞান খে লাল সমুদায় 
কন্ম ভস্মীভূত করে তাহ, পতি স্থৃত ভহয় প্রমাণে প্রসিদ্ধ । রতি প্রমাণ 
যথা - “সেই পরাধর পুরুষ (পরমা) সাক্ষাত হইলে সাক্ষাৎকর্তীর 
হৃদযুগছি হেদপ্রাপ্ত হয়, সবুদায় সংশর ছি হয়, এবং প্রারন্ধাতিরিক্ত 
সব্বকন্ম শরয়প্রাপ্ত হয়। “স্বতিলাহ হইলে সমুদার গ্রন্থি খুলিরা যায় 1» 
ইত্যাদি । (গ্রন্থিস্বুদ্ধির সহিত আত্মার তাদাজআ্যাধ্যাস ) স্মৃতিও এই শ্োত 
সিদ্ধান্ত সমর্থন কারয়াছেন। যথ|.-“হে অজ্জন! যেমন প্রদীপ্ত হুতাশন 
কাষ্ঠরাশি ভক্মীভূত করে, সেইরূপ, জ্ঞানাগ্িও সমুপায় কশ্ম ত্মপাৎ করে।” 
“যদ্রপ অগ্নিদগ্ধ বীজ মন্কুরিত হয় না, সেইরূপ, জ্ঞানদগ্ধ ক্লেশ ( অবিদ্যাদি- 
পঞ্চক ) আম্মাকে ক্রিষ্ট করে না।” ইত্যাদি। যাহার ক্লেশপঞ্চক অবিদ্যা্দি 
দগ্ধ হইরাছে তাহার ক্লেশবীঙ্গ কম্মাশয়েদ একাংশ অদদ্ধ থাকে ও সেই 
অদঞ্ধীংশ তাহার তোগাস্কুর জন্মায়, এ কথ! উপপন্ন নহে। অগ্জিদ্ধ শাণি- 


জীবের সংসারগতি বর্ণন | ৬৯ 


বীজের কি একাংশ দগ্ধ হইলে তাহার অন্থাংণে অস্কুর হয় নী...শহা হয় না। 
ঘে কম্মাশয় ফল দিতে প্রবৃত্ত হইয়াছে, আরম্ত করিয়াছে ২৯ দেহাদি 
জন্মাইয়াছে, সে কম্মাশয় তোগাদির দ্বারা নষ্টু না হওয়া পর্যন্ত অবশ্য ফল 
প্রসব করিবে। যন্রন ধন্ুনিযুক্ত বাণ বেগ ক্ষয় ন। হওয। পর্যাস্ত গতিমান্‌ 
থাকে, তদ্রপ প্রারদ্ধফল কন্মও তত্বজ্ঞানীকে শরার পাত না হওয়া পর্বত 
তে|গাধিকারে অবগ্িত বাখে। ধার পাভ হছলে তখন সে সব্বাধক|র 
বঙ্জিত অদ্বয় মোঙ্পদ প্রাপ্ত হয়া এ সিদ্ধান্ত তাহার সেই পর্যন্ত বিলম্ব” 
ইত্যা্দ শানে প্রদার্শত আছে। অতএব, আধিকারিক অর্থাৎ গৃহীতাধিকার 
জ্রানাদিগের অধিকাপ সমাপ্ত না হওষা পর্ধান্ত জীবনুক্ততাবে অবস্থান, 
এ কথা শাস্ব যুক্তি উহ্য়প্রগিদ্ধ। জ্ঞানের ফল মনৈকান্তিক নহে অর্থাৎ 
কোন পুরুষের বা কখন হয আবাপ কোন পুরুষের বা কখন হয় না, এবপ 
নহে। তাহ, এঁকান্তিক পলিযাই আত অবিশেষে সব্ব-পুরুষেরই ছানে মোক্ষ 
হওয়ায় কথ। বলিয়াছেন । বথা -দবতাদের মধ্যে, খযিদিগের মধো ও 
মন্তুষাদিগের মদ্যে, যে খে ভাহাঠে প্রাতিবুদ্ধ অর্থাং যেষে ভাহাকে (ব্রঙ্গকে ) 
সাক্ষাৎকার করে ! আন্ম-অভেদ জানে, সে সে পারুমোক্ষলাত করে।” 
মহষিণ। গ্রথম তঃ উখধ্যফল ৮ বায় জ্ঞানে আসক্ত হন দত্য; পরন্ত তাহারা 
অবশেষে এশ্বযোর ক্ষযিষুতা দর্শনে নিধ্রিম হন, শৎপরে পরমাস্মজ্ঞানে অবস্থান 
করতঃ কৈনল্যপথে গমন কহেন! এ কগা স্ৃুভতেও আছে '-যষথ।-«“সেই 
সকল জ্ঞানীথা মহাপ্রলদ্কালে বুঙ্গ!র সহিত পরুমপর্ধে প্রবেশ করেন? 
জ্ঞানের ফল প্রত্যক্ষ। সে জন্থ ফলাভাব আশঙ্কা হহতেহ পারে না। কম্মের ফল্‌ 
স্ব্গাদি, তাহ? অপ্রতাক্ষ, সে জগ্গ বরং কর্মাকলে কখন কখন আশক্ধা উপস্থিত 
হইতে পারে ( অমুক কম্মে ফল হয় ক ন1।) কিন্তু জ্ঞানফল সেরূপ নহে। 
ানের ফল অন্থতবগম), তাহ। স্ক্ষাৎ-প্রত/ক্ষ | এ্ুতি বলিয়াছেন “ত্রহ্গ 
সাক্ষাৎ অপরোক্ষ |” সেই জন্য “তিনি তুম” এই শ্রাত আত্মার ব্রঙ্গত 
সিদ্ধপ্রায়্রূপে উপদেশ করিয়াছেন । “তিনিই তু? এ বাক্যের এমন অর্থ 
করিতে পার না যে, ুমি মরিয়া ব্রশ্ধ হইবে, তুমি ত্রদ্ম আছ, পরন্ত তোমার 
্রক্গত্ব তুমি ভুলিয়া গিয়াছ, এই তাত্পর্ষ্যে & ঞ্তির ব্যাখ্যা করা উচিত। 
“খবি বামদেব জানিলেন, আমিই মন্ধ হইয়াছিলাম, ক্র্্যও হইয়াছিলাম।” 
এই এঞুতি উক্ত খাষর তত্বঙ্জান-সমকালেই সব্ধাত্মভাব প্রাপ্তি বুঝাইয়। 


* ৭ ' তত্বজ্ঞানামৃত। 


দিয়াছেনু | এব, বিদ্বানের অর্থাৎ ব্রন্ষজ্ঞানীর কৈবলা আত্যন্তিক। 
ইহা রসি মাছে | 

উপরে খলা হইল ব্রহ্গজ্গণের কৈবলা আত্ান্তিক, কিন্তু এস্কলে সংশয় 
এই যে তাহাদের স্বকন্মকিত পাপপুণ্যের |ব্ছ্ছমানে তাহা কিরপে সম্ভব। 
এবিষয়ে সিদ্ধান্ত এই ষে, জ্ঞানোদয়ের সমকালেই জ্ঞানীর পৃর্বসঞ্চিত পাপের 
নাশ ও ভবিষ্যৎ পাপের অশ্লেষ হয়, তথা বর্তমান আরব পুণ্য পাপ-ফল তোগ 
দ্বারা নিঃশেষিত হইলে জ্ঞানীর কৈবল্য জন্মে। এই সিদ্ধান্ত নয়োক্ 
কতিপয় স্তরে বিচারিত হইয়াছে । তগাহ, 


তদধিগম উত্তরপূর্ববাঘয়োরশ্রেষবিনাশৌতদ্বা- 
পদেশাৎ ॥ অ ৪, পা ১, সু ১৩॥ 


সুত্রার্থ--তসা ব্রহ্মণে!'হপিগমত সংঙ্গাৎকাবস্তশ্মিন সতি উত্তরাঘপামেষঃ 
পৃর্ববাঘস্য চ বিনাশঃ স্যাৎ। হেতুমাহ তাদাত। উত্তর পুর্বাঘয়োরগ্লেষ- 
বিনাশয়োর্ব্যপদেশস্তাৎপধ্রেণ কখন তম্ম[ৎ। অধ, পাপম। উত্তরাঘস্য 
তাবি পাপদ্য। পুণ্বাঘপা সঞ্চিহ পাপরাশে: ।ত্রন্ষজ্জান হইলেই পৃবব 
পাপ নষ্ট হয় এবং পরে যে পগক্ল পাপ ঘটন! হবে সে সকল তাহাতে 
আশ্নষ্ট অর্থাৎ লিপ্ত হইবে না। এতি সেইরূপ কথাহ বলিখ্াছেন। 

তান্ঠার্থ--জ্ঞান সাধন উসাসন! প্রহৃতিতে অভাধি+ আদর দেখাইবার জগ্তই 
ফলাধ্যায়ে কতিপয় সাধন-াধ্ঠার কৃত হহল। এখন এই ফলাধ্যায়ে বিদ্যাফল 
বিচাবিত হইবে। প্রথমত? এই চিন্ত| . বিচার ) উপস্থিত ষে, ব্রহ্গজ্ঞান 
হইলে পূর্বদঞ্চিত ছুবিত (জ্ঞান প্রতিদ্বন্দী পাপ) ক্ষয় প্রাপ্ত হয়|কন|? 
চিন্তার অর্থ।ৎ বিচারের প্রথম পক্ষ এঠ থে, যথন ফল দেওয়াই কর্পের পরম 
প্রয়োজন তাহা ফল ন। দির! ক্ষয় প্রাপ্ত হইতে পারে না। ্রুতির দ্বারাও 
জান! গিয়াছে যে, কম্মের ফলদায়িনী শক্তি আছে। যদি তাহা ভোগ উত্পাদন 
ন| করিয়াও ক্ষয় প্রাপ্ত হয় বল, তাহ। হইলে ভ্রুতিকে তিরস্কার করা অর্থাৎ 
অপ্রমাণ বলা হইবে। স্বৃতিকারেরাও বলিয়াছেন, “কর্খ ভোগ ব্যতীত 
কোটীকল্পেও ক্ষয় প্রাপ্ত হয় না।” বাঁলতে পার যে, তবে প্রায়শ্চিত্ত শাস্ত্রের 
উপদেশ ব্যর্থ। কিন্তু আমরা দেখাইব, ব্যর্থ নহে। প্রায়শ্চিত্ত সকল 


জীবের সংসারগতি বর্ণন । .. ঞ১ 


গৃহদাহেষ্টির তায় নৈমিত্তিক । * পাপ দোষ বিনাশার্থ প্রায়শ্চিত বিধান দৃষ্ট 
হয় কিন্ত ব্রহ্মজ্ঞান সম্বন্ধে সেরূপ বিধান দৃষ্ট হয় না। পাদ” ্বিহিত 
বলিয়। পপ্রায়শ্চিত্তের পাপনাশক ক্ষমত। থাকিতে পারে কিন্তু গান সেরূপে 
খিহিত ন1 হওয়ায় তাহার পাপনাশক ক্ষমতা থাকা যানিতে পাব ন!। কর্ম 
যপ্দি ব্রহ্মজ্ঞনে ক্ষযপ্রাপ্তু নাহয় আর যদ তাহ] অণগ্য ভোক্তব্যই হয় তাহা 
হইলে কাহারও কম্মিন কালে মোক্ষ হহবেক ন।, এমন আপন্তি করিতে পার 
না। কন্ম যেমন দেশ কাল ও নিমিতু অনুসারে ফলপ্রসব করিয়া থাকে তেমনি 
ব্রহ্মজ্ঞানও দেশকালাদি নিমিত্ত অন্সারে মোক্ষফল প্রসব করিতে পারে। 
(অতিপ্রায় এই ধে, সঞ্চিত কম্ম সকশ ভোগ দ্বার শ্য়প্রাপ্ত হইলে তখন মোক্ষ- 
লাঁত হইবেক)। প্রদর্শিত প্রকারে পক্ষলাত হইতেছে যে, ব্রশ্মজ্জান হইলেই 
যে ছরিহ নবৃত্তি হয় ভাহা হয় না। এইক্ুপ পুর্বপক্ষ প্রাপ্তে বলা হইল-_ 
ব্র্মজ্ঞান হইলেহ তবিন্যৎ পাপের অশ্রেষ ও পৃন্বসঞ্চিত' পাপের বিনাশ হইয়। 
ধাকে। কারণ, ক্ষতিতে খরন্ধপ বাপদেশ (সাঞ্চত পাপের নাশ ও ভবিষ্যৎ 
পাপের অম্পর্শণ বাণত ' আছে । ঞতি ব্রঙ্গজ্জান একরণে বলিয়াছেন যে, জ্ঞান 
হওয়ার পর যে সকল পাপকাধ্য ঘটন। হইবেক সে সকলের সহিত জ্ঞানীর 
সথন্ধ অর্থাৎ সংস্পশ স্ব হয না। যথা “জল যেমন পদ্পপঞ্জে লিপু হয় ন। 
তেমনি পাপক্কন্ম সকল জ্ঞানীতে লিপ্ত হর ন। 7" আবার অগ্ঠ তিতে আছে, 
ব্র্মজান হইলে পুব্বসাঞ্চত পাপরাশ কয়া হয়। যথা যেমন তুলা 
সঞ্চল অগ্রিতে দ্ধ হয় তেমান জন হহলে সর্িত পাপরাশিও দগ্ধ হঠয়া যায়।” 
এইরূপ আর একটা কম্মক্ষয়ের উল্লেখ আছে । যগ! -'সেহ পরাধর পুরুষ 
(ব্রঙ্গ) দুষ্ট হইলে দ্রষ্টার ঈদয়গ্রথ্থি ভাঙ্গিয়া যায়, সংশয় সকল ছিন্ন হয় এবং 
সযূদায় পাপ ক্ষরপ্রাপ্ত হ্য।” বালয়াছলে যে, ভোগব্যতিরেকেও কন্মের 
ক্ষয় হয়, এরপ বাঁললে বাস্বীকার কৰিলে শাস্বাথ তঙ্গ কর। হয়, তছুত্তরে 
বলিতেছি, তাহা হয় না। আমরা] কম্মের ফলদাগ্নিনী শক্তি নাই 
অথবা তাহা অক পি্খং কর) এমন কথ! বল না। আমরা বাল তাহা 
* অগ্রিহোত্রাদশের অ গ্রগৃহ দগ্ধ হহলে যে দোষ হয় সে দোষ বিনাশার্থ 
একটি যাশের বিধান আছে। যাগটীর নাম ক্ষামবতী। ক্ষামবতী যাগ 
করিলে গৃহদাহজন্ত দোষ নষ্ট হয়, ইহা শান্ত্ের সেই সেই স্থানে গিখিত 
সাছে। 


১৭২. . তত্বজ্ঞানামৃত। 


আছে পরজ্ত তাহা! বিগ্যার্দি কারণে গ্রাতিবদ্ধ হয় ( নিরুদ্ধ হয়, ফল 
দিতে হা ) মাতুক্তং ক্ষীয়তে কর্শা ইত্যাদি শাস্ত্র কম্মের ফলদায়িনী 
শক্তি আই এইটুকু মা'দ বলিক্াছেন, দেধাইয়াছেন, তাহ! অবরুদ্ধ 
হম্ম কি-না তাহা বলেন নাই | অপিচ, এ স্বতি উৎসর্গি* মর্থাৎ 
সাধারণভাবে আভহিত। ভোগই কর্মের ফল, সুতরাং বিনা ভোগে 
কর্মের বিনাশ নাই? একট ব্যাপক বা পামান্ঠ শাস্ত্র প্রায়শ্চত বিধায়ক শিশেষ 
শান্রের দ্বারা সঙ্কুচিত স্ুতর।ং প্রায়শ্চিত্ত দর দ্বারাও পাপ বিনাশ স্বীকত হয়। 
প্রায়শ্চিত্ত দির দ্বারা পাপ নিবৃত্তি হওয়ার প্রমাণ এই--৮ষে অশ্বমেধ যঙ্ করে 
এবং থে জ্ঞানী সে সব্দপাপ উত্তীণ ও ব্রঙ্গহতা। পপ উত্তীর্ণ হয়।? প্রায়শ্িশ 
সকল নৈমিওিক অর্থাৎ আগন্ত? কারণে বিহিত যেমন পুথজন্ম কারণে 
জাতেষ্টি ও গৃহদাহ কারণে শ্ামবতী ইজি (যাগ । সেহরূপ । সুতরাং সে 
সকলের দ্বার। পাপবিনাশ শম্বানা নাই, এ মতপ্রায় সাধু নহে । কারণ, 
পাপসংযোগেন প্রায়শ্চিবের বিপান স্রতরাং প।পবিনাশ ফলেরু সম্ভাবনা 
থাকিতে ফ্গাগ্তর কল্পনা । ম্মকুমাণ ) অগ্তাযা । পাশক্ষন্ন উদ্দেশে প্রায়শ্চিত্রেরুষ্ট 
বিধান দুষ্ট হয়, কিপ্ত উপালনাধ [পধান দুষ্ট হম না, এ কথার প্রতুযুতরে 
আমরা বপি, সগুণ উপাপনার বিধান ঘষ্ট হয়। *গই খেই সম্তপ-্উপাসনা 
বাকোর শেষভাগে উপাসকের ধখর্ষালাত ও পাপক্ষয় হওয়ার কগা লিখিত 
আছে। তাহা যে বিবক্ষিত নহে, এযন কথা বলিতে পার না| বলিবার 
কারণও নাহ। সুতরাং নিশ্চয় হয়, অগ্রে পাপক্ষধ ৭রে এশর্যাগম সেই সেই 
উপামনার অবপ্ন্তাণ] দপ |) অপম্থব ধলিধা নিশুণ উপাপনার বিধান নাই 
সত্য ; কিন্তু না খাকিশেও তাহাতে আপনার নিগুণত1 ও নিক্ষে্তা সাক্ষাত- 
কার হওয়ায় সমুদায় সঞ্চিত কম্ম দৃগ্ধ হইয়া যায়। যেমন আ্মাক্মযা পার্থযজ্ঞানে 
সঞ্চিত কর্ধের বিনাশ দ্ধ হয় তেমণি ভবিষ্যৎ কনম্মের অশ্লেষ (ভবিষ্যতে 
কম্মপিপ্ত ন৷ হওয়া) হইয়া থাকে । তাহার কারণ, ব্রঙ্গক্জান হইলে সে 
কোনও কর্খে আপনার কতুহ অগুতব করে না, গতবাং কাত? অসুতব না 
করায় তাহার স্বশ্াবএবৃত্ত যাদৃংচ্ছক কর্ম সকল পুণ্যপাপ উৎপাদনে সমর্থ হয় 
না। জ্ঞানোৎপত্তির পূর্বে ৬ৎ্কতুঁক যে সকল কনম্ম অনুষ্ঠিত হইয়াছিল সে 
সকল কন্মে তাহার সম্পূর্ণ কর্ৃত্রম ছিল এবং তাহাতে তাহার শুভাশুত 
অনৃষ্ট উৎপন্ন ও সঞ্চিত হইয়াছিল, কিন্তু ইদানীং জনে ২পত্তি হওয়ায় জ্ঞানের 


জাবের সংসারগাতি বণন। শও 


সামথে; তাহার সে এম অপগত হওয়ায় সে সকণ অদৃষ্টও 97. পুিহে। 
এই ছুহ রহস্ত (তথ্য) বুঝাইবাব্র জগ্ঠ একার ব্যাস অগ্নেষ ও বন! এই ছুই 
শব প্রয়োগ করিয়াছেন জ্ঞানী আনোতৎপাভির পুলে সম্পূর্ণ আঙ্গবিস্বৃত 
ছিলেন, আপনাকে কী ভোজ বাল্ব নিতেন, ইহদানাং গান হওয়ার 
তাহার সম্পূর্ণ ধিপরীত হঈমাছেন। এখন তিনি আপনাকে জৈকাঁলিক 
আক] অভোক্তা বলিয়া জানিতেছেন। ভুত ভাবম্যৎ ধর্তমান এহ তন 
কালের কোনও কালে আমি কন্ত। ভোক্তা নাহ এন” সাচ্চদানন্দ নিত্য 
নিলিকার প্র্গহই আমি, এইরূপ অন্রভব কার্রিতেছেন। এবম্পকার অন্ুতবের 
সামর্থোই তাদৃশ্য ব্রশ্াসজ্ঞানার মোক ডপপর হয়। জানে যদ কাণকালা- 
শুরের অগ্থাশন্মম্তবেরু সু্কত কন্ম।পুন্ন ( পুণাপাপ) শয়প্রাপ্ত শা হহত তাহা 
হহলে কান্মন্কালেও মোঙ্ হইত না) আং মাসশাদ্ছ, গ্রলাপতুলা হহত। 
মক্ষ কক্মকল। হগাধিত সমন্রমাাঙহ্গত শে) কন্ধকল স্বর্ধাপি যেষন 
দেশকালাদিনে অপীন। চ্গানকল মাক মেকশ নহে 1 তাহাতে আন্ত্যতা 
ধাব ও অপরোক্ষতার ব্যাথংহ আছে । চমক যে শিত্যাপরোক্ষ তাহা 
এতপ্রমাণে সিদ্ধ । অতএব, ব্রন্াপ্ুসাণ হলে সাপ থাকে মা, তাহা 
সমূলে উন্বলত হয়, হহাহ সিরুতর সদা । 
ইতরস্তাপ্যেবমসংশ্লেষই পাতে তু। 
অ &, পা জু ১৪ ॥ 

শরর্থ ইতবুস্ত পাপাচ্চন্ত পুণ্যস্য আপ এবং পাপস্থেবাখেষো বিছুষো 
তবত। অঙ্নেষ শহ্াপলক্গণং বিনাশোহাগ তিবতি। ফলহছেোইহেন 
প্রতিবন্ধকইসাযা দাত ভাব তু অবধাবণে | বিস্কাসামর্ধা!ত পাপপুণা- 
রোবরখ্েষবিন।শসিদ্ধে/ব্বগ্/(ণত£ শঙ্গীরপাতানস্তরং মুজিপবগ্ঠস্তাবিনাতি 
যোজনা ।-চ্ঞানের সামঞ্যে যেমন শাপের বিনাশ ও অন্পর্শ সংঘটন হয় 
তেমনি পুণ্যেরও বিনাশ ও অন্পর্ণ হর । পাপপুণা ভতষ়ের অতাব হওয়ায় 
জানীর বিদেহকৈবল্য অবগ্যন্তাবা । 

তায্যার্থ--পুর্বব বিচারে শাস্বার উল্লেখ অগ্সারে সিদ্ধান্তিত বা নিরূপিত 
হইল যে, জ্ঞান হইলে সংসাপবন্ধনেপ কারণ সঞ্চিত পাপের বিনাশ ও ম্বাগামী 
পাপের অশ্রেষ ( আম্পর্শ )হয়। পুণ্যে অবস্থ। কি হয় তাহা তাহাতে জানা 

৪ 


৭৪ ততজ্ঞান|মৃত। 


যায় হস জগ্ভ আশক্ক। হয়, পুণ্যও শাস্ত্রীয়, জ্ঞানও শাস্ত্রীয়, সুতরাং 
পুণের সাধ জ্ঞানের নাগ্ঘনাশকভাব না থাকিতেও পারে। অর্থাৎ জ্ঞান 
হইলে পুণ) বিনাশ না হইতেও পারে। শুত্রকার ব্যাস এ আশঙক্ক। 
দুরীকরণার্থ পুর্বসিদ্ধান্তের অতিদেশ করিয়াছেন জ্ঞান হইলে পাপের 
অশ্রেষ বিনাণের চ্ঠাষ পুণোরও অগ্রেধ বিনাশ হয়। কারণ এই যে, পুণ্যও 
ভোগের উৎপাদক, সে বিধায় তাহাও জ্ঞানফল মোক্ষের প্রতিবন্ধক | 
ফলিতাথ এই খে, পুণ্যক্ষয় ব্যতীত মোক্ষলাত অসম্ভব হইয়া পড়ে; সে জন্য 
তাহারও বিনাশ স্বীকার্ধযা। “এই ছাানী পাশ ও পুণ? এহ উভয় হইতে 
উত্তীর্ণ হন।” হত্যাদি এতিতে দৃষ্কত কম্মের ধিনাশের গ্ঠায় স্ুককৃত কশ্োরও 
বিনাশ অতিহিত হইর়ীছে। এ বিবগ্কে যুক্তিও আছে। যুক্তি এই যে, 
আত্মার অকতৃতাব স্বাক্ষাংকার হহণে তায্রবন্ধন যে কম্মক্ষয় ঘটনা হয় সে 
ঘটন। সুক্কত দুষ্কত উতয়এই সমান । ( ভাবার্থ এহ যে, সুকতও ফন্ম। দৃম্কতও 
কম্ম। স্থতরাং কণ্ক্ষয় শব্দে উক্ত উতয্ষের নাশ অবশ্যন্তাবী ) "এই জ্ঞানার 
কন্ম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়”? ইত্যাদি শ্রতিতেও অবিশেষে কম্মক্ষয় হওয়ায় ভল্লেখ দুষ্ট 
হয়, কেবল দুক্ষন্মেরই ক্ষয় হয়) এরূপ নির্দিষ্ট নিদেশ হয় না। যে নকল 
আতিতে নির্দিষ্ট নিদ্দেশ অর্থাং স্পষ্ট পাপশবের উল্লেখ দুষ্ট হইবে সে সকল 
আতিতেও পুণ্যশবের সংগ্রহ কবধিতে হইবেক। কারণ, পুণাও জ্ঞান্ল 
মোক্ষে্ প্রতিবন্ধক ও জ্ঞান অপেক্ষা নিকুষ্ট । ফ্রতিতেও পুণের ডপর পাপ- 
শব্দের প্রয়েগ আছে। যথা -“দিব। ও বানর এই ছুহ সেতু (মধ্যাদ1) 
ইহাকে (কম্মকে) অতিক্রম করিতে পাবে না।” এতত্প্রস্তাবে ছুষ্কতের 
সহিত সুক্কৃতের আকর্মণ করতঃ অবশেষে “ইহাতেই সমুদ্দায় পাপ লয়প্রাপ্ত 
হয়” ইত্যাদি প্রকারে প্রস্তাবিত পণ্যের উদ্দেশেও পাপশব প্রয়োঙ্জিত 
হইয়াছে । তু শব্দের অথ অবধারণ অর্থাৎ নিশ্চয় । সংসার্গবন্ধনের 
কাগণীভূত ধন্ম ও অধশ্ম বিদ্যার সামর্থ্যে অগ্নেষ ও বিনাশ প্রাপ্ত হয় সুতরাং 
দেহ পাতের পর জ্ঞানীর মোক্ষ অবধারত ও অবশ্যন্তাবী। 


অনারব্ধকাষে এব তু পুরে্ব তদবধেঃ ॥ 
অ$&, পা ১, সু১৫॥ 


শঞার্থ--অনারন্ধং অপ্রন্বভং কাধ্যং ফলং যয়োত্াধবশে এব স্ুকৃতহৃন্কতে 


জীবের সংসাবগতি বর্ণন। ণ্৫ 


তত্বজ্ঞানাৎ ক্ষীম্বেতে নহাবন্ধফলে। হেতুমাহ তদিতি। তস্য /দুহপাতাব- 
ধিতোজত্বাদিতার্থঃ।-পৃব্বরৃত যে সকল কর্ম ফল দিতে আরং গর নাউ, 
মাব্র সংস্কাররূপে সঞ্চিত আছে এবং যে সকল কম্ম এতৎ শরীরে সঞ্চিত 
হইয়াছে, সেই সকল কর্ম তত্বজ্ঞান হইলে দগ্ধ হইয়া যায় অর্থাৎ সে সকল 
আর সুথদুঃখাদি সংসাবুফল প্রসব করে না। কিন্তু যে দকল কন্ম এতজ্জন্ম 
জন্মাইয়। এতজ্জন্মযোগ্য ভোগ দিতে আরম্ত করিয়াছে, সে সকল তব্বজ্ঞানে 
দগ্ধ হয় না। সেই জন্য এতজ্জন্ম ও এতজ্জখাণ্নর্ূপ ভোগ সমাপ্ত না হওয়া 
পর্যান্ত জ্বানফল মোক্ষ অবরুদ পাকে । 

তাস্যার্থ- পর পর ছুই বিচারে অবধারিত হইয়াছে, জ্ঞান হইলে সুরত 
দুষ্কত উভয়ই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। কিন্তু সঞ্চিত ক্ষয় হয কিপ্রারব্ক্ষষহয় কি 
অবিশেষে সর্ধকন্মা ক্ষতপ্রাপ্ত হয় ভাহা অবধারিত হয় নাই। সেইজন্য 
এঠ ১৫ শে তাহার অধধারণার্থ বিচার আরন্ধ হইল। ূ “এই জ্ঞানী সুরত 
ছুষ্পত উভয় হইতে উত্তীর্ণ হয়” এতৎ ্তিতে সামান্ততঃ পুণযপাপ ক্ষয়ের 
শব্ণ থাকায় প্রথমতঃ প্রাপ্ত হওয়া যায়, আরক্ধ অনারন্ধ সমুদায় কর্মশই 
অবিশেষে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এই আপাত প্রাপ্ত পক্ষের বা সংশয়িত জ্ঞানের 
সিদ্ধান্তার্থ বল। হহশ--অনারন্ধ অর্থাৎ সঞ্চত কর্খই রপ্রাপ্ত হ্য়। 
অনারবকাঁধ্য অর্থাৎ অপ্রবৃত্তকল । যে সকল শুভাশ্তত কম্ম ভোগজন্মাইতে 
আরল্ত করে নাই, সঞ্চিত আছে, তুষ্রীন্তাবে আছে, তাহা । জ্ঞান হইলে 
জন্মান্তরসঞ্চিত ও এতজ্জন্মসঞ্চিত তাদৃশ শুভাস্তভ কন্ম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, অর্দভুক্ত 
আরব্ধকর্্ম অক্ষুণ থাকে । অর্থাৎ যে সকল কন্ম ফগ দিতে আরন্ত করিয়াছে, 
শরীর জন্মইরাছে, সুতরাং কিন্নৎ পরিমাণে ভোগও হইয়াছে, জ্ঞান হইলেও 
সে সকল কম্ম নষ্ট হয় না। তাহা ভোগশেব না হওয়া পর্য্যন্ত থাকে * কারণ, 
আত তাহা সেইরূপ সীমাবধারণ করিত বুঝাই] দিন়্াছেন। আত বলিয়াছেন, 
“জ্ঞান হইলেও যুক্ত হইতে তাহার সেই পর্যন্ত বিলন্ব_-যে পর্যন্ত তাহার শরীর 
পাত না হয়। শরীর পাতের পরেই তাহার ব্রঙ্গসম্পত্তি অর্থাৎ মোক্ষ হয়।” 
এই ক্রতিতে ক্ষেমপ্রাপ্তির (মুক্তিলাভের ) সীমা শরীরের পতন । যাধৎ 
ন। শরীরের পতন হয়, শারীর ভোগ সমাপ্ত হয়, তাবৎ শরীরাপস্তক ভুক্কা- 
বশিষ্ট পুণ্যপাপ থাকে, দাহ প্রাপ্ত হয় না। ভোগেঈ তাহার সমাপ্তি বা ক্ষয়। 
জ্ঞান হইলে যদি প্রাররূও ক্ষযনগ্রাপ্ত হইত তাহা হইলে জ্ঞানী শরীরস্থিতির 


৭৬ ' তত্বঙ্ঞানামৃত। 


কারণ]না থাকুয় সেই মৃহূর্ডেই অশরীর বা যুক্ত হইত এবং শ্রুতিও শরীর পাত 
হি বলিতেন না। যদি খল, অকর্তৃব্র্গাত্মজ্ঞান আপন বলে কন্ম 
বিনাশ কঞিবেক, অথচ কোন কোন কম্ম খিনাশ কারবেক ও কোন কোন 
কর্ম বিনাশ করিবেক না ইহা কিরূপে সঙ্গত হইতে পারে? অগ্নিবীজস স্বন্ধ 
সমান হইলে সে স্থলে কি কতক বীঙ্জের অস্কুবশক্তি থাকে ও কতক বীজের 
অন্কুরশক্তি নষ্টু হয়? তাহা হয় না। হহার প্রত্যত্তর এই যে, তত্বজ্ঞান 
প্রবৃত্ধফলন কর্মাশয় (ফগ দিতে আন্ত কয়িয়াছে অর্থাৎ শরীর জন্মাইয়াছে 
এরূপ কর্মাশয় ) অবলম্বন ব্যতীত উত্পপ্র হইতে পারে না। কন্মাশয়ের 
নিয়ম এই যে, সে ফল দিতে প্রবৃত্ত হইলে শা প্রতিনিরৃন্ত হয় না। কুলালচক্র 
সবেগে থুরিতে প্রবৃত্ত হ্টলে মধ্যে যদি বাঁ! প্রাপ্ত না হয় শাহ হইলে অবশ্যই 
তাহার বুর্ণন বেগক্ষয় ন। হওয়া পধ্ান্ত অবস্থান কাঁবুবেক। অক ক্রঙ্গাত্ম 
জ্ঞানও মিথ্যাজ্ঞান অপসারিত কির! কন্মোচ্ছেদ করিলেও চত্রদৃষ্টাস্ে 
বহুকালপ্রবৃত্ত মিথ্যার্ছানের সংস্ক।র থান অপগত হয না অধিকন্ত কিয়ৎ- 
রা কাল তাহার অন্থপর্তন থাকয়া যায় । তা জান হইলেও জ্ঞানীর 
কিয়ংপারামত কাল শরার ধারণ সঙ্ঘটন হয়। ত্রন্মসাক্ষাৎকার হইলে কিছু 
কাল শরার ধারণ হয় কিনা, হংা লং বিবাদ কারবার প্রয়োজন মাই । 
জ্ঞান হইলেও শরীর ধাওুণ হয় উহা! ব্রনের শ্বান্থুতবসদ্ধ। অন্ঠে তাহার 
কি প্রত্যাখ্যান কারবে। এঞতি ও স্বৃতি স্থিত প্রঙ্ছের লক্ষণ কথন দ্বার এ 
তত্বই বালয়াছেন ও বুঝাইয়াছেন । অতএব, জ্া।নবলে অপ্ররু ফল পুণ্য- 
পাপের ক্ষয় হওয়াই সিদ্ধান্ত । 


ভোগেনত্বিতরে ক্ষপযিত্! সম্পচ্ভতে ॥ 
অঃ&,পা ১ সু১৯॥। 


স্্রার্থ-_ইতরে পুণ্যপাপে অনারন্ধকার্য্ে তোগেন ক্ষপয়িত্বা নাশয়িত্বা 
সম্পদ্যতে বিদ্বেহকৈবল্যমাপ্োতি জ্ঞানীতি শেষ; 1--তত্বজ্ঞানী অনারবধফল 
পুণ্যপাপ ভোগ দ্বার বিনাশপ্রাপ্ত করিয়া ব্রঙ্গানববাণ লাত করেন। সঞ্চিত 
কর্ম জ্ঞানে দগ্ধ হইয়া যায়, পরার কর্ম ভোগ দ্বারা ক্ষয় হইতে থাকে। 
অনন্তর তাহার শেষ হইলেই অর্থাৎ দেহপাত হইলেই পরম মোক্ষ লাত হয়। 
'তাযার্ধ- বিদ্যার ( তত্বজ্জানের ) প্রভাবে সঞ্চিত পুণ্যপাপের অশ্রেষ 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ৭ 


বিনাশ সমধিত হইয়াছে । এক্ষণে আারনধফল (যাহা তো” পরব 
হইয়াছে বা যাহা শরীর জন্মাউয়াছে তাহা) পুণ্যপাপ বি/ হয় তাহা 
বলা যাইতেছে । আরন্ধকল পুণ্যপাপ ভোগ দ্বারা নিঃশেষিত হইলে 
তখন ব্রঙ্গ-নম্প্ন হয়। “তাহার সেই পর্যাস্ত বিলঘ্ষ --যাবং ন দেহ পরি- 
ত্যাগ করে। অনন্তর ' দেহপাতের পর) সেব্রক্গসম্পর হয়) এব্রহ্মভাব 
প্রাপ্ত থাকিলেও সে তখন ব্র্দ (দেহপাতের পর প্রকুত ত্রঙ্গহাব ) প্রাপ্ত 
হয়।” ইত্যাদি রাত এ কথাই বলিয়াছেন। এই স্থানে প্রশ্ন হইতে পারে, 
তরজ্ঞান হইগেও দেহপাতের পুন্ব গর্যান্ত তেদজ্ঞান অন্বত্তিত হইতে পারে । 
অর্থাৎ তব্বজ্েরও সংসার অংতকম হর না।। প্রথের প্রতু্তর এই যে, নিমিত্ত 
অর্থাৎ কারণ না থাকার তাহা হয না! । আরবতোগের ক্ষয় বাতীত 
অন্ত কিছুর অন্থবর্তিন হয় না। ঘদি বল' আরব্ধকল বন্দু ব্যতীত পূর্বসঞ্চিত 
অনারনধকফল অনেক কন্ম থাকে, সে সকপ কম পুনব্বার ভোগ আরম্ত করিতে 
পারে। আমরা বলি, কম্ম থাকে সহ্য; কিক সে সকল কশম্ম ভোগ দিতে 
সম্থ নহে । কারণ. সে সকল কম্মের বাজভাপ থাকে না। অর্থাৎ তাহ। 
দগ্ধ (শঃশক্তি) হইয়। যায। শঙ্গা্ট (ভুক্াবশিষ্ট ) অজ্ঞানমূলক কন্মই 
দ্বেহপাতের পর জন্ম. আদু ও ০ত1গ জন্মায় । অঙ্জান তিরেোহিত হওয়াতে 
তনুলক কথ্য সকণ জ্ঞানে শিম্মপ বানিঃশক্তি হইয়া ঘায়। সেই কারণে 
সে সকল কন্ম শরীর পাতের পুব্দেই অভ।ব প্রাপ্তের শ্ঠায় হয় এবং 
প্রারন্ধ নাশেব পণ অর্গাৎ শরার পাতের অনন্তর জ্ঞানীর কৈবলা 
জন্মো। 

পুর্বশাস্তে মামাংসিত হইয়াছে ঘে-জ্ঞানীর ততবজ্ঞান ছন্মিলে পুণ্যপাপ ক্ষয় 
প্রাপ্ত হয়, হইলে দেহপাতের অনন্তর কৈধল্য জন্মে। সম্প্রাতি বিচার্ধ্য এই যে, 
উক্ত কৈবল্য বা মোক্ষপ্রাপ্তির সাধন জ্ঞান বা কম্ম? এবিষয় বাদরায়ণ মুনি 
( ব্যাসদেব) বলেন, বেদান্ত বিহিত আন্মজ্ঞান স্বতন্ত্র, তাহ? হইতেই অর্থাৎ 
কর্মের বিনা সহাতায় মোক্ষ সিদ্ধ হয়। এই অর্থ নিয়লিখিত কতিপয় সুত্রে 
অন আচার্ষের পুর্বপক্ষ নিরাশ দ্বারা সিদ্ধান্তিত হইয়াছে । 


পুরুষার্থোহতঃ শব্দাদিতিবাদরায়ণঃ। 
অ৩,পা 8, সু১॥ 


ধ৮ _ তত্বজ্ঞানামূত 


সঃ তঃ অস্মাৎ বেদাস্তবিহিতাদাত্ুজ্ঞানাৎ কে বলাৎ পুরুষার্থঃ সিধ্য- 
তীতি ৪ এতদবগমাতে ? শব্দাৎ ঞতেঃ। ইতি বাদরায়ণস্তযামধেয় 
আচার্য আহেতি যোজনীয়ম্‌ 1--বাদরাম্বণের যত এই যে' ক্ধের বিন! 
সহায়তায় কেবলমাত্র পেদাস্তাবহিত আম্মতন্বজ্ঞানে পুরুষার্থ (মোক্ষ ) সিদ্ধি 
হয়, ইহা শদের অর্থাৎ এতির দ্বার বিজ্ঞাত তওঘা যায়। 

তাষ্াাথ--এই পাদে উপানধৎ প্রঙ্থত আত্মজ্ঞান বিচারিত হইবে। সে 
সন্বন্ধে সংশর এই যে, গপনিষদ আম্মজ্ঞান কি অধিকারী ক্রমে কন্মাঙ্গ ? 
অর্থৎ কম্মকর্তার বিশেষণ হইয়া কি কন্মের সহাধভায় ফলসাধন করে? 
কি তাহা স্বতন্্রূপে পুরুষার্ধের সাধক হয়? হুএকার এই সংশায়ত পদাথের 
মীমাংসার প্ররত্ব হইম্বা প্রথমে [পদ্ধ'গ্ত পঁলিতেছেন। বেদাস্তবাহত এই 
আত্মজ্ঞান স্বতগ্র, সুরা, কেবল তাতা হইতে পুরুয়ার্থ সিদ্ধ হয়, ইহ! 
বাদরায়ণ আচাধ) (মুনি) মনে করেন বধ! মান্ত করেন। এতন্বতিনি 
কোথায় পাইলেন ? কিসে জাশিলেন % শের অর্থাৎ আতির দ্বারা 
. জানিয়ছেন। আত যথা -“আত্মবিৎ অর্থ ষে আপনাকে জানে সে শোক 
হইতে উত্তীর্ণ হয়।'” "যে পর-ব্র্ধ জানে পে ব্রহ্ম হয়” এব্রদক্গ পারম্য প্রাপ্ত 
হয়।” “আচাধ্যবান্‌ ব্যক্তিই তাহাকে জানে.” “তাহার সেই পধ্যস্ত বিলম্ব - 
যাবৎ ন সে শরীর-বিনিনুক্ত হয়। অনগ্তর /স ব্রহ্ধপম্পর হয়|” ইত্যাদি । 
শ্রুতি “যাহা আত্ম! তাহা নি্প।প --” এইরূপ প্রপ্তাবাবপ্ত করিয়া "সে পর্বলোক- 
প্রাপ্ত হয়, সমৃদায কাম্য লাত করে।” ইত্যাদি কথা বলিগ্াছেন। অনস্তর 
“যে বিচার করিয়। পৃর্বোক্ত আগ্র। জানে” “মাম্মাই দষ্টধ্য অর্থাৎ আপনাকে 
সাক্ষাৎকার করা! কর্তব্য” এই্ইব্ূপ বলিয়! অবশেষে বলিয়াছেন “এই পর্য্যস্ত বা 
ইহাই অমৃত অর্থৎ মোক্ষ ( হত্যা্দি ঞ্রতি কেবল খিদ্র্যারই অর্থাৎ কর্মবিযুক্ত 
আত্মতত্বজ্ঞানেরই পুরুষার্থলাধনত। শুন।ইপ়াছেন। এগ বিষয়ে অন্তান্থ আচাধ্য 
নিয়োক্ত পথে প্রতাবস্থান করেন। 


শেষত্বাৎ পুরুষার্থবাদোষথাহন্সেঘিতি জৈমিনিই॥ 
অ ১৩,পা 8 সু২॥ 


সুত্রার্থ__শেষত্বাৎ কর্মাঙ্গত্বাৎ হেতো: কর্তৃত্বেনাত্মন ইতি যোজ্যম্‌। 
তবিজ্ঞানমপি ব্রীহিপ্রোক্ষণারিব্ বিষয়দ্বারেণ কন্মসত্বদ্ধি। অতএব, যথাহন্যেষু 





জাবের দংসারগতি খন । ৭৯ ( 


ধ্রব)সংস্কারকন্মস্থ ফলঞ্তেবর্৫থবাদতং জারঠনরটাভা।: 4১৯ 
জৈমিনিরাহ। পুরুষার্থবাদঃ কর্তৃত্তত্যর্থমর্থবাদঃ ।__যে কন্ম করেঠসেও কর্দের 
অগ্কতম অঙ্গ । আত্মা কন্ম করে? সে ছগ্তক আত্মাও কন্মাঙ্গ । স্ুতরা" তাহার 
অর্থ. কল্মক্ভার যথোক্ত আত্মবজঞানও কন্োর অঙ্গ। কর্মাঙ্গ আত্মজ্ঞান 
খিষন্ে যে-সক্চল কলবাক্য আছে সে সকল অর্থবাদ_-কম্কর্তা আত্মার 
প্রণংসাবাদ মাত্র। যদ্রপ অন্যান্য অঙ্গ বিষধ়ে অর্থবাদ বাক্য আছে তদ্রপ 
এই কতৃসংস্কার অঙ্গেও এ সকল অর্থধাদ আভহিত হইয়াছে । 
তাস্তার্থ--আগ্মাই কম্মকণ্। সে জগ্ত তি'নও কম্মের অন্যতম অঙ্গ । যেহেতু 
আত্মা কন্মাঙ্গ, সেহ হেতু তদিজ্ঞানের ( আত্মজ্ঞানের ) ব্রীহিপ্রোক্ষণের ঠায় * 
বিষয় দ্বার। অর্থাৎ পণস্পরা সন্বন্ধে কম্মসন্বান্ধতা আছে'। সুতরাং আস্মবিজ্ঞানও 
কন্মের অগ্তান্ঠ অঙ্গের ন্যায় প্রয়োজনীর | অঙ্গ ও প্রয়োজনীয় আত্মজ্ঞানসন্বব্ধে 
যে ফলএরবণ আছে সে সকল অথবাদ, হহ। গৈমিনি যুনির যত। জেমিনি 
মুনি মানেন বা মনে করেন, যেমন অন্তান্থী বঙ্ঞীয় দ্রব্যের সংস্কার সম্বন্ধে 
“থাহার পত্রনিশ্মিত জুই (হোমের হাতা), সে পাপ বাক্য শুনে না অর্থাৎ 
অনিশ্দনীয় হয়।”' 'যঞ্মান যে অপ্রন ধারণ করে, তাহতে সে শক্রর চক্ষু 
ছি করে? 'যাগকত্তা যে প্রযাজ অন্ুযাজ করে, ভাহাতে তাহার যজ্ঞ 
খন্মাচ্ছাদত করা হয়| "খঙ্ছে এহ সকল কন্ম যঙ্জমানের শক্রবিজয়ের 
কারণ।” এই সকল বাক্য অর্থখাদ, স্তিমাত্র, তেমনি, আন্মঙ্ঞানসন্বন্ধীয় 
কলবাক্যও অর্থবা৭, স্ততিমাতে। (ফলের সহিত অর্থবাদ বাক্যের সম্বস্ধ 
নাই, কন্মের সহিতই তাহার সম্বপ্ধ স্থৃতরাং তাহা কন্মের শাবক যাক্। 
বিশদার্থ এই যে, এ সকল ফলবচণ প্রলোতন মাক; বস্ততঃ এ সকল ফল 
হয় না।) এই স্থানে বলিতে পাপ, আপত্তি কাপতে পার যে, আত্মবিজ্ঞান 


* ব্রী ধান্যাধশেষ (আশুবানা)। তাহা যজ্ঞকার্ষেয গৃহীত হয় এবং 
তাহাতে মন্ত্র পাঠ পুব্বক জলপ্রোক্ষণ করা হয়। সেই ধোক্ষণে তাহার 
সংস্কার হয়, সংস্কারের প্রভাবে তাহাতে ফলজনকতাশকজি আহসে। এইরূপ 
আত্মাও উপনিষদ্বিহিত জ্ঞানের দ্বারা সংস্কৃত হন, সংস্কৃত হইয়া কম্মফল পাইবার 
যোগ্য হন। অতএব, বন্রপ ব্রীহিপ্রোক্ষণ দ্রব্যসংস্কারক মঙ্গ, তদ্রপ মাত্ম- 
বিজ্ঞানও কন্মের কর্তৃসংস্কারক অঙ্গ। 





] ৮৪  তজ্ঞানামৃত ৷ 





অন।রত] অ্রীত অর্থাৎ কোন কর্শ-প্রস্তাবে পঠিত নহে এবং সেজন্য তাহার 
পক বিনিযোঞক প্রমাণ নাই। যথন বিনিযোজক প্রমাণ নাই, 
তখন ক প্রকারে যজ্ঞের সাহত তাহার সন্বন্ধ হইবে? আত্মাই কর্মৃকর্ত।) 
তদনুলারে তাহার জ্ঞানও বাক্যপ্রমাণে যজ্জকম্মের সাহত সম্বন্ধ হইতে পারে 
এরূপ বলিলেও আপত্তি হইবে । কেননা, ঈদৃক গুলে বাকোর দ্বারা বিনি- 
যোগ (আস্মজ্ঞানকে যঙ্ঞকাধ্যে সংযোজন করা) অন্ুপপন্ন | অযুক্ত )। 
বাক্য অধ্যতিচারী কোন দ্বার খা উপলক্ষ্য প্রাণ্ড না হহলে অনারভ্যাধীত 
পদার্কে বজ্ঞকার্ষে; সংযোজন করিতে পারে না। আত্ম। কম্মকত্তা সত্য) 
কিপ্ত তিনি সে সন্বন্ধে লোক বেদ উভগ়সাধারণ; সুতরাং অব্যতচাখী অর্থাৎ 
তন্মাক্্নিদ্দিষ্ট নহেন। তান লৌকক কম্মও করেন, বৈদিক কন্মও করেন। 
অতএব, যজ্ঞঞক্ধে্য আখার অঙ্গভাব ধা সন্বন্ধ আছে বালয়াহ যে তদ্ধিজ্ঞনেরও 
কশ্সের সহিত অঙ্গতাব বা সন্ব্ধ থাকবে, এ সন্ধান্ত প্রমাণলত্য নহে। বাদি- 
গণের এ আপাত অকাঞ্চ২কর -াকছহ নহে । কারণ, বেদে।ঞ্জ কম্মব্যতীত 
অন্যঙ ব্যাতবেকবিঞ্ানের অপাৎ দেগাতাপ্রক্ঞা াবঞ্নের । দেহাদি আত্ম 
নহে, আত্ম। বা আম এতর্দাতপ্রি্, এই আতারক্ত জ্ঞানের ) উপযোগ বা 
প্রয়োজন নাহ। লৌকিক কারে) তাদৃশ জানের কি উপযোগ আছে? এন্ন- 
মাও ডপযোগ বা প্রয়োজন দেখা ধায় না। বাতিপেক জ্ঞান থাকুক বান 
থাকুক, উতর প্রকাগরেহ দৃষ্তাথপ্রব্ত্তি উপপম হএ। (ৃষ্টার্থল লৌকিক পদার্ঘ। 
প্রবৃত্তি. ইচ্ছ। চেষ্টাদি । তাহ। আতারক্ত জজ ন থাকলেও হয়ঃ না থাকিলেও 
হইতে পাণে।) কিগ্ড আতারুক্ত জান ব্যতাও বৈদিক কম্মে প্রবৃত্তি হওয়ার 
সম্তাবন।ও নাই । কারণ, ধৈদৌোক্ত কন্মের ফল পারলেলীকিক অর্থাৎ 
মরণের পর হয়। যেকমের ফল মগণেব পর লতয; ব্যাতরিক্ত বিজ্ঞান 
ব্যতীত তাহাতে প্রবাত্ত হইতে পারে না। অর্থাৎ কেহুহ সেরূপ কাধ্য 
করিতে ইচ্ছুক হয় না। অতএব, বৈদিক কনম্মে ও কন্মাঙ্গে ব্যতিরিক্ত 
বিজ্ঞানের উপযোগ বা প্রয়োজন মাছে। উপনিষদে আত্মার অপাপত্ব 
প্রভৃতি বিশেষণ প্রদত্ত আছে, তদ্বলে আত্মার অসংসারিতই প্রতীত হইবে, 
তাদুশ জাম্মবিজ্ঞান প্রত্বাত্তর অঙ্গ নহে। অর্থাৎ তাদৃশ আস্মজ্জান হইলে 
কন্মে প্রবৃত্তি হওয়া দুরে থাকুক, প্রত্যুত নিবৃত্তিহ হইতে পারে, এ কথাও 
বলিতে পার না। কারণ এই বে, উপনিষদে প্রিয়দিসংস্থচিত সংসারী 


জাবের সংস(রগতি বর্ণন। ৮১ 


আত্মাই দ্রষ্টব্য বলিয়া উপদিষ্ট হইয়াছে। (প্রিয়, মোদ। 71৮1, এ 
সমস্তই সুখবিশেৰ। আম্মা তাহ! প্রাপ্ত হয় বা ভোগ করে এসকল 
কথ। সংসারী আত্মারই বোধক | অপাপ প্রস্ৃত কতকগুলি অশংসারী 
বোধক বিশেষণ আছে সত্য; পরন্ত সে সকল স্তাত বা প্রশংস! ব্যতীত 
অনা কিছু নহে। যদি বল, অসংপারী ব্রদ্দই জগ কারণ এবং পেই জগত 
কারণ ব্রঙ্গই এই সংসারী আত্মার পারমাথিক স্বরূপ, ইহা এত্যেক উপনিষদে 
উপদিষ্ট, এ সকল কথা পুনঃ পুনঃ তিন ভি স্থানে বল। হইয়াছে, আবার সে 
সকল কথ| কেন? হার প্রতার্তর এই যে, তাথাহ দৃঢ় রাখিবার শিশিজ্ত 
সুণানিথননের দুষ্টান্ডে পুন, পুব্বপঞ্চ ও পুনঃ সামাধান করা হইতেছে। 
আচারদর্শনাৎ ॥ অ ৩, পা ৪,আসুত॥ 

গঙ্জার্গ - বিদ্যা সহ কল্মাচিরণদর্শনার কেবলৈব বিদা। মোক্ষহেতুরিতি 
2ঞার্থঃ -_ জ্ঞানপুর্বক কন্মাচরশ । কম্মাগুঠান ) কাপতে দেখা যায়। তদ্ধার। 
জান। যাক; কেবল জান মোখ্কাসব নহে। 

ভাম্তার্থ- “মিথিল। দেশের প্লাজা জনক বহ্র্দনিণ যঙ্গ (তনামক যন্ঞ 
অথবা অশ্বমেধ) কর্রিঘ(ছিলেন | “হে মহাভাগগনণ! আমি যাগদীক্ষিত 
হইয়াছি।” ইত্যাদি ইত্যা'দ শানে দেখা যায়, ব্রদ্ধবিৎ পারবি! যক্ঞান্ুষ্ঠান 
করিতেন । এ পকল বাক্োর তাত্পয্য অগ্গপিধ হইলেও কম্মসন্বদ্ধ €বাধের 
বাধা জন্মায় না। উদ্দালক প্রস্ততি ব্রশাঙ্গ মহধি পুত্রের অনুশাসন (উপদেশ) 
করিয়াছিলেন, তাহ! দেখিক্া জানের সহিত গাহস্ক্যের সন্বপ্ধ থাকা অন্ুমিতি 
হয়। কেবল জ্ঞানে পুরুষার্থ লাত হলে কিগন্ঠ তীহাবা ক্লেশবনুল যতও দি 
কন্ম করিতেন? সমীপে মধু পাইলে কে পব্তে যায়। 

তচ্ছ তে ॥ অ ৩,পা ৪, সু । 

সুঞ্জার্থ_-তং কন্মাঙ্গ তম । এতেন্ততীয়ারতেরবধাধ্যত হতি যোগ্য 

জ্ঞান যে কঙ্বের অন্ততম অঙ্গ তাহ “শ্রদ্ধয়া, উপনিষদা” ইত্যার্দ বাক্যস্থিত 


তৃতায়। বিভক্তিপ দ্বার) অবধারিত হয়। 
ভাঙ্ার্থ_''যাহ! বিদ্যায় ( উপাসনায় ) নিম্পর্ন হয়, তাহ শ্রদ্ধার ও 


উপনিষদের দ্বারা (উপনিষদ -রহস্তবিজ্ঞান বা তত্বজ্ঞান। বীধ্যবত্তর অর্থাৎ 
ফলাতিশয়ঙ্জনক হয় |" এই বাক্যে তব্বজ্ঞানের কম্মাঙ্গতা শ্রবণ থাকার 
কেবল জ্ঞানের পুরুষার্থজনকত[র অভাব নির্ধাপিত হইতেছে। 

৯১ 


৮২ _ তত্বজ্ঞানামূত। 


ক্মনবারভণাৎ ॥অ৩, পা 8,সু৫॥ 


সক্াথ--“সমন্বারভেতে” ইতি শ্রবণাৎ বিদ্যা কন্মাণোঃ সমুচ্চর এব 
ফলারস্তকারণং ন তু বিদ্যায়া স্বাতন্ত্রামস্তীতি ভাব? ।--এতি বলিয়াছেন, বিদ্যা 
ও কন্মু পরস্পর সহভাবাপনন হইয়া ফল জন্মায়, সুতরাং বুঝা গেল, জ্ঞানের 
স্বাতন্ত্র্যে ফঙগজনকতা নাই। 

ভান্তাথ-_'বিষ্কা ও কম্ম উভয়ই সেই পরলোক প্রস্থিত (মৃত) জীবের 
অন্ুগমন করে।” এই আতিতে দেখা যায়, ফলারন্জের প্রতি অর্থাৎ পুনজ্জন্মের 
প্রতি জ্ঞান কর্ম উভয়ের£ সহতাঁব আছে। অর্থাৎ উভয় মিলিত হইয়াই 
জন্মাস্তরাদি ফল জন্মায়, কেবল জ্ঞ।ন (কচুই করে না। 


তদ্ধতোবিধানাৎ ॥ অ ৩, পা 8, সু ৬॥ 


স্ত্রা্থ- কত্লবেদাথজ্গানিনং প্রতি কল্মণে! বিধানাৎ্। -যে সমুদয় বেদ 
অধ্যয়ন কারক়াছে ও সে সকলের অথ বুঝিয়াছে। সেহ ব্যক্তির উদ্দেশেই 
যজ্ঞাদি কম্ম বিহিত অর্থাৎ উপাঁদষ্ট | সমণ্ত বেদার্থের মধ্যে উপনিষদ প্রন্থত 
তত্বজ্ঞান নিবি আছে। 

ভান্তাথ - "গুরুকুলে অবস্থান পূর্বক বেদ অধ্যয়ন করিয়। 7? "গরুর 
সমুদদায় কার্য ! আঙ্ঞাপালন ) শেষ করিস্সা” “সমাবন্তন অথাং ক্রহ্মচর্যয 
ব্রতের উদ্যাপন করিয়া -” “বুটুম্বমধ্যে বস করতঃ পথিঞ্জ স্থানে বেদাধ্যয়ন 
ততৎ্পর--এই সকল শ্রুতি ও এই সকলের অগ্নুরূপ অন্ঠান্ত আরতি সব্ববেদাথ 
জ্ঞানীরই কর্মাধিকার দেখাইতেছে। সুতরাং বুঝা যাইতেছে, বিজ্ঞানের 
( আত্মতন্ৰ জানের ) ম্বাধীনতাবে ফলপ্রদানস্যমর্ধ্য নাই । বেদমধীত্য-_বেদ 
অধ্যয়ন কারয়া, এখানে মাত অধ্যয়ন-শখের উল্লেধ থাকিলেও তাহার অথ" 
কেবল উচ্চারণ নহে। অথজ্ঞানও অধ্যয়নের অন্তর্গত । অধ্যয়ন-শব্দ যে 
উচ্চারণানঝ্তর মথ বোধ পর্য্যন্ত অর্থ বুঝায় তাহা পুর্বকাণ্ডে বণিত হইয়াছে। 


নিয়মাচ্চ ॥ অ৩, পা&, সূ ৭॥ 


এঞাথ --[ন্য়মবধিদর্শনাচ্চ।--“কন্ব-পরায়ণ হইয়! শত বতসর জীবত 
থাকবার ইচ্ছ। করিবেক।” “যাবৎ না জরা মরণ উপস্থিত হয় তাবৎ 
অগ্মিহোঞ্যাগ করিবেক” ইত্যাদি এতিতে কন্মতৎপর থাকিবার নিয়ম কথিত 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ৮৩ 


হইয়াছে । নিয়ষঘ উল্লজ্বিত হয় না। তাহাতেই বুঝ যায়, ভ(৮স্কর্মেরই 
অন্যতম অঙ্গ । (২ হইতে ৭ সুত্র পর্য্যন্ত পৃর্ববপক্ষ )। 

তাস্তার্থ--“কন্ম করিবার জন্ত, শত বৎসর পর্য্যন্ত এই দ্রেহে জীবিত ধাক্কার 
ইচ্ছ। করিবেক। তুমি কথিত প্রকারে বিদ্যমান খাকিলেও (শীবিত থাকিলেও) 
কশ্মে লিপ্ত হইবেনা । এই প্রকার ব্যতীত অন্তপ্রকার নাই 1৮ “এই 
যে সত্তর অর্থাৎ যজ্ঞ - ইহার নাম অগ্নিহোঞ্জ | ইহা জরা-মরণ পর্যন্ত 
অনুষ্ঠেয় । জরা আসিলে অথবা! মুত্যু হইশে ইহা! আমাদিগকে ত্যাগ 
করিবেক। (মধ্যে নহে )1” এহ সকল কম্ম নিপ্াষক বিধানের দ্বারাও 
জ্ঞানের কন্মাঙ্গতা প্রাপ্ত হওয়া যায়। এইরূপে ২ হইতে ৭%৬ পধ্যন্ত যে- 
পূর্বপক্ষ স্থাপিত হইল তাহার প্রতিবিধান এইরূপ - 


অধিকোপদেশাত্ত, বাদরায়ণশ্যৈবৎ তদ্দর্শনাৎ ॥ 
অ ৩. পা &,সু৮॥ 


চত্রার্থ - তুঃ পরপক্ষনিররাসার্থ;। বেদান্তোক্তং পরমাত্মজ্ঞানং ন কল্মাঙ্গং 
তত তৎ্ফলং নাথবাদ;। হেতুমাহ-অধিকেতি। বেদাসগ্তেমু অধিকস্য 
শারীরাদায্বনোহসংসারীশ্বরস্তোপদেশদর্শনাদিতযথঃ। এবং সতি বাদরায়ণস্ত 
মতমবিচাল্যগ্তবতি। তদ্দর্শনাং অধিকোপদেশদর্ণনাৎ ঞরুতিঘিতি পূরণীয়ম্‌। 
ফলিতার্থস্ত--যঃ কর্ত। কন্ধাঙ্গং নাসৌ পেদান্তবেষ্ঠে। যচ্চ ব্রঙ্গ তদেব তথ্বেত্যং ন 
তৎকক্মাম। ততশ্চ তজ্জ্ঞানস্য কুতঃ কম্মশেষতা কুতোবা ফলগ্রুতেরর্থ- 
বাদতেতি।-যে-মাত্ম। বেদান্তে উপদিষ্ট, সে আম্মা কল্মাঙ্গ কর্ত-আত্মা 
(জীবাত্মা) হইতেঅধিক অর্থাৎ উতরুষ্ট। বেদান্তবেগ্থ আত্ম। অসংসারী ও 
কর্তৃত্বাদিসব্বধন্মবর্ষিত। অতএব, বাদরায়ণের মতই দু অর্থাৎ অবিচাল্য। 
আতিতেও অধিক অর্থাৎ অসংসারী ব্রদ্ধাম্মার উপদেশ দেখা যায়। 

তাস্তার্থ__হুত্রস্থ তু-শব্দ প্রোজ পূর্বপক্ষের (উত্থাপিত আপতির ) নিবা- 
রক। অর্থাৎ আত্মতন্বজ্ঞান কন্মের অন্ততম অঙ্গ 'ও তছুপলক্ষ্যে কথিত 
ফলবাক) অর্থবাদ, সে কথ] নহে। সে কথা উপপন্ন হয় না অর্থাৎ তাহ। 
যুক্তিযুক্ত নহে। কেননা, অধিক উপদেশ দুষ্ট হয়। বেদান্তে যাঁদ কেবল 
দেহাতিরিক্ত কর্তা ও কর্মফলতোক্তা সংসারী শাত্মা উপদিষ্ট হইতেন তাহা 
হইলে অবশ্ঠই সেই সেই ফলশ্রুতিকে কথিতপ্রকারে অর্থবাদবাক্য বলিতে 


এ 


| 


৮৪ তত্বজ্ঞানামুত | 


পারি কত্ত কেবল তাহা অভিহিত হয় নাই, বেদীন্তে কেবল সংসারী 
আত্মা উপাঁদষ্ট হয় নাই, অধিকন্ত তদতেদে ও তদতিবিক্তরূপে অসংসারী 
ঈশ্বরাত্মাও বেছ্য বা বিভ্ঞেয় খলিয়া উপদিষ্ট হইয়াছেন। তদনুসারে তাহাকে 
কর্তৃত্বাদিসর্বধন্মপহিত নিপ্পাপ নিলিপ্ত উদদাসীন ও পরমা তমা বলিয়া জানিতে 
হইবে। সেজ্ঞান কন্মাপ হওসাব। কর্মে প্রবৃত্ত কর! দুরে থাকুক, কর্মের 
উচ্ছেদই করিয়! থাকে । এতথ্য "উপমদ্দধ্” গব্রে সমর্থিত হইবে। 
অতএব, ভগবান বাদরায়ণ যে বলিয়াছেন, কেবল বেদাগুবিহিত বিজ্ঞানে 
পুরুষার্থ (মোক্ষ ) সদ্ধ হয়, তাহ। স্তিরিতর থাকিবেক, শেষন্ব প্রত্বতি হেহা- 
তাস তাহাকে চালিত কারতে পারবে না। (১ হইতে ৭ পর্যন্ত সণ যে 
সকল হেতু প্রদশিত হইয়াছে সে সকল্প গুপ্ত হেতু নহে । সেস্কল হেবা- 
ভাস অর্থাৎ মাত্র দেখিতে হেত়র মত, আুতরাং সে সকলের দ্বারা প্রতিজ্ঞাত 
তব অব্যভিচপিতরূপে সাধিত হইতে পাতে না ।) যেসকল ঞুতি শরীরা- 
তিমানী জীবাজ্মার অধিক ঈশ্বরাযা বা পর্ষাত্ম। বলিয়াছেন সে সকল অতি 
এই--- 'সব্বজ্ঞ ও সব্ববিৎ।” “বায়ু তাহারষ্ট ভয়ে বহমান হয়, স্ধর্যও তাহার 
ভয়ে উদ্দিত হন? “টান ভগ্ঠত বন্দ অপেক্ষা আধিক তমহেতু 1৮ গগাখি ! 
এই অক্ষরের (ব্রদ্ষে) অনুশাসনেহ চত-স্য বিবত আছে | “তিনি 
ঈক্ষণ অর্থৎ আলোচনা করিলেন, অমি বভ হইব ওজান্মব। অনস্তর তিনি 
তেজ সৃষ্টি করিলেন। ইতাদ। বেদাস্তে প্রিয়াদিশ্চিত সংসারী আত্মাও 
বিজ্ঞেয় বলিয়। উপাদষ্ট হইয়াছে সত্য ; ধথা--"আত্মার অর্থাৎ আপনার প্রিয় 
(প্রীতি বা সুখ) ঝা স্থুডিপ্রদ বলিয়াই এ সমুদয় প্রিয় হয়” “আত্মাই 
দ্রষ্টব্য” “যে প্রাণের দ্বাপা প্রাণবান্‌ অর্থাৎ জীবিত থাক] যায় তাহ! আত্মা ও 
সর্বাস্তর (সযুদায় দৈহিক পদার্থের অভ্যন্তরে বা মূলে বিরাজমান )।” 
“চচ্ষুতে এই যে পুরুষ দৃষ্ট হন” ইত)।দি, পরন্্ সে সকল বাক্যও জীবপরমা- 
সর আত্যপ্তিক তেদ অভিপ্রান্নে আমাত হয় নাই। কারণ, সেই সেই 
প্রস্তাবের শেষে এই সকল বাক]সন্দর্ভ আছে। “খথেদ যজুর্ধেদ সামবেদ 
প্রভৃতি সমস্তই এই মহড়তেব (নিত্যগিদ্ধ ব্রন্দের ) নিঃশ্বাসতুল্য অর্থাং 
খগ্েদাদি সমুদয় শান্ত তাহা হইতে বিন! প্রযত্বে বহির্ব্যক্ত হইয়াছে ।” 
“যিনি ক্ষুধা তৃষ্ণা শোক মোহ জরা মৃত্যু অতিক্রম করেন, পরম জ্যোতিঃ 
(তরঙ্গ) সম্পর্ হইয়! স্বীয় পাবমার্থিক রূপ প্রাপ্ত হন, তিনিই উত্তম পুরুষ ।” 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ৮৫ 


ইত্যাদি । ইত্যাদিবিধ বাক্য শেষ দ্বারা ইহাই প্রতীত হইতেছে তির 
অধিক বলিবার ইচ্ছ! থাকায় সেই সেই স্থলে অসংসারী ব্রঙ্গের উপদেশ কর] 
অতিপ্রেত, তাই তিনি প্রদর্শিত শেষ বাক্যে জীবব্র্গের আত্যন্তিক তেদ 
বলেন নাই। সুতরাং উথ্বাপিত আপত্তির খণ্ডন ও বিরোধতগ্রন সুসিদ্ধ হয়। 
পরমেশ্বরস্বূপই শারীরাম্মাব্র পারমার্থিক স্বরুপ; কাহার যেশারীরহ্ ব। 
জখব তাহ উপাধিরিত। এ কথা৷ “তব্ধমসি” মহাবাকো ও “ইস্। ছড়া 
পুথক্‌ দ্রষ্টা নাই --” ইত্যাদি বাক্যে অভিহিত আছে । এ সমস্ত আমর 
ইতিপুর্ষে সেঃ সেই স্তানে সপিস্তরে বলিয়াছি। 


তুল্যন্ত দর্শনম্‌ ॥ অ ৩, পা ৪. সু৯॥ 


লা 


ঈঞজার্থ দর্শনমাচাতদর্শন” তুল); কম্মকর্মশেষষে ইতি ।-- শাস্ত্রে যেমন 
জ্ঞানীর আাচার নিষ্ঠতা অর্থাং কশ্মান্ষ্ঠান রতি দেখিয়াছ, হেমনি কন্মবিরতিও 
দেখিতে পাইবে; অতএব, আচারদর্শনরূপ হেতু উত্ত্ন পক্ষেই তুল্য। সে 
জন্য তাহ! তাহার সাধক হইতে পরেন! । ভায়া বাখা। দেখ)। 


তাব্ার্২--খাল্যাছিলে যে, আচার দেখা খায় অর্থাৎ জানীদিগণ্জেও 
কর্মান্ষ্ঠান করিতে দেখা যায়, তৎ্কারণে জ্ঞান কম্মাঞ্ বলিয়া অবদূত, সে 
কথারও প্রত্যুত্তর দিতেছি । আচারদর্শন তুল্য অথাৎ কম্ম ও কম্মত্যাগ 
উতয় পক্ষে এাচার দর্শন আছে। শতিতে যেমন জ্ঞানীর কর্মানুষ্ঠান 
বর্ণিত আছে তেমান কন্মত্যাগও বর্ণিত আছে। কন্খ্ববর্জনবোধিক। শ্রুতি 
এই _“প্রিগ্ধজ্ঞ খধষিরা এইরূপ বলিয়াছিলেন । আমবা কিজন্ট অধ্যয়ন করিব? 
কিজন্ট যজ্ঞ করিব? পুবব খিদ্ধান্গণ অগ্রিহোঞএ হোম করেন নাই। ব্রদ্গজ্ঞ- 
গণ আত্মার সাক্ষাৎ্কারলাত করিয়া পুত্রেচ্ছা ধনেচ্ছ। ও লোকেচ্ছা হইতে 
ব্যুখিত হইয়া অর্থাৎ পব্ধপ্রকার কামনা পরিতট)াগ কারয়া ত্রহ্মনিষ্ঠতাচরণ 
করেন অর্থাৎ ব্রঙ্গসংস্থ হন।” ইত্যাদি। যাজ্বন্ক্, শুক ও নারদ প্রভৃতি 
জ্ঞানী ছিলেন অথচ কন্মনিষ্ঠ ছিলেন না। “ইহাই অমৃত (মোক্ষ) এই 
বলিয়! যাজ্জবব্ধ্য প্রব্রঙ্জযা অর্থাৎ সন্ন্যাস গ্রহণ করিলেন ।? এই শ্রুতিতে জ্ঞানী 
যাজ্ঞবক্ষ্ের কর্মত্যাগের কথ! শুনা যায় । “হে মহান্ভাগগণ ! আমি এখন 
যজ্ঞদীক্ষিত। এই লিঙ্গদর্শন অর্থাৎ ব্রঙ্গজ্ঞজ কৈকের় রাজার যজ্জদীক্ষিত 
হওয়ার কথা, ইহ] বৈশ্বানব-উপাপনা-বিষয়ক । যদিও সগ্ডণব্রঙ্গজ্ঞানে কর্ম 


৮৬ তবজ্ঞানামুত। 


৪৯, এ অসম্ভব নহে তথাপি তাহা প্রকরণস্থ নহে বলিয়া সে স্থলেও 


কন্ম সাহিত্যের অভান আছে। বলিয়াছিলে যে, “উপনিষদ” এতদ্বাক্াস্থ 
তৃতীয় বিভক্তির বলে উপনিষধ্প্রভব জানের কর্মাক্গতা অবধারিত হইতে 


পারে; এক্ষণে সে কথার প্রত্যুত্তর বলব । 


অপার্ববত্রিকী ॥ অ ৩, প| &, সু ১০ ॥ 

হরার্থ--অপাব্বঞিকী ন সব্ববিগ্ঠাবিষয়া। প্রকৃতা যা উাগাথবিদ্া তদ্বিষয়। 
এব সা ঞতিরিতি হন্রার্থঃ | তৃতীয় এঞ্তি কন্মাঙ্গের বিনিখোঞজ্ক সত্য; 
পরন্ত প্রদর্শিত তৃতীয়া ক্রুতি উদ্গীথবিষ্ভাপ্রকরণে অভিহিত; সেই কারণে 
তাহ! সব্ববিগ্ভার কশ্মাঙ্গীতা বোধকা নহে । অর্থাৎ তদ্্ারা কেবল উীগাধ- 
জ্ঞান'কেই কণ্ঙ্গ বালতে পা, অন্ত গানকে ( উপাপনাকে ) কম্মাঙ্গ বলিতে 
পার না। 

তাস্যার্থ- তাহা সবরিক নহে । “ণিষ্যা যাহা করে এই তি স্ব 
বিগ্াবোধিকা নহে। কেননা, প্রস্তাবত বিগ্ভারই সাহত উহার সন্বন্ধ। 
উদগীথজ্ঞানে ও এই অক্ষরের উপাসনা করিবেক, এই প্রস্তাবে এ কথ! 
অভিহিত হওয়ায় ডাগাথ বিদ্ার সহিত এ এখতর সব্বন্ধ । 


বিভাগঃ শতবৎ ॥ ৩ অ, পা ৪, সু ১১॥ 


সত্রার্থ_শতং বথা বিতঞ্য পীয়তে পঞ্চাশদেকমমৈ পঞ্চাশদগ্ন্মৈ তথা 
বিগ্কাকম্মশী অপি বিভাগেন সমস্থারতেতে ন তু সাহিঠোনেতি ।-শত যুদ্র। 
বিভাগের দৃষ্টীস্ডে উক্ত উভয়ের । বিগ্যাকম্মের) বিভাগ অথধারণ করিতে 
হইবে। 

ভায়ার্থ _বলিয়াছিলে যে, জ্ঞান কম্ম উভয়ই পরলোক গমনে উদ্যত 
পুরুষের অন্ুগমন করে, যরণের পর ভোগদেহ জন্মায় বা আরন্ত করে? এই 
সমন্বারস্ত বাকা জ্ঞানের অশ্বাতন্ত্রা পক্ষের গমক, সে কথার প্রতুাত্তর দিতেছি। 
সেই সমন্বারশু দীয়মান শত সংখ্যার তুষ্টান্তে বিভাগক্রমেই হয়। বিদ্যা অর্থাৎ 
জ্ঞান যে-পুরুষকে যে-রূপে আরম্ভ করে, কর্ম সে পুরুষক সে রূপে আর 
করে না। জ্ঞানফল একপ্রকার) কম্মফৰ অন্তপ্রকার। যেমন “ছুই ব্যক্তিকে 
শত যুদ্রা দাও” বলিলে বিভাগ প্রক্রিয়ায় এক জনকে পঞ্চাশ অন্তজন'কে 
পাশ দেওয়া হয়, সেইরূপ, বিদ্তা ও কর্ম বিভাগ প্রণালীতেই ফলপ্রদান 


জীবের সংসারগাত বর্ণন' ৮৭ 


করে। এযন বলিতে পারিবে না যে, এ সমন্বারস্ত বাক্য মুযুক্ষ বিষুষ্ছে অভি- 
হিত। অর্থাৎ তনয় মুমুক্ষুর মন্থুগমন করে, সংসাপীর অন্থগমন করে না, 
এরূপ নহে । কারণ, ঞতি “এইরূপ কানা ধা সংকল্প করে বলিয়া সংকল্লানু- 
রূপ লোকে যায়” এইরূপে সংসারী জীব লক্ষ্য করিস প্রোক্ত প্রস্তাব শেষ 
করিয়াছেন। অপিচ “যে কামনা করে না, সংকল্প তাগ করে--” এইরূপে 
মুযুক্ষুবিষয়ক পুথক্‌ উপক্রম (প্রস্তাব বা »ন্দ5) বলিয়াছেন। তন্মধ্যে 
যে সকল বিছা! সংসারগোচপ্া। পে সকল খিগ্কা অবিশেষে বিহিত ও 
প্রতিষিদ্ধ। আর যে বিছা সংসারগোচবা নহে) সে বিদ্যাবিষষে এ সমন্বারস্ত 
বাক্যের অবিতাগ অর্থাৎ সমুচ্ষয় উপপন্ন হইতে পারে। বলিয়াছিলে যে, 
কর্ম বেদাধ্যয়নবান্‌ পুরুষের পঞ্ বিহিত তদনুসাবেও বৈদিকজ্ঞানের 
কম্মশেষত! প্রতীঙ হয়, আচাধ্য ব্যাস সে কথারও উত্তর" দিতেছেন। 


অধ্যয়নমাত্রবতঃ ॥ অ ৩. পা 8, সু ১২। 


গঞ্পার্থ- মাতশব্ধেন জ্ঞান্ত বাবচ্ছেদঃ|-কম্মাধিকারে জ্ঞানের প্রতীক্ষা 
নাহ | তাহ! কেবল মাত্র অধায়ন সাপেক্ষ । 

“গুরুকুলে বাস করতঃ বেদ অধায়ন করিযা -”, এই বাক্য অধ্যয়ন 
শব্ধ সন্নিবিষ্ট থাকায় নিশ্চয় হয়, যে কেবলমা& বেদ উচ্চারণ করিতে 
শিথিয়াছে-- অভ্যাস কারয়াছে) সেও কশাকাণ্ডে অধিকারী । অর্থবোধ বাতীত 
প্রকৃত কম্মারধিকার হয় ন] সত্য; পরন্ত আমপা এমন কথা বলি না যে, 
অধ্যয়নপ্রত কম্মবিষয়ক জ্ঞান কশ্তের অধিকার নিবারক। আমর! 
ইহাই প্রতিপাদ্দন করিব, দেখাঠব, যে বেদমস্তক উপনিষদ ও তঙ্প্রতর 
আ্মজ্ঞানের ফল স্বতন্ত্র এবং তাহা কনম্মাধিকারের অপ্রয়োজক। যে এক 
ধজ্ঞজ করিবে সে যেষন অন্য যজ্জের গ্রাণ অপেক্ষা করে না, তেমনি, যে কশ্ম 
করিবে সেও গুপনিষদ্‌ আয্মজ্ঞান অপেক্ষা করে না। কারণ এই যে, অর্থ 
জানুক বানাজান্ুুক, উপনিষদুক্ত মন্ত্র অভ্যস্ত হইলেই সে কম্ম বিষয়ে কৃত- 
কার্ধ্য হইতে পারে। আর এক কথা বঙ্গিয়াছিলে যে, কন্ম করার নিয়ম 
দেখা যায়, সে কথার প্রত্যুত্তর দিতেছি। 


নাবিশেষাৎ ॥ অ ৩, পা ৪, সু১৩॥ 


হুআাথ- দর্শিতং ফরিয়মবিধানং তদবিদ্বদিয়য়মিতি ।--অবিশেষে নিয়মের 


৮৮  তরজানামূত । 


বিধান্জঞ্তরাং জ্ঞানীয় সম্বন্ধে বিশেষাভাব। অর্থাৎ জ্ঞানীও কম্ম তৎপর 
হইবেন, এবিশেষ এ বিধানে লব্ধ হয় না। 

তাস্যাথ--“কন্মতত্পর থাকিয়া শতবর্ষধ্যাপী জীবন ইচ্ছ। করিবেক” 
ইত্যাদি বাক্যে কর্মীকরণের নিয়ম শুনা যায় সত্য; পবস্ত সে নিয়ম জ্ঞানী 
অজ্ঞানী সাধারণ। জ্ঞানীর পক্ষে কোনরূপ পিশেষ নিয়ম শত হয় নাই। 


স্তুতয়েইন্মতিবরবা ॥ অ ৩, পা 8, সূ 5১৪॥। 


হুআথ--অথবা সজ্ততয়ে বিদ্যাপ্রশংসার্থ” মন্ুমাতিঃ কম্মা্ুঙ্গানম 1-- 
অথবা এ কন্মান্রমতি (কম্ম করিবার আদেশ বা বিধান) বিদার (জ্ঞানের 
বা উপাসনার ) স্ততিনিমিত্ত অর্থাৎ এ কথা বিদ্যামহিম! বলিবার জন্য বা 
বিষ্য] প্রশংসা করিবার জন্য । 

ভাষ্যাথ এএতদ্দেহে কণ্ম কাপতে করিতে 7 এই স্তানে অপর এক অথ 
আছে। “কম্ম কুন” এই কথার সঙ্গে প্রকরণ অন্বসারে বিদ্বানের সম্বধ বা 
অন্বয্প হয় হউক. তথাপি দোম তহবে না। অর্থাৎ জ্ঞানীও কর্ম করিবেন) এ 
অথথ হইলেও তাহ! অন্মৎ পক্ষেগ প্রতিকূল হইবে না। কারণ, এ কন্ানু্ঞ। 
(“বিদ্বান কম্ম কাঁরতে করিতে করিতে” এ কথা) জ্ঞান প্রশংসাথ ব্যশাত 
অন্য অর্থে প্রযোজিত হয় নাহ। কেন না, তি এ কথার অব্যবহিত 
পরেই বলিষাছেন -কম্ম বিদ্বান নরে লিপ্ত হয় না। কম্। বিদ্বান নরে 
লিপ্ত হয় ন।, এই কথায় ইহাই বল! হশ্টয়াছে ষে, বিস্তার এমনই প্রভাব 
যে যাবজ্জীবন কম্ম করিলেও তাহা বিদ্বান (আম্মতত্ৃজ্ঞানী ) নরে সংস্ষ্ট 
হয় না। জ্ঞান বলে সে সকল পদ্মপত্রস্থ জলের ন্যায় বিশ্লিষ্ট হইয়া যায়। 
এভরূপ জানস্তরতি করা হইযাছে মাত্র । 


কামকারেণ চৈকে ॥ অ ৩, পা 8, সৃ১৫॥ 


সুজা একে পরষপঃ বিদ্বাংসঃ কাঁমকারেণ স্বেচ্ছাতঃ | ইচ্ছ।দিসাধ্য- 
কশ্াণস্ত্যাগাৎ৭ৎ ন জ্ঞান, কম্মণোহগগমিতি স্থিতিঃ। প্রত্যক্ষীকতবিদ্ভাফল 
পৃর্বধধিগণ কামনা প্রস্গত বা ইচ্ছাসাধ্য কম্মু করেন নাই। 

ভায়র্২- কোন কোন জ্ঞানী-- ধাহারা জ্ঞানফল প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন 
তাহারা_-সেই উপলক্ষে কাম্যকলো পায় প্রযাঙ্গ প্রস্তি যাগে প্রয়োজনাভাব 
বুঝিতে পারিয়াছিলেন এবং তাহ! ম্মরণ করিয়াছিলেন । এই কথাই কাম 


জীবের সংসান্সগতি বর্ণন। ৮৯ 


কারেণহৃন্রে বল! হইয়াছে অথাৎ দেখান হইয়াছে । এ মন্বন্ধে রুবদীয 
বাজসনেয়ী শাখায় ঞতি আছে। যথা-“৭ূর্ব পুর্ব জ্ঞানীর প্রর্ণী কামনা 
করেন নাই (প্রজা-সম্তান। তছুপলক্ষিত গাহ্স্থ্য ধন্ম)। তাহারা জানিয়া 
ছিলেন ও বলিয়ছলেন, যে আত্মাই আমাদের প্রত্যক্ষ লোক? সুতরাং 
আমর] প্রজ। লইয়া কি করিব” । অন্ুতবারূঢ বা প্রত্যক্ষীরুতজ্ঞানফল 
কন্মুকলের ন্যায় কালাপ্তরতাবী নহে! জ্ঞানের অব্যবহিত পরেই জ্ঞানফল 
অন্ধতৃত হয়, এ তথ্য আমা পুনঃপুনঃ বলিয়াছি ও প্রতিপাদন করিয়াছি। 
সে জন্যওজ্ঞান কম্মের সহচর খা অঙ্গ নহে এবং তৎসন্বন্ধীয় কলবাক্যও 
অর্থবাদ নহে। 


উপমর্দঞ্জ ॥ অ ৩, পা &, স্‌১৬॥ 

হুত্রাথ --অশেষক্রিগাবিভাগোপমদ্দক হ" জানস্তেতি নাত্মবিজ্ঞানং কর্মাঙ্গ- 
মিতি।--গপনিষদ আভ্মবিজ্ঞান কন্মাঙ্গ হওয়া দূরে থাকুক) তাহার উদদয়ে 
কন্মের উপমদ্দন । বিনাশ ) দেখ] যায়। 

তাষ্তাথ---অন্ত হেতুও আছে। সে হেতু এই। শ্রুতি বলিয়াছেন 
যে, যাহা যাহা কম্মাধিক্ারের কারণ -অর্থাৎ ক্রিয়া ও কারক (কর্ত। কর্ম 
সম্প্রদান প্রভাত । সে সযুদায়ই [মধ্যাপ্রপঞ্চ বা অবিদ্যাবিজপ্তিত। সেই 
জন্যই সে সকল বিদ্যার উদরে উপমন্দিত বা বিলীন হইয়। যায়। যথা _ 
“যে সময়ে জ্ঞানীর এ সমগ্ই আন্মভূত হয়, সে সময়ে ব। তখন কে 
কি দিয়াকি দেখিবে?" ইত্যাদি । যাহারা বেদান্তোক্ত জ্ঞানের উদয্বের 
পরে কর্মাধিকারের আশ করেন তাহাদের আশা নিরাশাই বৈদান্তিক 
আত্মজ্ঞান উর্দত হইলে কর্্মাধিকার হওয়! দুরে থাকুক, তন্বারা তাহার 
মূলোচ্ছেদই হইয়া খাকে। অঙএব, বিদার ( জ্ঞানের ) স্বাতন্ত্রাই সিদ্ধান্ত, 
সাছিতা পক্ষ পিদ্ধাপ্ত নহে। 


অত এব চাগ্রীন্ধনাদ্যনপেক্ষ। ॥ 
অ ৩পা৪ সু২৫॥ 


হুত্রর্থ--অতএব বিদ্যায়াঃ পুরুযার্থহেতুত্বাদেব অশ্মীন্ধনাদীনামাশ্রম কর্মণাং- 
অনপেক্ষা। নিষিত্ততাইভাবঃ বিদ্যাফলসিদ্জাবিতি যোজ্যম্‌।-_যেহেতু বিদ্যাই 
১২ 





৯৬ ' তত্বজ্ঞানামৃত। 


পুরুষার্থের হেতু, সেই হেতু বিদ্যাফলে অগ্নি ও কাষ্ঠ প্রভৃতির অর্থাৎ আশ্রম- 
কর্মের (বঁঞাদির) নিমিত্ততা নাই । 

ভাম্যাথ--কতিপয় গত্রের পূর্বে ষে ''পুরুষার্থোইতঃশব্দাৎ” স্থঞ্জ আছে, 
এখানে সেই স্থত্রের “মত; শব্দ” সম্ভব বলিয়। অনুসন্ধান বা আকর্ষণ করা 
হইয়াছে। অতঃশব্দের অর্থ সেই হেতু । যেহেতু বিদ্যাই পুরুতার্থের (মোক্ষের) 
হেতু, সাধক, সেই হেতু অশ্রীন্ষনাদি অর্থাৎ গ'হৃস্থ্যবি হত কম্মকলাপ বিদ্যাফল 
নিষ্পত্তি বিষয়ে অনপেক্ষ। ( আশ্রমবিহিত কন্ম না করিলেও উপাসনাফল 
মোক্ষ লব্ধ হইতে পারে।) এ কগ! পুর্বে খল। হয় নাই” স্থৃতরাং এটী অধিক 
কথা! । এই অধিক কথাটা বলিবার জন্ঠহ এই ২৫ শ্চত্রটী বলা হইল সত্য; 
কিন্ত ইহা পুব্বের মেই পুরুষার্থাবচারের কল বা উপসংহার । 


সর্বাপেক্ষা চ যজ্ঞাদিশ্রদতেরশ্ববৎ ॥ 
অ৩,পা৪,সু২৬॥ 


শত্রার্থ-প্রকারাস্তরেণাপেক্ষা্তীত্যাহ সব্বেতি । যজ্ছারদিএ্রতেঃ যজ্জেন 
বিবিদিধস্তীতি শ্রবণাৎ্ বিজ্যায়াং সন্ধাপেক্ষা সব্বেষামা শ্রমকম্মণাং নিমিত্ব- 
ভাবোহস্ভীতি যোক্গনীয়ম। অস্ববদিত দুষ্টান্তঃ। অশ্ো যথা যোগ্যতাবশাৎ 
রথ এব যুজ্জযতে ন তু লান্লাগ্যাকর্ষণে তথাশ্রমকন্ম।ণ্যপি বিদ্যাফলনষ্পত্রয়ে 
নাপেক্ষ্যন্তে কিন্তু বিদ্যোত্পন্ত।বপেক্ষান্তে প্রকারান্তরে সমুদায় আশ্রম- 
কন্মের অপেক্ষাতার আছে। অর্থাৎ জ্ঞানফল যোক্ষে আশ্রমকশ্মের উপযোগ 
না থাকুক, জ্ঞানের উৎপত্তিতে সে সকলের উপযোগ আছে । যেমন 
রথবাহনাদি কার্ষে ই অশ্বের অপেক্ষা বা উপযুজ্তা, লাঙ্গলাকর্ষণাদি কার্য্যে 
নঞে, সেইরূপ । 

ভাঙ্কাথ--বিদ্যা (জ্ঞান) কি কিছুমাজ। বা কোনও অংশে আশ্রমবিহিত 
কর্মের প্রতীক্ষা করে না? অথব! কোন কোন অংশে কন্মের প্রতীক্ষা আছে? 
এই চিন্তা (বিচার ) এক্ষণে উপস্থিত হইতেছে । ২৫ স্ত্রে বলা হইয়াছে ষে, 
বিষ্ভা আশ্রমবিহিত অণ্রীন্ধনা্দি (তৎসাধ্য যাগযজ্ঞাদি ) কণন্ম প্রতীক্ষা করে 
না, সে স্বস্নং অর্থাৎ অন্তনিরপেক্ষ হইয়৷ যোক্ষফল প্রসব করে। সুতরাং 
পাওয়া! গেল বুঝ! গেল, বিষ্তা অল্পমাত্রও কর্মের সাহার্য্য প্রতীক্ষা করে 
না। প্রসঙ্গ ক্রমে কর্মের উক্তরূপ আত্যন্তিক অনপেক্ষা প্রাপ্ত হওয়ায় 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ৯১ 


তৎসংশোধনার্থ ২৬ সুত্র বলা হইল । ১৬ শ্ুত্রে বলা হইতেছে ষে, বিদযা- 
ফল মোক্ষ বিষয়ে কর্মের অপেক্ষা না থাকুক, বিদ্যার উপর্গাভিতে 
কর্মের অপেক্ষা অর্থাৎ নিমিত্ততা আছে। বিদ্যাযে একবারেই কর্ম্মানপেক্ষ, 
তাহা নহে। বলিতে গার যে, একবার বলিলে বিদ্তা আশ্বযকম্ম প্রতীক্ষা করে 
না” আবার বলিতেছ, সমুদায় আশ্রমোক্ত কন্ম৷ প্রতীক্ষা করে, এ বিরুদ্ধ 
কথ! বলিবার প্রয়োজন? ইহার প্রত্যত্তর এই যে, উহ! বিরুদ্ধ নহে এবং 
বলিবার গ্রয়োজনও আছে। বিদ্যা অর্থাজ্ঞান জন্মিলে তখন তাহ] ফল 
দিবার জন্য অন্য কাহার সহায়তা প্রতীক্ষা করে না। পরস্ত্ তাহ] জন্মিতে 
অর্থাৎ জ্ঞানের উৎপত্তির প্রতি কম্মের অপেক্ষা (নিমিত্তশ্তাব) আছে। এ 
কথা! যজ্ঞ-রতিও বাণয়াছেন | যজ্ঞশ্রুতি যথা- ত্রাঙ্গগগণ সেই এই 
পরমাত্মাকে বেদাচ্ুবচন, যজ্ঞ, দান, তপস্যা ও অনাশক অর্থাৎ শক্ন্যাস, এই 
সকলের দ্বারা দ্রানিতে ইচ্ছ| করেন ।” এই করাত আশমবিহিত যজ্জা্দি 
কর্মকে জ্ঞানের সাধন (কাষ্ঠ যেমন পাকনি্পাত্তর সাধন, উপায়, আন- 
নিষ্পভির প্রতি যজ্জদ খেহরূপ সাধন ) বলি? বর্ণন করিয়াছেন । 
বিবিদিষস্তি --জানিতে ইচ্ছ। করেন, এহ বাক্যে যে খাখদিষা (জ্ঞানেচ্ছা_ 
জানিবার ইচ্ছা ) এহ একটী কথা! আছে, সেই কথাতেই জ্ঞানোতপত্তির প্রতি 
যজ্জাঁদ কন্মের সাধনতার অবধারত হয়। "যাহ! যজ্ঞ তাহাই ব্রহ্মচধ্য” 
ইত্যাদি অতিতে জ্ঞানসাধন ব্রচ্ে।র দ্বারা খঙ্ের সমাহার (অতেদ কথন) 
ও স্ততি করা হইয়ছে। তাহাতেও ষঙ্জাদর বিদ্যোপকারিতা প্রকারাস্তরে 
বলা হইয়াছে । “সমুদয় বেদ যে প্রাপনায় বস্ত বলে, প্রতিপাদ্ন করে, 
সমুদায় তপস্যা যাহাকে বলে, লক্ষ্য করে, যাহ! পাইবার ইচ্ছান্ন লোকে 
কঠোরতর ব্রক্মচষ্যের অনুষ্ঠান করে, সেই পদ অর্থাৎ প্রাপনীয় কি তাহা 
₹ক্ষেপে বলিতেছি, তাহা ওম” ( প্রণব অর্থাৎ ব্রশ্থ)। এ সকল শ্রতিতেও 
' আশ্রমবিহিত কন্মের বিদ্যাসাধন৬া1 হচিত হইয়াছে। স্থাতও বলিয়াছেন, 
যঙ্ঞাদি কর্মের দ্বারা জ্ঞানের ডতপাঁত হয়। যথা--“কম্ম মকল পাপপাচক 
অর্থাৎ জ্ঞানোতৎপত্তির প্রতিবন্ধক পাপের নাশক এবং জ্ঞান পরম! গতি। 
কর্শের দ্বারা কবায় অর্থাৎ পাপ পাপপাক প্রাপ্ত হইলে ( দগ্ধ হলে) তৎ্পরে 
জান প্রবৃত্ত হয় অর্থাৎ আস্মলাত করে বা মোক্ষফল দিতে উন্যুখ হয়।” স্ত্রস্থ 
“অশ্ব? শব্দটা দৃষ্টান্ততাবে কথিত এবং তাহা যোগ্যতা অংশে । যোগযা- 





৯২ | তত্বজ্ঞানামূত | 


ঙ্‌ 


যোগ্য বিচার পর্বত্রই আছে। যোগ্য নহে বলিন্না লোকে অস্বকে লাঙ্গলকর্ষণে 
নিযুভজ্ছুরে না, কিন্তু রথচর্য্যা্দি কার্ষো নিযুক্ত .করে। সেইরূপ 
আশ্রমকর্মও বিদ্যা-ফল মোক্ষনিম্প স্তর উপযোগী ৭1 হইলেও বিদ্যাজন্মে 
উপযোগী। 


খ্মদমাঢ্যপেতঃ স্তান্তথাপি তু তদ্বিধেস্তদঙ্গতয়। 
তেষামবশ্যান্ষ্ঠেয়ত্বাৎ ॥ অ ৩, পা 8, সৃ২৭॥ 


সুপ্লোর্থতুঃ শক্ষানিরাসার্থ;। য্ঠপি সাক্ষাৎ বিধিক্ুতিনান্তি তথাপি 
শমদমাহ্যপেতঃ স্যাদিতি খিধানাঁ তদৃপক্ারকতেনা শ্রমকন্মণাপি বিধি-কল্প্য 
ইতি ছুত্রার্থ।--“বিবিদিষন্তি” পদ বিধিবিশুক্তিযুক্ত না হইলেও তাহার 
অর্থের অপুর্ধতা আছে । অপূর্ধতা থাকাতেন এ বাকো কন্সিত বিধি 
স্বীকৃত হয়! জ্ঞানার্থা শমদমাদি যুক্ত হইবেক, এহরূপ ধিধান নিপন্ন হয়। 
অপিচ, উক্ত বিধানের ধলেই আশ্রষকম্মের বিধান পিদ্ধ হয়। কেনন।, শমদ- 
মাদির সাধন কন্ম, সেই জন্ঠ তাহ। অবগ্যান্ুুষ্ঠে়। (তাস্াছ্বাদ দেখ)। 


তাস্ার্থ_ দি কেহ মনে করেন বা ভাবেন, যজ্জাদি কঙ্াকে বিষ্কা সাধন 
বল। ন্যায়সঙ্গত নহে; কায়ণ' জ্ঞানাথ যঙ্ঞাদি কন্মের যিধান দু হয় 
না। অর্থাৎ সে বিষয়ে বিধিআতি নাই । “যঙ্ছেন বিবিদিযাত্ত --সঙ্ঞে 
দ্বারা জানিতে ইচ্ছা করেন” এ সকল প্রতি অনুবাদরাপণী; সুতরাং 
জানের স্ততিতে বা প্রশংসায় এ সকল এঞ্তির তাৎপর্য ; সুতরাং এঁ তির 
্ব।রা যজ্ঞর্দির বিধান নিপন্র হয় না। "জ্ঞান এমন উত্কুই্ট যে লোকে 
কায়রেশাদিসাধ্য যজ্ঞাদি কম্পের দ্বারাও তাহা পাবার, ইচ্ছা করে।” 
এইরূপ প্রশংসা মাত্র উজ্জ শ্রুতির তাংপর্যো পাওয়া যায় বা লব্ধ হয়। 
সত্য বটে) তথাপি, অর্থাং সাক্ষাৎ [বিধিষ্রতি ন| থাকলেও, জ্ঞানার্থী, 
শমদমাদিঘুক্ত হইবেন এইপ্প বিধান থাকায় এখং-বিহিত কর্মের অবশ্ান্থু- 
্েযততা থাকায় অবান্তর বাক্যের তেদ স্বীকার পৃব্বক জ্ঞানের উদ্দেশে 
যক্া্িকার্ষের বিধান স্বীকৃত হইতে পায়ে। যদি বল, শমদমাদি “বিষয়েও 
"শমদমাদিবিশি্ হইয়!। আত্মদর্শন করিতেছে” এইরূপ বর্তমান প্রয়োগ 
আছে; বিধিপ্রয়োগ নাই, তছত্তরে জ্বামর। বলিব, তাহ। নহে। স্পষ্ট বিধ- 


জীবের সংসারগতি বর্ণন । ৯৩ 


প্রয়োগ না থাকিলেও তত্বাকোর উপক্রমে তম্মাৎ শব্দ থাকায় তন্দার। 
প্রক্জাবিত পদার্থের প্রশংসা করা হঈয়াছে এবং সেই যোগ এশংসার 
বলে শমদমাদ্ির বিধান নিষ্পন্ন হইয়াছে। (যদ্ধি স্তয়তে তদ্বিধীয়তে-_ 
যাহার স্তুতি বা প্রণংসা তাহ! যদি পূর্বপ্রাপ্ত না হয় অর্থাৎ অন্ুবাদাত্মক না 
হয় তাহ। হইলে যুঝিতে হইবে, সেই প্রশংসার দ্বারা তাহার বিধান হইয়াছে ।) 
যক্গুর্ষেদীয় মাধ্যন্দিনী শাখীরা “পণ্ে্-দর্শন করিবেক” এইকপ বিস্পষ্ট 
[বধি-পাঠ অধ্যয়ন করিয়া থাকেন। অতএব, উক্ত আতিতে যেমন আত্মতত্ 
সাক্ষাৎকারে যঙ্জাদির অপেক্ষা অর্থাৎ নিশিত্তভাথ প্রতীত না হইলেও শমদ- 
মাদির অপেক্ষা (নিমিত্তভাব) প্রতীত হয়, তেমনি, ষজ্ঞাদি শ্রুতিতেও 
যজ্জেন বাবদিষাস্ত এই বাকো) যঙ্ঞাদিন্ন নিমিতভাব (জ্ঞানের প্রতি 
কারণভাব) প্রভীত হয়। *যড!দির দ্বার জানিতে ইচ্ছুক হইতেছে” 
এহরূপ বণ্তমান প্রয়োগ আছে, “জানিবেক” এরূপ স্পন্ট বিধিপ্রয়োগ নাই 
সত্য) না থাকলেও যজ্ঞাদির সহিত [বাঁবদিষার সম্বন্ধ পুর্বপ্রাপ্ত নহে বলিয়! 
এঁ প্রয়োগেহ (এ শখ বা এ বর্তমান প্রয়োগে ) বিধির কল্পনা! করা হয়। 
( পশ্যগ্ত-পাঠকে পণ্ঠেং পাঠে পারণামিত করা হয়। ) উক্ঞ বাক্যে যজ্জাদির 
সহিত বিখিদিষার যে সন্বধ্ধ। বল। হইয়াছে তাহা পুর্বে পথ্িজ্ঞাত হওয়! বায় 
নাই সে জগ্ঠ এ বাক্য অন্ুুধাদাত্মক নহে । “যে হেতু দস্তহীন সেই হেতু 
পৃধা ( হূর্যাদেবত| ) পিঞ্ভাগী” ইত্যাদি বাক্যে বিধি শ্রবণ না থাকিলেও 
অপুর্ব] দৃষ্টে বিধির পরিকল্পন। করিবে? এহক্ূপ একটি বিচার ও সিদ্ধান্ত 
পূর্বমীমাংশার “পৌঞ্চং পেষণং [বর্কতো প্রতীয়েত” ইত্যাদি সুত্রে বল! 
হইয়াছে । ভগবদগীত। প্রভৃতি স্মৃতি গ্রন্থেও “ফলানুসন্ধান না করিয়া 
যজ্ঞাদি কন্ম করিলে সে সকল মুযুক্ষুর সম্বন্ধে জ্ঞানের উপকারক হয়” ইত্যাদি 
ভ্রমে প্রপঞ্চিত (বিস্ৃতরূপে বর্ণিত) হইয়াছে। অতএব জ্ঞানোৎ্পত্তির 
প্রাত সেই সেই আশ্রম বাহত বজ্জাদর ও শমদমাদির নিমিতততাব আছে, 
ইহা সহজেই বোধগম্য হয়! তন্মধ্যে শমাদি বিষ্কোত্পাত্তর অন্তরঙ্গ সাধন ও 
বাহিক যজ্ঞাদি তাহার বাহ্রুঙ্গ উপায়। 

উপরিউক্ত শাস্ত্রে কশ্মোর ফল বিদ্যা ( আত্মতত্বজ্ঞান ) এবং বিগ্ভার ফল 
মোক্ষ, ইহা! বিশদরূপে প্রতিপার্দত হইল। এইক্ষণে বিচাধ্য এই যে, 
লাধনের ফল বিদ্যা এতজ্জন্মেই উৎপন্ন হয়? বা পরঞজজন্মে? এবিষয়ে 


৯৪ , তত্ঙ্ঞানামূত | 


সিদ্ধান্ত এই যে, প্রতিবন্ধ না থাকিলে বর্তমান দেহেই জ্ঞানের উৎপত্তি হয়। 
তথা হিসি, 


এহিকমপ্য প্রস্তুত প্রতিবন্ধে তদ্দর্শনাৎ ॥ 
অ৩, পা ৪, সু ৫১ 


সঞজাথ _বিগ্ভাজন্ম ্াহকমপি তবতি অপ্রস্তত প্রতিবন্ধে অপতি বাধকে । 
অপি শব্দশ্চাথে। প্রতিবন্ধক্ষয়াপেক্ষর। বিভ্াজম্মৈহিকমামুদ্মিকং বেতি 
পরমার্থঃ। তদর্শয়তি ঞাতরিতি শেষ;। প্রতিবন্ধ ন। থাকিলে এতদ্দেহে 
জ্ঞানোৎপাত্ত হইতে পারে। প্রতিবন্ধ থাকিলে যাবৎ না প্রতিবন্ধ ক্ষয় প্রাপ্ত 
হয় তাবৎ জ্ঞানো্পতি হয় না, অবরুদ্ধ থাকে । সেই কারণে তাহ! জন্সা- 
স্তরেও হয়। এই সদ্ধান্ত এতিকতুঁক দর্শিত হইসাছে। 

তাঙ্যাথ --“সব্বাপেক্ষাচ যজ্ঞাি শ্রতেঃ" এই ত্র হইতে আরম্ভ করিয়া 
এপর্য্যস্ত ছোট বড় নানাপ্রকার জানসাধন বিচারিত হহল। এক্ষণে বিচার্য্য 
এই যে, সেই সকল সাধনের ফল বিদ্যা (ভ্তশান ), তাহা এতজ্জন্মেই জন্মে 
কি পর জন্ে। অর্থাৎ সাধকের সাধনদল তনজ্ঞান এই জন্মেই হয় 
কিনা! পুক্বপক্ষে পাওয়া বা, এহ জন্মেহ হয়। কারণ এই যে, বিদ্যা 
শ্রবণাদ্দি পৃর্বিকা। অর্থাৎ শরণ মনন শাদধ্যাসনের অব্যবহিত পরেই 
বিগ্ভ। বা জ্ঞান জন্মে। কোনও সাপঞ্ক পরলোকে আমার জ্ঞান হইবেক 
তাবিয়া শ্রণাির অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হয় ন1। বিদ্যাফল জ্ঞান কারীরীফল 
( কারীবী- একপ্রকার যাগ) বৃষ্টির সহিত স্মান। তাহা যেমন এঁহিক 
তেমনি সাধনফল বিদ্যাও এহিক | (কোণ কালে ঘট জন্মিবে তাহার 
স্থবিরতা নাই, তেমন গুণে কেহই কালান্তরতাখী ঘট দেখিবার জন্য 
নেঞ্র উন্মীলন করে না। তেষনি ক্ষোন্গ্ন্মে বা কোন্‌ দেহে তত্বজ্ঞান 
জান্মবে তাহা স্থির না থাকিলে দেহাস্তরলত্য জ্ঞানোদয়ের জগ কোনও 
ব্যক্তি প্রবণাদি করিতে প্রবৃত্ত হয় না) এই জন্মেই জ্ঞান ছুইবেক, এইরপ 
আশায় লোক সকল শ্রবণাদ্দি কার্ষ্যে প্রবৃত্ত হয়। ইহা সর্বজন বিদ্দিত। 
যঙ্ঞাদি কার্ধাও শ্রবণা্দি উৎপাদনের দ্বারা জ্ঞানের জনক | (বঙ্জাদি 
করিতে করিতে বুদ্ধিশুদ্ধি হয়, বুদ্ধিতুদ্ধি হইলেই শ্রবণাদিপ্রবৃত্তি হয়) 
অনন্তর শ্রুতবিষয়ের মনন ও নিদিধ্যাসন করে, ততৎপরে তাহার তত্ব- 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ৯৫ 


সাক্ষাৎকার হয়।) বিদা। বা জ্ঞান প্রমাণপ্রভব ; সে জন্য তাহার, শ্রবণ- 
পূর্বকত্ব অব্যাহত। ফলিতার্থ-ষজ্ঞ নিক্ষে জ্ঞান জন্মায় না "কন্ত শ্রবণে 
প্রবৃত্তি জন্মায় । শ্রবণের পর মনন নিদিধ্যাসন, ততৎপরে জ্ঞান। এইরূপেই 
যজ্ঞার্দিকার্ধ্য জ্ঞানের উপকারী । সেই জন্তই বলি, তত্বজ্ঞানোৎপত্তি এ্রহিক 
অর্থাৎ ইহ জন্মেই হয়। এহরূপ পুর্বপক্ষ লাভ হওয়ায় তদুত্তবার্থ বলা যাইতেছে 
যে, যর্দি কোনরূপ প্রতিধন্ধক ন।থাকে তবেই জ্ঞানের উত্পতি এঁহিক। অর্থাৎ 
এই জন্মেই জ্ঞানলাত হইতে পাবে । পাছে কেহ ভাবেন, আশঙ্কা! করেন যে, 
শ্ববণ, মনন, নিদিধ্যাসন, এতন্রিতয় একান্তিক সাধন ক্িনা। তদর্থে শুঞ্রকার 
বালতেছেন--জ্ঞান সাধনে প্রবৃস্ত হইলে যাঁদ অন্য কোন কন্মবিপাক (পূর্ববরূত 
কন্মোর ফল) উপান্ৃত না হয়, অর্গৎ ভোগসাধ্ণ কম্মফল উপস্থিত হইয়। 
জানোতপত্তির বাঁধা না জন্মায়, তাহ| হইলে সেই একই উদ্যমে বা একই জন্মে 
জ্ঞান জান্মতে পারে। কিন্তু তৎ্কালেযদ্দি কম্মাপ্তর বলবৎ বেগে ফলোন্মুখ 
হয়, তাহ। হইলেজ্ঞান সে জন্মে বাসে ডগ্ভমে না হইয়া পর জন্মে হইবে। 
কৃতকন্মের বিপাক (ফলে পরিণত হওয়া) দেশ, কাল ও নিমিত্ুবিশেষ 
উপস্থিত হহলেই হয়, তাহার অন্যথা হয় না। যে সকল দেশ, কাল ও 
নিমিত্ত (কারণ) এক কমন্মোের বিপাচক অর্থাৎ ফলর্দাতা, সেই কাল, 
সেই দেশ, সেই নিষিতত থে সেই কালে কন্মান্তরেরও বিপাচক, এমন 
কোন নিয়ম মাই। কারণ, কন্ম ও কম্মকল নানা বা বিতক্স ও পরম্পর 
বিরুদ্ধ । ং বিরুদ্ধ বঙিয়াই ভোগসাধন কন্মফল জ্ঞানসাধন কর্মের ফল 
জন্মিতে “দয় না-অবরুদ্ধ রাখে।) শাস্ত্র "অমুক কর্মের অমুক ফল” 
এইমাত্র বলেন কিন্তু সে ফল যে কবে ও কোশ উপলক্ষ্যে হইবে তাহা বলেন 
না। তাহাতেই বুঝা যায় কর্মের ফলকল অত্যন্ত ছুজ্জেস। অন্তান্ত কর্ম 
জ্ঞানোৎ্পত্তির প্রতিবন্ধক হয়, কিন্তু শ্রধণার্দ কন্ম কম্মান্তরের প্রতিবন্ধক হয় 
ন1। কেন হয় ন। তাহা বঙলিতেছি। সাধনের শাক্ত একরূপ নহে । কোন 
কোন সাধনের সামর্থ্য অত্যন্ত প্রবণ; তদনুসারে সাধকাত্মায় অনির্বাচয 
অতীজ্জ্িয় শক্তি আইসে, সেই শক্তির প্রভাবেই ক্ষুদ্রশক্জি অবরুদ্ধ থাকে, ফল 
দিতে পারে না। জ্ঞানার্থরা সাধন-সামর্ধের অন্থরূপ জ্ঞান কামনা করে, 
সেই জন্ত তাহাদের অভিসন্ধিও বিভিন্ন বা তরতম হয়। কেহ "এই জন্মেই 
জ্ঞানী হইব” ইত্যাকার উতৎ্কট (তীব্র) সঙ্কল্প ধারণ করতঃ সাধনায় প্রনৃত 


৯৬ ' তত্বজানামৃত। 


হয় বা থাকে, কেহ বা শিথিল ভাবে সাধনানুষ্ঠান করিতে খাকে। সুতরাং 
ফললাতও তাহাদের অবাধে ও বাধাক্রান্ত হয়। অভিসদ্ধি সকলের সমান 
নহে। তাহারও বিশেষ লা তে দুষ্ট হয়। জ্ঞান, হয় এহ জন্মে হইবে, ন। 
হয় জন্মান্তরে হইবে, সকলের এরূপ অতিসন্ধি ( সক্বল্প)থাকে না। কাহার 
কাহার “এই জন্মেই জ্ঞানদর্শনলাত করিব এইরূপ তীব্র অভিসন্ধি থাকে । * 
শবণাদ্ির দ্বারাই জ্ঞান জন্মে, শ্রবণাপিই জ্আনজন্মের প্রতি পুক্ধল হেতু, হহ। 
সতা বটে; পরন্ত তাহা । শরবণাদি) গ্রতিবন্ধক্ষয়সাপেক্ষ। (জ্ঞানোৎপত্তির 
প্রতি প্রতিবন্ধকাভাব সহক্ষারে শ্রবণা্দির কারণহ1 অবধত আছে।) সেই 
কারণে প্রতিবন্ধক ক্ষয় প্রাপ্ত না হওয়া পর্য্যন্ত জ্ঞানোৎপতত্ত হয়ন!। এঞতিও 
সেই কারণে বা ভাহ। দেখাইবার জন্থ আম্মার ছুর্ষোধ্যতা বর্ণন কারিয়াছেন। 
যথ1--“যিনি শ্রবণেও বু 'লাকের লতা নহেন অর্থাৎ যাহার বণ পিতান্ত 
দুক্ধর ও সকলের সাধ্যায়ত্ত নহে, গুনিলেও ধাহাকে বনু লোকে জানিতে পারে 
ন! অর্থাৎ শ্রবণফল আত্মজ্ঞান সকলের পক্ষে সুলশ নহে, এই আম্মার বক্তা 
( বক্তা- উপদেষ্টা) আশ্ধ্য এব” তাহাকে পায় বা! লাভ করে, এরূপ লোকও 
আশ্চর্য্য (কদাচিৎ কোন ব্যক্তি )। অধিক ক বলিব, তাহাকে বুঝায় এমন 
আচার্যযও আশ্র্যয (দুর্লভ ) এবং তদ্বিষমক শান্্ান্যামী অপরোক্ষ জ্ঞান লাত 
করে এরূপ শিল্প বা শ্রো্াও আশ্চধা অর্থাৎ ছুর্ণত।” এ৩ভিন্ন অন্ত শ্রুতি 
গভস্থ বামদেবের ব্রহ্মভাব প্রাপ্তি বর্ন কিয়! জানা ইয়।ছেন ষে, জন্মান্তরসাঞ্চও 
সাধনার বলেও জন্মান্তরে জ্ঞানদর্শন হয়। জন্মান্তরসঞ্চিতপাধনসংস্কারের 
জ্ঞানকারণত। অস্বীকার করিবার উপার নাই । গর্ভগ্ন বালকের এঁহিক সাধন 

* যাহাদের উক্ত প্রকার তীব্র বাউৎ্কট অভিসান্ধ, তাহাদ্েরই সাধন। 
(শ্রবণাদি ) অতিশম্ন তীব্র বা বীর্যবান্‌ হয় ও অতীন্দ্রিবশক্তি জন্মার। স্থুতরাং 
তাহাদেরই শ্রবণার্দ বাধ বিদ্ধ অতিক্রম করিয়া ভদ্দেহেই জ্ঞান জন্মায় । 
অভিসদ্ধির ও সাধনের শিথিলতা থাকিলেই পুর্বূত তোগসাধক কন্ম প্রবলত। 
প্রাপ্ত হয়, হইয়া জ্ঞানোৎ্পত্তির বাধা জন্মায়। সেই কারণে তাহাদের 
জ্ঞানসাধনের ফল জন্মান্তত্র প্রতীক্ষা করে। গল্মান্তর প্রতীক্ষা কি ন। ভো'গঙ্ষয় 
প্রতীক্ষা। তোগ শেষ না হওয়া পর্য্যস্ত তাহাদের জ্ঞান হয় না। ভোগ 
শেষ এক জন্মেও হইতে পারে, ততোধিক জন্মেও হইতে পারে। ভরতের 
তিন্‌ জন্মে ভোগক্ষয় হইয়াছিল। 


জীবের সংসাবগতি বণন্‌!। ৪৭ 


কোথায়? তাহার সম্ভাবনাই ব|কি? এ কথা স্বতিতেও আছে। ত্রাবান্‌ 
বাসুদেব অজ্ভীনকর্তৃক “হে কৃষ্ণ! অপ্রাপ্তযোগফল যোগী মরণের পরব কি 
গতি প্রাপ্ত হয়” এইরূপ জিজ্ঞাসিত হইম্বা “হে তাত! কোনও পুণ্যকৎ দুর্গত 
প্রাপ্ত হয় না” এইবপ বলিয়া! পরে ঠাহ|র পুণ্যলোক প্রাপ্তি ও সাধুকুলে জন 
হওয়। বর্ণন করিয়ছেন। তংপরে বলিয়াছেন “সেই জন্মে সে পৃৰ্বোপাজ্জিত 
সাধনের বলে জ্ঞানযোগ লাভ করে ।” পুনশ্চ ধলিয়াছেন “অনেকজন্মপরম্পধায় 
সাধ্নপিদ্ধ হইর়' অবশেষে সে পরমা গতি (মোক) প্রাপ্ত হয়।” অতএব, 
জনের উৎপত্তি এহিক ও স্যামুক্সিক উতয় প্রকার হওয়াই সিদ্ধান্ত । প্রতিবন্ধ 
ক্ষীণ হইলে ইহ জন্মে জ্ঞান হয় এবং প্রাতবন্ধ ক্ষয় নাহইলে তাহা জন্মান্তর- 
প্রতীক্ষ হইয়। থাকে । 


এবং গন নিরারিননিরা 
স্থাবধতেঃ ॥ অ ৩, পা 8,জু ৫২ ॥ 


»গ্রথে -মুক্তিফলে মুক্তিলক্ষণে জ্ঞানফলে অনিয়ম: জ্ঞানবনিয়মান্ভা ব; 
জ্ানোত্কর্ষপকস্রতবিশেষ[ণ2গ্াবাভাব উতভার্গঃ | কুতঃ? তদবস্থাবগতেঃ | 
মুক্তেবৈকরূপ্যাবধারণাৎ এ্রভিপিত যোজাম। মৃথা বদ্যারূপে সাধনফলে 
সাধনোতকর্ষাপকর্ষকুতত কফালোতকর্যাপকর্মক্ধতো। বা বিশেষস্যা বশ্যন্ত।সোহ্ক্তি 
ন তথ। বিদ্যাফলে মোঞ্ষে। মুজেবৈকরূপাত। যু্জনাম বিদ্যাপর্োপচঘ়া- 
পরবতীত্তি নি্ষর্যঃ। বলা হচল যে সাধনের ফল প্রবদ্য।। তাহ। সাধনের 
তারতম্যে বিশেষ অর্থাৎ বাভন্ন প্রকারে উদিত হয়, তর্দুষ্টন্তে বিদ্যাফল 
মোক্ষেরও বিদ্যার উকর্ষাপকর্ষ ন্ুদরে বিশেষ হওয়ার আশঙ্ষা হইতে 
পারে। সুতব্রকার সে আশঙ্কা নবারণার্থ বলিতেছেন, সিদ্ধান্ত করিতেছেন, 
বিদ্যাফল যোক্ষ সববত্র একরূপ, তাহ।র তারতম্য, উপচয় অপচন্ন ব। উৎকর্ষ 
অপকর্ষ নাই তাহার কোনরূপ বিশেষ ঘটন। হওয়ার সম্ভাঁবন। নাই | বিশেষ 
হওয়ার নিয়ম জানে, নফল মোক্ষ নহে। শত্রে শেষ পদের দ্বিরুক্তি 
অধযায় সমাপ্তির দ্যোতক। 

ভাস্তার্থ--জ্ঞানসাধনবলম্বী মুমুক্ষুর ফললাত ( জ্ঞানলাত ) সাধনের 
প্রাবঙ্য দৌর্ধল/; অনুসারে, হয় ইহ জন্মে ন। হয় পরজন্মে হইয়। থাকে, এই 
ঘেষন বিশেষ অর্থাৎ নিদ্দিষ্ট নিয়ম দেখাইলে, এমনি. জ্ঞানফল মুক্তি 

১৩ 


সা ' ততজানাযুত। 


বিষজ্ঞষ উৎকর্ষাপকর্ষকৃত কোনরূপ বিশেষ নিয়ম আছে কি নাই তাহা 
বলিবার জন্য এই ৫২ সুত্র অবতারিত হইল । জ্ঞানফল মুজিতে এ্ররূপ 
বিশিষ্ট নিয়ম থাকার আশঙ্কা করিও না। কারণ, এরতিতে মা সেই একই 
অবস্থার অবধারণ আছে । সর্ধত্র মোক্ষাবস্থা একরূপ, তাহার তারতম্য 
নাই, ইহা! সমুদার বেদাস্তে অধদূত আছে। মুক্যবস্থ! অন্য কিছু নহে, ব্রহ্মই 
মুক্ত্যবস্থা | ব্রহ্ম অনেকাকার নহেন (তিনি একই প্রকার ) সেই জন্ত যুক্তিও 
একাকার, অনেকাকার নহে। এঞতিতে ব্রন্মের একই স্বরূপ অবধারিত হই- 
যাছে। যখ1- “তিনি স্কুল নহেন হস্ব নহেন,দীঘও নহেন-্ষুদ্রও নহেন।”"তিনি 
ইহা নহেন তাহ নহেন হত্যাদি ক্রমে সর্বনিনেধের সীমাস্বরূপ ও আম্মা 1” 
“বাহাতে ভেদ দর্শন নাই” 'পুরোবভ্ী এ সমস্তই ব্রর্থ ও অমুত 1” “এই যে 
আত্মা ইনিই এ সমৃদায়।” “সেভ এই মহান্‌ আঞ্জ (জন্মাদিরহিত-_নিত্যসিদ্ধ ) 
আত্বা অঙ্গর অমর অমৃত ( যুক্ত ) অভয় বক্ষ ।” “এই সমস্ত যখন সাধকের 
আত্ম হয় তখন কে কি দিয় দেখবে গ, ভত্াদি। আরও দেখ, 
জ্ঞানসাধন শ্রধণাঁদি ওতকটা অন্ুতকৌটা ব। প্রবল দুর্বল অনুসারে জ্ঞানে 
আতিশষা । তারৃতমা বা উপচয়াপচয় ) জন্মায় কিন্তু জ্ঞানফল মক্তির 
আতিশষ্য জন্মাইতে পারে না। কারণ, মুক্তি আত্মার স্বরূপভূত, নিত্য সিদ্ধ, 
স্থতরাং তাহা সাধনসাধ্য নহে। তাহা একরূপা। তাদৃশী স্বরূপভূতা যুক্তি 
বিদ্যার (জ্ঞানের) দ্বারাই লন্ধ হয় এ কথা অনেকবার বলা হইয়াছে । 
মুক্ততে উৎ্কাপকধন্ধপ আতিশযা সম্ভবহ হয় না। যাহা যাহা নিকষ্ট। 
তাহা তাহা বিদ্যা নহে । কিন্তু যাহা উতৎকুষ্টা তাহাইবদা।। সুতরাং 
বিদ্যারই শাপ্বোৎপত্তি ও খিলস্বোৎ্পত্তির বিশেষ ঘটন] হইয়। থাকে। সে 
বিশেষ যুক্তিতে নাই, থাকা অসম্ভব । বিশেষতঃ বেদা এক বলিয়া বিগ্ভার তে 
নাই ভেদ না থাকায় তাহার ফলেরও ভেদ্রনিয়ম নাই। কন্ম নানা, সেই 
কারণে তাহার ফলও নানা। কিন্তু মুক্জিসাধন বিদা! কন্মের গ্যায় নান] নহে। 
সেহ কারণে তাহার ফল যুক্ত নানা নহে । “তান যনোময় প্রাণশগীর' 
ইত্যাদি হত্যার্দ সগুণা বিদ্যায় ( ডপাসনায় ) গুণের আবাপ উদ্থাপ 
(কোন এক গুণের ত্যাগ ও কোন এক গুণের উদ্ধার ) আছে, সেই 
কারণে সগ্চণবিদ্যার ভেদসভ্তব হয়। তেরস্ম্তব হওয়ায় তেদ অন্ুলারে সে 
সকলের ফলের কথফলের হ্যায় ভেদনিয়ধ (তিন্নতার অবশ্বান্তাব ) ঘটে 


জীবের সংসারগতি বর্ণন ৰ ৯৯ 


বা! সম্ভব হয়। এ কথা “তাহাকে যেষে প্রকারে উপাসনা করে তাহার 
নিকট তিনি সেই প্রকারই হন ।” ইত্যাদি ক্রৃতিতে বর্ধিত আছে । 
কিন্তু নিগুণ বিদ্যায় ( নিগু ণঞ্জানে ) গুণের অভাব থাকায় (ভদের অভাব 
অবধারিত | দলেই কারণে অভেদজ্ঞানের পরভাবী মোক্ষফলে ভেদ বা 
অতিশন্ন (তারতম্য )থাকে না। এ কথা স্বতিতেও আছে। যথা--“কোন 
নিগুণজ্ঞানীর অধিক গতি নাহ । । অধিক গতি-ফলতেদ। ) কারণ 
এই যে, যদি গুণ থাকে তবেই গুণ অনুসারে গুণীর অতুল্যতা অর্থাং 
তেদ হয়।” গঞঝ্সের যে হই বার “তদবস্থাবপতেঃ” বলা হইয়াছে তাহ। 
অধ্যায় সমাপ্তির পরিচায়ক ! 

উপরি উক্ত ব্রহ্গাবদা বিষয়ে আর একটা সিদ্ধান্ত'ঘটিত বিচার এই যে, 
যে পধ্যস্ত আত্মদর্শন না হয়, সে শর্য্যস্ত শ্রবণ, মনন. ম্িধিধ্যামন, এ সকল 
অনুষ্ঠান পুনঃ পুনঃ করা উচিত । অর্থাৎ উক্ত সকল উপাসনা তত্বজ্ঞানের 
সাক্ষাৎ অঙ্গ হওয়ায় তন্বজ্ঞজান ন। হওয়া পর্যযস্ত আবর্তনীয় এনং তত্বজ্ঞান 
অস্কুরিত হইলে আর প্রয়োজনীয় নহে। এ শিষগ্নে শাস্ীয় প্রমাণ নিয়ে 
প্রদর্শিত হইতেছে । তথাহি, 


আরত্তিরসকূহপদেশাৎ ॥ 
অ$&,পা ১, সুঙ॥ 


ক্রাথ -আবরৃতিঃ পোনঃপুন্ঠেন চেতসি সমারোপণং ধোয়াকারাকা পিতা 
বৃন্তিসন্ততরিতি যাবৎ । কর্ভব্যা, ইতি শেষ; | হেতুমাহ অপকৃদিতি । 
পৌনংপুনোনোপদেশাদিতার্থঃ 1--শবণ, মনন, [নদিদ্যাপন,-এ সকল 
অনুষ্ঠান একবার করিলে যদি আন্মদর্শন না হয় তবে পুনঃ পুনঃ করিতে 
হইবেক। যাবৎ না আত্মদর্শন হয় তাবৎ কাল করিতে হইবেক। শান্তর সেই 
অভিপ্রায়েই বার বাবু ও শরবণাদি বন্ধ উপায় উপদেশ করিয়াছেন। 

ভাষ্যাথথ--পরা অপরা এই 1ঘখিধ বিদ্যার যে-কিছু সাধন ও তঘ্বিবয়ক 
যে-কিছু বিচার, মে সকল প্রায় সমস্তই তৃতীয় অধ্যায়ে চিন্তিত হইয়াছে। 
এই চতুর্থ অধ্যায়ে সে সকলের ফল ও তর্ঘটিত বিচার ( সংশয়্াদি 
নিরাসপূর্বক সিদ্ধান্ত স্থাপন) কৃত হইবে এবং প্রসঙ্গাগত অন্যান্ত ৰিচারও 
প্রদর্শিত হইবে । প্রথমতঃ কএকটী অধিকরণে সাধনঘটিত বিচার বল! 


১৪৬ তত্বজ্ঞানামৃত | 


যাইতেছে । “আত্মার দর্শন, মনন ও নিদিধ্যাসন কর্তব্য ।” *ঘীর উপাসক 
ঠাহাকেই জানিয়। (বা জানিবার জন্য ) প্রজ্ঞা ( ৩দ্বিষয়িণী মনোবৃত্তি) করি- 
বেন ।৮ “তিনিই অন্বেষ্য ও বিশেষরূপে জিজ্ঞান্ত 1” এইরূপ ও ইহার অনুক্ধপ 
অন্যান্ত ্তিও মাছে। সেই সকল শুতিতে সংশয় এই যে, আত্মবিষয়ক প্রত্যয় 
(জ্ঞান খা যনোবৃত্তি) সরুৎ অর্থাৎ একবার করিতে হইবেক £ কি আবর্তন 
অর্থাৎ বার বার করিতে হইবেক। কি পাওয়া যায়? পাওয়। যাঁয়-_ 
প্রযাজাদর ন্যায় + সক্ৎ অর্থাৎ একবাব্ু করিলেই তণ্ার। শান্ার্থ পালন 
হইতে পারে । পুনঃ পুনঃ করিতে হইবে, এরূপ তি নাই, স্থতরাং: পুনঃ 
পুনঃ করিলে শাস্ত্রোল্লজ্ঘন হইবে | গশবণ করিবেক, মনন করিবেক, 
নিদিধ্যআাসন করিনেকণ' ইত্যাদিগ্রক'র আরত্তির উপদেশ আছে সত্য; পরস্ত 
যদ তাহ!রই অন্ুগৃঠ হইতে চাও তলে ভুদনুরূপ আবৃত্তির অনুসরণ করিতে 
পার। একবার এবণ, একবার মনন ও একবার শিরিধ্যাসন করিতে পার, 
অতিরিক্ত পার না। অভিরিষ্ঞ আবর্তন অশ্বাস্্রীয় | “বেদ -জানিবেক"' 
'উপাসীত--উপাসন। (ধ্যান; কারবেক” ইতাদিগ্লে একোপদেশ থাকায় 
অনাবৃতিই শাস্তার্থ । এইন্ধপ পুব্বপক্ষ প্রাপ্ডে বগা হইল- -আরত্তিঃ অসকুদ্ুপ- 
দেশাৎ। শর্থ এই আন্মকার প্রভাষের আবৃত্তি অর্থ পুনঃ পুন: আতন্মসাক্ষ[ত- 
কার কারুণী মনেররুত্ি উত্থাপিত কারতে হইবেক । কারণ এই যে, শান্ত 
অনেক বার তরৃশী মনোরুত্তি উখাপিত করিতে বালয়াছেন। “শ্রবণ করিবেক, 
মনন করিবেক, নিদিধ্যাসন কবিবেক, এইরূপ অনেকাবৃত্তি বা এইরূপ উপ- 
দেখ প্রত্যয়াবৃত্তিনই (পুনঃ পুনঃ আত্ম।ক।র1 চিত্তবৃত্তি উদ্দিত করার) সুচনা 
করে। বাপধ।ছিলে যে, একবার শ্রবণ, একবার মনন, একবার নিদিধ্যাপন, 
এইরূপ মাবত্তি করিবেক, বস্ততঃ তাহ। নহে । কারণ, এ সকলের পর্যযবসান 
দর্শন | যাখং ন। আত্মদর্শন ( পাক্ষা কাপ) হয় তাবৎ শ্রবণ, মনন, নিদিধ্যাসন 


* প্রযাজ-্যাগবিশেষ | তাহা একবারই অনুষ্ঠিত হয়, বার বার করিতে 
হয় না। একবার অনুষ্ঠান করিলেই তাহা হইতে স্বরগীপ্রাপক আদৃষ্ট জন্মে। 
তত্বষ্টাস্তে শ্রবণও একবার করিলে আত্মদর্শনোপযোগী অনৃষ্ট জন্তিতে পারে 
সুতরাং পুনঃ পুনঃ শ্রবণ রৃথ।। ইহাই পূর্ববপক্ষবাদীর অভিপ্রায় এবং ইহাই 
সিদ্ধান্তে খণ্ডিত হইবেক। 


জীবের সংসারগতি [নল | ১০১ 


করিতে হয়। সুতরাং সকৃত শ্রবণে, সকত মননে ও সরুত নিদিধ্যাসনে 'আতম- 
দর্শন ন] হইলে কাষেই তাহ] পুনঃ পুনঃ করিতে হয়। পুনঃ পুনঃ শবণে, মননে 
ও নিদিধ্যাসনে দর্শন-ফল ফলিলে এ সকল শাস্ধ দৃষ্টাগে' পর্য্যবসিত হইতে 
পারে। শান্্তাৎপর্যা দৃষ্টাে পরিণত হইলে অদুষ্টাথথ স্বীকার অন্যাধা। 
ঘেমন যজ্ঞকার্ষে ধান্টে যুফলাবথাত তগুলনিপ্ত্তি প্রয়োজনে অভিহিত, তেমনি, 
শ্রবণার্দিও আত্মপর্শনপ্রয়োজনে অভিহিত । যেমন এক অবঘাতে তওুল হয় 
না, তেমনি, একবার শুনিলে আন্মদর্শন হয় না। আরও দেখ, উপাসনা ও 
নিদিধ্যাসন এই দুষ্ট শব মন্তনিহিত আরুত্তিগুণ মানসী ক্রিয়াতেই প্রধোজিত 
হইতে দেখা যায়। : পদার্থাকারাবৃত্তি ব। জ্ঞান মনের ক্রিয়া! ব্যতাত অন্য 
কিছু নহে। তাহা যদ আরত্তিগুণাক্রান্ত হয় অথাং যর পূর্বক বার বার 
উত্থাপিত করা হয়, তাহ হইলে তাহ। আবৃত্তিশুণ। মাত্রপী ক্রিয়। নামে খ্যাত 
হইতে পারে | ইহার বিশদাথ-_-পুনঃ পুনঃ উথ্বাপিত পোয়াকান্া চিত্তবৃত্তি 
বা উপাস্তানুসন্ধান। এ'াদৃণী মনপী ক্রিয়াকেই লোকে উপাসনা বলে, 
ধ্যান বলে, চিন্তাও বলি; এবং শান্বকারেরাও আত্মাধষরিণী তাদুশী যানসী 
ক্রিয়াফে নিদিধাসন বলেন। দৈবাৎ কখন একবার স্বরণ করিলে তাহাকে 
ধ্যান, উপাসনা, নিদিধাাসন, কিছুই খগে না।। “শিল্ক গুরুর উপাসনা 
করিতেছে” প্রা বাজার উপাসনা করিতেছে, বিরহিণী নারী পতি 
চিন্তা বা পতিধাঁন করিতেছে" উতাদি স্থলে উপাসনা ধান ও চিন্তা 
প্রভৃতিশব্দ এরূপ তাতে প্রযুক্ত হইয়। থাকে । লোক যাঁদ কাহাকে 
একান্তচিত্তে গুরুর ও রাজার অন্ুবর্তন করিতে দেখে তবে তাহাকে বলে, 
অমুক অমুক গুরুর ও অমুক অমুক রাছার উপাসনা করিতেছ্ব। লোক 
যদি কোন প্রোধিততর্ভৃকাকে নিরন্তর পতিশ্মরণা সোত্কঠা হইতে দেপে 
তাহ। হইলে তাহাকেও বলে, অযুকী পাতপ্যান ও পতিচিন্ত করিতেছে । 
( দৈবাৎ এক বার চিন্তা করিলে কোনও লোক তাহাতে উপাসনা, ধ্যান, 
চিন্তা এ সকল শঝের প্রয়োগ করে না। তাহাতেও বুঝা যাইতেছে, 
শান যখন ধ্যান, উপাসন। ও নিিধ্যাসন শব্দের প্রয়োগ করিয়াছেন 
তখন তাহাতে প্রত্যপবৃন্তি আছেই )1 অপিচ, বেদান্তশান্ত্রে একই অর্থে 
“বিদ” ও “উপাস্‌” এই ছুই ধাতুর প্রয়োগ দুষ্ট হয়। (ধ্যান বা চিত্ববৃত্তি- 
প্রবাহ অথে “বদ ইত্যাকারে বিদ ধাতুর এবং উপাস্তে' ইত্যাকারে 


১৩২ (ততবজ্ঞা নামৃত | 


উপপূর্বক আস ধাতুর প্রয়োগ হইয়া থাকে ।) তবে কিনা, কোথাও বা 
উপক্রমে শীবদ ধাতুর ও উপসংহারে উপাস ধাতুর এবং কোথাও বা উপক্রমে 
উপাস ধাতুর ও উপদংহারে ধিদ্‌ ধাতুর পয়োগ হইতে দেখ| যায়। ( উপক্রম 
ও উপসংহার একরূপ হওয়াই নিয়ম; সুতরাং উপক্রমোক্ত শব্ধ ও উপসংহ।- 
রোজ্জ শব্দ একার্থবাচী) “যে তাহা জানে সে তাহা জানে । ম্বামা কর্তৃক্ক 
তাহাই কথিত হইয়াছে ।” এইট প্রস্তাব বিদ ধাতুয় দ্বার! উপক্রান্ত ( মারন্ধ ) 
হইয়া] "হে ভগবান! আবার আমাকে সেই দেবতা উপদেশ করুন, ষে 
দেবতার উপাসনা করিব” এইরূপে উপাল-ধাতুপ্ দ্বারা উপস্ংহৃত হইক্সাছে। 
(উপসংহার সমাপ্তি)। “মনোব্র্ষের উপাসনা করিবেক” এই প্রস্তান 
উপাস-ধাতুর দ্বারা উপক্রান্ত হইয়!ছে এবং “যে এইরূপ জানে সে কানি, যশঃ 
ও ব্রদ্ধতেজে প্রকাশধান ও তেজীয়।ন্‌ হয়” এইরপে বি ধাতুর দ্বারা 
উপসংহৃত হইয়াছে । এই সকণ হেতৃতে ও “বেদ” “উপাসীত” ইত্যাদি 
ইত্যাদি একো পদেশ হহতে প্রত্যয়ারাভহ (পুনঃ পুনঃ জ্ঞান ব। ধ্যানই) পাওয়! 
বায়। অপিচ, অসকৃৎ উপদেশ । অনেক প্রকার । শ্রবণ, মনন, নিদ্দিধ্যাসন, 
এই তিন্‌ প্রকার ) সেট প্রতাগারৃঙিরই হুচক । 


লিঙ্গাচ্চ | অঃ, পা ১ জু২॥ 


সুত্রার্থ লিঙগমন্থুমাপকোধরন্মন্তম্মাদি প্রতায়াবৃত্তেরস্তিহমনুমীরতে | অত্র 
পর্যযাবৃতিশব্দাৎ সিদ্ধবদুরগ/থধযানস্যারত্তিরুক্তা । ততশ্চ ধ্যানহসামাগ্ত।ৎ ফল- 
পর্যান্ততসামান্যাদ্ব। লিঙ্গাৎ সন্বত্র শ্রবণমননধ্যনেঘারতিসিদ্ধিরিত্যভিসন্ধিঃ ।-- 
লিঙ্গ অর্থাৎ অনুমাপক হেতু--তদ্বলে প্রত্যয়াবৃত্তি (জ্ঞানের বাজ্ঞানের 
পৌনঃপুন্ত ) পিদ্ধ হ্টতে পারে। ( তায্নুপাদ দেখ )। 

ভাষ্যাথ--লিঙ্গ অন্ুমাপক ধন্ম। তাহ।ও প্রতায়াবৃত্তির ( পুনঃ পুনঃ জ্ঞান 
উত্থাপনের ) সন্ভাব বুঝ।ইতে সক্ষম। বিবেচনা কর। উদগীথ-উপাসনা 
প্রস্তাবে “আদিত/হ উদগ।ধ' এইরূপ বলার পর এতি একপুত্রফঙগত্ব দোষ 
উল্লেখ করিয়া তাহার অপবাদ (নিন্দা) করতঃ বলিয়াছেন “তুমি আদিত্যের 
বু রশ্মি পর্য্যাবর্তন (পুনঃ পুনঃ ধ্যান) কর ।” ছান্দোগ্য শ্রুতি এই স্থানে 
হর্যযরশ্মিবহুত্ব বিজ্ঞানের বন্পুত্রতাফল বিধান করিয়। প্রত্যয়াত্তির শ্বতঃ- 
সিদ্ধতাই দেখাইয়াছেন। অতএব, প্রত্যয়ত্বসামান্যের অনুরোধে প্রত্যয়াস্বরেও 


জীবের সংসারগতি বণন। ১০৩ 


তাহার অস্তিত্ব (আবৃত্সত্ভাব) সিদ্ধ হইতে পারে। (রশ্যিবন্ঠুধ জানও 
জান অন্য জ্ঞানও জ্ঞান। রখিবহুত্ববিধানে আবৃত্তি থাকিলে সুতরাং তাহা 
বা সেই আবৃত্তি অন্যান্য জ্ঞানেও থাঁকবেক।) এই স্থানে কেহ কেহ 
বলেন--যাহার ফল সাধ্য, শান্ত্রান্ুগত যত্তের দ্বারা উৎপাদন করা ধায়, 
তাহাতে প্রতায়ারঙি সম্ভবে। কেননা! আবৃত্তির দ্বারা তাহাতে অতিশয় 
( উপচয় অপচয় খা তারতমা ) জন্মিতে পারে। (এক আবৃত্তিবা এক বার 
ধান অপেক্ষা বহু বার আরতি বা বহু বার ধান করিলে অবশ্ঠই ফলের 
উৎকর্ষ বা আধিক্য হইতে পারে ।) কিন্ত যে প্রত্যয় বাধেজ্ঞান পরব্রহ্গ- 
বিষয়ক, সে জ্ঞান সেই এক আদ্তীয় নিত্যশুদ্ধবুদ্ধ-ুক্তন্ব তাৰ আত্মভূত 
পরব্রন্গই স্মর্থন করিবে, বুঝািবে, সুতরাং সে জ্ঞানের আবতর প্রয়োজন 
ক? যদি খল. একবার শুনিলেহই থে ব্রদ্ধা্জতাব উৎপন্ন বা পিচ্ধ 
হয় তাহা হয় না। সুতা ত'দ্ধষয়ক আবৃত্তির ( পুন; পুনঃ অবণাদির ) 
প্রয়োজন আছে । ইহার প্রাঙকুলে আমরা বলিব, তাহাও নহে। 
আবুভ্ততেও ব্রদ্গাত্মপ্রাতপাত্তর অন্গপপনতা আছে । তং ত্বং অসি তাহাই 
তুমি, এইরূপ এইরূপ বাক] এক বাধ শুনিলে যদি তাহা ব্রহ্গাত্মভাবপ্রতীতি 
( শ্রোতার ব্রঙ্গাত্মতাবসাক্ষীৎকার ) ন! জন্মায়, তাহা হহলে অন্য বার শুণিলে 
এবং আরও এক বার ক পু বাপ শুনিলে যে সে বাক্য তাদৃশ জান 
জন্মাহবে তাহার নিশ্চয়] কি? প্রমাণ কিঠ ভরসাই বাকি? কেবল 
বাক্যে তন্বসাক্ষাৎকার ঘটে না, কিন্তু ঘুক্তিসহায় বাক্য ব্রঙ্গাত্মবস্ত অনুতবারঢ 
করিতে সক্ষম, এ কথা বধিলেও আবৃক্ির আনর্থক্য নিবারত হয় না। 
কারণ, যুক্তিও এক বার উদিত হইয়া স্বকীয় অথ অন্ত করাইতে পাবে। 
(যে একবারে পারে না সে যে ছুই বা ততোধিক বাবে পারিবে তাহার 
স্থিরতা কি!) এমন হইতেও পারে বে, যুক্তি ও বাক্য একটা সামান্যকার 
জন জন্মহতে পাবে কিন্তু বিশেষ বিজ্ঞান জন্ম ইতে পাবে না। একজন 
বলিল, আমার ঠাদয়ে শল অর্থাত বেদনা হহয়াছে। তদ্বাঞকা শ্রোতা সেহ বাক্য 
শুনিয়া ও তাহার মুখবৈবণ্য ও গাঞঙগাদি বাহিক চিত দেখিয়া তাহার 
হৃদয়ে সামান্যতঃ বেদনাসপ্ভাব অন্ুতব করিতে পারে বটে; কিন্তু তাহার 
সবিশেষ ভাব € কিরূপ বেদনা তাহা) অনুতব করিতে পারক হয় না। যে 
শলী, পে-ই তাহা উন্থুতব করে, অলো তাহা বুবিতে অঙ্গম । (যাহার 


১০৪ | তন্বগ্ঞাণামৃত। 


বেদন| স্লেই জানে অন্যে কি জানিবে!1)। অতএব, বিশেষানুভবই অবিষ্থার 
নিবর্তক এবং বিশেষান্ুভবের জন্যই আবৃত্তি অর্থাৎ সাধন প্রয়োগের 
পৌনঃপুন্য প্রয়োজনীয় । এ কথাও বক্তব্য নহে। কারণ, বাক্য ও যুক্তি 
শত বার প্রয়োগ করিলেও তদ্্ারা বিশেষ বিজ্ঞানের সম্ভাবনা নাই । 
বাক্যের ও যুক্তির পরোক্ষ জ্ঞান জন্মানই সভা ; সুতরাং শত বার 
প্রয়োগেও তাহা অপরোক্ষ জ্ঞান প্রসব করিবে না। যে শাস্্ ও যে 
যুক্তি এক প্রয়োগে বিশেষ বিজ্ঞ।ন জন্মায় না, আশ্বাস কি যেসে শত 
বার প্রয়োগে বিশেষ বিজ্ঞান জগ্মাইবে % শান্ধের ও যুক্তির দ্বার। বিশেষ 
বিজ্ঞান জন্মে অণবা সাষান্যাকাঁর জ্ঞান জন্মে, ধা-ই বল বা যে পথেই 
চল, আপত্তি নাই, কি্ত উভয় পথেই আবৃত্তির অনুপযোগ দুষ্ট হয়। ঘ্দি 
যুক্তির ও শাস্ত্রের সেই সামর্থা থাকে তবে এক প্রয়োগে স্বীয় কাষা করিবে, 
দ্বিতীয় প্রয়োগ প্রতাক্গা কারবেক না। শাঞ্জ ও মুক্তি এক প্রশোগে 
কাহারও অন্থতব জন্মায় না, এমন কথ পলিতে পার ন।। কারণ, বুবিবার 
লোক অনেক প্রকাধ, তাহাদের প্রজ্ঞ।ও বিচিঞ্জ অথাৎ এককূপ নহে। 
(কেহ এক কখাতেই বুধে, কেহ বা শনুপার বলিলেও খুঝে ন|. উভয়প্রকারই 
দুষ্ট হয়।) আরও কথা এঠ ,য, যে সকল বস্তু লৌকিক ও অনেকাংশযুক্ত, 
সেই সকল পদার্েরই সামান্ঠবিশেষভাথ আছে এবং এক প্রণিধানে সেই সকল 
পদার্থেরহ একাংশ অন্ুভবগমা হয়, ঘি৬ায প্রণিপানে অবশিষ্ট অংশ প্রত]তি 
গোচরে আহসে। যেষন কোন এক এনলের আধ্যার। | এক প্রণিধানে 
গ্রস্থের এক অধ্যাঘ বুদ্ধিগোচর করা হঠল, দ্বিতীষ পণিধানে দ্বিতীয় অধ্যায় 
জ্ঞানগম্য করা হইবে । ) এতন্নিদর্শনান্ুধারে তাদ্ুশ সামান্যবিশেষাত্বক 
বনুলাংশযুজ লৌকিক পদার্থে ই পুনঃ পুনঃ সাধন প্রয়োগের প্রয়োজন বা 
অপেক্ষা আছে বটে; কিন্তু সামান্যবিশেষবঙ্জিত একাজ্মক বা একরস 
চেতনমাত্রস্ব ভাব ব্রঙ্গপদার্থের জ্ঞানে পুনঃ পুনঃ সাধনপ্রয়োগের প্রয়োজন 
দেখ! যায় না। ! সাধনের শক্তি থাকিলে এক প্রয়োগেই চ্জান হইবে, 
শক্তি না থাকলে শত প্রয়োগেও হহবে না।) বাদগণের এই আপত্তির 
প্রত্যাপত্তি করণার্থ বল যাইতেছে যে, আবৃত্তি পেই সাধকের পক্ষেই নিরর্থক-- 
যেসাধক একবার “তৎ তং অসি সেই বর্গ তুমি” এই মহাবাক্য শ্রবণে 
প্রবুদ্ধ হয় বা আপনার ব্রদ্দত্ধ অন্থতব করে। কিন্তু ঘে সাধক শরৎ শ্রবণ 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৪৫ 


আপনার ব্রহ্মতাব অন্কুতব করিতে অক্ষব সে সার্ধকের প্রাত আবৃত্তি (পুনঃ 
পুনঃ উপদেশেত্র) অবপ্তই উপযোগ (প্রবোক্ন) মাছে । ছান্দোগ্য উপনি- 
দের ষষ্ঠ অধ্যায়ে দেখা যার, শ্বেতকেতুর পিত। শেতকেতুকে “তকযপি-সেই 
তুমি” এইরূপ উপদেশ করিলেও সে পুনঃ পুনঃ "আবার বলুন --বুঝাইল। 
'দউন” বলিয়াছিল এবং গুরু পিতাও তাহার সেই মেই মাশঙ্কার যুগ্গোচ্ছেদ 
করিয়া বার বার “তন্বমমি সেই তুম” পিন উপদেশ করিক্কাছিলেন 
বুঝাইয়া দিয়াছিলেন, তখন (স কৃতকুতা হইয়াছিল । অভএব, সাঁধনপ্রয়েগের 
পৌনঃপুন্যের আবগ্টকতা আছে বলিয়াই এ্রতি শবণ করিবেক, মনন করিবেক, 
নিদিধ্যাসন করিবেক, এহরূপ পলিয়াছেন। বলিমাছিলে যে, যদি সকৃত 
এত বা এক্োচ্চরিত ওসি বাক্য আপনার অর্থ শ্রোতাকে অন্ুতব 
করাইতে না পাবে তাহা হইলে তাহা শতানৃত্ত (এক করুক শত বাবু 
উচ্চারিত ও শি কক শতবার এ'ত ) হইলেও পারবেক না! । সে কথা 
সঙ্গত নহে। যাহা দেখা যা তাহাতে আবার অগ্নপর্তি ক? যুজ্ি 
তর্ককি? মনেক সময়েই দেখা থাব, একবার শুনয়া সমাক্‌ বুঝিতে 
অক্ষম হইলে অন্তবারে তাহা বুঝিতে পারে! | দৃষ্টান্তাদ্বির দ্বারা তদগত 
অজ্ঞান সংশয়াদি বিদুরিত হয়, তৎপর ভাহা বুঝে |; আরও দেখ বিবেচন। 
কর, “তন্বমসি' এই বাক্য হং পদার্থে অর্থাৎ জাবের তৎপদার্থতাব অর্থাৎ 
ব্রহ্ষভাব দেখাইতেছে। তৎ পদের দ্বারা প্রস্তাবিত সং ঈক্ষিতা ও জগজ্জন্মাদির 
কারণীভূত ব্রহ্মপদার্থ বলতেছে ৷ এই বর্গ “ব্রহ্ম সত্য জ্ঞান অনন্ত" 
“তরঙ্গ বিজ্ঞনানন্দরূপী” “তিন অদৃপ্ত অথচ দ্রষ্টা, অবিজ্ঞেঘ় অথচ জআাতা।” 
“অজ, অজর, অমর, অস্থুল, অনণু, অহন ও অদীখ” ইত্যাদি শাস্ত্রে গ্রসিদ্ধ। 
অজাদি শব্দে তাববিকারের নিষেধ, অস্থুলাদি শবে দ্রব্যধঙ্মের নিবারণ, 
এবং বিজ্ঞানাদি শবে চৈত্ন্তাব বা প্রক।শস্বভাবতা বলা হচ্য়াছে। 
বঙ্জিত সব্বসংসারধন্ম অন্তবাত্মক ব্রহ্মনামক তত্পদার্থ বেদান্তবাদদিগের 
মধ্যে অতি প্রসিদ্ধ । ত্বং-পদার্থও প্রত্যগাত্ম! দ্রষ্টা শ্রোতা বলিয়া অবধারিত 
আছে। এই ত্বং-পদার্থকেহ শোকে ম্মমতান্ুনারে একে একে দ্রেহ হইতে 
চৈতন্ত পর্যযস্তে পর্য)বসান বা অবধারণ করে। যাহাদের অঙ্জঞান, সংশয় ও 
বিপর্যায় এই ছুই পদার্থে স্বরূপাববোধের প্রতিবন্ধক, তত্বমসি-বাঁকা 
তাহাদের স্বার্থপ্রমা জন্ম ইতে পারে না। কারণ, বাক্যার্থবোধ পদ্ার্থবোধ 
৯১৪ 


১৪৬ . তত্বজ্ঞানামৃত। 


ূর্বকই উৎপন্ন হয়। ( আগে পদার্থজ্ঞান, তৎপরে বাক্যার্থজ্ঞান। পদার্থ- 
জ্ঞান না হইলে বাক্যার্থজ্ঞান হয় না। পদার্থ-পদপ্রতিপাস্ত বস্ত। 
বাক্যার্থ্বাক্য প্রতিপাগ্ভ বস্্। তাহাতে বস্ত্র অনারোপিতরূপ প্রতি- 
পাদিত হয়।) তাদৃশ সাধকের পদার্থববেক উত্পাদনার্থ শাস্ত্রের ও যুক্তির 
পৌনংপুন্ত (পুনঃ পুনঃ উল্লেধ) প্রয়োজনীয় ও বাঞ্ছনীয়। যদিও আত্ম! 
নিরংশ তথাপি তাহাতে আরোপিত দেহেন্দ্রিয় মনোবুদ্ধিবিষয়বেদ না দিলক্ষণ 
অংশ স্বীকুত আছে। একাবধানে সেই আরোপিত অংশসমূৃহের কোন 
কোন অংশ অপগত হয় এপং অপর প্রণিধানে অপরাংশ বিশোধিত হয়। 
এক্টরূপেই তাহাতে ক্রমবতী প্রতিপত্তি সম্ভব হয়। এইই ক্রমবতী প্রতিপত্তি 
( পদ্দার্থজঞানক্রমে বাক্যার্থজ্ঞান ) স্বাজ্মপ্রতিপত্তির পুব্বরূপ। যাহাদের বুদ্ধি 
নিতান্ত নির্মল, তত্গদার্থ বিষয়ে অথবা ত্ং-পদাথ বিষিয়ে যাহাদের অজ্ঞান, 
সংশয় ও বিপর্যয় নাই, তাহারাই একোপদেশে তন্বমাস-বাকোর অর্থ অনুভব 
করিতে সমর্থ এবং তাহাদের প্রতি অনেকোপদেশের আনর্থকা বাঞ্জনীয়। 
তাহাদের আত্মগ্রতিপত্তি অর্থাৎ ব্রঙ্গাম্মধিজ্ঞান এক প্রয়োগেই উৎপন্ন ও 
সরুত শ্রবণেই তাভাদের অবিদ্যা বিদুবিত হয় সুভাং তাদৃশ অধিকা পীস্কলে 
ক্রমস্বীকার করিবার প্রয়োজন লাহ। বলিতে পার যে, যাহা ণলিলে 
তাহা যুজিসিদ্ধ বটে; যদ সের্দপ কাহার হয়। কিন্তু সেরূপ না হইবার 
সম্ভাবনাই অধিক । কারণ, আপনার দুংখিত্বাদি জ্ঞান অতান্ত বলব্তী। 
আমি ছুঃখী নহি, এজ্ঞান বধহার হয় [কনা সন্দেহ । বাক্য শ্রবণে 
বলবৎ ছুঃখিত্বঙ্জান নিবৃত্ত হয় কি-না সন্দেছ। এই বিষয়ে আমর] বল, 
যেমন দেহাদির অভিযান মি্থ)াবিজ্স্তিত, তেমনি, দুঃখিত্বাদ্যা তমানও 
মিথাবিজ,ভিত। দেহ ছিগ্যমান'ও দহামান হইপার কালে আমি ছিন্ন হইলাম, 
দ্ধ হইলাম, সর্বদাই এরূপ অভিমান হইতে দেখ! যায়। অত্যন্ত বাহ 
( শাআ্মার সহিত কিছুমাত্র সন্ধন্ধ নাই এরূপ) পুঞাছি সন্তপ্ত হইলেও 
আমি সন্ভতাপ ভোগ করিতেছি, এরূপ অধ্যারোপ হইতে দেখ! যায়। 
হুঃখিত্বাতিমানও এরূপে হয়া থাকে । ছুঃখিত্ব সংসারিত্ব প্রভৃতিও দেহাদির 
ম্যায় আত্মবহ্ভূতি ব। টচৈতন্যপন্বন্ধীয় নহে । চৈতন্তকে সুযুপ্তি প্রভৃতি 
অবস্থ। ভ্রয়ে অন্ুবৃত্ত হইতে দেব! যায় এবং মে কথা শ্রুতিও বলেন। 
বথা-যে তাহ] দেখে না। ত্রষ্টা দেখিয়াও তাহ! দেখে না।” ইত্যাদি। 


জীবের সংসারগতি বর্ণন | ১৪৭ 


অতএব, আমি মর্ধহুঃখবিমুক্ত এক (অখণ্ড) চৈতন্যাত্বক, এই অস্তুভবই 
আত্মান্ুতব ব। প্রকৃত আত্মজ্ঞান। (শাস্ত্রে এই জ্ঞানকেই তত্বজ্ঞান বলে ।) 
যাহারা আপনাকে উক্ত প্রকারে অন্থতব করে, তাহাদের আর কর্তব্য থাকে 
না। শ্রতি তাহার উদাহরণ দেখাইয়াছেন | যণা--“আমরা পুঞাদি 
লইয়। কি করিব? যে আমাদের প্রত্যক্ষ আত্মাই এই লোক”? । এষ 
শ্রুতি আত্মজ্জের কর্তব্যাতাব দেখাহয়াছেন এবং স্বতিও তাহা বলিখাছেন 
যথা -"যে মানব আত্মরাত, শাত্মত্বপ্ত ও আপনাতেই সন্ত, তাহার কিছুই 
করিতে হয় না বা কর্তব্য থাকে না।” যাহাদের শীঘ্র এ অন্ুতব জন্মে না, 
তাহাদের ব্ম্য তন্বযাপবাক্যার্থজ্ঞানোপযোগী শ্রবণ'মননাদর পৌনঃপুন্য 
্বীকার কবিতে হর মন্দযতি শিষ্য ধন্থমাস-বাক্যের অর্প হতে পচাত না 
হয় গুরু এরপ কাযা াশষাকে সাধনাব্নে প্রবৃত্ত শাথবেন। কেহ বর 
বিনাশের জন্ত কন্ঠার  ববাহ দেয় না। অর্থাৎ যেরূপ উপদেশ করিলে 
অকর্ভাঘয়ব্রক্গাম্ম হাব ন্ট না হয. প্রতুুত ভদদত হয়। সেঈরূপে প্রবৃত্ত 
রাখিবেন। ঠহা কর, ভাহা কর, যে এবন্প্রকারে নিযুক্ত হয় সে অনশ্থযই 
ভাবিতে পারে যে, আমি এষ কার্যের অধিকারী, কর্তা, আযাক্ক ইহ! 
কর্তব্য অর্থাৎ আমাকে ইহা করিতে হইবে। এরূপ ভাবন। ব্রহ্মঙ্ঞানের 
বিদ্বকারিণী । তাহা যাহাতে না জন্মে তহা] করা অবগত কর্তব্য। অর্থাৎ 
তত্বমসিখাকোর অর্থ গ্রঠণ করাঠতে (বুঝাহতে ) পুনঃ পুনঃ চেষ্টা কর গুরুর 
ও শাস্ত্রের অস্ত কর্তবা। যে অল্পমঠ্ি মাপনা আপনি তত্বমপিবাকোর অর্থ 
পরিত্যাগ করে ( না বুঝিতে পারা), তাহাকে তহৃমপিবাকার্থজানে স্থির 
রাখিবার দ্রন্তও পুনঃ পুনঃ বাক্যধুক্তির প্রয়ো্গন আছে । এইরূপেই বাক্য" 
যুক্তি প্রয়োগের পৌনঃপুণ্ত সিদ্ধ হয়। 

এইক্ষণে বিচার্ধয এই যে, যে সকল উপাপনার ফল অভ্যুদয় সে সকল 
উপাসন। অর্থাৎ ধ্যান মরণকাল পর্য্যন্ত করিতে হইবেক ব কিছুকাল অনুষ্ঠান 
করিনা পরিত্যাগ করিবেক। এবিবয়ে সিদ্ধান্ত এঠ যে, উক্ত সকল উপাপনা 
মরণ পর্য্যস্ত অনুষ্ঠেরর। তথা হ, | 


আপ্রায়ণাৎ তত্রাপি হি দৃষ্টম্‌ ॥ 
অ ৪, প| ১, সূ ১২। 


সুত্রার্থ__প্রায়ণং মরণং তৎপর্যযস্তং প্রত্যায়াবৃত্তিঃ কর্তব্য।। হি যতঃ প্রায়ণ- 


১৬৮ ততজ্ঞানামৃত। 


॥ 


কাল্ল্রপ্যাবত্তেঃ কর্তব্যতং আত দৃষ্টম্‌। _উপাপনা অর্থাৎ ধান যরণকাল- 
পর্য্যস্ত করিতে হইবেক, ছুই একবার করিলে হইবেক না। কারণ) শ্রুতিতে 


ও স্তিতে দেখ! যায়, ময়ণকালের উপাস্জ্ঞানই বিশেষ ফলপ্র্দ হয়। 
ভাধ্র্থ_প্রথম বিচারে নির্ণীত হইয়াছে যে, সমূদায় উপাসনায় আবৃত্তি 
( পুনঃ পুনঃ উপাসন। করা ) অতীব প্রযোক্গনীয়। এবং তাহাতেই জানা 
গিয়াছে, যে সকল উপাসনা তন্রজ্ঞানেব সাক্ষাৎ অঙ্গ সে সকল তন্বজ্ঞান 
না হওষ] পর্যাপ্ত আবর্ভনীঘ এবং ভন্বজ্জান অক্কারত হলে তাহা আর 
প্রযোজনীয় নছে। তুল প্রপ্তত করাই অবঘাতের প্রচ্নোজন তুল 
প্রস্থত হহলে তপন আর অবঘাতের প্রয়োজন কি। তবজ্ঞান জন্মানই 
উপাসনার কার্যা, ততঙ্ঞান হলে তাহাতে মার কোনও কিছু কর্ভব্যোপদেশ 
নাই । কারণ, তত্বজ্ঞানে নিয়োগপথ[তাঁত ব্রক্গ।আতাব প্রকাশিত হয়। 
সুতরাং তবৃজ্ঞানী তখন শান্বের অবিষয় অর্াৎ অশান্ত হন। কিন্তু ষে সকল 
উপাসনার ফল অভদ্র সেই সকল উপাসনার এই চিন্তা ( বিচার) উপস্থিত 
হইতেছে ফে। উপাপক সে সকল কি কিছু কাল আনগ্তিত করিয়া পরিত্যাগ 
করিবেন * কি মণ পর্বান্ত আবহিত করিবেন ৮ বিচারে কি পাওয়া 
যায়? বিচারের প্রথম কোটীতে পাওয়া ঘা, উপাপন। ব। জ্ঞানসম্ততি কিছু 
কাল অভ্যস্ত করিয়া পরে পরিতাগ কন্বিবেক । কারণ, তাহা উপাসনা 
শব্দের অর্থ, তাহা কর। হইলেক্ট শান্ধার্থ-পালন করা হয়। ( উপাসনা - পুনঃ 
পুন ধ্যান । অর্থাৎ খাণ বার ধ্যেয় পদার্থ চিত্তারঢড় করা) । চিন্তার 
প্রথম কোটীতে এইরূপ প্রাপ্পু হওয়া যা বাঁলখা তাহার সিদ্ধান্ত বলা 
যাইতেছে। সাধক তাহা মরণ পর্ধীন্ত শ্রাপর্তন করিবেন । কারণ, অনৃষ্ট 
ফল অর্থাং ভার্বিফল মনণকালঞ্ শেষ ধ্যানের দ্বারাই শ্দক্তিপ্রাপ্ত হয়। 
যেসকল জ্ঞানকম্মের ফল পরুজন্মে ভোগ হবে সেহ সকল জানকর্শের 
সংস্কার যরণকালেই আ।ক্ষপ্ত অর্থাৎ প্রাপ্তধ্য ফলমুত্তিতে অভিব্যক্ত হয়। এ 
বিষয়ে শ্রুতিপ্রমাণ যথা-"সেই ধ্যাত। মৃত্যুকালে সবিজ্ঞান হয়। অর্থাৎ 
ভাবনাময় জ্ঞানে আক্রান্ত হয় । অন্তর সবিজ্ঞান হইয়া উৎক্রান্ত হয়। 
গৃহীতদেহ পরিত্যাগ করে । ( সবিজ্ঞান হওয়া আর ভাবিফল শ্দুত্তিরূপ 
ভাবনাময়্ আতিবাহিক দেহগ্রাপ্তি হওয়। সমান কথা )। চিত্ত মরণকালে 
যে আকারে অবস্থিতি,কবে, তাহার মন তখন সেই আকারে প্রাণে আগমন 


জীবের সংসারগতি বর্ণন | ১৪৯ 


করে। প্রাণ উৎক্রমণ পথ উদানে আইসে। অনন্তর তাহা জীবকে 
ংকল্লিতাঙ্গরূপ লোকে লইরা যায়।” শ্রুতিতে যে তৃণজলায়ুকার দৃষ্টান্ত আছে, 
তদন্ুলারেও প্রোক্ত সিদ্ধান্ত লব্ধ হয়। উপাসনাত্মক জ্ঞান যদ ধারাবাহীরূপে 
মরণ পর্যাপ্ত অপনস্তিতি করে তাহা হইলে তাহাই তাহার অন্তাবিজ্ঞান 
হইবেক। তাহা অন্ত কোন ভাবনাবিজ্ঞান ( অদুষ্টপ্রভাবে সমূদিত জ্ঞান 
বিশেষ , অপেক্ষা *রিবে না। অত্তিপ্রায় এই ষে, যেমন কন্ম দুই এক বার 
কত হইলেই তন্বারা অনৃষ্ট সঞ্চিত হর, সেই সপ্চিতাঘুষ্টরের বারা মৃতাকালে 
ভাবিফলশ্মুত্তিবূপ ভাবণাখিজ্ঞান (ভাবনাময় আতিথাহক দেহ ) জন্মে, ধ্যানা- 
বভিরূপ উপাসনার সেরূপ ব্যবস্থা নহে। ধ্যানই মরণ পর্য!গ্ স্থায়ী হই! 
ধ্যানান্ুরূপ আভবাতক দেহ জন্মায় । অঠএা, ফে সকল উপাসনার ফল 
তন্ময়ীত1খ প্রাপ্তি, পে সকল মবণ পর্য্যন্ত অনুষ্ঠেয় ৮ এ বিষয়ে তি প্রমাণ 
যথ। যে যাহা ধ্যান করিতে করিতে এ শরীর তাগ করে? উত্যাদ। এই 
শ্রুতি মরণচালেও প্যানাবুতি করিতে বালঘ্াছেন।1 এ কথা শ্বতিতেও 
আছে । যথা--ে অঞ্জন | জীব ম্ৃতুুকালে যে ভাব ধান করতে 
করিতে কলেধদু পরিত্যাগ করে, সে সর্ধদা তণ্ভাব গাবিত হওয়ায় সেই লোক 
প্রাপ্ত হঠয়া থাকে |” “মরণকালে অচঞ্চল পোয়াকার চিত্তে" “সে মৃত্যু 
কালেও এই [তন মগ্ ( অক্ষিতমাস, অন্যতমসি, প্রাণশধাসতমাস ) ম্মরণ 
করিবেক্ক।' ইত্যাদি । এই সকল এ'তি ও স্বতি মরণ পর্যন্ত ধ্যানের 
কর্তব্যত! দেখাইয়াছেন। 

সম্প্রতি দেবযানগতি বর্ণিত হইবে, কিন্তু ইহা বলিতে গেলে প্রথমতঃ 
শান্তান্্যায়ী উৎক্রান্তক্রয ( মরণ- প্রণালী ) বলা আবগ্তক এবং ইহাই প্রথমে 
বণিত হইতেছে । তথাহি, 


বাত্মননি দর্শনাচ্ছব্ধাচ্চ ॥ অ ৪, পা২,সৃ১॥ 


স্ত্্ার্থ--আ্রিয়মাণস্য পুরুষস্তাদৌ বাক বাকৃবৃতির্বা গিল্িষ়কার্ধ্যং বচনং 
মনসি সম্পগ্ভতে । উপসংহ্ৃতং ভবতীত্যর্থ:। হেতুমাহ দর্শনাদিতি। দৃশ্ঠতে 
হি মুমুর্যোব্বাগ্রৃত্তিঃ পূর্বমুপসংক্রিয়তে । শব্দাৎ বাগিতি শব্দাৎ। ভাবব্যুৎ- 
পত্ত্যা লক্ষণয়। ব! বাক্শব্স্ত বাকৃবৃত্ত/্৫ত। লাভাদ্দিতি যাবৎ ।--উপাসকগণ 
দেবযান পথে গষন করেন, এ কথ! বল। হবে । সে জন্য, অগ্রে তছ্ুপযোগী 


১১৭ তত্বজ্ঞানামূত। 


মরণক্রম--যাহা শাস্ত্রীয়--তাহ। নির্বাচিত হইতেছে। শাস্ত্র আছে, দেহ- 
ত্যাগ কালে প্রথম হ; বাক্‌ মনে লয়প্রাপ্ত হয়। এই স্থলে সংশস্ক, বাক্‌শবে 
বাগিন্দরয় কি তাহার বৃত্তি ( কাধ্য, বলা । ) পূর্ববপক্ষে, ইন্জিয় ; কিন্তু সিদ্ধান্ত 
বাক্রৃত্তি। তত্বজ্ঞানী ব্যতাত অন্য কাহার ইন্দ্রিয় লয় হয় না। দেখা যার, 
মুমুধূু মনোবৃত্তি আছে অথচ বাক্রৃভ্ত নাই। ভাববাচ্য প্রত্যয় অথবা লক্ষণ 
স্বীকার করিলে বাকৃশৰে বাক্‌ৰৃত্তি অর্থ পাওয়। যাতে পারে। 


অত এব চ সব্বাণ্যন্থ॥ অ ৪, পা ২. সুই ॥ 

তরার্থ__বাচাক্তং ন্যায় চক্ষুরাদিদতি'দশত্যত ইাত। সবান্তকে মনি 
বিদ্মানে চক্ষুরাদীনামপি বৃত্তিলয়দশূনাৎ শব্দোপপত্তেশ্টেহ্ার্থঃ।  সর্ববাণি 
ইক্জ্িয়াণি_বাগব চক্ষুরাদীনাপি বৃত্তিত্বারেণ মনোহনুবর্তীত্তে মনসু/পসংত্িন্ত 
ইতি বাবৎ।_-যেমন বাগিক্দ্িধ বৃত্তিবিলয় দ্বার! মনে গিয়া লীন হয়, তেমনি, 
আর আর ইন্দ্রিযও বৃত্তিশিলগ দ্বারা মনে গিয়া! লান হয়। 


তন্মনঃ প্রাণ উত্তরাৎ॥ অ ৪,প1২, সত ॥ 


স্ত্রার্থ__তত্মনঃ প্রাণে বিলাসতে সপ্রত্িকে প্রাণে বাত্তল্জেনৈব মনো- 
বিলীয়ত ইতুযত্তরাৎ তদুত্তরবাক[দবগম।তে 1_তাুশ মনও বিবিলয় দ্বারা 
সবৃত্তিক প্রাণে লীন হয় ইহ। তত্র বাঞ্ে অবগত হওয়। যায়। 


সোব্ধ্যক্ষে তদ্রপগমাদিভ্যঃ॥ অ৪,প।২,সু৪॥ 


শত্রার্থ__-স প্রাণঃ অধ্যক্ষে জীবে জ্ঞানকর্মবাসনোপাধিকে লীয়ত ইতি 
পূরণীয়ম | কুত এতজ্জ্ঞায়তে ? তছুপগমাদিতাঃ | তং জীবং প্রতি 
প্রাণানামুপমনািশ্রবণ।ৎ। আদিশব্দাদগ্ুগমনমবস্থানঞ্চ লভাতে। উপগমনান্- 
গযনাবস্থান শ্রুতিত্য ইতি যাবৎ । এবমেবেমমাক্মানমিতুযপগমনক্রতিঃ | 
তমূতক্রান্তং সব্ধে প্রাণ ই্যন্গমনক্র তঃ। সবিজ্ঞানো ভবতীতাবস্থৃতিশ্রতিঃ। 
জীবণ্য প্রাপ্তব্যফলাবগমায় হি বিজ্ঞানসাহিত্যঞতত্যা জীব এব যুখ্যপ্রাণসহিতে- 
জিিয়াণামবস্থিতিঃ প্রতীয়ত ইতি ভরষ্টব্ম্‌ | সব্বত্রৈব নিব্ধ্যাপারতয়াইবস্থানং 
লয়তবেনোক্তমিত্যপি বোধাম্‌।--সেই প্রাণ অধ্যক্ষে অর্থাৎ জীবে লীন অর্থাৎ 
বৃত্তিশুন্ত হুইয়৷ অবস্থান করে। শ্রুতি এ কথা পরলোকগামী জীবের সঙ্গে 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১১১ 


লীন ইন্ট্রিয়গণের গমন, প্রাণের পশ্চাৎ পশ্ঠাৎ ইন্দ্রিন্নগঞ্পের উত্ক্রমণ এবং 
জীবে সে সকলের অবস্থান বর্ণনা! করায় অবধারিত হয়। 


ভূতেঘতঃ শ্রুতেঃ ॥ অ৪,পা ২, সুর ॥ 
সত্রার্থ__মতঃপৃর্বোধাহতশ্রুতঃভূতেষু তেজঃ সহচরিতেধু সৃপ্মেধু দেহ- 
রীজেঘববতিষ্ঠত ঠতাবগন্তব্যম | পৃর্কেধৃক্ত কতির দ্বারা তেদ্দের সংগ্রহ হতে 
পারে এবং বুঝা যাইতে পারে থে, প্রাণসংযুক্ত জীব দেহবীজ সুপ ভূতপঞ্চকে 
অবস্থান করে। 


নৈকম্মিন্‌ দর্শয়তো হি ॥ অ৪, পাঁ২, সৃঙ। 


হত্রার্থ--একন্সিন কেবলে ভেগাঁপ ন অবতিষ্ঠতে শবীরন্যানেকাত্মকত্ব- 
দর্শনাদিতাহনীয়ম। হি যতঃ প্রশ্নপ্রতিবচনে শ্রৌতে এুতিস্বতী বা দর্শযত 
এতমেবার্থমিতি স্ঞ্রপদানাং যোজনা ।--পরলোক গমনোগ্ত জীব পূর্বদেহ 
পরিত্যাগ্রের পর কেবলমাক্স তেজোভুত অবলম্বন করে না। না করিবার 
কারণ এই যে, শরীর অনেকাত্মক -একভূতে নিশপর হয় না। এুতি ও স্তৃতি 
উভয়েই দেখাইয়াছেন, জীব দেহবীজ ভূঙপর্কক লঙয়া প্রয়াণ করে, সময়ে 
তৎ্সমুহে তাহার দেহান্ধুর জন্টে। 

উপরে যে মরণ প্রণালী বণিত হইল, তাখাকি উপাসক অন্ুপাসক উভয় 
সাধারণ; অথবা উভয়ের যধো ক কোন কিছু বিশেষ আছে? এ বিষয়ে 
সিদ্ধান্ত এই যে, উক্ত উতক্রান্তি উভয় সাধারণ, কারণ, তাদুশ উপাসকের 
মুখ অমরত্ব হয় না, অর্থাৎ পরমাত্বায় আতান্তকি প্রলীন ভাব হয় না। চুক 
প্রমাণ যথা, 


মমাঁনাচাসূত্যুপক্রমা দস্বতত্বধ্ান্নুপোধ্য ॥ 
অঃ,পাংসু৭॥ 


সত্রার্থ -সাচ সমান। সব্বপ্রাণিষু তুল্যা। হেতুমাহ আস্থতুপক্রমাদিতি। 
হতিশ্ীরগস্তস্তো পক্রমোহর্চিঃপ্রাপ্তিস্ত 5; ৷ মমৃততবঞ্জেদমমূতীভাবঃ অন্ুপোষ্ঠ 
অদগ্ধাত্যন্তমবিদ্যা দিকেশান্‌ ন সম্ভবতীত্যাপেক্ষিক এব। উধদাহে ইত্যন্ত 
রূপম্‌। সগণব্রক্ষবিদে হজ্ঞস্তেবোতক্রান্তস্তস্ত তু যদমূতত্ব: শুতং তদাপেক্ষিকমেব , 
ন তু মুখ্যমিতি সমুদায়ার্থ;। এই মান্র যে উৎক্রান্তক্রম (মরণ গ্রাণালী। 


১১২ তত্বজ্ঞানামূত । 


বল৷ হইল তাহাঞ্সমান অর্থাৎ জ্ঞানী অজ্ানী উভয় সাধারণ। জ্ঞানীও 
অজ্ঞানীর য় উৎক্রাণ্ত হন। এ স্থলে জ্ঞানী শবেয় অর্থ উপাসক, মুখ্যজ্ঞানী 
নহে । কারণ এই যে, উপাসককেই অর্গিরাদি পথে যাইতে হয়। অবিদ্যা।্দি 
কেশ নরবশেষ দগ্ধ না হওরা পর্যন্ত মুগ্য অমবত্ধ গাঁত হয়না; সুতরাং উপাসক 
অমুত হয়, এ কথার অর্গ মুখা অমৃত নহে, বিস্তু গৌণ) (ভা ভাষা 
দেখ )। 
তাস্তার্থ-- প্রস্তাবিত উৎক্রান্তি কি জ্ঞানী মঙ্খানী উভগ্সাধারণ? উভয়ের 
মধ্যে ক্কিকোন কিছু বিশেষ আছে? এইরূপ সংশয় হইলে প্রথমতঃ পাওয়' 
যায়, বিশেষ আছে। "অর্থাং জানী অঙ্ঞানীর গ্তার উৎক্রান্ত হন না। যে 
উৎক্রান্তি বর্ণত হইল তাহা ভূতাশ্রয়বিশিষ্টা। জীব পুনদ্দেহলাভের নিষিত্তই 
হুঙ্গৃডৃত আশ্রয় করে। পরাস্ত জানীর পুনভাব অথাৎ পুনক্জন্ম নাই। এতি 
বলিয়াছেন--জ্ঞানী অমুতথ লাগ করেন অথাৎ মুক্ত পান।” সুতরাং 
পৃৰ্ববর্ণিত উতক্রাান্ত জ্ঞানীর পক্ষ অভিহিত, জ্ঞানার পক্ষে নহে। যদি 
বল, উৎক্রান্তি জ্ঞান-প্রকরণে পঠিত হওয়ায় তাহা জ্ঞানীর পক্ষেও নাত হইতে 
পারে, আমর] বলিব, তাহা নহে । কারণ, & এতি সুপ্তির ঠাপ প্রাপ্তকীর্তন 
(অনুবাদ /মাত্র। এঞুতি বিধ্যাপ্রস্তাবেও 'এহ পুরুষ যখন সুপ্ত হন, বুভৃক্ষু 
হন, পপান্র হন, ইত্যাদ ক্রমে সব্ব প্রাণিসাধারণ স্বগ্াদির অনুকীত্তন 
করিয়াছেন। করিয়াছেন কেন তাহাও বলিতেহি। এ সকল কীর্তন 
'কঁখন ) প্রতিপাদ। ব্রঙ্গবস্ত প্রতিপাদনের অন্ুপগ্তণ অর্থাৎ উপযোগী । আত্মতত্ব 
প্রতিপাদনের উপকারী বলিয়াই এতি জ্ঞানি-প্রকরণে এ কল কথ! বলিয়া- 
ছেন | জ্ঞানীগা বিশেষণস্ত অর্থাৎ জ]নিগণ যথার্থতঃ এ সকল আপনাতে 
দেখেন ন1। জ্ঞানীরা এ সকল ধন্মের অতীত, সে কথা এ কথায় বলা হয় 
নাই। তদ্বষ্টান্তে বুঝিতে হইবেক. জ্ঞান প্রকরণে প।রপঠিত উৎক্রান্তিও সাধারণ 
দৃষ্টিতে অভিহিত হইয়াছে । এতির অতিপ্রায় এই যে, পরলোকজিগমিষু 
জীব যে-পরমদেবভায় সম্পন্ন হয়, একীভূত হয়, সেই পরমদেবত। আত্মা এবং 
সেই আত্মাই তুমি এই তত্ব উপদেশ করা। এ অজ্ঞাত তথ্য প্রতিপার্দন 
উদ্দেশেই শ্রুতি জ্ঞানপ্রকরণে সামান্ঠতঃ উৎক্রান্তিপ্রণালী বর্ণন করিয়াছেন 
এবং তাহা জ্ঞানীকেও বুঝাহয়। দিয়াছেন। জ্ঞানীর উতৎ্কাস্তি হয় বটে; কিন্ত 
তাহা কথিতপ্রকারে সম্পন্ন হয় না। অঠওএব, বাগিক্জিয় মনে, মন প্রাণে, 


জাবের সংসারগাতি বর্ণন | ১১৩ 


এবংক্রমে যে উৎক্রান্তি কথিত হইয়াছে তাহা অকজ্ঞানীরই, জ্ঞানীর নহে? এই 
ূর্বপক্ষ নিবারণার্থ বলা হইতেছে যে, বাক্যঙ্গয়াদি ক্রমে যে উৎক্রান্তি অভি- 
হিত হইয়াছে তাহ! সমান অর্থাৎ তাহাতে বিদ্বান অবিদ্বান্‌ প্রভেদ নাই। 
অবদ্ধানের গ্যায় বিদ্বানও উত্রাাস্ত হন, ইহ। সৃতি অর্পাৎ অর্চিঃ পথ আরন্তের 
! গ্রহণের খা কথনের) দ্বার! চ্ঞানা যায়। অক্ঞানীরই উত্ক্রমণ, জ্ঞানীর 
উতক্রমণ নহে, এরূপ বিশেষ নিদ্দেশশত হয় নাই। অজ্ঞানী ভবিষ্যদ্দেহের 
বীজ স্বরূপ হম্মভৃত আশ্রয় করিয়া কম্মের প্রেরণায় দেহ এ্রহণ করিতে যায়, 
বিদ্বান তাহা করিতে (দেহ গ্রহণ অন্ুশ্ল করিতে) যায় না। বিদ্ধান্‌ 
জ্ঞান প্রকাশিত নাড়ীদ্বার আয় করিয়া! উদ্ধ আক্রমণ করে, ইহাহ শ্রতরস্থ 
“ল্যতি উপক্রম? কথা অর্থ, (কলিতার্থ -উৎকনান্তি সমান; পরন্ত গতি 
ভিন্নবিধ |) ৭ বলিতে পার, “তযোদ্ধীযাস়্মুত এমেতি” এই শান্্ে জ্ঞানীর 
অমৃতত্ব প্রাপ্তি হওয়াব কথ! আছে. এবং অমুভত্ব দেশান্তর গযন সাপেক্ষ নহে; 
তবে কেন তিনি ভূতাশ্রয়ী ও পথাবরোহী হহবেন? এই আশঙ্কার উচ্ছেদ 
উদ্দেশে বলিয়াছেন -অনুপোন্ঠ ' অর্গাৎ সগ্তণ খিদ্যায় অবিদ্যাদি ক্লেশের 
নিবন্বয় উচ্ছেদ হয় না সুতরাং সগুণ উপ।সকের অমুঙহ্ব আপেক্ষিক অথাৎ 
গৌণ । সগুণ উপাসকের গতি, পগ-আক্ুমণ ও ভূত[পলম্বন সমস্তই আছে। 
তাহাদের প্রাণ ভদ্ধগামী হয়, এই শাম্বে ঠাহার প্রাণগত্তি বর্ণিত আছে। 
তাহাতেই বুঝিতে হ£বেক, প্রাণগাত কোন একটী আয় ব্যতীত নিরাশুয়ে 
সম্পন্ন হয় না। এতএস, সশুণ উপাসকের অমুতদ্ শবণ আপেক্ষিক, একবপ 
বলিলে নার উক্ত দোষ থাকে না। 


তদাপীতেঃ সংসারব্যপদেশাৎ ॥ 
অ৪&,পা২,সু৮॥ 
ত্রার্থ__তৎ তেজ? সাধাঙ্ষং সপ্রাণং সেন্দ্রিয়ং ভূতান্তরসহিতং লিঙ্গাশ্রি ত- 
দেহবীঞ্জভূতপঞ্চকমিতি যাবৎ আ অপীতেঃ অ| সম্যক্ঞ্গাননিমিততা্ সংসার- 
বিষোক্ষাৎ তৎপর্য্যস্তমিতি যাধৎ অবতষ্ঠত হতি শেষঃ । হেতুমাহ লমিতি ।-- 


* দ্রহরবিদ্যান্থুশীলী উপাসক সুধুয়-নাড়ী পথে নিক্কান্ত হইয়। প্রথমতঃ 
এর্য্যপশ্মি প্রাপ্ত হয়। এই ক্ষ্যরশ্মি অচ্চিঃ নামে স্থানান্তরে কথিত হহয়াছে 
এবং ইহাই দেবধান পথের প্রথম অংশ । এ কথ! পরে বিশদীঞ্কত হইবে। 
৯৫ 


১১৪ ১ ততগানামুত | 


তত্বর্ঞান না হওয়া পর্য্যন্ত সংসার অনিবৃত্ত থাকে, এইরূপ ব্যপদেশ ( উল্লেখ) 
থাকায় স্থির হয়. মরণে লিঙ্দেহের লয় অর্থাৎ পরমাত্মায় আত্যস্তিক অবিভা? 
( একীভুতত ) হয় না। মব্ুণে যেপরমাত্মায় প্রাণাদির লয় হওয়৷ কথিত 
হইয়াছে সে লয় সাবশেষ লয়, নিরবশেষ বা আত্যন্তিক লয় নহে। 

ভাস্তার্থ--“তেঙ্জ পর দ্রেবতায়” এই এ'তির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বল! হইয়াছে, 
প্রস্তাবিত তেজোভূত অন্তান্ত ভূতের ও সপ্রাণ সেন্দ্রির় জীবের সহিত 
পর দেবতায় (পরমাআ্ায়) সম্পন্ন হয় (লীন হয়)। এই সম্পত্তি অর্থাৎ 
প্রলীনতাব কিরূপ তাহা এক্ষণে বিচারত হইবেক | বিচারের প্রথম পক্ষে 
পাওয়া বাক্স, সেই বিলর আত্যন্ত্িক। এ সকলের অত্যন্তিক স্বরূপবিলয় 
হইলে পরমাত্মার সব্বযোনি্ধ উপপনন হইতে পারে । সমুদায় জল্মাবান্‌ 
পদার্থের উতৎ্পতিষ্থান পরমাস্সা, ইহা প্রতিপাদিত হইয়াছে । তদনুসারে বা 
সেই জন্য বলিতে হয়, এ অবিভাগপ্রাপ্তি আতান্তিকী। এইপপ পক্ষান্তর 
উপস্থিত হওয়ায় সিদ্ধান্ত বলা হহল। সিদ্ধান্ত এই যে, সেই সকল ইন্দ্রিয়াশ্রিত 
ও দেহবীজ তেজ; প্রভাত *ষ্মছুত আ অপীত অথাৎ তত্বজ্ঞানের হ্বার। 
সংসার বিমোক্ষণ ন| হওয়! পর্যান্ত অপষ্কান করে. আত্যপ্তিক বিপয় হণ না। 
“যাব না তরজ্ঞান হয় তাবৎ উপার্জিত জ্ঞানের ও কম্বের অনুযায়ী কেহ 
জঙম-দেহ কেহ বা স্থাবর-দেহ পাইবারু জন্ত সেই সেই যোনিতে গমন 
করে)” এই শাস্ত্রে অনাস্বজ্ঞানীর সংপার গতি উপাদষ্ হইয়াছে এবং 
বক্রোক্তির দ্বারা বলা হইগ্রাছে যে, মরণে নিরবশেষ লয় হয় না। মরণে 
আত্যপ্তিক বিলয় হইলে সমুদায় জীবই মৃত্যুকালে উপাধিশন্ট হইয়া! ( লিজ: 
শরীর অভাবে । আতান্তিকরূপে ব্রঙ্গসম্প্ন হইত এবং তাহাতে বিধিশান্তের 
ও বিস্কাশাপ্রের প্রয়োঙ্জন থাকিত না। মাও কথ। এই ধে, সংসাররূপ বন্ধন 
মিথ্যজ্ঞানবিপ্ুস্তিত, তাহা সম্যক্জ্ঞান বতাত নষ্ট হইতে পারে না। বিচারের 
উপসংহার এই যে, প্রোক্ত কারণে পরমাত্মা। সর্বযোনি হইলেও সুমুপ্তির 
ও প্রলয়ের ঘৃষ্টান্তে মৃত্যুকলেও জীব ব্রদ্ধে সাবশেষ সম্পন্ন ( অবিভাগ 
একীভাব বা মিলিয়া যাওয়া) হন। ইন্দ্রিয়াদি যেমন সুযুপ্তিতে ও প্রলয়ে 
পরমাত্মায় অনাত্যন্তিকরূপে লীন হয়, বীজভাবাবশিষ্ঠ হইয়া থাকে, পেই 
কারণে তাহা হইতে তাহার! পুনঃ বিতক্ত হয়, মরণেও সেইরূপ বিলম্ব 
অবধারণ করিতে হইবেক। 


জীবের সংসারগতি বর্ণন | ১১৫ 


সূক্ষাৎ প্রমাণতশ্চ তখোপলব্ধেঃ॥ , 
অ$ঃ,পা২,সু৯॥ 


স্ত্রার্থ -লিঙগাশ্রকস্য তে্সঃ কথং কক্মতমনাড়ীদ্বারা গতিঃ কুতে৷ ব 
ূর্ডেনা প্রতিঘাতঃ কুতোনা ন দৃগ্তত ইত্যক্রাহ সুক্্রমিতি | চঃ সযুচ্চয়ে। 
স্বরূপতশ্চেতার্থচ। প্রমাণসৌন্ম্যাৎ্ৎ গতিঃ অন্ুছু তম্পর্শরূপবকাথ্াম্বারপ্য চ্চা- 
প্রতিথাতান্থপলব্।।তি যোজনীয়ম ।--জীব মবণকালে ক্গ্মশরীর লইয়। পৰ- 
লোক যাত্র। করে। তাহ! স্বরূপে ও পরিমাণে উভয়প্রকারে শ্ক্ম। পরিমাণে 
শঙ্ষ বলিয়া সঞ্চরণ ও স্বরূপে সগ্ বলিঘা অপ্রতিহত ও অন্বশ্য। রূপ ওষ্পর্শ 
অনুদুত থাকার নাম স্বরূপ সুক্ষ । 


নোপমর্দেনাতঃ ॥ অ ৪, প। ২, সূ ৩০ ॥ 
সঞ্লোর্থ অত: হম্্হাৎ সুলশরারস্তোপযন্দেন বিধ্বংপনেন ন ক্ক্মন্তে(প- 
মাদঃ | কষ্ট খলিম। স্ুলশবীরের বিধবংসে স্ক্মশরীর বিধস্ত হয় না। 


অন্তৈব চোপপন্তেরেষ উন্বা ॥ 
অ ৪, পা ২, সূ 5১। 


সুত্রার্থ- এয জীপচ্ছরীবস্ত উন্ম। গধ্যং অস্য গক্সশনীরঠ্ঠৈবেতি জ্ঞেয়ুম। 
ওষ্)ং শগ্মশণীবস্থিতনিবন্ধনম হাত উপপত্তেঃ অন্বয়ব্যতিরেকাৎ অবগম্যত 
ইতি শেষঃ ।-জীবৎ শরীবে যে উদ্মা উপলক্ক হয়, বুঝিতে হইবে, তাহ] 
স্ক্সশরীরেরই উদ্মা । উদ্ম। জীবদেহেই থাকে, মৃতদেহে থাকে না।) 

উক্ত অর্থে আর একটা শাশগ্ক। এই যে, যদিও তন্জ্ঞানীর উতক্রান্তি অর্থাৎ 
প্রাণোত্জ্রষণ নাই, তবুও প্রথমতঃ আপাত দৃষ্টিতে ইহা স্থির হয় যে, উৎক্রমণ- 
নিষেধ দেহ হইতে, জীব হইতে নহে। এ বধয়ে সিদ্ধাস্তার্থ এই যে, জ্ঞানীর 
প্রাণ দেহ হইতেও উৎ্ক্রান্ত হয় না। তথাহ, 


প্রতিষেধাদিতি চেন্ন শারীরাৎ ॥ 
অ&, প| ২, সূ ১২॥ 


সত্রার্থ_উৎক্রাত্তি প্রতিষেধাৎ জ্ঞানিনোহপি নোত্ক্রান্তিরিতি ন। আর্পি- 
তাতক্রান্তিরস্তি। হেতুমাহ--শারীরাদিতি। সপ্রতিষেধে। নদেহাৎ কিন্ত 


১১৬ তত্বজ্ঞানামৃত । 


শাখীরাৎ জীবাৎ। পৃপক্ষসব্রমেতৎ | -উৎক্কান্তি নিষেধ পরবিদ্যাধিকারে 
প্রদশিত হইয়াছে । তাহাতে স্থির হয়, তবজ্ঞানীর প্রাণোতক্রমণ নাই। না 
থাকিলেও আশঙ্ষ। হইতে পারে যে. উক্ত উতক্রমণ নিষেধ দেহ হইতে; কিন্তু 
জীব হইতে নহে মর্থাংৎ দেহ হইতে প্রাণোতক্রমণ হয় না, এই কথাই বলা 
হইয়াছে । (তাব্যতাষ! দেখ । 

ভাষ্যার্থ--ইতিপূবে “অন্পোয়” সঞ্জের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে সন্কেতক্রমে বলা হই- 
যাছে, নিগুণজ্ঞানীপ আবষ্যাদি ক্লে নিঃশেধিতরূপে দগ্ধ হয়, সেই জন্ত তাহার 
গতি ও উত্ঞ্রাপ্তি নাই । যণিও আত্যগ্তিক মুক্তি স্থলে গতি ও উৎ্ক্রান্তি উভ- 
যনেত্রহ অতাব''অগ্পোহাশ বিশেষণে অবধারত হয় তথাপি কোন কোন কারণে 
(কারণ-এক স্তলে ধঠী বিভক্তি ম্মন্য স্থলে পঞ্চমী বিভক্তি) উংক্কান্তি 
থাকার আশঙ্কা হইতেণারে। সে আশঙ্কা পর চকে বিদুত্রিত করা হইবে। 
এক্ষণে আশঙ্কার কারণ বর্ণন কু! যাউক। এতি বলিয়াছেন--“অনপ্তর 
নিষ্কামীর কথা বলাধাইঈতেছে ! গেই অকানয়মান জ্ঞানা অকাম, নিষ্কীম ও 
আগ্রক্কাম হয় এবং তাহার প্রাণ উতক্াজ্ঞ হয় শা। সে বঙ্গপতা প্রাপ্ত 
হওয়ায় সুতরাং ব্রহ্গপীন তয়।" + উল্লিথিত শুতি-নিদেশ পরবিষ্যাবিযয়ক' 
সে জন্ত বুঝ! উচিত নহে যে, পরুবিষ্ঞাধকারে প্রাণোতক্রাপ্তি প্রতিষেধ 
হওয়ায় নিগুণত্রন্ষজঞানীয় দেহ হষ্ঠতে প্রাণ উৎক্রান্ত হয় না। সে নিষেষ 
জীবাত্স। হইতে, দেহ হইতে নহে । অর্থাৎ অন্ধজ্ঞানীর প্রাণ জীবাম্মা হইতে 
উৎক্রান্ত (প্রবিতক্তু ) হয় না, কিন্তু দেহ হইতে উত্পশন্ত হয়। এই কথাই 
উক্ত নিষেধে বাক্ত হইয়াছে । অন্ত শাখায় **ন তস্য প্রাণাঃ -”, এই 
প্রয়োগের পরিবণ্তে “ন তশ্মাৎ প্রাণা? -” এই রূপ (পঞ্চম্যন্ত) প্রয়োগ দুষ্ট 
হয়। পূর্বোক্ত ব।ক্ট্যে ষষ্ঠ বিভক্তি; শাখান্তরোক্ত বাক্যে পঞ্চমী বিতক্তি। ষষ্ঠ 
বিভক্তি সন্বন্ধসামান্ত অর্থে এবং পঞ্চমী সন্বন্ধবিশেষ অর্থে খ্যবস্থিত। প্রক্রান্ত 


আপ চে 


* অনন্তর কিনা নিষ্কামীর যুক্তিপ্রণালী ( বলা যাইতেছে )। পরিপুর্ণা- 
নন্দাযুতত্সাক্ষাৎকার হেতুপ্রাপ্তপরমানন্দ সুতর|ং নিষ্কাম। অন্তরেও তাহার 
বাসনায্মক শক্ম কামনা নাই। যেহেতু অন্তরে নাই মেই হেতু বাহিরেও 
প্রকট কামন! নাই। সুতরাং অকাম। ইদৃশ অকামন্নমান অর্থাৎ নিষ্কামী 
জ্ঞানীর প্রাণ উৎক্রান্ত হয় না, লয়প্রাণ্ড হয়। 





জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১১৭ 


সবাচী একই তদশবেন উপর এক শাখায় ঠা বিরক্তি এবং অন্ত শাখা 
পঞ্চমী বিভক্তি থাকার উভয়ই সন্বন্ধবিশেষ অর্থ গ্রহণীঘ় | প্রাধান্য 
অনুসারে “তম্মাৎ তাহা হইতে” এতদ্বাকেযে দেহাইঈ অর্থাৎ জীবাত্মাই 
গ্রহণীয় । জীবই অভ্াদয়ের ও মোক্ষের অধিকারী ; সুতরাং তাহারই 
সহিত তদ্বাক্যের সম্বন্ধ । অতএব, উত্কমণ কালে জ্ঞানী জীবের প্রাণ দেহ 
হইতে উতৎক্রান্ত হর কিন্তু জীণ হঠতে উৎক্রান্ত হয় না। অর্থাৎ জীবের 
সহিত অবস্থান করে (জীবঞগবিলয় কালে তাহার খবিলয় স্বতঃই হইবে )। 
দেহ ত্যাগ ব্যতীত সপ্রাণ পাপের প্রবাস সস্থবই হয় না। এই্টন্ূপ 
পূর্ববপক্ষের প্রস্তাখ্যানথ ত্র বলিতেছেন - 


স্পঞ্টো হোকেযাম্‌ ॥ অ ৪, পা২, সু১৩। 

সঞ্ঞাথ -৬ম্মাদত্যপাদানাথ'কপঞ্চমী এ £জটীবাত প্রাণোৎক্রাব্তপ্রতি- 
যেধোভাতি ন দেহাদিতি ন যগ্তবান । হি যম্মাৎ একেষাং শাখিণাং 
দেহাপাদান এবোংক্রান্তি পরতিষেধঃ স্পষ্ট উপলত্যতে | অন্য এক শাখায় 
(বেদভাগ বিশেষে) দেগ হইতে প্রাণোখক্রমণ হওয়। স্পষ্ঠাকারে নিষিদ্ধ 
হইয়াছে। 

ভাঙ্তাথ--মাধান্দিন শাখায় “তশ্মাৎ” এই কথ থাকায় জ্ঞানীর প্রাণোত 
ভ্রমণ জীব হইতে হর ন। কিন্তু দেহ হইতে হয়, এই অথই পাওয়া যায় 
অথাৎ দেহ হইতে প্রাণোত্ক্রমণ নিষেধ এ্রতীত হয় এবং তদগুসারে যে 
পরব্রঙ্গাভিজ্ঞ তাহারও উতক্রান্ত অথাৎ দেহ ভ্যাগ করিয়া অগ্ত্ গমন । অন্ট 
শরীর গ্রহণ) আছে বলিয়াছিলে, শত্প্রতিষেধাথ” বলিতেছি, তাহা নহে। 
হেতু এই যে, শন্ত শাখায় "জ্ঞানীর 'গ্রাণ দেহ হইতেও উৎক্রান্ত হয় না” এ 
কথা স্পষ্টরূপে কণিত হইয়াছে । যথা আত্ততাগপ্রশ্নোত্তরে * “যখন এই পুরুষ 
(দেহ) মৃত হয় তথন ভহ। হইতে তাহার (জ্ঞানীর ) প্রাণ উত্ক্রমণ করে 
কি-না, এই প্রশ্নের প্রতাত্তরে যাজ্বন্ধ্য বলিলেন না “না--উৎক্রান্ত হয় 
ন1।” প্রাণ উৎক্রান্ত হয় না, এইরূপ পক্ষ স্তাপিত হইলে অবশ্ঠই আশঙ্কা 
হইতে পারে “জ্ঞানী তবে মরে না অথণৎ তাহার দেহবিলয় হয় ন।” সে 
আশঙ্কার প্রতিষেধার্থ শ্রুতি পুনব্বার বলিয়াছেন “সেই দেহেই তাহার প্রাণ 


* আর্তভাগ গপ্রশ্নোতর- উপনিষদ্দের অংশবিশেষ । 





১১৮ তত্বজ্ঞানামূত | 


রি 


সমাক লয়পাণ্ত তণ।। নি এইরূপে দেহে প্রাণবিলয হওয়। গ্রানচক্ঞা 
বগয়া' অবশেশে তথ্প্রপাধনার্থ বপিয়াছেন “সে দেহ তথন উচ্দুনতা 
( বাজবাযূর প্রপৃরণে বৃদ্ধি) প্রাপ্ত হয় এবং আগ্মাত হয় (আর তেরী৫ 
হাস ঘর্‌ ঘর শব্দ করে।) অনন্তর মৃত অথাৎ প্রাণশৃন্ত হয়, হইয়! শয়ন 
করে (পড়িয়া থাকে )1” এই শতিতে যে তংশবের প্রয়োগ 
অ।ছে তাহা! প্রস্তাবিত দেহেই বোধক এব সেই দেহই উৎক্রান্তি নিষেধের 
অবধি । অর্থাৎ প্রাণ তাহা হইতে উৎক্ষান্ত হয় না) তাহাতেই লঙ্বপ্রাণ্ড হয়। 
এই অর্থই উক্ত প্রয়োগের আভপ্রেত। আঁপচ, উচ্ছুন হওয়া ও আধ্মাত 
হওয়া জীবধন্ম নহে ; তাহা দেহেএই ধন । যাহা উতক্রান্তির অবধি ( সীমা), 
এপি যাহার কথা বলিতেছেন, উচ্ছযনাদি তাহারই ধন্া। উচ্ছয়নাদি ধশ্ম 
দেহীর নহে কিন্তু দেলহেব। স্রতরাং বুঝা টাচত যে, "ন তম্মাৎ প্রাণা 
উতৎক্রামস্ত্যব্রৈব সমবলায়প্তে'” এ প্রুতিতে অভেপদোপচার হইয়াছে ।* অভেদো- 
পচার-দ্েহ দেহীর অভেদ বিবক্ষা। প্রদর্শিত কারণে, পঞ্চমান্ত পাঠে 
দেহীর (জীবের ) গ্রাধান্থ থাকিলেও “জ্ঞানীর প্রাণ দেহ হইতে উৎক্রান্ত হয় 
না, তাহা সেই দ্েহেই লরপ্রাণ্ড হয়" এইরূপ ব্যাখ্যা করা বিধেয়। যে 
শাখায় "ন তন্ত প্রাণ। উত্ক্রামাস্ত” এইরূপ ঝষ্ঠান্ত পাঠ আছে, সেশাধায় 
কাষেই এইরূপ ব্যাধ্যা কর] উচিত হইবে যে, জীণ হইতে প্রাণোৎক্রান্তির 
প্রাপ্তি না থাকায় এবং দেহএদেশ হইতে প্রাণগণের উত্ক্রাপ্তি প্রাপ্ত থাকায় 
উক্ত অতি জ্ঞানীর সম্বন্ধে সেই সেষ্ট অপাদান হইতে উৎক্রান্ত হওয়। নিষেধ 
করিয়াছেন। (নিষেধমাত্েই প্রাপ্তিপূর্ব*। অজ্ঞানী জাব দেহ পদেশ 
হইতে উৎক্রান্ত হয় ইহ] শ্রতান্তরপ্রাপ্ত। জ্ঞানীর তাহা হয় না অর্থাৎ জ্ঞানীর 
প্রাণ উৎক্রান্ত হয় না, এ বাক্য সে প্রাপ্ত উত্ক্রান্তর প্রতিষেধক । সুতরাং 
পাওয়া যাইতেছে বা! বুঝা যাইতেছে যে, দেহী হইতে নহে, কিন্তু দেহ হুইতে 
জ্ঞানীর প্রাণোতক্রমণ হয় না। দেহে* তহাদের প্রাণ লক্গপ্রাণ্ত হয়।) 
আরও দেখ, শ্রুতি আছে--“হয় চক্ষুঃ হইতে ণা হয় মুর্ধা হইতে অথবা অন্ত 
কোন শরীর প্রদেশ হইতে উতৎত্রান্ত হয়। মুখ্যপ্রাণ উৎক্রমণোদ্যত হইলে 
অন্যান্ত প্রাণ (ইন্ত্রিক্নগণ) তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ উতক্রমণ করে|” এই 
শ্রুতি ও এইরূপ অন্ত শ্রুতি অবিদ্ধানের উৎক্রমণ ও সংসার গতি সবিস্তরে 
বর্ণন করিয়া পশ্চাৎ “ইতি নু কাময়মানঃ-.কামীদিগের এই প্রকার গতি” 


জাবের সংসাপগতি ব্ণন। ১৩৭ 


/ 


এইরূপ কথায় অবিদ্বানের কথা সমাপ্ত করিয়া অবশেষে “অথ অকাময়য।নঃ : 
অনন্তর ষে নিষ্কামী অর্থাৎ আম্মতন্বজ্ঞ, তাহার প্রাণ আগুকামত্বাদি কারণে 
উৎক্রাস্ত হয় না” ইত্যাদ্দ প্রকার সন্দডে পিদ্ধানের ব্যপদেশ (উল্লেখ ও 
তাহার প্রাণাদ্দির অবস্থা বর্ণন । করিয়াছেন। বিদ্বান উৎক্রান্ত হন, এ কথা 
হইলে অবশ্ঠই এ ব্যপদেশ অসমগ্স হইবে । -স্ুৃতরাং বলিতে হয়, মানিতে 
হয়, প্রাপ্ত অবিদ্বান অধিকারের উত্জ্রান্তি ও গতি বিদ্বাণ অধিকারে প্রতিষিদ্ধ। 
অন্ততঃ “অথ অকাময়মানঃ -”' এই ব্যপদেশের সার্থকাজন্যও প্রদর্শিত ব্যাথ্য! 
স্বীকার্ধয | ব্রঙ্গজ্ ব্যক্তির আন্ম। সব্বস্যাপী ব্রঙ্গতাব প্রাপ্ত, তীহার কাম ও 
কশ্ম প্রক্ষীণ, স্ুতপ্াং তাহার গতি ও উতক্রান্তি উভতয়হ অসম্ভব । গতির ও 
উৎ্ক্রান্তির কারণ নাই সুতা" গতি ও উতক্রান্তর্কপ কাধাও নাই । “সে 
এই স্থানে ( এই দেহে । ব্রঙ্গ প্রাপ্ত হয়? এতজ্দ্বান্তীয় শ্ুতিসমূহও জ্ঞানীর 
উতৎ্ক্রান্তি গতি না থাকার অন্ুমাপক (বোধক 21 


সরাতে চ॥ অধ. পা২,সু১৪॥ 

সপ্রার্থ_গতুাতক্রান্ত্যোরভাব ইতি পুরণীয়ম্‌। -মহাভারত-স্ব(৩তেও 
করান গাত ও ভত্ক্রান্তি নাই খলিম়া কথিত হইহযাছে। 

তায্যার্থস্বতিতেও অর্থাৎ মহাভারত গ্রাঙেও জ্ঞানীর উৎক্রান্তি ও পর- 
লোক গতি নাই বলিধা অভিহিত হইয়াছে । তাহ! যথা--“ষে ভূ সকলকে 
সমাক আত্মভাবে দেখে, সমুদায় ভূত যাহার আন্মভৃত ( আত্মত। প্রাপ্ত) 
স্থতরাং অপদ অর্থাৎ প্রাপ্যপদরহিত, প্রাপাপদপ্রাথী দেবতারাও তাহার পদে 
(প্রাপাপদ বিষয়ে) মযোহপ্রাপ্ত হন। অর্থাৎ তাহারাও তাহা জানেন না। 
( অধ্রয়ত্বানবন্ধন প্রাপ্যপদ ন] থাকায় কাষেই দেবতারা তাহা জানেন না।) 
বলিতে পার, স্তাততে ব্রহ্মজ্ঞের গতিস্মরণ আছে। আছে সত্য; যথা--. 
বাসপুরে শুকদেব যুক্ত হইপার ইচ্ছায় আদিত্যমগুলে গমন করিলে এবং 
পিতাকর্তক আহত হইলে "তে 1!” এই প্রতুত্বর প্রদান করয়াছিলেন।” 
পরস্ত এ শ্মৃতি ব্রহ্মজ্ঞের পরলোক গতি বুঝাহতে সমর্থ নহে। এ স্বতিতে 
গ্রতিপার্দিত হইয়াছে যে, শুকদেধ যোগপলে সশবীবে সর্যালোকে গমন 
করিয়া শরীর ত্যাগ পৃব্বক কেধঙ, অন্বস্প বা বিদেহযুক্ত হইয়াছিলেন। তাহা 
না হইলে শ্বৃতিতে “সকল ভুতের সমঙ্ষে বাভৃত সকল দেখিতে দেখিতে” 


মল . 


৯২০ তন্বজ্ঞানামূত । 


। 
এরূপ তাৎপর্য শব সকল বিন্যস্ত হইত না। বদি তিনি অশরীর হইয়া 
যাইতেন তাহা হইলে তিনি সর্বভূতঘৃপ্ত হইতে পারিতেন না! কোনও ভূত 
তাহাকে দেখিতে পাইত না। প্রপ্রস্তাব সেখানে এরূপে উপসংহ্ৃত (সমাপ্ত) 
হইয়াছে । যথা_“শুক বায়ু অপেক্ষাও শীপ্ব গমনে অন্তরীক্ষগামী হইলেন 
এবং লোকদ্দিগকে মাত্সগ্রভাল বা ধেগবল সেইবপে দেখাইয়া সর্বভূতগত 
অর্থাৎ অদ্বয় বা মুক্ত হইলেন” এই তি জ্ঞানীর দেহোতসর্গের পর অগতি- 
পদ (ব্রহ্ম) পাওয়ার কথা বলিয়ছেন। প্রদর্শিত কারণেহ পরক্রহ্ষজ্ছের 
গত্যাগতি ও উতক্রান্তি না থাকা স্থিরীকৃত হয়। তবে যে কোন কোন 
শ্রতিতে জ্ঞানীর গতি থাক অভিহিত হইয়াছে, সে সকল ঞাতির বিষয় পরে 
ব্যাখ্যাত হইবে। 


তানি পরে তথা হাহ ॥ অ ৪, পা ২. সূ ১৫ || 


সগার্থ তানি প্রাণশব্দোদিভানীঞ্রিষাণি স্রতানি চ পরে পরে ব্রক্গপি 
লীয়স্ত ইতি শেষ; । হিযতঃ তথ: আহ আতিরিতি যোলঙ্গাম্‌। জ্ঞানীর সে 
সকল অথণং ইন্দ্রিয় ও দেহবীঞ ভূতপঞ্চক পরত্রঙ্গেই লয় প্রাপ্ত হয়। এ কথা 
এ্তিও বলিয়াছেন । 

ভায্ার্থ - পরব্রহ্ষাতিচ্ছেপ প্রাণনামক সেহ সকপ ইন্দ্রিয় ও সেই সকল 
ভূত (যাহা তাহাদের দেহ জখাইয়াছিল ভাতা) পরত্রঙ্জে লয়প্রাপ্ত হয়। 
শ্রুতি সেই কথাই বলিয়াছেন! বথ।--“যেমন নদী সকল সমুদ্র পাইয়া 
অন্তগত হয়, সেইরূপ, এই ব্রহ্গদ্শী পুরুষের পুরুধাশ্রিত ( পুরুষে অর্থাৎ ব্রহ্গে 
কল্পিত) যেল কলা (একাদশ ভ্রম ও দেহবীজ ভূতপঞ্চক ) পুরুষ প্রাপ্ত 
হওয়ায় অন্তগত হয়।' ইত্যা্দি। যদি বল, বিদ্বান বিষয়ে অপর একটী 
শ্রুতি আছে, যথ! - “পঞ্চদশ কল! প্রতিষ্ঠা প্রাণ্ড হইয়াছে ।” এই এ্ুতি পুরু- 
যাতিব্রিক্ত পদার্থে । প্রক্কতিরূপ ভূতে ) কল সকলের লয় হওয়ার কথ! বলিয়া- 
ছেন। বলিয়াছেন সত্য ; কিন্তু তাহ! খ্যবহার দৃষ্টে। পাখিবাদি কলা স্বীয় 
স্বীয় প্রকৃতিতে লয়প্রাপ্ত হয় ইহা ব্যবহা4 দৃষ্টিতে অর্থাৎ লোক দৃষ্টি অনুসারে 
কথিত হইয়াছে; পরন্ত জ্ঞানীর বাস্তব দৃষ্টিতে পরমাত্মাতেই সমুদায় কলার 
লয় অভিহিত হয়। এইরূপ মীমাংসা করিলে আর উক্ত দোষের সংঅন 
থাঁকবেক ন!। 


জীবের সংসারগতি বর্ণন । ১২১ 


অবিভাগোবচনাৎ ॥ অঃ, পা ২, সু ১৬ 


সুত্রার্থ_ লয়স্য দ্বেধাদর্শনাৎ সংশয়ঃ--কিং জ্ঞানিনঃ কলাপ্রলয়্ঃ সাঁবশেষে। 
নিরবশেষো বেতি। সিদ্ধান্তমাহ_-অবিভাগ হতি। পরক্রঙ্গণ্াবিতাগোনির- 
বশেষলয়ো৷ বচনাৎ এতিবাক্যাদবধাবুণীয়ঃ | সাবশেষঃ-যুলকারণে প্রকতো 
পৃক্ত্যাসন। স্থিতিঃ পুনজ্জন্মযোগাতে তি যাণং। (বিমওঃ কলালয়ঃ সাবশেষঃ 
কলালয়ত্বাৎ সুনুপ্তিবদিতি পৃব্বপক্ষঃ। সিঞ্ছ।স্তে তু বিমতঃ কলাঁলয়ে। 
নিরবশেষে বিদ্যারুতত্থাৎ রন্থাং বিগ্যঘ। স্র্পগয়বিতি দ্রষ্টব্য ।- ব্রগজ্ছের 
যে কলালয় হওয়া আতহিত হহয়াছে তাহ সাবশেধ নহে, কিন্তু নিরবশেষ। 
অর্থাৎ তাহ শক্তিরপেও থাকে না বচন অর্থাৎ আতিবাক্য তাহার 
প্রমাণ । ঃ 


তাষ্যার্থ--মবণকালে তহঙ্গানীর কল। সকল (৯১ ইন্ত্রিষ ও ৫ ভূত) 
অস্তগত অর্থাৎ লধপ্রাপ্ত হয বলা হঠল। এক্ষণে বিচার্ধযয এই যে, সে লয় 
সাবশেষ কি নিববশেষ। প্রনষশগ্জে সাধারণ অথ দেখিতে গেলে পাওয়। 
যায়, শক্ঞযবশেধ লয় হয়। অর্গাৎ যেমন প্রারুতিক প্রলয়ে কলা সকল অব্যক্ত 
হয়, শর্জিরূপে অবন্থান করে, তেমনি, ভন্বজ্ঞানীব কলাপ্রলয়ও শক্তা বশেধী | 
এইরূপ পক্ষ প্রাপ্তে তদুদ্ধারার্থ খলা হহল-এবিভাগো ধচনাত। ক্রঙ্গে 
নিরবশেষ অবিত।গই হয়, এ বুহ্স্ বচনলতা। অথাৎ প্রতিবাকো লব্ধ হয়। 
বিবেচনা কর, শ্রুতি কলাপ্রলয় হওয়া বর্ণন কারয়া বলিয়াছেন “সেহ সকলের 
নাম ও রূপ উভয়ই ভাঙ্গিয়! যায় অথাৎ থাকে না। তখন পুরুষ অথণাৎ পুর্ণ, 
এইরূপ অভিধান করা যায়। তখন এই জ্ঞানী নিষ্চল ও অমর হন” কলা 
সকল আবিগ্তামূলক, বিদ্যা হইলে কলামুল আঁবদা! বিদুরিত হয়, সুতরাং 
নিরবশেষ বানিশ্থল প্রণয় হওয়াই সঙগত -বুক্িসদ্ধী। প্রাক্তিক গ্রলয়ে 
কলামুল আবদ্যার সম্পূর্ণ উচ্ছেদ ন1 হওয়ায় কাযেই সে সময়ে সাবশেষ 
কলাগ্রলয় স্বীকৃত হইয়। থাকে । অতএব, জ্ঞানীর কলাপ্রলম্ব বা আরবভাগ 
নিরবশেষ, ইহা শাস্ত্র ও যুক্তি উভয়াসিদ্থ। 

অপর বিগ্যাবিষয়ক উপরি উক্ত সিদ্ধন্তে অন্ত এক আশক্ক! এহ যে--জ্গানী 
উপ।সক মরণকাঁলে ষেকোন দ্েহছিদ্র হইতে উৎক্রান্ত হন? বাতাহার 
উৎক্রান্তির কি কোন বিশেষ নিয়ম আছে? এবিষয়ে সিদ্ধান্ত এই যে, 

১৬ 


১২২ তথ্বজানামূত 


জ্ঞানী উপাঁসক অঙ্ঞানীর স্যার যে সেস্থান দিয়া নির্গত হন না" ব্রহ্মলোক 
প্রাপক ব্রন্ধরন্ব, পথেই নিক্ান্ত হন। তথাহি, 


তর্দোকোশ্গ্রজবলনং ততপ্রকাশিতঘারো 
বিষ্চাসামর্থ্যান্তচ্ছেষগত্যনুম্মতিযোগাচ্চ 
হার্দনুগৃহীতঃ শতাধিকয়।॥ অ৪, পা২, সু১৭। 


সুত্রার্থ-_তস্য মুমৃক্ষোরুপাসকস্য ওক আয়তন: হদয়ং তস্য অগ্রং নাড়ীমুখং 
তন্ত জ্বলনং ভাবিফলক্ষ,রণং প্রগ্ঠোতনাখ্যং মরণকালে তবতীতি শান্ত দৃষ্টা। 
ততশ্চ বিগ্তাসামর্থাৎ তত্প্রকাশিতত্বারে বিজ্ঞাতত্র্ছপ্রাপকমুর্ধন্যনাডীপথ: স 
উপাসকল্তয়া নিক্ষামতুতি লঙ্ভাতে । তচ্ছেষগতান্রস্বতিযোগার্দিতি হেতুঃ। 
তন্তা বিগ্ভায়াঃ শেষভতা অঙ্গীভুতা যা নাড়ী তয়া গতিরভিনিক্রমণং তস্য 
অকুস্বতিরন্ুশালনমভ্যাসঃ সাইস্থাস্তীতি যতস্ততঃ স হাগ্গান্থগৃহীত; হৃদয়ালয়েন 
ব্রহ্মণ। সযুপাসিতেন তদ্ভাবমাপন্নঃ শতাধিকয়া শতাদতিরিক্তয়! শ্ুযুয়ন্র। নাঁড্যা 
নিঙ্কামতীতিতদর্থ; ।--জ্ঞানী উপাসক যে-কোন দেহছিদ্র হইতে নিক্ষান্ত হন 
না। ব্রহ্ষালয় হৃদয়, তদগ্রস্থ নাড়ীমুখ, প্রথমতঃ তাহা তাহার প্রষ্ভোতিত হয়, 
পরে তিনি শতাধিক সুযুয়া নাড়ী পথে নিজ্ঞান্ত হন। পূর্বে তিনি বিষ্াবলে 
্রপ্ধপ্রাপক স্বযুক্ধা নাড়ী বিজ্ঞাত হইয়াছিলেন, তাই তিনি এখন দেহত্যাগকালে 
তন্নাড়ীপথে নিক্ষান্ত হইতে সক্ষম । সুরের সিদ্ধান্ত এই যে জ্ঞানী উপাসক 
অজ্ঞানীর ন্যায় যে সে দেহপ্রদেশ হইতে নিষ্কাস্ত হন না, ব্রহ্মলোকপ্রাপক 
রহ্থার্ধ, পথেই নিষ্কান্ত হয়। (তায্ান্থুবাদ দেখ )। 


তাস্যার্থ- প্রসঙ্গক্রমে পরাবিষ্ভার ফলাফলবিষয়ক বিচার উপস্থিত হইয়া- 
ছিল, সে বিচার সমাপ্ত হইয়াছে । অধুনা] অপরবিষ্যাবিষয়ক কতিপয় বিচার 
নিষ্পন্্ন করা যাউক। ইতিপৃবের (এই পাদের ৭ সুত্রে) বলা হইয়াছে যে, 
শান্ত্রে হ্ত্যুপক্রম বর্ণিত আছে সে জন্য উৎক্রান্তি জ্ঞানী অঙ্ঞানী উভয়েরই 
সমান। হ্ত্যুপত্রম কি তাহ বল! যাইতেছে । বাক প্রভৃতি ইন্দ্রিয় 
নির্ক্যাপার হইয়াছে, হইয়া সম্পিগ্ডিত হইয়াছে, বিজ্ঞানাত্বী জীবও উৎ- 
ক্রমণোগ্ঠত (দহত্যাগ করিতে প্রবৃত্ত ) হইয়াছে, এই কালে অর্থাৎ মৃত্যুপময়ে, 
সেই যুমুমুর ওক অর্থাৎ আয়তন, আশ্রয্ বা বাসস্থান হৃদয়, প্রথমতঃ জলিত 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১২৩ 


ব৷ প্রঙ্ঠোতিত হয়। জীব ইন্দ্রিয়দ্দিগকে লইয়া, আম্মসাৎ করিিখা, হৃদয়দেশস্থ 
নাঁড়ী মধ্যে আগমন করে, অনস্তর তাহ] জ্বলিতত বা প্রদ্নোতিত * হয়। 
প্রচ্যোতিত হয় কি-না সে ইন্দ্রিগণের সহিত সম্পিগিত হইলে উক্ত স্তানে 
আইসে, পরে তাহার তবিষ্যুৎ ফলের স্করণ হয়। ভবিষ্যৎ ফলের স্করণ হয় 
কি-ন! সে অনন্তর যাহ] হইবে তাহারই অনুরূপ তাবন! বিজ্ঞান অন্কুতব করে। 
অর্থাৎ সেই সময় তাহার ভাবনাম্য় শরীর হয়। ব্যাঘ্ব হইবার কণ্ম উত্তেজিত 
হইয়। থাকে তসে ভাবে, আমিব্যাস্ব। মানুষ্যপ্রাপক কম্ম স্করিত হইয়া 
থাকে ত সে তাবে, আমি মান্ুষ। দেবত্বপ্রাপক অদ্বষ্ট গ্রবল হইলে ভাবে, 
আমি দেবতা। ইঠ্যাদি। এহরূপ ভাধনাবিজ্ঞান বা তাবিফলম্ফুরণরূপ 
প্রাদ্যোতম উপস্থিত হওয়ার নাম জলন ও প্রদ্যোতন। অগ্রে প্রদ্যোতন, 
পরে উতক্রমণ ( দেহ হইতে বাহির হইয়া যাওয়া)।. এই উতৎক্রমণ কাহার 
কাহার চক্ষু দিয়! কাহার কাহার মুর্ধ| অথাৎ ব্রহ্গ-রন্ধ,পথে, কাহার কাহার 
শরীরের অন্যান্ত স্থান দিয়া হইথা থাকে । ইহা ঞতিতে শুনা যায়। অতি 
বলিয়াছেন “এই যুযুধু র জদয়ের অগ্রভাগ অর্থাৎ নাড়ীমুখ প্রদ্যোতিত হয়, 
পরে সেই প্রষ্োতনধিশিঃ আত্মা অর্থাৎ জাব, হয় চক্কুঃ দিয়া না হয় 
মূদ্ধ। ( ব্র্ধপন্ধ,) দিযা অথবা অন্ত কোন অঙ্গ দিয়া বহির্গমন করে।” 
স্থত্যুপক্রম অর্থাৎ উৎক্রান্তিপ্রণালী কি তাহা বলা হল, কিন্তু জ্ঞানীর 
সম্বন্ধে এই প্রণালীতে অন্ত একটী সংশয় আছে। সংশয়ের কারণ, শ্রত্যন্তর। 
এত্যপ্তরে আছে, জ্ঞানী মৃদ্দন্যনাড়ীপথে নিক্ষান্ত হইয়া উদ্ধী আক্রমণ করেন 
(উৎকৃষ্ট লোকে যান), কাষেই সংশয় হয়। সংশগ্নের আকার এই যে, উৎক্রান্তির 
কি কোন নিয়ম নাই? জ্ঞানী ও অজ্ঞানী উভয়েই কি অনিয়মে যে-সে স্থান 
দিয়! নির্গত হন? কিংবাজ্ঞানীর উতক্রান্তিতে কিছু বিশেষ নিয়ম আছে? সংশয় 
হইলেই পক্ষ গ্রহণ, তাহাতে পাওয়। যায়ঃ বিশেষ শ্রুতি না থাকায় উৎক্রান্তিত 
কোনরূপ নিম নাই। জ্ঞানীর প্রতি কোনরূপ বিশেষ নিয্নম নাই। এইরূপ 
প্রাপ্ত পক্ষের গ্রত্যাখ্যানার্থ বলিতেছেন, তাহা নহে । অর্থাৎ জ্ঞানীর সমন্ধে 
বিশেষ নিয়ম আছে। হ্ৃদয়াগ্র প্রঙ্চোতন জ্ঞানী অজ্ঞানী উভয়েরই হয় সত্য; 
পরন্ত সেই সময়ে জ্ঞানীর মোক্ষঘ্বার * মূদধন্নাড়ী প্রকাশ প্রাপ্ত হয়। সেই 

7 * মোক্তার -ব্রদ্ঘলোক গমনের পথ সুুয়া নারী নাড়ী। তাহা হৃদয় 
হইতে নির্থত হইয়া! দক্ষিণতালুক্ দিয়া নাসিক! তিভির মধ্য দিয়া ক্রদ্গরন্ধ, 


১২৪ তত্বজ্ঞানামৃত । 


কারণে জ্ঞানী মূক্ধস্থান দিয়! নিক্রান্ত হন, অজ্ঞানী অন্যান্ত অঙ্গ দিয় নির্গত 
হন। * এ কথ! এই জন্ত বলি, বিদ্যার সামর্থ্যে তিনি মরণকালে ব্রহ্মলোক- 
মার্গ ব্রহ্মরন্ধ পথ দেদীপ্যমান দেখিতে পান। জ্ঞান হইলেও যদ তিনি 
অজ্ঞানীর ন্যায় শরীরের যে-সে স্ান দিয়া নির্গত হন ও উৎকৃষ্ট লোক লাত ন৷ 
করেন, তাহ] হইলে বিষ্ভার আবরাধন। নিগ্ধল। অন্য কথা এই যে, হাদয়প্রস্থত 
সুুয়। নাড়ী অন্থশীলন কর। পিদ্বার অন্যতম অঙ্গ ( দহরবিগ্ভায় এ নাড়ীর 
অনুশীলন কিনার বিধান আছে ), জ্ঞানী তাহ মরণের পৃৰ্ৰ পধ্যন্ত অনুশীলন 
করিয়াছিলেন, এক্ষণে যে তিনি স্মরণ পথাগত স্তুমুন্ধ নাড়ী পথে নির্গত 
যইবেন তাহ! আর |ধচিত্র কি? ভাহাষই যুক্ত বা যুক্তিসিদ্ধ। বর্গ 
হদযুগ্রদেশে উপ।পিত, হইলে তিনি উপালককে অনুগ্রহ করেন, সুতরাং 
জ্ঞানী উপাসক ক্রমে, ব্রঙ্গ ভাবাপন্ন হন, পরে অন্তকালে এক শতের 
অতিরিক্ত সুঘুয় নায়) মুর্ধন্যনাড়ী দিয়া (ক্রহ্মবঙ্ধ, নামক মস্তক ছিদ্র 
দিয়া) নিজ্ঞান্ত হন। যাহারা নিগু এব্রক্গনি২ং নহে দহরাদি বিষ্তা 
অনুশীলন করে নাই, তাহারাই শরারস্থ অন্যান্য স্থান দয়। পিক্কান্ত হয়। 
হয়বিদ্যা ( হাদ্দবঙ্গোপাপন।) প্রকরণেও $ কথা আছে। বথা --“হাদয়- 
প্রদেশে এক শশ এক নাড়া ( নাড়ী অস-খ্য; পরগ্ত প্রধান নাড়ী এব, শ 
এক।) আছে । দেই সকল নাডার একটি নাড়ী অদয় হইতে নির্থত 
হইয়] মুগ্ধ প্রদেশে গিয়াছে । (দক্ষিণ ত।খু ও ণাসিকাভিত্তি অতিক্রম 
করিয়া মন্তকে গিয়া সমাপ্ত হইয়াছে । তাহার মুখ মস্তক-কপালের সংযোগ 
স্থানে পরিসমাপ্ত। এই স্ব[নের অন্য নাম ব্রঙ্গবন্ধ, | এই ক্রহ্মরদ্ধ, রোমকুপ 
অপেক্ষাও এক্স) ব্রঙ্গ উপাসক এই শাড়ীর দ্বারা শিক্ষান্ত হহয়া উদ্ধগাষী 
হল, পরে অযুত অর্থাৎ মুক্ত হন।” 


রশ্যন্লারী ॥ ॥ অ 8, পা ২, সু ১৮ 


হুঙ্জার্থ--শতাখিকরা নাড্যা নিক্ষামন্‌ রশ্যন্থসারী নিক্রামতীত্যর্থঃ | 
স্থানে শেষ হইয়াছে। ব্রঙ্গরন্ধ, স্কানে তাহার বিরত ক্ষ অগ্রভাগ হূর্যযরশ্মির 
সহিত সমস্থত্রসংযোগে স্র্াপর্যান্ত সংযুক্ত হইয়া আছে। জ্ঞানী ইশ 
ন্ুযুয়নাড়ী পথে নির্গত হইয়া সু্ধ্যবরশ্মি আক্রমণ করেন, তদ্বলন্বনে কূর্ধযলোকে 
যান, ক্রমে ব্রহ্ধলোক প্রাপ্ত হন। এতদন্থুসারেই এ সুযয়া নাড়ী মোক্ষদ্বার 
নামে অতিহিত হয়। 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১২৫ 


নিগুণ ব্রঙ্মোপাসক শতাধিক মুদ্ধন্য নাঁড়ীর দ্বারা নিক্ত্রান্ত হন সত্য, পরস্ত 
তাহাতে রশ্মি অবলম্বনের অপেক্ষ। আছে। অর্থ।২ স্রবুয়নাড়ীসংযুক্ত গর্ধ্যরশ্মি 
অবলম্বন করতঃ নিঙ্জান্ত হন। 

ভাস্তার্_উপনিযদে “অনন্তর দহবুবিদ্যা। এই যে জদয় নামক ব্রদ্ষপুর, 
ইহাতে যে অন্পপরিমাঁণ পুগুরীক । পদ্ম) গৃহ ।” এইরূপ উপক্রমে দৃহরবিদ্যা 
(হদপন্ধে ব্রঙ্গতাবনা কব!) অভিহিত হহয়ছে । এই দহরবিদযার বিবরণে 
“এই হাদয়পদ্জগুহের ( ব্রঙ্গাবঞ্ঠান স্থানের) মধ্যে অল্প আকাশ ( বঙ্গ)" 
এইরূপ এইরূপ বর্ণনা আছে। এ প্রক্রিয়ায়, “এই যে হ্ৃদয়স্থ নাড়ী সমূহ _” 
ইত্যাদি ক্রমে যুর্ধনায ন[ডীর শহিভ ক্্্যবশ্মির সন্বন্ধ (সংযোগ) থাকা 
সবিস্তরে মভিহত হইয়াছে । শত নাড়ীরশির সন্বন্ধ ( সংযোগ ) বলিয়া 
পরে বপিয়াছেন "উপসক্ ধধন এই শরীর হইতে উংক্তান্ত হন তখন তিনি 
সেই সকল নাড়ীসন্বন্ধীর রশি অবলধনে উদ্ধলোকে গমন করেন।” আবার 
বপিয়াছেন “এ মুদ্ধনা নাড়ীর দ্বাধা নিক্ষাণ্ত ও উদ্দগাষী হন, ক্রমে অমুত 
অথ।তমুক্ত হন। (ব্রদ্লোকে গিষ্পা শরীর লাত করেন, কল্প শেষ হইলে 
ব্রঙ্গার সহিত মুক্ত হন)” এই উপনিষদ সন্দভের দ্বারা স্পষ্টই প্রতীত 
হইতেছে, দহপ্োপাস্ক যে মুদ্ধনা না'ীপথে নিক্ষান্ত হন, সে নিচ্রমণ 
রশ্যন্থুসারী । অর্থাৎ যৃদ্ধনা নাভী সহিত যে হযারাধার সম্পর্ক ( সংযোগ ) 
ছে, পে সম্পর্কত রশি অবলন্বনেহই তান পিক্রান্ত হন। কিন্তু সংশয় 
এই যে, দিবাম৫ণ ও প্াঞমরণ এই ছুই লয়! রশ্যানুলরণের কোন বিশেষ 
আছে! কনাই। দিপসে ক্যারন্দি পাকে, সে ওঞগ দিবামরণেহ বশ্মান্ুস রণ 
হইবেক? কি রাজিমরণেও রম্্যগুসরণ হইবেক $ বিশেষ শ্রবণ না থাকায় 
সংশয়ের প্রথম কোটি ত্যাগ করিয়া সিদ্ধাগ্গ কোটিতে (পক্ষে) পাওয়! 
যায়, কি দিন কি রাজি উভয় কালেই জ্ঞানীর বশ্মান্নরণ হয়। 


নিশি নেতি চেন্ন সধন্ধস্য যাঁবঙ্গেহভা বিত্বীৎ 
দর্শয়তি চ ॥ অ৪,পা ২, সু১৯।॥। 


সরার্থ_নিশি রাত্রৌ রশ্মান্ববলম্বনং ন ভবেদিতি ন যাবদ্দেহভাবিত্বাৎ 
শিরাকিরণসম্পর্কস্ত । দর্শয়তি চ এতিঃ শিরাকিরণসম্পর্কস্ত ফাবদ্দেহ- 
ভাবিত্বম।- বাজে রশ্মি না থাকায় জ্ঞানীর বাত্তিমরণে রশা/নুসবণ হয় না, এ 


১২৬ তত্বজানামূত। 


আশঙ্কা করিও না। কারণ, মূর্ধগ্ত নাড়ীর সহিত যে শুর্য্য কিরণের সম্পর্ক 
তাহা যাবদ্ধেহতাবী। কি দ্বিবা কি রাক্ধি সল সময়েই দেহধারীর এ সম্পর্ক 
থাকে । (তভাস্তাব্যাথ্যা দেখ )। 

ভায্ার্থ__যদি কেহ ভাবেন, দিবসে রশ্বি থাকায় দ্রিবসেই নাড়ীরশ্ি- 
সংযোগ বিদ্যমান থাকে, সুতরাং দিবামরণেই জ্ঞানীর পশ্যনুপরণ হয় কিন্তু 
রাত্রে রশ্মি থাকে না সেন্য নাড়ীরশ্মিসংযোগের অভাবে রাজিমরণে বশ 
সর্ণ না হইতেও পারে। তাহাদের সংশচ্ছেদের গন্য বলা যাইতেছে যে, যত 
কাল শরীর তত কাল নাড়ীবশ্মিসংযোগ। শিরাকিরণসম্পর্ক অর্থাত ব্রহ্গরস্ধস্থ 
র্ধন্যনাড়ী মুখের (ক্রঙ্গরন্ধ, ছিদ্রের) সহিত স্্ধ্য কিরণের সংষোগ ষে 
যাবর্দেহ ভাবী (যখন. যখন দেহ আছে তখন তখনই এ সংযোগ আছে) 
তাহ। এরুতিও বলিয়াছেন। যথা--“ঞএ আরিত্য হইতে রশ্মিধারা বিস্তৃত 
হইতেছে। সে সকল রশ্মি এই সকল নাড়ীর সহিত সংযুক্ত হইতেছে। 
আবার এই সকল নাডী হইতেও শারীর কিরণ নিঃস্ত ও তাহা আদিত্যে 
সংযুক্ত হইতেছে ।” রাঞজ্েও যে হূর্যাকিরণের অন্ুবর্তন থাকে তাহা গ্রীষ্মকালের 
রাত্রে স্পইতঃ অনুভূত হয়। কে নাগ্রীক্মরাতে কিরণের অনুভব করেন? 
রাত্রে কিরণের অন্ুবর্তন নিতান্ত অল্প, সেই কারণে তাহ। ভুলক্্য। অন্ঠ 
ধাতুর রাজেও কিরণান্ুবর্তীন থাকে; পরন্ত তাহা নিতান্ত্র অল্প বপিয়। লক্ষ্য 
কর। যায় না। যেমন শীতকালের দিবসে ও মেঘাচ্ছন্ন দিনে কিরণের 
অস্তিত্ব থাকিলেও দুর্পক্ষয, তেমনি, রাজেও ছুলক্ষা। রাঞ্জে যেকিরণসন্বত্ধ 
থাকে তাহ ঞরতিও বলিয়াছেন যথা - “এই সবিত দেব র্রাক্রেও দিন ধারণ 
করেন। অর্থাৎ রাজেও রশ্মি বিতরণ করেন।” যদি এমন হনব যে, রাক্রিমুত 
ব্যক্তি রশ্মন্ুসরণ ব্যতীতও উর্ধলোক গামী হন তান্থা হইলে রম্য 
সারিণী গতি হয় বল! নিরর্থক। শ্রুতি এমন কিছু বিশেষ করিয়৷ বলেন 
নাই যে, যে বিদ্বান (জ্ঞানী) দ্বিবসে মরে সেই বিদ্বান্ই রশ্মি অবলম্বনে 
উদ্ধগামী হন এবং যে বিদ্বান রাত্রে মরে, সে বিদ্বান রশ্মি প্রতীক্ষা ন। 
করিয়। উর্ধগামী হন । রাঝে মরিলেন, এই অপরাধে যদি জ্ঞানীর 
উর্ধগতি না হয় তাহা হইলে জ্ঞানফলের অবশ্স্তাবিতা থাকে না। 
মৃত্যুকালের নিয়ম নাই, কে কবে মরিবে তাহার স্থিরতা নাই, এবং 
জ্ঞানফলের পাক্ষিকত| ব্যতীত অবশ্ঠন্তাবিত। নাই। এরূপ হইলে লোকের 


জীবের সংসারগতি ব্ণন। ১২৭ 


জ্ঞানোপার্জনে প্রবৃত্তি হইবে কেন? তাহাতে উপাসনা প্রবৃত্তির উচ্ছেদ ও 
শান্ত সকল অপ্রামাণ্যশঞ্চাকুনুধিত হইবে । অপিচ, এমন কোন কথা নাই যে, 
রাত্রিমৃত বাক্তি দিন আগমনের প্রতীক্ষা করেন। (বাক্রে মরণ হইল 
কিন্ত তিনি সেই মুত শরীরের সন্নিকটে থাকিয়া দ্বিবসের প্রতীক্ষা করিতে 
লাগিলেন এমন কথ! কুত্রাপি লিখিত হয় নাই।) দ্রিন আসিলেই বাকি 
হইবে? হয় ত তাহার শরীর কিরণ-সম্পক প্রাপ্ত হইল না। ( রশ্মিসম্পর্ক 
না৷ হইতে হর ত তাহার শরীর অগ্রিসম্পর্কে দ্ধ হইল । ) ফল কথা এই যে, 
গুঞানীর উর্ধগতি দ্রিনাগম প্রতীক্ষা করে না এবং সে কথা শান্ত্েও গীত 
হইয়াছে । শান্তর যথা-'সে যঙক্ষণ শাশানে পরিত্যক্ত হইবে ততক্ষণ 
তাহার যন (কঙ্গাশগীর ) আদিত্যলোক প্রাপ্ত হইবৈক।” অর্থাৎ বন্ধুগণ 
তাহার সেই অপ্রাণ শরীর নিভণণ করিবার উদ্বোগ "করিতে না করিতে সে 
গুর্ম্য লোকে গমন করে। এ কণ[ভেও স্পষ্ট বুঝ! যাইতেছে ষে, জ্ঞানীর উর্ধধ 
গতিতে দিনের প্রতীক্ষা নাই। অতএব, জ্ঞানীর রশ্ম্ন্ুসারিহ ও উর্ধগতি 
কিদিন কি বাজি উভপ্নঞ্হ সমান । 


অতশ্চায়নেহপি দক্ষিণে ॥ অ৪,পা ২, সু২০॥ 

সুঞ্ার্থ -অত; উক্তহেতোবরপি দক্ষিণায়নেইপি সুতে। জ্ঞানী জ্ঞানফলং 
গাঞ্সোতীতি ছুঞ্যোজনা | দক্ষিণায়নে মরণ হইলেও জ্ঞানী পৃব্বোজ্ত কারণে 
জ্ঞানফল লাত করেন, ইহা অবধারণ কর। 


ভাঙ্তাথ--এ কারণে অর্থাৎ কাল প্রতীক্ষা উপপন্ন হয় না, জ্ঞানফল 
অবশ্তস্তাবী ও মৃত্যুকালের নিয়ম না গাকা, এই সকল কারণেজ্ঞানী দক্ষিণায়ন- 
মও্ণেও জ্ঞানফল প্রাপ্ত হন ইহ! অবধারিত হয়। উত্তরায়ণে মরণ প্রশস্ত 
অর্থাৎ প্রশংসনীয়, সেন্ট কারণে তীন্স শরশয্যাশায়ী হইয়াও ভত্তব্রায়ণ প্রতীক্ষা 
করিয়াছলেন। “শুক্লপক্ষ হইতে উস্তারায়ণের ছয় যাস -+ এই আরতি 
অন্থসারে জ্ঞানীর উদ্ধগতির প্রতি উত্তরায়ণের অপেক্ষা আছে কলিয়। 
আশঙ্কা হইতে পারে বটে; পরন্ত সে আশঙ্কা হুঞ্জকার স্তরের দ্বার 
বিদুরিত করিলেন । উত্তরায়ণে মরণ হওয়। প্রশত্ত, এ প্রসিদ্ধি বা এ কথা 
অজ্ঞান অধিকারে বিদিত অর্থাৎ অবিদ্বান বা মন্ুপাপক ব্যক্তির পঙ্গে 
উত্তরার়ণ মরণ নুপ্রশত্ত, পরত জ্ঞানীর কি উত্তপায়ণ কি দক্ষিণায়ন 


১২৮ তত্বজ্ঞানামূত। 


সমস্তই। সমান। উত্তরায়ণে মরণ প্রশস্ত। এই আচার পরিপালন ও 
পিতৃপ্রসাদলন্ধ ইচ্ছামরণ দেখান, ভীম্মের এই দুই উদ্দোগ্ত ছিল। ০শুরু পক্ষ 
হইতে উত্তরারণের ছয় মাস? এ শ্রুতির অর্থ ব। তাৎপর্য “আতিবাহি- 
কল্তল্লিঙগাৎ” সুত্রে বলা হইঈবে। এক্ষণে বলিতে পার ফে, স্বৃতি (গীত! ) অনা- 
বৃত্তির (পুনর্জন্মবিনাশের ) নিদ্দিষ্টকাল বলিয়াছেন যগ|--হে তরতশেষ্ঠ! 
যানব যে-কালে মারলে মনারৃত্তিফল প্রাপ্ত হয় এবং খে-কালে মরিলে 
আবৃতি পুনর্ধার এই লোকে গন ) প্রাপু হয় সে্ট কাল তোমাকে বলিতেছি, 
শ্রবণ করে।” এই গীতা স্বৃতি কালের প্রাধান্ত উল্লেখ পুর্ব+ দিবা শুর পক্ষ, 
উত্তরায়ণ, এই সকল কালকে অনাবৃত্তি ফলের কারণ বলিয়াছেন । সুতরাং 
আশঙ্কা হইতে পারে যে, জ্ঞানী উপাসক বারে, কষ পক্ষে ও দক্ষিণায়নে 
দেহতাগ করিলে কিপ্রকারে সে অনারৃত্তি ফল পাইবে? তাহাতে কব্রকার 
ব্যাস এই মীমাংস। বলিতেছেন যে; -- 


যোগিনঃ প্রতি চ ম্বর্ধ্যতে স্বার্তে চৈতে | 
অঃ,পা ২, সু ২১। 


»ক্লাথ --স্মধাতে স্থৃতাবুচ্যতে । শ্রোতদরাছাপাসকস্ত ন কালাপেক্ষা স। 
তু শ্নার্ভযোগিনামিতি তাবঃ | তগবদাখাধনবুদ্ধানুগিতং কন্মা যোগঃ | 
ধারণাপুব্বকাআ্মাকর্তৃধান্নতবঃ সাংখ্যমূ। -প্রোক্ত অনাবৃত্তি ফল কালপাপেক্ষ 
অথাৎ দ্িবামরণাদিপৃরর্বক লব্ধ হয় এ কথা স্বতিতে উক্ত হইয়াছে সত্য পর্ত 
সে সকল উক্ত শ্মার্ড সোগী দিগকে লক্ষ্য করিয়া অভিহিত, জানিবে। স্থার্ড 
যোগীরাই কালমরণাদি অন্পারে যোগফল লাভ করেন কিন্তু অত্যুক্ত উপাসন। 
পরায়ণের। কালমরণ অন্তসারে প্রোক্তফল লাত করেন না| । বাহারা শত্যুক্ত 
উপাসনায় রত তাহার! সব্দদাই : যখন তখন দেহ'তযাগ করিয়া এ অনাবৃত্তি- 
ফলের ভাগী হন। 

ভাস্ার্থ_-এ সকল কাপের নিয়োগ অর্থ। অনা্ৃত্তিকলের কারণীভূত 
স্বতুযুক্ত দিবা ও শুরুপক্ষাদি যোগীদগের সন্বন্ধেই অভিহিত জানিবে। 
ফলিতার্থ ম্যার্ত যোগীরাই এ নকল কালে মরণলাত করিয়া অনাবৃত্তি-গতি- 
প্রাপ্ত হন, পরস্ত শ্রত্যুক্ত উপাদনাপরায়ণেরা এ সকল কালের প্রতীক্ষ। করেন 
না। তাহার] জ্ঞান প্রতাবে সর্বদাই ( যখন তখন) দেহত্যাগ করতঃ অনা- 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১২৯ 


বৃত্তিফল লাত করিয়া থাকেন! অতএব, বিষয়তেদ ও অধিকারিভেন্ব এই 
ছ্বিবিধ তেদ অনুসারে কালনিয়ম বাকোর সমাধান বা সিদ্ধান্ত করা কর্তব্য। 
শ্বত্যুক্ত কালনিয়ম এুত্যুক্ত জ্ঞানাধিকারে লব্ধ প্রবেশ হয় রী ইহাও দেখ! 
আবশ্তক। যদি বল-_মচ্চিং, দিবা, শুক্লপক্ষ ও উ্তরায়ণের্ ছয় মাস, এবং 
ধুম, রাত্রি, কষ্ণপক্ষ ও দক্ষিণায়নের ছয়মাস, এ সকল কথা ঞাততেও আছে, 
আতিতে এ সকল কাল দেবধান ও পিতৃষান পথের পব্ৰব বলিয়া অভিহিত 
হইয়াছে, সুতরাং বিষয়তেদে ও অধিকারী ভেদে সুব্যবস্থ। ( আশঙ্কার পৰিহার ) 
করিবার উপায় কৈ? ভহার প্রভাত্তর এই থে, স্মৃতিতে "তং কালং বক্ষ্যামি” 
“সেই কাল বলিব” এই বাক্যে কাল বলিবাত্র প্রতিজ্ঞা থাকায় দ্বিবা ও 
গুরুপক্ষ সমস্তই কালপর বলিয়! প্রতীত হয় এবং তাহাতেই এ বিরোধের 
আশঙ্কা হয়। আশঙ্কা হলে তাহার পরিহার প্রয়োজনীয় বলিয়। 
প্রোজ প্রকার পরিহার স্তর করা হইয়াছে! কিন্তু ঘি স্মত্যুক্ত এ 
সকল কথার কালার্থ গ্রহণ না বাপ্রয়। আতিবাহিক দেবতা অর্থ গ্রহণ কর, 
। দিবস অর্থাৎ দিবসাঁভিমানিনী দেপতা, ইত্যাদ । তাহা হষ্টলে আর 
অল্পমাতও বিরোধ থাকে না এবং শ্রুতি ও স্বাত উভয়ই একার্থপ্রতিপাদক 
হয়। 

উপরে বল হহযাছে যে, উপাসক ও অগ্গুপাপক (জ্ঞানী ও কল্মী) 
উভয়েরই সমানরূপে উতৎকান্তি । শাস্্রোৌক্ত প্রণ।লীতে শরীর তাগ ) হয়। 
অজ্ঞানীও উতক্রান্ত হন, জ্ঞানীও উৎক্রাশ্ত হন। প্রভেদ এই যে, জ্ঞানী 
উৎক্রান্ত হইয়া! রশ্মাগ্নুসারে উদ্ধ লোক আক্রম করেন, অজ্জনী তাহ। 
পারেন না। এস্লে উপস্থিত চিন্তা এই যে. জ্ঞানী উপাসকেরা উ্ধধ 
আক্রম করিয়া কোথায় গমন করেন? এবিষয়ে শাস্ত্র এই ষে, তাহারা 
প্রথমে অচ্চিঃ প্রাপ্ত হন, অচ্চিঃ হইতে দিবসে, দিবস হইতে শুক্লপক্ষ, 
শুরুপক্ষ হইতে উত্তরায়ণে, উত্তরায়ণ হইতে সণবৎসরে, সংবৎসর হইতে 
আদিতো। এবংক্রমে দেবধানপথে ব্রঙ্ধলোকে গমন করেন। এবিষয়ে অন্ত 
আর এক বিচার এই যে, অচ্চিঃ আদিপথপর্ব যাহা উপরে বাত হইল 
তাহ সকল কি? এ সকল কিকেবল চিচ্ছ ? না ভোগন্তান কি ব্রহ্মলোক 
প্রস্থিত জীবের বাহক? উক্ত সকপ বিষয় [নয়লিখিত কতিপন গন্রে 
বিচারিত হুইয়। মীমাংপিত হইয়াছে । তথাহি, 

১৭ 


১১৩৩ তথ্জানামূত। 


অচ্গি রাদিনা তৎপ্রথিতেঃ ॥ অঃ, পা৩, সৃ১॥ 


হত্রার্থ--অর্চিঃ আদি প্রথমং মার্সপর্ক যস্ত পথস্তেন পথ দেবযানেন সর্ষে 
ব্রহ্গলোকযার়িনো গচ্ছস্তীতি প্রাতজানশীমহে। হেতুমাহ তদিতি। স এব 
মার্গ; প্রথিতঃ সর্বেষাং বিদুবামিতি পুরণীয়ম্‌। প্রথিতিঃ প্রসিদ্ধিঃ।--ধাহার। 
ব্রন্মলোকে গমন করেন তাহারা সকলেই অচ্চিঃ, অচ্চিঃ হইতে অহ, এবংক্রমে 
গমন করেন। অর্থাৎ দেবযান পথে ব্রহ্মলোকে যান। এইটিই ব্রহ্মলোক 
গমনের প্রসিদ্ধ পথ। 


বায়ুমব্দীদবিশেষবিশেষাভ্যাম্‌ ॥ 
অ$ঃ.পা ৩,সু২॥ 


হক্লার্থ-অন্।ৎ সংবংসপা্চ পরং পায়মতিসগ্ঘবতীতি অবিশ্ষবিশেষাভ্যাং 
উপদেশাভ্যাং বিজ্ঞায়তে ।  উপাপক সবতসরের পরে বামুর অধিকারে গমন 
করেন হহ] সামান্যত; উপদেশ ও বিশেদরূ্প উপদেশ দ্বার! হিবীকৃত হম্। 


তড়িতোহধি বরুণঃ সন্বন্ধাৎ ॥ 
অঃ, পা৩সু৩। 


গঞাথ--তাডঙঃ বিছু)ত অধি ডপাঁপ বঞ্ণস্তগ্নাধকোলোক হতি সব্বঙ্ধাৎ 
বিছ্যাত্রুণয়োব্িজ্ঞায়তে | -বিদ্বযং লোকের পরনে বরুণলো ক, ব্রদ্লোকগামী 
উপাসক তৎ্ব্রমে গমন করেন, হহা বছ্যতের সহিত বক্ষণের প্রকট সন্বন্থ 
থাকায় নির্ণাত হয়। 


আতিবাহিকম্তল্িঙ্গাৎ ॥ অ৪,পা ৩ সু8॥ 


শঞ্জাথ-__মার্গপব্বতেনোক্তা অচ্চিবাদয়ো। ন মার্গীচঙ্ানি নাপি ভোগ- 
ভুময়ঃ কিন্বাতিবাহিকা গত্থণামিতি তেষাংপ্রাপকত্বণিঙ্গাদ্িজ্ঞায়তে 1 ব্রঞ্জ- 
গমনের নিমিত্ত যে দ্রেবঘান পথ শ্রুতিতে উক্ত হইয়াছে এবং অচ্চি, অহ 
(দিন), শুরুপক্ষ, ডত্তপায়ণ, ইত্যাদি পথপর্ধ কথিত হইয়াছে, এসকল কি? 
এ সকল কিকেবল চিহ ? না তোগস্থান? কি ব্রহ্ষলোক গ্রস্থিত জীবের 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৩১- 


বাহক? প্রশ্নের সিদ্ধান্ত এই যে, এ মঞ্ল চিহও নহে, চভাগভূমিও৪ নহে, 
উহ্প্লা আতিবাহিক দেবতাবিশেষ | কারণ, আতিবাহিকী দেবতার 
অনেক চিহ্ু এ সকলে বিদ্যমান আছে। 


উভয়ব্যামোহাৎ তদিদ্ধেঃ॥ অ৪, পা ৩, সৃর। 


সুঞ্জাথ--উভয়বামোহৎ মার্গভাগন্পোএজ্ঞ হাত উদ্ধগতির্ণ স্যাঁখ অতম্চে- 


তনাস্তরেণ নেয় ইতি ততসিদ্ধেন্ন্যায়ানু গহসিদ্ধেনেতৃনসিদ্ধেরুক্তলিঙ্গ' ায়োপেত- 
মেবেতি স্রাক্ষরাথ?।-অচ্চিঃ প্রভৃতি পথ অচেভন, তাহাতে যে যাইতেছে 
সেও তখন যুচ্ছিত। উত্তরের অজ্ঞতায় উদ্ধী গতি অসম্ভপ হয় সুতরাং 
বিবেচনা কর ধা হ্ির করা উচিত যে. কোন চেতন তাহাকে লইয়া যায়। এই 
থে যুক্তি ব। লৌকিক ন্যায়, এই ন্টাষের অনুগ্রহে পৃর্দোক্ত সিদ্ধান্ত অর্থাৎ 
বাহকহ ও বাহকের চেঙনহ অকাটা হইতে পাবে। 


বৈদ্যতেনৈব ততন্তচ্ছুতেঃ॥ অ ৪, পা ৩, সৃ৬॥ 

শুত্রার্থ -ততত্তদনগ্তর“« বিদ্)দতিসস্তবনানস্তরমিতি যাবৎ বিছ্যল্লোক- 
মাগতে। বৈগ্ঠতত্তেন এপ অমানবেন পুরুষে বৈছাতাৎ লোকাতৎ বরুণাদীনাং 
লোকে শীক্ঘমানা ব্রন্গলোকমতিসপ্তবেদঃ। হচ্ছ তে ভস্যৈবামানবস্য পুরুষস্ত 
গময্িতহশ্রবণাদিতি ক্ত্রব্যাধ্যা।_বিছাতে অভিসন্থৃত হইলে ব্রহ্মলোকবাপী 
অমানব পুকষের। তাহাকে বহন করে, লইয়া যায় তত্পরে ব্র্গলোক লয় 
যায়| বরুণ প্রভৃতিরা লইয়া যায় না, তাহারা অমানব পুরুষাদিগেব্ 
সাহায্য করে মাত্র। শ্রুতি বলিয়াছেন, অমানবপুরুষেরাই নেতা, বরুণা দি 
নেত1 নহে। 

উপরি উক্ত অর্থে অর্থাৎ “অযানব পুরুষ ব্রদ্ধগন্তা উপাসক দিগকে ব্রহ্গ 
পাওয়ায়” এইস্থানে সংশয় এই যে, গন্তব্ব্রন্ম পরব্র্দ কি অপর ব্রহ্ম? 
ব্যাসদেব জৈমিনি পক্ষ পৃরব্বপক্ষে স্থাপিত করিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে, 
অমানব পুরুষেরা যে ব্রঙ্থ প্রাপ্ত কগায় সে ব্র্গ শিগুপ ব্রন্ধ নখে, সগ্ণত্রক্গ । 
( অপর ত্রক্ম হিরণ্যগর্ত, ধাহার অন্য নাম ব্রহ্মা) এ নির্ণর যেরপে আরব 
হইয়া বিচারিত হইয়াছে তাহার প্রকার নিয়োজ কতিপয় হজে বণিত 
আছে। তথাহি, 


১৩২ ততজ্ঞানামৃত। 


, কার্যযৎ বাদরিরম্য গতুপপত্তেঃ॥ 
অঃ,.পাও,সু৭ণ॥ 


সক্াথ _অধুনাগন্তবাং চিন্তয়াত। পরব্রহ্গ গন্তব্যমিতি পূর্বপক্ষে মার্গস্য 
মুক্তার্থতা স্যৎ কার্যাত্রদ্ষেতি পক্ষে ভো।গার্থতেতি মনসিকৃত্য প্রথমং সিদ্ধান্ত- 
পক্ষযাহ ! অমানবাঃ পুরুয়াঃ কাষা” বিকারধন্মোপেতহ সগ্ণমেব ব্রঙ্গ 
গময়তীতি বাদ'€রাচারধ্য আহত । যতোহট্যৈব কার্যাব্রঙ্গণ এব গতিরুপপদ্যতে 
খুণপরিচ্ছিননাৎ। গরি? প্রাপ্তিৎ । গন্ভব্যলাতি ইতি যাবৎ । কার্ধং বিকার- 
সন্বন্ধেন জন্মবান্‌ ব্রঙ্গাপরনামা হিবণাগঞ্তুঃ। অমানব পুরুষেরা ব্রঙ্গপ্রাপ্ত 
করায়। এষ্ট বর্ম নিগতণ বর্গ নহে কিন্তু সগ্চণ ব্রন্গেই গভিঞ্াত সঙ্গতার্থ 
হয়। (ভাম্তব্যাথ্য। দেখ :। 

ভাঙ্তাথ-_-"সেহ অমানব পুরুষ তাহাদিগকে ব্রহ্গ পাওয়ায়” এই স্থানে 
ং€শয় আছে। (এ বার গন্তব্যের বিচার ' গন্ভবা ব্রহ্ম পরত্রক্ম কি অপর 
ব্রঙ্। তাহা অন্বেষণ করা যাউক্ক)। সংশর এই ষে,? অমানব পুরুষের! ষে 
ব্র্গপ্রাপ্ত করায়, সে ব্রহ্ম জন্মবান অপরব্রহ্ধ? €( অপরত্রক্ষ হিরণ্যগন্ত' 
ধাহার অন্য নাম ক্রক্মা।) কি মুখা ও অবিকৃত পরব্রহ্ম? এ সংশয়ের 
হেতু কি? সংশয়ের হেঠ বর্ষণের প্রয়োগ ও তাহাতে গতি হওয়ার 
কথা । (ব্রহ্ম বলিলে পরক্রঙ্ধ এব” গতি হন্ন বা প্রাপ্ত হয় বলিলে 
পরিচ্ছিন্ন পদার্থ ই উপলব্ধি পথে আইসে। পরক্রদ্ধ নিরপেক্ষ বৃহৎ অর্থাৎ 
পরিপূর্ণ_ব্যাপক। তিনি পসর্ধদ। সর্বত্র সর্বজীবের প্রাপ্ত আছেন, 
সেজন্ঠ ব্রঙ্গ পাওয়ার কথা পরব্রহ্মপর নহে, কার্যাব্রদ্গপর |) এই স্থলে 
বাদরি আচার্য) (ব্যাস , যনে করেন, ও বলেন, অমানব পুরুষের! 
গুণপরিচ্ছিন্ন অপর ব্রহ্ষকেই পাওয়ার । (অপর ব্রদ্ধকপ্রন্ধা ) কেন-না। 
তিনিই গন্তব্য বা পাওয়ার যোগা । গতি বা প্রাপ্তি তাহাতেই উপপন্ 
হয়। পরব্রদ্দে কি গন্তুত্ব কি গন্তবাখ কি গতি কিছুই উপপন্ন হয় ন|। 
কারণ, পরত্রন্গ অপরিচ্ছিন্ন নিশু'ণ সর্বগত ও গন্তার প্রত্যাগাত্মা। 


বিশেষিতত্বাচ্চ ॥ অ ৪, পা ৩, সৃ৮॥ 


সুত্রার্থ--বনুবচন-লোকশব্দ-সপ্তমীবিভক্তিভিরিতি বোধ্যন। তেন তেন 
বিশেষণেন গন্তব্যাণ পরশ্মাৎ ব্যারতমিতি ।---বহুবচনের লোকশবন্দের ও 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৩৩৮ 


আধারার্থক সপ্তমী! বিভক্তির দ্বারা ধিশেধিত হওয়ায় স্পষ্টই প্রতীত হইতেছে, 
দেবযান পথের পথিক গপ্তন্য ধিকার-বিশি্ধ অপরকব্রহ্ম ; অবিরত 'পরব্রনষ 
নহে। পরক্রহ্গ পূর্ণ; সে কারণ তিনি গন্তব্য নহেন। পরিচ্ছন্ন বস্তই 
গন্তব্য ব! প্রাপ্তব্য। অসীম পদার্থ সব্বদা সর্ব প্রাপ্তহই আছেন। 


ভান্তার্থ_ব্র্গপোক প্রাপ্ত করায়। তাহাএ। সেষ্ঠ ব্রন্ধলোকে দীর্ঘকাল 
ব্রহ্মার আফুঃপর্িমিত কাল বাস কণে।? এই তাতিতে যে বিশেষ উত্তি 
আছে সেহ বিশেষ উজির ( বহুবচন, লোকশব্দ ও আপারার্ধে সপ্তমী 
বিভাক্তর প্রয়োগের । দ্বারা স্থির হয়, গাতন্ণতহ কাযাব্রক্মবিষয়েই প্রয়োজত। 
পরক্র্গ খহুবধচনে বিশেহিত হন না । কাধাব্রঙ্গহই অবস্থাতেদ অনুসারে 
খছবচনে বিশোধত হইতে পারেন। বিকার বষয়েই লোকশন্ের মৃখ্য 
প্রয়োগ হয়। যাহা সনিবেশাবাশছ শোগভুমি। হান) তাহাই লোকশকের 
মুখ্যার্থ। ''ব্রঙ্গঠ লোক হত]াদ সন্দভে যে ব্রঙে লোকশবের প্রয়োগ 
হহরাছে তাগা গৌণী অর্থ।ৎ লঙ্ণাক্রমে প্রয়োজি5। “সেখানে তাহার! 
বাস করে”? এহ যে আধকরণের ও আধকর্তবোর নিদেশ । ব্রহ্মলোক 
আধকরণ, ওপ[পকের। তাহাতে অধিকর্তণ্য। অধিকরণ অর্থাৎ বাসস্থান ব| 
বাসের আধার। আঁধকত্তব্য অর্থাৎ পাসক্াবা।। এ নির্দেশও কার্ত্রঙ্গ 
ব্যতীত পরব্রঙ্গে মৃখ্যরূপে সঙ্গত হর না। এই দকঞ্চল হেতুতে উক্ত বাক্য 
(ব্রহ্ম প্রাপ্ত হয় বা কার, হতা'দ বাক্য) কার্যাব্রদ্গশিষয়ে ব্যাধ্যাত হয়। 
যার্দ কেহ বলেন, প্রশ্ন করেন, কার্যারঙ্। অথে ব্রদ্ধশব্ের প্রয়োগ কিরূপে 
উপপন্ন হয় ; পৃর্করে বল৷ হইয়াছে, বঙ্গ সমুদাদ্ধ জগতের জন্মস্িতি-লয়ের 
মূলকারণ, ইহার প্রতুনত্তগাথ সত 


মামীপ্যান্ত, তদ্যপদেশঃ ॥ অ ৪, পা ৩, সু৯। 


কক্াথ-কার্যাব্রহ্ষণে।  গশ্তব্যত্থেইনাবৃত্তিকলশ্রবণমসমঞ্জস« স্যাদ্দিতি 
শঙ্কাব্যাবৃভার্থস্তণব্দ; | পরর্রহ্গসামীপ্যাদপরম্মিন ব্রহ্গশব্দ প্রয়োগ ইতি 
সুত্রেতাত্পর্যযম্‌। - অপর বরক্গ মথণৎ হিরণাগন্ত পরব্রঙ্ষের অতি সন্নিহিত? সে 
কারণে লক্ষণাশক্তির দ্বারা ঠাহাতে ব্রহ্মশব্দের ব্যপদেশ অর্থাৎ হিরণ্যগর্তে 
ব্রশ্মশন্দের প্রয়োগ সাধু বলিয়া গণ্য হয়। 

ভাস়্াথ- হিরণ্যগত্তে ব্রহ্মশক্ষের প্রয়োগ হয় কি-ন। এই আশঙ্কা ব্যা 


১৩৪ তত্বজ্ঞানামূত 


করিবারু জন্য অথা২ “হয়” এই সিদ্ধাপ্ স্থাপন করিবার জন্ত চুত্রে তু-শব্দের 
প্রয়োগ হইম্বাছে। অপর ব্রহ্ম অর্থাৎ ব্রহ্ম ব হিবণ্যগত্ত পরব্রন্ষের অতি 
সমীপবন্তী। সেই কারণে তাহাতে ব্রশশবন্দের প্রয়োগ বরুদ্ধ প্রয়োগ নহে। 
(যেমন গঙ্গাতীরবাসীকে গঙ্গাবাসী বলা যার সেইরূ1) পরব্রহ্মত কোন 
কোন স্থলে বশুদ্ধ উপাধি সম্পরক অন্থুপাবে উপাধিগত ফোন কোন 
ধর্ের দ্বারা উপাপনাথ অথাৎ তিনি যনোময় ও দীপ্ররূপী, ইত্যাদি প্রকারে 
উপা(নিত হউন, এই অতিপ্রায়ে শ্রাত কতক উপদ্িই্ই হইরাছেল ইভা 
বেদান্তের সিদ্ধাণ্ত নব! মন্মকথা। এক্ষণে প্রশ্ন হইতে পারেষে, উপাসক যদ্দি 
কার্ধ্যতব্রঙ্দই প্রাপ্ত হন তাখা হইপে তাহাদেখ অনাব্যত্ত ফল ঘটে কৈ? 
পরব্রঙ্ধ ব্যতীত অন্ত কিছুরই ত নিতাতা নাহ? অথচ তি বলিয়াছেন, 
দেবযান পথে প্রাস্থতদিগের অনবৃতি হয় অথাৎ তাহারা আর জন্ম গ্রহণ 
করে না। যাহা পরম মোক্ষ শাহাহ তাহান। প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ ব্রহ্মনিত্যতা 
লাভ করে । যথা-__'দেবযান পথের পথিকের পুনব্বাব এহ মনুষ্য সম্বন্ধীয় 
আবর্তে নিপতিত হন ন1। অথণৎ আগ তাহাদের কোনরূপ জন্ম হয় না” 
“তাহাদের আর ইহলোকে আসতে হয় না।', “ভ্াহারা মৃদ্ধগ্তনাড়ী পথে 
নিষ্কান্ত হন, হইয়। উদ্ধগোকে গমন করত; অমুতত্ত অথাৎ মোক্ষ প্রাপ্ত হন।” 
ইত্যাদ। এই প্রশ্নের প্রতুগাথ অথাত প্রশ্নের সিদ্ধান্ত কথনাথ “তর, 


কাধ্যাতায়ে তদধ্যক্ষেণ সহাত3 পরমভি- 
ধানাৎ ॥ অত, পা ৩, সু ১০॥ 


সুজ্লার্থ কার্য ব্রদ্লোকস্য অতায়ে প্রলয়কাল আগত ইতি যাবৎ 
তদধ্যক্ষেণ হিরণ্যগর্ডেণ সহ তে সর্ষে ব্রঙ্গলোকবাসিনস্ততৈবোৎপন্নজ্ঞানদর্শন' 
ততঃ পর* শুদ্ধং ব্রহ্ম প্রতিপদ্যন্ত হতি শ্রতেব্নাক্যানিরীয়তে ।-_ কার্যযব্রহ্গ 
ব্রহ্মার অবসানকালে অর্থাৎ মহাপ্রলয়কালে ব্রহ্মার মহিত এক সঙ্গে সমুদায় 
প্রহ্মলোকবাপী ব্রন্মজ্ঞান লাত করতঃ শুদ্ধ ব্রঞ্ধ প্রাপ্ত হন অর্থাৎ মুক্ত 
হন। 

ভাস্তার্থ__কার্ধ্যব্রহ্মলোকের অর্থাৎ হিবণ্যগর্ভলোকের প্রলয় (বিনাশ) 
কাল আগত হইলে সমুৎপন্ব্রঙ্গজ্জান তল্লোকবাসীরা আপনাদের অধিপতির 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৩৫, 


( হিরণ্যগত্তের ) সহিত বিষ্ণুর বিশুদ্ধ পরম পদ প্রাপ্ত হয়। ইহারই নাম 
ক্রমমুক্তি, এইরূপ ক্রমমুক্তি অনাবৃত্বযাি শ্রুতির সামর্ধে অবণ্ঠ স্বীকার্ধ্য। 
সাধক এরূপে পরব্রনগ প্রাপ্ত হয়, অন্ঠ কোনরূপে নহে। মুখারূপে গতিপূর্বক 
পরব্রহ্ধ প্রাপ্তি সম্ভবে না, তাহ! পূর্বে প্রতিপাদন করা হইয়াছে। 


স্মতেশ্স | অ ৫, পা ৩, সু ১১ ॥। 


সঙ্পার্থ সশ্বৃতিপ্রমাণ্যাদপি গগ্ঠব্যস্ত কাধাত্ম ।- দ্েবষান পথের পথিক 
দিগের গন্তব্য ব্রহ্ম যে সগুণ ব্রহ্ম তাহা স্বততেও কথিত আছে । 

তায্যার্থ_স্বতি এ অর্থ অনুমোদন করিয়াছেন । যথা-"প্রতিসঞ্চর 
অর্থাৎ মহাগ্রলয় ডপস্তিত (ব্রঙ্গার আমুঃ পরিসমাপ্ত ) হইলে পরমেষ্ঠারু 
অর্থাৎ সমষ্টিলিঙ্গশবীরাতিমানা হিরণ্যগঞ্তে অত অর্থাৎ অবসান ! বিনাশ) 
হয়। ততপরে সেহ বিকার বঙ্গের € বন্ধার ) সহিত কুতায্মা অর্থাৎ লক্ধব্র্- 
জান সমুদায় তল্পোকথাসা [বসুর পরুম পদে প্রবেশ করে অর্থাৎ মুক্ত হয়।” 
স্বতর এহ তাতপধ্য পৃষ্টে সিদ্ধান্ত হয় যে, গতিক্রাও কার্য্যব্রঙ্গবিষয়েই 
পর্যবসিত । এই গ্বানে হয তসকলেহ জিঞ্ঞাসা কারবেন যে, কক্্রকর্তা ব্যাস 
কোন্‌ পুব্বপদ্গ আশঙ্কা কার$। “কাথাং বাদি” হত্যাি সুত্রে উক্ত সিদ্ধান্ত 
স্থাপন কাঁপলেন ? | পুর্বপক্ষ ) বা আশঙ্ক। না থাকিলে খিচার উঠে না। 
সদ্ধান্ত গপনও হয় না|) এ [জঙ্গাসা মেন হতখেহ হহবে? এহরূপ অখধাপণ 
কারয়া হএকার ন্ছের দ্বারা সেহ পৃথ্বপঞ্ষ দেখাহতেছেন। 


পরৎ জৈমিনিমুখ্যত্বাৎ ॥ অ &, পা ৩, সু ১২। 


শজাথ - অমানবা, পুরুষাঃ পরমেব ব্রঙ্ধ গময়তীতি জেমিনিম্মন্ততে | 
পরমেব হি মুখ্যং বর্গ । _জোঁমনি খলেন, অমানণ পুরুষেরা দেবযান প্রস্থিত 
উপ।সকদিগকে পরব্রশ্গ প্রাপ্ত করয়। ব্রহ্ম বলিলে পরকব্রঙ্গই বুঝায় এবং 
পরুব্রন্মই ব্রধষশঙ্ের ঘুখা অর্থ। 

তাস্ার্২-জৈমান মুনির পঙ্ধ' স্বতগ্্রপ্রকার) এবং তাহাই পূর্বপক্ষ বা 
আশঙ্কার কারণ। কাযেহ সঞ্জাপ্ডের প্রয়োজন । জোমান বলেন) অমানব 
পুরুষের। ষে ব্রর্ম গাওয়ায় তাহা পরব্র্ধ। কীপণ, পরব্রঙ্গহ মৃখ্যব্রক্ষ। 
্রহ্ষশব্ধের মুখ্য আলম্বন। ব্রঙ্গ বলিলে পরব্রধই বুঝায়, অপর বর্গ গৌণ 
অর্থাৎ সন্নিধানলক্ষণায় [হরণ্যগণ্ডে ব্রশ্গমশবের প্রয়োগ হহয়াও থাকে) সেজঞ 


১৩৬ তনবগ্তানামৃত। 


তাহা মুখ্য নহে; কিন্তু গৌণ । মুধ্যার্থ ও গৌণার্থের সংশয় হইলে মুখ্যার্থ ই 
গৃহীত হয়। অভিধা শক্তির দ্বারা * মু্যার্থ ই বুদ্ধিস্থ হয়, মুখ্যার্থ সঙ্গতি ন! 
হহলে কাষেই গৌণার্থের গ্রহণ হইয়। থাকে । 


দর্শনাচ্চ ॥ অ৪,পা ৩, সু১৪॥ 


স্জ্জার্থ ৫-_দর্শনং শ্রোতবিজ্ঞানং তন্যদপি। তশ্মিনর্থে শৌত বিগু(ন- 
মপ্যন্তীতাযথ: ।--ঞরতি “অমুতহ প্রাপ্ত হয়” এই কথা বালয়া এ অর্থেরহ 
গ্রাহত। দেখাইয়াছেন। 

ভাস্তার্থ-_“ব্রদ্দোপাসক সুয্য়নাড়ীরন্ধে, নির্গত হণ, হইয়া অমুতত্বলাত 
করেন” এই এ্রতি গতিপুর্ধক অমরত্ব লাভ হর বালতেছেন। অধপত্ব পরব্রহ্গ 
ব্যতীত কার্যযত্রঙ্গে উপপন্ন হয় না। কারণ, কার্য্যবঙ্গ বিনাশী_-প্রকৃত অমর 
নহে। মুখ্যব্রক্গ ব্যতীত সমস্তহ [বনাশী--তাহা এ্তিকতৃক অভিহিত 
হইয়াছে । যথ1--“যাহাতে তেদ দর্শন হয় তাহা অল্প অথাং পরিচ্ছি্ন ও 
মরণশীল ৮” যে গাত বিচারত হইতেছে সে গাও পরর্রক্গবিবয়িণী | 
কঠবলীতেও পরব্রঙ্ম বিবয়িণী গতি পঠিত হহয়াছে। কঠবল্লীতে বিষ্যাপ্তরের 
প্রকরণ নাই, তাহা পরবরঙ্গেরহ প্রকরণ । কঠবল্লীতে "যাহা ধন্মের অগ্, 
অধশ্মের অন্ঠ- 7 ইত্যাদি ক্রমে পরররন্হ প্রক্তাস্ত হহর়াছেন। ( কাষেহ 
বলিতে হয়, ব্রঙ্ধ পাওয়ায় (ক-না পরুত্রগা পাওয়ায় )। 


নচকার্যে প্রতিপন্তাভিনন্ধিঃ ॥ 
অ$&,পা ৩. সু১৪॥ 


*ঞ্রাথ--টপাসকস্য মরণকালে যা প্রতীপত্ততিসান্ধঃ ব্রঙ্থপ্রাপ্তিসংকল্পঃ 
সা কার্য্যে ব্রঙ্গণি ন সন্ভবতীতোতম্মাদাপ কারণা গন্তব্যব্রহ্গণঃ পরতবম্‌। 
সা ন কার্ধ্ব্র্গবিষয়েতি তাপঃ1-“মামি প্রঙ্গাপতির সভাগৃহে যাইতেছি” 
এই জ্জান বা এ অভিসন্ধি কাধাব্র্গবিধয়ক নহে । পরত্রঙ্গ বিষয়েই এ অন্থ- 
সন্ধান এত হইয়াছে । (ভাম্তানুবাদ দেখ; | 


বা পন 


পা পারা সত শি শশা শি শপিশক। ৩ পশগলীঁি শা পি শা» শীত 


পা 


* 'যগ্ঠোচ্চারণমাজেণ সহঙ্গং যত্প্রভীয়তে । তন্য শবন্য য! শাক; 
সাহাভিধা পরিকীন্তিতা।” শব্ধ উচ্চারিত হইবামাএ যে অথ প্রভাত করায় 
সেই অর্থ অতিধামূলক ও যুধ্য। 


গা 


জীবের সংসার্গতি বর্ণন। ১৩৭ 


তাস্যার্থ_উপাসকের মরণকালীন “আমি প্রজাপতি ব্রহ্মার সতাগৃহ 
প্রাপ্ত হইলাম” এই যে শ্রত্যুক্ত সংকল্প, এ সংকল্প কার্য্ত্রক্মব্ষয়ক | 
(প্রজাপতি; সভা ও বেশাশন্দ থাকায় )| সে্জেন্ঠ গন্তব্য ব্রহ্ম পরব্রঙ্গ নহে, 
এরূপ আশঙ্কা করিও না। এ সংকল্প বা এ অভিপন্ধি কার্যযব্রঙ্গবিষয়ক নহে; 
উহাও পরব্রদ্ধ বিষয়ক | কারণ, “তিনি নামের ও রূপের নির্বাহক। নাম 
ও রূপ ধাহার বহির্বন্তী তাহা ব্রহ্ম |” আতিতে এবংক্রমে যে কার্য্যবিলক্ষণ 
ব্রন্মের অর্থাৎ পরব্রন্ধের প্রস্তাব আরন্ধ হইয়াছে, উক্ত গতি-এ্রাতি সেই 
প্রস্তাবের অন্তরগ। অতএব, পরব্রশ্গের প্রকরণে পরিপঠিত গতিক্রুতি 
সুতরাং পরব্রক্ষবিষয়িণী। এ প্রস্তাবের উপক্রমেও “আমি ব্রাঙ্গণদিগের 
যশ; (আত্মা) হইয়াছি। ক্ষত্রিয় দিগের ও বৈগ্ঠ দ্িগের যশঃ (আত্মা) 
হইয়াছি” এইরূপ কথা আছে। সন্বান্া পরু্রঙ্থ উক্ত প্রস্তাবে উপক্রাস্ত 
হওয়ায় বুঝিতে হইতেছে যে এঁ গ্রকরণ পরমাম্মারই প্রকরণ । (পরক্রঙ্গ ও 
পরমাতী তুল্য কথা ) এবং তত্প্রীকদীণোক্ত গন্তব্য ব্রঙ্গও পরব্রধ । যশ; শবে 
পরব্রক্গ বুঝার, এ কথা “ধাহাব অগ্ঠ নাম মহদযণঃ তাহার প্রতিমা (তুলনা ) 
নাই ।” এই এঞতিতে প্রসিদ্ধ । (ফলিতাথ--উপাসকের প্রদর্শিত প্রকারের 
মরণকালীন সন্ধল্প পরব্রঙ্গবিষয়ক, অপরব্রশ্ধবিষয়ক নহে ।) প্রো সন্বপ্প- 
বাক্যে গতিপৃর্বক ব্রহ্গবেশ্মপ্রাপ্ত অভিহিত হইয়াছে, আবার উহাই 
হা্দ বিদ্যায় (হৃদপণ্স্থব্রপ্ধোপাসনা প্রস্তাবে ) "সেই লোকে ব্রহ্মার অজ্ঞানীর 
অপরাজেয় (অপ্রাপ্য ) পুরী-যাহ! প্রভু ব্রঙ্গার নিন্মিত--তত্রস্থ হিরণায় 
গৃহ--তাহা তাহার! প্রাপ্ত হয়” এবংক্রমে অনুদিত হইয়াছে । অপি, আরতি 
বলিয়াছেন, প্রপঞ্চে--অর্থাৎ প্রজাপতির গৃহপ্রপ্ত হই, এই পদ-ধাতুর অর্থ 
গতি বা ষাওয়া!। এস্থলে গৃহে যাওয়া। সুতরাং তাহা পথলাপেক্গ। সে 
হেতুতেও স্থির হয় এ ব্রঙ্গবিষয়িণী গতিএ্তি পরক্রশ্গেই পর্যযবসিত। গন্তব্য 
্হ্ষবিষয়ে এইরূপ পক্ষদ্বয় দৃষ্ট হয়। পৃৰ্বোক্ত পক্ষ (যাহা সিদ্ধান্ত) বাদরি 
মুনির অর্থাৎ ব্যাসের অভিমত এবং পরোঞজ্জ পক্ষ জৈমিনি মুনির সম্মত। 
পরস্ত আচার্য ব্যাস উভয়পক্ষই সুত্রে গ্রাথিত কারয়াছেন। এক পক্ষের 
অবলম্বন গতির উপপত্ডি এবং অপর পক্ষের অবলম্বন ব্রহ্ষশধের মুখ্যতা। 
বিচার চক্ষে দেখিতে গেলে দেখা যায় -'*গতির উপপত্তি” এই হেতুটী মুখ্য 
হেতুকে আভতাসীরুত করিতে পারে কিন্তু মুখ্যত্ব হেতুটী গতির উপপন্তিকে 

৮ 


০০ 


"১৩৬৮ তত্বজ্ঞানামৃত ৷ 


আভাগীকত করিতে পারে না। (ফলিতার্থ_-গতিশ্রুতির উপপত্তি (সঙ্গত 
হওয়া) ব্রদ্মশবের মুখ্যার্থ তঙ্গ করিতে পারে কিন্তু বন্ষশবের যুখ্যার্থ গতি- 
শ্রুতির যুক্ততা নষ্ট করিতে পারে না)। সেই জন্তই আগ্যপক্ষ সিদ্ধান্ত এবং 
দ্বিতীয়পক্ষ (জৈমিনির পক্ষ) পূর্বপক্ষ । সম্ভব নাই অথচ মুধ্যার্থ গ্রহণ কর কে 
এরূপ আজ্ঞা দিতে পারে? এরূপ আজ্ঞার দ্রাতা নাই। যদিও উহ 
পরাবিস্তাপ্রকরণে উক্ত হইয়াছে তথাপি উহাকে পরাবিষ্ঠার প্রশংসার্থ অভি- 
হিত বলিলে দোষ কি? পরাবিগ্ঠার প্রশংসার্থ অপর] বিদ্যার আশ্রয় লওয়া 
ও গতি উপদেশ করা অনুপপন্ন নহে। যেমন পরা বিদ্যার প্রস্তাবে 
উৎক্রঘণের নিমিত্ত অন্টান্ত নাড়ী থাকা কথিত হইয়াছে সেইরূপ এখানেও 
পরক্রদ্ধপ্রস্তাবে অপরব্রহ্ম অতিহিত হইয়াছেন। “প্রজাপতির সভ।-গৃহ 
পাই--” এ বাক্যকে পৃর্ববাকা হইতে বিচ্ছিন্ন করিবেন। (পুর্ববাক্য ও এ 
বাক্য এক নহে, কিন্তু পৃথক । পুঝ্ব বাক্য পরব্রঙ্গ প্রতিপাদ্ক এবং এ বাক্য 
অপরব্রহ্মবোধক, এরপ স্থির করিবেন । করিলে সগুণ ব্রহ্ম প্রাপ্তির সংকল্প 
বিক্ষদ্ধ বলিয়া মনে হইবে না। সগুণ ব্রন্গে সার্বাত্ময কীর্তন সব্বগঞ্জ সর্বক্ম 
সর্ধকাম ইত্যাদির শ্তায় যোক্জনীয়। অর্থাৎ সগুণ পদার্থেও & & ওপচারিক 
প্রয়োগ হইতে পারে, হইলে তাহা অশাসন্ত্ীয় হয় না। অতএব, এ গতিশ্রুতি 
যে অপরব্রহ্মবিষয়য়িণী সে পক্ষে আব সংশয় নাই। এহ স্থলে কোন কোন 
ব্যাখ্যাকার বলেন, প্রথমোক্ত পক্ষই পুর্বপক্ষ এবং শেষে!ক্ত পক্ষই সিদ্ধানস্ত। 
তাহারা শেষোক্ত পক্ষের পিশ্কান্ততাব রক্ষার নিমিত্ত স্প্রোক্ত গতিশ্রুতিকে পর- 
ব্রন্ধে পর্যবসিত করেন। কিন্তু ত্তাহা হয় না। অথাৎ তাহ অন্নপপন্ন 
বা মুক্তিবিরুদ্ধ। কেননা পরব্রন্গের গন্তব্যতা নিতান্ত অন্ুপপরন ( অযুজ )। 
যিনি “যাহ! সব্বগত, সব্ধাস্তর, সব্বাতুক, তাহাই পরুব্রহ্ধা।" “তিনি আকাশের 
ন্যায় সর্ধগত ও নিত্য ।” “যাহা সাক্ষাৎ অপরোক্ষ অথাৎ স্বাধীন চেতন 
তাহা ব্রহ্ম ।৮ যে আত্ম। সমুদায় প্রাণীর অন্তরে বিরাজমান 1” “এ সমস্তই 
আত্মা” “এ সমুদায়ই ব্রহ্ম ও বরিষ্ঠ।” ইত্যাদি ইত্যাদি বিশেষরূপে নিদ্দিক্ 
হইয়াছেন, যুখ্যরূণে তাহার গঞ্ভব্যতা উপপন্ন হয় না। যাহা যাওয়া! আছে, 
« গাওয়া আছে, তাহ। আবার পাইব কি, যাইবই বা কোথান়? যাওয়া ও 
পাওয়] কি? যাওয়া ও পা1ওয়। তেদান্ুবিদ্ধ। অথাৎ এক একস্থখন হইতে 
অন্যত্র যায় ও এক অন্য এক'কে পায়। উক্ত প্রকাবের যাওয়া ও পাওয়। 


জীবের সংসারগতি বন । ১৩ 


লোকবিদিত ; সুতরাং পরিপূর্ণস্বভাব অধয় ব্রন্গে যাওয়া ও পাওয়া *উভমুই 
বিরুদ্ধ। যদ্দি বল। লোকমধ্যে দেশাস্তরবিশিষ্টত। অনুসারে গতের গন্তব্যতা বা 
প্রাপ্তের প্রাপ্তব্যতা দৃষ্ট হয়, যেমন পৃথিবীস্থ ব্যক্তি দেশান্তর দ্বারা পৃথিবীতেই 
গমন করে, পৃথিবীকেই পায়, বালক যেখন কালাস্তরবিশিষ্ট বার্ধকো গমন 
করে বা বার্ধক্য পায়, সেইরূপ, সর্ধশক্তিমান্‌ ব্রহ্গও কোন এক প্রকারে গন্তব্য 
হইতে পাবরেন। ( পুথিবীতে যাওয়াই আছে, পুথিবীকে পাওয়াই আছে, সে 
ভাবে পৃথিবী গত ও প্রাপ্ত; কিন্তু এক প্রদেশ হইতে অন্য প্রদেশ, এ ভাবে 
পৃথিবীর সেই সেই অংশ গন্তব্য ও প্রাপ্তবা। যেবালক সেই বৃদ্ধ সুতরাং 
বাল্য ও বার্ধক্য স্বাআ্বভূত, এ ভাবে বার্ধক্য গন্তব্যও নহে, প্রাপ্তব্যও নহে। 
কিন্তু কালান্তরে প্রকটপ্রাপ্ত হয়, সে ভাবে বার্ধক্য গন্তব্যও বটে, প্রাপ্তবাযও 
বটে) ইহার প্রতুযুন্তরে আনরা বলি, তাহা নহে"। অথ প্রদেশের ও 
বার্দকোর গন্তব্যত। আছে দেখিয়৷ তর্থষ্টান্তে ব্রঙ্গের গপ্তব্যতা নির্ণয় করিতে 
পার না। কারণ, ব্রহ্ম প্রদেশাদি পরিহীন | যত প্রকার বিশেষ ব। প্রতেদ 
উল্লেথ করিবে সমস্তই ব্রন্মে প্রতিষিদ্ধ। এব্রন্ধ নিষ্কল (তাহার অংশ বা 
প্রদেশ নাই), নিষ্ধিঘ্ ( চলন ব। গাত নাই ), শান্ত, অনিন্দিত। 
নির্লেপ।” “তিনি স্থূল নহেন, হম্মুও নহেন, স্ব নহেন, দীর্ঘও নহেন।৮ 
“বাহিরেও তিনি, অস্তররেও তিনি। যেহেতু তিনি নিত্য --জন্মবান্‌ নহেন।” 
“তিনি মহান, জন্মবন্দ্ধিত, আত্মা, অঙ্জর, অমর, অভম্ম ও নিরতিশয় বৃহৎ 
অর্থাৎ পূর্ণ ।” “ইহা নহে, ইহা নহে, এইরূপে জ্ঞেয় অর্থাৎ সর্বনিষেধের 
সীযান্বরূপ।” এইরূপ এইরূপ শ্রুতি, তন্থুলা স্বৃতি ও তদনুকুল। যুক্তি বিদ্য- 
মানে ব্রন্ষের প্রদেশ, অবস্থা, কালকৃতবিশেষ কি অন্ত কোনরূপ প্রভেদ 
থাকা কল্পনা! করিতেও পারিবে না। সুতরাং তাহার তৃপ্রদেশ, বন ও 
অবস্থার অন্রূপ গন্তব্যত! আছে বলিতেও পারিবে না। পৃথিবী ও বয়স 
এ ছুএর প্রদেশ ও অবস্থাবিশেব থাকায় তদ্বিশিষ্ট গন্তব্যত। মান্। করিতে 
পার, কিন্তু ব্রন্মে তাহা পার না। ব্রহ্ম জগতের উৎপত্তির, স্থিতির ও 
প্রলয়ের কারণ, এইকবপ শুতি থাকায় তর্ষ্টে ত্রন্মের নানাশক্তির যোগ 
আছে বলিবে, 'তাহাও পারিবে না । কারণব্রন্জে কোনরূপ বিশেষ 
নাই, এতদর্থপ্রতিপাদক নিষেধ শ্রুতি সকল অনন্তা্থ অর্থাৎ নির্বিশেষ 
অর্থে ই প্রঘাণ। (উৎপত্তি শ্রুতি সকল স্বা্ে প্রমাণ নহে।) উৎপত্বি- 


কাট 


০ তত্বজানামূত | 


স্থিতি- প্রলয়- -বোধিনী-ঞ্তি স্বার্থে প্রমাণ, এ কথ! বলিতে বা স্বীকার 
করিতে সমর্থ নহ। কারণ, এ সকল শ্রতির কারণের একত্ব- 
প্রতিপাদন অর্থেই তাৎপর্য, উতৎ্পত্তাদি অথে” তাৎপর্য নহে। থে শাস্ত্র 
মুত্তিকাদির দৃষ্টান্ত আহর4 'করিয়া ব্রদ্ধাত্বয়ের সত্যতা! ও বিকারের মিথ্যাত্ 
প্রতিপাদন করিয়াছে সে শান্ত ব্রন্গেকত্বপর ব্যতীত উৎপত্তাদ্িপর হইতে 
পারে না। (ণ্যংপরঃ শব্দং সশব্দাথ$” এই গ্ঠায় বা নিয়ম অনুসারে শৃষ্টি- 
ঞতি অন্তপরতা (বিধায় স্বাথে অপ্রমাণ বলির! স্থির আছে )। উৎপত্ত]াদ্দি 
শ্রুতি বিশেষ নিরাকরণ এঞাতর উপকারকমাজ্স, এ কথাই বাবলি কেন? 
বিশেষ নিরাকরণ এুতি উৎপত্যার্দির উপকারক, এ কথাই বা না বলি 
কেন? তাহা বলিতেছি। বিশেষনিধারিণী ভরতি নিরাকাক্ষ--_অর্থাৎ 
এঁ সকল শ্রুতির অথ অবগতিগোচরে আপিলে খ্রোতার কোনরূপ আকাঙ্। 
থাকে না, আপনার অদ্বয়ত্ব নিতাত্ব ও শুদ্ধত্ব সাক্ষাংক্কৃত হইলে পুরুযার্থ 
বুদ্ধি সমাপ্ত হয় সুতরাং তথন আর কোনও কিছুর আকাঙ্ষা থাকে না। 
(আর কিছু বিজ্ঞেয় থাকে না_কোনও কিছু জানিবার ইচ্ছ! থাকে না।) 
“একত্বদর্শীর তখন শোকই বাকি? মোহই কি? হে জনক! তুষি 
অভতয়প্রাণ্ত হইয়াছ।” এত্রঙ্গজঞানী কোনও কিছু হইতে ভয় প্রাপ্ত হন না।” 
(অন্ত কিছুর বোধ থাকিলে ত তাহা হইতে তয় হইবে। জ্ঞানীর দৃষ্টিতে 
আত্মাতিরিক্ত বন্ত নাই সেইজন্য জ্ঞানী নিয়) “আমি সৎকন্ম করিলাম 
কি অসংকর্ম করিলাম এ চিন্তা জ্ঞানীকে তাপিত করে না।” ইত্যাদি 
ক্রতি শ্রেতার প্রম৷ (মাপনার ব্রঙ্গতাবোধ ) উত্পাদন করিলে আর 
তাহার কিছু জানিবার প্রয়োজন থাঞ্চে না। ধাহার! জ্ঞানী--তাহা দিগকে 
এ পর্যন্ত জানিয়াই পরিতুষ্ট থাকিতে দেখা যায় এবং শান্ত্রকে বিকারের 
মিথ্যাত্ব ও মিথ্যাবিকারে অভিপসন্ধিমানের নিন্দা করিতে দেখ। যায় । 
যথা-“সে মৃত্যুর বশতাপন্ন হয়-যে ব্রদ্ধে নান। অর্থাৎ ভেদ দর্শন করে।” 
অতএব, যে কল এতি ব্রন্ষের বিশেষ ( নানাভাব) নিষেধ করিতেছে সে 
সকল শ্রুতিকে অন্ত শ্রুতির অর্থাৎ উৎপদ্ধ্যাদি-বোধিকা শ্রুতির অঙ্গ বলিতে 
কদাচ গার না। অর্থাৎ উত্পত্তাদি এতি প্রধান, আর বিশেষনিষেধক বা 
নিগুণ প্রতিপাদ্ক শ্রুতি অপ্রধান ( ভৎপত্যাদি শ্রুতির ব। গুণপ্রতিপাদ্দক 
তির পোষক ) এরূপ বলিতে পার না। কারণ বিশেষনিষেধক অতি 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৪ 


যেরূপ নৈরাকাজ্জ) প্রতিপাদন করে, উত্পত্ত্যাদি এতি সেরূপ নৈরাকাঙ্ঘ। 
প্রতিপ।দন করিতে ক্ষমবতী নহে। উতৎপত্যাদি শ্রুতির অন্য শেষতা (মাত্র 
বিশেষ নিবারক শ্রুতির উপকারকত্ব ) প্রত্যক্ষ সিদ্ধ। (ম্প্টুই অনুভূত হয় 
যে, গগনুল অত্র ব্রঙ্গ বুঝাইবার জন্যই উত্পত্তার্দি শ্রুতি প্রবৃত্ত | ) 
নিদর্শন দেখ -ভ্রতি বলিতেছেন “সৌম্য! শ্বেতকেতু। 1 এ বিষয়ে এই 
শুঙ্গ অর্থাৎ হেতু অবগত হও যে এ জগ মূলশুন্য নহে । অর্থাৎ অবস্থাই 
ইহার একটী মুল (মাদি কারণ) আছে।” এ্রুতি এইরূপ বণিয়! পশ্চাৎ 
বলিয়াছেন .-দেখাইয়াছেন-_-একমাজ। সত্ই জগতের মূল এবং তাহাই 
বিজ্ছেয় । | সতৎস্ব্রদ্ম )1 এনা এতিও বলিয়াছেন | যথা -“ধাহ। 
হইতে এই ভূত সকল উৎপন্ন হইয়াছে, ধীহাতে স্থিত হহতেছে, প্রলয়কালে 
ধাহাতে এ সকল লান হইবেক, তুম তাহাকেই জান--তিনিই ব্রহ্ম ।” 
ইহাতে বুঝিতে হইতেছে যে, উৎপত্তি প্বিতি-বিনাশ-বোধিক্া। ঞতি একাঘর 
্রচ্গ বুঝাইতেই প্রবৃত্ত! এবং তাহতেই সে সকল শ্রুতির তাৎপর্য, তাহাদের 
স্বর্থে তাত্পধ্য নাই, স্বার্থে তাৎপর্য) না থাকায় তাহারা স্বাথে অপ্রমাণ 3, 
কিন্তু পরার্থে অর্থাৎ বিশেষ নিষেধক ও অথটৈকরসত্রক্ষবোধক শ্োত অর্থে 
প্রমাণ। যেহেতু স্বাথে অপ্রমাণ, সেই হেতু তাহাদের দ্বার! ব্রন্মে অনেক 
শক্তির অস্তিত্ব বা ব্রন্মের নানাত্ব মানা করিতে পার না। ব্রহ্ম যে মুখ্য গন্তব্য 
নহেন (পাওয়। ছিল না, পাওয়া হইল, -য1ওয়। ছিল না, যাওয়া হঈল,-- 
এরূপ হইলে তাহা মুখ্য গন্তবা হয়। যেষন গ্রাম নগরাদি।) তত্প্রতি 
অন্য হেতুও আছে। সে হেতু এই--“ন তন্য প্রাণ উৎক্রামন্তি--ব্রহ্গপ্রাপ্ত 
জ্ঞানীর প্রাণ উৎক্রান্ত হয় না অর্থাৎ কোথাও গমন করে না, সেই দেহেই 
লয়প্রাপ্ত হয়।” “তিনি ব্রঙ্গই ছিলেন পরন্ত অজ্ঞাত ছিলেন, অজ্ঞান 
তিরোহিত হওয়ায় যেবত্রঙ্গই সে-ই ব্রহ্ধই হইলেন | এই শ্রুতি 
বলিকাছেন, পরব্রদ্দে গতি হয় না (যাওয়া নাই)! এ রহস্য বিশদরূপে 
এস্পষ্টো৷ হোকেষায্” সুজ্ে বণিত হইয়াছে। যদ্দি গতি কল্পনা কর অথণাৎ 
গন্ত] জীব ব্রদ্দে গমন করে বল, তাহা হইলে তোমার প্রতি এইরূপ প্রশ্ন 
হইবে যে, গন্ত। অর্থাৎ গমনকর্ত। জীব কি গন্তব্য ব্রন্দের অবয়ব (অংশ)? ন। 
বিকারবিশেষ? অথবা সর্ব! ভিন্ন? অবশ্যই কোনরূপ তেদ আছে বলিতে 
হইবেক, নচেৎ গমন-কথ। উপপন্ হইবেক না। ( গমন কিনা যাওয়া বা! পাওয়া, 


স্চছং তত্বক্ঞানামৃত। 


তাহা ব্িতিন্ন পদার্থ ব্যতীত ঘটে না। ) যদ্দি বল, সে কথায় আসে যায় কি? 
এ গরশ্নের ফ্গ কি? তাহা বলিতেছি। জীব যদি ব্রঙ্গের একদেশ ( অবয়ব) 
হন, তাহ! হইলে ব্রন্ধ জীবের নিকট সর্বদাপ্রাপ্ত আছেন, স্থৃতরাং পুনর্ধবার 
ব্রদ্ষগমন বল! অযুক্ত। আরও দোষ এই যে, ব্রঙ্গ যখন নিরবয়ব-- 
নিম্পদেশ --তখন জীবকে ব্রদ্ষের প্রদেশ বা! অবয়ব বল! নিতান্ত বিরুদ্ধ । এ 
দোষ বিকার পক্ষেও আছে । বিকারীও বিকারের নিকট নিত্যপ্রাপ্ত। ঘট 
একটী বিকার (মৃত্তিকা বিকার), সে সর্বদাই মৃত্তিকা প্রাপ্ত আছে। ঘট 
কোনও কালে মৃত্তিকা পরিত্যাগ করিয়া বিগ্ঠমান থাকে না। ঘট যখন 
মুত্তিকাভাব ত্যাগ করিবে তখন সেনিঞ্জেও অভাবগ্রন্ত হইবেক অর্থাৎ 
থাকিবেক না। জীব ব্রদ্ধের বিকার কিংবা অবয়ব, এই ছুই পক্ষে আরও 
দোষ দেখা যায়। যেবিকারবিশিষ্ট সে বিকারী। যে অবয়ববিশিষ্ট সে 
অবয়বী। এন্থলে জীববিশিষ্ট ব্রহ্ধই উক্ত শবদ্বয়ের (বিকারী ও অবয়বী 
এই ছুই শব্দের) অভিধেয়। অথচ তিনি স্থির পদার্থ । স্থির পদার্থের গমন 
নিতান্ত অনবক্গ্ত অর্গাৎ তাহা কল্পনারও অযোগ্য। (ক্রহ্গ স্থির পদার্থ 
স্তরাং তদংশ বা] তদ্বিকার জীবও স্থির পদার্থ। সুতরাং জীবের ব্রহ্গগমন 
অসিদ্ধ। আমাদের মতে অজ্ঞান বিজস্তিত উপাধির গমনাগমনে জীবের 
গমনাগমন ভ্রমগৃহীত স্থতরাং অদোষ) যদি বল; জীব ওব্রন্দ অত্যন্ত ভিন্ন। 
তাহা হইলে বলিতে হইবেক,_-জীব অণুপরিমাণ, কি মহান্‌ ব্যাপী, কি মধ্যম 
পরিমাণ (শরীরপরিমাণ)1 মহান্‌ ব্যাপীর গতি অসিদ্ধ; সে জন্য মহান্‌ 
ব্যাপী বলিতে পার না। মধ্যম পরিমাণ ব্লিলে অবশ্যই জীবকে অনিত্য 
অর্থাৎ নশ্বর বলিতে হইবেক। (বিচারে এ পক্ষেও ব্রহ্ষগমন বা! মোক্ষ 
অনুপপন্ন।) অণুপরিমাণ পক্ষও সদ্দোষ। জীব পরমাণুতুল্য সুক্ম হইলে এক 
সময়ে সর্বশরীর বেদন! (জ্ঞান ) অসপ্তব হইয়া পড়ে। এ সকল কথা পূর্বে 
বিশদ ও বিস্তার পৃর্বক-বলিয়৷ আসিয়াছি। জীব সর্বসূল ব্রঙ্গ হইতে দ্ত্যন্ত: 
ভিন্ন হইলে “তত ত্বং অসি--তিনিই তুমি” ইত্যাদি শ্রুতি বাঁধা প্রাপ্ত হুয়। 
এ দোধ (শ্রুতি-বাধ। ) বিকার পক্ষে ও অবন্ধব পক্ষেও আছে । বিকার ও 
বিকারী অবয়ব ও অবন্নবী এক, ভিন্ন নহে, শআর্তিবাধ দোষ হইবে কেন? 
একূপ বলিতে পার না। কারণ, তাহাতে মুখ্য একত্ব নিপপন্ন হয় না। (মুখ্য 
একত্বই অর্থাৎ ব্রহ্গাদ্বৈতই শ্রুতির অভিপ্রেত )। যতগুলি পক্ষ স্থাপন করি- 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। 55 


লাম সমুদায় পক্ষেই অনির্থোক্ষ (মুক্তির অভাব) ও সংসারিত্বের জনিবৃত্তি 
€ই দ্বুই দোষ অনিবার্ধ্য। সংসারিত নিবৃত্তি হয় বলিতে গেলে আত্মনাশের 
আপত্তি (আপনার অতাব --ন! থাক1) হইবেক। এই স্থলে কেহ কেহ 
জল্পনা করেন, পাপোত্পত্তি না হয়, এই অভিসন্ধিতে তছৃদ্দেশে বিহিত নিত্য 
নৈমিত্তিক কর্মের অনুষ্ঠানে রত থাকা, স্বর্গ-নরক না জন্মে, এই অভিপ্রায় 
কাম্য নিধিদ্ধ বঙ্জন করা, ভোগদ্বারা বিনষ্ট হয়, এরূপ ভাবে বিদ্যমান দ্েহ- 
ভোগ্য তোগের ধার! প্রারন্ধ কন্মের ক্ষয় করা, এই তিনের সমাবেশে কাল- 
কর্তন করিতে পারিলে দেহপাতের পর দেহাস্তর প্রতিসন্ধানের কারণ না 
থাকায় * শ্বরূপাবস্থানব্ূপ মোক্ষ বিন! ব্রঙ্গাত্মজ্জানেও সিদ্ধ হইতে পারে। 
কর্মজড়দিগের এই সিদ্ধাপ্ত প্রমাণশন্য ; সুতরাং সৎসিদ্ধান্ত নহে। রূপে যোক্ষ 
হয় ইহা কোনও শাস্ত্র বলেন নাই। মোক্ষারথী কথিতপ্রকার আচার অবলম্বন 
করিবেক, এরূপ বিধান কুক্াশি দুষ্ট হয় না। এ কথা তাহারা নিজ বুদ্ধির 


থা 


দ্বার! উতপ্রেক্ষ। ব1 উহা করিল্না বলেন, সেজন্/ তাহ প্রমাণ নহে এবং তাহাতে 


প্রযাণ দিতে পারেন না। তাহাদের তর্ক এই - “সংসার কর্মনিমিস্তক-_- 
কন্মপ্রতাবেই সংসারগতি লব্ধ হয়। যদি কল্ম ( অনুষ্ঠানজনিত পুণ্যপাপ বা 
ধন্বাধন্ম ) না থাকে, তাহা হইলে নিমিত্ত না থাকা নোমাতক সংসার 
( পুনজ্জন্ম ) হইবে না।”  ক্ম্মজড়াদগের এ তর্ক তর্ক নহে; কিন্তু তকাতাস। 
কারণ, নিমিত্তাভাব (একবারে, কম্মসভভাব নাথ।কা) নিতান্ত ছুজেয়। 
যেহেতু নিতান্ত ছুজ্জে য়, বুদ্ধর অগম্য, সেই হেতু তাহা অসিদ্ধ বা সংশয়িত। 
এরূপ তর্ক না করাই উচিত এবং তাহা সঙ্গতও নহে । লক্ষ লক্ষ জন্ম ব্যতীত 
হইয়াছে, সেই সেই জন্মে লক্ষ লক্ষ কন্ম করিয়াছে, তজ্জনিত লক্ষ লক্ষ ইষ্টানিষ্ 

* দেহান্তরপ্রতীদন্ধান অর্থাৎ পুনজ্জন্স। পুনজ্জন্মের প্রতি কারণ, শুতা- 
শুভ কল্প (পুণ্যপাপ); তাহা কাম]নিষিদ্ধ কম্মাগ্ুষ্ঠানপতভব | জীব যর্দি 
কাম্যকর্মা ও নিষিদ্ধ কম্ম না করে, তাহা হইলে স্বর্গ নরক ভোগের কারণীভূত 
পুণ্যপাপ সঞ্চিত হয় না। নিত্য নৈমিত্তিক কম্মের অনুষ্ঠান করায় পাপোৎ- 
গন্তি হওয়। স্থগিত হয় এবং সঞ্চিত পুণ্যপাপ যাহা থাকে তাহা ভোগ দ্বার 
ক্ষয় প্রাপ্ত হর। সুতরাং তাদৃশ কর্মীর পুনজ্জন্মকারণের অশাব হওয়ায় 
কৈবল্য লাভ হইয়া থাকে । 


১৪৪ তথজ্ঞানামূত। 


ফলগ্র্ পুণ্যপাপ সঞ্চিত হইয়া আছে, সেই সকল বিরুদ্ধফল কম্মের ফলভোগ 
এক সময়ে ও এক দেহে সমাপ্ত হইবার সম্ভাবনা! কি? কন্মাশরস্থিত কোন 
কোন কর্ন (পুণ্য ও পাপ) পৃৰ্বদেহের পতন কালে প্রবল অর্থাৎ ফলদানো নখ 
হইয়। এতজ্জন্ম জন্ম ইয়াছে, হয় ত আরও লক্ষ লক্ষ কর্ম কম্মাশয়ে তুষীন্তাবে 
থাকিয়া! দেশ, কাল ও নিমিত্ত বিশেষ প্রতীক্ষা করিতেছে । সে সকঙ্প পুণ্য- 
পাপ ফল দিবার অবসর পান্ন নাই, সময় পায় নাই, তুক্ীস্তাবে আছে, থাকিয়' 
দশ, কাল ও নিমিত্তাস্তর (অন্ত দ্রেহ বা জন্মান্তর) প্রতীক্ষা করিতেছে, 
এতদ্দেহে এতদদেহোচিত তোগ দ্বারা সে সকল কম্মের ক্ষয় হইবার সম্ভাবনাও 
নাই। অতএব, বর্ণিতপ্রকার সদচারীর বিদ্বমান দেহের (এতদদেহের ) 
বিনাশ হইলে যে তাহার আর কম্মশেষ থাকবেক না, অভুক্তফল পুণ্যপাপ 
থাকিবেক না, দেহাস্তরোৎ্পত্তির কারণের অভাব হঠবে, তাহা কে নিশ্চয় 
করিয়া! বলিতে পারে? কেহই পারেনা। বরং কন্মখ শেষথাকে, জান 
বাতীত নিঃশেষে কন্মক্ষয় হয় ন।, এই পক্ষই সিদ্ধ হয় অর্থাৎ প্রমাণে পাওয়া 
যায়। “ইহলোকে যাহারা রমণায়চারী অর্থাৎ পুণ্যণাল--” ইত]ার্দি ইত্যাদি 
শতি ও তদনুকুলা সৃতি উভয়ই কম্মশেষসত্তাব পক্ষে প্রমাণ। নিত্যনৈমিত্তিক 
কর্ম পৃর্বসঞ্চিত কর্মের ( অবৃষ্টেত্র) নিবারক, এ কথা স্থানপ্রাপ্ত হইবে না 
(থাকিবেক না)। কারণ, উক্ত উভয়ের মধ্যে বিরোধ নাই। বিরোধ 
থাকিলেই ক্ষেপাক্ষেপকতা ঘটে, অন্তথ! তাহা ঘটে না। জন্মান্তরসঞ্চিত 
স্বকৃতের সহিত নিত্য-নৈমিত্তিক কম্মের কি বিরোধিতা আছে যে নিত্য- 
নৈমিত্তিক কর্মে পূর্বসঞ্চিত সুকৃত বিদুরিত হহবে? শুদ্ধে অশুদ্ধে বিরোধ 
আছে বটে; কিন্ত শুদ্ধে শুদ্ধে বিরোধ নাই। পুর্ব সুরত ও শুদ্ধ, নিত্য- 
নৈমিত্তিক কর্মাও শুদ্ধ; সুতরাং বিরোধ না থাকায় নিত্যনৈমিত্তিক করে 
নুকতের প্রক্ষয় অস্বীকার্ধয। বরং অশুদ্ধ বলিয়া ছুগিতাপৃব্ব সকল শুদ্ধিরূপ 
নিত্যনৈমিত্তিক কম্মে শেপ্য হইতে পারে। সঞ্চিত ছুপ্িত নিত্যনৈমিত্তিক 
কর্মে ক্ষেপ্য, ইহা স্বাকার করিলাম বলা যে দেহাস্তরোৎ্পত্তির নিমিত্ত ব। 
কারণ না থাকা সিদ্ধ হইবে, তাহা হইবে না। হৃষ্কতরূপ কারণের অভাব 
হইলেও সুকৃত কারণের অভাব হয় না। সুকৃতরূপ কারণ (পুখ্য) বিগ্ভমান 
থাকিতে পারে। তাহ! থাকিলেই পুনজ্জন্ম হইবেক। নিত্যনৈমিত্তিক কর্ে 
দুরিতক্ষয় হয় সত্য? পরন্ত তাহা নিরবশেষ ক্ষগ কি ন।) সেখিষর় সংশঙ্ধিত। 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৪৮- 


( পূর্বেই বলিয়াছি, লক্ষ লক্ষ জন্ম হইয়। গিয়াছে, সেই সক্ণ জন্মের সঞ্চিত 
কর্ম এক জন্মের কর্থে অথবা ভোগে প্রক্ষ্র হওয়ার সন্তাবন। নাই ।) নিত্য- 
নৈমিত্তিক কন্মের অনুষ্ঠান হইলে তাহাতে পাপের অন্ৎ্পত্তি মাঞ্র সিদ্ধ 
হইবে, তাহা হইতে যে অন্য কিছু হইবে না অর্থাৎ ফলান্তর জন্মিবেক শা, সে 
বিষয়ে কোন প্রমাণ নাই | অবশ্বহ তাহাতে কোন ( একটা হইতে গেলে 
তত্সঙ্গে যে বিনা যত্তে আর একটা হয় সেইটা অন্ুনিষ্পন ) অনুনিষ্পন্রী ও 
অনভিসন্ধিত ফল হওয়ার সুসস্তব আছে। খধি আপপ্ুস্ব এ কথ! দৃষ্টান্তের 
ঘার। বুঝাইয়। দিয়াছেন | যখা--“ফলের উদ্দেশেই আমরক্ষ রোপিত হয় 
কিন্তু পরে তাহ। হইতে ছায়া ও গন্ধ উৎপন্ন হইয়া থাকে । এই যেখন দৃষ্টান্ত, 
তেমনি, কামন। পরিহীন হইয়া ধন্মাচরণ ( নিতানৈমিত্তিক কম্ম) করিলেও 
তাহ। হইতে অলক্ষ্যে অন্ত অর্থেরও আগমন (উৎ্পভি) হয়।” (অতএব, 
পাপের অনুতৎপণ্ডি ব্যতীত অন্ত ফল অভিহিত ও অনুসন্ধত না হলেও কত্তার 
অজ্ঞ(তপারে নিত্যনোমত্তিক কশ্ম ফলাবশেষ উৎপাদন করিয়া থাকে, এবং সেই 
সকল ফল পুনঃ সংসার গতির কারণ হয়।) অপিচ, সম্যক্‌ দর্শন অর্থাৎ তব্জ্ঞান 
উদ্দিত ন! হইলে কোনও জীব যে জীব্দশায় এ দিকে জন্ম ও দিকে মরণ, 
মধ্ো ) সম্পূর্ণরূপে কাম্য নিষিদ্ধ বজ্জন করিয়া থাকতে পারে অথবা বজ্জনের 
প্রতিজ্ঞ কিয়! তাহ। পরিপালন করিতে পারে, তাহ! আমাদের বিবেচনা" 
খহিভূতি। অত্যন্ত নিপুণ (সাবধানী ) পুকষেএও হঙ্ম অপরাধ হইতে দেখা 
যায়। (অজ্ঞাতপারে থে কত শত সদসৎ কনম্ম হহতেছে তাহা কে গণনা 
করিয়া পলিতে পারে ।) কম্মাশয়ে সাঞ্চত কমলো মধ্যে যে কাম্যকম্ম নাহ 
তাহা কে বলিতে পারে। থাকতেও পারে, না থাকিতেও পাবে, এরূপ 
সংশয়ও পুনজ্জন্মো কারণাতাখ জ্ঞানের বাধক। ফলকথা, নির্িত্তাভাব 
অর্থাং জন্মকারণ না থাকা পক্ষ নিতান্ত ছুঙ্েয়। যদি তোমরা জ্ঞানগম্য 
ব্রঙ্গাক্মতাব শ্বীকার না কর, আর আম্মা কওঁতোতৃশ্ষতাৰ এপূুপ অশধারণ 
কর, তাহা হইলে তোমাদের কৈবল্য লাতের প্রত্যাশা ছুরাশা ব্যতীত 
অন্ঠ কিছু নখে । ক্েন-ন।। স্বঙাৰ অপরিহাব।। অগ্রি যেমন ভক্ঃস্বতাখ 
ত্যাগ করে না, তেমনি, মআম্মাও কৰ্ুভোকস্বভাব ত্যাগ কারুবেন না। 
(কাষেই কেবণ হওয়ার প্রত্যাশ। হরাশ।) যাদ খল, কার্ধযভুত ক্তৃত 
ভোক্ভবই অনথ? তাহা শি নহে, কিন্তু শক্তিএ কাধ্য, শি থাকে থাকুক, 
১৯ 


স্স০৯১৪৬ তত্বজ্ঞান।মৃত। 


ঙ্ফা। 


কাধ্যপরিহার হইলেই মোক্ষ হইতে পারে। কার্য্যতৃত কর্তৃত্ব তোতৃত্বই 
অনর্থ, বদি তাহাই পৃহিত হইল ত যোক্ষ না হইবে কেন? ইহার প্রত্যুত্তরে 
আমরা বলি, তাহা বলিতে পার না। কেন-ন। শক্তি থাকিলে কার্য্যোৎপত্তি- 
নিবারণ হয় না। কেবল। অর্থাৎ সহা-শৃষ্ঠ। শক্তি কার্ধ্য (কোন কিছু অর্থাৎ 
কর্তৃত্বাদি ) জন্মায় না, পিমতাশ্তরের যোগেই কার্য ( কর্ঠব্বতোক্তৃত্বর্ূপ অনর্থ_ 
সংসার ) জন্মায়, দেই নিশিত্তান্তর ( পুণ্যাপুণয) বিধ্বস্ত করিতে পারিলে 
শক্তি একাকিনা হছবেক, একা কিনা অপরাধপাজ্ী নহে অর্থাৎ অনর্থ 
জন্ম ইতে পারবে না, এরূপ ধশিলেও অভাষ্টুসাধন হইবেক না। কারণ, 
নিমিত্ত সকল শক্তনামক সধঘন্ধে সহিত সব্বদ। সন্বদ্ধ; 'ত|হার অবিচ্ছেদ 
ব্যতীত বিচ্ছেদ দুষ্ট হয় না। অঠএব, মান্মা কতভোকৃম্বতাব হণ হউন 
তাহাতে ক্ষতি বোধ কারন, কিন্ত 'বগ্চাগম্য বঙ্গাগ্রতাব না থাকিলে 
কিছুতেই তাহার মুক্জর প্রত্যাশা! নাই । গ্ুতিও খলিয়াছেন, জ্ঞান অর্থাৎ 
ব্রহ্মাত্সভাব সাক্ষাৎকার ব্যতাত মোফের অগ্ঠ উপাষ নাই। যথ।--পব্রঙ্ষ- 
প্রাপ্তর অন্ত উপায় নাই ।” যদি এমন আপা কর যে, জীব পরব্রঙ্গ হইতে 
অতিন্ন হইলে খ্যবহার বিলোপ ও প্রত্যক্ষাদ প্রমাণের অগ্রবৃত্তি হইও। (তুমি 
আমি ও ইহা দেখিতেছি তাহা দোখব, হত্যাদ ব্যবহার নিষ্পন্ন হইত 
না। ) উক্ত আপত্তির প্রত্যাপান্ত এই ত্য, প্রবোধের অপ ব্র্গাআজ্ঞান জন্মি- 
বার পৃন্বে স্বপ্রনিদর্শনে পযুদায় বাহার উপপর্ন হ5তে পারে। (শ্বপ্নকালে 
আত্মা আপণিই আপনাকে দেখেন) শান্্রও এ কথ বাঁলয়াছেন। যথা-- 
“যখন তিনি অজ্ঞানাবরণে দ্বৈতের ন্যায় হন তখনই অন্ত হইয়। অন্ত দেখেন।” 
এই শাস্ত্রে দেখা যায় যে, অনাস্মজ্ঞ অণহম প্রত্যগাদি ব্যবহার থাকে এবং 
অন্ত শাস্ত্রে দেখা যায়, প্রবুদ্ধ হইলে পরমাথ পক্ষে তেদব্যবহার থাকে না, 
লুণ্ড হইয়া যায়। যথা -“এ সবুদায়ই যখন আত্মা হইয়। যায়, অর্থাৎ 
সর্বত্র আত্মদর্শন হয়, ৩ধন, কে কি পিয়।কি দেখিবেক। তখন ভেদ- 
ব্যবহার থাকে না), এই শান প্রবোধকাণে বাস্তব প্রত্যক্ষাদ বাখহারেখ 
অতাব দেখাইয়াছেন। অতএব, পরত্রঙ্গের গন্তব্যাদি বিজান বিত 
প্রকারে বাধিত (অর্থাৎ থাকেনা ।) স্থুতরাং তাহার গতির বা 
পাওয়ার যুক্তিযুস্ততা অপধারণ করিতে পার না। তবে গতিগ্রতির গতি 
কি? তাহা বলিতেছি। সগুণ ক্রহ্মবিজ্ঞানেই গতি উপপন্ন হয় এবং গতি 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। 375- 


সেই সেই উপাসনাতেই কথিত হইগ্লাছে। কোন কোন স্রতি পঞ্চাগ্রিবিগ্থা 
প্রস্তাবে গতি (গমন পূর্বক ব্রন্মপ্রাপ্তি) বলিম্মাছেন। কোন কোন শতি 
পর্যযস্কবিগ্ঠায় ও কোন কোন এঞতি বৈশ্বানরবিগ্য(য় ব্রহ্মগমনের কথ। বলিষা- 
ছেন। যেখানে দেখিবে যে. কাত বন্ধের প্রস্তাব ( অবভারণ। ) করিয়া গতি 
বলিয়াছেন । যথা--প্রাণই ব্রঙ্গ সুথই ব্র্গ, আকাশই ব্রহ্ম ইত্যার্দি এবং 
ব্রন্মপুরে (হৃদয়ে) এই যে, অল্পপরিমিত পদ্ম(কার গৃহ, ইত্যাদি । বুঝিতে 
হইবে যে ব্রন্ধম সেপানে বামনাত্বাদি ও সভাকামহাদি গুণে উপাসিত 
হইতেছেন স্ুতরা” পেখানে সেহ সেই গুণযুজ্জ উপাসনার গতিরূপ ফল 
স্ুসন্তব। সণ ব্রঙ্গবিষয়েই গতি শ্রবণ আছে কিন্তনিগুণ ব্রহ্গে অর্থাৎ 
পরত্রঙ্গে গতি শণণ নাই । অধিকন্ত হাহাতে গতি নাই বলিয়্াই অভিহিত 
হয়। যথা--পরব্রঙ্গাতিজ্ঞের প্র1ণ উতক্রান্ত হয় না? “পরব্রহ্মবিৎ পরত্রঙ্গ- 
প্রাপ্ত হন।” ইভাাদ শত যাদ্দও মাখেতি -আপ্-পাতুর অর্থ গতি, 
তথাপি সে গতি দ্েশান্তব ব! পদ্ার্থাস্তুর প্রার্ুৰপা নহে। বণিত প্রকারের 
গতি অর্থাং দেশাস্থর প্রাপ্রিকূপ' গত অসস্তব)মান। হওয়ায় শ্বরূপ প্রতিপত্তি- 
রূপা গতিই স্বীকায্য। স্বরূপ প্রতিপত্তি ( আপনর ব্রদ্ধতা সাক্ষাৎকার ) রূপ! 
গতি পিগ্ভর ছার! মবিগ্ভাণে।দত ন।খবাপা,ণ প্রপঞ্জের বিলয় হইলেই সিদ্ধ! 
হয় এবং তাহাই ব্রন্ধবিদাপে।ত পর” -ই তি শান্্ে অভিহিত হইয়াছে। 
“ব্রদ্ধৈব সন্‌ ব্রহ্ধাপ্যেতি” এ আতিও দর্শিতগ্রক্কারে বাখ্যের। পরকব্রহ্মবিৎ 
ব্রদ্ধে গমন করে, এ কথ! কি জন্য বাঁলতে চ9$? রুচি জন্ম(হহার জন্য? 
ন। অন্চিশ্তনের (ধ্যানের ) জন্য? ব্রন্মপ্রাপ্তি-কথ ব্রঙ্গজের কচি উত্পাদন 
করে; এরূপ ধলিতে পার না। কারণ, ব্রঙ্গান্থভব বা ব্রহ্ম শ্বপন্থেদ্য--. 
তাহ। বিষ্ভামপিত স্বাস্থা বতীত অন্য কিছু নহে! বিদ্যা অর্থাৎ ব্রঙ্গসাক্ষাৎ- 
কার হওয়ার অব্যবহিত পরেই আপনা হতে স্বরূপাবস্থান নামক মোক্ষ 
সিদ্ধ হয়, সুতরাং তাহার অন্য গতি বিধান কেন? তাহা অনাবশ্তক। ষে 
বিজ্ঞান অসাধ্যফল অর্থাৎ যাহা (জ্ঞান) জ্ঞেয়েব স্বরূপাবোধ বাতীত অন্য 
কিছু আধান ( উৎপাদ্দন ) করে না, জন্মায় ন।, যাহা কেবল আপনার নিত্য- 
সিদ্ধ মোক্ষরূপিতা নিবেদন করে? জানায় মাত্র, তাহাতে গতি অনুচিস্তনের 
(ধ্যানের ) অপেক্ষা কি? সে অপেক্ষা! উপপন্ন নহে । প্রোজ্কারণে 
কে-না বলিবে, স্বীকার করিবে ষে, অপর বিষ্ভাবিষয়েই গতি, পরবিষ্কা- 


টেল তত্বঙ্ঞানামৃত। 


বিষয়ে নহে। এঞ্তিতে ব্রহ্ম সাধকহিতার্থে পরাপর তেদে উপদিষ্ট হইয়াছেন। 
তন্মধো পরব্রদ্ষের স্বরূপ কি ও অপরত্রঙ্গের লক্ষণ কি তাহা নিশ্য়রূপে 
জানা না থাকাণেই অপরব্রঙ্গবিষয়োপার্দ্ গতি ভ্রম বশতঃ পরত্রদ্ধে নীত 
হইয়। থাকে । ব্রহ্ম কি তবে পরাপর ভেদে দুই? হা। ব্রক্গ দ্বিবিধ, 
গর ও অপর। ইহা “হে সত্যকাম! এই যে ওকার- ইহাই পর ও 
অপর ব্রহ্ম । ইত্যাদি ঞএতিতে কথিত হইয়াছে । পরব্রহ্ম ও অপর ব্রহ্ম 
কি” তাহ বলিতেছি। যে স্থানে দেপিবে, আবিগ্যাধ্যস্ত নামরূপাদি- 
বিশেষের প্রতিষেধ হইতেছে, ব্রহ্গকে অস্কুলাদি শব্দে বুঝান হইতেছে, 
(নিধেধমুধে ব্রঙ্গ প্রতিপাদ্ন হঠতেছে ), ছগানিবে, সেই স্থানের প্রতিপাদ্য 
ব্্গ পরব্রন্ম। ইনিই এতিবিশেষে সাধকদিগের সিদ্ধির নিমিত্ত অর্থাৎ 
ব্রন্মোপাসনার্থ নামরূপারি বিশেষণে বিশেধিত ও উপ হইয়াছেন, হইয়া 
'অপর? এই আথা। প্রাপ্ত হইতেছেন। এই অপরব্রক্ধ "তিনি মনোময়, 
গ্রাণশরীর ও ভারূপ” ইত্যাদি ইত্যাদি শব্দে অভিহিত হইয়াছেন। বলিবে 
যে তবে (ব্রহ্ম যদি দুই হয় তবে) অধ্বয় ব্রহ্গবোধিকা শ্রতি বাধিত? তাহা 
বলিতে পারিবে না। সেখিরোৌধ বা বাধা আবিগ্ধাক নাষমরূপাদি উপাধি 
স্বীকার দ্বারা নিবাধিত হয়? (উপাধি সকল আনিগ্যক--মিথ্যা-_মিথ্য। 
দ্বৈতে সত্য অদ্বৈতের ক্ষতি হয় না।) যে যে স্থানে অপরব্রক্গোপাধনার 
বিধান হইয়াছে সেই সেই স্থানে অর্থাৎ তৎসরিধানেই দেখিতে পাইবে, 
“তিনি যদি পিতলোককামী হন” ইত্যাদি প্রকারে জগতের উপর ক্ষমতা 
বিস্তার বা এখর্ধালক্ষণ ফল কথিত তহইয়াছে। সে সমস্ত ফলই সংসার- 
মধ্যপাতী--সংসারের অন্তর্গত অবিষ্ভারমূলোচ্ছেদ বা সম্পূর্ণ অবিগ্যানিবৃত্তি না 
হওয়ায় কাষেই সে সকল সংসারাধিকারের অন্তর্বভী । তাহাদের সেই সকল 
বশ্র্যাফল সীমাবদ্ধ (অসীম নহে,) সুতরাং ততপ্রাপ্ত্র্থ তাহাদের গতি 
অবিরুদ্ধ অর্থাৎ সঙ্গত বলিয়া জান। আত্মা যদিও আকাশের ন্ঠায় সর্বগত, 
সর্বব্যাপী, সর্বত্রই আছেন, তথাপি ঘটাদ্দির গমনে তদুপহিত আকাশের 
গমনের সায় বুদ্ধযাদ্দির গমনে আত্মার গমন উপচরিত হওয়। প্রসিদ্ধ আছে। 
এ কথ। আমর “তদগুণসারত্বাৎ” সত্রে বলিয়াছি, বুধাইয়। দ্িয়াছি। অতএব, 
“ক্কার্য্যং বাদরিঃ এই পক্ষ সিদ্ধান্ত এবং “পরং জৈমিনি2 এ পক্ষ 
পূর্বপক্ষমাত্র । অর্থাৎ শ্রোতার বুদ্ধি বিস্তারের জন্ঠই প্রোক্ত পক্ষাস্তর হুজ্রে 


জীবের সংসারগতি বর্থন । ৯৪৯ 


গ্রথিত হইয়াছে এবং তাহাতে দেখান হইয়াছে যে, এ বিষয়ে পক্ষাস্তরও 
উদ্ভাবিত হইতে পারে। ? 

উপরে যে সিদ্ধান্ত স্থাপিত হইল যথা, অমানবপুরুষেরা উপাসকদ্দিগকে যে 
ব্রহ্ম পাওয়ায় তাহ! কার্ধ্যব্রহ্মবিষয়েই পর্যবসিত, তাহাতে এই সংশয় হয় যে, 
উক্ত অযানব পুরুষেরা কি অবিশেষে সমুদ্ধায় উপাসকদিগকে ব্রক্মলোকে 
লইয়া যায়? কি সে বিষয়ে কোনরূপ বিশেষ আছে? এ বিষয়ের মীমাংস। 
নিয়োক্ত হজ্জে দ্রষ্টব্য । তথা, 


অপ্রতীকালম্বনান্নয়তীতি বাদরায়ণ উভয়থা- 
ইরদদোযষাৎ তৎক্রতৃশ্চ ॥ অ &. প্রা ও, স্্ ১৫॥ 


সক্াথ-প্রতীকোপাসকান্‌ নামাছ্যপাসকান ব্ঠ্জরিত্বা নয়তি ব্রহ্মলোক ম- 
মানবাঃ পুরুষ! ইতি বাদর|মণো মন্তত ইত্তি শেষ; । উভয়থাহদোষাৎ 
উতয়থাভাব।ভুযপগমেহপ্যবিপোধাদত্ার্থঃ। অনিয়ম সর্বাসামিত্যনিয়মাধি- 
করণে তন্ববিদোহন্ঠকর। সব্বোপাসপকানাং মার্গোপসংহার উক্ত হদনীগ্ব- 
প্রতীকোপাধকানামেব মার্গে। ন সব্বেষামিতু/তয়থোকো পূর্বোজবিরোধঃ 
স্যার্দতি মনি নিধায় তত্রানিয়মূ: সব্বেষামিতি হতে সর্ধশব্স্ত প্রতীকে পাস- 
কান্থপরত্ং তেন বিরোধপরিহার; শ্যাদিতি মন্তমান আচার্য্য উভয়- 
থাংদোযাদিত্যাহ। তঙৎ্জতুশ্চেতি চো হেবর্থে। উভয়থাভানে তৎ 
ক্রতুন্ঠায়োহেতুরিত্যতিপ্রায়ঃ। তৎক্রতুষ্টায়শ্চ যো যখ ধ্যায়তি স তদাপ্পো- 
ভীতি শ্রুতিমূল। প্রপিদ্ধি: ।-বাদরায়প মুনি মনে করেন, প্রতীকোপাসক 
অর্থাৎ নামাদি উপাসক ব্যতীত সমুদায় উপাসকই অমানব পুরুষ কর্তৃক 
ব্রন্ষলোকে নীত হয়। যদিও পুব্বে অনিয়মের কথা বল! হইয়াছে, এখন 
আবার নিয়ম কথা বলা হইল, হইলেও বিরুদ্ধ বল! হয় নাই। অর্থাৎ 
পুর্ববাক্যের সহিত এতদ্বাক্যের বিগোধ হইবেক না। সেস্থানে সর্বশব্বকে 
“প্রতীকোপাসক ব্যতীত অন্ত সকলকে” এইরূপে সঙ্কোচে কর (সংকোচ. 
ব্যাপক অর্থ ভঙ্গ করিয়া নির্দিষ্ট অর্থে স্থাপন কর)। করিলে অবিরোধ 
হইবেক। এ কথ! তৎক্রতুন্যায়মূলক | সুতরাং অপ্রমাণ নহে। যেষাহা 
ভাবে, ধ্যান করে বা উপাসনা করে, সে তাহ। পায়, এই শত উপদেশ 
এ গ্ভলে ততক্রতুন্যায় নামে পরিচিত। 


* ২৬ তত্বজ্ঞানামূত। 


তাস্যার্থ -দিদ্ধান্ত হইল যে, গতি-শান্র । ব্রন্দে গমন করে। এই কথা) 
কাধয-ব্রহ্গবিষয়েই পর্যযবসিত। সম্প্রত অনা এক দংশয় এই যে, অমানব 
পুরুষেরা কি অবিশেষে সমুদায় উপাস্কদিগকে ত্র্ধলোকে লইয়া যায়? 
কিসে বিষয়ে কোৌনরূণ বিশেষ (নির্দিষ্ট নিয়ম ) আছে? (কোন কোন 
ব্্মবিকারাবলম্বী অমানব পুরুষ কর্তৃক ব্রহ্ধলোকে নাত হয়? কি ব্রক্ধ- 
বিকারাবলন্বী মাত্রেই নীত হয়?) পাওয়। যায়, কি? পাওয়া যায়, পরক্রহ্ধ 
ব্যতীত অন্ত সমুদবায় উপাপক ব্রগ্গলো কগামী হয। "অনিয়মঃ সব্বাসাম্‌” এই 
হঞজে উত্ত বিষয়ের বিচার অলতারত হইয়া কগিতপ্রকার সিদ্ধান্তই স্থাপিশ্চ 
হইয়াছে। তাহা পৃৰ্বপক্ষ, হতপ্রাপ্তে সিদ্ধাপ্ত বলা হষ্টল, অপতীকালক্ারাই 
ব্রহ্মলোকে নীত হয়। আচাধা সাদরায়ণ। লাস) মানেন যে, গ্রতীকোপাসক 
ব্যতীত অন্য যে কোন ত্র্গবিক[কহোপ|সক, সকলকষেহ অমানব পুরুষেরা 
ব্রহ্গলোকে লইয়াযায়। পুর্বের ধশা হগরাছে।  আননমঃ সন্বাসাষ্? পরে 
আবার বল! হইল, প্রভীকোপাসক নহে, এইট দুই কা দ। উতপঞগ্কাঁর গতি 
বলা হইল বলিয়া! পোষ মনে কাবও না অর্থাৎ ধকুদ্ধ বল: হয় নাই। 
কারণ, পূর্বোক্ত আনএম মান ( ক) এঠীকোপাসক ছিন্ন অনা উপাসকের 
উদ্দেশ্রে প্রবন্তিত। । এই ১৫ »তের দ্বার! চমু £'ঞ সঙ্ষোচার্গে পধাৰসিভ 
হইবেক )। এই উভরথ! ভাব অদাৎ একব।ব বলা হইছে, সকলেই বর 
লোকে যায়, সে বিষয়ে কোন |নয়ম নাই, মাবার বলা হহল. প্রভীকোগাসক 
যায় না,--এই দ্বিপ্রকার উাক্ত শক্রতুন্যার সমর্থন করিতে সক্ষম আছে। 
বুঝিতে হইবে যে, তত্ক্রতু-ন্য'য়ই এ 'দ্বপ্রকার বাঁলবার কারণ। 'ক্রতু-সঙ্কল্স 
অর্থাং ধ্যান করা। তংক্রতুন্যার যে যাহ! নিরগুর ভাবে ব! ধ্যান করে সে 
তাহা পায় এই নিয়ম বা পাতলা যুক্তি । যে ব্ক্রতু (ব্র্ঘধ্যানী ) হয় সে যে 
ব্রাঙ্মী এশ্বরধ্য পাহবে তাহা বচিন্র কি? পাওয়াই সঙ্গত । শ্রতিও বলিয়া- 
ছেন “তাহাকে যে যেভাবে ভাবে তাহার নিকট তিনি সেইরূপই হন ।” 
তাবিয়। দেখ, প্রতীক উপাসনায় ( প্রতীক -্দ্বারীভূত মালম্বন। যেমন 
প্রতিমা অথব1 নাম।) ব্রন্গক্রতুত্ব অবসন্ন হয় অর্থাৎ তাহাতে ধাক্ষাৎ 
ব্রহ্গধ্যান হয় না। প্রতীক উপাসনায় প্রতীকই প্রধান, ব্রপ্ধ তাহাতে অপ্রধান 
থাকেন। (সেই কারণে অর্থাৎ ব্রহ্ম ধ্যান ন। হওয়ায় সে ত্রাঙ্গী এশর্য্য পায় 
না।) অব্রঙ্গধ্যায়ীরাও ব্রঙ্গলোকে যায়, এ কথা এত্তিতে আছে সত্য ; যথা-_ 


জীবের সংসারগতি ধর্ণন। ৯৪৩ 


ছান্দোগ্যে পঞ্চামাবিষ্তা॥ কথিত হইয়াছে -'তাহা ইহাদ্িগকে ব্রশীঃপাও- 
যায়| ইত্যাদি । পরন্ত থাকি,'ও বাধ। হইতেছে না। আচাধ্য বাদরায়ণ 
বলেন, যেখানে আহত্যবাদ অর্থাৎ প্রত্যক্ষ বিধান আছে সেম্থানে তাহ! 


অবশ্য হইবেক। যেখানে আহভাবাদ ন।হ পেস্থ।নে সামান্ত তঃ প্রবৃত্ত তৎ- 
ক্রতু শান্ধের দ্বারা নিশ্চয় কগিণে যে, ব্র্ধঞতুরাই ব্রহ্ধ প্রাপ্ত হন, অগ্ঠে নহে। 


বিশেষঞ্চ দর্শয়তি ॥ অ ৪, পা ৩, সূ১৬॥ 

সত্রার্থ -বিশেষং পঙাকতাবঠয্যেন ফপতারক্মাং। দর্শন্নতি বিজ্ঞাপন্নতি 
ঞতিরিতি শেষ; । আত বাশরাছেশ বে. প্রভাক অনুলারে ফলবিশেষ হইয়। 
থাকে । তাহাতেও বুঝা (গপ্‌, প্রতীক ধ]াখ।দিগের ত্রহ্মগতি হয়না। (ভাষ্- 
ধ)াথা। দেখ)। 

ভায়ার্থ নন এ বাকা প্রত পঠাক অগা ঙ্গোপাসনার আলম্বন। 
ধেস্থানে সে নকলে ইপাপনার ধান হইছে, সেই স্কলেই দেখা যায়) পৃৰ্ব- 
পুর্ব অপেক্ষ। পর পরও প্রতীক ওপ। খনার কুল অধিক । একরূপগ ফল নহে, 
প্রতাক অনুম।রেোবাতন্ন | বসা এনানধা। তা যখন নামহ পায় তথন তাহার 
তদ্থুপযুক্ত কাচা তা জলে) পাকা নাম অপেক্ষা] বড উপাসক ঘথন তাহাতে 
অবস্থান করে ঠখন .শ তদনুরীপ কামটাণী হমু। মন লাক্য অপেক্ষ। বড়-)? 
হতাদ। এখানে কথ, প্রতাকের ভারঙনা অগ্ুপারে ফলেরও তারতম) 
হইতেছে । হওয়া সঙ্গত! কারণ, প্রতীক উপাপনায় প্রতাকহ প্রধান। * 
এ সকল উপাসন! ব্রঙ্গপ্রধান ইহলে ফলাবশেষ হইবে কেন? বর্গ ত অবি- 
শিট -একরূপ? সেই জগ্তই ধলা খায় যে, প্রভ।কোপাসক খ)ভীত অর্থাৎ 
প্রধা্ঠরূপে ব্রহ্গক্রুত হহতে পারলেই তাহা ব্রঙ্গলোকগামী হয়। 

সম্প্রতি মোক্ষের স্বরূপ তথখ। ব্রক্গপোকগত মুক্তাত্মদিগের এশ্বর্ধা বিষয়ে 
যে মীমাংসা ও গদ্ধাপ্ত স্থাপত হহয়াছে তাহা নিয়েক্ত সকগ ছত্তে জর্টব্য। 
তথা হ, 


* নাম গ্রভীততে যে বঙ্ধদৃষ্টি অধ্যস্ত ক'রয়। উপাসনা করিবার বিধান 
আছে তাহা প্রতীক উপাসন! নামে খ্যাত এসকল ডপাসন। সাক্ষাৎ" 
ত্রপ্ধোপাসনা নহে । ব্রহ্গবুদ্ধি ব্রঙ্গে সমর্পিত না হইয়া নামাদিতে সমর্পিত হয়? 
কাযেই তাহাতে ব্রক্গ অপ্রধান ও নাম প্রধান হ়। 


৯ ত্ঞ্ানামূত। 


সম্পনষ্ঠাবিভাঁবঃ স্বেনশব্দাৎ॥ অ ৪, পা18,সু ১॥ 


সুপ্রোর্থ--স্বেনশব্বাৎ শ্বেনরূপেণেতি বিশেষণাৎ অভিনি-গ্ভত ইতাস্তা- 
বিভাবার্থত। ন তুৎ্পত্তযর্তা। অভিনিষ্পতিঃ সাক্ষাৎকারবৃত্যাভিপ্রায়োবন্ধ- 
ধ্বংসজন্মন্ঠোপচারিকীতি বাদরায়ণেরভিসদ্ধিঃ ।--সম্প্রসাদ শবে সুষুপ্ত জীব ও 
যুক্ত আত্মা । কিন্তু এখানে মুজ্জ আত্মা । সম্প্রসাদ অর্থাৎ মুক্তিপ্রাপ্ত আত্মা স্বীয় 
রূপে অভিনিষ্পন্ন হন, এঠ এতুযুক্ত কথার ভাবার্থে এই সংশয় হইতে পারে যে, 
মোক্ষ হইলে আত্ম! কি কোনরূপ বিশেবধন্মবিশিষ্ট হন? কি নিদ্ধন়ক কেবল 
অবস্থায় অবস্থান করেন? (কেবলনির্ধম্মনকতাই আত্মার স্বরূপ, বুদ্ধি উপধানে 
তাহা প্রচ্ছন্ন ছিল, মুক্তিতে তাহা অভিব্যক্ত হইয়াছে মাত্র । তাহাই লক্ষ্য 
করিয়। শ্রুতি বলিয়াছেনু, স্বেন রূপেণ অভিনিষ্পগ্ভতে |) সংশয়ের উচ্ছেদ 
ও সিদ্ধান্ত করণার্থ বল! হইল --ঞতি “ম্বেন রূপেণ" বিশেষণ দেওয়ায় পুঝা 
যাইতেছে---আত্মা তখন সর্ধপ্রকার বিশেষ বিবর্জ্্রত কেবলাদ্বয় বূপেই 
অতিনিম্পন্ন হন ( ভাঙ্যব্যাখা। দেখ )। 

ভাস্তার্থ--'এই সম্প্রসাদ । উপাধিকানুষ্যারহিত আত্মা । পক্ষে সুষুণ্ 
জীব) এ শরীর হইতে সমাক্বূপে উখ্িত হইয়া ( এ শরীব্রের অভিমান ত্যাগ 
করিয়া । পক্ষান্তরে বিদেহ হইয়।) পরম জ্যোতিতে সম্পন্ন হন অর্থাৎ ব্রহ্ম 
ভাব প্রাপ্ত হন, হইথা স্বরূপে অভিনিষ্পন্ন হন ' | এই একটী ঞাত আছে। 
ইহাতে সংশয়-স্বীয় রূপে অতিনিষ্পন্ন হন, কথাটার অর্থ কি? (জন্মা্দির 
সবার! আপনার কোন রূপান্তর হইলে তাহা অভিনিষ্পতিশব্দের অভিধেয় 
হইতে পাবে । যেমন বলা যায়, মানুষ দেবনা পাত করিয়। দেবরূপে অতি- 
নিষ্পন্ন হইয়াছে । কিংব! প্রক্কতিস্থ লোক বিকারযোগে অপ্রকুতিস্থ হইয়াছিল, 
পরে বিকার অপনীত হওয়ায় সে যেমন ছিল তেমনিই হইয়াছে, তাদ্বশ স্থলেও 
স্বরূপে অতিনিষ্পান্ব হইয়াছে বলা যাইতে পাবে। অতএব পন্বেনরূপেণ 


* অতিনিষ্পত্তি শব্দের অর্থ উতপত্তি। অভিনিষ্পর হন কিনা উৎপঞ্ন 
হন। স্বরূপে উৎপন্ন হন, এ কথ! গুনিলে অবশ্যই শোতার মনে “ম্বরূপ ছিল 
ন| হইল,” এইরূপ অর্থ আরোহণ করিখে। শ্বরূপাবস্থানরূপিণী যুক্তি অভি- 
নবরূপে জন্মগ্রহণ করে, ইহা সত্য হইলে যুক্তিকামন! বৃথ! হয়। কেনন! 
তাহা জন্মবান্‌ বলিয়া নশ্বর । কাযেই মুক্তিবিষয়ক বিচার আবশ্যক। 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৫৯ 


অতিনিষ্পগ্ঠতে” কথার কোন এক প্রকার আগন্তক রূপ হওয়! ও স্বাম্মরূপে 
অবস্থান অর্থাৎ যেমন ছিল তেমনি হওয়া, এই দ্বিবিধ অর্থ হইতে পারে 
কাষেই সংশয় হয়_মোক্ষ হইলে কি হয়? মোক্ষে কি কোন প্রকার ভোগ- 
প্রদ আগন্তক রূপ জন্মে? কি মাঞ্জ আন্মভাব ( নির্বিশেষ ব্রক্গতাব ) প্রকটিত 
হয়? যেমন দেবলোক ও গন্ধব্বলোক প্রভৃতি স্বর্ণস্থানে জন্মগ্রহণ করিলে 
বিশেষ বিশেষ আগন্তক রূপ জন্মে? কমাঙ অনা্মভাব ত্যাগ করিয়া 
আয্মভাবে অবস্থান করে?) ক পাওর। যায়? পাওয়া যায় -স্থানাস্তরে 
অর্থাৎ দ্রেবাদি পোকে যেষন আগন্তক রূপ জন্মে তেমনি মোক্ষেও কোন এক 
সাগপ্তক রূপ জন্মে। মোক্ষও ফল, তাহারও ফলন প্রসিদ্ধ আছে। (যাহা 
যাহা জন্মে তাহ! তাহাই ফল। মোক্ষও সাধনপ্রভাবে জন্মে; সেই কারণে 
মোক্ষও ফল) অপিচ, “অভিনিস্পগ্কতে” এই কথাটি উৎপত্তিসমানার্থক। 
অতিনিষ্পক্তি, উৎপত্তি, জন্ম. এ সকল পর্যায় শব। সুতরাং এ সকল কথার 
অর্থের প্রতেদ নাঃ । তাহাত্েও বুৰা যায়, মোক্ষে স্বরূপাতিরিক্ত কোন 
কিছু জন্মে, যাদ স্বরূপে অবস্থ!নহ অতিনষ্পাত্ত, এরূপ হয় তাহা হইলে 
মুক্তির পৃর্ধেও স্বন্ধূপ থাকায় তখনও তাহী বিভাবিত (স্বীয়রূপে অভিনিপন্ল 
বা]! লব্ধমোক্ষ বলিয়। পরিগণিত ) হইতে পারে । অতএব, প্রতীত হইতেছে 
যে, অভিনিষ্পগ্ভতে কথায় অবশ্যই কোন বিশেষ অর্থাৎ স্বরূপাতিপ্িক্ত ধশ্মের 
গ্রহণ হইয়াছে । “স্বেন বূপেণ অতিনিষ্পস্ভতে” অর্থাৎ আস্ম। স্বসম্প কীয় কোন 
এক বিশেষরূপে উৎপন্ন হন। এই পৃর্বপক্ষে্ন প্রতিক্ষেপার্থ বলা যাইতেছে. 
যাহ! কেবল আম্মাব-.জ্ঞানী তাহাতেহ অ।বিভূ তি হন, ধশ্মাস্তরে আবিতুত 
হন না । কারণ এই যে, শত “স্বেনরূপেণ- আপনার যেরূপ সেই রূপে” 
এইরূপ কথা বলিম্মছেন। ধরন্মীস্তরে বা রূপাস্তরে আবিতূত হইলে “বেন 
রূপে” এরূপ কথা বলিতেন না। অর্থাৎ স্বশবের প্রয়োগ করিতেন না। 
করিলেও তাহা নিরর্থক হইত । যদি বল এ্তি আত্মার ( আত্মসত্বন্ধীয়) অর্ধে 
শ্ব-শবের প্রয়োগ করিয়াছেন অথাৎ আত্মা, আম্মীয়, ধন, জাতি, স্ব-শবের 
এভ গুলি অর্থ আছে তন্মধা হইতে আত্মার অর্থে ্বশগের প্রয়োগ হহয়াছেত- 
অন্যান্য অথের ব্যাবর্তনাথ “শ্বেন” এই বিশেষণ (দওয়া হহয়াছে। বগ্ততঃ 
তাহা নহে । কারণ, তাহা বলিতে “থ্বেন'” শখ বিশেষণ দিতেহয়না। না 
বলিলেও অর্থাৎ স্বশবের প্রষ্লোগ না থাকিলেও তাহ পাওয়া যায়। আকা 


১৫৪ তত্বজ্ঞানামৃত । 


স্ি। 
যখন সে-কোনরূপে নিপ্পন্র হউন না কেন সফস্তই তীহাব স্বীয়। অর্থাৎ 


আত্মসন্বন্ধবিশিষ্ট। সুতরাং সে জন্ত “ম্বেন? বিশেষণ দিতে হয় না। 
দেওয়া নিপ্রয়োজন | বরং স্বশবের আত্মাবাচিতা স্বীকার করিলে 
বিশেষণের স্বার্থক্য লাত হইতে পারে। যাহা আপনার কেবল অর্থাৎ 
বিশুদ্ধ অনারোপিত রূপ তাহারই আবিভাব হয়, অন্য কিছু হয় না। নুতন 
বা! আগন্তক কোন ধশ্মেব উত্পত্তি হয় না। আশঙ্ক। হইতে পারে যে, মোক্ষে 
যদি নুতন কিছু না হয় তবে পৃর্বাবস্থার সহিত মোক্ষাবস্থার প্রভেদ কি? 
হজ্রকার ইহার প্রত্যুত্তর দানার্থ বলিতেছেন - 

মুক্তঃ প্রতিজ্ঞীনাৎ ॥ অ &, পা 8, সু২॥ 

ত্রার্থ_য অতিনিষ্পন্তে স মুজঃ বিগলিতন্ধনঃ নির্দঃধ ইতি যাবৎ । 
এতচ্চ প্রতিজ্ঞানাৎ বিজ্ঞন়্তে। প্রাক বন্ধদণায়াং কলুবিতাস্মনাপীৎ ইদানীং 
বিগলিতাখিলছুঃখঃ পরত? প্রপ্তোতমানপুর্ণাশন্দাত্বনাবতিষ্ঠত ইতি বন্ধমোক্ষ- 
য়োভেদঃ। যিনি স্বরূপে অভানষ্পশ্ন হন তান যুক্ত অর্থাৎ বিগলিতসংসার বন্ধন 
বা হুঃখশোকাদপপ্িহান। ইং! ক্রারুর প্রতিজ্ঞাবাকো অবধা।রত হয়। 

ভাস্যার্-াধন অতিনিপ্পন্ন হন ।তনি ইদানাং বিযুক্ত | পৃত্বে বধ্ধ 
ছিলেন, এখন বিযুক্ত। পুব্বের বঞ্চন বিগালত হইয়াছে, এখন নিতান্ত 
শুদ্ধ। অজ্ঞতা বশতঃ পুর্বে অন্ত প্রঙ্থাত দেহধস্মের ধর্মী হহয়াছিলেন, 
পুক্রকলক্রাদর বিনাশে রোদন করিতেন, যেন অন্য কতৃক হত হইতেন, 
এখন আর তাহার সে সকল নাই। পুব্রে জাগ্রৎ স্বপ্ন সুধুপ্তি এহ তিন অবস্থা 
প্রাপ্তে কালুষ্য কবাঁলত ছিলেন, এখন [তান প্রোক্ত তন অবস্থা হইতে 
নির্মুক্ত হইয়াছেন, হইয়। শুদ্ধ কেবল 1শছুঃখ ও পূর্ণাননাস্বতাবে বিরাঞ্জ 
করিতেছেন। ইহাহবশেষ-_বদ্ধাবস্থা হইতে মুক্তাবস্থার পরতে? * | তিনি 
এখন মুক্ত হইয়াছেন অর্থাৎ অবস্থায় হইতে পরিত্রাণ পাহয়াছেন ইহ। 


জি শসা 


* যাহা সংসাপাবগ্থ। তাহাহ বদ্ধাবস্থ।। জাগ্রৎ স্বপ্ন সুপ্তি এ তিন্টা 
সংসারাবস্থার ধন্ম। এ ধর্ম ত্যাগ হইলে চতুর্থ, তুরাগ ও মুক্ত হয়। শ্রবগ 
মননাদির দ্বারা আত্মবাথার্থ্য প্রাততাত হইগ্গে তুরার বা মুক্তাবস্থা আহইপে। 
তখন আর জাগ্রতের, স্বপ্নের ও ন্ুযুপ্তর কাণুষ তাহাকে স্পর্শ করে না। 
জাগতে দেহের আবদ্ধ্য ও বাধিরধয প্রতৃতি ধন্ম আপনাতে অঙ্গীকার করিয়া; 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৩৫ 
কিসে জানিলাম তাহা বলিতেছে। শ্রোত প্রতিজ্ঞাই & অববোধের মূল। 
শ্রতির প্রতিজ্ঞা পর্যযালোচন করিলে এ অর্থই প্রতীত হয়। যথা-_ক্রুতি 
প্রথমতঃ “তোমাকে পুনর্বার ইহার কথা বলিতেছি।” এই বলিয়া অবস্থ। 
রয় বিনির্শক্ত আত্মার কথা বলিয়াছেন। এঞাতির বক্তব্য কি? বক্তব্য 
অবস্থাত্রয়বিনিম্মক্ত আত্মা বল! অর্থাৎ বুঝাইয়া দেওয়া। সুতরাং তাহাই 
তাহার প্রতিজ্ঞ! । এরূপ প্রতিজ্ঞা করিয়। পরে বলিয়াছেন “শরীর ও শরীর- 
ধর্মবঙ্জিত হইলে তখন আর তাহাকে প্রিষ্ব অপ্রিয় (স্ুখছুঃখ) স্পর্শ করে 
না” অনস্তর তিনি (তি) এই বলিষা (প্রকরণ সমাপ্ত করিয়াছেন-_ 
“ম্বরূপে অতিনিষ্পন্ন হন, সে-ই উত্তম পুরুষ ।৮ এতৎ প্রসঙ্গে যে আখ্যায়িক! 
অভিহিত হইয়াছে তাহার প্রারগ্রেত যুক্তাস্ঘা বুঝাঈবার'গ্রতিজ্ঞা দেখ! যায়। 
যথা--"যাহা আত্মা তাহ পাপতাপাদিপরিশু--” ইত্যাদি । যোক্ষও ফল 
অর্পাৎ শমদমাদি সাধনানন্তর জন্মে বা হয়, এ কথ বা এ রহস্য মাত্র বন্ধন- 
নিবত্িসাপেক্ষ । অর্থাৎ বন্ধন নিবৃত্তি হইশেই স্বরূপভূত মোক্ষ সিদ্ধ হইয়াছে 
বা জন্সিঘ়াছে বলিয়। গণ্য হয়। ছিল ন! হইল, মোক্ষে এমন কোন ধর্ম 
প্রপাধিত হয় ন।। অর্থাৎ জন্মেনা। অভিনিষ্পগ্যতে - মতিনিষ্পন্ন হয়, এ 
কথা যদিও উতৎপত্তিবাচী, উত্পর্ভির নামান্তর, তথাপি, রোগণিবৃত্তি হইলে 
অরোগ নিষ্পন্ন হন, এ কথ! ষদ্রপ বন্ধননিবাত্ত হইলেস্বরূপ নিষ্পনন হয়, এ 
কথাও তদ্রুপ জানিবে। অর্থাৎ এ অভিনিষ্পত্তিশব্দ উপচারক্রমে প্রয়োজিত 
হইয়াছে, ইহা অবধারণ করিবে। অতএব, সিদ্ধ বা স্বরূপভূত যোক্ষে উৎপক্ভি- 
বাচী শবেবু প্রয়োগ কোনও প্রকারে দোষাবহ নহে। 


আত! প্রকরণাৎ ॥ অঃ, পাঃ, সৃত ॥ 


সুপ্সার্থ-_জ্যোতিরুপসম্পন্ত ইতাত্র জ্যোতিঃশব্দেনাস্বা বেগ্ভতে ন ভৌতিকং 
তেজোভূতম্‌। হেতু মাহ--প্রকরণাদিতি। পরমাত্প্রকরণোক্তোজ্যো তিঃশবঃ 
পরমাত্সপর এব ন ত্বস্তপর ইত্যতিপ্রায়ঃ।--পরং জ্যোতিরুপসম্পগ্ত--পরম 


মানিয়া লয়া, ছুঃখী হইতেন। শোকে অস্থির হইয়। রোদন করিতেন এবং 
স্বপ্নেও মৃতকল্প ও সুষুণ্তিতে বিনষ্টপ্রায় হইতেন। সে দকল দোষ এখন 
উন্মাঙ্জ্বিত হইয়াছে, এখন তিনি নিতান্ত নির্মল নিছুখ পর্বব্যাপী ও 
পরিপূর্ণানন্দ। 


১৬ তত্বজানামূত। 


জ্যোতিঃসম্পন্ হইয়া--এ স্থলে জ্যোতিঃশধ তেজোভূত অর্থে প্রয়োজিত হয় 
নাই, পরমাত্মা অর্থে ই প্রয়োঙ্জিত হইয়াছে । কারণ, এ কথা পরমাম্মার 
প্রশ্তাবে অভিহিত । 

ভাস্যার্থ_যে স্বীয় রূপে অতিনিষ্প্ন হয় সে মুক্ত, এ কথ বলিতে পার 
না। বাঁললে সগত হয় কে? তি বলিয়াছেন, জ্যোতি; সম্পন্ন হয়, হইয়া 
স্বীঃ রূপে অতিনিষ্পন্ন হয়। গ্যোতিঃ বলিলে ভৌতক জ্ঞোতিঃই (পঞ্চ 
ভূতের অন্তর্গত তেঞ্জোভূত) বুঝায়, তত্প্রাপ্তে মুক্তিসম্তাবনা কি? বিকার 
অথাৎ জঙ্ত পদাথের অধিকার অধিক্রম করিতে ন! পারিলে যুক্ত হওয়! 
যায়না । বিকার অস্থায়ী, নশ্বর, তাহ] সব্ববিদিত। সেই জন্ত বিকার 
প্রাণ্ডে অমুক্ত-মুক্ত নহে । সঠ্য বটে; পরন্ত “জ্যোতিরুপসম্পদ্য” কথায় 
এ দোষ হয় না। কারণ এই যে, উক্ত স্থলে জ্যোতি; শবে তৌতিক 
জ্যোতি: বুঝায় না) কিন্তু আত্মা বুঝায়। আত্ম বুঝাইবার কারণ --উহ। 
আত্মপ্রকরণে অভিহিত । এত “যে মাম্স। নিষ্পাপ, নিষফলঙ্ক ও অমর.” 
এবংক্রমে পরমাত্মারু প্রস্তাব করিয়া তদ্বোধাথ জ্যোতিঃশব বলিয়াছেন সে 
জ্যোতিঃশন্দে আত্ম! ব্যতীত অন্য অধেরি (তেজোভূতের ) গ্রহণ করিতে 
পার ন|। করিলে প্রস্তাব হানি ও অগ্রস্তাবত কথার আগমন এই ছুই 
দোষ হইবে 1 শত্যন্তরেও আত্মাঙ্গ জ্যোতিংশব্ের প্রয়োগ আছে। যথা-_. 
“দেবতারা সেই জ্যোতির ক্যোতিঃ উপাসনা করেন ।” এ কথা “জেযাতি- 
র্রশনাৎ” হজ্জে বিস্তৃতরূপে বল হইয়াছে । 

অবিভাগেন দৃষত্বাৎ ॥ অ৪,পা 8, সূ ৪॥ 

সতরার্থ_ অবিভক্ত এব পরমাত্মনা ব্যবতিষ্ঠতে মুক্তঃ। দর্শয়ন্তি হি 
আতিবাক্যানি মুক্তস্ত তথাত্েনাবস্থানম্‌।--মুক্ত হইলে আত্মা পরমাত্মায় 
একীভূত হয়। তন্বমন্তাদি শ্রুতি তাহার প্রমাণ। ( পরমাত্মাই উপাধিসম্পর্কে 
বিতক্তের ন্যায় হইয়াছিলেন, সম্প্রতি উপাধধধিবিগমে যে-পরমাত্মা দেই 
পরমাত্মাই হইলেন )। 

তাস্ার্থ__ন্বরূপনিশ্পন্ন অর্থাৎ মুক্তাত্মা কি পরমাত্মা হইতে পৃথক্‌ অবস্থান 
করেন? কি অধিভক্ত (একাুত )হন? বিচার করিতে গেলে প্রথমতঃ 
পাওয়। যায়, পৃথক্‌ অবস্থান করেন। কারণ, “তিনি তাহাতে পরিক্রম করেন” 
এই অতি মুক্ত পুরুষকে আধেয় ও পরমাত্মাকে আধার বলিয়! বর্ণন করিয়া- 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৫৭ 


এলটি 


ছেন। মাথার ও আধের় এক নহে, কিন্ততিন্ন। “জ্যোতিরুপসম্পন্ত -- 
জ্যোতিঃসম্পন্ধ হইয়া” এ আ্রতিও যুক্ত পুরুষকে কর্ত। ও জ্যোতির্নামক 
পরমাত্মাকে কন্ম ( সম্পন হওয়া ক্রিয়ার কলম) বালয়াছেন। কর্তা ও কন্ম 
এক নহে; কিন্ত তিনন। ক্দাচিৎ কাহার এরূপ সংশয় হইতে পারে? সে 
জন্ট অর্থাৎ তাহাদের সংশয়ছেদ করিবার জন্ঠ সঞএকার ব্যাস বলিতেছেন_- 
যুক্ত পুরুষ পৃথক্‌ অবস্থান করেন না, পণ্মাম্মায় অবিভক্ত (একীভূত) হন। 
এতত্সিদ্ধাপ্তের সাধক হেতু-দর্শন অর্থাৎ শ্োত বিজ্ঞান। শক্তি 
দেখাইয়াছেন--যুক্ত পুরুষ অবিভক্ত অর্থাৎ এক্গাদ্বর হন। “তত ত্বং অসি-- 
সেই ব্রচ্ম তুম" "অহং ব্র্ধ আম্ম আমি ব্রক্ষ” ““ধাহাতে অগ্ঠ দর্শন নাই” 
“তিনি পাদ্বতীয় নহেন” “যে-কিছু বিভক্ত--তিন্ন ভিম--সমপ্তই ব্রদ্মতিন্ন। 
( যাহ। ব্রঙ্ভিন্ন তাহা মিথ্যা বা কল্িত)। এই -সকল এঞতিখাক্য ব্রঙ্গের 
অিভক্ততা (একাকারতা) দেখাইঘ়াছেন। ভাবনাগ্ুরূপ ফল হওয়া 
তত্ক্রতুনায়পিদ্ধ। (যেষেরূপ ভাবে, খ্যান করে বা উপাসনা করে সে 
সেইরূপ হম, ইহাই তৎক্রতু স্তায়ের লক্ষণ। তৎক্রভুন্যায়ের বিস্তত আকার 
পুর্বে বর্ণিত হইরাছে। ) “যেমন নিন্মণ জল নিম্মল জলে মিশাইলে এক 
হচ্য়া যায়, মননশীল জ্ঞানীর আত্ম/ও সেইরূপ শুদ্ধ ব্রঙ্গে অবিশজ্জ হইয়া 
যায়।” এই মুক্তাম্মনিরূপক বাক্য ও এতদন্ুরূপ অন্যান্য বাক্য মুক্তাত্মার 
সহিত পরমায্সার অবিভাগ দেখাইয়াছেন এবং তাহারই অন্থকুলে 
নদীসমুদ্রাদির দৃষ্টান্ত প্রদর্শন কারয়াছেন। (নদীর জল সমুক্জে পড়িলে 
সমুদ্রতাই প্রাপ্ত হয়)। কোন কোন এঞ্তিতে তেদ নির্দেশ (যুক্তাত্মা ও 
পরমাত্ম! অভিন্ন নহে, কিপ্ত তিন্ন, এই ভাবের কণা) আছে বটে? কিন্তু সে 
নির্দেশ পচাবিক। উপচার ব্যতীত অভেদে তেদনির্দেশ হয় না। হে 
তগবন্! তিনি কিসে প্রতিঠিত ? এহ প্রশ্নের প্রতাত্তরে কতি বলিগাছেন 
“আপন মহিমায়” । “তিনি মাম্মরতি মাত্মকাম আবত্মক্রীড়--” ইত্যাদি 
অতিতেও দেখা যায়, আআঘ্বৈত পক্ষই বেদের অভিপ্রেত। 


ত্রান্মেণ জৈমিনিরুপন্যানাদিভ্যঃ॥ 
অঃ,পা 8, সু৫॥ 


নুত্রর্ঘ--যুক্তে। ব্রান্দেণ রূপেণাতিনিষ্পগ্তত ইতি জৈমিনিম্মেনে। তঙ্জ 


১৫৮ তত্বঙ্ঞানামৃত । 


হেতুরুপন্যাসাদিঃ | বিধ্র৫ উদ্দোশ উপন্যাসঃ এষ আত্মেত্যাদিঃ। আদিশবাৎ 
বিধিবযপদেশো গৃহতে। স চ সর্বজ্ঞ ইত্যাদিঃ।_জৈমিনি মুনি বলেন, 
শ্ুতিরু উপন্যাস ( শব্দবিন্যাস ) অর্থাৎ বিধানার্থ ধর্ম বিশেষের উদ্দেশ 
( উল্লেখ) ও বিধিসদশ বাক্যপরিপাটী অনুপারে স্থির হয় যে মুক্ত পুরুষ 
ব্রাহ্মরূপে অহিনিষ্পন্ন হন। ব্রাঙ্গ ব্র্গসন্বন্ধীয়। তাহা নিশ্পাপ ও সর্বজ্ঞ 
প্রভৃতি । 

ভান্ঠার্থ__সিদ্ধান্ত হইল যে, মোক্ষে আম্মা মার আত্মরূপে অতিনিষ্প হন, 
অপর কোন আগন্তক রূপ ব্য ধম্ম তাহাতে থাকে নালাহয়না। এই স্থানে 
অবশ্যই তত্ববুভূৎস্ুর তদ্বিষয়ক বিশেষ ভাব অর্থাৎ সেই আত্মর্ূপ কিন্তিধ তাহা 
জানিবার ইচ্ছা হইভে পারে। ব্যাস ভদর্থ সুত্র রচনা করিস! বলিতেছেন-- 
এ সম্বন্ধে জৈযিনি বলেন, খুক্তের স্বরূপ ব্রঙ্গ, তাহ নিষ্পাপার্দি ও সত্য- 
সংকল্পানস্ত বিশেষণে অন্বিত ! অপপিচ, তাহা সব্বঞ্ঞ ও সব্েশ্বর প্রভৃতি নামের 
উপযোগী । শ্রোত উপন্যাস (যাহা আত্মা তাহা নিষ্পাপ, ইত্যাদ্দিবিধ 
বর্ণনা) ও উদ্দেশ (তিনিই অন্থেষণী॥ ইত্যাদি বিধ উল্লেখ) পর্যযালোচন। 
করিলে তাহাই অবগত হওয়া যায়। যথা “এই আম্মা নিষ্পাপ -৮ এই 
স্থান হইতে আরম্ভ করিয়া “মত্যকাম ও সত্যসংকল্প” এতদন্ত বাক্যসন্দর্ড 
( শর্ষবিন্যাসপর্রিপাটা। মুক্তাত্মার তদাআ্মকতা যুঝাইয়া দিতেছে । অপ্রিচ। 
“তিনি সেই কালে পরিক্রম করেন বা তাদ্ক্‌ ভাব প্রাপ্ত হন ও ক্রীড়া করেন, 
ভোগ করেন, রমমাণ থাকেন” ইত্যার্দ রতি যুক্তাত্মার এশর্য আবেদন 
করিতেছে । এশ্বর্যযোগ থাকাতে “সমূদায় লোক তাহার ইচ্ছাচর” “তিনি 
সর্বজ্ঞ ও সর্বেশ্বর” ইত্যাদি উল্লেখ সঙ্গত হইতে পারে। 


চিতি তন্মাত্রেণ তদাত্বকত্বাদিত্যোড়ু- 
লোমিঃ ॥ অ ৪, পা ৪, সু৬॥ 


সুক্জার্থ_চিতিশ্সৈতন্যং তর্দেবাত্মনঃ স্বং রূপং ততশ্চ তন্মান্েণ চৈতন্য- 
মাত্রেণাভিনিপ্পগ্ততে যুক্ত ইত্যৌডুলোমিরাহ ।--উডুলোমি মুনি বলেন, 
কেবল চৈতন্যই আত্মার স্বরূুপ। আত্মা যখন কেবল চৈতন্যাত্মক, তখন 
বুঝা! উচিত যে, মুক্তিতে আম্ম। চৈতন্যমাত্রে অভিনিষ্পন্ন হন। সত্যসংকল্লত 
সর্ধজ্ঞতব ও সর্বেশ্বরত্ব এ সকল ধর্ম থাকে না। 


জীবের সংসারগতি বর্ণন | ১৪৯ 


তাস্ার্থ__যদিও ব্রন্মে নিম্পাপত্ব প্রভৃতি ধর্ম অতিরিক্ততাবে নিদিষ্ট 
হইয়াছে হইলেও সে সকল বা সে সকল কথার অর্থ শব্দবিকল্পপ্রভব *৪অর্থাৎ 
অত্যন্ত মিথ্যা। বস্ততঃ তাহাতে পাপা নাই, এই মাত্র সে সকলের 
অভিধেয়। চৈতন্তই আত্মার স্বরূপ; সুতরাং তিনি যোক্ষকালে তন্মাত্রে 
অভিনিষ্পন্ন হন। অর্থাৎ তাহাতে চৈতন্টাতারক্ত ভাবের সম্পর্ক বা লেশ 
থাকে না। ইহাই তথ্য ও যুক্তিযুক্ত । এরূপ হইলেই "এই আত্ম অস্তর্বাহ্‌- 
বজ্জিত অর্থাৎ একরস, পূর্ণ ও চৈতন্টঘন” হত্যা আত সান্ুকুল হয়। 
আপচ, সত্যকামহাদি ধন্ম ব্রঙ্গের স্বরূপ সামখিষ্ছের গ্তায় অভিহিত হইয়াছে 
সত্য) ( স্ত্যাঃ কাম অন্য যাহার হৃচ্ছ। সকল সত্য ) পরস্ত তাহা 
উপাধি দম্পকের অধান। যেহেতু সত্যকামহাদি ধন্য উপাাধসন্বন্ধেদ অধীন 
সেই হেতু সে সকল স্ববূপের অন্তর্গত নহে। মাএ চৈতন্ঠহ স্বরূপ, শার সকল 
উপাধিসংসর্পে অধ্যন্ত। কারণ, শাস্ত্রে প্রাতিপাদত হইয়াছে যে আত্মস্বরূপ 
অনেক নহে। আত্। থে অনেক রূপী নহে তাহা “ন স্থানতোহপি--” সুত্রে 
প্রাতপার্দিত হহয়।ছে। অতএব, বুঝতে হইতেছে যে, তি ক্রীড়া করেন, 
রমমাণ থাকেন, এ সকল কথা কের ছুঃখাভাব ও স্বতি এই ছুহ বলিবার 
উদ্দেশেই আুহিত হহয়াছে। মুখ্য বা প্রক্কৃত জ্রাড়।-যাহা পণার্থাস্তয় 
সাপেক্ষ বস্তুত; আত্মার তাহা নাহ। যাহা নাহ তাহা আছে বলিয়। 
বর্ণনা করিতে পার না। ততৎ্কানে যা? কোনরূপ ভেদতাব কি অন্ত কোন 
পদার্থ বিগ্ভমান থাকে তবেই তান্নামত্ ক্রীড়া প্রঙ্াত অবধারণ কাঁরতে পার, 
নচে২ পার না। অঙ৩এব, যোঙ্ে নিঃনেষকূপ নবগ্ত-প্রপঙ্ক) নিতান্ত প্রসন্ন ও 
অব্যপদেত্ 1 কেবল চেতনরূপ আতনস্প্ হওয়াই সুষ্থির, ইহা ওডুলোমি 
মুনি অবধারণ করেন। 


* শবাবিকল্প - শব্জ্ঞানজন্য ৭ শখব্যপহারমূলক মখ্যাপ্রতায়। যেমন 
পার মস্তক । মস্তকহ রাহ, কিন্ত 'রাহুর' এই শব্ধ কণপ্রবিষ্ক হইবামাত্র 
প্রতীতি হয়, বাহু পৃথক্‌। এ প্রতীতি মিথ্যা অথচ এরূপ বলার প্রথা আছে। 
মুক্ত এশর্যয প্রাপ্ত হয় এ কথাও এরূপ জানবে । 

1 নিবস্তপ্রপ্চ_ কোনও প্রকার প্রতেদ না থাক। অর্থাং নিতান্ত একরূপ 
হওয়া | প্রসন্র- অত্যন্ত নিশ্বল--উশ।ধিকালুষ/বিহান । অব্যপদেশ্ঠ » 


১৬০ তত্বজ্ঞানামৃত। 


এবমপ্ুযুপন্ঠাসাৎ পুর্ববভাবাদবিরোধৎ 
বাদরায়ণং ॥ অ ৪, পা 8. সু৭॥ 


হপ্লার্থ-এবমপি চৈতন্যমাত্রস্বরূপাভ্যুপগমেহইপি উপন্তাসাৎ উপন্যাসা- 
দিতো হেতুত্য; । পূর্বশাবাৎ পুর্বস্য ব্রাদৈশ্বর্যারূপস্ত অপ্রত্যাধ্যেয়ত্থাৎ 
অবিরোধং ব্যবহারদৃষ্টা বিরোধাভাবং বাদরায়ণঃ প্রাহ। অন্তর কেচিৎ 
মুহত্তি--অখগচিন্মাত্রজ্ঞানাৎ যুক্তস্যাজ্ঞানাতাবাৎ কুত আজ্ঞানিকধর্ম-যোগ 
ইতি। তে ইথঃ বোধনীয়াঃ। যে ঈগরধন্মাস্ত এব চিদাত্নি যুক্তে জীবাস্ত- 
রৈব্যবহ্িয়ত্তে। ন চমুলাবিদ্যৈক্যাৎ তন্নাশে কুতো জীবারমিতি বাচ্যম্‌। 
ন বয়ং তন্নাশে জীবাস্তরে ব্যবহারং বম: কিন্তু তদংশনাশেহংশারন্ধাধ্যাত্মিক- 
শরীরদ্বয়াতিমানিনো যুক্তাবংশাস্থরোপা ধিকা জীব! ব্যবহর্তীর ইতি বদাযঃ।-- 
আত্মা অসঙ্গচিদেকরস সত্য পরুন্ত তাহ!র উপান্যাসাদিশান্ত্রসম্পিতি ঈশ্বররূপও 
ব্যবহারতঃ অপ্রত্যাথ্যেয়। যাহ। পারমাথিক কূপ তাহার সহিত ব্যবহারিক 
রূপের বিরোধ কি? বাদরায়ণ মুন বলেন, বিরোধ নাই। 

ভায়ার্থ-কিন্তু বাদণায়ণ যুানর মত এইযে, আত্ম পারমাখিক দর্শনে 
নির্ধর্দক ও অখণ্ড চিন্মা্র হইলেও বাবহাএ দৃষ্টিতে তাহার পুব্বোক্ত উপন্যা 
সাদিশাস্্রবগত ব্রাহ্ম প্রথ্র্যায বন্নপ্ত হয় না এবং সে সম্বন্ধে কোনরূপ ধিরোধ 
ঘটনাও হয় ন1। 


সন্কপ্পাদেব তু তচ্ছতেঃ ॥অ ৪. পা &, সু৮॥ 


সত্রার্থ-ইদানীযপরধিদ্যাফল: চিত্তয়াত | তুঃ পক্ষব্যাবর্তনার্থঃ | 
সক্কল্পাদেব সঙ্কল্পমাতাৎ ব্রহ্গলোকং গতস্যোপানকমস্য ভোগঃ সিদ্ধান্তীতি 
স্ত্রতাত্পর্যযার্থঃ | তিনি যদি পিতৃলোক-কামনা করেন ত কেবল মাত্র 
সঙ্কল্ল তাহার সে কামন। পুর্ণ কর্নায়। তাহাতে অন্য কিছুর প্রতীক্ষা থাকে 
ন1। এ কথা শ্রুতিও বলিয়াছেন । 

তাষ়্াথ--উপনিধদে, শ্রৎ্পন্মে ব্রদ্ধের উপাসনা ও তাহার প্রণালা 
অভিহিত হইয়াছে । সেহ ডপাসনার অন) পাম হাপবিন্যা ও দহরবিদযা। 


৮১:০5:০৯ শী পিপিপি দিসি পিপাসা শি টি পিপিপি পা লি পিসি পপীপীপিন শিপ জে পপ পপ পা রর যা ড2 


ব্যপদেশের বা বর্ণনা অযোগা। অথচ নির্বিকল্প বা অথণ্েকরস, 
ইত্যাদি হত্যাদি বাক্যে বোধনীয়। 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। 4৬১ 


পেই স্থানে অভিহিত আছে --“উপাসক যদি পিতৃলোককামী হন ত প্িতৃগণ 
তাহার সংকল্পমাত্রে (ধ্যানযাজ্রে) সযুখিত হন।” এই স্থানে সংশয়-- 
কেবলমাত্র সংকল্পই কি প্রোক্ত পিতৃসমুখনের হেতু? [ক তৎ্সঙ্গে অন্য 
কিছু বাহ সহায় মাছে? যদিও এতিতে "'সংকল্প।দেব” মাত্র সংকল্পের 
দ্বার, এইরূ সাবধারণ শব্দ আছে, থাকিলেও লোকদৃষ্টান্তে তাহাতে 
নিমিত্তাস্তরের যোগ থাকাস্বীকার্ধ্য। কেবল সংকল্পে কোন কছু পাওয়া যায় 
না, সংকল্পের সঙ্গে সহায়ান্তর থাক। আবশ্তক। যেমন লোক মধ্যে দেখ! 
যায়, অস্মদাদিঞ সংকল্প গমনাদ শিমিত্তের সহারতার পিতৃদর্শন।দি কার্য 
সাধন করে তেমান মুঝ্জ পুরুষও নিতান্ত পহক্ত সংকল্ের দ্বারা পিতা 
লাত করিয়া থাকেন। কেবল-,সণকল্ে পিত্রা্দির সমুখান হয় বললে 
ষ্টবিপরীত বলা হইবে । (যাহা দেখা যায় না, যাহার দৃষ্টান্ত নাই, তাহা 
কল্পনীয়, অনুষের ও বঞ্তব্য নহে ।) কাত যে “সংকল্পাদেব” এহক্প 
সাবধারণ বাক্য বপিকাছেন, তাহার কারণ আছে । যেমন রাজাদিপের 
সাধন সাষগ্রী স্থলত, ইচ্ছ। হইলে যাওয়। পাওয়। সমস্তহ অনায়াসে হয, ত।হ। 
দেখিয়া লোকে বলে, সঙ্কল্প যাঙ্জে রাজার কার্য সিপ্ধি হয়, মুঙ্তাত্মার সংকল্পে 
পিক্্রাদদর সমুখানও সেইরূপ জানিখে। অর্থাৎ তাহার্দিগের নিমিতান্তপ 
স্থলত, ও তাহাই খপিবার নামত্ত সাবধারণশব্দের প্রস্মোগ “মংকল্লাদেব”। 
নিরবচ্ছিপ্ন সংকল্পপ্রভব শিরা যনোবরথবিজ্ন্তিতের ন্যায় আস্থর। চঞ্চল, 
সুতরাং সেরূপ পিআাদি পরিপুষ্ট ভোগ সমর্পণ করিতে সমর্থ নথে। কাষেই 
ধলিতে ও মানিতে হইতেছে যে, সংকল্প ও অন্যান্য সাধন গামগ্রী উভয় 
একক্রিত হহয়। মুক্ত পুরুষের পিতৃলোক দর্শনা্দ কামন ( অভিলাষ ) পুরণ 
করিয্বা থাকে। ইহা পুর্বপক্ষ॥ কিন্তু হহার উত্তর ব। সিদ্ধান্ত পক্ষ এই-_ 
কেবল সংকল্পেই (সুদৃঢ় ইচ্ছা প্রতাবেই ) মুজ পুরুষের নিকট পিত্রাদির 
আগমনাদি হয়। কেননা, এ্ুতি সেইঞ্জপ হওয়ার কথা বলিয়াছেন। 
বাদীর অতিপ্রেত নিমিত্তান্ত যদি সংক্ল্পের অন্ুগামী হয়, তাহা হইলে 
আমর! নিষিত্তাগ্তর স্বীকারে সম্মত হইতে পার। নিমিতাস্তর বা পিজ্রা্দি 
সমুখনের কারণকূট মুক্ত পুরুবেপ সংকল্পাধীন এরূপ হয় হউক, তাহাতে 
আপাত নাই; পরন্ত তাহা অন্মদার্দিণ ন্যয় প্রবগাপ্ডব সম্পাদ্য নহে। 
্রয়স্্ান্তর সম্পাদ্য হলে তৎপন্পাতর পুণের কাহার। নিক্ষণপংকল্প হশ, কিন্ত 
২১ 


৯৬২ তত্বজানামৃত | 


তাহা ঞ্তির অনতিমত। (আমরা যেমন মাজ সংকল্প করিলাম, কিন্তু সামগ্রী 
আয়োজন করিতে ১৭ দিন কাটিয়া গেল, মুক্ত পুরুষের সংকল্প সেরূপ নহে। 
সেইরূপ হইলে তাহাদিগকে সত্যসংকল্প বলা অন্ুচিত। তাহাদের যে-ই 
সংকল্প সে-ই সংকল্পিত লাত। ) অপিচ, লৌকিক নিদর্শন অবলম্বন করিয়া 
আতিগম) পদার্থে সামান্যতোদৃষ্ট অন্থমান প্রয়োগ করিতে পান্র না। সামা- 
ন্যতোদৃষ্ট অনুমান শ্রোত পদার্থের নিকট সর্বতোতাবে পরাভূত আছে। যে 
কিছু প্রয়োজন সে সমস্তই মুক্ত পুরুষ কেবল মাত্র সংকল্পে পিদ্ধ করিতে 
পারেন। মুক্ত পুরুষের সংকল্প প্রাকৃত পুরুষের সংকল্পের ন্যায় নহে। তাহ! 
অত্যন্ত বিলক্ষণ। 


অত এব চানন্ঠাধিপতিঃ ॥ অ ৪, পা &, সৃ৯॥ 


সুত্রার্থ --অতঃপৃর্বোক্তাৎ এব অবন্ধাসংকল্পহাদেবেতার্থঃ। -মুক্ত পুরুষ 
যেছেতু অবন্ধ্যসংকল্প (অমোথ বা অবাথ ইচ্ছ। সেই হেতু তাহার 
অনন্যাধিপতি । অর্থাৎ তাহ।রা সকল বিষয়ে স্বাধীন । 

ভাস্ার্থ--তাহারা যেহেতু অবন্ধযসংকল্প সেই হেতু তাহার। অনন্যাধিপতি। 
অর্থাৎ তাহাদেবু অন্য শাস্ত। ন। নিষেক্তা নাই। আধক কি বলিব, গতান্তর 
থাকিলে প্রাকৃত পুরুষেরাও আপনার অস্বামিকহ (স্বাধীনতাত্র বিপরীত 
পরাধীনত। ) সংকল্প করেন নাঁ। শতিও তাহাহ দেখাইয়াছেন। যথা-- 
প্ীহার] ইহ শরারে আপনাকে সাক্ষাৎ সন্দর্শন করত? ( আত্মবিষয়ে তত্বজ্ঞান 
লাভ করিয়। ) পরলোকে গমন করেন, তাহারা কথিত প্রকার সত্যকামত্বাদি 
প্রাণ্ড হন ও সমুদায় লোকে তাহারা কামচর হন।” 


অভাবং বাদরিরাহ হোবম্॥ অ&, পা&, সূ ১০॥ 


কুপ্জোর্২__অভাবং শরীরেব্দ্িয়াণাং বধ ইতি যোজনীয়ম্‌। বাদরিস্ততনামক 
আচার্য।ঃ মেনে । হি যত; এবং বিচুষঃ শরীরেন্দ্িষাণামভাবং আহ আম্মার 
ইতি শেবঃ।--বাদরি মুনি বলেন, যেহেতু বেদ জ্ঞানী পুরুষের শরীরাদি নাই 
বলিয়াছেন সেই হেতু মুক্ত পুরুষ অনিন্দ্রিয় ও অশরীর ' 

তাস্ার্থ“সংকল্পমাত্রেই যুক্ত পুরুষের পিতৃগণ সমুপস্থিত হন” এই 
শ্রতিতে জান গেল, প্রা্তৈশ্ব্য জ্ঞানীর মন থাকে । কেনন। মনঃই সংকল্ে" 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৬৩ 


সাধন অর্থাৎ উপায়। শরীর ও ইন্দ্রিয় থাকে কি-ন| তাহা উক্ত আুতিতে 
অবগত হওয়া যায় না। সেজন্য তাহ! চিন্তার বিষয় বটে। এ বিষয়ে 
বাদি মুনি বলেন, পত্রিমুক্ত বিদ্বানের সংকল্পসাধন মন থাকে বটে; কিন্তু 
শরীর ও ইন্দ্রিয় থাকে না। কেননা, বেদ বঙ্গিয়্াছেন -মুক্তি হইলে অন্য 
কিছু থাকে না, কেবল মাত্র সংকল্পসাধন মন থাকে। যখা1--“তাহার! 
ব্রহ্মলোকে মনের দ্বারা সেই সেই অভিলধিত অনুভব করতঃ বূমমাণ হন ।” 
যদি তাহারা যন, শরীর ও ইন্দ্রিয়। এই তিনের দ্বারা বিহার করেন এমন 
হয়ঃ তাহা হইলে মনসা--মনের দ্বারা, এ কথা বলা নিশ্পোয়োজন ব। 
অনর্থক। মতএব, মোক্ষ হইলে শরীর ও ইন্জিয় থাকে না, ইঙাই অব- 
ধারণীয়। | ইহা পূর্ববপক্ষ )। ' 


ভাবং জৈমিনির্ববিকপ্পামননাৎ ॥ 
অঃ, পা 8, সূ ১১॥ 


ঈক্পার্২_মনোবং সেন্দ্িয়স্য শরীবস্য তাবং সত্বং আহ প্েমিনিঃ। বিকল্পস্ত 
অনেকধাভাবস্ত আমননৎ কখনং তশ্মাৎ|--জৈমিনি বলেন, শ'তির বিকল্প 
অর্থাৎ অনেকধাভাব কথন দৃষ্টি স্থির হয় যে মোক্ষে মনের ন্যায় শরীর ও 
ইন্দ্রিয় উভয়ই বিদামান থাকে । 

ভাস্তার্থ--ক্মিনি মুনি বলেন, যেমন মন থাকে তেমনি শরীরেক্রিয়েরও 
ভাব ঘর্থাৎ আস্তত্ব থাকে, ইহা যানিতে হইবেক। কারণ, শ্রুতি বলিয়াছেন 
“সেই যুক্ত পুরুষ কখন এক প্রকার ও কথন অনেক প্রকার হন।” এই 
শত্যুক্ত অনেকবিধ ভাববিকল্প সেম্িয় শরার থাকার অনুমাপক। ভিন 
ভিন্ন শরীর (অনেক শরীর ) না থাকিগ্পে অনেকবিধ হওয়ার সম্ভাবনা! কি? 
যঙ্দিও'নিগুণ ব্রহ্মবি্া) অধিকাণে এ অনেকবিধতা বা ভাববিকল্প আভতহিত 
হইগ্নাছে, তথাপি, বুঝিতে হইবেক যে, সগুণাবস্থায় এ এশ্বরধয ব্রঙ্গবিষ্ভার 
্ত্যর্থ পরিপঠিত। ( ইহাও পূর্ববপক্ষ )। 


দ্বাদশাহবন্রভয়বিধং বাদরায়ণোহতঃ॥ 
অঃ, প| 8, সু১২॥ 


স্ত্রার্থ_অতঃ উভয়লিঙ্গক্তেঃ উভয়বিধত্বং সশরীরত্বমশরীরত্বধাহ 


পা 


১৬৪ তত্বজ্ঞানামুত । 


১ 


বাদবায়ণো মুনিঃ। একস্যাইনেকধাভাবে দ্বাদশাহবদিতি নিদর্শনমূ।_- 
বাদরায়ণ মুনি বলেন, সশরীর অশরীর উভয় বোধিকা এ্রুতি থাকায় উভয় 
প্রকার হওয়াই সম্্বত। যেমন দ্বাদশাহ অর্থাৎ দ্বাদশদ্িনব্যাপী একই যাগ 
এক এতি অনুসারে সত্র এবং অন্য তি অনুসারে অহীন, তেমনি মুক্ত 
পুরুষও সশরীর ও অশরীর। কখন গশরীর কখন বা অশরীর। (ইচ্ছ। 
অন্থসারে )। 

ভায্যর্থ--বাদরায়ণ মুনি বলেন; পৃর্বোক্ত হেতু দ্বয় অর্থাৎ দ্বিপ্রকার শ্রুতি 
থাকায় দ্বিগ্রকার হওয়াই সঙ্গত। অমর্থাৎ তাহারা কখন পশরীর কখন ব। 
অশরীর। যখন সশপীরতার সংকল্প করেন তখন সশরীর এবং যখন 
অশরীরতার সংকল্প করেন তখণ অশরীর হন! তাহাদের সংকল্প অমোথ ও 
বিচিজ্ঞ । যেমন এক দ্বা৪শাহ যাগ সন্ত ও অহীন উভয় প্রকার, সেইরূপ, 
মুক্তও উতযবপ্রকার -সশরীর ও অশবীর 1১ 


অন্বভাবেসন্ধ্যবছপপন্ভতে ॥ অপ, পাত সু ১৩॥ 


সঞ্জাথ--ভন্বতাবে সোল্দয়স্ত শরীরস্যত অভাবে । সন্ষৌো ভতবং সন্ধ্যং 
্বগরস্থানমিতি যাবৎ।--যখন অশদীর তখন তাহার কামনা স্তাগ্রকামনার 
সত্বশ। শরীরেক্দ্রিরবিষয় থাকে না, অণচ স্বগে বিষয়োপলব্ধি হয়। এতত্বষ্টান্তে 
অশরীর কালের কাম্যকামনা উপপন্ন হহতে পাবে। 


* একটী বিধান আছে, দ্াদশাহেন প্রঙ্জাকামং যাজয়েৎ। এই বিধানে 
এনটী দ্বাদশদিনসাধ্য যাগ লব্ধ হয়। পুধ্বমীমাংসার শিদ্ধান্ত অনুসারে এই 
যাগ সত্র ও অহীন দ্বিপ্রকার লক্ষণার্থিত। পূর্বমীমাংসায় লিখিত আছে, যে 
যাগ উপষস্তি ও আসতে এই ছুই ক্রিয়াবোধক শবে বিহিত এবং ষে ষাগ 
অনির্দিষ্ট (অনেক গুলি) কর্তার নিষ্পাগ্ঘ যে যাগ “সত্র” তত্িন্ন সুষস্তই 
“অহীন |” যেমন দ্বাদশাহ যাগ “এবমুপযস্তি”? ও “দ্বাদশাহেন প্রজাকামং 
যাঁজয়েৎ* এই ছুই গ্রকারে বিহিত হওয়ায় সত্র ও অহীন, তেষনি, সশরীবু 
অশরীর এই ছুই প্রকারের বোধক হ্ুতিবাক্য থাকায় মুক্ত পুরুষও সশরীর 
ও অশরীর । সশরীর অশনীর যুগপৎ সত্তবে না, কিন্তু সময় ভেদে তাহা 
সম্ভবে। অভিপ্রান়্ এই যে, মুক্ত পুরুষ যথন সশরীর হওয়ার সংকল্প করেন 
তথন শরীর হন, যখন অশরীর ওয়ার সংকল্প করেন তখন অশরীর হন। 


দাবের সংসারগতি বর্ণন। ১৬৫ 


ভাল্তাথ-যখন শনীরেক্দ্ির না থাকে, তখন, যেমন সন্ধ্স্থানে (এ দিকে 
মরণ ও দিকে জন্ম না হওয়া, মধ্যে বাঁ অন্তরালে। অথব| এ দিকে  জাগ্রৎ, 
ও দিকে সুবুপ্তি, মধ্যে বা অন্তরালে । অর্থাৎ স্বপ্নককালে) শরীর, ইন্তিয় 
ও বিষয়, তিনের কিছু নাই অথচ জীব মাত্র ভাবনাময় কামনায় পিজ্জা দি- 
কামী হয়, তেমনি, মোক্ষেও অশবীর কালে উপলব্িমাঞ্জে অর্থাৎ কল্পনা- 
মর ভাবনাবিজ্ঞানে পিজাদিকামী হয়। ইহা! অন্ুপপঞ্ধ নহে? প্রতু/ত 
উপপন্ন। (সিদ্ধান্ত) 


ভাবেজা গ্রদ্ৎ ॥ অ 8, পা ৪, সু১৪॥ 


স্করার্থ_সেন্তিয়স্ত শরীরস্য তাবে সশতীরকাল ,ইতি যাবৎ।--সশরীর- 
কালে জাগ্রৎ অবস্থার স্টায় বিদ্বামানকামাকামন। করেন অর্থাৎ তখন পরিপু 
ভোগ হয়। 

তাষ্যার্থ_মুক্তাম্মা যখন সশরীর অর্থাৎ সাকলিক শরীরেন্তিয়যুক্ত হন 
তখন জাগ্রতে বিদ্যমান পিত্রাদি অতিগাঁধী হওয়ার গায় মোক্ষেও বি্কমান 
পিত্রাদি অভিলাষী হন। ইহ। অন্ুপপন্্ন নহে; প্রতুাত উপপন্ন। 


প্রদীপবদাবেশস্তথাহি দর্শয়তি। 
অ ৯, পা 8, সূ ১৫।॥ 


সুত্রার্থ_ প্রদীপো যধাইনেকবর্িষু প্রাবশতি তথা বিদ্যাধোগবশাদনেকেষু 
দেহেযু লিঙ্গপ্যাবেশ ইতি সুতাক্ষরাগঃ | পুর্বে বলা হইয়াছে, এঙ্বগাপ্রাপ্ত 
যুক্ত পুরুষ অনেক প্রকার হন। অনেক শরীর গ্রহণ ব্যতীত অনেক 
প্রকার হয় না। কাষেই অনেক শর্ার আীকাধ্য। সেই সকল শরীরে 
প্রদীপের ন্যায় লিঙ্গ শরীরের (মন ও ইন্জিক় প্রভৃতির ) প্রবেশ হইয়! 
থাকে। 

াস্তার্থ-এই অধ্যায়ের ১১ সুজ্জে বলা হইয়াছে, মুক্ত পুরুষের শরীর 
থাকে ও তাহারা ভোগার্থ ছুই তিন ও ততোধিক শরীর স্থঞ্ন করিতে 
সক্ষম । এ৩ৎত সিদ্ধান্তে অন্ত এক বিচার আপতিত হয়! সেই সকল স্ব 
শরীর সাত্বক ? কি নিরাত্মক? যেমন কারষ্ঠনির্শিত পুত্তলিকাশরীর 
নিরাত্মক, তাহাতে আত্মার আবেশ নাই, মুক্ত কি তদন্ুরূপ শরীর স্জন 


১৬% তত্তবজ্ঞানামূত ৷ 


করেন? কি অন্মদাদির শরীরের স্তায় সাত্বক শরীর সছজন করেন? আত্ম। 
ও মন একই বস্ত, উভয়ের ভিন্নতা অন্নুপপন্ন স্থৃতরাং তাহা এক শরীরে 
যুক্ত থাকিলে অন্ত শরীর কাষেই নিরাত্মক্ক থাকে। (পূর্ব্পক্ষ বাদীর 
অভিপ্রায় এই যে, মন পরমাণুতুল্য কক্স, আত্মাও তদনুরূপ, সেই কারণে 
তাহা একে বৈ দু-এ যুক্ত হইতে পারে না।) এইরূপ আপত্তি বা পুব্বপক্ষ 
উত্থাপিত হইতে পাবে বলিয়া তন্নিরাসার্থ ১৫ সুত্র অবতারিত হইল। 
যেমন স্বরূপ শক্তির বলে একই প্রদীপ অনেক প্রদীপ হয়, তেমনি, যৃক্তজ্ঞানী 
এক হইলেও ধশ্বর্যা বলে অনেক শরীর স্থগন করিয়া পেই সমুদায় শরীরে 
আবিষ্ট হন। শাস্মও এ কথ! বলিয়াছেন । “তিনি এক প্রকার, তিন প্রকার, 
পাঁচ প্রকার ও সাত প্রকার (ইচ্ছান্সাপে ) হন।” ইত্যাদি শান (শ্রুতি) 
একের অনেক হওয়া ধর্ণন করিরাছেন। সে সঙ্গল শ্দীর কাষ্ঠনিশ্মিত যন্ত্রের 
সদৃশ অথব1 তাহাতে অন্য জীবের আবেশ আছে, এরূপ বলিতে গেলে প্রোজ 
শান্ত রিক্ত অর্থাৎ অর্থশৃন্ঠ হইবেক। কেননা, সে সকল শরীরের প্রবৃত্তি ব1 
চেষ্ট৷ থাকে, সুতরাং সে সকল নিরাম্মক নহে । নিবাম্মুকের প্রবৃত্তি অসম্ভব । 


বগিয়াছিলে যে, আম্মার ও মনের ভিন্নতা অন্ধুপপন্ন ( অযুক্ত ), সুতরাং + 
তাদ্বশ আত্মার অনেক শরীরে অবস্থান অপন্ভব, আমরা বলি, তাহাও 


অসম্ভব নহে। অর্থাৎ সে কথ। দোধাবহ ব৷ সিদ্ধাপ্তনাশক নখে। মুক্ত 
পুরুষের মন একটি সত্য; কিন্তু তাহার! সত্যসংকল্প ৷ সত্যসংকল্পতার বলে 
তাহার! স্বীয় মনের শন্ুগামী শত শত সমনস্ক সেন্তরিয় শরীর ন্ঞ্জন করেন 
এবং শত শত সমনস্ক সেন্দ্রিয় শরার সৃষ্ট হইলে আগ্ম! সেই সকল সেন্্রিয় 
শরীরে উপহিত হন, সুতরাং সে সকলের প্রতি তাহার আধষ্ঠাতৃত্ব অসম্ভব 
হয় না। যোগশাস্ত্রে যে যোগিদিগের অনেক শরীর কৃষ্টি করিবার প্রণালী 
অভিহিত আছে, সে প্রণাণীও মছুক্ত [সদ্ধান্তের অন্ুকুগ বা পোষক প্রমাণ । 
এক্ষণে প্রশ্ন হইতে পারে ষে, মুজ্জের অনেক শরীর প্রবেশাদির ক্ষমতা অর্থাৎ 
সেই সেই ত্রহ্ব্য্য থাকে, এ কথ! কিপ্রকারে স্বীকার করিতে পার? 
উপনিষদ শাস্ত্রে লিথিত আছে, মুক্তি হইলে চিন্মাপ্রে অধয় হয়, ভেদজ্ঞান 
থাকে না। “তখন কে কি দিয়া কি দেখিবে?" “তখন তাহার দ্বিতীয় 
বিজ্ঞান (এ, ও, সে, ইত্যার্দিবিধ ভেদজ্ঞান ) থাকে না বলিয়াছেন। এই 
প্রশ্নের প্রতুত্তর বা সমাধান এই - 


লি 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ৮৬৭ 


স্বাপায়সম্পক্তোরন্যাতরাপেক্ষমাবিক্রতংহ্থি ॥ 
অ ৪, পা 8, সু ১৬॥ 


সক্লার্থ _বিশেষবিজ্ঞানাতাঁববচনং স্থুপ্তিমুজ্যন্থতরাপেক্ষং ভিন্নবিষয় ত্বাৎ 
ততশ্চ তং সগুণোপাসনায়ৈশ্বর্ষ্যোক্জে ন বিরুধ্যত ইতি যোজনা । তদ্চন- 
স্যানাতরাপেক্ষত্বঞ্চ তন্ত্র তত্র শ্রতো তওতপ্রক্রণবপাৎ আবিষ্কৃতং অবগমাত 
ইতি হেতুপদস্যার্থঃ। সমুখানাদিবাক্যং মুক্তিবিষদং ধএ স্ৃপ্ডে'ত সুপ্তিবিষয়- 
মিতি বিভাগ: ।--ঈশ্বরসাবুজ্য প্রাপ্ত মুক্ত পুরুষ বনু শরীর স্থঙ্জন করিয়া তোগ 
করেন, এ সিদ্ধান্ত “'কি দিয়া কি দেখিখে” “দ্বিতীয় থাকে না” এ সকল 
তির বিরোধী নহে। কারণ, এ স্ণল শ্রুতি স্বুপ্তি ও কৈবল্য এই ছুই 
অবস্থা পক্ষ করিয়া অভাহত। এ রহগ্ত সেহ সেও স্থলেই আবিষ্কৃত অর্থাৎ 
ব্যক্ত আছে। অতিগ্রায় এঠ বে, এ দকল বাক্য স্তুযপ্তযাদি প্রকরণে পঠিত 
বলিয়। স্থযুপ্তযাদদ অবস্থার বোধক। ফলিতার্থ-এশ্বর্যাবাকোর বিষয় ব 
অধিকার এ সকল বাকোর [বিষয় বা অধিকার হইতে ভিন্ন। যেহেতু বিষয় 
তিন, সেই হেতু বিরোধ নাই--অবিরোধ। 

ভান্ঠার্থস্বাপ্যয়শখে সুধুপ্তি | করথিতার্থে “জব আপনাতে অপীত 
অর্থাৎ পন স্বরূপে লান বা শান্সরূপ প্রাপ্ত হন বালিয়া ততৎ্কালে তাহাকে 
স্বপিতি (স্বাপ, দ্বাপায়, সুধুণ্ত ইত্যাদি) শবে উল্লেখ করা হয়।” এই 
উর্ঘত প্রমাণ। আর সম্পত্তি শবে কৈবলা কেবল হওয়া। এতদর্থেও 
“ব্রন্দহই ছিলেন অথচ ব্র্গপ্রাপ্ত হহলেন।” এই এুতি প্রমগ। শুতি যে 
বিশেষ বিজ্ঞান থাকে না খলিয়াছেন তাহা এ ছুই অবস্থার এক এক অবস্থা! 
লক্ষ্য করিয়া বলিগাছেন। কখন সুবুপ্ত অবস্থা লক্ষ্য করিয়া বলিয়াছেন যে, 
বিশেষ বিজ্ঞান অর্থ।ৎ তেদজ্ঞান থাকে না। এবং কথন ব! কৈবল্য (মোক্ষ ) 
অবস্থা লক্ষ্য করিয়া বণিয়হেন, তখন কে কি দিয়া কি দেখিবে? 
এ রহস্য কিসে জানিলাম তাহা বলিতোছ। দেই সেই স্থলের সেই সেই 
অধিকার বলে অর্থাৎ সেই পেই প্রকরণের সামর্ধো সেই সেই বাক্যের 
অনাতরাপেক্ষতা জান! গিক্নাছে। যথা--“এই সকল তৃত হইতে সম্যক্‌- 
রূপে উত্থিত (উৎপন্ন বা অতিক্রাপ্ত) হহ্যা সে সকলের বিনাশে বিন 
হন। তখন সংচ্ছ। অর্থ।২ বিশেষ (বিজ্ঞান থাকে না) যখন এহ সাধকের 


১৬৮ তত ণামুত। 


এ সমস্তই আস্মা হয় অর্থাৎ সাধক যখন আস্মাতিরিক্ত দেখে শা, তখন জার 
কে কি দিয়া কি দেখিবে 1” “যাহাতে সুপ্ত হইননা কোন কাম্য (অভিলধিত) 
প্রাথনা করে না, কোনও কাম্যের স্বপ্রও হয় না--” ইতাদি। এ সকল 
শ্রতিতেই জান! গিগাছে যে, বিশেষ জ্ঞান ন। থাকার কথা স্ুযুপ্তি ও মোক্ষ 
এই ছুই অবস্থার অন্যতর অবস্থা লক্ষ্য কৰিস্ব। মতিহিত হইয়াছে। ( সমৃখা- 
নাদি বাক্য মুক্তি লক্ষ্য করিয়া এবং যত্র সুপ্ত ইত্যাদি বাক্য সুযুপ্তি লক্ষ্য 
করিয়া, এইরূপ বিভাগ অবধারণ করিবে ।) অত এব, বুঝিতে হইবে, শাস্ত্রে 
মে প্রাপ্য মুক্ত পুরুষের বছুণরীর প্রবেশাপিরূপ এশবর্য্য বণিত হইগাছে 
তাহা! “কেন কং পণ্ঠেং” ইত্যাদি বচনের বিরোধী নহে। বর্ণিত প্রকার 
ধশ্বধ্যই সগুণ ব্রন্মবিদ্যা'র বিপাক স্থান অর্থাৎ ফলীভূত কাধ্য এবং তাহা 
স্বর্গীয় অবস্থার ন্যায় অবস্থরপশেষ। সুতরাং এ উক্কি নির্দোষ । 


জগঘ্যাঁপারবঞ্জৎং প্রক্ররণাদমন্নিহিতত্বাচ্চ ॥ 
অ ৪, পা 8, সূ ৩৭। 


কতত্রর্থ-জগদ্যাপারঃ জগত্মষ্ট সং ৩ বজ্জয়িধ! অগ্গদণিমাস্থাত্মক মৈশ্বর্যযং 
মুক্তাত্বনাং তবিতুমহতীতি প্রকপণাদসন্িহিতত্বাচ্চ বিজ্ঞায়তে। পরমেশ্বরং 
প্রকতা অগছৃৎ্পত্তাছ্যুপদেশাৎ। ততশ্চ জগত্বযাপারো ন্যিসিদ্বস্ৈবেশ্বরস্য ন 
ত্বন্তন্তেতি সিধ্যতি। অন্টে তাবৎ জগণ্বযাপারে অসন্রিহিতাঃ। যতত্তে স্ষ্টেঃ 
পরাচীন12। -.মুক্ত পুরুষেরা সগুণব্রক্গাবস্ার বলে স্থ মশক ব্যতীত অন্তর 
ধর্ব্যা (ঈশ্বরভাব) অর্থাৎ অণিমাদি অঙ্ট উশ্বর্ধ্য লাভ করিয়া! থাকেন। জগদ্ব্যা- 
পার অর্থাৎ স্ষ্টি করা সাক্ষাৎ ঈশ্বরের কার্য এনং সে কার্ষো জীব অনধিকূৃত ও 
অসন্নিহিত, ইহা শাস্ত্রে অভিহিত হইয়াছে। 

ভাস্ার্থ-ধাহার! সগুণ ব্রহ্ম উপাসনায় ঈশ্বরসাধুঞ্জ্য প্রাপ্ত হন, তাহাদের 
উশ্ব্ষ) সাচ্ছুশ কি নিরক্ষুণ (অসীম কি সসীম, সম্পূর্ণ 'ক অসম্পূর্ণ, স্বাধীন কি 
ঈশ্বরাধীন ) তাহা সংশফিত। সংশয় হইলে পক্ষাপক্ষ ; তন্মধো এক পঞ্চ 
নিরক্কুশ। অর্থাৎ পুর্ববপক্ষ কোটাতে পাওয়া যায়, ঈশ্বরসাধুঞ্য গ্রাণ্ত মুত 
পুরুষের এশ্বর্য (ক্ষমতা) সম্পূর্ণ স্বাধীন। এতৎ পক্ষে "তাহার স্বর্গের 
রাঞঙ্জত্ব পান” “সযুদ্বায় দেবত। তাহার উদোশে উপহার আহরণ কণে।” 
“সমুদায় লোকে তাহ।এ। স্বেচ্ছাচারী” ইত্যাদি শ্ুতিপ্রমাণ আছে। পুর্বপক্ষে 


জীবের সংসারগতি বণণন। ০১৬৯ 


এইবূপ পাওয়া যায় বলিয়া স্ত্রকার ব্যাস “জগত্যাপার বজ্জং--% হজ্জ 
বলিয়াছেন। হুক্রের অর্থ এই যে, জগছুৎপত্ভিব্যাপার ব্যতীত অর্থাৎ জগৎ 
রত ব্যতীত অন্যান্য ক্ষমতা ( অণিমাদ অঃ অগর্যয ) ঈশ্বরসাযুজা প্রাপ্ত 
মুগ্ত পুরুষ দিগের হইন্ন। থাকে । জগৎসৃট্টি করার শক্তি নিত্যসিদ্ব। ঈশ্বর 
ব্যতীত অন্য কাহার নাই। সে বিষয়ে তাহারই অধিকার, অন্যে তাহাতে 
অনধিকৃত । সম্রতিও নিত্যসিদ্ধ ঈশ্বর উল্লেখ করিয়া! (ঈশ্বরের প্রস্তাব বা 
বর্ণন আরগ্ধ করিয়া ) তত্প্রস্তাবে জগতের উৎ্পস্ভিপ্রণালী বর্ণন বা উপদেশ 
করিয়াছেন । “ঈশ্বর” শব্দ নিতা; সুতরাং তাহাও অন্যের জগত্অষ্ট তু 
নিষেধ করিতে সমর্থ; (অন্য অর্থাৎ জীব। জীবগণ ঈশ্বরের প্রসাদে 
সিদ্ধিলাত করে; সে জন্য তাহাদের এ্বর্যা জন্মবান্‌ বা উতপত্তিবিশি্ট সুতরাং 
তাছ। অনিত্য ; তাহা পুর্বে ছিল না! কাষেই মানিতে হয় বা বলিতে হয়, 
জগত্অষ্ট,ত ঈশ্বর ব্যতীত অন্যের নহে! ) জীব সকল ঈশ্বরকেই অন্বেষণ 
করিয়া এবং তাহাকেই বিশেষরূপে জানিয়া ঈশ্বরত্ব উপাহ্জন করে; সে জন্য 
তাহারা জগঘ্যাপারে অসন্িহত অর্থাৎ জগংহৃষ্টির অনেক দূরে অবস্থিত । 
( অনেক পরে উৎপন্ন । খাহারা টির অনেক পরে জন্িয়াছে এবং 
স্থষ্টিব্যাপার কি তাহা যাহর! প্রতাক্ষ জ্ঞানের গোচর করিতে পারে নাই 
ফিরূপে তাহারা জগত্হুষ্টি করিবে?) আরও কথা এই যে, যুক্ত পুরুষ মাত্রেই 
সষমনস্ক ও মনও সকলেখ সমান নহে। এক নহে । সুতরাং তাহাদের 
ধঁকমত্য না হইতেও পারে । কেহ সংকল্প করিল, মনে করিল, স্থিতি হউক । 
সেই সময়ে আবার অন্যে মনে করিলেন, সংহার হউক। এরূপ হইলে 
অধন্তই মুক্তাত্মাদিগের সমপ্রাধান্য অনুযায়ী অনিবার্ধ্য বিরোধ উপস্থিত 
হইতে পারে। যদি বল, একের সংকল্পে অনুগামী অন্যের সংকল্প, সেরূপ 
হইলে আর বিরোধ নাই, তাহাতেও আমর! বলিব, তবে সে সংকল্প নিত্য সিদ্ধ 
ঈশ্বরের সংকল্প । অন্যের সংকল্প তাহার সংকল্পের অন্ুবিধামী। অর্থাৎ 
সযুদায় মুক্ত পুরুষ তাহারই নিয়ম্য $ তিনিই একমাত্র স্বাধীন । 


প্রত্যক্ষোপদেশাদিতিচেন্নাধিকারিক- 
মগ্ডলস্থোক্ডেং ॥ অ ৪, পা ৪, সু১৮॥ 


হঞোর্থ_ প্রতাক্ষোপগেশাত সাক্ষাৎ তধোধকশখন্দেনাতিধাশাং নিগঞ্ছুশমে- 
২ 


১৭০, তথা নামূত। 


বৈধাটম্য্যমিতি যহুক্তং তদপি ন। হেতুমাহ আধীতি। অধিকারে জগৎ 
পালনার্থং তাপদানাদিকে কাধ্যে নিয়োজয়ত্যাদিতযাদীনি ইত্যাধিকারিকঃ 
পরমেস্বরঃ। স চাসৌ মগুলস্থশ্চেতি বিগ্রহঃ। তন্ত প্রাপ্যত্বোক্তেঃ ৷ ঈশ্বর 
এব হূ্যযমগুলান্তঃস্থঃ সন্‌ মনসাং প্রেরক ইতি স এব সনসম্পতিঃ। পুর্ব 
যদি নিরক্কুশং স্বারাজামুক্তং স্যাত্রহি অগ্রে ঈশ্বরস্য প্রাপাতাং ন ক্রয়াৎ। ততশ্চ 
তেষাং শ্বারাজ্যং ভোগেঘেব ন তু জগজ্জন্মাদিঘিতি তাবঃ।--"আপ্রোতি 
স্বারাজ্যং_ব্বর্গের রাছত্ব পায়” এই প্রত্যক্ষোপদেশ অর্থাৎ নিরঙ্কুশ এশ্বর্য্যের 
বোধক বাকা আছে দেখিয়া নিরদ্কুশ এখর্ধয ( অনন্যাধীন ক্ষমতা) হম বলিতে 
পার না। কারণ এ স্থানেই ক্্যমগুলারদদি আয়তনে অবস্থিত আধিকারিক 
( অধিকার দাতা ) ঈশ্বর পুরুষের প্রাপ্যতা কথন আছে । অর্থাৎ তাহারা 
অধিকার দাতা পরমেম্বপ্নকে পায়, এইরূপ কথন আছে। এ কথাতেই বুঝা 
যাইতেছে, তাহার! পরমেশ্বরের নিকটে এখ্বধ্যলাভ করে স্থতরাং তাহারা 
পরমেশ্বরের অধীন। পরমেশ্বরই তাহাদের অস্কুশ স্থানীয়; সে কারণ 
নিরছ্ুশ নহে। 

ভায্ার্থ_বলিয়াছিলে যে, “সেই উপাসক স্বর্গের রাজন প্রাপ্ত হয়” 
এইরূপ এইরূপ প্রত্যক্ষোপদেশ (সাক্ষাৎ তদ্বোধক শব্ধ প্রয়োগ ) থাকায় 
স্বীকার করা উচিত যে, জ্ঞানীর এশ্বরধ্য নির্কুণ ( অসাম বা প্বায়ত্ত), সে উক্তি 
ত্যাগ কর। আমরা বলি, আপ্রোতি স্বারাজ্যং-এ কথা বলায় দোষ হয় 
নাই। অর্থাৎ এ কথায় নিরঙ্কুশ এখর্যয হওয়] প্রতীত হয় না। কারণ এই যে, 
এ বাক্যের পরেই আধিকারিক মগডলস্থ অর্থাৎ হৃর্য্যমগলস্থ পরমাতআমার 
প্রাপাতা অভিহিত হইয়াছে । তাহাতে স্থির হয়, জ্ঞানীর এখর্ধা নিরম্কুশ 
নহে? কিন্তু সাঙ্কুশ। অর্থাৎ তাহা সেই সেই আধিকারিক পুরুষেরই অধীন। 
এ কথ। এই জন্য বলি, এ কথার পরেই মনসম্পতিং আপ্লোতি--বিনি ঘনের 
পতি, উপাসক তাহাকে প্রাপ্ত হন, এইরূপ কথন আছে। (যদি নিরদ্কুশ 
এরশব্য্য হয় বলা শ্রুতির অভিপ্রেত হইত তাহা হইলে তৎপরে ঈশ্বরের প্রাপ্যতা 
বলিতেন না বা নির্দেশ করিতেন না। এ কথাতে বুঝিতে হইবে যে, 
তাহাদের স্বর্ণের রাজত্ব কেবলমাত্র ভোগবিষয়ে, জগত্স্থষ্টিবিষয়ে নহে) 
ধিনি সমুদয় মনের পতি--নিত্যসিদ্ধ পরমেশ্বর, উপাসক তাহাকে পান। 
(তাহাকে পান বলির়াই উপাসকের তত ক্ষমতা; পুরস্ত তাহা তৎ্সকাশলব 1) 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১%১ 


উপাসক ততক্রমে বাকৃপতি, চক্ষুঃপতি, শ্রোন্রপতি ও বিজ্ঞান্পতিও হন 
এতন্তিন, অন্যান্য বাক্যে (কামচারাদি বাক্যে) যে ্রশ্বর্য্যের শ্রবণ "আছে, 
সে সকল এঙ্বযও ( স্বেচ্ছাচা ব্রিত্ব গ্রভৃতিও ) নিত্যসিদ্ধ পরমেশ্বরের অধীনে ও 
তত্বস্তুত। বলে লন্ধ। এইরূপ যোজনা বা অর্থ করিবে, করিলে বিরোধ তগ্রন 
হইবেক। 


বিকারাবর্তিচতথাহিস্থিতিমাহ ॥ 
অ$, পা 8, সূ ১৯।॥ 


শত্রার্থ--গগঘ্যাপারোপুযুপাপকপ্রাপ্যন্তদপাস্তানিষ্ঠত্বাৎ সম্কক্পসিদ্ধাদিবৎ 
ইত্যাশক্ক্য উপাস্স্থনিগুণম্বরূপে ব্যতিচারমাহ বিকাঁরেতি। বিকারে 
সবিভৃমণ্ডলাদে ন বর্তত ইতি বিকারাবন্তি। নিগুণনিত্যমুক্তমপি পারমেশ্বরং 
রূপমন্তি বিকারালম্বনাস্তত্ন প্রাপ্প,বস্তীত ভাবঃ। হি যতঃ তথ! তেনৈব 
রূপেণাহস্ স্থিতিং আহ আয়ায় ইতি ষোজনীয়ম। --পরযেশ্বরের যে নিগুপ 
নির্বিকার রূপ আছে, সগ্ডণ উপাপকেরা সেরূপ প্রাপ্ত হয় না শ্রুতি বলিয়া- 
ছেন, পরমেশ্বর সগুণ নিণুণ দ্বিরূপে অবস্থিত আছেন। অভিপ্রেতার্থ এই 
যে, সগডণ উপাপক যেমন পরমেশ্বরের নিগুণরূপ প্রাপ্ত হয় না, সগুণরূপ 
পাইয়া সগুণেই অবস্থান করে, সেইরূপ, ভাহারা তাছার নিরঙ্কুশ এখধয পান 
না, ন। পাওয়ায় সাংস্কুশ উশ্বর্্য লইয়াই থাকেন। 

ভাঞ্যার্২--পরমেশ্বর যে কেবল সবিকার বা সগুণ রূপে সুর্যামগলা দির 
অধিষ্ঠাত! হইয়। বিরাজ করিতেছেন এমত নহে । তিনি বিকারাতীত নিত্য- 
মুক্ত নিগুণরূপেও অবস্থিত আছেন। আয্মায় অর্শাৎ বেদ তাহার দ্বিরূপে 
অবস্থান বর্ণন! করিয়াছেন। যথা--“পূর্বোক্ত সমস্তই ইহার (পরমেশ্বরের ) 
মহিষ) অর্থাৎ বিভূতি। পুরুষ সে সকল অপেক্ষা জোষ্ঠ। এই সমুদবায় ভূত 
তাহার একপাদ ( এক চতুর্থাংশ ) অবশিষ্ট জিপাদ অমৃত অর্থাৎ নিত্যমুক্ত 
ও স্বর্মে অবস্থিত ।” এই শ্রুতি বলিতেছেন যে; পরমেশ্বর সগুগ নিগুর 
অর্থাৎ সবিকার নির্বিকার দ্বিরূপে বিরাঞ্জ করিতেছেন। যাহ! তাহার 
নির্বিকার রূপ, তাহ। বিকারাবলম্বীরা (সগুণ উপাসকের1) পায়, এমন কথ! 
বলিতে শক্ত নহ। কারণ, তাহারা নিগুণোপাসক নহে। ভাবিয়া দেখ, 
পরমেশ্বর দ্িরপে অবস্থান করিলেও সগুণোপাসকগণ যেমন তাহার নিখুপ 


১৭২ তত্ব্জামামৃত। 


রূপ প্রাপ্ত হয় না, সগুণ ব্লুপই প্রাপ্ত হয় ও সগুণে অবস্থান করে সেইন্প, 
সগুণে 'অবস্থান করিয়াও নিরক্কুশ এখর্য্য পায় না, না পাওয়ায় সাস্কুশ এখর্ষ্যে 
( ঈশ্বরাধীন বা ঈশ্বরদত ক্ষমতাঁতেই ) অবস্থিতি করে। 


দর্শয়তশ্চৈবং প্রত্যক্ষান্থমানে ॥ 
অঃ, পা & সু২০॥ 


সঞজাথ-_ প্রত্যক্গানুমানে আতিস্বতী এবং বিকারাবপ্তি রূপং দর্শয়তঃ | 
শ্রুতি ও স্মৃতি উভয়েই পরমেশ্বরের বিকারাতীত নিগুণ রূপ থাকা বর্ণন 
করিয়াছেন। 

তাযার্থ--পরম জ্বতিঃ নামক পরমেশ্বর যে বিকারাতীত রূপে । নির্বি- 
কার বা নিত্যযুক্ত রূপে )' অবস্থিতি করেন তাহা তি ও স্মৃতি উভয়ন্রেই 
দেখাইয়াছেন বা বলিয়াছেন। “সেখানে ক্র্্যও প্রকাশকা্য করিতে অক্ষম। 
চক্র, তারক! ও এই সকল বিদ্যুৎ তাহাকে দীঞ্জিদান করিতে অক্ষম, আরব 
ত কথাই নাই ।” “কুর্য্য, চন্দ্র, অগ্নি, কেহই তাহাকে প্রকাশ করে না। 
তিনি শ্বয়ন্্রকাশ; তাহারই প্রকাশে এ সকল প্রকাশিত।” পরম জ্যোতি 
পরমেশ্ববের বিকারাবগ্ঠি অর্থাৎ বিকারাতীত নিতামুক্ত রূপ এরপে প্রপিদ্ধ। 


ভোগমাত্রাম্যলিঙ্গাচ্চ ॥ অ ৪, পা 8, সু২১॥ 


সুজ্জার্থ-মাত্রশকোহন্যযোগব্যবচ্ছেদার্থঃ | তেন জগত্্য।পারো! ব্যবচ্ছিন্নঃ। 
ভোগ এব ভোগ মাঝ্ুং তস্য সাম্যং সমানতা অনাদিসিদ্ধেনেশ্বরেণ সহেতি 
যাবং। লিঙ্গ্যতে জ্ঞায়তেহনেনেতি লিঙ্গং ঞুতিনির্গলিতার্থঃ। তশ্মাৎ্ সাব- 
গ্রহমেবৈষ্ব্য্যমেষাং প্রতীয়তে | শ্রুতি তাৎপধ্যার্থে পাওয়া যাইতেছে যে, 
সগ্ধণব্রক্গোপাসক্িগের কেবলমাজ ভোগই ঈশ্বরের সহিত সযান। অর্থাৎ 
ঈশ্বর যাহ! যাহ! বা যেরূপ যেরূপ সুখভোগ করেন ঈশ্বরপ্রাণ্ত উপাসকও ঠিক 
সেইক্প সুখ ভোগ করেন। ইহাতে স্পষ্ট বুঝ। যাইতেছে যে, সগ্গব্রহ্গপ্রা্ত 
যোগীর এশ্ব্ধ্য ঈশ্বরাধীন সুতরাং নিরস্কুশ নহে। 

ভাস্ার্থ--বিকারাবলম্বী দিগের অর্থাৎ সগুণোপাসক দিগের এ্রশখর্যা যে 
নিৎগ্কুশ ( অসীম বা স্বাধীন) নহে, তত্প্রতি অন্ত হেতুও আছে। সে অন্ঠ 
হেতু- অনাদি ঈশ্বরের সহিত ভোগসাম্যশ্রবণ। অর্থাৎ শ্রুতি বলিয়াছেন 


জীবের সংসারগতি বণন। ১৭৩ 


ধে, তাহাদের মাত্র ভোগই ঈশ্ববের সহিত সমান” ক্ষমতা সমান ,নছে। 
ষথা--“হিরণ্যগর্ত বা ব্রহ্মা স্বীয় লোকে আগত উপাসককে বলিলেন, আমি 
এই আপ অর্থাৎ অমৃতরূপ জল ভোগ করি এবং এই লোকও এই অমৃত 
ভোগ করে।” “এতল্লোকবাসী দিগের ভোগ যে আমার সহিত সমান, 
সে পক্ষের উদাহরণ এই--সমুদ্দায় ভূত এই দেবতাকে যদ্রপ রক্ষা করে, 
এতছুপাসককেও সমুদ্বায় ভূত সেইরূপ রুক্ষা বাঁ পালন করে। তাহারাও 
এই দেবতার সালোক্য ও সাযুজ্য জয় করিয়াছে ।” (সালোকায» সমান 
লোকে বাস। সাধুজ্য-সমান দেহ বা সমান রূপ। জয় করা অর্থাৎ 
পাওয়া) এক্ষণে বলিতে পার ষে, ব্রহ্মলোকপ্রাপ্ত উপাসক দিগের এয 
শাতিশয় বিধায় ( সাতিশয়- অল্পাধষিক, ছোট বড়, তারতমা, বা বিভিন্ন 
প্রকার 1) নশ্বর এবং নশ্বরত্ব বিধায় তাহাদের পুনরাবৃত্তি (পুনর্জন্ম ব৷ 
পুনঃসংসার ) প্রপক্ত অর্থাৎ হইতে পারে বলিয়া আপত্তি উপস্থিত হইতেছে। 
তাহার প্রতিবাদার্থ ভগবান বাদরায়ণ আচার্য্য * হ্ত্র বলিতেছেন__ 


অনাবস্তিঃ শব্ধাদনারত্তিঃ শব্ধাৎ ॥ 
অঃ, পা 8, সু২২।॥ 


কুক্রোর্থ--অনাবৃতিঃ অপুনর্ন্ম । শঙাৎ শান্ত্রবাক্যাৎ।-ব্রহ্মলোক গত 
জ্ঞানী উপাসক দিগের পুনক্ন্ম হয় না এ তথ্য শান্দ প্রমাণে বিজ্ঞাত হওয়। 
যায়। 

তাধ্যার্থ_ধাহার। নাড়ীরশ্মিসম্বন্ধ ঘটিত অচ্চিবা দিপর্কবিশিষ্ট দেবধান 
পথে করন ব্রহ্মলোকে গমন করেন, তাহারা চন্দ্রলোক গত উপানক 1 


পা পপ পল ০. পঞ্চ সদ শা এ শশা শী নি শশাশিশি ক ক্ষ শ শা শিপ স্‌ শট শ পস্পিশ তি শী লগ কপ পি ত তাত পাতিল পপি পিপিপি তিশা আল 


* সর্বজ্ঞ বলি ভগবান, সদাচার স্থাপন চুরির বলিয়া আর্া, 
বদরিক্ষাশ্রমবা সী বলিয়! বাদরায়ণ বিশেষণ দেওয়া হইয়াছে । নিত্য সর্বজ্ঞ 
পরম গুরু নাবায়ণ বদবিকাশ্রমে বাস করেন, হুন্রকার ব্যাস তৎকাশে বাস 
করিয়। তদস্ুগ্রহঙ্গাতে এতৎশান্ত্র প্রণয়ন করিতে পারক হইয়াছিলেন, এ 
কথাও উক্ত শবে ধ্বনিত হইয়াছে । 

+ মূলাধার বা নাভিপদ্ম হইতে ব্রক্গরদ্ধ, পর্য্যন্ত উৎ্ক্রষণ নাড়ী বিত্বৃত 
আছে। ব্রক্গরন্ধ, নামক তদগ্রচ্ছিত্র আর হুরধ্যমগ্ুল রশিুজে সংগত হইয়া 


১৭৪. তত্বজানামৃত। 


দিগেরুন্তায় ভোগক্ষয়ে পুনরাবর্তন ( পুনর্ধার এ লোকে জন্ম গ্রহণ) করেন 
না, ইহা শবের অর্থাৎ শ্রুতির দ্বারা অবগত হওয়! গিয়াছে। ব্রপ্ধলোক কি 
প্রকার তাহ। ক্রতি-স্মতি-পুরাণ-ইতিহাসাদিতে বর্ণিত আছে । বথা--«এই 
পৃথিবী হইতে তৃতীয় স্বর্গে ব্রদ্দলোক-- ব্রহ্মার বসতি স্থান। সে স্থানে 
“অর” “ণ্য”? এতন্ামক সমুদ্রতুল্য সুধাহদ, অনময় ও মকর শরোবর, 
অযৃতবর্ধী অশ্বথ, সে স্থান তন্বজ্ঞানী ব্রহ্মোপাসক ব্যতীত অগ্ভের অগম্য, সেই 
লোকে অবেয় ত্রহ্মপুরী (ব্রহ্মার পুরী ) তাহাতে প্রভু ব্রহ্ম বিনির্মিত হিরণ 
গৃহ আছে।” ইহা আরও অনেক প্রকারে বেদ-বেদার্থবাদ-পুরাণেতিহাস 
প্রভৃতিতে বর্ণিত হইয়াছে এবং ইহাই ব্রহ্মলোক শবের অভিধেয়। উপায় 
বিশেষে এবন্বিধ ব্রহ্মপোক প্রাপ্ত হইলে তথ হইতে আর প্রত্যাবর্তন করিতে 
হয় না। এ রহস্য “উপাঁপক সেই মূদ্ধন্থনাড়ীপথে নিজ্ঞান্ত হইয়া উর্ধীলোকে 
(ব্রহ্মধোকে ) আগমন করতঃ অমরত্ব প্রাপ্ত হন অর্থাৎ মুক্তিলাভ করেন” 
“তাহাদিগের আর পুনরাগমন হয় না” “দেবান পথে প্রস্থিতদিগের 
মন্তৃয্যসন্বন্ধীয় এই আবর্থে ( সংসারুচক্রে ) পতিত হইতে হয় না” “সে ক্রহ্ধ- 
লোক প্রাপ্ত হয়, আর প্রতাযবর্িত হয় না।” ইত্যাদি ইত্যাদি বেদময়ী বাণীর 
(শ্রতির) নিকট অবগত হওয়! গিয়াছে। যদিও এ্বর্যয অস্তবান অর্থাৎ 
নম্বর, তথাপি, খশ্ব্য্য ক্ষয়ে যে প্রকারে অনাবৃত্তি অর্থাৎ অপুনরাগমন ঘটন। 
হনব সে প্রকার বা সে প্রক্রিরা 'কার্ধযাত্যয়ে তদধ্যক্ষেণ--* হুত্রে বঙ্গা 
হইয়াছে । যাহারা তত্বজ্ঞান ঘবার! স্বগত অঙ্ঞানাবরণ বিধ্বস্ত করিয়াছেন, 
তাহাদের নির্ববাধ ব। অনাবৃত্তি সিষ্ঘই আছে। অর্থাৎ তাহাদের অনাবৃত্তি 
ব। নির্বাণ সম্বন্ধে কাহার কোন আশঙ্কা নাই। অর্থাৎ সে বিষয়ে অন্পমাত্রও 
সংশয় নাই। সেহ জন্টই গৃত্রকার সগুণব্রক্ষবিদদিগেধ অনাবৃত্তিক্রম বর্ণন 
করিলেন। হ্ুব্রকারের অভিপ্রায় এই যে, যখন সগুণত্রহ্মবিদৃদিগেরও 
অনাবৃত সিদ্ধ হইতেছে তখন আর নিত]'সদ্ধনির্বাণপত্রায়ণ নিগু পপক্ষবিদ- 


আছে। দহুরাদি উপাসক অর্থাৎ ঈশ্বরোপাসক সেই পথে (নাড়ীপথে ) 
নিঙ্ান্ত হইয়। রশ্মি অবলম্বন করত: অহ: প্রস্তৃতি সোঁপানভূত দেবতা অবলম্বন 
করত: উর্ধে অর্থাৎ ব্রহ্গলোকে গমন করেন। এই পথের অন্য নাম দেবধান, 
জঙ্টিন্মার্গ। এ সকল কথ। পুর্বে বিস্তৃতরূপে বল! হইয়াছে। 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৭৫ 


দ্িগের অমারৃতি কথা কি বলিব! ( এই স্থানে আর একটী সিদ্ধান্ত কথা 
বক্তব্য। তাহা এই-ধাহার! বিন! ঈশ্বরোপাসনায় অর্থাৎ পর্াগ্সিবিগ্ঠার 
অন্থণীলন, অঙ্গমেধ যজ্ঞ সুদ ব্য, ইত্যাদি ইত্যাদি কর্মের বলে ব্রন্গ- 
লোকে উদ্ভূত হন, তত্জ্ঞানের অভাবে তাহার কর্ক্ষয়ে বা গ্রলয়াবসানে পুন- 
জন্ম পাইয়। থাকেন। কিন্তু ধাহারা ঈশ্বরোপাসনায় ও তবজ্ঞান নিয়মে 
ব্রহ্মলোকগামী হন, তাহারা আর প্রত্যাবর্তন করেন না। তাহারা কল্সান্ত 
হইলে ব্রহ্মার সহিত উৎপরত্রন্ষদর্শন অর্থাৎ তন্জানী হইয়! পরিমূক্ত হন। ) 
্রহ্মমীমাংস1 শাস্ত্র এই হানে গমাপ্ত হইল, ইহা বুঝাইবার নিমিত্ত “অনানৃত্তিঃ 
শবধাং? এই হত্র দ্বিরুচ্চারিত হইয়াছে। 


স্তুর্থ খও । 
দ্বিতীয় পাদ। 


জীবনুক্ত বিদ্বানের ব্যবহার মন্বন্ধে ও 
মুক্তি সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ বিচার । 


দীবন্ৃক্তি ও বিদেহমুক্তির স্ববূপ ও লক্ষণ তৃতীয় পাদে নিত হইয়াছে 
এক্ষণে জনবানের শাতীরব্যধহারসন্বন্ধে কিঞিৎ বচার আরস্ত করা যাই- 
তেছে। সংক্ষেপে গীবনুক্ত ও ধিদেহমুজির অপ যথা দেহাদি প্রপঞ্জের 
বাধিতাষ্ুবৃত্তিসাহত ব্রহ্ষস্বরূপে অবস্থান জীবনু:ক্তণ লক্ষণ আর বাধিতান্বতি- 
পরহিত ব্রদ্ষপ্ববূপে ভিত বিদেহ-যু'জর লক্ষণ | জীবশুক্ত পুরুষের বাবহা বু" 
বিষঘুক সিদ্ধান্ত্রপক্ষ এই -জ্ানবানের শাপার-বাবহরের কোন ন্য়িষ নাই, 
কারণ, অজঞাগ নিবৃত্ত হওয়ায় ৬২কাযায তেদ-লাস্ত, তথ। তেদ-ভ্রমের কাধা 
রাগছ্েষাদি, ইহ সকল জ্ছানী4 দৃষ্টিতে নাহ। যেহেতু প্রারক্ধকশ্মের শেষ 
তাহার ব্যবহারের নিমিও, সেই হেতু পুরুষ ভেদে উক্ত গ্রা্ন্ধ-কন্ম নানাবিধ 
হওয়ায় জ্ঞানীর থ্যবহারও নানাবিধ হহয়। থাকে, অর্থাৎ প্রব্বভিপ্রধান ও 
নিবাত্তগ্রধান উভয়ই প্রকার হইয়া থাকে। সুতর।” জানার প্রারন্ধকম্মরজগ্ঠ 
ব্যখহার সকলের সমান নহে, এতি পুরুষ ভিন তিনন। জানা পুরুষগের 
ব্যবহারের বিচিজ্পতা প্রযুক্ত যথেষ্টচারের আপত্তি হইতে পারে না, কেননা, 
আত্মবিমুখ পুরুষের পক্ষেই শাঞ্রের প্রবাওানরাওবোধক উপদ্দেশ ও শাসন 
সার্থক, জানীর পক্ষে নহে। জ্ঞানীর দৃষ্টিতে পাপ-পুণ্য ও পুণ্যের আশ্রর 
অন্তঃকরণ পরমার্থরূপে নাই আর বে হেতু ইহা মকল অজ্ঞানের মাধরুণ-শক্তি 
আশ্রয় করিয়া উৎপন্ন হয় 'ও প্রতীত হয় আর যেহেতু এই প্রতীতি লক্ষ্য 
করিয়াই শান্তরও প্রবৃত্ত, সেই হেতু উক্ত অজ্ঞানের তত্বজ্ঞানঘারা নিবৃত্তি হওয়ায় 
জ্ঞানবান সব্বপ্রকারে কর্তব্যরাহত, ইহা সিদ্ধান্ত পক্ষ। 

২৩ 


গু 


১৭৮ তত্বঙ্জানাযূত। 


উল্লিখিত সিদ্ধানস্ত-পক্ষে কেহ কেহ এইরূপ আক্ষেপ করেণ, ষথা-_-জ্ঞানীর 
ব্যবহারে অন্য কোন কর্মের নিয়ম ন! থাকুক, নিবৃত্তিতে অবশ্যই নিয়ম 
আছে। দেহের স্থিতি হেতু, কেবল মাত্র ভিক্ষা, আসন, কৌগীন, আচ্ছাদন, 
এই সকল বিষয়েই জ্ঞানীর প্রবৃতি সম্ভব হয় অন্য বিষয়ে নহে। কারণ, 
জ্ঞানোৎ্পত্তির পূর্ে, জিজ্ঞাসাকালে, বিষয়াদিতে দোষদৃষ্টিতবাপা বৈরাগ্য হয় 
তন্দার! রাগ ক্ষীণ হয়, পরে জ্ঞানোদয় কালে বিষয়াদিতে মিথ্যাবুদ্ধি হওয়ায় 
রাগের অভাব হয়। সুতরাং মিথ্যাবুদ্ধিহেতে ও দোধুষ্টিহেতু রাগবুদ্ধির 
অভাব হওয়ায় তথ প্রবৃভিমাত্রেই রাঁগ সাপেক্ষ হওয়ায়, জ্ঞানীর বিষয়া্দিতে 
প্রবৃত্তি সম্ভব নহে। কিন্ত 

শরীরনির্বাহক তোজনাদিতে বাগবিনাও কেবল প্রাবব্ধকর্ম্ের বলে 
প্রবৃত্তি সম্ভব হয়। কর্ম তিন প্রকার, সঞ্চিত, আগামী (ক্রিয়মাণ) ও প্রারন্ধ | 
ভূতশরীরে ফলারভ্তরহিত কৃতকর্দদকে সঞ্চিত খলে। বর্তমান শরীরে ভবিষ্যৎ 
ফলের আরম্তক কৃতকন্মের নাম অ।গামী। ভূত শরীরে কৃতকম্ম বর্তমান 
শরীরের হেতু প্রারন্ধ বলিয়া প্রসিদ্ধ। এই তিন কর্খের মধ্যে সঞ্চিতের জ্ঞান 
বারা নাশ হম়। আম্মাতে জ্ঞানীর কর্তব্য-ভ্রাস্তি না থাকায় তাহার পক্ষে 
আগামী-কর্মের সম্বন্ধ নাই। থে প্রারন্ধ-কন্ম জ্ঞানবানের শরীর আরম্ত করি- 
ঘাছে, সেই প্রারব্ধ শরীর স্থিতিহেতু তিক্ষাদিতে প্রবৃত্তি জন্মাইয়া থাকে। 
ভোগ ব্যতীত প্রারনূকন্মের নাশ হয় না, স্থুতর!ং বাগ ব্যতিরেকেও কেবল 
প্রারবদ্ধার৷ শরীর নির্বাহক ভোজনাদিতে প্রবৃত্তি সম্ভব হয়। 

যেস্থলে শাস্ত্রে আছে, সঞ্চিতআগামীকন্মের গ্তায় জ্ঞানীর বিষয়ে প্রা রব্ধ- 
কর্মেরও সন্ভাব নাই, সুতরাং ভোঙ্জনাদি প্রবৃত্তিও জ্ঞানবানের সম্ভব নহে, সে 
স্থলে শাস্ত্রের তাৎপর্য এই ঃ--জ্ঞানীর দৃষ্টিতে কর্ম ও তাহার ফলের সম্বন্ধ 
আত্মাতে নাই। সুতরাং আত্মাতে সর্ধকর্মের নিষেধাতিপ্রায় প্রারন্ধের নিষেধ 
হইয়াছে, জ্ঞানের পরে জীবদ্দশায় যে ফলাভিমুখপ্রারন্বরূপ কর্মের ভোগ হয় না, 
এই অভিগ্রায়ে উক্ত নিষেধ নহে। কারণ, বেদান্তদর্শনে সুক্রকার বলিয়া- 
ছেন, জ্ঞানীর সঞ্চিতকর্ত্ম জ্ঞানদ্বার নাশ হয়, আগামীর সংশ্লেষ হয় না ও 
প্রারন্ধের ভোগে ক্ষয় হয় । অতএব প্রারন্ধবলে কেবলমাত্র শরীরনির্বাহক 
ক্রিয়াই জ্ঞানীর বিষয়ে সম্ভব হয়, অধিক নহে। 

উক্ত অর্থে যদি এরূপ আশঙ্কা কর ষে, কর্থা বিচিত্র ও নানাবিধ হওয়াঃ 


জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৭৯ 


যে স্থলে এক কর্ম নানা শদীরের আরস্তভক হয়, সেস্থলে প্রথম শরীরে জান 
হইলে, জ্ঞানবানের অন্ত আরও শরীরের প্রাপ্তি হইয়া থাকে*। কারণ, 
ফলারম্তক কর্মনকে প্রাবন্ক বলে, তাহার ভোগবিন। নাশ সম্ভব নহে। অতএব 
যেস্থলে অনেক শরীরের উত্পাদ্রক কর্ম এক, সেস্থলে প্রথম শরীরে জ্ঞান 
হইলে অবশিষ্ট শরীরের আরম্তভক বীঞ্জাবয়বের অবশেষে জ্ঞানের পরেও 
জানবানের আরও শরীর উৎপন্ন হইবে, হইলে শরীরব্যবহা্রহেতু প্রত্ত্তির 
সর্বথ। অভাব বলা সম্ভব নহে। ইহা প্রত্যুত্তরে বদি বল, প্রারবকর্শের 
বলে যতগুলি শরীর হইবে ততগুপির অধিক জ্ঞানীর শরীয় হইবে না এবং 
সেই সকল শরীরে প্রাণণির্বাহের অধিক চেষ্টা হইবে না, এইরূপে জ্ঞান 
ও কর্ম উভয়ই সফল । এরূপ বলা সম্ভব নহে, কারণ বেদের অনুশাসন 
এই--“চ্ঞানীর প্রাণ অন্য লোকে বাঁ হই লোকে অন্য শরীরে গমন করে ন! 
কিন্তু মৃত্যুকালে সেই স্তানে অন্তঃকরণ ইন্দ্রিরাদি সহিত পরব্রন্ধে বিলীন 
হয়।” অতএব প্রাণের গমন বিনা অন্ত শরীরের প্রাপ্তি সম্ভব নহে বলিয় 
জ্ঞান্ক্জানের শেষ প্রারন্দ বলে অন্য শরীরের উৎপত্তি বল! অপঙ্গত। কিন্তু 

উক্ত মাশক্কার সমাধান এই _যে স্কলে অনেক শরীবের আরম্ভক একটী 
কর্ম হয় সেস্থুলে অন্তা শগীরেই জ্ঞান হয়) পুর্ব শরীরে নহে। কারণ, 
অনেক শরীরের আরন্তক যে প্রারক তাহাই জ্ঞানের প্রতিবন্ধক । যেযন 
বিষয়াদিতে আসক্তি, বুদ্ধিমন্ৰ তা, তেদপাদী-বচনে বিশ্বাদ, পাপের বাহুল্য, 
ইহা সকল জানের প্রতিবন্ধক, ভেমনহ বিলক্ষণ প্র।রন্ধও জ্ঞানের প্রতিবন্ধক 
জ্রান্পাধন শ্রবণাদ্দিত্বার] উক্ত প্রতিবন্ধকের নাশ হয়। কচিৎ প্রতিবন্ধকের 
বিগ্তমানে পৃর্বজন্ম নুঠিত শ্রবণ দিদ্বারা উক্ত জন্মে জ্ঞান না হইলে, প্রতিবন্ধকের 
নাশে তাবী-শরীরে অবণার্দি সাধনপাযগ্রী বিনাই জান হইয়৷ থাকে। 
বামদেব খবির পৃর্বাজন্মে শ্রব্ণাদ্দি সাধন সত্বেও প্রারবের ফল একটী শরীর 
অবশিষ্ট থাকায় উক্ত জন্মে জ্ঞানের উদয় হয় নাই, কিন্তু অন্য শরীর প্রাপ্তি 
সময়ে পূর্বজন্মাদিকুত শ্রবণাদি সাধন প্রভাবে মাতৃগর্ভে জান হইয়াছিল। 
কধিত কারণে জ্ঞানের অনন্তর অন্য শরীরের সম্বন্ধ হয় না, কিন্তু বর্তমান 
শরীরের প্রারন্ধ দ্বার! চেষ্টা হইয়া থাকে। যতটুকু চেষ্টা দ্বারা শবীরের নির্ববাহ 
হয় ততটুকুই চেষ্টা হইয়া থাকে; রাগজন্ অধিক চেষ্টা হয় না, স্ৃতরাং জ্ঞানী 
সর্বপ্রকারে প্রবৃতিরহিত | 


১৮৬ তথজানামৃত। 


প্রদর্শিত রূপে নিবৃতিপ্রধান জ্ঞানীর ব্যবহার হওয়ার প্রবৃত্তিপ্রধান জ্ঞানীর 
ব্যবহার হইতে পারে না। যদি বল, মনের স্বতাব অতি চঞ্চল, নিরালন্ব স্থিতি 
মনের সম্ভব নহে, কোনরূপ আলম্বন মনের স্থিতি জন্ভত আবশ্যক, অতএব 
আলম্বন সহিত মনই জ্ঞানবানের প্রবৃত্বর হেতু । এই আশঙ্কাও যোগ্য লহে, 
কারণ, যগ্ভপি সমাঁধিহীন পুরুষের মন সদ| চঞ্চল হইয়া থাকে, তথাপি সমাধি 
দ্বারা মনের বিজর হওয়ায় জ্ঞানী সমাধিতে সর্ধদা শ্বতাববলেই স্থিত, 
হেতু এই যে, জ্ঞানবান সাঁধনক্কালের শ্রবণ মনণ নিধিধ্যাসনের পরিপক্কা- 
বন্থাতেই জ্ঞানকল লাতত করিয়ছেন। এই অবস্থা এক্ষণে অর্থাৎ জঞানোদয় 
কাপে শ্বতাবসিদ্ধ, £কন-না, সাধনর্কালের অভ্যাস সিদ্ধাবস্থাতে-স্বভাবে 
পরিণত হয়ু। সাধনকাঁলে জ্ঞানলাভের জন্য শ্রবণাদর আবগুকত। হয়, 
বৃহদারণ্যকে আছে, “সেহ হেতু ব্রাঙ্গণ পাগডত্া লাশ করিয়া বাল্যে 
অবস্থান করিবেন, বাল্য ও পাগিত্য স্থিবুতররূপে লব্ধ হইলে মুন হইবেন, 
মৌন ও অমৌন নিশ্চয়পপে লাভ করিতে পারিলেই ত্রাঙ্গণ অর্থ।ৎ ব্রঙ্গজ্ঞ 
ওয় যায়।” এ বিষয়ে স্বমতের পোষক প্রমাণে নিয্োক্ত কতিপয় গত 
বোদান্তদর্শন হইতে উদ্ধৃত করা যাইতেছে । তথাহি, 


পহকার্যাম্তরবিধিঃ পক্ষেণ তৃতীয়ং তদ্বতো৷ 
বিধ্যাদিবৎ ॥ অ ৩, পা 8 সু8৭॥ 


সত্রার্থ -অন্থং সহকারি সহকাধ্যন্তরং তন) বিধিব্বধানমেব। মৌননায়ো 
বিগ্ভাপহকারিণে। বিধানমেব মন্তধ্মৃ। এভচ্চ পক্ষেণ পাক্ষিকমূ। পক্ষশ্চ 
ভেররদর্শন গ্রাবল্যম । ভেদদর্শনপ্রাবল্যে সতি মৌনং বিধেয়মিতি ভাবঃ। 
তৃতীয়'মতি বাল্যপাগ্ডিত্যপেক্ষয়া | কম্তেদং মৌনমিত্যত আহ তদ্বতো 
বিগ্ভাবতঃ। বিষ্কাবত এব তেদদর্শনপ্রাবঙ্যে মৌনং বিধীয়ত ইতি'যাবৎ। 
বিধ্যাদিবদিতি দৃষ্টান্তঃ। বিধ্যা দিবি ধিমৃখ্যস্তত্বৎ। অন্যৎ ভামত্যা মনুসন্ধেয়ম।-_ 
বৃহদারণ্যক হ্রতিতি যে ৌনের কথা আছে তাহা বিধি কি অন্ুবাদ। 
ূর্বপক্ষে পাওয়া যায়, বিধি নহে। পরন্ত পিদ্ধান্ত--মৌন জ্ঞানের মহকারী 
কারণ অথচ তাহা পুর্ধপ্রাপ্ত নে। সে জন্ত তাহা বিধি। এই মৌন বাল্য 
ও পাণ্তিত্য অপেক্ষা তৃতীয় এবং ইহা গ্ঞানাতিশয়রূপী। ইহা বিদ্যাবান্‌ 
সন্ভলাসীর প্রতি বিহিত পরন্ত তাহ! অঙ্গবিধি। অর্থাৎ মুখ্যবিধির অঙ্গ । 


নস 
জীবের সংসারগতি বর্ণন। ১৮১ 


পূর্বমীমাংসায় যেমন দর্শপূর্ণযাদ নামক মুখ্য যাগবিধির অঙ্গীভূত পরিধি 
অগ্্যাধানাদি, এই উত্তর মীমাংসাতেও তেষনি মুখ্য বিদ্যাবিধির অঙ্গীতৃত 
বিধি মৌন। 

ভাষ্যার্থ _বুহদারণ্যকে আছে "সেই হেতু ব্রাঙ্গণ পাঙ্ডিত্য লাভ করিয়া 
বাল্য অবস্থান করিবেন। বাল) ও পাগিত্য স্কিরতবররূপে লব্ধ হইলে মুনি 
হইবেন। মৌন ও অমৌন নিশ্চয়ন্ধপে লাত কনিতে পাৰিলেই ব্রাঙ্গণ 
| ব্রহ্াজ্ঞ ) হওয়া যায় । অর্থাৎ ব্রঙ্গপাক্ষাংকার হয়” অধ্যয়নাদিপ্রতব ব্র্গ- 
বৃদ্ধির নাষ পণ্ডা, তদ্বিশি্ট সাধক পাত, তাহার লার্্য পাগিত্য অর্গাৎ 
ব্রঙ্গশবণ | তাহ। অসন্দিগ্ক ও আবপধ্াস্তরূপে লাভ হইলেই পাগুত] লাভ 
হয়। বালা বালভাব অর্থাং [নতান্ত মার্লা -শ্ুদ্ববুদ্ধি। কথা গাল 
অন্তিপ্রায় বা তাত্পর্যা-_ অপন্থাবন।ভ্রযাগরূপ মননই মৌন। আঙ্কলিতার্থ__ 
অগ্রে শ্রবণ, তত্পবে মনন, তৎ্পরে খুনি । মুনি নিরপ্তত্র মলনীল অর্থাৎ 
নিদিধ্যাসন্তত্প্র 1 সমুদাম কথার [নক্ষষ-_ শ্রপণ, মনন ও নিদিধ্যাসন 
অ'খচাল) লা স্থিরুতপু হওয়ার পু ব্রাঙ্গণ হয়। ব্রাঙ্গণ--ব্রহ্মপাক্ষাকারবান্‌ 
ব! ব্রহ্মাহ মিত্যা কার অনুতবপ্রাপ্ত ৷ এই শুলে সংশয়_ উল্লিখিত এুতিতে-- 
মৌনের (মণনশীলতার ব। নিদিধ্যাপনে) পিধ!ন হহয়াছে কি ন'! পূর্বপক্ষে 
পাওয়া যায়, বাল্যেন তষ্ঠাসে২-বালাভাবে অবস্থান করিবেক' মাত্র এই 
স্থানেই বিপাবভক্তি দেখ যায়; মুনি-বাক্ো বাধবিভক্তি দেখা যায় না। 
মুনি-বাক্যে "অথ মুনিঃ এহ মাও আঁছে। [বাঁধাবভক্তি না থাকাতেই বুঝা 
যাইতেছে, প্রোক্ত বাক্যে মৌনের বিধান ঠ্য় নাই; মাত্র তাহার অনুবাদ হই- 
যাছে। অনুবাদ বঙ্গাই যুক্ত, বধান বলা অযুক্ত। যার্দ বগ, প্রাপ্তি ব্যতীত 
অনুবাদ হয় না। মৌনের প্রাপ্তি কোথার? কোন্‌ বাক্যে মৌনের বিধান 
হইয়াছে? ইহার প্রতুযক্তরে বলিতে পারি, মুনিশবেের ও পঞ্িতশব্দের জ্ঞান- 
বাচিতা আছে । সুতরাং “পাগিত্যং নির্কিগ্ত” এই বাক্যে মৌনের বিধান ব। 
প্রাপ্ডি, প্রোক্ত বাক্যে তাহার প্রশংস(বাদ । “অথ ত্রাঙ্ষণ$? এখানে যেমন 
্রাহ্মণত্বের বিধান নহে, পূর্বেই তাহার প্রাপ্তি । ব্রাহ্মণ্ধ সিদ্ধি) আছে, প্রাপ্তি 
থাকায় তাহার উল্লেধ প্রপংশাবাদ। তেমনি, “অথ মুনি, এখানেও মৌনের 
প্রশংসাবাদ। এইরূপ পূর্বপক্ষ প্রাপ্ডে বলিতেছেন, সহকাধ্যস্তরবিবিঃ | 
মৌনজ্ঞানের সহকারী, সে জন্ত তাঁহাও বাল্য পাগ্ডিত্যের স্তাঁয় বিহিত । অর্থাৎ 


১৮২ তত্বজানামৃত। 


বিধিবিভক্তি না থাফিলেত অপুর্বতা বিধায় মৌনের বিধিত্ব অস্ুমান করিবে । 
(অন্ত কোন বাক্যে যাহার বিধান হর নাই তাহা! অপূর্ব । মৌনও অপূর্ব 
অর্থাৎ পূর্বসিদ্ধ নহে। সুতরাং প্র বাক্যেই তাহার বিধান উহা করিতে 
হইবেক।) বলিয়াছিলে' যে, পাঙ্ত্য শবেই মুনিত্ব পাওয়া যায়; তছুত্তরে 
আমরা বলি, পাওয়া গেলেও তাহা দোবাবহ নহে | অর্থাৎ তাহাতে 
প্রক্্ত মৌনের প্রাপ্তি হয় না (বিধান সিদ্ধ হয় না) কারণ, মুনি-শব্দ 
প্রকৃত পক্ষে জ্ঞানাতিশয়বাচী এবং “মননান্মুনিরুচ্যতে” এই বুযুৎপত্তি 
অনুসারে উহার মৃখ্যার্থযনন। (এই মনন জ্ঞানের স্বতন্ত্র উপায়--শ্রবণের 
নিদিধ্যাসনের স্ায় সহকাঁগী কারণ । ) “আমি মুনির মধ্যে ব্যাস” এইবপ 
'প্রয়োগও আছে।' (পাগ্ভ্যশবের জ্ঞানার্থতা থাকিলেও তত্দার। বি্কা 
সহকারী মৌন বা যনন লব্ধ বা! সিদ্ধ হয় ন11) যর্দি বল, যুনিশব্দের উতমা শ্রম- 
বাচিতাও আছে ( উত্তমাশ্রম - চতুর্থাশ্রম বা সন্যাস ), যথ।--গগাহস্থ্য, 
আচার্ধ্যকুল, মৌন ও বানপ্রস্থ 1 প্রদর্শিত শাস্ত্রে মৌনশব্দ আশ্রযার্থে 
প্রযুক্ত হইয়াছে সত্য; পরন্ত উহ! তাহার অসাধাপণ বোধক নহে। অর্থাৎ 
উক্তার্থের ব্যভিচার অন্ত প্রয়োগে দৃষ্ট হয়। যথ!--“মুনিপুঙ্গব (শ্রেষ্ঠ) 
বাঁক্কি।” (বাল্সিকি কেবলমাব্র আশ্রমনিষ্ঠ কিন্ত মননশীল |) উত্তমাশ্রম 
জ্ঞানপ্রধান, সে জন্য মৌনশব্দে ভত্তমাশ্রমই গ্রাহ। সেই কারণে বাল্য ও 
পাগ্ডত্য এই উপায় দ্বয় অপেক্ষা মৌন তৃতীয় স্থানে পরিপঠিত এবং জ্ঞানাতি- 
শয়রূপ মৌন উদহত-মুনি বাকোই বিহিত | বদ্দিও বাল্যেন তিষ্ঠাসেৎ_- 
বাল্যে অবস্থান কারবেক, এই স্থানেই বিধির পর্যবসান অর্থাৎ বিধিত্ব কেবল 
বাল্য বিষয়েই প্রত্যক্ষ; তথাপি, পূর্বপ্রাপ্ত নহে বলিয়া মৌনও বিধেয় 
(বিধির বিষয় )। এ স্থলে “মুনি হইবেক” এইদপ অর্থের আশ্রয় লওয়াই 
কর্তব্য । বিশেষতঃ যুনি-ধর্ে নির্বেদের ( বৈরাগ্যের ) উল্লেখ আছে, 
সে কারণেও বাল্য পাঙিত্যের স্ায় মৌনের বিধেয়তা। এই মৌন বিদ্বা 
নের (সন্ন্যাসীর) সম্বদ্ধেই বিহিত। অর্থাৎ জ্ঞানীরাই যৌন সাধনের 
অধিকারী । বিদ্বান শব্দের সন্ন্যাপী অর্থ গ্রহণ করিবার কারণ এই যে, 
শান্ত্রে সব্্যাসীরই মৌনাধিকার উক্ত হইয়াছে । যথা--“পরোক্ষতঃ আত্মা 
জানিয়! এষণাব্রয় ( জ্্রী, পুত্র ও ধনাদি বিষয়ের ইচ্ছ। ) হইতে মুত 
হইবেক। অনন্তর তিক্ষাচর্ষে; অবস্থান করিবেক। পরে বাল্য পাণ্ডিত্য 


১১০০১১০৭১৬১] 


জীবের সংসাঁরগতি বর্ণন। ১৮৩ 


ও যৌন অবলম্বন করিবেক 1” যদ্দি কেহ ভাবেন ষে, বিগ্ঠাবত্ত। থাকিলে 
তাহার আতিশয্য সহজলভ্য ; স্থতরাং মৌন বিধানের প্রয়োজন? স্ত্রকার 
তছুত্তরে প্রয়োজন দেখাইবার জগ “পক্ষেণ” শব্দ প্রয়োগ করিয়াছেন। 
অভিপ্রার এই যে, বখন বা যাহাঁর ভেদজ্ঞান প্রবল হয় বা থাকে, তখন বা 
তাহার পক্ষেই মৌনেব্র বিধান । যেমন যাগ সম্বন্ধীয় মুখ্য বিধির অঙ্গীভূত 
বিধি অন্থুশাসিত হয় (পৃর্বকাঁণ্ডে ), তেমনি, এই মৌন বিধিও মুখ্য জ্ঞান- 
বিধির অঙ্গীভূত। ন্র্গকামী দর্শপূর্ণমাস যাগ করিবেক।” এই একটা প্রধান 
বিধি? ইহারই সহকারী ব! অঙ্গীভূত !বধি অগ্যাধান প্রতি । সেইরূপ মুখ্য ব 
প্রধান বিধি “জজ্ঞাসিতব্য” “দ্রষ্টব্য এবং তাহার সহকারী বা অঙ্গবিধি মৌন 
প্রভৃতি । অতএব, বালাদি প্রধান কৈবল্যাশ্রম ( থতুর্থাশ্রম- সন্ন্যাস ) 
শ্রুতিপ্রসিদ্ধ। যদি কেহ বলেন, ঞুতিপ্রসিদ্ধ উত্তরাশ্রম বিছ্যমানে ছান্দোগ্যে 
“সমাবস্তনের পর অর্থাৎ বেদত্রত ব্র্গচর্য উদযাপনের পর কুটুষ্বে অর্থাৎ? 
এতদ্রুপ বাক্যে গাহ্স্থোর দ্বারা প্রস্তাবের উপসংহার করিবার কারণ কি? 
গাহঙ্থ্যের দ্বারা উপসংহার করার অবশ্তই বুঝিতে হইবে, গাহস্্যের 
আদরাতিশয্ দেখাহবার জন্যই গাহঙ্ক্যের দ্বারা উপসংহার । শুঞ্জকার 
ইহার প্রত্যুত্তরার্থ বলিতেছেন-- 


কন্বভাবাৎ তু গৃহিণোপসংহারঃ ॥ 
অ ১৩, পা ৪, সু 8৮ ॥ 


স্ব্রার্থ__₹ৎন্নভাবাৎ বহুলায়়াসসাধ্যকনম্ম ছুলত্ব।ৎ গাহ্স্থাস্ত তত্র চাশ্রমান্তর- 
ধর্মাণাঞ্চ কেযাঞ্চিদিহিংসাদীনাং সত্বাৎ গাহস্ক্যেনোপসংহার ইতি যোজনা | 
গৃহস্থের প্রতিপাল্য ধন্ম বছ ও বহ্বায়াসসাধ্য ; তন্মধ্যে তাহাদের অন্যাশ্রম 
বিহিত কোন কোন ধর্ম উপসংধত অর্থাৎ সংগুহীত আছে, সেই জন্তই 
ছান্দোগ্য শ্রুতিতে প্রস্তাব শেষে গৃহস্থের উল্লেথ। 

ভাঙ্তাথ-_গৃহীর সন্বন্ধে বিশেষ আছে। সে বিশেষ কৎ্নভাব (কৃত্স্ 
সমুদ্বায়)। গৃহীর যে কৃততাব আছে তাহা দেখাইবার জন্তহ শ্রুতি 
উপসংহারে গার্ৃস্থ্যের কথা বলিয়াছেন। বিশদার্থ এই যে, গৃহী সমুদায় 
বহ্বায়াসমাধ্য যজ্ঞাদি কার্ধ্য করিবেন ও অন্যাশ্রমবিহিত অহিংস সংযমাদ্দিও 
যথাসাধ্য অনুষ্ঠান করিবেন। গ্ৃহীব গাহস্থ্যবিহিত যঙ্গাদি কর্ম কর্তব্যই 


১৮৪ তত্বজ্ঞানামৃত। 


আছে; অধিকস্ত তাহাদের আশ্রমাস্তরবিছহিত অহিংস] ব্রঙ্গচর্যযাদিও আছে। 
এই অধিক টুকু বলিবার জন্যই শ্রুতি উপসংহার কালে গৃহস্থের কথ৷ 
বলিয়াছেন। 


মৌনবদিতরেষামপুযুপদেশাৎ ॥ 
অ ৩ পা ৪, সু 8৯।॥ 


সুত্রার্থ-ইতরেধাং বানপ্রস্থত্রঙ্গচারিণোঃ। বৃত্ভিভেদবিবক্ষয়। বন্ুবচনম্‌।-- 
শরতিতে মৌনাশ্রমের গ্তায় অন্যান্য আশ্রমেরও উপদেশ (বিধান) আছে। 

ভা্তার্থ-যদ্রপ মৌন ও গাহস্থা এই দুহ আশ্রম গ্রুতিসম্মত, তন্ত্রপ, 
বান প্রস্থ ও গুরুকুলবাস এই দুই আশ্রমও শ্রতিসম্মত । বান প্রস্থ ও ত্রঙ্মচারী 
এতন্নামক আশ্রমের প্রতি “তাপস দ্বিতীয় ও গুরুকুলবাসা। ত্রহ্মচারা তৃতীয়,” 
ইত্যাদি শ্রতিপ্রমাণ পৃর্রেই দর্শিত হইয়াছে । অতএব, আশ্রম চতুষ্ট্ন বিষয়ে 
উপদেশের বিশেষ না থাকায় তুলাপীপে স সকলের বিকল্প অথব। সমুচ্চন় 
পাওয়া যাইতে পারে। (যে ধে-আশম ইচ্ছা করে সে সেই আশ্রম অবলম্বন 
করিতে পাবে । অথবা পর পরু সমৃদায় আশ্রম গ্রহণ করিতে পাবরে।) 
স্ত্রে যে ''ইতরেষাং” বহুবচন প্রযোগ আছে, বুঝিতে হইবে, তাহা বৃত্তির বা 
অনুষ্ঠানের তিন্নত] অনুসারে । বানপ্রস্থের ও ব্রহ্গচাণীর বৃত্তি অনা শ্রমবৃত্তি 
হইতে তিন্ন, এই অভিপ্রায়েই হডক আর আন্তাশ্রম অপেক্ষা বানগ্রস্থাদি 
আশ্রম ছয়ে অনুষ্ঠানের আধিক্য, এহ অভিপ্রায়েই হউক, বহুবচন প্র্নোগ 
কর] হইয়াছে। 


অনাবিষ্ু বরবন্বয়াৎ ॥ অ ৩, পা &, সু ৫০। 


ত্রার্থ-অনাবিজুর্বন আত্মানমবিখ্যাপর়ন্ দম্তদর্পাদিরহিতোভবেদিতি 
ভাবশুদ্ধিরপমেব বাল্যং বিধীয়ত ইতি পেষঃ। তত্র হেতুঃ অন্বরাৎ। এবং 
হাস্য বাকাস্তান্বয়ঃ সঙ্গতার্থতা সেতস্ততি ।-ভাবশুদ্ধিরপ বাল্যই “বাল্য 
অবস্থান করিবেক” এতত্বাক্যে বিহিত হইয়াছে, যথেষ্টাচারিত্বরূপ বালচরিতের 
অনুষ্ঠান বিহিত হয় নাই। কারণ, ভাবশুদ্ধিপক্ষেই বাক্যার্থের সঙ্গতি হয়। 
যথেষ্টাচার পক্ষে নহে। অপিচ, জ্ঞাননিধির সহকারিত্বও ভাবশুদ্ধিবিধান 
পক্ষেই সঙ্গত হয়। 


জীবনুক্ত পুরুষের ব্যবহার সন্থঞ্জে ইওযা্দ। ১৮৫ 


তাষ্যার্থ_“ব্রাঙ্গণ পা্ডিত্য লাত করিয়া বালভাবে স্থিতি করিখেন” এই 
শ্রতিতে বালভাবের অনুষ্ঠেমতা এত হইয়াছে । তদ্বাকাস্থ বালভাব কি 
তাহা বিবেচনীয়/। “বালকের ভাব বা বালকের কর্ম” এহরূপ অর্থে 
বাল্যশব্দ তদ্দিতপ্রত্যয়নিষ্পন্ন । বালভাবরূপ বাল্য বয়োবিশেষেই প্রসিদ্ধ । 
সেই বয়োবিশেষ ইচ্ছার দ্বারা আনয়ন করা যায় না। সুতরাং বাল্যান্তর্গত 
অপর দুইটী ভাব আছে সেই দুএর অন্যতর বালাশৰে গৃহাত হইতে পারে। 
বালকের এক ভাব বথেষ্টাচার__উদ্দেগ্তহীন লীলা -বিষ্ঠাযৃত্রা দিজ্ঞানশূন্যত। 
এবং অপর তাব ভাবশুদ্ধি। (সারলা) -দন্তদর্পাদিরাহিতা -ইন্ছরিরচেষ্টাবঞজ্জিতত্ব 
প্রভৃতি | বমোবিশেষ অনুষ্ঠানের অযোগা বলিম্না উদাহৃত স্কলে সে অর্থ 
গ্রাহা নহে ; উক্ত দ্বিবিধ বালচাপতের অন্যতর চ'রত “অর্থই গ্রাঙ্থ এবং সেই 
কারণেই সংশয় হয়, বাল/শন্দে প্রথমোঞ্ বালচবিত অথ গ্রাহথ? কি দ্বিতীয় 
বালচরিত অর্থ গ্রাহা ৮ অর্থাৎ ব্রাঙ্গণ কি কাষচার কামভক্ষ কামবাদী ও 
বিষ্ঠামুরাদিসরক্ষিত হইবেন? কি বাপকের ণ্যায় শুদ্ধতাবাগ্সিত ও 
যৌবনোচিত-ইল্দিয়চেষ্টাদি রহিত হইবেন? পু্্বপক্ষে পাওযা যায়, কামচার 
কামবাদ কামভতক্ষ ও বিষ্ঠামুজা্দি বিষয়ে বথেষ্টাচার হঠখেন। কারণ, 
বালকের এ ভাব অত্যন্ত প্রসিদ্ধ । যদি বল, তাহাতে তাহার (সধ্াপীর) 
পাতিতাদি প্রাপ্তি হয়, আমরা বলি, তাহা তাহার হয় না। উল্ত যথেষ্টাচার 
শীন্্রবিধান সন্মত হইলে জ্ঞানী সন্যাপীর তাহাতে পাতিতাদি দোষ জন্মিবে 
কেন? প্রত্যুত তাহাতে তাহাদের দৌষাঁভাবই থাকিবেক। হিংস। 
সামান্যতঃ সিষিদ্ধ সত্য ; কিন্ত শাস্ত্রীয় হিংসা দোযাবহ নহে। সেই যেমন 
দৃষ্টান্ত ; তেমনি, যথেষ্টাচার সম্বন্ধে সামান্যত; নিষেধ থ|কিলেও বালাসম্পকাঁয় 
যথেষ্টাচার জ্ঞানী সন্ন্যাসীর প্রতি বিহিত হওয়ায় তাহা তাহাদের পক্ষে 
গৃহস্থের শাস্ীয় হিংসার নায় নির্দোষ । এইপপ পৃব্বপক্ষ প্রাপ্ত হইয়া কার 
তাহার উত্তরপক্ষ বিন্যাস করিতেছেন । তহা নহে। অর্থাৎ উদ্াহত বচনের 
যথেষ্টাচার বিধানের সামর্থ্য নাই। যে স্থানে গত্যন্তর না থাকে সেই 
স্থানেই যথাশ্রতার্থ স্বীরূত হয়; পরস্ত এ স্থানে গত্যপণ্তর আছে। বদি 
বাল্যশব্দের অবিরুদ্ধ অর্থ থাকে অথবা পাওয়া যায়, তাহা হইলে বিধ্য- 
স্তরের গীড়। বা বাধা জন্মান উচিত নহে। প্রধানের উপকারার্ধে ই অঙ্গের 


বিধান, এখানেও জ্ঞানাত্যাস প্রধান। অথাং জানাতাসই যতিদ্িগের 


২৪ 


১৮৬ তত্বঙ্জানামুত। 


প্রধান, অনুষ্ঠেয়। জ্ঞানী হইবার জন্য যদ্ধি সমুদ্রায় বালচরিত স্বীকার 
করা হয়, তাহা হইলে জ্ঞানাভ্যাস সম্ভব হয় কৈ? অতএব, তদন্তর্র্তা 
ভাবসারলা ও ইন্দ্রি্চাপল্য।ভাঁব এই দুই বাল্যই সন্্যাসীর মন্ুষ্ঠেয়। 
ব্যাস এই সিদ্ধান্ত “অনাবিষ্ব,বন্‌” সুত্রে বলিয়াছেন। সন্ন্যাসী জ্ঞান, অধ্যয়ন 
ও ধার্মিকতা প্রভৃতির দ্বার আপনাকে প্রখ্যাত না করিয়া দস্তদর্পাণ্দরহিত 
হইবেন। যেমন বালক অন্ুত্তিন্ন ইন্দ্রিয়ত৷ নিবন্ধন শুদ্ধতাবে থাকে, আত্ম- 
মহিমা প্রকাশ করিবার চেষ্টা পায় না, উত্তরা শ্রমী জ্ঞানীও সেইরূপে অবস্থিতি 
করিবেন। সেইরূপ বাল্যই বিধেয়। সেইরূপ বাল্যের বিধান হইলেই 
উদ্দাহাত বাল্যবাক্যের প্রধানোপকানব্বিতা সংরক্ষিত হইতে পারে। প্রধান 
বিধি জ্ঞানাত্যাঁস, তাহার অঙ্গ বিধি বাল্য । এ কথা স্ৃতিকারেরাঁও বলিয়া- 
ছেন। যথা--"যে আপনার কুলীনত্র অকুলীনখ্, পাণ্ডিত্য অপাণ্ডিত্, সদা- 
চারিত্ব অপসদাচারিত্ব জ্ঞাত নহে সেই বাক্তিই ব্রাঙ্গণ অর্থ।ৎ ব্রহ্ধঞ্ঞ । অর্থাৎ 
ব্রহ্মজ্ঞানী আপনার কৌলীন্ঠাদির অভিমান করেন না। সে সকল তাহার 
থাকেও না, অন্ুষ্ঠেয়ও নহে। জ্ঞানীর রহস্তাবলম্বন পুর্বক অজ্ঞাত চর্য্যায় 
বিচরণ করেন। তাহাদের চর্যযা বা শীল অন্ঠের ছুজ্জেয়। তাহারা এই 
পৃথিবীতে অন্ধের গ্তার়। জড়ের হ্যায় ও মৃকের হ্যায় বিচরণ করেন। তাহারা 
চক্ষুরিন্রিয়ের বন্য নহেন, রসনেক্রিয়াদিত্র বশ্ত নহেন, কন্েন্ত্িয়ের বশ্যও 
নহেন।” তাহাদের আচার নিত্যন্ত দুব্বোধ্য ।” ইত্যাদি। 

এক্ষণে উপরিউক্ত শান্ত্রার। বিদ্িত হইবে যে, জ্ঞান সাধন নিদিধ্যাসনাদি 
অত্যাসে তৎপর মনেরই ব্রহ্ম সাক্ষাৎকার সম্ভব হওয়ায় তাদশ বিজীতমনের 
জঞানোদয়কালে বিষয়াগরে প্রবৃত্তি অসগ্ভব। কথিত কারণে জ্ঞানোতখপতির 
পূৃর্ধে, অর্থাৎ জিজ্ঞাসাকালে, সমাহিতচিত্তের প্রভাবে জ্ঞান লাভ হওয়ায় 
জ্ঞানের অনস্তুর উত্ত অভ্যাসের বশে সমাধি ব্যতীত অগ্ঠ বিষয়ে জ্ঞানবানের 
প্রবৃত্তি সম্ভব নহে। নিদিধ্যামনের পরিপক্কাবস্থাকে সমাধি বলে। এই 
সমাধি অষ্ট অঙ্গদ্বার1 সম্পাদিত হইয়া থাকে, যথা, যম ১, নিয়ম ২, আসন ৩, 
প্রাণাফাম ৪, প্রত্যাহার ৫) ধারণ! ৬, ধ্যান ৭, সবিকল্প সমাধি ৮। 

অহিংসা, সত্য, অস্তেয়, (চুরি না কর) ব্রন্নচর্য্য ও অপত্রিগ্রহ, এই পাঁচ 
সাধন “যম” বলিয়। প্রসিদ্ধ। (বিশদ ব্যাখ্যা পাতঞ্ল ধর্শনের সাধন 
পাদের ৩* হঞ্রের ব্যাসভা্ে দেখ )। 


জীবনুক্ত পুরুষের ব্যবহার সন্বদ্ধে ইত্যাদি । ১৮৭ 


শৌ6, সম্তোষ, তপ, স্বাধ্যায় ও ঈশ্বর প্রণিধান, এই পাঁচটা সাধনকে 
“নিয়ম! বলে (সাধান পাদের ৩২ হজের তাস্য দেখ ) " 

জ্ঞানসমুদ্রগ্রন্থে দশ দশ প্রকারের যম নিয়ম কথিত হইয়াছে, কিন্তু ইহা 
পৌরাণিক বরীত্যন্থপারে বণিত হইয়াছে, বেদান্তসম্প্রণায়ের রীতিতে নহে, 
বেদান্তে ধম নিয়মের পাঁচ পাঁচ ভেদই প্রসিদ্ধ। 

আসনের তেদ অনন্ত, ইহাদের মধ্যে স্বস্তিক, গোযুখ, বীর, কুন্ম, পদ্ম, 
কুক্ুট, উত্তান, কৃম্মক, ধন্দুষ, যত্ম্য, মদ্ুর্, সব, সিংহ, ভদ্র, সিদ্ধ, গারুড় 
ইত্যাদি চতুরশীতি ( চৌরাশি) আপন যোগ গ্রন্থে উপদিষ্ট হইযাছে। উক্ত 
সমস্ত আসনের প্রতোক্ষের লক্ষণও তাহাতে বণিত আছে। গ্রন্থের বিস্তান 
তয়ে ও বেদান্তে উহা! সকলের কোন উপঘোগিতা না থাকায় উহাদের বিবরণ 
পরিত্যক্ত হইল । উল্লিখিত সকল আসনের মধ্যে. সিংহ, ভদ্র, পদ্ম ও সিদ্ধ, 
এই চারি আগ্‌ন প্রাধন, তন্মধোও সিদ্ধাসন অতান্ত প্রধান। সিদ্ধাসনের 
প্রকার এই £- 

বাষপাদের গুল্ক (গোড়াণি) গুদা যেডর মধো নিয়ন স্থানে (সেলাই 
স্থানে ) রাখিয়া, দক্ষিণ গাদের গোড়ালি মেড়র উপরে স্থাপিত করিয়া এবং 
ত্রকুটির স্তরে দৃষ্টি রাখিধ়া, স্থাণর ম্যাক সরল্গ নিশ্চল হাঁবে শরীবের স্থিিকে 
“সিদ্ধাসন” বলে। 

অন্ত কাহারও মতে, বাম পাদের গোড়ালি সেল।ই স্থানে রাখিবে না 
কিন্তু মেড়র উপরে রাখিয়। তাহার উপরে দক্ষিণ পাদের গোড়ালি স্থাপিত 
করিয়া ইত্যাদি পৃর্বের ন্যায়। 

দিদ্ধাসন সর্বপ্রধান, কারণ, কতকগুলি আমন রোগাদি নাশের হেতু ও 
কতকগুলি প্রাণায়ামাদি সম[ধির অঙ্গ, কিন্তু সিদ্ধাসন সমাধিকালের উপযোগী 
বলিন্প। অন্তান্ত আসন অপেক্ষা উত্তঘ। সিদ্ধাসনের নামান্তর বঙ্জাসন, যুক্তাসন 
ও গুপ্তাসন । আসনের বিধান সাধন পাদের ৪৬ হতে ও হত্রতায়ে দেখ) 

আসন সিদ্ধির অনন্তর প্রাণায়ামের অভ্যাস আবশ্তক্, প্রাণায়াম অনেক 
প্রকার। সংক্ষেপে, প্রাণায়ামের লক্ষণ এই -নাসিকার বামছিদ্র হইতে ইড়া 
নামক নাড়ীদ্বারা বায়ু পুরণ করিলে, তাহাকে “পুরক” বলে। দক্ষিণ ছিদ্র 
হইতে পিঙ্গলা নামক নাড়ীধারা বায়ু ত্যাগ করিলে “রেচক” বলিয়! 
অভিহিত হয়। সুমুয়। নামক নাড়ীদ্বার| বায়ু অবরোধ করিলে তাহাকে 


১৮৮ তত্বজানামৃত | 


“কুস্তক” বলা ঘার। এই রীতিতে পুরক ব্রেচক কুম্তকের নাম “প্রাণায়াম” । 
ইহার অভ্যাস প্রণবরহিত বা প্রণবসহিতভাবে হইব! থাকে । প্রণবোচ্চারণ- 
রহিত প্রাণায়মকে “অর্গ5” বলে ও প্রণবোচ্চাব্ণসহিত প্রাণায়াম কে “সর্ভ” 
বলে। প্রাণায়ামের বিবরণ সাধন পদের ৪৯ সত্রে ও স্ক্রভাঙে দ্রষটুব্য। 

বিষয় হইতে ভান্দ্রয় সকলের নিবোধকে প্প্রত্যাহার” বলে। (সাধন 
পাদের ৫৪ চত্র ও ভাস্ত )। 

বিষয়ান্তর হইতে প্রতিনিবৃত্ত হইয়! ধ্যেয়বিময়ে (এস্বলে অদ্বৈত বস্তুতে ) 
অন্তঃকরণের স্থিতিকে “ধারণা” ধলে। (বিভূতিপাদের ১ ক্র )। 

বিষয়ান্তর হইতে প্রতিনিবত্ত হইয়া ধ্যয়াকাঁবে (অদ্বৈত বস্তুতে) বারম্বার 
অস্তঃকরণের প্রবাহকে “ধ্যাব” বলে (বিভুতিপাদের ২ সুএ)। 

ব্যুখানসংস্কার সকলের তিরক্কার ও নিরোধস-স্কর গুলির আবিভাব হইয়। 
অগ্তঃকরণের একা গ্রতারূপণ পরিণামকে, “সমাধি” বলে। (বিভূতিপাদ্দের 
৯ ক্ক্সে)। 

সমাধি ছুই প্রকার, একটা সবিকল্পগমাধি অর্থাৎ সম্প্র্জাতযোগ ও 
দ্বিতীয়টা নব্বিক্্সম্মাধ অর্থাৎ অপসন্ত্রজ্জাতযোগ। জ্ঞতা জ্ঞান জ্ঞেয়রূপ 
গ্রিপুটাতানপাহত আদ্বতীর ব্রদ্ধে অষ্ঃকবণ বাপ্তপ স্কিতিকে “সবিকল্প- 
সমাধ”? ধলে। সাবকল্লসমাধিও দুইভাগে [বভভ্ত, একটী শব্দান্থুবিদ্ধ ও 
দ্বিতীয়টী শান ।  অহং ব্রহ্ম" আদি শব্দঘারা অগ্রুবিপ্ধ অর্থাৎ উল্ত 
বাক্যারদিমহিত যে সমাধ তাহার নাম “শব্ধানুবিদ্ধ” । শব্দরহিতের নাম 
“শব্দানন্ুবিদ্ধ” । ব্রিপুটীতানরহিত অথও্ড ব্রহ্মাকাবে অন্তঃকরণের যে স্থিতি 
তাহ! “নির্বিকল্প সমাধি” নামে উক্ত । এইবপে সবিষ্ল্প নির্বকল্প ভেদে 
সমাধি দ্বিবিধ, প্রথমটা ( সধিকল্পটা ) সাধন, দ্বিতীয়টা (নিব্বিকল্পটা ) ফল। 
সবিকল্প সমাধিদ্বার! যগ্যপি 'ত্রপুটারূপ দ্বেত প্রতীত হয়, তথাপি উহা 
্রঙ্গাভিন্নরূপে সমাধিবান পুরুষের চিত্তের বিষর হয়। যেমন মুদবিকারঘটাদি 
ঘটাপদিরূপ প্রতীত হইলেও বিবেকীর দৃষ্টিতে উক্ত ঘটাদি মৃত্রিকারূপই 
প্রতীত হয়, সেইরূপ সবিকল্প সমাধিতে ব্রিপুটী-ছ্বৈত সমস্ত ব্রহ্গরূপই প্রতীত 
হইয়া থকে । আর নির্ষিকল্প সমাধিতে যদি সবিকল্ের স্ঠায় বাধিতান্ু- 
বৃত্তিরূপ ব্রিপুটীদ্বৈত বিগ্কমান থাকে তথাশি উক্ত কাঙ্গে অর্থাৎ নির্বিকল্প- 
সমাধি অবস্থাতে জলে লবণের অপ্রতীতির ন্যায় দ্বৈত অপ্রতীত থাকে। 


জীবনুক্ত পুরুষের ব্যবহার সন্বন্ধে ইত্যাদি । ১৮৯ 


অতএব সবিকল্প নিব্বিকন্প-সমাধির মধ্যে এই ভেদ সিদ্ধ হইল-_সবিকল্গ 
সমাধিতে ব্রহ্মরূপে দ্বেতের প্রতীতি হয়, তথ। নির্ব্বিকল্প সমাধিতে ত্রিগুটীরূপ 
দ্বেতের অপ্রতীতি হয়। 

সযুপ্তসহিত নির্ধিকল্পের ভেদ এই-_ন্ুবুপ্তিতে অন্তঃকরণের ব্রদ্মাকার- 
বৃত্তির অভাব হয় কিন্তু নিব্বিকল্প-সমাধিতে অন্তঃকরণের ব্রহ্মাকাববৃত্তি হয়, 
তাহার অভাব হয় না। কথিত বাতিতে স্ুবুপ্তিতে বৃত্তিসহিত অস্তঃকরণের 
অভাব হয় ও নিব্বিকল্প-সমাধিতে বৃত্তিলহিত অন্তঃকত্রণ বিছ্বামান থাকে এবং 
থাকিয়াও প্রতীত হয় না। নির্বকক্প-সমাধিতে অন্তঃকরণের যে ব্রহ্মাকার 
বাত হয় তাহার হেতু সধিকল্প-সমাধির অত্যাস। সুতরাং ষবিকল্প-সমাধি 
সাধনরূপ নষ্ট অঙ্গের মধ্যে গণ্য ও নাব্বকল্প-সমাধি তাহার ফল। 

উক্ত নিব্বিক্ঈ-শমাধি অদ্বৈততাবনারূপ ও ম্দ্বেতাবস্থানরূপ তেদে ছুই 
প্রকার । অধৈতব্রঙ্গাকার অস্তুকরণের অক্ঞাত (অগ্রতীত) বৃত্তিনহিত 
সমাধিকে “অদ্বৈত ভাবনারূপনির্ধিকল্প-সমাধি” বলে! এই সমাধির অভ্যা- 
সের আধিক্যে ব্র্গাকার বর্তিও শান্ত হহ্য়। যায়, সুতরাং বৃত্বিরহিতের নাম 
“অধ্বৈতাবস্থানরূপ সমাধ””। যেমন তপ্ত লোহে খলধিন্দু বিলীন হইয়। যায় 
তেমনই অদ্বৈভাবনাপূপ সমাধির দু অভ্যাসে অস্ত প্রকাশমান ব্রচ্ছে 
বৃত্তির লয় হয়। সুতরাং অছ্বৈতভাবনবূপ নাব্বকল্প-সযাধি অদ্বৈতাবস্থানরূপ 
নির্বিকল্প-সমাধির পাধন। 

অধৈতাবস্থানরূপসমাধি ও নুযুপ্তির তে এই--স্ুযুপ্তিতে বৃত্তির লয় 
অজ্ঞানে হয়, ও অগদ্বৈতাবস্থানরূপস্মাধিতে বৃত্তি লন ব্রহ্মপ্রকাশে হয়। 
আর এহরূপ সুমুপ্ততে আনন্দ অঙ্ঞানাবৃত থাকে [কিন্ত সমাধিতে নিরাবরণ 
ব্রহ্মানন্দের ভান হয়। 

উক্ত নির্বিকল্প-সম[ধির লয়, বিক্ষেপ, কষায় ও রসাস্বাদরূপ চারি বিশ্ন 
আছে। উজ্ঞ বিদ্বর সকলের গ্রত্োকের লক্ষণ এই-- 

আলস্য অথব। নিদ্রাপ্ধারা বৃত্তির শিথিলতা বা অতাব হইলে তাহাকে 
“লয়” বল যায়। এই লল্প স্ুযুপ্তি সমান অবস্থার অন্থরূপ, ইহাদারা 
ব্রহ্গানন্দের তান হয় না। নিদ্র! আলশ্তাদি বশতঃ স্বীয় উপাদান অজ্ঞানে 
বৃত্তি লয় হইতে দেখিলে সাবধান হইয়া নিদ্রাদ রুদ্ধ করত; লয়াতিমুখ 
ব্রহ্মাকার-বৃত্তিকে জাগরিত করা উচিত। এই রীতিতে লয়রূপ বিস্েৰ 


১৯৩ তত্বজ্ঞানামূত । 


বিরোধী মে নিদ্র। আালস্তাদি নিরোধসহিত বৃত্তি প্রণাহরূপ গ।গরণ তাহাকে 
গৌঁড়পাঁদাচার্যয “চত্তপন্বোধন” বলেন। 

বিক্ষেপের অর্থ এই £--বিড়াল দেখিয়া! মুধীক্ষ যেমন গৃহে প্রবেশ 
করতঃ ব্যাকুল চিতে তৎকালে গৃহের অন্তরে স্থান দেখিতে না পাইয়া 
পুনরায় বহির্গত হয়, হইয়। ভয়রূপ বা মবরণরূপ খে প্রাপ্ত হয়, সেইরূপ অনাত্ত 
পদার্থ দুখের হেতু জানিয়া, বৃত্তি অদ্বৈতানন্দ প্রাপ্তির জন্য অস্তগ্থথ হইলে 
চেতনের হুপ্মতা ( ছুজ্েয়তা) নিবন্ধন চেতনকে বিষয় করিতে অর্থাৎ 
চেতনের আবরণ ভঙ্গ করিতে অসমর্থ হওয়ায় বা।হরে ফিরিয়া আইসে, 
শাসিয়। পুনরায় বাহাকারবিশিষ্ট হয়, এই বহিন্মথ বৃত্তিকেই “বক্ষেপ? 
বলে। অতএব যে হেতু বৃত্তির স্থিরত1 ব্যতিরেকে স্বরূপানন্দের প্রাপ্তি 
সম্ভব নহে, সেই হেতু বৃত্তির অগ্তদুখতা সত্বেও যে কাল পর্যয্ত তাহার 
্রক্মাকাররূপে নিশ্চলভাপে স্থিতি ন! হয় সেকাল পর্য্যন্ত বাহ পদার্থ সমূহে 
দ্োষভাবন! পূর্বক বৃত্তির বহিযুখতা নিবারণ করা উচিত। বিক্ষেপরূপ 
বিদ্বের বিরোধী অন্তনুধরৃত্তির সঙ্থানে স্থাপনরূপ প্রযত্র বিশেষকে গোৌড়- 
গাদ্দা চার্য) “সম” শবে উল্লেখ করেন। 

রাগাদি দোষকে “কষায়” বলে। এস্থানে এই আশঙ্কা হয়_-বাগাদি 
বাহাত্তরতেদে দ্বিবিধ। স্ত্রী, পুত্র, ধন, প্রভৃতি বর্তমান বিষয়ক রাগাঁদকে 
বাহ্‌ বলে। ভূত ব| ভাবী বিধগের চিন্ত!রূপ যে মনোরাঙ্জ্য তাহাকে 
“আস্তর” বলে। সথাধিতে প্রবৃত্ত যোগীর বিষয়ে উক্ত ছুই প্রকার 
রাগাদি মধ্যে একটীও সম্ভব নহে। কারণ, ( বেণান্তমতে ) চিত্তের ভূমিকা 
( অবস্থাবিশেষ ) পঞ্চবিধ, যথা, ক্ষেপ, যূঢ়তা) বিক্ষেণ, একাগ্রত। ও নিরোধ । 
অথব! (যোগশান্ধ্ের মতে) চিত্তবৃত্তি পঞ্চবিধ যথা, ক্ষিপ্ত, মুড, বিক্ষিণত, 
একাগ্র ও নিরুদ্ধ । লোক বাসনা, দেহ বাসনা, চিত্ত বাসনা, প্রভৃতি রঞজো- 
গুণের পরিণাম যে দৃঢ় অনাত্মবাসনা তাহার নাম “ক্ষেপে । অথবা, 
রজোগুণের আধিক্যে চিত্তের বৃত্তি তড়িতপ্রবাহের সায় বিষয় হইতে 
বিষয়ান্তর গমন করিলে তাহাকে পক্ষিপ্ত বৃত্তি বলে। নিদ্রা আলশ্যাদি 
তমোগুণের পরিথামকে “মুঢ়তা” বলে। অথবা, আলস্ত, তন্দ্রা, মোহ, প্রভৃতি 
বৃত্তিকে “মূঢ়-বৃত্তি” বলে। কদাচিৎ ধ্যানে প্রবৃত্ত চিত্র বাহবৃত্তিব নাম 
“বিক্ষেপ' | অথব), প্রায়পঃই চঞ্চল থাকিয়|! কদাচিৎ স্থিরতাব অবলত্বন 


জীবনুক্ত পুরুষের খাবহার সন্ধে ইত্যাদি । ১৯১ 


করাকে “বিক্ষিগ-বৃত্তি' বলে। অন্তঃকরণের অতীত পরিণাম ও বর্তমান 
পরিণাম সমনাকার হইলে তাহাকে “একাগ্রত।” বলে। একাগ্রতার' লক্ষণ 
পাতঞ্লের বিভূতিরপাদের ৯২ সুক্রেও আছে, তদন্থুসারে একাগ্রতা বৃত্তি 
অভাবরূপ নহে কিন্তু বিক্ষিপ্ততাঁব সম্পূর্ণ বিছুরিত হইলে অর্থাৎ এক 
বিষয়ে পুর্বজ্ঞান নিবৃত্ত হইয়া সমান বিষয়ে তুল্যরূপে উত্তর জ্ঞান উৎপন্ন 
হইলে, উভয় অবস্থাতে চিত্তের অন্ুগমকে একা গ্রতাপরিণাম বলে। 
তাব এই--সমাধিকাঁলে চিত্তের যেষে পরিণাম হয় সেসে সমস্তই ব্রহ্মধকে 
বিষয় করে বলিয়া অতীত ও বর্ভমান সমস্ত পরিণাম ব্রঙ্গাকার হওয়ায় 
সযানাকার হয়, ইহারহ নাম “একাএরতা”। অথব', এক বিষয়ে বৃত্তির 
(জ্ঞানের) ধাপ (প্রবাহ) কে “একাএ্রবাতী” বলে। একাগ্রতাবুদ্ধিকেই 
“নিরোধ” বলে। অথবা) সংক্কার মাত শেষ থাকিস সমুদায় বৃত্তির নিরোধকে 
“নিরুদ্ধ-বৃত্তি” নলে। উক্ত পঞ্চ চিত্তবৃত্তি হধ্যে ক্ষিপ্ত ও মুঢ-অগ্তঃকরণের 
সমাধিতে অধিকার নাই, কেবল বিক্ষিপ্ত-অস্তঃকরণেরই অধিকার হয়, 
একাগ্র ও নিরুদ্ধ অগ্তঃকরণ সমাধিকালেই হইয়া থাকে) ইহা যোগ শাস্ত্রে 
প্রতিপার্দিত হইমাছে। প্রদর্শিত কারণে রাগাদি দোষসহিত অন্তঃকরণ 
ক্ষিপ্ত বলিয়া গণ্য মার যেহেতু ক্ষিপুচিত্তের যোগে অধিকার নাই, সেই 
হেতু রাগাদি দোষ থে কষায় তাহা সমাধির 'বিদ্নরূপে পরিগণিত হইতে 
পারে না। 

উক্ত আশঙ্কার সমাধান এই- -বন্কপি বহু অথবা আন্তর রাগাছি ক্ষিপ্ত 
অভ্তঃকরণেই হয়া থাকে এবং তংকারণে ক্ষিপ্ত-চিত্তের যোগে অধিকার 
নাই, তথাপি জন্মান্তরীয় পৃর্বানুভুত বাহ্ান্তর রাগ দ্বেষের হক্মসংস্কার 
বিক্গিগাদি অন্তঃকরণেও সম্ভব হয়। ম্তুতরাং রাগছেষাদির নাম কথায় 
নহে কিন্তু রাগদ্ধেষাদির সংস্কারকে “কষায়” বলে। যেকাল পর্যন্ত অন্ঃকরণ 
আছে, সেকাল পর্ষ্স্ত সংঙ্গারের নাশ হয় না, সুতরাং সমাধিকালেও উহ! 
অন্তঃকরণে থাকে । পরন্ত্র রাগ দ্বেষাদির উদ্ভূত সংস্কার সমাধির বিরোধী, 
অনুডুত নহে। সমাধিতে প্রবৃত্ত যোগীর চিণে রাগদ্বেষাদি সংস্কারের 
উদ্বোধ হইলে বিষয়ে দোষ দর্শনপুর্বক তাহার তিরস্কার করা উচিত। 
বিক্ষেপ ও কষায়ের তেদ এই বাহ্বিষয়াকার বৃন্তিকে বিক্ষেপ বলে। 
ফোগীর প্রযত্তে বৃত্তির অন্ত মুখতাসকেও বাগাদির উদ্বন্থী সংস্কারদারা উক্ত 


১৯২ তন্বজ্ঞানামৃত। 


অন্তম্ুখরত্তি অবরুদ্ধ হইয়া ব্রন্মকে বিষয় না কগিতে পারিলে, তাহাকে 
“কধায়” বলা যায়। বিষয়ে দোধননষ্টিরপ যোগীর যে প্রহর তাহা কথায় 
বিদ্লের নিবর্তক। 

রসাস্বাদের স্বরূপ এই-ব্রহ্মানন্দ ও বিক্ষেপরূপ ছ'খের নিবৃত্তি এই 
দুয়েরই অন্ুতব যোগীর হইয়া থাকে | কদাচিৎ ছুঃখের নিবত্তিতেও আনন্দ 
হয়, যেমন ভারবাহী-পুরুষের মস্তক হইতে ভার দৃীকূৃত করিলে আনন্দ 
হয়। এস্থলে আনন্দের অন্য কোন নিমিত্ত নাই কিন্তু তারবহনজন্য হুঃখের 
নিবৃত্িই উক্ত আনন্দের হেতু । যোগীর সমাধিতে বিক্ষেপজন্ত দুঃখের 
নিবৃতি হইলে আনন্দ হয়, এই আনন্দের অন্ুতবকে ই “রসান্বাদ” বলে। যদি 
মাত্র ছুঃথনিবৃত্তিজন্ত আনন্দের অন্ুতবইহ যোগীর অলঘ্ৃদ্ধির বিষয় হয় তাহ! 
হইলে সকল উপাধি-রহিত ব্রহ্মানন্দাকার বৃত্তির অতাবে পরমানন্ধরূপ 
অকৃতিম মহানন্দের অন্গুতব সমাধিতে হইবে না। কথিত প্রকারে ছুঃথের 
নিবৃত্তি জন্ত আনন্দের অনুতবরূপ বুপান্বাদও সমাধির বিদ্ধ বলিয়া পরিগণিত 
হয়। প্রদশিত কারণে বাঞ্ছিতের প্রাপ্তিবিনা কেবলমাজ্জ বিরোধীর 
নিবৃত্তি্জন্ত যে আনন্দ হয় তাহা প্রকৃত আনন্দ নহে। এবিষয়ে অন্য দুষ্টান্ত 
যথা--যেমন পৃথিবীতে বত্বের খণী অত্যপগ্ত বিষধর সপদ্ধারা রক্ষিত হইল 
সেই নিধি প্রাপ্তির পৃর্বেঃ নিধি প্রাপ্তির খিপ্োধী যে সর্প তাহার নিবৃত্তিতেও 
আনন্দ হইয়া থাকে । এবপ স্থলে যদি সর্পনিবৃত্তির আনন্দই খননকর্ভার 
প্রযত্রের শেষ সীম। হয়, তাহা হইলে নিধি লাভরূপ বে পরমানন্দ তাহা সব্ধদ 
অপ্রাপ্ত থাকিবেক। কথিত প্রকারে অদ্বৈত ব্রহ্গরূপ নিধি, সর্প রক্ষিত 
নিধির গ্ঠায় দেহাদি অনাত্ম পদার্থের প্রতীতিরপ বিক্ষেপদ্ধারা আবৃত্ত থাকায়, 
সপস্থানী বিক্ষেপ নিবৃত্তিগন্ঠ যে অবাস্তর আনন্দরপা রসের অন্তবরূপ 
আস্বাদন তাহ] নিধিস্থানী ব্রহ্ম্বর্ূপ মহানন্দ প্রাপ্তির প্রতিবন্ধক হওয়ায় বিশ্ব 
বলিয়া গণ্য। অথবা, 

রসাম্বাদের অন্য অর্থ এই-.-সবিকল্প-সমাধির অনন্তর নিব্বিকল্প-সমাধি 
হয়। সবিকল্প-সমাধিতে ত্রিপুটীর প্রতীতি হয়, সুতরাং সবিকল্প-সমাধিরু 
আনন্দ ব্রিপুটীরূপ উপাধি যোগে হওয়ায় সবিকল্প। নির্বিকল্প-সমাধিতে 
ঝিপুটি প্রতীত হয় না, সুতরাং নিব্বিকর্প-সমাধির আনন্দ নিরুপাধিক, এবং 
এই আনন্দই পরমগ্রীতির আম্পর্দ। সাবকল্প-সমাধির উত্তরে ও নির্বিকল্প- 


জীবন পুরুষের ব্যবহার সম্বন্ধে ইত্যার্দি। ১৯৩ 


সমাধির প্রারভ্ডে, সবিকল্প-সমাধির যে সোপাধিক আনন্দ তাহ। সহল] পরি” 
ত্যাগ করা যায় না, অর্থাৎ নির্বিকল্প-সমাধির অনুষ্ঠ।নকালেও উহার অন্গুতব 
হইয়া থাকে । এই সোপাধক আনন্দকে ব্রসাস্বপ বলে। অহএব, বিক্ষেপ 
নিরত্তিজন্য আনন্দের অনুভব অথব। সবিকল্প-সম[ধির সোপাধিক্ মানন্দের 
অন্গতব “রপাস্বাদ" খলিয়া আঁতাহত হয়! প্রদর্শিত উতমবিধ রসাস্বাদ 
নির্বিকল্প-সমাধতে পরমানন্দরূপ অন্নুতবের বিরোধী হওয়ায় বিশ বলিয়। 
গণ্য । অতএব বসাম্বদও পরিত্যাজ্য । 
পূর্বোক্ত একারে নিব্বিক্্প-সমাধিতে চাপি খিদ্ধ আছে. উক্ত সকল বিদ্ 
সমাধির প্রারগ্ে উপস্থিত হইয়া কাধ্যপিদ্ধির বাঘাতক হয়! দমাধিতে 
প্রব্বত্তমান্‌ বিদ্বান প্রোক্ত (বদ্র দ্কলকে সাবধানে পরাজয় ক'বয়া পলমানন্ন 
অন্ুতব করিঘ। থাকেন। প্ররর্শিত সমাধিসম্পনন িদ্বানহ জীখন্যুগ্ত বলির! 
প্রসিদ্ধ । কথিত বীত্যননারে আনবানের চিত্ত 'নরালন্ব নহে, যখন প্রবন্ধ 
বলে জ্ঞানীর সমাধ হইঠে উখান হয় তখনও সমা্ধিকাঙলীন অনুভূত 
পরমানন্দের স্বতি ঠাহাও হইয়া থাকে, সুতরাং উথথানকালেও জনীর চিত্ত 
নিরালত্ব নহে । জ্ঞানবানের তোজনাদিতে যে প্রবৃতি হর তাহাও প্রারক্ধ 
দ্বারা হয় কিন্তু তোজনাদ প্যবহারে জ্ঞানী পেদপুব্ধকই প্রবৃত্ত হন, কেনন। 
ভোঙ্গনাদি-প্রন্নত্তও সমাধিস্ুখের বিরোধা। খাহার পক্ষে ভোগনাদি শারীর- 
নির্বাহক প্ররত্ত খেদরূপ প্রতাত হয় তাহ পক্ষে অধিক প্রবৃত্ত কখনই 
সম্ভব নহে। সুতরাং জ্ঞানীর প্রবৃত্তি নিবৃতি-প্রধানই হইয়া থাকে। এদিকে 
বাহাবৃতিতে শ্রীবনুক্তির আনন্দ সম্ভব না হওয়ায় কিন্তু নিবাশততেই সম্ভব 
হওয়ার বাহ্যবৃত্তি জীবনুক্তি ন্ুখেরও বিরোধী । একপেও জীবনুক্ি-সুখার্থার 
বাহ-প্রবৃত্তি-সম্ভতাবিত নহে। কথিত কারণে শবীরনির্বাহোপযোশগী ভিক্ষা 
কৌগীনাদ্ি বিষয়ক প্রবৃত্তি হইতে অধিক প্রবৃত্তি জ্ঞানীর অসস্তব। 
উপরে সিদ্ধাপ্ত পক্ষের বিরুদ্ধে যে পক্ষ কথিত হইল, ইহা অনেক 
আচার্যের মত এবং ইহার উপাদেয়তা অনেক গ্রন্ে প্রতিপািত হইয়াছে। 
আর যগ্ধপি এই পক্ষের অতিষত জীবনুক্ত বিদ্বানের শরীরব্য বহারসন্বন্ধী 
নিম ও বীতি জিজ্ঞানুমাত্রেরই অন্করণীর, কেনন। শিক্পা? জন্ত বিধান 
হওয়ায় এবং অত্যন্ত মঙ্গলজনক হওয়ায় হার বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ করা 
ম্যাষ্য নহে, তথাপি প্রসঙ্গাধীনপ্রাণ্ড উক্ত পক্ষের সন্বদ্ধে ছুই একটা সিদ্ধাণ্ 
৫ - 


১৯৪ তত্বজা নামৃত। 


ঘটত বিচার এস্লে অযোগ) ও অসঙ্গত হইবে না, যে হেতু সিদ্ধান্ত পক্ষের 
সহিত এ পক্ষে কিঞ্চিৎ বিরোধ আছে। পূর্ব পক্ষের নিষ্র্ষ এই-জ্ঞানীর 
ব্যবহার নিবৃঙিপ্রধান হওয়া উচিত, প্রবৃভি-প্রধান নহে। কিন্তইহা! সম্ভব 
নহে, কারণ, জ্ঞানীর প্রবৃতিতে অথবা নিবৃতিতে বেদের আজ্ঞারূপ বিধি সম্ভব 
নহে, যে হেতু জ্ঞানী নিরঙ্কুশ, তাহার ব্যবহারের কোন নিয়ম নাই, প্রারন্ধই 
তাহার ব্যবহারের হেতু । যেজ্ঞানীর প্রারন্ধ তিক্ষাতোজনাদি মানের হেতু 
তাহার প্রবৃত্তি কেবল তিক্ষা ভোজনেই হয় এবং ধাহার প্রারনধ অধিক ভোগের 
হেতু তাহার অধিক ভোগে প্রবৃত্তি হয়। যদি বল, তিক্ষামাত্রের হেতু প্রারব্ধই 
জ্ঞান ফলে পরিণত হয়. অধিক বাবহারের হেতু হইলে হয় না। সুতরাং তিক্ষা 
ভেজনাদি ব্যবহার হইতে অধিক ব্যবহার জ্ঞানীর সম্ভর নহে, ধাহার প্রবৃত্তি 
অধিক সেজানী নহে। এআশক্ক! যোগ্য নহে, কারণ যাজ্ঞবন্ক্য জনক প্রভৃতি 
জানী বলিয়া প্রসিদ্ধ । সতা বিজয়ের দ্বাপ্া ধনসংগ্রহ-ব্যবহার যাজ্বক্ক্যের 
তথা রাজ্য-পালনাদি ব্যবহার জনকের শাস্বে বণিত আছে, সুতরাং জ্ঞানীর 
প্রবৃত্তি অথবা নিবৃত্তি উভয়ই নিয়ম বহিতূতি। যগ্পি যাজ্জবন্ধ্য সতা-বিজমাদির 
উত্তর কালে বিদ্বত-সন্নযাসরূপ নিবৃত্তি ধারণ করিম্নাছিলেন ও প্রবৃত্তিতে গ্লানি 
হেতু নানা দোষ দেখাইয়াছিলেন, তথাপি যাক্ঞবক্ষোর বিদ্বত-সন্ন্যাসের পৃর্কে 
যেজ্ঞান ছিল নাইহা! বল! যায় না। জ্ঞান প্রথমেও ছিল কিন্তু সন্ন্যাসের পূর্বে 
জীবনুক্তি স্থথ ছিল না এবং এই সুখ প্রাপ্তির অভিলাবায় সর্ব সংগ্রহের ত্যাগ 
করিয়াছিলেন । যাজ্ঞবন্ধ্যের পরার পুর্বকাল অধিক ভোগের ও উত্তরকাল 
ন্যুন ভোগের হেতু ছিল। সুতরাং প্রথম অবস্থায় গ্লানিবিনা যাজ্ববন্ধ্যের অধিক 
ভোগে প্রবৃত্তি ছিল ও পশ্চাৎ গ্লানিহেতু সর্ধভোগের ত্যাগ হইয়াছিল। 
জনকের প্রারন্ধ যরণ পয্যস্ত রাজ্য পালনার্দি সমুদ্ধি তোগের হেতু ছিল এবং 
তত্কারণে সর্বথ! ত]াগের অতাবই ছিল, ভোগে গ্রানি ছিল না। বামদেব 
প্রসৃতির প্রারন্ধ ন্যুন ভোগের হেতু ছিল এবং ভোগে সদাগানি থাকায় 
প্রবৃত্তির অভাব ছিল। বাশিষ্ঠে প্রসঙ্গ আছে, শিখরধ্বজের জ্ঞানের অনন্তর 
অধিক প্রবৃত্তি হইয়াছিল। এইরূপে নান প্রকারের বিলক্ষণ ব্যবহার জানী 
পুরুষদিগের শাস্ত্রে উক্ত আছে? সকলেরই জ্ঞান সমান, ফলমোক্ষও সমান, 
কেবলমাত্র প্রারন্ধ ভেদে ব্যবহারের তেদ হয়। ব্যবহারের ন্যুনতায় 
জীবনুক্তি সুখের অধিকত! তথা ব্যবহাবের অধিকতায় জীবন্ুক্তি স্থখের 


জীবনুক্ত পুরুষের ব্যবহার সম্বন্ধে ইত্যাদি. ১৯৫ 


ন্যুনত! হুইপ থাকে । এস্লে কেহ কেহ আক্ষেপ করেন, যদি জীবনুক্তি সুখ 
পরিত্যাগ করিয়। তুচ্ছ সাংসারিক ভোগে প্রবৃত্ত হওয়। সম্ভব ব1 সঙ্গঙ হইতে 
পারে, তাহ। হইলে বিদেহ মোক্ষও ত্যাগ করিয়। বৈকুগ্ঠাদি লোকের ইচ্ছ। 
সঙ্গত হউক। এ আশঙ্ক! বিবেক মূলক, কেননা, জীবশুক্তি সুখের ত্যাগ 
ও ভোগাদিতে প্রব্বতি জ্ঞানীর প্রারব্ধ বলে সম্ভব হয়, কিন্তু বিদেহ মোক্ষের 
ত্যাগ তথ! পরলোকে গমন, ইহ! ইচ্ছ! সত্বেও সম্ভব নহে, যেহেতু, জ্ঞানীর 
প্রাণ মৃত্যুকাণে সেই দেহেই উপশাস্ত হয়। বাহিরে গমন করে না। জ্ঞান 
দ্বার! অজ্ঞানের নিবৃতি হইলে প্রারবভোগের অনস্তর সুলস্ক্ষ শরীরাকার 
অঙ্ঞানের চেতনে যে বিলয় তাহাকে বিদেহ যোক্ষ বলে এবং তাহাই জ্ঞানীর 
প্রাপ্ত হয়। যদি মূলাজ্জানের শেষ থাকিত অথব। নষ্ট অজ্ঞানের পুনরুৎপ্ডি 
হইত, তাহা হইলে অবশ্তই বিদেহ যোক্ষেরও অভাব সম্ভব হইত, কিন্ত 
তবজ্ঞানরূপ প্রমাণঘ্বারা বিনষ্ট অজ্ঞানের পুন্থুরুৎ্পত্তি সম্ভব নহে বলিয়! 
বিদেহ মোক্ষের অতাব সর্বপ্রমাণ বাধত। আপচ, বিদেহ মোক্ষের ত্যাগে 
তথ! পরলোকের গমনে জ্ঞানী ইচ্ছা কোন প্রকারেই সম্ভব নহে। কারণ, 
জ্ঞানীর ইচ্ছ। কেবল প্রাণ দ্বারা হওয়ার যতটুকু সামগ্রী ব্যতীত প্রারন্ধের 
ভোগ সম্ভব নহে, ততটুকু সামগ্রাই প্রারন্ধ রচন!] করে, অধিকও নহে নুনও 
নহে, আর যেহেতু ইচ্ছা বিনা তোগ সম্ভব নহে, সেই হেতু জ্ঞানীর ইচ্ছ। 
প্রারন্ধেরই ফল বুবিতে হইবেক। কথিত কারণে পরলোকে অথবা ইছ্‌- 
লোকে জ্ঞানীর অন্ত শরীর সহিত সব্ন্ধ প্রারন্ধ বলে সম্ভব না হওয়ায় জ্ঞানীর 
ইচ্ছ। দ্বার! বিদরেহ মোক্ষের পরিভা।গ বা পরলোকে গমন কোনক্রমে সম্ভব- 
পর নহে। ডি 

জীবনুক্তি স্ুথের বিরোধী বর্তমান শরীরে জনকাদির ষ্তায় জ্ঞানীদিগের 
যে ভিক্ষা ভোজনাদি হইতে অধিক ভোগের ইচ্ছ। হইয়! থাকে তাহার 
কারণ এই-জ্ঞানীর বাহাপ্রবৃত্তি জীবন্ুক্তির ধিরোধী নহে, কিন্তু জীবন্ুজির 
বিলক্ষণ স্থখের বিরোধী । আত্ম। নিত্যযুক্ত, বন্ধ-প্রতী(ত আঁবগ্ভক, এরূপ 
যে সময়ে জ্ঞান হয় সে সময্বে অবিদ্যারুত বন্ধ-ত্রম নষ্ট হয়, জ্ঞানের পরে বর্ধ- 
ভ্রান্তি থাকে না। শরীরাদি প্রতীতি সহিত বন্ধ-ভ্রমের যে অভাব তাহাকে 
জীবনূক্তি বলে। দেহাদির প্রবৃত্তি ছারা জ্ঞানীর বন্ধ-ভ্রান্তি আত্মাতে হয় না, 
সুতরাং বাহ-প্রবতির প্রভাবে জীবন্ুক্তির কোন হানি হয় না, পরস্ত বাহ্ব- 


১৯৬ তত্বজ্ঞানাম্বৃত। 


প্রন্ত্তিয় সন্তাবে জীবনুক্তির যে বিলক্ষণ আনন্দ তাহার অভাব হয়। একা- 
গ্রতারঞ অন্তঃকরণের পরিণামে পুখ হয় এই একা গ্রতা-পরিণাম বাস্-বৃতিদ্বা়া 
অবরুদ্ধ হয়। এই কারণেই প্রারন্ধ তেদে জ্ঞানী পুরুষদিগের ব্যবহার নান। 
প্রকার হইয়া থাকে। যাহার প্রারব অধিক প্রবৃত্তির নিমিত্ত হয়ঃ তাহার 
প্রারন্ধকে মন্দ বল! যায়, যেহেতু অধিক প্রবৃত্ি একাগ্রতার বিরোধী ও 
একাগ্রহ। বাতিরেকে নিরপাধিক আনন্দ লাভ হয় না, এই অর্থ সমাধি 
নিরূপণে প্রতিপাদিত হইয়াছে। পঞ্চদশীতেও উক্ত আছে, বৈরাগ্য, জ্ঞান, ও 
উপরতি, ইহারা পরস্পর সাপেক্ষ, প্রায়ই একাধারে অবস্থিত হয় এবং কদাচিৎ 
বিধুক্ত হইয়। পুথক্‌ পৃথক আধারেও থাকে। কিন্তু ইহ!দিগের কারণ, 
গ্বভাব, ও কার্য সকল ভিন্ন তিন্নই হইয়া থাকে, কখন একাকার হয় না। 
বিষয়েতে দোষ দৃষ্টি বৈরাগোর কারণ, বিনয় পরিত্যাগের ঈচ্ছ! বৈরাগ্যের 
স্বভাব এবং পরিত্যক্ত বিষয়েতে তোগেচ্ছার অনুদয় বৈরাগোর কার্ধ্য। 
আত্মা বিষয়ক শ্রবণ যনন নিদধ্যাসন। ইহারা জ্ঞানের কারণ, আত্মতত্ব বিচার 
জ্ঞানের স্বভাব এবং নিরৃত্ত হৃদয়গ্রন্থির অনুদয় জ্ঞানের কাধ্য। ষখ, নিম্নমূ, 
আসন, প্রাণায়াম। গতযাহারঃ ধারণ, ধা।ন, সমাধি, ইহার। উপরতিব কারণ, 
আত্ম।তে বুদ্ধির একাগ্রতা উপব্িব স্বভাব এবং লৌকক ব্যবহারের ঠৈথিল্য 
উপরাতির কার্ধা। পুক্বোক্ত বেরাগা, জ্ঞান ও ডপরতি, হৎ।দিগের মধ্যে 
সাক্ষাৎ কৈবলা মুক্তির কারণ হেতু জান সকল হইতে প্রধান এবং বৈরাগ্য 
ও উপরতি ইহারা জ্ঞানের ডপকার।)ক মাজ। এই তিন পদার্থ এক ব্যক্তিতে 
সর্বদা অত্যন্ত প্রবল থাক] মহৎ তপস্যার ফল, ইহার মধ্যে কথন কোন প্রতি- 
বন্ধক দ্বারা কারও কোন পদাথের হাসতা হয়। যে ব্যাক্তর বৈরাগ্য ও 
উপরতির প্রাবল্য হইয়। জ্ঞানের হাসতা হয় ত|হার তৎকালে মোক্ষ প্রাপ্তিহয় 
ন1) কেবল তপস্য। বলদ্বার৷ পুণ্যলোক্ প্রাপ্তি হয়। আর যাহার জ্ঞানের 
প্রাধান্তবশত;ঃ বৈরাগা ও উপরতিণ নুযুনত। হয় তাহার নিশ্চয় যোক্ষ হয় কিন্তু 
দ্ধ ছুঃখ বিনাশরূপ জীবন্ুক্তি সুখ প্রাপ্তি হয়না । ভূরাদি ব্রহ্মলোক 
পর্য্স্ত ফলপ্রাণ্তি বিষয়ে তৃণজ্ঞান হওয়! বৈরাগ্যের সীমা, আপনার স্থায় 
সর্বজীবে সমান প্রতীতর দুটতার নাম জ্ঞানের সযাপ্তি। সুযুণ্িকালে 
যেনম বাহবিষয় বিস্বত হওয়৷ যায় তদ্রুপ জাগ্রৎ কালেতেও বিষয় 
ভোগের যে বিশ্বৃতি হয় তাহাকে উপরতির শেষ বলা যায়। ইহাধিগের 


জীবনুক্ত পুরুষের ব্যবহার সম্বন্ধে ইত্যাদি । ১৯৭ 


অরশিষ্উট অবান্তর তারতম্যও এই রীতিতে নির্ণয় করা যায়। * যদিও 
নান! প্রকার প্রারদ্ধকর্মের বিগ্কমানতা বশতঃ জ্ঞানিদিগেরও* কখন 
রাগাদির সঞ্চার হয় তথাপি তাহাতে শান্ত্ার্থের বৈপরীত্য জ্ঞান কর! 
কর্তব্য নহে। স্বীয় স্বীয় প্রারধ কন্মান্ুসারে জ্ঞানিদিগের যে অবস্থাতেই 
অবস্থিতি হউক জ্ঞানের কথন বৈলক্ষণ্য নাই এবং যুক্তিও অসস্তাবন! 
নাই। ( চিঞ্্রদীপ, ২৭৬--২৮৮ গ্নোক )। করত কারণে জ্ঞানীর 
বা্থপ্রবৃত্ি অর্থাৎ তিক্ষা তোজনাদি হহতে অধক ভোগের ইচ্ছা জীবনুক্তির 
বিরোধী নহে, কিন্তু জাবনুক্তির শিলক্ষণ সুথের বিরোধী । যদি বল, 
জ্ঞান হওয়ার পরেও যদি বিষয় ভোগে জ্ঞানীর ইচ্ছ। হয় তথা অজ্ঞানীর 
গায় প্রারন্ধবশে তাহার সকল ব্যবহার সম্পন্ন হয়, তাহা হইলে শাস্ত্রে 
যে জ্ঞানীর বিষয়ে ইচ্ছার মতাব প্রতিপাদিত, হইয়াছে তাহার সঙ্গতি 
কিরূপে হইবে? ইহার উত্তর এই যে, “জ্ঞানীর ইচ্ছ। হয় না” ইহার 
অভিপ্রায় ইহা! নহে ত্য, জ্ঞানীর অন্তঃকরণের ইচ্ছারপ পরিণাম হয় না। 
কারণ, ইচ্ছাদি অস্তঃকরণের সহজ ধর্মী, আগযদিও অন্তঃকরণ মহাভূতের 
সন্বগুণের কার্য, তথাপি কেবল সন্বগুণের নহে কিন্তু রঙ্জোগুণ তমোগুণ 
সহিত কেবল সন্বগুণের কার্য, কেবল সন্বগুণের কাধ্য হইলে উহার 
চঞ্চল স্বভাব হইত না এবং রাঙ্জসিরাত্ত কামক্রোধাদ ও তাষসিবৃত্তি মুঢতাদি 
ইহা সকল তাহাতে থাকত না। সুতরাং কেবল সন্বগুণের কার্য অস্ঃ- 
করণ নহে, কিন্ত অগ্রধান বূজঃ তমঃ গুণসহিত প্রধানসন্বগুণবিশিষ্ 
ভুতেওঘার। উৎপন্ন হওয়ায় অন্তরঃকপণ জ্িগুণায্ম+। এই তিন গুণও 
আবার সকল অন্তঃকরণের স্যান নহে, লোকের কর্মাতেদে উহাদের 
তারতম্য হয়) অর্থাৎ কন্মতেদে অন্তঃকরণের ভেদ হয় এবং অন্তঃকরণ- 
ভেদে গুণ সকল ন্থানাধিকভাবে অবস্থিতি করে। কথিত প্রকারে 
গুণের ছুযুনত] অধিকত। অনুসারে সকলের স্বভাব বিলক্ষণ হওয়ায় তথ! 
অন্তঃকরণ ক্রিগুণের কার্য হওয়।য়। যে পর্য্যন্ত অন্তঃকরণ অছে, সে পর্য্যস্ত 
অস্তঃকরণের ধন্দখ ইচ্ছাদ্দিৰর অভাব বা জ্ঞানিদিগের ইচ্ছার্দির তুল্যরূপতা 
কথনই সম্ভব নহে। সুতরাং যেস্থলে শান্ত্রেঅছে যে জ্ঞানীর ইচ্ছা! হয় 
না তাহার অভিপ্রায় এই-_অজ্ঞানী ও জ্ঞানী উভয়েরই ইচ্ছ] সমান, 
কিন্তু অজ্ঞানী: ইচ্ছাদি মাত্মার ধর্শখ বলিয়া অভিমান করে কিন্তু জ্ঞানীর 


১৯৮. | তত্বজানামৃত। 


তন্ত্রপ 'অভিমান নাই এবং তত্কারণে যে সময়ে ইচ্ছার্দি উৎপন্ন হদ্প.সে 
সময়ে *ইচ্ছাদি আত্মার ধর্ম বলিয়া অভিমান না করায় তিনি অজ্ঞানীর 
স্থায় মোহপ্রাণ্ত হন না। এইরূপ কাম, সন্বল্প, সন্দেহ, রাগ, দ্বেষ, 
শ্রদ্ধা ভয়, লজ্জা, প্রভৃতিও আত্মধন্ম বলিয়৷ জ্ঞানীর প্রতীত হয় না, 
কিন্তু অন্তঃকরণেরই পরিণাম ও ধন্মা বলিয়া সদ! প্রতীত হইয়া থাকে। 
সুতরাং জ্ঞানীর ইচ্ছাদ্দি বিগ্যমানেও জ্ঞানীর বিষয়ে ইচ্ছাদ্ির অভাব 
শাস্ত্রে যে প্রতিপাদত হইয়াছে তাহার তাৎ্পর্যয ইহা নহে যেজ্ঞানীর 
ইচ্ছাদি বা ইচ্ছাদিকত দৃষ্ট সুখ দুঃখ নাই, কিন্তু কায়িক বাচিক মানসিক 
সমস্ত ব্যবহার আত্মাতে ব৷ আত্মধর্ম বলিয়া প্রতীত না হওয়াম্ন অর্থাৎ 
তাহা! সকলেতে আত্মাভিমান না থাকায় জ্ঞানীর দৃষ্টিতে কন্ম কর্তা ও 
ফল পরমার্থরূপে নাই, ইহাই শাস্ত্রের তাংপর্যয। গীতাতেও ভগবান 
বলিয়াছেন, “নৈবকিঞ্চিৎ করোমিতি ইত্যাদি” (অধ্যায় ৬, শ্লোক ৮ ও ৯১)। 
প্রদর্শিত প্রকারে “মায্মা অসঙ্গ” ইহ জ্ঞানীর দৃঢ় নিশ্চয়, সুতরাং সর্ব 
ব্যবহারের কর্তা হইয়াও জ্ঞানী অক্তা। এই কারণে হ্রুতিতে উক্ত 
হইয়াছে, “জ্ঞানের উত্তরে বর্তমান শবীগদ্বারা শুভাশুত কৃতকর্মের ফল 
যে পুণ্যপাপ তাহার সহিত জ্ঞানীর সন্বর্ধ হয় না।? এইরূপে প্রার্ধ 
বলে জ্ঞানী পুরুষের ব্যবহার যাঞ্জই অজ্ঞানীর ভ্ঠায় ব্যবহারোপযোগী ইচ্ছা্দির 
সন্ভতাববশতঃ হওয়ায় দেহেন্দ্রিয়াদির প্রবৃতি বা নিবৃত্তিতে অজ্ঞানী ও 
জানীর কোন প্রভেদ নাই, কিন্তু প্রভেদ হয় মাও বোধে এবং এই 
বোধও কেবল এক বেদান্তশান্ত্রজনিত বিচারপ্রভতব তবজ্ঞান লত্য, অন্ঠ 
উপায়ে উহার প্রাপ্তি সম্ভব নহে। 

বলিয়াছিলে, ণজ্ঞানবানের সর্ধ অনাম্ম পদার্থে মিথ্যা বুদ্ধি হওয়ায় 
রাগ সম্ভব নহে, অতএব প্রবৃত্তি অসম্ভব”, এ আশঙ্কাও সাধু নছে। 
কারণ, দেহাদিতে মিথ্যাবুদ্ধি সব্বেও দেহের অনুকূল যে ভিক্ষা ভোজনাদি 
তাহাতে যখন প্রারব্ধবলে প্রবৃত্তি সম্ভব হম, তখন অধিক তোগের অনুকূল 
গ্রারদ্ধদ্বার যে অধিক প্রবৃত্তি হইবে তাহার বিষয়ে সংশই বা কি? 
বাজীকরের ভেক্বীর মিথ্যান্বরপ জানিয়াও লোকের তর্দশনে প্রবৃতি 
হইয়া] থাকে, এইরূপ সব্ঘ পদার্থে জানীর মিথ্যাবুদ্ধি সবেও প্রবৃত্তি 
সম্ভব হয়। যদি বল, যাহার যে পদার্থে দোষ দৃষ্টি হয় তাহার সে 


জীবনুক্ত পুরুষের ব্যবহার সম্বন্ধে ইত্যাষি ১৯১ 


রে 


পদার্থে প্রবৃত্তি হয় না, জ্ঞানীর অনাত্মপদার্থে দোষদৃষ্টিবশতঃ রাগের 
অভাবে প্রবৃত্তি সম্ভব নহে। একথাও সঙ্গত নহে, কারণ) যে 'অপথ্য 
সেবনে রোগী অনয়ব্যতিরেকদ্বারা দোষ নিশ্চয় করিয়াছে, সেই অপধ্য 
সেবনে রোগীর পরার বলে প্রবৃত্তি হইয়! থাকে। এইরূপ প্রারন্ধ প্রভাবে 
জ্ঞানীর সর্ব ব্যবহারে দোষদৃষ্টি সত্বেও প্ররৃতি অসম্ভব নহে। কথিত প্রকারে 
জ্ঞানীর ব্যবহারের কোন নিয়ম নাই। এইট পক্ষ বিষ্যারণ্যন্বামী পঞ্চদ্শীতে 
বিস্তৃতরূপে প্রতিপাদন করিয়াছেন। অতএব জ্ঞানীর ব্যবহার সর্বনিম্মম- 
রহিত হওয়ায় সমাধি রূপ নিয়ম-বিধিও জ্ঞানীরপক্ষে সম্ভব নহে। 

উল্লিখিত প্রকারে জ্ঞানী সমাধিতে স্থিত থাকুন অথবা কন্মানুষ্ঠানে রত 
থাকুন, যদ্বা, উতয়হ হইতে বিরত থাকুন, অন্তঃকরূণে অনিত্য সাংসারিক 
বস্ত বিষয়ে মিথ্যা জ্ঞান থাকাক় তাহাকে নির্শাল দ্রাণী ও জীবনুত্ত' বল। যায়। 
সমাধি প্রত্ৃতি কম্মের অনুষ্ঠানে বা অননুষ্ঠানে তত্বজ্ঞানীর কোন ক্ষতি বৃদ্ধি 
নাই। আম্ম। অসঙ্গ, নিতা ও চেতন স্বরূপ এবং ততিম্ন সমুদায় মায়াকার্যয 
ধন্দ্রজালিক বন্তর স্বরূপ, এইরূপ জ্ঞানীর নিশ্চয় থাকায় তাহার বিষয়ে বিধি- 
নিষেধ শাস্ত্রের প্রবৃত্তি সম্ভব নহে। অগ্প জ্ঞানীর বিষয়েই সমুদয় বিধি 
ও নিষেধ শান্তর প্রবৃত্ত, অজ্ঞশিশুবালক বা তব্ব্তানীর প্রতি কোন নিয়ম 
শাস্ত্রে বিহিত হয় নাই । অহিসম্পাৎ বা অনুগ্রহ করিতে যে ব্যক্তির সামর্থ 
আছে তাহাকেও তন্বজ্ঞানী ললিয়] স্বীকার করা খায় না, কেন না অতি- 
সস্পাতাদি সামর্থা ইহা] তপস্যা ফল মাত্র, তাহ জ্ঞানের ফল নহে। 
পরমজ্ঞান্দী ব্যাসদেবার্দিরও যে সামর্থা ছিল তাহাও জ্ঞানের ফল নহে, 
তপন্তারই ফল আর জ্ঞানের কারণ যে তপস্ত। তাহার এ ফল নহে, জ্ঞানই 
তাহার ফল। যাহার অহংভাব দুর হইয়াছে তাহাকে আগামী ও সঞ্চিত 
কর্ম সংস্পর্শ করিতে সমর্থ হয় না, সমুদয় লোক হনন করিলেও তিনি দে'ষে 
লিপ্ত হয়েন না৷ এবং স্বয়ং হত হয়েন না। মাতৃবধ, পিতৃবধ, শ্ডেয়, জণহতা। 
বা এতাদুশ অন্ত কোন মহৎ পাপ জ্ঞান ব্যন্তির মুক্তির প্রতিবন্ধক হয় না 
ও মুখকান্তি বিনাশ করিতে সধর্থ হয়না। তিনি ভোঙ্জনই করুণ আর 
ক্রিড়াই করুণ অথবা স্ত্রী বা অন্ত কোন রমণীয় বস্ততে রমনই করুণ, তিনি 
শরীর বা গ্রাণকে আর স্বরণ করেন না, কেবল প্রারন্ধ দ্বার জীবিত থাকেন। 
এইরূপে বিধি-নিষেধ শাস্ত্রের নিম বহিভূতি হওয়ায় জ্ঞানী নিরক্কুশ। 


২৩৪ র্‌ তত্বজ্ঞা নামৃত। 


এস্লে সম্ভবত; অনেক এইরূপ আপত্তি করিবেন। 

১। জ্ঞান দ্বারা অজ্ঞান বিন হইলে উপাদনের অভাবে একক্ষণও ক্যর্যয 
বিদ্যমান থাকিতে পারে না । বেদাস্ত মতে প্রপঞ্চ অজ্ঞানের কার্ষ), 
সুতর!ং তত্বজ্ঞানের উদয় হইলে মূল সহিত অবিস্যা কার্য্ের উচ্ছেদ হওয়ায় 
শরীরের অভাবে জীবদশাতে জীবনুক্তি সম্ভব নহে। দুঃখের অত্যন্ত নিরৃত্ধি 
তথা আনন্দের প্রাপ্তিবূপ মোক্ষ, জাবদশায় ঘটিতে পারে ন! অর্থাৎ শরীর 
থাকিতে সুখ দুঃখের সন্বন্ধের বিনাশ হয় না। অতএব জীবনুক্তি, শরীরাদির 
সম্বন্ধ, অক্ঞানের নাশ, জীবদ্দশাতে তন্বজ্ঞ পুরুয়ের নিয়ম রহিত ব্যখহার, 
ইত্যাদি সকল সিদ্ধান্ত আদে; উপপর্ন হয় না। 

২। ক্ষুৎপিপাসার্দিরূপ অনর্থ যেমন জ্ঞানের পুর্বে ছিল, তেমনি 
জ্ঞানোত্বর কাঙেও থাকিলে, অনর্থের নিবুত্ড হইল কৈ? এবং জ্ঞানী ও 
অজ্ঞানীমধ্যে তেও রহিল কি? জ্ঞানিদিগের পাপকার্ধ্য যেবূপ উপরে বর্ণিত 
হইয়াছে, তদ্রপই ষ্দ্ি জ্ঞানের ফল হয়, অর্থাৎ মাতৃপিতৃবধ তথা স্্বীসেবন 
প্রভৃতি এই সকল বদি জ্ঞানিদিগের জনের ফল ন্বভ।ব বা কার্ধ্য অথবা! 
মুক্তির স্বরূপ বা সোপান হয়, তাহা হইলে ঘোর ছুরাচারী পাপাত্ম। পুরুষের 
সহিত জ্ঞানী পুরুষের প্রতেদ না গ[কা, উক্ত ছুপাচাবিগণও জীবনুক্ত বলিয়। 
প্রসিদ্ধ হউক এবং মৃত্যু পরে পরমধাম প্রাপ্ত হউক। অপিচ, ছুরাচাবী 
জনগণও মাঁতৃপিত্‌ বধকার্ময প্ররাত্ত হয় না এবং জ্ঞানীর আচরণ তদপেক্ষাও 
অধিক কদর্য, অশোভন ও অরমণীয় হইলে বেদাস্তসিদ্ধাস্তাতিমত জীবন্ুক্তির 
প্রসিদ্ধি বা খ্যাতি লাভের আশা হইতে বঞ্চিত থাকাই ভাল। 

বাদিপিগের উক্ত উত্তয়ই আপত্তি বিবেকযুক্ত নহে, কারণ, 

১। অজ্ঞানের আবরণ ও বিক্ষেপ নামক দুই শক্তি মআাছে। শাত্ম- 
তত্বজ্ঞানঘ্বারা অজ্ঞানের আবরণশক্তি তথ। তত্কাধ্য তাদাত্ম্যাধ্যাস (ভ্রমজ্ঞান ) 
নিবৃত্ত হয় কিন্তু উজ্জ জ্ঞানের যে বিঙ্ষেপশাক্ত ও ৩ৎকাধ্য ষে বিক্ষেপাধ্যাস 
তাহা প্রারন্ধকশ্মের নিবৃত্ভিকে অপেক্ষা করে, অর্থাৎ প্রারদ্ধকম্মের ভোগা- 
বসান ব্যতীত উক্ত অধ্যাসের নিবৃত্তি হয় না। সমুদয় বস্তর উপাদান 
কারণ নষ্ট হইলেও তৎকার্যা কিয়ৎক্ষণ বর্তমান থাকে, ইহা তাফিকে রাও 
স্বীকার করে। এ বিবযষে দৃষ্টান্তও আছে, যথা-_রজ্ছু অগি দ্বার] দগ্ধ হইলে 
তক্মীকত রজ্জুর লেশ কিঞ্চিংকাল অবস্থি৬ থাকে । অথবা “তুমি দশম” এই 


জীবদুক্ত পুরুষের ব্যবহার সম্বন্ধে ইত্যাদি ২৯১ 


"বদষ্টান্তে অবিস্তার আবরণ-শক্তি বিনষ্ট হইলেও আবরণ-শক্োত্তব ক্রদনাদিজন্য 
শীরঃগীড়ার্দিরপ বিক্ষেপ-শক্তির সন্তাব তৎপবেও কিয়ৎকাল অনুবন্তিথাকে। 
অথব1 কুলাপচক্রের ঘূর্ণন পপ্রাতনিবৃত্ত হইলেও কিয়ং পরিমিতকাল তাহার 
অনুবর্তন থাকয়াযায়। '্রারন্ধ বিক্ষেপ-শক্তিব নাশ প্রতিরোধ করে, তাহাকে 
ক্ষয় হইতে দেয় না, প্রারন্ধ ক্ষরপ্রাণ্ড হইলে বক্ষেপশাজ স্বয়ংহ নিবৃত্ত হয়। 
আবরণ-শক্িজন্য বিপরীত জ্ঞান সর্ব অনর্থের মুল, আবরণের নাশ হইলে 
বিক্ষেপশক্জি তঞ্জিত-বীজের গ্ায় ক্ষতি কারতে সমর্থ হয় নী। যেমন অগ্নিদগ্ধ 
বাঞ্জ ভক্ষণাদ্ি ব্যবহারের উপযোগী হইলেও অস্কুরাদ কাধ্যের অনুপযুক্ত 
হইয়া থাকে, তদ্দপ জ্ঞানদপ্ধ অঞ্জনের বিক্ষেপশাক্ত প্রারন্ধ কর্ম জগ্ত তোগের 
হেতু হইলেও পুনঃ সংসারোজ্জীবনের যোগা নহে । কথিত কারণে অবিদ্তার 
বিক্ষোপাংশ তত্বক্জানের বিরোধী নহে, কিন্তু জগত্াববধ়ে অবিগ্ভার আবরণাং- 
শোস্তব যে সতাত জ্ঞান তাহাহি আত্মতত্ববিগ্তাত বিরোধী ও তাহাতে অর্থাৎ 
জগতে যে এ্রন্রজালিকত জ্ঞান তাহ। উক্ত বিদ্যার অর্থাৎ আত্ম-তত্বজ্জানের 
সহৃকারী। যেষন এল্রঞএাপক দর্শন হন্্রালসন্ভৃত পদার্ধের যাযিক-জ্ঞানের 
বাধক হয় না) তদ্রপ প্রাপন্ের ভোগও জগতের মিথাত্ জানের বাধক হয় ন।। 
প্রত্যুত পরম্পর অবিরুদ্ধ অ।স্মতত্বজ্ঞান ও প্রারন্ধকম্ম-প্রতিধন্ধবিক্ষেপ-শজি এই 
উভয়ের একাধারে অবস্থতি অগ্ুভবপিদ্ধ | প্রত্যক্ষ দেখা যায়, ধদ্দ্রজাপিক 
পদার্থের মিথ্যা স্বরূপের জ্ঞান সব্জেও লোকের তাহা দেধিতে ইচ্ছ! হয়, দে খিক! 
তদ্বিষয়ে আমোদও জনে, কেবল যে ইচ্ছা ও আমোদ হপ় তাহ! নহে, দর্শক- 
বৃন্দের মধ্যে অনেকের তাহার প্রকার জানিবার প্রবৃত্তিও হয়। অতএব যে 
হেতু জগতের মায়িকত্বজ্ঞান আত্মভন্ববিষ্ঠার সাহায্যকারী ও প্রারন্ধ কেবল 
ভোগে পরিসমাপ্ত, সেই হেতু বিভিন্ন বিষস্ব প্রযুক্ত প্রারন্ধকর্ম কখনই আত্ম 
তত্বজ্ঞনের বাধা জন্মাাইতে সক্ষম নহে । যেমতে তত্বজ্ঞানের উত্তরকাগে 
আবরণাংশের স্ঠায় [বক্ষেপাংশেরও অভাব হওয়া উচিত অর্থাৎ জ্ঞানীর 
শরীরাদিরও অতাব হওয়া উচিত, এরূপ অঙ্গীরূত হয়. সেমতে জীবনুক্তি 
শরীর থাকিতে অসম্ভব হয়। ভাল, এই মতের প্রতি অন্মদ্রা্দর জিজ্ঞান্য--- 
আত্মতত্বজ্ঞান জীবদশাতে সম্ভব হয় কিনা? অথবা জগতের অপ্রতীতি 
আত্ম-তন্বজ্জানের লক্ষণ? আছ পক্ষের প্রথম কোটাতে, অর্থাৎ “হয়” পক্ষে, 
জীবনুক্তি শরীরদশাতেই সিদ্ধ বলিয়। স্বীকার্ধ্য হইবে । এদিকে “লা” পক্ষে 
১, 


২৬২ তত্বজ্ঞানামৃত। 


জীবনুক্তি ও তবন্তঞান এই ছুই শব শশশৃ্গাদি শবের স্তায় অপ্রপিদ্ধ ও অলীক 
বলির গণ্য হইবে। কিন্তু এই শেষ কোটী জ্ঞানীর অনুতববিরুদ্ধ এবং 
শাস্্রেরও বিরুদ্ধ। অপিচ, যাহ] জীবদ্দশাতে অপ্রাপ্ত তাহা মৃত্যুর পরেও 
দুল অর্থাৎ তাহার মৃত্যুর পরে আশ! ছুরাশা মাত্জ। এই তয়ে দ্বিতীয় পক্ষ 
বললে অর্থাৎ জগতের অপ্রতীত জীবনুক্তির বা আত্ম-তত্বজানের লক্ষণ 
বলিলে স্ুযুপ্তি ব। মুচ্ছাকালে জগতের অদর্শন বশত: তদ্বস্থাপ্তগত জনগণও 
অবাধে আত্মতত্বজ্জ বা জীবশুক্ত বলিয়! প্রলিদ্ধ হইতে পারে। কথিত কারণে 
আত্মতত্ব-বিষ্ভাই জীবন্ুক্তির লক্ষণ, শরীরের ধ্বংদ বা শরীর সহিত জগতের 
অপ্রতীতি জীবনুক্তির স্বরূপ নহে । অতএব তন্বজ্ঞান প্রভাবে অজ্ঞানের 
আবরণাংশের বিনাশ হইলে বিক্ষেপাংশ দ্বার! জ্ঞানিদিগের শরীবের কি, 
কাল যে স্থিতি হয় তথা উদ্জ স্থিতি হেতু প্রতিশরীরকৃঠ ব্যবহারাদির যে তে 
হয়, তদ্বিষয়ে পৃব্বপক্ষের কোন প্রকার আপন্তি সগ্তব নহে। 

(২) অনর্থ কেবল অজ্ঞানের আবরণ-শাঁজর সপ্তাবেই জন্ম লাত করে। 
বিষ্কাত্বারা আবরণ বিন হইলে হেতুর অতাবে জ্ঞানীর পক্ষে কোন অনর্থ 
নাই। অবশ্ঠ অন্ঞানীর পক্ষে উক্ত আবরণের সঞ্ভাবে আত্রঙ্গ স্তস্ত পর্য্য্ত 
সমস্ত পদার্থ অনর্থরূপ। ম্ৃতরাং জ্ঞানী অঙ্ঞানীর পরম্পরের কেবল বোধ 
বিষয়েই প্রতেদ হয়, প্রারন্বপ্রন্ত দেহেক্িয়াদির প্রবৃত্তি বা নিবৃত্তিরূপ কন্পে 
তছুতয়ের কোন প্রতেদদ নাই। কিন্তু মাত্র ধিশেষ এই--তন্ববোধ প্রভাবে 
জানীর প্রারন্ধ তোগমাত্রের হেতু হওয়ায় সঞ্চিতকর্মের নাশে ও আগামীর 
অশং শ্লেষে জ্ঞানীর কন্ম নিব্বীজ, কিন্তু অজ্ঞানীর উক্ত বোধের অভাবে 
কর্ম ও কর্মের ফলসাহত সর্দা সম্পর্ক হওয়ায় অজ্ঞানীর সমপ্ত কম্ম 
সবীজ। বিলক্ষণ প্রারবধ প্রভাবে মাতৃবধ পিতৃবধ প্রভৃতি ছুণ্চরিত কর্ে 
তথ স্ত্রী সভ্ভোগাদ্ি বৈবন্সিক সুথে জ্ঞানীর ইচ্ছ। প্রবৃত্তি, ও রাগাদির 
লেশ সম্ভবাভিপ্রায় কথিত হইয়াছে, অঙ্গীকরণীয় অভিপ্রায় নহে। শান্ত্রেও 
জ্ঞানীর বিষয়ে প্রোজ্জ কর্মাদিতে পাপাভাব যে বর্ণিত আছে তাহার 
অভিগ্রায় এই যে, উক্ত স্কল কর্ম কেন? শুতাশ্ুভ কোন কর্শই 
তাহার যুক্তির প্রতিবন্ধক নহে। প্রারন্ধের বৈলক্ষণ্য প্রযুজ ভাল মন্দ 
কোন কার্ষেয বিদ্বান প্রবৃত্ত হইলে অজ্ঞানাবরণ খিনষু হওয়ায় ষে কোন 
কর্ম হউক কোনটাই তাহার যুক্তির বাধ। জন্মাইতে সমর্থ নহে। অর্থাৎ 


জীবনুক্ত পুরুষের বাবহার সম্বন্ধে ইত্যাদি, ২৪৩ 


প্িষ্তার এরূপ মাহুম] যে পাপ-পুণ/রূপ কোন কর্মই জ্ঞানীকে স্পর্শ করিতে 
সক্ষম নহে এবং শত সহঅ ইচ্ছাদি ভর্ঞিত বীজের ন্যায় জ্ঞানীর ধংসার 
অস্কুর নাতে অশক্য। অবশ্ত জ্ঞান হইলেই যে জ্ঞানী পাপাচরণে 
প্রবৃত্ত হইবেন ইহা শাস্ত্রের অর্থ নে, কেননা, পাপাচরণে প্রবৃত্ত ব্যক্তির 
জ্ঞান লাত ত দুরে থাকুক ধর্মাচরণেই প্রবৃত্তি সম্ভব নহে। কিন্তুজানের 
অনন্তর কচিৎ বিলক্ষণ প্রারন্ধ বশতঃ জ্ঞানীর রাগাদি জন্য যে প্রবৃত্তি 
তাহ৷ দগ্ধবীজের ভ্টায় অনর্থের হেতু নহে বলিয়। শাস্ত্রে জ্ঞানীর বিষয়ে 
পাপাভাব ও পুণ্যাভাঁ উভয়ই কথিত হইয়াছে। বস্ততঃ দেহেন্দ্িয় 
অন্তঃকরণকুত সুকৃত দুঙ্কৃত সমুদয় কম্পু জ্ঞানীর বিষয়ে নিয়যবক্জিত, 
অতএব তাহার সমস্ত ব্যবহার কর্তব্যরহিত। যেমন ভূতলে পতিত শুষ্ক 
রৃক্ষপত্র বায়ুদ্বারা পরিচালিত হইয়া চতুদ্দিক ন্ুষণ করে, তদ্রুপ শেধ- 
কর্ম প্রারন্ধদ্ধবারা সঞ্চালিত হইয়া জ্ঞানীর ব্যবহার নানাবিধ হইয়। 
থাকে। জ্ঞানী কখন রথাশ্শজে আরোহিত হইয়। লোকজন সমতি- 
ব্যাহারে সুরমা উদ্যান প্রভৃতিতে বিহার করেন, আবার কখন অনখন 
উলঙ্ক, একাকী, নগ্রপাদ উন্ত্তের হায় গুহ! পর্বতাদিতে ভ্রমণ করেন। 
কথন বিবিধ বেষ সঙ্জ! শয়ন উত্তম ভোজন ভোগে রত থাকেন, 
আবার কখন সর্ব ভোগপ্রহিত হইয়া রহস্তাবলম্ন পূর্বক লোক মধ্যে 
অন্ধের ন্যায়, জড়ের গ্ঠায়, মৃকের গ্ঠায়, অজ্ঞাত চর্ধযায় বিচরণ করেন। 
এইরূপ জানীর পরার জন্ট সমস্ত ব্যবহার নান প্রকারের হইয়া থাকে 
এবং পুরুধ তেদে জ্ঞানিদিগের বাবহারেরও নান! ভেদ হইয়া! থাকে। 
জ্ঞানীর প্রারন্ধ বশে যেরূপেই স্থিতি হউক আত্মবিষয়িণী বিষ্ভার প্রভাবে 
অজ্ঞান সহিত অজ্ঞানের অনর্থ প্রসবিনী শক্তি ধ্বংশ হওয়ায় মেঘমুক্ত 
শশির ন্যায় বিদ্ধানের নিরাবরণরূপে অবস্থিতি হেতু তাহার সমস্ত ক্রিয়। 
অন্মষ্টর অজনক। কথিত কারণে ছ্ঞানীর ব্যবহার নিববাজ হওয়ায় 
যেরূপ বৃক্ষ হইতে ভূতলে পতোনুখ ব্যকির শত শত ইচ্ছা তাহার বৃক্ষ 
হইতে ভূতলে পতন নিবারণ করিতে শক্ত নহে, তদ্রপ জ্ঞানীর ইচ্ছাদি জন্য 
সমুদয় ক্রিয়া যুক্তির ব্যঘাত জন্মাইতে সমর্থ নহে। 

উক্ত অর্থ দুঢ়করণাভিপ্রায়ে এন্কলে একটা আধ্যায়িকা উদাহরণ স্বরূপ 
প্রদর্শিত হষ্টতেছে। তথাহি-_ 


২০৪ তখজ্ানামৃত। 


একদা! ছুই রাজপুত্র সংসারে বতরাগ হইয়া রাজ্য পরিত্যাগ পূর্বক 
অরণ্যে গমন করেন। তথায় কোন ব্রহ্গনিষ্ট গুরুর নিকটে অবস্থান করতঃ 
গুরুর কৃপায় উভয় ভ্রাত। শীঘ্বই সাধন-চতুষ্ট্য সম্পন্ন হইয়! ব্রহ্গবিদ্তা লাভ 
করেন, করিয়া গুরুর আজ্ঞা গ্রহণাস্তর তীর্থাদি পর্যটনে প্রবর্ত হইলেন । 
কিয়ৎকাল পরে কনিষ্ঠ ভ্রাতা সমাহিত চিত্ত হইয়া নির্মল জীবনুক্তভাবে 
পর্ধ্ধতের গুহাতে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন । কিন্ত জ্যেষ্ঠ কোন ধনশালী 
মহপ্তের গদি (পদ) প্রাপ্ত হইয়া সেই পদে প্রতিষ্ঠিত হইলেন। কনিষ্ঠ 
নির্বিকল্প সমাধির অভ্যাসদ্বাবা সদ ব্রদ্গানন্দে নিমগ্ন থাকিতেন, এদিকে 
জ্যেষ্ঠ উত্তরোত্তর অধিক ধনের বৃদ্ধি হেতু বিপুল এশ্বর্যো পরিবেষ্টিত হওয়ায় 
ক্রমশঃ ঘোর বিষয়াসভ্ত হইয়। উঠিলেন। অন্প কথায় কনিষ্ঠের পাধহার 
বামদেব ভরতাদ্ির ন্যাপ অত্যন্ত নিরত্তিপ্রধান ও জ্যেষ্ঠের আচরণ 
শিথরধবজ জনকাদ্ি স্টায় অত্যন্ত প্রবৃত্তিপ্রধান ছিল। এইরূপভাবে উভয় 
ভ্রাতা স্ব স্ব কার্যে নিযুক্ত থাকিয়া কাল অতিবাহিত কারতে লাগিলেন। 
কোন এক সময়ে জোষ্ের গদিপ্রাণ্ডি, বিপুল উশ্ব্যযহোগ, স্লীসম্তোগাদি 
বৈষয়িক সুথে আাসজি, ইত্যাদি সফল সংবাদ কনিষ্ঠ জনমপরম্পরাক 
আত হইলে তাহার মনে এই সকল ভাব উদিত হইল “সত্যসত্যই কিঞ্জোর্ঠ 
ভ্রাতা ত্রঙ্গানন্ন হইতে বিমুখ হইয়া পুনরায় স"্মার-সাগরে [নিমগ্জ হইয়াছেন 1 
যাহার অজ্ঞান নিবৃত্ত হইয়াছে তাহাকে কিরূপে সংসাব্ তাহার জীবন্াক্তভাব 
বিনষ্ট করিয়। পুনধ্বাব আপন জালে মাবদ্ধ কবিতে শকা হইতে পারে। 
ষগ্তপি ব্যবহারকালে জ্ঞানী ও অজ্ঞানী মধ্য) “কান প্রতভেদ নাই তথাপি 
অজ্ঞানী ব্যক্তিই মায়ার কৃহকে পড়িয়া তাহার প্রলোভনে বিমোহিত হয় আর 
জ্ঞানী পুরুষ আত্মবিগ্ঞার প্রভাবে প্রাবন্ধ জন্ত তোগে রত থাকিয়াও আপনার 
মর্ত্যত মার শ্মরণ করেন না। কিংবা, আত্মবিদ্বা জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার পরিপৰ ছিল 
না, মন্দ ছিল, অর্থাৎ সংশয় ও বিপর্য্যয়রহিততাবে ছলনা, তজ্জন্ই সম্ভবতঃ 
তাহার পূর্বার্জিত কোন উদ্ধ,দ্ধ অণুভ কণ্মসংস্কার মন্দঙ্ছান তিরম্কার করিয়া 
তথ! অপরোক্ষ-জ্রনের দৃঢ়তার প্রতিবন্ধক হইয়া তাহাকে আবার সংসার 
কূপে পাতিত করিয়াছে । সেযাহ। হউক জোট্টের সহিত সাক্ষাৎ করিয়। 
এ বিষয় একবার পরীক্ষা করিয়া দেখা আবশ্ক।” কনিষ্ঠ ভ্রাতা ইত্যাদি 
প্রকার চিস্তাম আক হইঘা একদিবস আপনার গ্যোষ্ঠের পরীক্ষার 


জীবসুক্ত পুরুষের ব্যবহার সম্বন্ধে ইত্যাদি ২৯৫ 


অভিপ্রায়ে তাহার সমীপে গমন করিলেন। বল! বাহুলা, জোষ্ঠ ভ্রাতা 
কনিষ্ঠের সম্বন্ধে কিট্ুই অবগত ছিলেন না, এমন কি কনিষ্ঠ গ্ষীবিত আছেন 
ব। তাহার মুত হইয়াছে ইহাও তিনি জানিতেন না, কেবল আপনার পান 
ভোজন ও স্ত্রী সস্তভোগাদি স্ুথে অষ্টপ্রহর নিমগ্ন গাকিতেন, অন্তবিষয়ে 
দ্বক্পাতও করিতেন ন'। সুতরাং কনিষ্ঠ যখন আপনার ছ্ধ্যেষ্ঠ ভ্রাভার নিকটে 
উপস্থিত হইলেন তথন তিনি অপরিচিত ভাবেই “জাষ্ঠের সহিত সাক্ষাৎ 
করিলেন। জোষ্ঠ আতথ্য সম্মান পূর্বক কণিষ্ঠের শুশ্বধা করিয়! অতি 
সমাদরে নমৃভাবে তাহাকে ছ্রিজ্ঞাস৷ করিলেন ''ভগবন্‌ আপনার শুভা- 
গমনে আমি পবিত্র হইল!ম এ৭ং আমার ভবনও পবিজ্র হইল, কপ 
করিয়া আপনার দর্শন দ্রানের উদ্দেশ্ত জ্ঞাপন করিয়া আমায় চৰিতার্থ 
করুন|” জ্যেষ্ঠত্বার। এবন্প্রকারে পৃষ্ট হইলে কনিষ্ঠ বলিলেন। “আমি 
একটী গুরুতর রোগে আক্ান্ত হওয়ায় অতিশয় কষ্ট পাইতেছি। বৈচ্কাগণ 
বলেন অশ্ব বা গঞ্জের পেটের নাড়ীপুধের মধ্যে একটি অতিহুক্ম নাড়ী আছে 
তাহাতে এক প্রকার জলজ্জ দ্রব্য পাওয়া যা, সেই দ্রব্য পাইলে আমার 
রোগের শাস্তি হইতে পারে। কিন্তু শ্ুনিয়াছি উক্ত জলজাত দ্রব্য কোন একটী 
বিকমশালী জাত নশ্ব বা গঞ্জের পেটেই থাকে, সর্ধ৫ নহে । আপনার কীত্তি 
সরধ্য প্রকাশের হায় ব্রিভূবনে ব্যাপ্ত, আপনি সম্রাটের ন্যায় প্রভূত ধনশালী ও 
অতিশয় উদারচিত্ত। যদি কোন প্রকার ক্ষতি বিবেচন। না করেন তাহা হইলে 
আপনাৰ পশুশ[ল! হইতে জাতঅশ্বাদি হনন করাইয়। আমার অভিলধিত ওঁষধ 
প্রস্তুত করিতে আঙ্গা প্রদান করুন|, অতিথির উদ্দেগ্ত অবগত হইয়া জোর্ঠ 
সত্ব জল্লাদকে ডাকাইয়! পশুশালা হইতে হস্ত্য।দি আনাইয়া এক একটি 
কাটিতে আজ্ঞারদদিলেন। এইরূপে অনেকগুলি পশ্ হনন সত্ত্বেও মহস্তের বদনে 
কোন গ্রকার গ্লানির চিহ্ন দর্শন না করায় অতিথি জল্লাদকে অধিক হনন কার্ষ্য 
হইতে বিরত করতঃ মহন্তকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন “মহাশয় আমার 
কষ্টের অবপান হইতে এখনও বিলম্ব দেখিতেছি, যখন এতগুলি পশুহিংসা 
করিয়াও আমার অভিলধিত ওুঁধধটী পাওয়া গেল না তখন অবশ্বই আমার 
ভোগের ক্ষয় দুরাবস্থিত।” মহত্ব বলিলেন “প্রভু যদি আরও কিছু আদেশ 
থাকে আজ্ঞা করুন আমি আমার সমন্ত ধন বিত্ত সমর্পণ করিয়াও আপনাকে 
যন্তণা হইতে যুক্ত করিতে প্রন্থত মাছি।” অতিথি সন্তষ্ট হইয়। পুনশ্চ বলি- 


২৯৬ তত্বজ্ঞানামৃত। 


লেন, “অ।পনার অস্তঃপুরে থাকিয়। যদ্দি আমি নারীগণের সহবাসে কিঞিওকাল 
অতিবাহত করিতে পারি তাহা হইলে তন্বারাও আমার রোগের কিঞ্চিৎ 
পরিমাণে শান্তি হইতে পারে ।” মহন্ত তথাস্্ব বলিয়া তৎক্ষণাৎ অতিথিকে 
অন্তঃপৃরে লইয়া গেলেন ও তাহার যনোগত তাব বাণীদিগকে জানাইলেন 
এবং রাজ্ঞিগণও অগত্যা সম্মত হইলেন। কিন্তু অতিথি কিয়ংক্ষণ পরেই 
অন্তঃপুর হইতে বহির্গত হইয়া এবং মহস্তের সমীপে উপস্থিত হইয়া বলিলেন 
“মহাশয় আমার অন্তঃপূরে অবস্থানদ্বার৷ রোগের সম্পূর্ণরূপে নাশ সম্ভব 
নহে।” মহন্ত বলিলেন, “রোগ শান্তির যদি অন্ত কোন উপার থাকে বলুন, 
আম নিজের প্রাণ বিসর্জন করিতে ও কুষ্ঠিত নঠি।” অতি'থ কহিগেন 
“তাহাই আমার অভিলাষ, জল্লাদ আপনাদের উভয় স্ত্রী পুরুষের মস্তক 
এক সঙ্গে ছেদন করিয়! নির্গত রুধিরের প্রলেপ আমার পেটে স্বাপন করিলে 
আমি নিশ্চয়ই রোগ হইতে মুক্ত হইতে পারিব |” ইহ শ্রবণ করিয়া মহন্ত 
সহান্তবদনে জল্লাদকে আপনার ও॥আপনার স্ত্রীর মস্তক ছেদনের আদেশ 
করিয়! কহিলেন “যুগল মন্তকের রুধির লইয়া যা] বিহিত বিধানে অতিথির 
পেট প্রলেপ করিবে ।” জল্লাদ উক্ত ছেদন কার্ষে প্রবৃত্ত হইলে অতিথি 
তাহা নিবারণ করিয়া জ্যেষ্ঠকে আপনাঁএ পার্চয় প্রদান করিলেন এবং তাহার 
যে মনোগত ভাব ছিল তাহা ্ঞাপন করিয়া কহিলেন "এক্ষণে আামি স্বস্থাচত্ত 
হইয়াছি, সামান্য সংশয় এই মাত্র যে, এত বিপুল ধনে জনে পরিবেষ্টিত হইয়া 
এবং তাহাতে অষ্টপ্রহর নিষগ্র থাকিয়া আপনি কিরূপে মায়াফাদ হইতে 
আপনাকে ব্ুক্ষা করেত সক্ষম হয়েন। কনিষ্ঠের এই প্রশ্নের সাক্ষাতৎরূপে উত্তর 
প্রদান না করিয়! কিন্তু উদ্দাহরণচ্ছলে প্রকৃত সমাধন বজিবার অতিপ্রায়ে 
জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা নিকটস্থ একটী সেবককে অনেক গুলি জলন্ত অধিশ্কৃলি্ 
আনিতে আদেশ করেন। সেবক স্কুলি্গ আনিলে জ্যোষ্ঠ উহাদের এক 
একটী হস্তদ্বার। ফেলিতে লাগিলেন, এইরূপে সমস্তগুলি ফেলিয়া আপন 
হস্ত দেখাইয়া কনিষ্ঠকে বলিলেন, "দেখ ভাই হপ্তে কোন প্রকার 
চিহ্ন নাই, অল্প স্বল্প যে কয়লার চিহ্ন দেখিতেছে তাহা! প.ছিয়। 
ফেলিলেই অন্তহিত হইবে, ( কয়লার চি পঁছিয়া হস্ত দেখাইয়া! দিলেন )। 
শুনরায় একটী অত্যন্ত ক্ষুদ্র অগ্রিকণা হস্তে ধারণ করিলেন, ধারণ 
করিখামাত্রই একটী বৃহৎ ফোস্ক। হস্তে দৃষ্ট হইল। উক্ত ফোস্কা কনিষ্ঠকে 


৯ 
জীবনুক্ত পুরুষের ব্যবহার সম্বন্ধে ইত্যাদি” ২০৭ 


ঞঁ 


সেখাইয়া বলিলেন “এত গুলি শ্কুলিঙ্গ একে একে স্পর্শ করিলাম কিন্তু কোনটা 
ক্ষতি-কারক হয় নাই, পরন্ত সামান্য 'একটী ক্ষুদ্রকণ! যেমন হস্তে ধারণ 
করিলাম তেমনই উহার পরিণাম একটী বৃহৎ কোস্ক। হইল। কেন 
এরূপ হইল? ভাবিষ্না দোখলে বিদিত হইবে, পূর্বে স্ফুলিঙ্গ গুলি হস্তঘ্বারা 
স্পর্শ হইয়াছিল মাত্র, ধরণ কর! হয় নাই অর্থাৎ ধর! হয় নাই এবং তত্কারণে 
অনিষ্কর হয় নাই কিন্তু একটী কণার ক্ষণকাল মাত্র ধারণে এই অনর্থ 
ঘটিয়াছে। এই প্রকারে প্রপঞ্চের একটী ক্ষুদ্রতূণে ক্ষণকালও সত্যত্ববুদ্ধি 
স্থাপিত করিলে অগ্নিকণাদ্বা| বৃহৎ কোঙ্ক। উৎপত্তির হ্তায় অহমত। মমতা রূপ 
অভিমান দ্বার! বৃহৎ পাঁশ রজ্জু উৎপন্ন হণ, হইয়৷ আত্মাকে বিবিধ প্রকারে 
বন্ধন করে। ম্ুতরা- সত জ্ঞানে প্রপঞ্চকে অহফাদি অভিমানরূপে মনে 
ধারপ করাই দোব। উহা! যেক্ধপে থে মাধারে আছে সেরূপে সেই মাধারে 
থাকিলে আর নজে নিব্বকার সাক্ষীরূপে স্ঠিত হইলে কোটি কোটি প্রপঞ্চ 
একত্রিত হইলেও জ্ঞানীর শৎ্সকলে অধ্যাস (মিথ্যাত্ব ) বুদ্ধি নিবারণ 
করিতে সক্ষম হইবে না এবং তখকারণে অহস্ত। মমতাদিরূপ অভিমানও মনে 
স্থান প্রাপ্ত হইবে না । হে বাক্তির জ্ঞানাদশে এই সংসার এন্দ্রঙ্জালিক 
পদার্ধের স্যাক্স অহ্নিশি মিথ) অবভাপিত হইতেছে সে ব্যক্তির নিকটে 
আহার বিহারাদি লমন্ত ব্যবহাং ক্ষাতর বিষয় হইতে পারে না আর উক্ত 
বাবহারজন্য সামান্ধ যরিনত। লোকে জ্ঞানীর চরিত্রে আরোপ করিলে, 
তন্দারাও তাহার কোন হানি লাত নাই। কারণ, জ্ঞানবানের রাগার্দি 
জন্য যে প্রবৃত্ত তাহা জান-ছুপ্ধ ও প্রারবককৃত, অতএব নিব্বীঞ্গ এবং 
জীবনুক্তির বিলক্ষণ আননোর এতি-কুল হইলেও জ্ঞানের তথা মুক্তির বিরোধী 
নহে। হেপ্রিয় ভ্রাতা আপুনাতে মর্ত্যত্ব বুদ্ধি তথা প্রপঞ্চে সত্ত্ব জ্ঞান ও 
তজ্জন্ত অহংমমাদি অভিমান ইহ1 সকলই ক্রেশ বলিয়া গণা। যে ব্যক্তির 
্রন্মবিস্ভ। প্রভাবে অবিষ্ভ। ও আবগ্ার কার্য্য বিনষ্ট হইয়াছে সেই বিনিষ্ট 
অবিগ্কা ও ততংকার্ধ্য অহঙ্কারাি কিরূপে উক্ত ব্যক্তির জ্ঞানের বিরোধী 
হইতে পারে। যখন প্রপঞস্থানা জীবিত যুষীক তত্বজ্ঞানস্থানী বিড়াল 
দ্বারা হত হইয়াছে তখন নিবৃত্ত ও বিনষ্ট অবিগ্ভারূপী মৃতমুধীক যে তন্বজ্ঞান- 
রূপী বিড়ালকে হনন করিবেক ইহা কোন ক্রমেই সম্তাবিত নহে। 
তত্বজ্ঞাদ ঘার। নিবৃত্ত অঞ্রান ও তৎকার্ধা যদিও মৃত দেহের ন্যাক় কিয়ৎকাল 


২৯৮ তবজানামৃত। 
বিদ্যমান থাকে, তথাপি তাহাতে জানসম্রাটের কোন হানি নাই” 
বরং তাহার কীর্ভিই প্রবদ্ধিত হয়। যে পুরুষের কথিত প্রকারে আত্ম- 
প্রত্যয় প্রবল পরাক্রান্ত তন্বজ্ঞানদ্বারা সংরক্ষিত আছে, সে পুরুষের 
দেহেন্ড্রিয়াদিরূত প্রবৃত্তি বা নিরত্তিতে কোন ক্ষতিও নাই লাভও নাই। 
এই বিস্তৃত ধনৈশ্ব্যয বিশিষ্টপদ যাহাতে তুমি আমাকে প্রতিষ্ঠিত দেখিতেছ 
ইহাতে আমার অহং দম ভাব নাই যেহেতু এই পরিদৃশ্তমান প্রপঞ্চ 
আমার সভাতেই সত্তাবান হই অবভাসিত হওয়ায় সত্যত্ব ভ্রাস্তির 
অভাবে তাহাতে আমার অভিমান সম্ভব নহে। অর্থাৎ পরমার্থরূপে 
বাস্তব কল্পে সমগ্রনামরূপ ব্যভিচারী বস্ততে অনুগত এক অদ্বিতীয় অস্তি 
ভাতি প্রিয়রূপ বস্ত জামি হওয়ায় আমার শোকই বা কোথায় মোহই 
বাঁ কোথায় । ইহাই জ্ঞান, ইহাই আদর্শ, এবং ইহাই পুরুষার্থের শেষসীমা, 
তধা ইহাই জ্ঞানীর দৃষ্টি, বিঘজ্জানর অন্ুতব, শ্রেষ্ঠকামী পুরুষের চধম 
লক্ষ্য ও সমস্ত বেদের অন্তশাসন |” এইরূপ এইরূপ তাতুদ্বয়ের কথোপকনাস্তর 
কনিষ্ঠ ভ্রাত! জ্যেষ্ঠের নিকট হইতে বিদায় গ্রহণ করিয়। স্বস্থানে প্রস্থান 
করিলেন ও জোষ্ঠ আপন নিয়মান্ সারে ন্বকাধ্যে প্রবৃত্ত হইলেন। 

কথিত আখ্যাঁয়িকাতে যে সিদ্ধান্ত ব্যক্ত হইল তাহার পোষক প্রমাণে 
ব্যাস যাজ্ঞবহ্থ)”শিখরধবজ জনক প্রভৃতি প্রবৃতিব্বধান ও রামদেব ভরত 
শুকদেব প্রসৃতি নিরভ্তি প্রধান জীবনুক্ত পুরুষর্দগের আচার ও ব্যবহার 
উদ্দাহরণ স্বরূপ প্রদর্শিত হইতে পারে। অর্থাৎ প্রবৃত্তি নিরৃতিতে 
জ্বানিদিগের শাস্ত্রে তুলা দর্শন আছে। কথিত কারণে জ্ঞানীর ব্যবহার 
সম্বন্ধে বৈপরীত)জ্ঞান সন্তাবিত নহে আর কাহারও যদি শান্ত্রীয় সংস্কারের 
অভাবে অথব! বুদ্ধির মালিন্ত প্রযুক্ত উক্ত বিষয়ে টৈপরিত্যজ্ঞজান উপস্থিত 
হয় তাহাতে জীবনুক্ত পুরুষের কি ক্ষতি বৃদ্ধি হইতে পারে? কিছুই 
নহে। ফল্লিতার্থলোকে দেহাত্মজ্ঞানে যে প্রকার সন্দেহ বা বিপর্যয় 
রহিত হয় সেইরূপ অধন্দিগ্ধ বা অবিপধ্যন্ত হইয়া! দেহাত্মজানের স্তায় 
দেহাত্মজ্ঞানের বাধক জ্ঞান যাহার আত্মাতে সম্পর্ন হয় সেই ব্যক্তিই 
জ্ঞানী ও নিশ্মগ জীবনুক্ত পুরুষ বলয় উদ্ত। কথিত লক্ষণে লক্ষিত 
জ্ঞানীর ব্যবহারই বিধি-নিষেধ বর্জিত এবং তিনি যুকি ইচ্ছ! না করিলেও 
মুক্ত, ইহাতে সংশয় মাই । 


জীবনুক্ত পুরুষের ব্যবহার সম্বন্ধে ইত্যার্দি।" ২০৯ 


 প্রারন্ধ ভোগের অনস্তর শরীর ত্যাগকালে জ্ঞানীর বিষয়ে কাল 
বিশেষের অপেক্ষা নাই। জ্ঞানীর দেহপাত উত্তরায়ণে হউক *অথবা 
দক্ষিণায়নে হউক তিনি সব্বধা যুক্ত। এইরূপ দেশ বিশেবেরও অপেক্ষা 
নাই, কাশ্যাদি পুণ্যভূমিতে দেহপাত হউক অথবা অত্যন্ত মলিন প্রদেশে 
দেহপাত হউক, জ্ঞানী সব্বথা মুক্ত। আাসন বিশেষেরও অপেক্ষা নাই, 
পদ্ধাসনে, সিদ্ধাসনে, সবাপনে, সাবধানচিত্তে ব্রঙ্গচিন্তন করতঃ দেহপাত হউক, 
অথবা রোগে বাকুলচিত হইয়া অথবা মুচ্ছিত অবস্থাতে চিন্তরহিত হইয়া যে 
প্রকারেই দেহপাত হউক, জ্ঞানী সব্ধথা যুক্ত। যে সময়ে অজ্ঞান নাশক 
তত্বজ্জানের উদয় হয় সেই সময়েই জ্ঞানী মুকজ, সুতর1: জ্ঞানীর বিদেহ 
মোক্ষে দেশকাল আসনাদির অপেক্ষ! নাই। ধেবপ জ্ঞানীর দেহপাতে 
দেশকালাদির অপেক্ষা নাই, সেইরূপ জ্ঞানেক্ধ নামত অবণদিতেও 
দেশকাল মাসনা দর অপেক্ষা নাহ । 

যস্তপি ভীনম্মা্দি নী পুরুষ ছিলেন ও তীম্ম উত্তপ্ারণ ব্যঠীত প্রাণত্যাগ 
করেন নাই, তথাপি ভাম্মাদি অধিকারী পুরুষ ছিলেন। সুতরাং 
উপাসকদিগেপ্ন উপদেশার্থ ভীম্মাধি কাল বিশেষের প্রতাক্ষ! করিয়াছিলেন। 
বশিষ্ট ভীক্মাদ পুরুষগণের অনেক জনা হইয়া থাকে) কারণ, অধিকারী 
পুরুষগণের প্রশ্বর্য্যফলক কন্মের ভাভাবে এক? কল্প পর্যন্ত পরার হয়, 
কলের অন্তবিন! তাহাদের ধদেহমোক্গ হয় না। সুতরা' কল্পের অস্ত 
না হওয়া পর্য্যন্ত তাহারা ইচ্ছ। বলে নানা শরীর গ্রহণ করিয়া থাকেন, 
করিলেও আত্মাতে তাহাদের জগ্ম মরণ ত্রান্তি হয় না বলিয়া! তাহার! 
সধ্বদা জীবধুক্ততাবে অবন্থিতি করেন। আরঁধকারী পুরুধদিগের ব্যবহার 
অন্যের উপদেশ নিমিত্ত হহয়া থাকে । জ্ঞানীর সম্বন্ধে ব্যবহারাদির 
অনিয়ম যাহ! উপরে প্রতিপাদ্দিত হইয়াছে তাহা অধিকরী জ্ঞানীর বিষয়ে 
নহে। অধিকারী জ্ঞানী খ্যতীত মন্য জ্ঞানীর বিষয়ে বাবহাবের কোন 
নিয়ম নাই এবং দেহপাঁত সন্বদ্ধেও দেশকালাদির অপেক্ষা নাই । কিন্তু, 

উক্ত নিয়মের বিপরীত উপাসকদিগেব বিপয়ে দেশকালের অপেক্ষা হইয়! 
থাকে । উত্তম উত্তরায়ণাদি কালে উপাসকের শরীর ত্যাগ হইলে 
উপাসনার ফল হয়। গ্জানীর মরণ সময়ে সাবধান পুর্ধক জ্ঞেয়ের স্ৃতির 
অপেক্ষা নাই) কিন্তু উপাসকের মৃত্যুকালে ধ্যেয়-শ্বরূপের স্মৃতি হওয়! 

২৭ 


২১০ তত্বজ্ঞানামৃত | 


উচিত, হইলে উপাসনার ফল অধিক হয়্। যে ধোয়ের স্বরূপের ( ইষ্টদেবের 
ধ্যান ও চিন্তন বিষয়ে উপাসক পূর্বে 'যত্ব ও আদর সহকারে নিযুক্ত ছিলেন, 
সেই ধ্যেয়ের মরণ সময়ে শ্থতি হইলে উপাসকের উত্তম গতি হয়। এই 
প্রকারে যেরূপ ধোয় বস্তর স্বতি আবশ্তক সেইরূপ ধ্যেয় বস্তুর (ব্রহ্ষের) 
প্রাপ্তি জন্য মার্শের স্থতিও আবগ্তক, কেননা, মার্গ চিন্তনও উপাসনার 
অঙ। জানের হেতু শ্রবণাদিতে দেশকালাদির অপেক্ষা নাই কিন্ত 
ধ্যানে উত্তম দেশ, নিরস্তর কাল, ও পিদ্ধাদি আসনের অপেক্ষা হয়। 
সুতরাং উপাসনার ফল লাভের জন্য মরণ সময়ে কাণ্তাদি উত্তম দেশে 
"ও গঙ্গাদি পুণ্য নর্দীতটে স্থিত তথা শাস্ত্রের বিধানগ্থলারে ধোয়ের চিন্তন, 
ইহা! সকল আবগ্তক হইয়া থাকে । কিন্ত, 

এস্থলে কিঞ্চিং ভেদ 'এই-স্মার্ত উপাসকের বিষয়েই দেশ-কালাদির 
নিয়ম শাস্ত্রে প্রতিপাদিত হইয়াছে। যাহারা ব্রন্ধক্রুতুন্তায় শত্যুক্ত অপ্রতীক 
উপাসনা-যুক্ত অর্থ।ৎ যে সকল্প উপাসকগণ শ্রুতি-গ্রতিণাগ্ধ অহংগ্রহরূপে 
ঈম্বরের ( সগুণ বা নিগুণ ব্রন্গের ) উপাসনাতে প্রবৃত্ত তাহাদের পক্ষে দেশ- 
কালাদির নিয়ম নাই। দিবসে বা রারিতে, দক্ষিণায়নে বা উত্তরাঁয়নে 
পবিজ্রে তৃদিতে ৰা অপবিঞ্র ভূমিতে, যেরূপেই মৃত্যু হউক, প্রদর্শিত উপাসক- 
গণের সর্ধথ! উপাষনর বলে দেবযানমার্ঁদ্বার। ব্রহ্ষলোকে গাত হহুয়। 
থাকে। এই অর্থ হএকার (ব্যাসদেব) ও তাব্যকার (শঙ্করাচার্ধ্য) শাদীরকে 
( বেদান্তদর্শনে ) প্রতিপাদন করিয়াছেন । 

মৃতু হইলে জ্ঞানীর প্রাণ শরীর হইতে স্থানান্তরে গমন করেনা, কিন্তু 
সেই স্থানেই পরমাত্মাতে লীন হয় ও তাহার আত্মাও পরমাআআার স'হত একী- 
তৃত হয়। যগ্ভপি কুটস্থে পরমাত্ম। সহিত সদা অতেদ আছেই, তথাপি 
উপাধিকত ভেদ থাকায় উপাধবু খিলয়ে উপাধিক্ৃত তেদে€ অভাব হয়। 
পরমাখ্া সহিত অভেদের ভাব এই-_-বিদেহমুক্তিতে ঈশ্বরের সহিত অভেদ 
হয়, শুদ্ধ ব্রচ্দের সহিত নহে, এই অর্থ শ'রীরকের চতুর্থ অধ্যায়ে প্রত্তিপা্গিত 
হইয়াছে। সেশ্বলে এই প্রসঙ্গ আছে--জৈমিনিএ মতে বিদেহমুক্তিতে সত্য- 
সন্ল্লাদিরূপের প্রাপ্ত হয়, ওডুলোমি যুনি সত্যসক্বল্লাদির অভাব বলিয়াছেন 
আর ব্যাপদেব বলেন (ইহাই সিদ্ধান্ত মত) সত্যপক্ষঘ্নার্দির তাবও হয়, 
জঅতাবও হয়। এই শেষ মতের অভিপ্রায় এই. 


জীবনুক্ত পুরুষের ব্যবহার সম্বন্ধে ইত্যাদি । হর 


ঈশ্বরের সহিত যে অভেদ তাহাকে বস্ততঃ শুদ্ধের সহিতই অতেদ বলা 
যায়। কারণ, ঈশ্বর পরমার্থতঃ শুদ্ধ, নিগুণ ও অপঙ্গ, কিন্তু ব্যখহারিক 
দৃষ্টিতে সত্যপক্ষল্পাদি গুণসংযুক্ত; অর্থাৎ জীবগণ অজ্ঞান দশায় তাহাকে সত্য- 
সঙ্কর্লাদি গুণবিশিষ্ট বলিয়া বিবেচনা করে। ভাব এইহ--পরমার্থরূপে স্ষি 
নাই, স্বৃতবাং সৃষ্টির ত্রেকালিক অত্যন্তাভাব সন্থেও জজ্ঞানদ্বার৷ শুদ্ধ ব্রচ্গে 
প্রপঞ্চ কল্পিত হওয়ায় তাহাতে সত্যসঙ্কল্পদি গুণও কল্পিত। এইরূপে ব্যব- 
হারিক দৃষ্টিতে শুদ্ধ ব্রন্ধই ঈশ্বপররূপে সত্যস্ক্রাদি গুণবিশিষ্ট পুরুষ বলিয়া 
গ্রসিদ্ধ। কথিত কারণে যেহেতু শুদ্ধব্রন্মই জীবগণের ব্যবহারিক দৃষ্টিতে ঈশ্বর 
বলিয়া পরিচিত, সেইহেতু পারমার্থিকরূপের সহিত ব্যবহা।রকরূপের বিগোধ 
না থাকায় ( অর্থাৎ ব্যবহ'রিক কেখলমাজ্র আরোপ হওয়ায় ) সত্যসঙ্ষ্লাদি 
গুণের ভাবাভাব উভয়ই যুক্তিযুক্ত । এইরূপে ব/াসরাক্যে তাবাভাবের বিরোধ 
নাই। অবধশ্ত এক অধিকরণে ছুই সমসত্তাক পদার্থের তাবাভাব হইলে বিরোধ 
হইত। যগ্পি জীবগণও পরযার্থরূপে অদ্বৈত স্বরূপ, নিগুপ ও শুদ্ধ, তথাপি 
অজ্ঞান কালে তাহাদের অবিগ্ভাকৃত কত্ত ভোক্তৃত্বাদিরূপ সংসার প্রতীঠ হইয়া 
থাকে, ঈশ্বরের তাদৃণ প্রঠীতি নাই, যেহেতু শুদ্ধব্দ্মই সত্যপন্বল্লাদি গুণবিশিষ্ট 
ঈশ্বরবলিয়া জীবনধারা কল্পত। সুতরাং বাস্তবিককল্পে ঈশ্বর সদ অসঙ্গ 
নিগুপ ও শুদ্ধ হওয়ায় ঈশ্বরের সহিত যে অভেদ হয় তাং তত্বতং শুদ্ধরঙ্গের 
সহিতই হয়। পক্ষান্তরে, ঈশ্বরের সহিত অভেদকে শুদ্ধব্রন্ধরূপ স্বীকার না 
করিলে ব্রঙ্দের দহিত ঈশ্বরের তেদ সিদ্ধ হওয়ায়, ঈশ্বরের শুদ্ধব্রন্গের প্রাপ্তি 
কখনই সম্ভব হইবে না। কারণ, ঈশ্বরের সদাপ্রাপ্ত ষে রূপ তাহ। ধখন শুদ্ধ 
নহে তখন ঈশ্বরে সদ। যোক্ষাভাবের আপত্তি হওয়ার জীব হইতেও ঈশ্বর 
অধিক বদ্ধ, ইহ সিদ্ধ হইবে। সুতরাং সিদ্ধান্ত এই ঈশ্বব্পে আবরণ নাই 
এবং আবরণ ন! থাকায় ভ্রান্তিও নাই; উপদেশ ন্ট জ্ঞানেরও অপেক্ষা নাই, 
অতএব নিত্যমুক্ত ; আত মায়া ও মায়ার কার্য স্ব আত্মাতে প্রতীত হয়না 
বলিয়া সদ অসঙ্গ, অতএব শুদ্ধ। এইরূপে ঈশ্বর সহিত অভেদ শুদ্ধ চেতন- 
ক্পই হয়। এই অর্থের পোষক প্রমাণে দৃষ্টান্তও আছে, যথা মঠের 
অন্তর্গত ঘটের নাশ হইলে যেরূপ ঘটাকাশ মঠাকাশে লগ প্রাণ্ড হয় তদ্রপ 
বিদ্বানের শরীর ঈশ্বরক্কত ব্রপ্গাণ্ডে গিলীন হয় আর যেহেতু সমস্ত ব্রন্মাগ ঈশ্বর- 
শরীর ছায়ার অন্ততূতি, সেই হেতু বিদেহমোক্ষে বিদ্বানের আত্মা ্রদ্গাখের 


২১২ তত্বজ্ঞানামৃত। 


বাদেশে গমন করেনা, কিন্তু উল্লিখিত প্রকারে ঈশ্বর সহিতই অতেদ হয় । 
পরস্ত £ঠাকাশ সহিত ঘটাকাশের অভেদ হইলে যেরূপ মঠাকাশ মহাকাশ 
হইতে ভিন্ন ন! হওয়ায় মঠাকাশ সহিত অভেদকে মহাক।শ রূপই বলা যায় 
তদ্রপ বিদ্বানের আত্ম! ঈশ্বরের সহিত একীভূত হইলে, এই অভেদ ঈশ্বর 
শুদ্ধের সহিত অভিন্ন হওয়ায় বাস্তাবকপক্ষে শুদ্ধের সহিতষ্ট একীভূতরূপ হয়। 
প্রদর্শিতর্ূপে বাবহার দৃষ্টিতে ঈশ্বরের প্রার্তি তথ৷ পরমার্থ দৃষ্টিতে শুদ্ধের 
প্রাপ্তি বিদেহমোক্ষে বিঘ্ব/নের হইয়া থাকে, ইহ! বেদান্ত শাস্ত্রের সাম্প্রদায়িক 
যত। 

পক্ষান্তরে, মুক্তির স্বরূপ তির ভিন্ন মতে তিন ভিন্ন রূপে গ্রতিপাদিত 
হইয়াছে । যথা--ছুঃখের অত্যান্ত নিবি হইয়। জড়রূপে আত্মার যে অবস্থান 
তাহা শ্তায বৈশেধিকাতিমত যুক্তির লক্ষণ। সাংখামতে যোগ নিরপেক্ষ, 
মাঞ্জ পুকুষ-প্ররৃতির বিবেকদ্বারা, পুরুষের অসঙ্গ জান হইএ! শজ্ঞ স্বরূপে 
যেস্থিতি তাহাকে মোক্ষ বলে। পাতঞ্জল মতে জড়নর্শের ধন্ম সমাধি- 
দ্বার! পুরুষের স্বরূপে প্রতিফলিত ন! হঈশে পুরুষের স্ব স্বরূপে যেস্থিতি 
তাহাই মুক্তি নামে উত্ত। পুর্ব মীম।ংসা মতে যোক্ষরূপ নিত্য আত্মন্বরূপ 
সখের অন্গীকার নাই, কিপ্ কর্শা জন্ঠ বিষয়-সুখই পুরুষার্থ। সালোকা, 
সাযুঙ্য, সামীপ্য, সারূপ্যাদ্দি মুক্তিবিশেষ পৌরাণিকদ্িগের অভিমত। 
প্রপঞ্চ সহিত আত্মার শৃন্তে বিলগ় হওয়াকে মাধ্যমিক বৌদ্ধেরা মুক্তি 
বলে। অপর বৌদ্ধেরা ধারাবাহী-নির্বিকল্পক (অহং অ€ং ইত্যাকার) জ্ঞানে 
সবিকর্পক (আমিতাদি অভিমানবিশিষ্ট) জ্ঞানের ধিলয়-মবস্থাকে থোক্ষ 
বলে। চার্বাক মতে বিদ্কম(ন শরীরের ধ্বংসই মুক্তি। জৈনমতে কর্্মাইটক 
হইতে বিমুক্ত হইয়া উদ্ধাগামিত্বরূপ স্বভাবের প্রাপ্তি মোক্ষ শখে অতিহিত। 
এইরূপ আধুনিক মতেও মুক্তির স্বরূপে অনেক বিপ্রতিপত্তি আছে। কেহ 
বলে তত্বজ্ঞান জন্মিলে মুক্তি হর্ন, মুক্ত পুরুষে আর জন্ম হয় না, এইরূপে 
বদি সকল জীবই মুক্ত হব; তাহা হইলে সংসার থাকে না, সংসারের উচ্ছেদ 
হয়। কারুপ, নৃতন জীব জন্মে না, কালের অবধি নাই, সুতরাং সংসারের 
উচ্ছেদ অবশ্তন্তাবী। আমদানী না থাকিয়া ক্রমশঃ রপ্তানী থাকিলে তাগার 
দ্বার কতদিন থাকে । শীস্ত্রকারগণ এস্লে দীব অনস্ত বলিয়া সরিয়! পড়িক়্া- 
ছেন, কিন্তু অনস্ত হইলেও যথন নূতন জন্মিবে না অথচ আত্মজ্ঞান দ্বারা একটী 


জীবনুক্ত পুরুষের ব্যবহা বুনে ইত্যাদি"; ২১৩ 


করিয়। কমির। যাইবে তখন কেনই ব! সংসারের উচ্ছেদ না হইবে ।' ফঙ্গ 
কথা-নির্বাণমুক্তি অতীব ছুর্লত, *শুকোমুক্তঃ প্রহ্নাদো না,” উহ। কাহারও 
ঘটিয়াছে কিন! সংশয় স্থল। সাযুদ্জা সালোক্যাদি আপেক্ষিক মুক্তি অসম্ভব 
নহে, তাহাতে পুনরাবৃত্তি আছে। “নস পুনরাবর্তৃতে” এই অপুনরাবৃত্তি 
মুক্তি কোনও কালে কাহারও হইবে, সে তাবে একটী করিয়! কমিয়া অনন্ত 
জীব শেষ হষ্টয়া সংসারের সমূল শিনাশ মহপ্রলয় হইবে, ইহা কেবল 
মনোরথ মাত্র । 

কেহ কেহ বগেন সকলই মুক্ত হইগে মুক্তি দশাতে মুক্ত পুরুষগণের 
জটলা হইবে আর যুক্ত হইয়া! পুনারাতত না হইলে সংপারের উচ্ছেদের 
আপত্তি হইবে, অতএব অপুনর।বৃত্তিরূপ মুক্তি অসম্ভব । 

কোন সম্প্রদায়ের জনৈ৯ আচার্য বলেন, মুক্ি-যোগ্য ও যুক্তি-অযোগ্য 
ভেদে জীব সকল হুষ্ট ভাগে শিভক্ত। প্রথম শেণিষ্ত জীবগণই যুক্তি-যে।গা 
হওয়ায় মোক্ষলাত কবে, দ্বিতীয় শ্রেণিস্থ জনগণ যুক্ত হইবে না, কিন্ত 
সংসারে বিবিধ প্রকারের স্থখই উহাদের প্রাপানীণ । এইরূপ এমতে 
সংসার উচ্ছেদের ঠেতু নাই, অনন্ত দণ্ড তোগের আাপত্তি নাই, মুক্তি প্রদেশে 
জটলার সম্ভাবনা নাই এবং মুক্ত পুরুষগণের পুনবারক্তিরূপ পুনঃ বন্ধনেরও 
আশঙ্কা নাট । 

কাহারও মতে স্বভাব বলে ক্রমশঃ উন্নত হইদ। হইয়া বা শুতক মু 
যোগাদি বলে উন্নত অবস্থ। ঝটিতি প্রাপ্ত হইয়। উন্নতির চরম অবস্থায় পরম 
সুথরূপ মুক্তিবিশেষ লাভ হয়, এঠ সুখ ভোগের অনস্তর মুক্ত পুরুষগণের 
পুনরাবৃত্তি হয়। এইরূপে জীব্গণের সংসার ও যুক্তির প্রবাহ নিরম্তর 
হইতে থাকে বঙিয়। যুক্তি ও সংপাঁর উভয়ই অনুচ্ছেদ গাকে। 

আবার কেহ কেহ বলেন, বর্তমান জীবগণের অভিনব স্বট্টি চিরদিন 
হইয়। থাকে । এইরূপ উন্নত অবস্থ। হইতে অধঃপতন নাই ও সংসার 
নিঃশেষিত হইবারও আশঙ্কা নাই'। 

কোনও অপর দল বলেন, অনন্ত স্বর্গ নরক ভোগের চিরদিন ব্যবস্থা! 
থাকাপ্স ও নূতন নূতন জীবগণের অভিনব সৃষ্টির নিয়ম থাকায় সংসারের 
অন্ত নাই। ইত্যাদি প্রকারে অন্যান্ত কল্পনার হ্যায় মুক্তি-সম্ঘদ্ষেও নানাবিধ 
জল্লান। লোকের আছে। 


১১৪ 





তা না মৃত ] 


কথিত প্রকারে মোক্ষ ও সংসার উভয়শিধ পদার্থের সুখাতিঙ্গষী শ্াক্তিগণ 
পাছে পংসার তন্বজ্ঞানদ্বারা উচ্ছেদ প্রাপ্ত হয়, সেই ভয়ে মুক্তি সন্বন্ধে যে 
অনেক প্রক।র বিপ্রতিপত্তি করেন তাহার কারণ এই যে, সংসার-লোনুপ 
অথচ স্মমনোমত মোক্ষেরও ভক্ত, এইরূপ লোকের আতলাধার অনুরূপ উক্ত 
কল্পন। না হইলে যুক্তি ও সংসার. এছুয়ের মধ্যে একের অন্তাবে উভয়ই (অবশ্য 
তাহাদের বিবেচনায়) অসার ও নারস হওয়ায় উভয়েরই সার্থক বিধ্বস্ত হঠবে। 
সে যাহ! হউক, বেদবাহ সকল মতের অসমীচীনতা ও অধুজততা পূর্ধে সবিস্তারে 
বণিত হইয়াছে, এবং পরে আরও হইবে । স্থৃত11€ শ্রুতি বাধিত হওয়ায় এবং 
যুক্তি অনুভব শূন্য হওয়ায় শ্রদ্ধাযোগা নহে। সংসারের পেষ মাছে কিনা? 
ইহার উত্তর ব্যাসদেব পাতঞ্ল দর্শনের তৈপল্য পাদের ৩২ ও ৩৩ নুজ্রের 
ব্যাখ্যানে প্রদান করিয়াছেন । উক্ত ছুই ক্র সত্রার্থ ও ভাস্তের বঙ্গানুবাদ 
পাঠ সোকর্ষ্যার্থ নিয়ে উদ্ধৃত হইল । 


ততঃ কৃতার্থানাৎ পরিণামক্রম 
নমাপ্তিগু ণানাম ॥ সু ৩২॥ 


তাতপর্য্য। পূর্বক্ত ধশ্মেমেঘসযা ধর উদয় হইলে বুদ্ধরূপে পপ্রিণত সত্ব 
প্রস্ভৃতি গুণত্রয় কৃতার্থ হয় অর্থাৎ পুরুষের ভোগ ও অপবর্গ পম্গাদন করিয়া 
*কৃতরৃত্য হয়, তখন উহাদের পরিণাম ক্রমের সমাপ্তি হয়, উহাদের আর কোনও 
কার্যা হয় না, উহারা আর অবস্থান করিতে পারে না, বিন হইয়। যার ॥ ৩২ ॥ 
অন্থবাদ। সেই ধর্মযেধ সমাধির উদয় হইলে গুণত্রয় কতার্থ অর্থাৎ 
কৃতকৃত্য হয়, তথন তাহাদের পরিণামক্রম (প্রতিক্ষপণে কার্যাজনন ) 
পরিসমাপ্ত হয়, পুরুষের ভোগ ও অপবর্গ (মুক্তি) জন্নাইলে গুণত্রয্জের 
ক্রম অর্থাৎ পরিণাম শেষ হয়, তখন আর সেই পুরুষের (ধাহার ভোগাপবর্ 
জন্মাইয়াছে) নিমিত্ত সেই কার্যয (বুদ্ধি-প্রভৃতি ) রূপে গুণত্রয় একক্ষণও 
অবস্থান করিতে পারে না ॥ ৩২ ॥ 


ক্ষণপ্রতিযোগী পরিণামাপরাস্তমি্রাহ 
ক্রমঃ॥ সূ ৩৩॥ 


তাৎপর্য্য | ক্রম কাহাকে বলে তাহা নিরূপণ করা যাইতেছে, যাহা 


জীবগুক্জ পুরুষের ব্যবহার সম্বন্ধে ইতি ১ ২১৫ 
গল ঙ 
ক্ষণের (অতি সুক্্ম কালতাগের) হর! নিরূপিত হয়, পরিণামের 5 
দেখি] স্থির কর যায় তাহাকে ক্রম বলে ॥ ৩৩ ॥ 
অন্থুবাদ। ক্ষণ অর্থাৎ যাহার বিতাগ হয় না এরূপ কালের সুক্ষ ভাগের 
আনন্তরধ্যকে ( অব্যবধানকে) ক্রম বলে, উহ] বন্ত€ পৃৰ্বধন্মের অপায়ে ধর্মাস্তর 
গ্রহণরূপ পরিণামের অবসান ( শেষ) দ্বার! গৃহীত হঃ, ক্রমিকক্ষণ অন্কৃতব না 
করিয়। নূতন বযক্ত্রর শেষে পুবাণতা লক্ষিত হয় না, অর্থাৎ দীর্ঘকাল পরে নুতন 
বস্ত্র আপনা হইতেই পুরাতন হয়, সেই পুঙাণত। প্রত্যেকক্ষণে সংঘটিত হইয়! 
অবসানে সংকলন বুদ্ধিতে সম্যক অবধারিত হণ । কেবল অনিত্য বস্তুতেই 
নহে, নিত্য পদার্থেও (গুণত্রয় ও পুরুষে) উক্ত ক্রম দেখা যায়। এই 
নিত্যতা ছুই প্রকার, একটী কুটস্থনিত্যতা, অপরুটী পরিণ।মিনিত্যতা । কুটস্থ- 
নিত্যত। অর্থাৎ কার্যাদ্বারাও যাহার অনিত্যত। সম্ভব নাই, উহ পুরুষের ধন্ম, 
পরিণামিনিত্য তা অর্থাৎ যাহাতে শ্বর্ূপের হানি হয় না, অথচ অন্তথাভাব ঘটে 
উহ গুণত্রয়েও অর্থাৎ মূল প্রকৃতির স্বতাব. যেটা পরিণত হইলেও তত্ব অর্থাৎ 
স্বরূপ হানি হয় না তাহাকে নিত্য বলে, গুণরয় ও পুরুষ উভয়েরই স্বরূপ হানি 
হয় না ধলিক়া নিতা বল! যায়, তন্সমধো গুণঞ্জয়ে€ ধণ্য বুদ্ধি প্রভৃতিতে পরিণামে 
অপরাস্ত অর্থাৎ উত্তরা প্ঘ। দ্বারা যে ক্রম গৃহীত হয উঠা লব্ধপধ্যবসান অর্থ(ৎ 
বুদ্ধ ধশ্মের বিনাশ হইপে ক্রমের শেষ হইয়া যায়। নিত্যধর্মী গুণপরক্সেরউক্ত 
ক্রমের পর্য/বসান হয় না, কারণ, সেখানে ক্রমবিশিষ্ট ধনীর বিনাশ নাই। 
কুটস্থনিত্য অর্থাৎ যাহারা কেবল শ্বরূপেই প্রাতটিত ভাদুশ মুক্তপুরুষ সকলের 
শ্বরূপের অস্তিতা অন্ুপাবেই ক্রমের অন্রতব হর, এখন থাকিয়া পরেও থাকিবে 
এই ভাবে ক্রমের জ্ঞান হয়। উক্ত স্থলেও ক্রমের পর্যাবসান নাই? উক্ত পুরুষ 
লে শব্দপৃষ্ঠ অথাৎ শব্দের পশ্চাঘর্তী বিকর্বৃত্তি অস্তি'ক্রয়াকে গ্রহণ করে, 
অর্থাৎ এই আন্ততারপ ধশ্মটী পুরুষের অতিরিক্ত না হইলেও বিকল্পনতি 
অভেগ্ধে তেদ আরোপ করিয়া উহাকে কল্পিত. করে। সম্প্রতি জিজ্ঞাস! 
হইতেছে, স্থিতি ও গতি অর্থ।ৎ স্থষ্টি প্রলয় প্রবাহে গুণজয়ে বর্তমান এই 
সংসারের ক্রমপযাপ্তি হয় ক না? সামান্থতাবে এই প্রশ্নের উত্তর হয় না, 
কেননা, নিশ্চয় করিয়া উত্তর করা যায় একপ প্রশ্ন আছে' যেষন জাত সমস্ত 
অর্থ।ৎ যাহার! জন্সিয়।ছে তাহারা মরিবে কি না? নিশ্চয়ই মরিবে একপ 
উত্তর করা যায়। সকলেই মহ্রিয়] পুনর্বার জন্মিবে কি না? বিভাগ করিয়া 


১১৬ তত্বজ্ঞানামৃত। 


এ কথার উত্তর কর। যা, ধাহার বিবেকখ্যাতি জনিয়াছে তৃষ্ণা! (রাগ) বিহীন 
এরূপ ঝুশিল তত্বদশী' যোগী মরিয়! অর জন্মিবে না, অন্ত সকলেই জন্মিবে। 
এইরূপ মনুষ্য-জন্ম শুভ কি অস্তভ, এন্নূুপ প্রশ্ন হইলে বিভাগ করিল্লাউত্তর 
দেওয়া যায়, প্উজন্ম অপেক্ষা করিয়া মনুষ্য জন্ম শুত, দেব ও ধধিদের অপেক্ষা 
করিয়া শুভ নহে। এই সংসারের শেষ আছে কিনা? এ কথা উত্তর হয় 
না, তবে এইটুকু বলা যায় তত্বদর্শী কুশল খ্যক্তির পক্ষে সংসার ক্রম সমাপ্ত হয়ঃ 
অপরের নহে, এই তাবে অন্থতরের নিশ্চয় করিলে দোষ হয় না, অতএব 
বিভাগ করিয়। উক্ত প্রশ্নের উত্তর করিতে হয় ॥ ৩৩॥ 

উল্লিখিত ছুই শক্রের ভান্ত পাঠে বিদিত হইবেযে সংসারের ক্রম সমাপ্তি 
বিষয়ে ব্যাসদেব বলিয়াছেন যে, উক্ত বিষয়ের উত্তর কর! যায় ন। কি 
বিভাগ করিয়! বল যায় যে, তব্বগর্শী পক্ষে সংসারক্রম সমাপ্ত হয়, অপরের 
পক্ষে নহে। এস্লে লোকের জিজ্ঞাসা হইতে পারে, প্রদশিত ভাবের উত্তর 
প্রদানে ব্যাসদেবের অভিপ্রায় কি? সতা সত্যই কি উক্ত প্রশ্বের “হয়, বা 
হুয় না” এরূপ কোন প্রকার নিশ্য়রূপ উত্তর সম্ভব নহে? অন্ন মনঃনিবেশ 
করিয়। বিচার করিলে প্রতিপন্ন হইবে যে, ব্যাসদেবের মতে এহ সংসার মায়ার 
কার্য, ইন্দ্রজাপ-নির্মিত পদার্থে নায় দৃষ্ট নষ্ট পতাববান্, উহাতে অণুমাক্রও 
সত্যত্বের লেশ নাই, অবিষ্ভা্ারা যেকাল পর্যস্ত তান হয় ততকালহ বিস্তমান 
বলিয়। প্রতীত হয়, পরে তত্বজ্ঞানদ্বারা আবগ্ভার নিবৃত্তি হহলে “কালত্রয়ং 
নান্তি” এইরূপে সংসারের অত্যস্তাভাব নিশ্চিত হয়। অতএব অজ্ঞান কার্ধ 
[মথ্য। পদার্থের আদি অন্ত আছে কিনা? বাতাতৃশ মিথ্য। প্রতীতি সত্ভৃত 
সংলারক্রম সমাপ্ত হইবে কিনা? এ বিষয়ে কোন প্রশ্নের অবকাশ 
নাই খলিয়া উত্তরও সম্ভব নহে। অবশ্ত সংসার সত্য হইলে “তিনকালই 
আছে, কোন কালেই অভাব নাই, কখনই তাহার সমাপ্তি সম্ভব নহে” 
এইরপে প্রশ্নের নিশ্চিতভাবে উত্তর হইতে পারিত। অথবা শশশুঙ্গা দির 
নায় অসত্য হইলে “কোন কালেই নাহ” এই ভাবে প্রশ্রের উত্তর নিশ্চিতরূপে 
বল। যাইতে পারত । |কন্ত যেহেতু এই পারনৃহ্বমান বিশ্ব সদৃসদ্বিলক্ষণরূপ, 
সেই হেতু রজ্জু-সর্পের স্টায় এই মাপ নিশ্চিতরূপে বলা যাইতে পারে 
যে, উহা! মথ্যা, এততিনন অনিব্বচনীয় পদার্থের বিষয়ে অন্য কোন প্রকার 
উত্তর সপ্তব নহে। ঘগ্পি অনির্বচনীয বস্তর কর্মমোগযোগিতা, অন্থকুলত।, 


জীবশুক্ত পুরুষের ব্যবহার সম্বন্ধে ইত্যাদি ২১৭ 


স্থায়িত্বাদিবুদ্ধিহেতু অমুক উত্তষ, অমুক অধম, *অযুক উৎকৃষ্ট, অমুক 
নিকুষ্ট। অমুক সত), অমুক অসত্য, খযুক ইষ্টজনক, অমুক অশ্িষ্টজনক, 
ইত্যাদি প্রকারে বিভাগ ক্রমে একের অন্ত হইতে বিশেষত হওয়ায়, 
শবদি বিষয়ের ব্যবহারধন্বব্ধায় প্রশ্নোতর সঙ্গত হয়, তথাপি উহার 
স্বরূপ বিষয়ে, অস্তি নাস্তি বিষয়ে, ৩থা আরগু পারসম।প্তি বিষয়ে, কোন 
উত্তরই সম্ভব নহে, কারণ স্বরূপে শথারূপা না হওয়ায় প্রশ্নোত্তর উতয়ই 
অবকাশাভাবে অর্থাৎ ইলরাহত হওয়ায় (শথিলমূল আশিচ, খিতাগ ক্রযে 
বা বিভক্তরূপেও মাসিক পদার্থের একের অন্যের অপেক্ষা উত্তমতাদি 
ধন্ম যাহা কিছু বলা যায় তাহা অবিগ্ঞকে আশ্রয় করিগাই বলা যাক 
এখং যাহ! আব্দ্যাকে আশ্রয় করিয়া ধশা যায় তাহা স্বরূপতঃ মিথ্যা 
হইলেও ব্যবহারকাগে অজ্ঞান দশাতে উহা ঠ্যের গ্তায় প্রঙাত হয় 
বালিয়। অন্ুবণতা উপযোধিতাদি অন্ুপারে প্রশ্নের যথাযোগা উত্তর যাহা 
প্রদত্ত হইয়া থাকে তাহ। ব্যবহারিক দুটিতে, পরমার্থ দৃষ্টিতে নহে! এহরূপ 
যদাপি দেশক|লাদিও আনব্বনার় আর অনিব্চনীঞ্ হইলেও লোকের 
অবিচারিত দূছিতে দেশকালের অন্ত নাই অর্থা, অবধি নাই ধলিগা নিশ্চক্ 
আছে, তথাপি দেশকালাদসহিত সমগ্র প্রপঞ্চ স্বানিক দেশকাল।দি 
প্রপঞ্চের হায় মায়ার কাধ্য হওয়ায় যেবপ স্বপদে দেশকালাদির অভাব- 
বিশিষঞ্টে দেশকালের অনস্ততা প্রতীতিহ্তু স্বাপগ্রক প্রপঞ্কও ততৎকালে 
অনস্তাদ ধর্মবশঞ্ট বলিয়া প্রঠীত হয়, তত্রপ ববহারক দেশকালা দরও 
অনস্তত। প্রতাতিহেঠ মায়াকৃত সংসারকে তথ। সংসারের অন্তর্গত পদার্থ 
সকলকে অন্ত । অগ্তরহিত) বল।যায়! অথবা মুখ্য সিগ্কান্তে অধিষ্ঠানের 
প্রাকৃসিদ্ধ ধঙ্মের অধ্যন্ত পদার্থে ষে প্রতীত হয় সেই প্রতীতির বিবক্ষায় মায় 
ও মায়ার কার্য) প্রপঞ্চ তথ। প্রপঞ্চের অন্তর্গত পদ।্ধ সকলকে সমষ্টিরূপে অধি- 
ানগত অনাদি অনন্তা'দ শ্বভাব (বিশিষ্ট ও বিতক্তরূপে উপাধিগত পরিচ্ছিন্ন 
নব্বরত্বাদি ধর্মবিশিইউ বল। যায়। কথিত কারণে জীবেশ্বর ব্রঙ্গের ভেদ-বুদ্ধি তথা 
মায় ও মায়াজস্ট প্রপঞ্চসাহত দেশকালাদির অনন্তবাদি বুদ্ধি এবং প্রপঞ্চান্তর্গত 
পদধার্থাদির নম্বরত্বাকি-বুদ্ধি, ইহা নমস্ত প্রদশিত ভ্রাস্তিরূপ নিমিতবিশি্ট 
হওয়ায় বাক্যের নামময় ও মনের রূপময় ভেদ যে পনমাত্মাতে একাঁসভূত হয় 
ভগ্বিযয়ে তথ! তদ্দাত্রিত জাননিবর্তনীক্ যান্গার ও যাগা-কার্ষের অস্তি নাস্তি 
২ ট 


২১৮ তথজ্জানামৃত। 


বিষয়ে অনিত্য বাহ্‌ মৃরিক্প উপাধির বশে লোক ও তার্কিক উতননেরই চিত্তে 
বেদ সঞ্ত্রদায় রহিত হওয়ায় অনেক গ্রকারের অপার ও অনর্থক যুক্তি প্রমাণাদি 
রহিত করন ও জরান৷ উদ্দিত হইয়! থাকে । বাস্তব কল্পে “ননিরোধোন- 
চোৎপততির্বন্ধো নচ সাধকঃ। নমুযুক্র্ন বৈমুর ইতোষ| পরমার্থতা” | 
ফলিতার্ঘ-হুস্যদীর্ঘাদিরহিত ব্রন্ধ (মায়া) তির অন্ত পদার্থ অহ্থসন্ধান 
কিতে গেলে কুন্জাপি বঞ্জিা পাওয়া যায় না। অতএব মায়া ও মায়া 
জন্য কার্যয-বর্গের অন্ভিরূপ কোন পরমার্থ সত্ত। না থাকা তাহাদের প্রাথম্য 
বা সমাপ্তি বিষয়ক প্রশ্নের কোন স্কুল নাই এবং স্থন না থাকায় উত্তরেরও 
অবকাশ নাই। এই কারণেই ব্যাসদেব সংশারের শেষ আছে কিনা? 
এই প্রশ্ন উত্থাপিত করিয়া বলিয়াছেন যে, উক্ত প্রশ্নের উত্তর হয় না। এন 
সকল হেতুবাদদ্বাা এই সিদ্ধান্ত পরব হয় যে, বাদিগণ যুক্তি বিষয়ে তথা 
সংসারের উচ্ছেদ বিষয়ে যে সকল বিপ্রাতপত্তি কারয়া থাকে তাহা সমস্ত 
অজ্ঞান বিজন্তিত হওয়ায় বকবাদ মাজ। ইতি। 


চতুর্থ এব ॥ 
তৃতীয় পাদ। 


গুরশিষ্ের লক্ষণ ও গুরুভক্তির ফল নিরূপণ । 


এতিতে আছে, 

পরীক্ষয় লোকান্‌ কর্ম চিান্‌ ব্রাঙ্ষণো নিব্বেদ,মাযারস্ত কতঃ কুতেন। 

তত্বিজ্ঞানার্থ সপ্তরু মেবাতগচ্ছেৎ সমিৎপাণিং শ্রোত্রিয়ং ব্রহ্গনিষ্টং ॥ ইতি 

( দ্বিতীয় মুণ্ডকগত প্রথম থণ্ড ১২ মন্ত্র) 

অর্থ-ব্রাহ্মণ করঙ্মোপাক্জিত লোক পরীক্ষা করিয়া অনিত্য জানিয়। 
নির্ি হইবেন, (আনক্তি ত্যাগ করিবেন '। কর্মের দ্বারা মোক্ষ হয় না। 
্রহ্ষজ্ঞান লাভের উদ্দেশে উপায়ন হস্তে বেদ পৰায়ণ ব্রহ্ম গুরুর নিকটে 
যাইবেন। 

মুখ্রূপে নিবৃত্তি-প্রধান ব্রাহ্মণর্দিগের বাণহার হওয়ায় ব্রহ্ষবিদ্বাতে 
তাহাদেরই অধিকার হয়, এই অভিগ্রায়ে এস্কলে শ্রুতিতে “ক্রাঙ্গণ” পদ 
অধিকারী থ্যক্তির বিশেষণরূপে কথিত হইয়াছে । সর্ব শাস্ত্রের জ্ঞাতা 
পুরুষও ব্রদ্গনিষ্ট গুরু ব্যতীত স্বতন্ত্ররূপে ব্রঙ্গজ্জান প্রাপ্তির অভিল|য ন| 
করে, ইহা ভ্ঞাপনার্থ “এব” শবের প্রয়োগ হইয়াছে । “দযিৎপাপি" পদ 
অগর্কবরূপ বিনগ্জের উপলক্ষণ। “শ্রোত্রয়” পদ শমদম দয়া প্রস্থৃতি ও৭ 
সংযুজ ও বেদাধ্যায়ন শণণাদি সম্পন্ন বিশেষণের বোধক | এইরূপ “ত্রদ্মনি্৮ 
পদ সর্ধ কর্ণে কর্তব্যবৃদ্ধি রহিতহইয়। অদ্বৈতত্রদ্ধে নিষ্ঠাবান ব্যজির 
বিশেষণরূপ। কথিত দুই লক্ষণ সংযুক্ত পুরুষই গুরু নামের বাচ্য। এন্লে 
্রহ্মনিষ্ট শব্দের তপোনি্ শবের ন্যায় অর্থ জানিবে। কর্মও আত্মজান 
উভয়ের বিরোধ বশতঃ কন্মনিষ্টের ব্রন্মনিষ্টা সম্ভব নহে বলিগ়। সর্ব কর্ম 
ত্যাগপুর্বক ব্রদ্গে নিষ্ঠা কথিত হইয়্াছে। এলে সর্ব কর্ণ ত্যাগ ক্রিয়া 


ঠ 


২২৪ তত্বক্ঞানামৃত । 


সহিত সর্ব কর্ম ফলের ত্যাগ বুঝায়। অথবা কর্মত্যাগের অভিপ্রায় ক্রিয়ার 
ত্যাগে নহে, কিন্তু অযুক কর্মের অনুষ্ঠানে অমুক ফল হয় এবং তাহা না করায় 
প্রত্যবায়াদি অনর্থের গ্রাপ্তি হয় এই বুদ্ধিপূর্বক কায়িক বাচিক মানসিক 
কর্মের অনুষ্ঠানকে কর্তব্য বলে, উক্ত কর্তবাবুদ্ধির ত্যাগই সর্ব কর্ম 
ত্যাগের অভিপ্রেত। প্রদর্শিত ছুই অর্থই অপিরুদ্ধ। উল্লিখিত শ্রত্যুকত 
মন্ত্রের ভাবএই-অধিকাদী পুরুষ ন্বর্গনবকাদি লোকের ক্মরচয়িতত্ব ও 
ততৎ্কারণে অনিত্যহ তথ। অনেক শ্রমযুক্ত ও অনর্থের সাধনরূপ কন্দের 
পরমপুরুধার্থ প্রাপ্তি বিষয়ে উপযোগিতার অভাব প্রত্যক্ষ অনুমান ও শান্্রাদি 
দ্বারা বিবেচনা করিয়া বৈরাগ্যাবলম্বন করিণে এপণ ক্রহ্মজ্ঞজন লাভার্থ 
অতি নঅ গর্ধরহিত ভাবে গরু সমীপে গমন করিবে । উক্ত গরুর 
লক্ষণ কি? এই আশঙ্কা বলা যাইতেছে, “শ্রেোএর ও. রহ্মনিষ্ট”_ এই 
দুই গুপসৃস্প্ন পুরুষই, গুরু সংক্ঞার ধিকারী হইত. পারে। নচেও নহে । 
কারণ, কেবল শ্রোত্রিয অনা মাও মদী5 বেদে হইলে এপং ব্রঞ্গদশী ন. হইলে 


নি শি কি 


অর্থাৎ ব্রন্মের অপরোক্ষ, সুক্ষাৎকারবপ তত্থদনী_ ন' হইপে তাহাকে গুরু 
বলা যায় না। কেন না না,ঘখন তিন নিছ্ছে অপ্রন্ধণিং নর্থাং ঠাহাবু নিদ্দেতই 
্ঙ্ধ সাঙ্গাৎকার নাই এবং তত্কাবণে মুজি যোগ নহেন, তখন মাএ অধীত 
বেদধার। বারা শিষ্কের বগবুদ্ধি জন্মাহতে তি নী কখনই, শক নহেন। এদিকে, 
শ্রোঙিয় নহেন অপচ মাএ ব্রহ্ষনিষ্ট যে ব্যক্তি তানও গুরুপদের যোগ্য 
নহেন, হেত এই যে, তাদুশ পুরুষ নিজে মুক্ত হইলেও জিজ্ঞান্ুর শঙ্কাপনোদন 
করিতে সমর্থ নহেন। যাঁদও উত্তম সংস্কার সংযুক্ত জিজ্ঞাম্ুর যাহার মনে 
কুতরক বা বৃথা শঙ্কা উদিত হর না ঠাহাণ উপদেশ করিবার যোগ্য হঘেন 
তথাপি সব্ধ সাধারণের ভখদেশ প্রদানের যোথা না হওয়ায় গুরু বা আচার্য্য 
পর্দের উপযুক্ত নহেন। কথিত কারণে অধীতবেদ ও ব্রহ্গজ্ঞানসম্পন্ন এই 
দুই লক্ষণ সংযুক্ত পুরুষ আচার্য বা গুরু পদের যেগ্য এবং উক্ত খণদ্বয় 
সম্পন্ন পুরুষই শিল্কের বুদ্ধিতে যে পঞ্চ প্রকার ভেদ প্রান্তি আছে তাহা নান! 
প্রকার যুক্ত অনুভব ও শাস্তদ্বার ছেদন কাঁরতে সমর্থ। উক্ত পঞ্চবিধ ভেদ 
ঘথ।--১-জীব ঈখরের ভেদ, ২-জীবগণের পরম্পর ভেদ, ও-জীব জড়ের ,ভদ, 
৪ ঈশ্বর জড়ের তেদ, ৫-জড় জড়ের তেদ। ভেদ ভয়ের হেতু, অতএবযে 
পুরুষ ব্রহ্ষদর্শী তণ! উক্ত পঞ্চ প্রকার ছেদত্রম নিরাকরণ করিতে সক্ষম এবং 


গুরুশিষ্যের লক্ষণ ইত্যাদি। ২২৯ 


সর্ব সংসারের -মিধ্যাত্ব স্থাপিত করিয়া অদ্য অমল অর্থাৎ অবিস্তাদি মল 
রহিত ব্রন্দের অপরোক্ষজ্ঞান জম্মাইতে পারক, সেই অদ্ভুত উপদেশ 
প্রদ্দানের কর্তাই আচার্য্য ও গুরুপদ শব্দের অতিধেষ এবং আচার্য্য ও গুরু 
রূপে বরণীয় বন্দনীয় ও পূজনীয় হইবার উপযূক্ত। কেবল আপনি মুগ্ডিত 
হইয়। শিষ্তের মস্তক মুণ্ডন করিতে বা তাহার শিখা। টিকা) কর্তন কাবরতে 
বা কোন সম্প্রদায় বিশেষের [চহ্ছ মাত্রে নিজে অঞ্ষিত হইন। অন্থকে শিষ্য 
করিতে যে বাক্তি পটু সে গুরু নহে। গুরুগীতাতেও গুরুর মাহাত্ম্য এইবূপে 
বণিত হইয়াছে । যথা. 

“গুরুব্র্ধা, গুরুবিষু,। শুকদেকো মহেশ্বরঃ। 

শুরুরেব পরমত্র্গ স্তন্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ”,ইতি। 


আবার কামাখ্যাতন্ত্রে অযোগ্য গুরু বষগে এহ উাজ আছে, 


'“গুকুবোবহবঃ সান্ত, শিল্ বিস্তাপহাবূকঃ। 

দুলতঃ সদগুরুদেবিঃ শিষ্য হতহাপ হারক2। 
সে যাহ হন্টক: উপপ্ে যে শ্রতুযুক্ত গুরুর লক্ষণ কাখত হইল, তাদৃশ শুরু 
বাতীত শুরুকরণই অনর্থরূপ হহম্ন' পড়ে, অর্থাৎ আত্মজ্জানান্বেষণেচ্ছু পক্ষে 
শোত্রিয় ব্রহ্ষনিষ্ট গুণ সম্পর [তিন্ন অগ্চ পুরুষ গুরুরপে শ্বীরুভ, হলে তাহার 
সমস্ত এম বিফলীকত হওয়ায় খিপগীত ভাব ধারণ করিতে পারে । অজ্ঞাত 
তত্বের পথ প্রদর্শক অত ব্রদ্গ সাক্ষাৎকারের হেতু যে ব্যাক্জ তাহাকেই গুরু 
বলা সঙ্গত হয় এবং এতাদৃশ লক্ষণ সংযুক্ত পুরুষই গুরু সংজ্ঞায় সংঁজ্ঞত হইতে 
পারে, অন্যে নহে । কারণ, শিষ্তের বর্গ সাক্ষাৎকার না করাইতে পারিলে 
গুরু লক্ষণটা ব্যাহত হওয়ায় ফল-বিপর্যযাসের জনক তয়! যগ্প শিদ়্ের 
যোগ্যতা অযোগাতান্থুসারে ফলের তারতম্য হয় অর্থাৎ শস্য অযোগ্য হইলে 
ফল-লাভে অনেক বিলম্ব হয় তথাপি শিষ্ের যোগ্যতা স্থলে ব্রহ্ম গুরু 
প্রযুখাৎ শ্রবণা্ি দ্বার! বিদ্যা শীপ্ই ফলবতী হইঞ্সা ব্রহ্ম সাক্ষাৎকারে পরিণত 
হয়, অত্যল্পও বিলম্ব হয় ন1। পূর্ব গ্রন্থে অধিকারী সম্বন্ধে যে লক্ষণ প্রতিপাদিত 
হইয়াছে তাহাই শিল্কতের লক্ষণ জানিবে, অর্থাৎ সাধন চতুষ্টগ সম্প্ ব্রচ্ম- 
জ্জানার্থাী জিজ্ঞান্ুই যোগা শিষ্য বলিয়া গণা এবং এতাদূশ শিয্ের পক্ষেই 
বেদপরায়ণ ব্রহ্মজ্ঞ গুরুর উপদেশ শীঘ্র কার্যকরী হয়, অন্যথা শিল্ক অনধিকৃত 


২২২ তত্বজ্ঞানামৃত । 


হইলে বিবেক বৈরাগ্যাদ্দি সাধন সম্পভির অভাবে তাহার পক্ষে পথ্যক্‌ 
কলের লাভ সুকঠিন হইয়! পড়ে । 

গুরুর প্রতি ঈশ্বরহইতেও অধিক ভক্তি হওয়া উচিত, কারণ। সর্ব শাস্ত্রে 
বিশারদ পুরুষেরও গুরোপদেশ বাভীত জ্ঞানলাভের সুস্তাবন! নাই। গুরু 
বাতিরেকে বেদরূগী : সমুদ্র লবণক্ষাররূপ জানিবে তাহাতে ঠ অমুতরূপী ফ ফল লাভ 
ন! হইয়া] বিষরূপ খেদই প্রাপ্ত হইয়া থাকে। যেমন সমুদ্রের জল নিজে 
আনিয়! বা অন্ঠের ঘারা আনাইয়া পান করিলে জলে কেবল ক্ষারত। অনুভূত 
হওয়ায় ক্লেশই তাহার ফল হয়, তদ্রপ স্ববুদ্ধিত্বারা অথব। বেদার্থে মোহিত 
অধ্যাপকত্বারা অর্থাৎ ভেদবাদী শিক্ষকত্বারা বেদ পঠিত হইলে শেদরূপী 
ক্ষাবের অন্গতবদারা নিরন্তর ছন্ম মরণরূপ অনর্থ ই সঙ্ঘটন হইয়] থাকে । এই 
কারণেই বুদ্ধিমান পুরাতম ও নবীন আচার্ধগণের মধ্য অনেকে বেদার্থ 
বিচার করিয়াও বেদজ্ঞ গুরু সম্প্রদ(য়ের উপদেশাভাবে বেদের যথার্থ মর্দে 
যোছিত হইয়া ভেদ্বাদরূপ ক্ষারুই মন্তুতর বখিয়াছিপেন ও করিতেছেন । 
যগ্তপি ইহারা স্ববুদ্ধিদ্বাধা বা আপন আপন গুরুদ্বারাই বেদার্থ বিচার করিয়াছেন 
এবং তদন্ছরূপ স্ব স্ব গ্র্থে বেদের ব.খাও করিয়াছেন, তথাপি তদায় গুরুগণ 
কেবল অধ্যাপক ছুলেন। শ্রুতি সম্মত পক্ষণবিশিষ্ট গুরু ছিলেন না। 
কারণ, জীব ব্রর্দির একঠার উপদেশ কণ্ভাহ গুরু বলিষ। বেদে প্রদিদ্ধ, 
ইহা ইতঃপূর্ধরে গুরুলক্ষণ নিরূপথে প্রতিপাদিত হইয়াছে, অতএব 
যেরূপ উক্ত আচার্্যগণ যোগ্যগুরুদ্বারা বেদার্থ ধিচার না করায় ভেদে 
অভিনিবেশ পৃব্বক বেদরূপী সমুদ্রে কেবল ক্ষারঃ আস্বাদন করিয়াছেন, 
তদ্রপ যে কেহ পুৰব্োল্লিখিত পলক্ষণবিশিষ্ট গুরুধিন! স্ববুদ্ধিঘ্বার! অথব। 
ভেদবাদী পুরুধদ্বারা বেদর্থ বিচার করে, মে বাক্তি তেদরূপী ক্ষার 
অন্তব করতঃ অনুক্ষণ জন্মমরণরূপ ক্লেখহ প্রাপ্ত হয়! পক্ষান্তরে, 
ব্রঙ্গবৎ গ্রকুত্বারা বেদ পটিত বা আত হইলে, ইহা! অমূতের ভ্ায় নিরতিশয় 
আনন্দ লাভের হেতু হয়। যেমন সমুদ্রের জল ক্ষাররূপ প্রতীত হইলেও 
মেঘদ্বারা বাম্পরূপে আকধিত হইয়া! বর্ধারূপে পরিণত হইলে সেই জল 
মধুর রসবিশিষ্ট হয়, তদ্জরপ সমুদ্রস্থানীবেদের অর্থরূপী জল স্ববুদ্ধিত্বারা গৃহীত 
হওয়ায় ক্ষাররূপ প্রতীত হইলেও যেঘস্থানী ত্রঙ্গজ্ঞ গুরুত্বার প্রাপ্ত হইয়া 
আস্বাদিত হইলে তাহাই আবার মমৃতরূপে পরিণত হইয়া! পরমানন্দের হেতু 


গুরুশিষ্যের লক্ষণ ইত্যাদি। , ২২৩ 


হয়। কেননা, অজ্ঞানী পুরুব মশক বা রা সমান, কাজেই অজ্ঞানী 
পুরুষদ্বারা বেদরূপী সমুদ্রহইচে অর্থরূপী জলের গ্রহণ হইলে উহ] ক্ষাঁররূপই 
হইবে, সুতরাং বিপক্ষণ মানন্দের অজনক হহবে। কিন্তু ইহার বিপরীত 
মেঘস্থানী শ্রোত্রিয় ব্রঙ্মবিৎ আাশার্ধ; খা গুরু দ্বাঃ। গৃহীত হইলে মধুর রসে 
পারণত সেই বেদার্থরূপী গল মহ সুখের আম্পদ হইবে। আর এদিকে 
অন্ধকারী অর্থাৎ শান্ত ও পম্ম সংস্কারবাহত বিষয়াসত্ত পুরুষদিগকে বেদের 
উপদেশও, সর্প মুখে গগ্জের বিষবৎ পরিণামের গার, ঘোর অনর্থরূপ হইয়া 
থাকে । অতএব অজ্ঞানীর [নঙ্গ মাখচা'র5 বুদ্ধি গৃহীত, অথবা ভেদবাদী 
পুরুষ বা অধ্যাপকদ্বারা উপপিষ্ট, যদ্ব! অনারধকারে অপিত বেদার্থরূপী অমৃত 
বিষরূণ পরিণ।ম প্রাপ্ত হইয়। মহা। আনষ্টেব্ জনক হয়। কাথত কারণে সর্প- 
স্থান] অরুত শিন্ তথ। ঘটস্তান। অজ্ঞানী ও ভেদবাধী অধ্যাপক উভয় বেদার্থ 
বচারে অসমর্থ । সুতরাং যেঘস্তানী ভান গুরুর শরণাগত,হইয়। কৃতকর্শা 
শি্ুপ্ধাগা বেদার্থ বিচারিত হহলে শ্রম সার্থক হয়, বিদ্ক। ফলবতী হয়, 
মোহাম্ককাপ বিদুরিত হয় ও জ্ঞ|নদ্বর। অচিরাৎ্ পরমানন্দ পদ লাভ হয়| 
এস্লে এই শন্ধ। হইতে পারে, "ব্রদ্ষবেষ্তা পুক্ুষদ্বারা বেদের পাঠ 
বা বেদ গ্রুত হইলে জ্ঞান হয়” এহ লাকান্বারা স্বতি পুরাণাদি 
শাস্ের প্রামাণ্য অস্তগত হয় তথা ভাষা পা অনান্য সংস্কৃত গ্রন্থও 
সার্থক্যরহিত হওয়ায় নিশ্ষল হইয়া যায় । যাহারা সংস্কৃত ভাষায় 
অনভিজ্ঞ তাহাদের বেদ পাঠে যোগ্যতা ন। থাকায় অথবা যাহারা 
যজ্জোপবীত|দি সংস্কারহান তাহাদের বেদ পাঠে আধকার না থাকা 
এই সকল জনগণের পঞ্ষে জ্ঞানের প্রাপ্তি কোন কালেই সম্ভব নহে। 
কেননা, অধীতবেদ ন| হহলে জ্ঞানী হওয়। যায় ন। বলিয়া খবি মুগ্াদি প্রণীত 
শ্বতিপুরাণাদি শাস্ত্র তথ! ভাষাগ্রন্থ সমস্তই নিপ্রয়োজন হওয়ায় ব্যর্থ হয়। এই 
আশঙ্কা! যোগ্য নহে, কেননা “'ব্রহ্মবেত্ত। ব্রঙ্গরূপ হয়েন” হৃহ। শতিতে প্রসিদ্ধ । 
স্থতরাং ব্রহ্মবেতার বাণী বেধরূপ হওয়ায়, উক্ত বাণী সংস্কৃতরূপ হউক অথবা 
দেশ ভাবাকধপ হউক)সব্বথা তেদ ভ্রমর নিবর্তক | যদি বল,বেদবচন তিন জান 
সন্তব নহে, সত্য, কিন্তু ইহা একাস্তিক নহে, কেননা, বেদের সমানার্থ- 
বাচী গ্রন্থঘারাও জ্ঞানলাত সম্ভব হয়। যেমন আমুর্বেদোক্ত রোগনিদান ও 
$ধধ ইহা সকলের ভ্তান যেরূপ অন্যান) সংঙ্কত গ্র্থীদিঘারা অথবা 


২৪৪ তথ্জ্ঞানামূত। 


পারসী ইংরাজী গ্র্থাদিদ্ব।পা হইয়া থাকে, তন্রপ সব্ধ বস্তর আত্মা 'যে 
ব্রহ্ম তাহার জ্ঞানও বেদের সমানার্থবাচী ভাবাগ্রন্থ বা অন্যান্য সংদ্কত 
্রন্থাদি দ্বারাও সম্ভব ম। কথিত কারণে সর্বজ্ঞ খবিমুন্যা।দ বিরাঁচত স্বত 
পুরাণ হতহাস প্রন্থৃতি গ্রন্থে ব্রহ্বিষ্তার প্রকরণ থাকায় আত্মস্বরূপ 
গ্রতিপাদক বাক্যদ্বার জানের প্রাপ্ত অসম্তাবিত নহে। অতএব এ 
[বধয়ে এরূপ চান নিপনম পা আগ্রৎ নাই যে, উক্ত আত্মপ্রতিপাদক 
বাক্য সকল সম্কত বণীরূপই হওয়া উচিত, দেশতাষারপ নহে, কেনন।, 
বেদের সমানার্থবাচী বাক্য ভাষারূপ গঙক অথবা সংস্কতরূপ হউক তদ্দার! 
জ্ঞান অবশ্যহ হইবে। 

জিজ্ঞানুবিষয়ে ব্র্ষবেস্তা আচারের সেবা অতীব প্রয়োজনীয়, কারণ 
সেবাদ্বারা আচাষের প্রশ্নত। প্রতাবে ব্রক্ধাবগ্কার প্রাপ্তি ঝটিতি হয়। 
অপচ, আচার্যের সেবা ঈশ্বরের ঘেবা হহতেও আরঁধক ফলগ্রদ, কারণ, 
ঈশ্বরের সেবা কেবল অনৃষ্ট্চলের হেতু, কিন্ত আচার়োর সে অনুষ্ট ও 
তষ্ট উভ্যবিধ ফঝের হেতু। যে ধস্ত ধন্মাধর্মের উৎপত্তি দ্বারা ফলের 
সম্পাদক হয় তাহাকে “অবৃ্টফপের হেভু” বলে। ধন্মাধম্মের উত্পত্তিবিনা 
সাক্ষাৎ ফলের হেতু হইলে ''ৃষ্টফলের হেতু” বলা যায়। ঈশ্বপ্রেগ যে 
সেবা তাহা ধন্দমের উৎপত্তি বারা পরলোকের ভোগ ও অন্তঃকরণের শ্ুদ্গিরূপ 
ফলের জনক হুরয়য় অনুষ্ট ফলের হেতু । কিন্তু আচার্য্ের সেবা একদিকে 
ধঙ্নের উত্পতিদ্বারা অনৃষ্ফলের হেতু ও অগ্ঠদিকে ধন্মের অপেক্ষা 
বাতিরেকেও, মান্জ মাচার্য্যর প্রস্তাজনিত উপদেশদ্বারা ক্রঙ্গবিগ্তার 
লাভ সিদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টকলের হেতু। কথিতরূপে আচার্য্ের সেখা দৃষ্টাদৃষ্ 
উওন্ন প্রকার ফণের হেতু হওয়ায় তথ! দৃষ্ট অদৃষ্ঠ হইতে শ্রেষ্ঠ ও 
উত্রুষ্ট হওয়ায় ঈশ্বরের সেবা হইতেও উত্তম । সুতরাং জিজ্ঞানু পক্ষে 
আচার সেব। সর্ব প্রকারে বিধেয় | 
কথিত কারণে-শিষ্ত গুরু প্রাণ্ত হইলে অতি নগ্রভাবে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম 
পূর্বক গুরুর পবিৎ চরণ কমলের রঞঃ আপন মন্তকে ধারণ করিবে। 
জিজ্ঞাসা উৎকট হইলে গুরুর সমীপে খাস করতঃ তন মন ধন বাণী 
অর্পণ পুত্বক [নরন্তর তাহার সেবাতে নিযুক্ত থাকিবে । তনার্পণ পদ 
গুরুর জাত্তা প্রাতপালনের উপলক্ষণ। ঘমনার্পধের এ্রকার এই--ঈষরের 


গুরুশিষ্টের লক্ষণ ইত্যাদি । ৃ ২২৫ 


ব্যায় বা ঈশ্বর হইতেও অধিক গুরুর প্রতি ভক্তি করা উচিত, শগ্দেও 
গুরুর প্রতি দোষ দৃষ্টি করিবে না. তাহাকে হরি হররূপ জানি াহার 
মৃত্তি সবধদা হৃদয়ে স্থাপিত কারিবে ইত্যাদি । পত্রী, পুঞ্জ, ভূমি, পঞ্ত, 
দাস, দাসী, গৃহ, ত্রীহি, প্রস্থৃতি অর্পণ বধনার্পণ পদ্দের বাচয। গৃহস্থ গুরু 
হইলে উক্ত সমস্তই গুরুকে অর্পণ করা উচিত, অর্থাৎ উক্ত সকল 
পদার্থে স্বার্থ ত্যাগ করিয়। সমস্ত গুরুরই বলিয়া মান্ত কগিবে। গুরু 
বিরক্ত ও তাগী হইলে টক্ত সমুদায় পরিত্যাগ করিয়া গুরু শরণাগত 
হইবে, কারণ গুরু নিজে ত্যাগী হওয়ায় উক্ত দ্রব্যাদিতে তাহার প্রয়োজন 
নাই। সুতরাং তাহার প্রসন্নতা লাভের জগ্ঠ সব্ব ধনের ত্যাগই ধনার্পণ 
শব্দে অভিহিত হয়। উভয় পক্ষে সমস্ত ধন অপ্পনে? যে কথন তাহা 
বৈরাগোর সুচক। যদি বল, গৃহস্থ ব্রচ্ষবিষ্যার, আচাধ্য হইতে পারে না. 
একথ। আশঙ্কার যোগা নহে, কারণ, শানে মাছে, যাজ্ঞবন্্য উদ্দালক 
প্রভৃতি অনেক গৃহস্থ ব্রঙ্গবিদ্ভার আচার্য ছিলেন, সুতরাং গৃহস্থ আমার্য্যও 
সম্ভব হয়। গুরুর সব্বদা গুণ গ।ন করাকে বাণা অর্পণ বলা যায়। এইরূপ 
যে পুরুষ আপনার কল্যাণের আাকাঞ্ষা দে ক্থত বীত্ানুসারে 
তনারদ্দি অর্পণ করিয়া গুরুকুলে ব। পমীপে বাস করতঃ তিক্ষার্থার! 
দিনপাত করিবে । অর্থাৎ ভিক্ষাদ্|রা যাহ। প্রাপ্ত হইবে তাহ। সর্বাগ্রে 
গুরুকে নিবেদন ও অর্পণ করিবে, নিগ্রে তোজনের নত প্রার্থনা করিবে 
না, কিন্তু গুরু যাহা কিছু রূপা করিয়া প্রদান করিবেন তাহাই ভোজন 
কাঁপবে । একদিনে দ্বিতায়বার সেই গ্রামে ভিক্ষা যাচনা করিবে না। যদি 
গুরু শিষ্কের শ্রঞ্ধ। পরিক্ষার নি্মিন্ত কোন দিন কিছুই নাখাইতে দেন তাহাও 
সস্তোষ পূর্বক সহ কারবে, অর্থাৎ শিষ্য সব্দদ] গুরু সমীপে সহ্চিত্ত ও সহন- 
শীল ন্বতাবযুক্ত হইগ্া থাকিবে । এইন্রপ বাবহারের কিম্ৎকাল পরে শিল্প 
গুরুর অবকাশ ও প্রপনন বদন দেখিয়! অতিনমভাধে করকঙ্গোড় করিয়। গুরুকে 
এই বলিয়া জিজ্ঞাসা করিবে “হে তগবন্‌ এ দাসের কিছু প্রষ্টব্য আছে” আর 
যদি গুরু আজ্ঞা দেন তবে প্রশ্ন করিবে । এইরূপ শাস্ত্রাহুসারে প্রাপ্ত ব। 
সমীপন্থিত গর্বাদি দোবরহিত শান্তচি্ব ও বিরক্তচিত্ত শিষ্তকে গুরু যে 
পরাবিগ্ভারপ বিজ্ঞানদ্ধার। অত্যন্ত গম্ভীর বাক্য মনের অগোচর পরক্রঙ্গের 
জ্ঞান হইটত পারে সেই ক্রচ্ষবিহ্া উপদেশ করিবেন। 
২৯ 


২২ তত্বজ্ঞানামৃত। 
চিৎ জল্মান্তরীয়' উত্তম কর্শের প্রভাবে তনার্পণাদি সেবাবিনাও 
গুরু শুবরংই রুপা করিয়া আঁধকারী বিশেষকে ব্রশ্গজ্ঞান উপদেশ করিয়া 
থাকেন। এরপেও শুদ্ধ অধিকারীর কঙ্যাণ হইয়। থাকে, কারণ, গুরু 
সেবার ছুই ফল, একটী গুরুর গ্রসন্নতা লাভ ও দ্বিতীয়টী অস্তরঃকরণের 
শুদ্ধি, এ উভয়ই পূর্ব জন্মের পুণা সংস্কারদ্বারা উক্ত অধিকারীর পিদ্ধ। 
শ্রতি সং আত্মার হুর্বোধ)তা তথা গুরু শিল্পের হূর্লভত। নিয়োক্ত মঞন্করে 
বর্ণন করিয়াছেন। তথাহি 

শ্রবণায়াপি বন্তভির্মো ন লভ্যঃ, স্বম্বস্তোইপি বহবো যর বিছুঃ। 

আশর্ষে। বন্তা কুশলোহস্য লব্ধা, আশ্চর্য্যোঙ্জাতা কুশালান্ুশিষ্ঠঃ ॥ ইতি । 

( কঠোপনিষদ প্রথয়াধ্যায়গত দ্বিতীয় বল্পী ৭ মন্ত্র 

অর্থযিনি শ্রবণেও' বহু লোকের লভ্য নহেম অর্থাৎ যাহার শরণ 
নিতান্ত ছুগ্ধর ও সকলের সাধ্যায়ত্ত নহে, শুনিলেও ধাহাকে বন্ধ লোকে 
জানিতে পারে না অর্থাৎ শ্রবণফল আজান নকলের পক্ষে সুলভ 
নহে, এই আত্মার বক্তা ( উপদেষ্টা) আশ্চর্য এবং ভীহাকে পায় বালাভ 
করে) এরূপ লোকও আশ্চর্যা ( কদাচিৎ কোন ব্যক্তি )। অধিক কি বলিব, 
তাহাকে বুঝায় এমন আচার্য্য ও আশ্চর্য্য ! ছুর্লত ) এবং তদ্বিষয়ক শাস্তরান্্যায়ী 
অপরোক্ষজ্ঞান লাত কৰে এক শিল্ক বা শ্রোতাও জাশ্চর্যা অর্থাৎ হুর্লত। 

সব্বশেষে এইমাত্র বক্তব্য, উপরে ষে গুরুর লক্ষণ প্রদর্শিত হইল তাহা 
রক্ষজ্ঞন অধিকারে কথিভ, সুতরাং উহ! ব্রহ্দোপদেষ্টা সদৃগুরুত লক্ষণ, 
মঞ্তদাত| গুরুর লক্ষণ নহে। মন্ত্রোপদেষ্ট। অর্থাৎ ধিনি তন্ত্রশাস্ত্রোক্ত 
| ক্বীতিতে মন্ত্র প্রদান করেন তিনি তন্বদর্শাঁ বা শান্তর বা বেদ হউন বা না 
হউন তাহার গুরুত্ব কেবল যে সে কোন এক মন্ত্র প্রদানে অথবা তাহার কার্য 
কেবল তন্ত্রশান্ত্রের প্রণালীতে কুলের নীর্জমন্ত্র প্রদানে পরিসমাণ্তী, সুতরাং 
তিনি কুপগুরু, জাদিনংজ্ঞায় সংজ্সিত, এ প্রকরণের পিষয় নহেন। ইতি । 


চতুর্থ খত | 
চতুর্থ পাদ। 


উপসংহার | 


উপসংহারে আধিক কিছু বলিবার নাই, বক্তব্য বিষয় সমস্ত পূর্ব সবি- 
্তারে প্রদর্শিত হইয়াছে। অর্থ/ৎ ীবেশর জগৎ সন্ধে তকথটিত প্রায়সঃ মক্ল 
কথাই বল! হইয়াছে এবং সেই শবসরে ইহাও বলা হইয়াছে যে, জগৎ- 
কারণ ঈশ্বর ও ধর্শাধন্্থ এই দুই ত% স্থা মানববুদ্ধিব অবিষয়, স্বৃতরাং 
ত্ঘবয়ে কোন সিদ্ধান্তই সুষ্কতর্কে বা কল্পনাতে আরোহিত হইবার নহে। 
কথিত কারণে চিন্তা ও যুজির অতীত বস্ত বিষয়ে পক্ষপাতী হওয়া গ্ঞাধা 
নহে, পক্ষপাতী হইলে তন নিষ্ধারিত হয় না, সৎসিদ্ধান্ত স্থিরীরূত হয় না। 
অতএব সদ্ধিচারুদ্বারা বুদ্ধিকে সৎ্পথগামী করা] উচিত এবং তর্ক মাত্র অবলম্বন 
করিয়া অচিন্তনায় বস্ত্র বিরুদ্ধে উগ্ভম সব্ধথ। পরিশ্যাগ করা বিধেয়। তংপ্রতি 
ক্বেতু এইযে, লোক নকণ নিজ বুদ্ধির সাহায্যে অতীন্ত্রিয় বস্ত বিষয়ে যে সকল 
তর্কের কল্পসা করে, উদ্ভাবন করে, সে মকল তর্ক প্রতিঠিত হইবার নহে, ইহা 
ব্যাসের “তর্কা প্রতিষ্ঠানাদি” সুত্রে প্রতিপারদিত হইয়াছে। মানববুদ্ধির বিচিন্তত। 
নিবন্ধন কল্পনার কোন সামা নাই, অবধি নাই, যে যে পরিমাণে বুঝে সে মেই 
পরিমাণে কল্পনা করে। এই কারণেই গণ ঈশ্বর, জীব, কর্মু। ও মুক্তি সম্বন্ধে 
লোকের নানাবিধ বুদ্ধিপারকল্পিত বিপ্রাতপত্বি, কলহ্‌, বিবাদ, কল্পনা, ও 
বিভণ। হইয়া থাকে আর এই সকল বিতগাদিরপ বাগাড়তরঘারা স্ব শ্ব 
মতের পোষকতাজন্ধ ও পরগক্ষের খগুনদ্গন্য বন্ধ অযথ। যত্বও হইয়া 
থাচক। বলা বহুল, ইহা সকল হইবারই কথা, কারণ, যখন ইঞ্জিয়গোচরু 
সামান্ত স্কুল বাবহারোপযোগী শবাদি বিষয়ে কোন স্থলে মন্ধুয় সিদ্ধান্তের 
স্বিরতা বা একমত্য ন|ই তখন বুদ্ধ্যাদি অগমা তবলান-রহন্ত সম্বন্ধে তথা 


২২৮ তত্বজ্ঞানামৃত। 


র্মাধর্ম সত্বন্ধে মানববুদ্ধি পরিকল্পিত নিদ্ধান্তের একরূপতা ব! যথার্থ জানোৎ- 
পাঙ্দনের জনকতা স্বপ্নেও কল্পনা করা যাইতে পারে না। পক্ষান্তরে, 
এই পবিঞ্জ সুরক্ষিত বিশ্বর।ঞ্জোর এরূপ নিয়মও হইতে পারে না ষে, জীবগণ 
কঙ্্যাণ লাভের উপায়াভাবে অজ্ঞানে সদা আচ্ছন্ন থাকিয়। নিরন্তর সংসারা- 
নলে দগ্ধ হইতে থাকে। কথিত কারণে জাবের কল্াণার্থ অজ্ঞাত- 
তথ্ষের প্রকাশক সর্দা একএপরূপ কোন একটী মোহ প্রমাদাি 
বজ্জিত অপৌরুষের শাস্সের প্রয়োঙ্গন হয় এবং এই প্রয়োঞ্জনের উপপত্তি 
হইলে ভূমণ্ডলে যতগুলি শাস্ত্র প্রচলিত আছে তন্মধ্যে বিচার দৃষ্টিতে 
একমান্রে বেদই উত্ত পক্ষণাক্রান্ত শাস্ত্র বালয়। মান্ত করিতে হুইবে, কেনন!, 
শাস্ত্রের সমস্ত লক্ষণ বেদেই পরিলক্ষিত তষ, হহ! পুর্বে যুক্তিবলে স্থিরীকৃত 
হইয়াছে । বেদভিন আন্ত শান্ের শ্বর-মর্যাদ। সব্ব প্রমাণ বাধিত, 
অর্থাৎ বেদ পরিত্যাগ ক্রিয়া কাস্মন কাঁপে কেহ অতীক্দিয় বস্তর জ্ঞান 
লাভ করিতে সক্ষম নহে, অতান্ট্রিয় বস্ত্র জ্ঞানলাতের গগ্ঠ প্রমাণভূত 
বেদই পরম উপায়। জীবেশ্বর জগত সম্বন্ধীয় হস্থানুসম্ধান মানব বুদ্ধির 
আয়ত্বাধীন নহে ধলিয়। তাদ্বষয়ে ফু বৃথা এই বালরা উপেক্ষা করাও 
ভান্যাযা | কারণ. তর্ারা কেধলমাত্র মনের ছুব্লপঠাহ প্রকাশ পায় এবং 
এই হুর্বলতা! জ্ঞান সাধনের, সংসোধনের, মাজ্জনের ও পরিবর্ধনের প্রবল 
শত হওয়ায় সববদা বর্দনীয়। আর্মি কে? আমাৰ স্বন্পকি? কোথ! 
হইতে আসিয়াছি? কোথাঘ় খাইব? সৃষ্টি কেন? জগংই বাকি?! 
মুক্তি কি? দুঃখের উচ্ছেদ কিরপে সম্ভব! ঠত্যাদি প্রকার বহু বিধ 
প্রশ্ন চিন্তাশীল মানবগণের চিত্তে সততই উদ্তি হইয়া থাকে এবং ইহা সকল 
উদ্দিত হইলে জ্ঞানান্ুশীলনে প্রবৃত্তি জন্মে ও পক্ষপাতাদিবহিত হইয়। দু 
এ্রতিজ্ঞতাবে সর্বদা অন্ুসন্ধানাত্মিকা বুদ্ধিদ্বারা বিচারে রত থাকিলে ইহ! 
অনায়াসে প্রতিপন্ন হইতে পারে যে, উক্ত সকঙ্গ বিষয় কেবল মার শাস্ু 
গম্য, মনুষ্ত বুদ্ধির অবিষয়। এইরূপে সদৃগুরু ও সংশান্ত্রাদি সহকৃত বিচারে 
প্রবৃতমান ব্যক্তির উল্লিখিত সকল আশঙ্ক। ও ততসৃশ অন্ঠান্ত আশঙ্কা সমূলে 
নিরাকৃত হইয়। সর্ধান্থপন্ধানের মূলভিত্তি যে আত্মান্বেষণেচ্ছ। তদ্দিষয়ে তাহার 
আসক্তি জন্মে আর এই আসক্তি যথা সময়ে অপরোক্ষ ব্রহ্গপাক্ষাৎকারে 
পরিণত হুইয়! সর্বাকাঞ্ষা নিবৃন্ত করে। অতএব তত্বাধগাহী জানের 


উপসংহার। ২২৯ 


প্রাপ্তিনন্ত গত্যন্তথের অভাবে শ্রেষ্ঠকামী পুরুষের পক্ষপাত রহিত হইয়া 
বেদের আশ্রয়, বেদ মূলক শাস্্রের আশ্রয় তথা শ্রোতরিয় ব্রহ্গদরশ গুরুর 
আদেশ ও উপদেশ গ্রহণ করা উচিত। বেদের সমুদয় সিদ্ধান্ত এরূপ তর্ক 
যুজ্যাদিরূপ পরাক্রান্ত দুর্গ দারা সংরক্ষিত যে দাস্তিক তার্কিকগণেরও উহ। 
ছুর্ভেগ্ত ও ছুরাক্রম্য। এইরূপে যগ্কপি শিষ্টগণের নিকটে একমাত্র বেদই 
এউশগুণসম্পর বলিয়া গণ, তথাপি বেদবাহ্ধ অপর সকল শান্তও সারগ্রাহী 
দৃষ্টিতে নিরর্থক নহে। কারণ, উক্ত সকল শাস্েরও পরম ও চরম উদ্োষ্ঠ 
একই অর্থাৎ ঈশ্বর গ্রস।দর লাঠ অপবা পরম সুখের প্রাপ্তি, এই অর্থ বেদেরও 
অবিরুদ্ধ, বেদের মুল পিদ্ধাণ্ত মহিত উক্ত অর্থের কোন প্রভেদ নাই। 
সত্য বটে, ধন্মাধন্ম, পাপপুণ্য, [বশ্থস, পতি, নীতি, কম্মোপাসনা প্রভৃতি 
পকল বিষয়ে পরস্পরের মধ্যে মতের অতাস্ত বিন্বোধ বা এভেদ আছে, 
কিন্তু পরম সুখের প্রাপ্তিবূপ যে চরম লক্ষ। তদ্বিষয়ে কোন শাস্ত্রের বা 
সম্প্রদায়ের বিরোধ ব। প্রভেদ নত । এইরূপে লক্ষ্য বিষয়ে এঁক্য থাকায় 
ষগ্তপি শাস্ত্র ভেদে ও মত তেদে ভিন্ন ভিন সম্প্রদায় ভিন ঠিন্ন সংজ্ঞায় সংজ্ভিত 
হইয়। পরম সুখরূপ যে পদার্থ তাহাকে স্বস্ব নামে ম্মাঞ্চত করতঃ স্বর্গ, হেভন 
(17151), পিহিম্ত, পরযগতি, অনন্ত উন্নতি, যুক্তি। হতা।দি শব্দে বিশেধিত 
কর্ণিয়া থাকেন, তথাপি উত্ত সুখের প্রাপ্ত জনা সকল শাস্বকারেরা 
স্বীশ্ন স্বীয় প্রক্রিয়া ও বীতানুযাযা ঈশ্বর প্রণিধান। তত্ঙ্জান, ধ্যান, ধারণা, 
উপাপনা, বিবেক, বিচার, শ্রদ্ধা, শক্তি, প্রম' দরজা, জপ, তপ, পুজা, দান, 
পরোপকার, সৎকশ্মের অনুষ্ঠান, অসং কনম্মের তাগ, এরূপ এইক্সপ 
নানাবিধ লারগ যে উপদেশ বিধান কারদাছেন তাহাতে কাহারও 
বিবাদের স্থল নাই। সুতরাং এই সকল কার্ষে যদি প্রগল্ভ তা, ধর্-ধরবর্জিত, 
বিড়াব-ব্রতিকত, বকধার্মিকম্বাদিতান বঙজ্জিত হয় ও সরল নিন্মপ্গ অকপট 
চিত্তে দ্বেধ দত্ত দিবুদ্ধি রহিত পূর্ব করবা কন্মে প্রবৃত্ত হওয়া যায়, তাহা হইলে 
নিশ্চই উক্ত সকল কর্মের উল্লিখিত প্রকারের মতভেদ সন্বেও ফল-সাম্া ও 
অবিশেষত হয়। কারণ, নিশ্বাস, ভাবনা, কল্পনা, ভেদে সাধন বা অনুষ্ঠানের 
প্রভেদ হইলেও উক্ত ভেদঘ্ধর1 বিশেষ কোন ক্ষতি হয় না, যে হেতু চিত্তের 
বিক্ষিপ্ততা দ্বেষ অভিমানাদিই সর্ব বিশেষ ও অনর্থের নূল। ইহ! সকল 
বর্জিত বা পরিত্যক্ত হইলে কশ্শোপাপনাদি সমস্ত কর্ম ফলবতী হইয়! সকলের 


২৩০ তবজ্ঞানামৃত। 


পক্ষে সমান উন্নতির হতে হইতে পারে। আর এক.কথা এই-_নিগুণ বর 
জ্ঞেয়। উপাস্ত নহেন। তথা সগ্ণ ব্রহ্ম উপাস্ত; জেয় নহেন। সুতরাং জ্ঞান 
জেয়ের অধীন হওয়ায় অপরোক্ষসাক্ষাৎকারের হেতু, কিন্তু উপাসনাদি কর্ম 
ইচ্ছা, হট, বিশ্বাস, ভাবনা, প্রভৃতির অধীন হওয়ায় পরোক্ষরূপ উপাস্তের 
স্ভাবক ও করপক। কথিতকারণে স্বীয় স্বীর 'বশ্বাম বা 'ভাবনান্রূপ উপাশ্- 
ঈশ্বরের স্ততি বা! কল্লানাতে পরম্পর সহিত পরম্পরের বিরোধ থাকিলেও সকল 
কল্পন। কর্নারূপে সমান হওয়ায় যেরূপ কার্যাপণের পাদকল্পনাত্বার! বিভক্ত- 
রূপে সকল পাদই ব্যবহারোযোগী হইয়া থাকে, ত্জপ দেয় ব্রহ্গের 
থণমূর্তাদ্দিরূপ পাদকল্পনাদ্বারা সকল পাই পরম্পর খিশুক্তন্ূপ হইলেও 
উপাসনার উপযোগী অবশ্য হইবে । এইরূপে উপাপনাতে গুণ ও মুর্তি 
উভয়েই কল্পন। কল্পনারূপে সমান হওয়ায় সমুঙ্গয়ভাবে খখব। পুথকৃতাবে 
আরোপিত গুণ মুর্ত্যাদিঘার! উপাপনার কোন [বিশেষ হয় না আর 
উপাস্তের পারমার্ধিক স্বভাব ও সরূপেরও তদ্ধাব। কোন বৈপরীতা খটে 
না। অর্থাৎ নিগুণ জেয় ব্রক্ম উপাপনাদি উপলক্ষে আরোপিত গুণযুর্ত্যাদি' 
দ্বারা ভাবিত হলে স্বরূপে বিকৃত হন না এবং ঠাহর স্বতাবেও কোন 
বৈলক্ষণ্য সঙ্ঘটন হয় না। মনবু'দ্ধব অতীত জগত্কারণপিষন্পে যে যেমন 
বুঝে সে ঠিক সেইরূপ বিশ্বাস € তাধনাস্থরূপ গুণাদিকরপলা। করে ও 
ঈশ্বর তদন্ুরূপ ফল প্রদান কতেন। যগ্তপি কল্পনার তারতমো ফলেরও 
তারতম্য হইয়া থাকে, তথাপি প্রকৃতপক্ষে সবল নিশ্মল নিষ্কপটাদিতাবে 
উপাসনাদি অনুষিত হইলে উত্ত ভেদ অভিশয় লাঘব হইয়া অত্যন্ত 
অকিঞিৎকর হইয়া পড়ে। সুতরাং রাগ দেষাদিরহিত নিশ্মণ চিতই 
কর্মোপাসনার উত্তমাঙ্গ এণং এই ভাবে সকল কশ্ম সাধিত হুচলে জপ তপ 
ধ্যান পৃঙগ প্রস্ৃতি সমস্ত শুভ কর্মের একই ফল হয় অর্থাং চিত্তশুদিদ্বার। 
উত্ত লক্ষণসংযুক্তকর্মইি পরম সুধপ্রদানের হেড হর, সর্দি সুখের 
ত কথাই নাই) অমৃক সম্প্রদায় মুক্তির অধিকারী অমুক নহে, অমুক 
পন্গ্রনায বিশেষই ঈশ্বরের কৃপা পাজ অন্ত নহে' ইত্যাঁ? প্রকার সকল 
কথা মনোরখমাত্র। সকল সব্প্রদায়েরই ধন্ম ও ধর্মশান্ত্র মন্থয্যচরিত্রের 
সংশোধক, নাশক নহে। শুভকর্থা'দর ফল কখনই সুধ না জন্মাইয়। ব্যর্থ 
হইধার নহে, এইরূপ অণুভকর্মাদ্িরও ফল দুঃখ না৷ ঈন্মাইয়া কদাপি 


উপসংহার । ২৩১ 


নাশ হইবে না, কর্মের যে ফল তাহ! হইবেই, ইহার অন্যথা হইবে নাঁ। 
অতএব ধন্মধবজিত্বাদিতাবরহিত হইয়! শুষ্চকন্মারদি আচরিত হইলে অর্থা 
সশুতকর্ম ও উপাসনা ভেদ ভাবে অনুষ্ঠিত হউক বা অহংগ্রহ ভাবে অনুষ্ঠিত 
হউক অথবা যে কোন ধীতি বা প্রণালীতে অনুষ্ঠিত হউক, তাহা নিন্ম শুদ্ধ 
ওজি প্রেম শ্রদ্ধাদিপূর্ণ অগ্ঃকরণে দুঢ় সঙ্কল্প সংযুজ চিত্তে সাধিত হইলে 
সকল সম্প্রদ্ধান্নেরই কন্মা যাহার যেরধপ ছাবনা হদ্দনুরূপ ইঞষ্টফপ প্রদানের 
হেতু হইবে, ইঞাতে অণুমাঞ্জও সংশয় নাই । এইবূপে সকল সম্প্রদায়েরই 
ধঙ্ঘশান্্ সার্থক এবং যাদও প্রধাণ প্রধান বিষয়ে পরস্পর সহিত 
পরস্পরের মতের প্রবল. বিরোধ আছে, তবুও সারগ্রাহীদৃঙিতে সকল 
শাস্সহ সযানভানে জীণগণের ইষ্ট সাধনে প্রবৃত্ত হওয়ার সকলই সমান 
ইষ্টকারী, গনিষ্টকারী নহে । আর যগ্যপি উপরনেষদ জনিত জ্ঞানই মুক্চিরপ 
পরম সুখের একমার উপার, তথাপ যেরূপ জান মুক্তির প্রাপক তজ্জপ 
কন্মোপাসনাও জ্ঞানের উপায় হওয়ার স্ব সম্প্রদায়োক্ত সকল সাধনের 
পরম্পরারূপে জানের হ্েতুতা নিবন্ধন ভাহাদিগকে পরমানন্দ লাতরূপ 
লক্ষ্যেরও প্রাপক বঙা যায়। প্রদর্শিত কারণে কল সম্প্রদায়ের ধর্ম ও 
ধর্শ শান্ত মন্গুষ্তেঃ চ'রজ ও ভাব সংসে।হনে প্রবৃত্ত হওয়ায় সকলই পরম 
কুখরূপ মোক্ষ লাতের সমান উপক্ষারক। হিন্দু শাস্সে ইহার নিদর্শন যথা-- 

চাঁরি বেদের মধ্যে কতকগুলি বচন জেয়ব্রঙ্গের বোধক, কতকগুলি 
ধোয় বর্গের বোধক ও অবশিষ্ট বচনগুপ কম্মের বোধক। কম্মবোধক 
ও উপাসনাবোধক বেদ বচনের মনস্তঃকপণ-গুদ্ধিদ্বা9 জ্ঞানই প্রয়োঞ্জন, 
পরবর্তিতে কোন বেদবচনের নভিপ্রায় নাই, কিন্তু লোকের স্বাভাবিক 
নিষিদ্ধ প্রবৃতি হইতে প্রত্যাতিমুখ করাই কন্মবোধক বেদবচনের 
অভিপ্রায় । এই কারণে অতিচাগারদি কন্মের প্রাতশাদক যে অথর্ববেদ 
তাহারও স্বভাবিক ঘ্বেষা'দদ্বার প্রাপ্ত যে প্রবুতি সেই প্রবৃত্তির নিবৃন্তিতেই 
তাৎপর্য । যেমন শত্রু বধে প্রবৃত্ত যে ব্যক্তি সে অন্ত্রাদি ব অগ্সিদাহাদি 
দ্বারা শত্রুর বধ ন। করে তঙ্জন্য স্বেনযাগাদিরপ অভিচার কর্ম প্রতিপাঙত 
হইয়াছে । অর্থাৎ শক্রবধের কাষী পুরুষ স্বেনযাগারি ভিন্ন অন্ত উপায় 
অবলম্বন করিয়া শক্রবধে প্রবৃত্ত না হয় তৎকারণে শ্বেন্যাগাদি বিধান 
করায় বেদের অভিপ্রায় প্রবৃণ্তিতে। নিবৃত্তিতে নহে । কারণ, প্রত্বত্তি খে 


৩২ তত্বজ্ঞানামৃত। 


দ্বার! প্রাপ্ত হওয়ায় তাহার নিবৃত্ত জন্তই শ্বেনযাগাদি বেদবচনের প্রবৃতি, 
অগ্গার্থে নহে । : এইরূপে সমস্ত অধর্ববেছের নিবৃত্িতে তাৎপর্য ও 
অপর তিন বেদপ্রতিপাগ্ত কন্মোপাসনা বোধক বাক্যের চিত্তশুদ্ধি তারা জ্ঞানের 
উপযোগিতাতে তাৎপর্যা। 

চারি উপবেদের মধো 'মায়ুব্েদের বৈরাগো তাত্পর্যয। কারণ, ওধধাদি 
বারা রোগাদির শান্তি হইলেও পুনর্বার উৎপন্ন হয় বলিক্পা লৌকিক উপাক্ 
তুচ্ছ, ইহা বিজ্ঞ(পিত করায় তথ! নিত্য চিনুম্থখের বুদ্ধি উৎপাদন করায় 
আয়ুব্বেদের অন্তঃকরণ শুদ্ধিঘ্ধার। জ্ঞানেই উপযোগ হয়। 

ক্ষত্রিয়ের প্রজাপালনাদি ব্যবহার, ধর্শরক্ষা, তজ্জগ্য ধন্ুবিদ্য। শিক্ষা, 
ইত্যাদি ধনুব্বেদের প্রতিপাদ্য 'য সকল বিষয় তাহাদেরও চিত্তপ্রদ্িদ্বার] 
মোক্ষই অভিগ্রায়। | 

দেবতার আরাধনা, নিব্বিকল্প সমাধির সা্ধ, ঠত্যাদি সকল বিষয় গাঙ্ধবব- 
বেদের প্রয়োজন, ইহাও অন্তঃকরণের একাগরতাদ্বারা মোক্ষেরই উপকারক। 

নীতি শিল্পা শান্তা সকল অর্থবেদের শন্তর্গত। নিপুণ পুরুষদিগেরও 
সৌভাগ্য ব্যতিরেকে ধনের প্রাপ্তি হয় না. এইরূপে নর্থবেদেরও তাৎপর্য্য 
বৈরাগ্যে পরিলমাপ্ত । 

চারিবেদের শিক্ষ। কল্পাদি বড়ঙ্গ বেদার্বোধের ও কালজ্ঞান প্রভৃতির 
উপযোগী হওয়ায় জ্ঞানেই উক্ত সকল বিদ্যাধু তাতপর্ষয। 

পুরাণাদি শাস্ত্রের দেবতার আরাধনাদ্বার! অন্তঃকরণের শুদ্ধিতে তাতৎ্পধা 
হওয়ায় জ্ঞানে উহাদিগের উপযোগিতা স্পষ্ট। 

উক্ত প্রকারে সাংখ্য শান, যোগ শাস্ত্র সায় শান্তর, মন্ত্র শাসক, বৈষ্ণবতন্ত্র, 
শৈবতন্ত্র, প্রভৃতি শাস্ত্রে সান ধন্মের নিরূপণ থাকায় সকলই জ্ঞানের 
উপকারক। সাংখা শাঙ্্রের ইং পদের লক্ষ্যার্ বোধনদ্বারা মহাবাকোর 
সোধনে উপযোগ হয়। যোগশান্্র জান সাধন নিদিধ্যামনের বিধানদ্বার! 
বিপর্যয় জ্ঞানের বাধক জ্ঞান উৎপাদন করতঃ মোক্ষের উপকারক হয়। 
আত্মার বিভৃত্বাদি ধন্ম বিজ্ঞাপনন্বার৷ শ্রবণ মননের সহকারী হওয়ায় 
ন্যায়শাস্ত্রেরও উপাদেয়ত। জ্ঞানে স্পই | মন্ত্র শান্তর বেৈঞ্ব তন্ত্র, শৈবতন্তর 
প্রভৃতি শান্রও দেবতা অরাধনা বোধক হওয়ায় ধর্মশাস্ত্রের অন্তর্গত, ইহ] 
সকলেরও অন্তঃকরণের নিশ্চলত দ্বারা যোক্ষসাধন গ্রানই ফল হয়। 


উপসংহা়। ২৬৩ 


'অধিক কি, বেদবিরুদ্ধ অঘোরশান্ত্র তথা খাষ-তন্ত্রাদিশন্ত্রপ্রতিপাস্ত শু 
রাগাদি স্বভাবপ্রাপ্ত যে মঞ্চারাদি সেবনরূপ যথেষ্টাচারকম্ম সেই কনে প্রবৃত্ত 
যথেষ্টাচার পুরুষদ্দিগকে ঈশ্বরাভিমুখীন করায় উক্ত সকল শান্ত্রাদিরও ধরছে 
উপযোগিত। হয়। 

যেরূপ সারগ্রাহাধুষ্টিতে হিন্দুদগের সমন্ত শান্ত্র স্থল বিশেষে বেদবিরুদ্ধ 
হইলেও সকলই সমান শুতফলের হেতু, তজপ খেদবিরুদ্ধ মতান্তরীয় সমুদার 
শান্ধও কন্মোপাপনাদিঘারা জ্ঞানের উপযোগী হওয়ায় সাথক। হইহার 
নিদর্শন যথা, 
অহিংসাদিধর্ের এবং অন্তান্ত শুঅনম্মের পরতিপাদক হওয়া দেন শান্তর 
উপদেয়ত। সহজে প্রশায়মান হয়। ৰ 
জগতের নাগ্ডিহ (শৃ্ত হ) মাধ্যামকশৃন্বাধাম্ত্ের তথ জ্ঞানেরিহই পরিশাষ 
জগৎ। ইহা অপর বৌদ্ধমতের প্রাতপাগ্য বিষ হওরায় এখং অবিগ্ঠান্থা পা 
জীবগণের বন্ধন এবং সমাধ দ্বারা প্রবাত্বিজ্ঞানের আলয়বিজ্ঞানধারায়ে 
বিলয়, এই দকল বিষয়ের বৌদ্ধমতে নিরূপণ থাকায় বৈরাগ্যাদিতে পর্যযবসান 
বশত; বোদ্ধমতেপও নিবৃভিমার্গে উপযোগিতা হয় । 
চার্ধাকমতের আরধকাংশ সিদ্ধান্ত আধুনিক পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিকমতের 
অনুরূপ | যদ্যপি উভয় মতের প্রাঙপাগ্ক বিষয় বোদক মতের গ্রতিতবন্দী, 
তথাপি উক্ত দুই মতেও শব্দাাদ বিষজ্ধের ক্ষণতঙুরতা, রূপাস্তগ বা অবস্থাস্তর 
প্রাপ্তি, ইত্যাদি সকল সদ্ধান্ত থাকায় বিবেকীয় দৃষ্টিতে ইহাদেরও বৈরাগ্যে 
তাতপর্য্য । রঃ 
মুসলমান, খর্রীষ্টয়ান, পারসী, খরাস্াফষ্ত, আর্যাসযাজ, ব্রহ্মলখাজ, 
কবীর প্থী, দান্দু পর্থী, নানক পঞ্টী, প্রস্তুতি সকল আধুনিক মতেও উপাসন। 
শুভকর্্মার্দি প্রতিপাদদিত হওখায় তথ! অনেক সারগর্ভ ওপদেশ থাকায় উক্ত 
সকল মতেও ইইপিদ্ধির অভাব নাই । 
প্রদর্শিত প্রকারে যেহেতু মতান্ততীয় সকল শাম্ত্রই শ্বীক্স স্বীয় রীতি ও 
প্রক্রিয়ানু়ামী উপদেশাদ বিধানদ্বারা লোকের হিতসাধনে প্রবৃত্ত, সেই হেতু 
উদ্ত সকল শাস্ত্রের সহিত হিন্দুশান্ত্রেপ অনেক অনৈক্য থাকিলেও' উক্ত 
অনৈক্য তাহাদের সার্থকত1 ভঙ্গ করিতে সক্ষম নহে । কেননা যেরূপ শক্রর 
আঘাতদ্বায়! রুধির নির্গত হইয়া! দৈবযোগে রোগের নিবৃতি হইলে আখাগ্ক- 
৩ 


২৬৪ তত্্জানাধূত | 


প্রাণ্ুপুরুষ শত্রুর আচরণকে সারগ্রাহীঘৃষ্টিতে উপকার শ্বরূপ বোধ করে তঙ্জপ 
উল্লিধিক সকল মতের উপদেশদিত্বারা কদাচিৎ উপকার প্রাপ্ত হইলে উক্ত 
সকল মতকেও সারগ্রাহীতৃষ্টিতে সার্থক বলা যাইতে পারে। ইহা উত্তম 
সংস্কার বিশিষ্ট ধর্মাজ্জ পুরুষগণের দৃষ্টি। কথিত কারণে মঙ্গলা্থী পুরুষের ধন্ম- 
রহিত ন। হইয়] ধর্মে নিষ্ঠ। হওয়া ভাল এবং লোক্মাগ্রেরই মতান্তরীয় শান্ত 
সঞ্লের গ্রত তথা উক্ত শাস্তান্ুগামী জনগণের £তি ঈর্ষ। হিংসা, ত্েষ, প্রস্থৃতি 
ত্যাগ করিয়া কায়িক বাঠিক মানপিক সকল শুভ কর্মে স্বস্ব শাস্ত্রোজ প্রণালী 
অনুসারে প্রেম ভক্তিপূর্ণ অন্তযকরণে নিযুক্ত থকা উচিত, থাকিলে সর্ব 
শাস্ত্রের যে চরম লক্ষ্য তাহার প্রাণ সকলেরই পক্ষে সুলভ হইয়। পড়ে। 
এইরূপে যগ্তপি সকলেরই শান্তর স্ব স্ব অধিকারানুপারে মানবের হিত কামনায় 
প্রবৃষ্ত হওয়ায় সকলই সমান উপাদেক্স তথাপি ধশ্মাধন্ম বিষয়ে তথা জগৎ 
কারণ ঈশ্বর বিষয়ে প্রম'ণজন্ত জ্ঞান-যাথার্থা লাভের নিমিত্ত বেদ ভিন্ন গত্যন্তর 
নাই, উক্ত ছুই বিষয়ের জ্ঞান কেবপ বেদ ও বেদ মুলক শাস্ত্র লত্য, অন্য উপায়ে 
উহাদের জ্ঞান সম্ভব নহে। সুতরাং উক্ত দুই তস্বের জ্টানজন্য বেদের তথ। 
বেদ মূলক শান্ের উপদেশ গৃহীতবা, অগ্ঠথ। অবজ্ঞা অনাদর গুলে মন্ধগোলাঙ্জুল 
 স্যায়ে অনর্থের প্রাপ্তি অবশ্স্তবী। গে।লাঙ্ুল ন্যায়ের স্বরূপ এই--কোন 
ধনীলোকের পুত্রকে দন্ুযু হরণ করিয়! তাহার অলঙ্কার কাড়িয়া ও নেএ 
বিদারণ করিয়া তাহাকে একটী গহন কাননে ছাড়িয়া দিল। তথায় “কান 
নির্দয় বঞ্চক সেই অপহায় রুদনকারী বালককে বগোন্মন্তবলীবর্দীকের লাঙ্গুল 
ধরাইফ্না এই বলিয়া উপদেশু কিল “তুমি এই লান্ল াবধানে ধরিবে, 
কখনও ছাড়িখেনা, এই পশ্ড তোমাকে নগর লইয়া যাইবে”?। উক্ত ছুঃখী 
বালক সেই প্রবর্ধকের কথা খিশ্বাস করিয়া যেরূপ বিপুল অনর্থেও ভাগী 
হইয়াছিল সেইরূপ অনিবেকী পুরুষ বিষয়রূপ দস্যুদ্ধারা আক্রান্ত হইয়া 
বিবেকরূপ নেত্র বিহীনে সংসাররূপ বনে ভ্রমণ করতঃ স্বোধপ্রেক্ষিত সিদ্ধান্তে 
বা ভেদবাদী শাস্ত্রের শিদ্ধান্তে শ্রদ্ধা ও বসবাস স্থাপিত করিয়া ঘনে করে, 
“ইচ্ছাই আমার কল্যাণের পরম উপায়, ইহা আমি ত্যাগ করিব নাঃ এইই 
বিশ্বাসের বশবর্তী বা পক্ষপাতী হইয়া! বিবেকহীন পুরুষ পরম সুখরূপ মার্গ 
হইতে ত্রষ্ট হইন়্া জন্ম মরণরূপ মহাছুঃখ সতত অনুভব করিয়া থাকে। 
অতঞষ প্রাননিমিত্ত বেদাদি শাস্ত্রের আতর গ্রহণ করা বিধের, কিন্ত 


উপসংহার । ২৩৫ 


ক্মোপাপনাদি বিষয়ে স্বীয় স্বীয় শান্ছের বা আচার্ষোর উপদেশান্থপারে 
অসুরাবুদ্ধিরহছিত পূর্বক কায়মনোচিত্তে স্বকর্তৃব্য কার্যো সতত নিযুতত* থাকিলে 
কর্মকর্তার ইষ্টসিদ্ধি কালান্তরে জ্ঞানফল লাতানস্তর অত্যন্ত সুলভ হইতে 
পারে। কারণ, পুর্বে বলিয়াছি, সকল ধন্মই স্ব স্ব ধোগ্যতান্ুসারে মানব 
জতির উন্নতি সাধনে তৎপর হওয়ায় উক্ত সমগ্ত শান্্রই সফল ও সার্থক, 
নিরর্থক নহে। 

ইদানীং পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সভ্যতার প্রভাবে অনেকে কল্পনা করেন যে, 
ক্রমোন্নতি সংসারের ধর্ম ও স্বভাব, অব্নতরু নিয়ম বিরুদ্ধ, অতএব অসস্ভব। 
একথা! ঠাহারা কেবগ মুখেই বলেন ন1 কিন্তু হহার নিদর্শনও দেখ|ন। যথা 

অগতের ইতিহাস ও সংসারের পূর্ববাণণীভাবের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে 
ইহা অনায়াসে প্রাতপঃ্ হইতে পারে ষে, গণ ক্রেমশঃ উন্নতির পথে ধাবমান। 
কার্ধ্যক্ষেত্রে অসংথা নৃতন নুতন বিষয় আাবিষ্কত হইতেছে, পুরাতন পদার্থের 
নানাবিধ নখনব সংস্কার হইতেছে, অগণা নবীন নবীন যন্ত্রাির ক্রমশঃ 
সৃষ্টি হঠতেছে, বন্যা বু'দ্ধর শ্রোত প্রতিদিন বৃদ্ধি হইতেছে, এইরূপে সকল 
বিষয়েই পৃর্বব/পেক্ষা অধিক উন্নান চতুদ্দিকে পরিলক্ষিত হইতেছে । কি্ৎ- 
কাল পূর্বে ইহ। সংল স্বপ্পেবও অতীত ছিল, পূর্বে যাহ। অসম্ভব বলিয়। 
লোকের ধারণ! ছিল, এক্ষণে তাহা সাধারণের আয়গাধীন, আবার এক্ষণে 
যাহা ধারণ|র অঠাশ, হয় ত তাহা পরক্ষণে লোকের দোঁনক ধ্যাপাবের মধ্যে 
গণ্য হইবে। এইরূপে সংসারের শোত কেবল উহ্বাতব পথে ধাবিত হইতেছে 
এবং পরেও হইতে থাক্িবেক। ইহার অন্তথা হইবেক না, ইহ! প্রকৃতির 
নিয়ম । পুরাকালে সকল জাঠিই ঘোর অপভ্য বালয়। পরিচিত ছিল, 
পরে শনৈঃ শনৈঃ বিগ্ঠা বুদ্ধির উন্নতি সহিশ ক্রমশঃ উন্নত হইয়। হইএ1 এক্ষণে 
সভ্য হইয়া উঠিাছে। কিন্তু হিন্দুগণ যেমন অগত্য পূর্বে 'ছলেন তেমনি 
প্রান এখনও আছেন, কেননা, তাহাদের সামাজিক নিয়মের আঁট আটী এত 
গ্রবল ও অধিক যে তাহা হহতে সচরাচর লোকের নিষ্কৃতি লাভ করা অত্যন্ত 
স্রকঠিন। হিন্দুধশ্মে যোগন্গধন্ম জনিত এশ্বর-ক্ষমত), মুন খধিগণের 
অলৌকিক জ্ঞান-সম্পন্তি, যাহ। হিন্দু দগের গৌরবের সামগ্রী বলিয় প্রসিদ্ধ, 
তাহা সমস্ত অন্ধ বিশ্বাস। পুরাতন হিন্দু লমাজের জাতি ধর্ম ওজান্রসম্পত্তি 
বিষয়ে অল্প চিন্তা করলে সহজে প্রতীয়মান হইবে যে, পূর্বব পুরুষগণ কেবল 


২৩৬ তত্বজ্ঞানামৃত ৷ 


জাতি ও" পৌত্তলিক পুঙ্গাকে ধর্বের পরাক্ষান্ঠা বিবেচনা কৰিয়] কার্যযক্ষেপ্রে 
সকল €বষয়েই পশ্ুবত্ভাবে জীবন নির্বাহ করিতেন। জাতি নিয়ম সর্ব 
উন্নতির বাধক ৩ মনুষ্যত্ব গুণের নাশক ইহা সকলেরই বিদ্িত। এইরূপ 
পৌত্তলিক পুজাও জ্ঞান বিস্া বুদ্ধিৰ বিরোধা ও স্বাধীন চিন্তার প্রতিতবন্দী। 
স্বদেশানুরাগ, ধন্মান্ুরাগ ও আত্মোন্নতিগাগ, হহ। সকপ তাহাদের কিছুই ছিল 
না, সংসারে আহার, নিদ্রা) তয় ও মেখুন এই চতুর্বিধ পদার্থ ই তাহাদের 
আত্মপর্ধস্য ছিল এবং উক্ত পদার্থচ হুই্য়ের সাধনে ৩ত্পর থাকিয়া উহার্দিগকে 
ভোগ ও মোক্ষের চুড়ান্ত উপায় বিবেচনা করিঠেন ও ততিন্ন অন্য পদার্থ 
জগতে আছে কিনা? এবিষণে তাহাদের পশুর ন্যায় কোন জ্ঞান ছিল ন!। 
এইব্ূপ এইরূপ বাক্যপ্রয়োগন্ধারা কোন এক শ্রেণীর লোক তাহাদের পূর্ব 
পুরুষগণের প্রতি, উক্ঞ . পূর্বপুরুষগণের খিছ্। বুদ্ধির প্রতি, ধন্মের 
প্রতি ও শাস্ত্রের প্রতি ডল্িখিত প্রকারে আক্ষেপ প্রকাশ করতঃ 
আপনাদিগের আজ্মগরিম। বিস্তার করতে কুদিত নহেন। আবার আর 
এক দল বগেন, পুব্ব আধ্যমণের এই সৌর জগতে বিদ্যা বুদ্ধ জানত 
সাংসারিক কীত্তি অতি সামান্য যাখ। কিছু ছিপ তাহা অন্তকে প্রকাশ 
না করা, গণ রাখায় সমন্তহ পণ্ড হহয়াছে। হা! হহাও একটা কথার 
মৃতন কথা বটে। সেযাহ।| হউক, এ সঞ্ল মতের পক্ষপাতী লোকের প্রতি 
আমাদের [শেষ কিছুই বলিবার নাই, কারণ উক্ত প্রচ্ছাভিমানী ব্যাক্তিগণই 
জগতের বয়ন চা পাচ সহ ব্পরের অধিক বিবেচনা করেন না। 
কাজেই বর্তমান জগতের অবস্থা পূর্বাপর জ্ঞানের অভাবে তাহাদের অবি- 
চারিত দৃষ্টিতে অধিক উন্নত বলয় প্রতাত হম । যগ্যপি উক্ত শির্দিষ্ট কালের 
মধ্যেও অনেক প্রপিদ্ধ পুরাতন হিন্টুদিগের গৌরবের সামগ্রী কাল চক্রের 
মুখে পতিত হইয়া সংসার হইতে অন্তত হইয়াছে এবং তংসকলের পরি- 
বর্তে উত্তঘাধম অনেক অভিনব বস্ব নুতন ধরণে আত্মলাত করিয়াছে 
আর এইরূপ শবিষ্ততেও কাল শ্রোতে পড়িয়া অনেক বর্তমান পদার্থের 
তিরোভাব ও অনেক নবাঁন পদার্থের আবিভাব সম্ভব, তথাপ প্রবাহরূপে 
অনার্দি' অতীত কাল হহতে যে জগৎ অবস্থিত তথা উক্ত জগতের অন্তগত 
পদার্থ সকল চক্রবৎ ভ্রমণশীল কালকৃত গন্মস বিনাশাদিরূপ ষটুবিকা রগ্রন্ত, 
এই সকল কথা উত্ত জনগণের মস্তিষ্ধে আরোহিত হইবার নহে। 


উপসংহার । ২৩৭ 


আঁধক কি, এই বর্তমান কল্পেরই পরমায়ু মনুষ্থুবুদ্ধির ধারণার অতীত 
বলিলে অত্যুক্তি হইবে না। এই অসীমকালের অস্তরভূত “চক্রধৎ পরি- 
বর্তত্তে” এই নিকষের অধান জগতের স্থিতির উপপত্তি হইলে ইহা অল্লায়াসে 
উপপন্ন হইতে পারে যে, রীতি, নীতি, শিক্ষা, বিগ্তা, বল, বীর্য, রাঁজ্য- 
পালনাদি ব্যবহার, নিয়ম, শৃঙ্খলা, পরিপাটী, ইত্যাদি সমস্তই সময় সময় 
বিতিন্ন ধরণে ও গঠনে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয় ও লুগ্ত হয়। এইরূপ 
বর্ণাখমের ব্যবস্থা, ধর্মমাধন্মের প্রতিষ্ঠা, কর্মোপাসনার অনুষ্ঠান, শাস্ ও 
ধন্মে বিশ্বাপ ও অবিশ্বাস, ইহ। সকলও উল্লিখিত প্রকারে নূতন নুতন 
তাবে মধ্যে মধো সমানে আখিভূতি হয় আবার ভিরোহিত হয়। কারণ, 
পুর্বে বলিয়।ছি, শনাত্মপদার্থমান্রই মট্াবকার্গ্রন্থ হওয়ায় তথ! সংসার 
কর্মনিমিশতক হওয়ার) তথা দেশকাল নিষিত্তা্দ ভেদে সকল বিষয়েরই সকল 
গময়ে চক্রবৎ পরিবর্তনের নিয়ম থাকায়, ইহা বগা যাইতে পার ধায় 
না যে, আ্গৎ ক্রমসঃ সততই উন্নতি মার্গে অগ্রসর হইতেছে, এ উক্তি 
অত্যন্ত ছুকাক্ত। এই সামান্য কগাটী আবধেকী পুরুষগণের বুদ্ধিতে আক্চ 
ন। হওয়ায় তাহাদের নিকটে পুব্ব আধ্যগণের সকল কীন্তিই এক্ষণে 
মথা। বাপয়া বিশ্বাপের অযোগ। হইয়া পাড়িয়াছে এবং শুৎবারুণে পূর্বব 
পুরুষগণ ন্ব স্ব বংশধরগণের দৃষ্টিতে পাশ্চত্যাশক্ষা প্রতব পরিমাঙ্জিত বুদ্ধি 
প্রভাবে অসভ্য অথবা পশ্ড বলিয়া! পরাচত। এই কারণেই সেই 
পুরাকালের তন্ত্র, যন্ত্র, ওষধি, বাণবিদ|। প্রভৃতির অছুত অসাধারণ শক্তি 
এক্ষণে ভূতের গল্প মধ্যে গণ্য । রথারোহণাদিদ্বারা গগনমার্গে 
গমনাগমন যাহ তদানীং অতি সামান্য অক্িঞ্চৎকর বিষয় বলিয়৷ গণ্য 
হইত, তাহ ইদানীং বিশ্বাসের অযোগ্য হওয়ায় আরব্য উপন্তাসের কথার 
ন্টায় উপকথ। মাত্র। যে যোগাভ্যাসঘ্বার৷ পুব্বআার্ধযগণ ঈশ্বরের গ্ঠায় 
প্রভূত ক্ষমতাবিশিষ্ট ও বিভূতিশালী ছিলেন সেই অমূল্য রত্ব সম্প্রতি অলীক 
বস্তু বলিয়া উপেক্ষিত। দেবগণের সহিত সদালাপ ও অন্যানা ব্যবহার 
যাহ! তৎকালে ধর্মজপুরুষগণের অধিকার ভুক্ত ছিল, তাহা এ সময়ে 
ধাত্রীর রূপকথা বলিয়া প্র্সদ্ধ। এমন কি, দেবগণের অন্তিতও এক্ষণে 
অসভা-বিশ্বাস বা অন্ধ-বশ্বাস মধ্যে পরগণিত। যেজ্ঞান জ্যোতিঃদ্বার 
পুর্ব আর্ধ্যগণ দকল জগৎকে বিমুগ্ধ করিয়াছিলেন ও তৎকারপে দেবগণ্রও 

রঃ 


২৩৮ ততবজ্ঞানামৃত, 


পৃজ্য ও আারাধ্য হইরছিলেন, মেঘাচ্ছর সূর্য ন্যায় অজ্ঞানরূপী মহা নন্ধকাঁরে 
শাবৃত্ত সেই জ্যোতি অদা ঘোর অপসিদ্ধান্ত সাগরের গুহাতম গর্ভে 
লুকায়িত। কালের অনন্ত শ্রোতে পড়িম। বিশ্বসংসাবান্তর্গত সকল পদার্থেরই 
এবং কালান্তরে জগতেরও বটে, প্রদর্শিত প্রকারের পরিণাম, অর্থাৎ বৃদ্ধি, 
হাস ও ক্ষয় অবশ্থন্তাবী। সত্য বটে, সম্প্রত পাশ্চাত্য সভ্যতার বৈজ্ঞানিক- 
প্রবাহ কিছুকাল পূর্ধ হইতে অপেক্ষাকৃত অধিক উঠত পথে ধাবিত 
হইতেছে এবং পরেও উহার আধকতর উন্নতির সগ্তাবন। আছে, কিন্ত 
এই উন্নতি দোখয়] ইহ! বলা যায় না মে, টগার শোত অনস্তকালাবধি 
উত্তরোত্তর বৃদ্ধি হইতে গাকিবেক, কখনহ উহার ভাপ না নাশ হইবে 
না। বরং ইহার বিপরীত যাহ] কিছু এক্ষণে দুটি হঠতেছে তাহ সমস্তই 
এক সময়ে কালের ভখিষ্ুৎক্রোড়ে শিপতিত হইয়) সিন্ধ-বিন্দুর ন্যায় 
কোথার বিলীন হইবে যে তাহার [কঞ্চিংমাজ নাম গন্ধও থাকবেক 
না। আব সেই তাবকালবন্তী জনগণের নিকটে বর্তমান কার্যকলাপের 
কপ্তিত্ব স্বপ্লেও স্থান প্রাপ্ত হইবে না, বন্দি ক্থদত্তিরপে উহার গল্প 
অল্পও থাকিয়া যার ঠাহাও তৎকালে ক্ষিপ্তের খেয়াল বলিয়া উপেক্ষিত 
হইবে। পুনর্বার হয় ত কালের ভাপস্যৎ গর্ভে উক্ত সকল ক্রিয়া ও 
জানসম্পত্তি জন্ম লাভ কারুদা সহঅগুণ অধিক উন্নাত শ্রোতে প্রবাহিত 
হইবে, এবং ভ্মগুলকে জ্ঞ।ন খিদ্যাঝুদ্ধব সৌরতে মানন্দিত ও পুলকিত 
করিয়া তুলিবে, আবার বিপরীত সময় উপাস্থত হলে স্বনংই নির্বাণ প্রাপ্ত 
হইবে। এইরূপ চকুবৎ পরিবর্তনই সংসারের |নয়ম এবং এই 'নম্নমেই 
সংসার চিরন্তন ঘূর্ণায়মান্। যে পকল খিদ্ক। এক্ষণে প্রচলিত, সে সকল যতই 
ধা যেরূপেই প্রচার হউক, যে প্রকারে ব। যে ভবে সমাঙ্জে প্রতিষ্টিত হইয়া 
সাধারণের আধকার ভুক্ত হউক, প্রতিকূল সময়ের আগমনে তৎ সকলের 
হাস, তৎ্পরে সধূলে বিনাশ, এই ছুই পরিণাম অবশ্যই ঘটিবে, ইহার 
অন্যথ। হইবে ন। | দেখ] যায়, পৃীব্যাদি লোক, রবিচন্দ্রাদি মণ্ডল, 
তদ্বরী দেব, মনত, পশু পক্ষী প্রভৃতি প্রাণীগণ, নদ? নদী, গিরি, গহ্বরাদদি 
পদ্দার্থ সকল, সুবিশাল বাজ্য।দি, ইহা পমস্তই উন্নতি অবনতি, অবনতি 
উন্নতিরূপ কালচক্তে ক্রমান্বয়ে গুরিতেছে আর কচিৎ সমূলে ধ্বংস হইয়। 
স্ি।রাহিত হইতেছে এবং আবার নূতন ধরণে আত্মলাভ করিয়া প্রাহতূত 


উপসংহার । ২৩৯ 


হইতেছে। এইরূপে এক ভাবে কাহারও অবস্থিতি নাই এবং কেহই 
একাদি ক্রমে উন্নতি বা অবনতি পথে ধাবমান নহে । সকল পদার্থ ই 
আবিতাখ তিরোভাব স্বতাববিশিষ্ট হওয়ায় কথন উন্নতি মার্গে অগ্রসর 
হইতেছে, আবার কখন সময়ের প্র“তকুলতা স্থলে অবনতির স্রোতে পতিত 
হইয়া ধ্বংস প্রাপ্ত হইতেছে, এই তাবেই সংসার সদ। প্রবর্তিত আছে। 
ইহাই শাস্ত্রে কালচক্র, সংসারচকু, মায়চক্র প্রভৃতি বলিয়া প্রসিদ্ধ । 
এই স্থল জ্ঞানটী উল্লিখিতরূপে কুতর্কবাধিত হওয়ায় আববেক্ীর নিকটে 
সংসার নানা প্রকার কল্পনা জন্পন।র হেতু হইয়া থাকে। সে যাহ। 
হউক, উক্ত চক্র নন করিবার, ডহ!র ফাস হইতে মুঞ্ড হহবার নিষ্কাম 
কন্মোপাসনাদি প্রত জ্ঞানহ এক মাত্র উপায়? এবং উক্ত জ্ঞান সাধনের 
পারপক্কাবস্থায় ঈশ্বরের কপায়। বেদের কৃপায়, বেদমূলক শাস্ত্রের কপায় তথ। 
ব্ন্মবেত্ত গুরুর রুপায় লতা, উহার প্রাপ্তির গন্য অন্য পথ নাই, প্রকার নাই 
ও গতি নাহ্‌, একথা পুব্বে সবিস্তারে বলা হইয়াছে । 

সর্বশেষে আর একটী কথা ধ্লিয়া প্রস্তাবের পমাপ্তি করা যাইতেছে। 
গ্রস্থানক্রয় অর্থাৎ “উপনিষদ, বেদান্ত দর্শন, ও তগবদগীতা” এই তিন শান্ত 
হন্দ্াদগের মধ্যে মোক্ষের সোপান বালয়া পারগণিত। ভক্ গ্রস্থানএয়ের স্ব 
স্ব মতের অগুকুল প্রাসং সকল আধুনিক ও পুরাতন পণ্ডিত ও আচাধ্যগণের। 
টাক। ও ভাষ্য আছে, কিন্তু তৎসকলের মধ্যে আমাদের মতে শঙ্করতাম্যই 
সর্ব প্রধান, কা৫৭, শঙ্করতায়ে শান্তর যু ও অন্ুতব এই তিন বল প্রচুর 
পরিমাণে বিগ্মান, অন্য সকল ভাসতে তাহা নাই। অধিক কি, শঙ্করভাব্য 
তিন্ন অন্ঠ সকল ভাঙতে তিনেরহ মহাব আছে বলিলে অথবা তিনের মধ্যে 
কোনটীরও নাম গঞ্ধ নাই বলিলে অতুযাক্ত হয় না। প্রস্থানত্রয়ের ঘতগুলি 
ভান্ত টীকা আছে সে সকলের সহিত শঙ্করসাস্য অনুশীলন করিলে অন্মদ 
বাক্যের যথার্থত্ব অনায়াসে উপপন্ন হইতে পারে। অর্থাৎ সকল পাঠ একত্র 
করিয়া এক এক করিয়া সকলে4 অনুশীলন করিলে এবং অপসক্ষপাতে বিচার 
ও পরীক্ষা করিয়া দেগিলে অল্প সমরে বিদিত হইতে পাবে যে, উপরে যাহা 
বলা হইয়াছে তাহা কথা মাজ্জ নহে। ব্থিত কারণে প্রধানত: শঙ্ষর, 
ভাষ্ত্ের যুক্তি অবলম্বন করিয়াই এই গ্রন্থের অণয়ব পূর্ণ করা হইয়াছে। 
অদ্বৈত মতের বিরুদ্ধে তাকিকদিগের আক্ষেপের আরও যে সকল ঠার 


২৪ ততজানাগৃত । 

সমাধানক্ূপ যুক্তি আছে তাছা, সমস্ত প্রস্থানগ্রয়ের শক্ষরতায়ে তথ 
 শ্রীহ্ধার্দিকত খগুনথাগ্য। তেদধিকার আদি গ্রন্থে দরষ্টব্য। উজ দূর 
ছুর্কে।ধ তর্কের প্রতি আগ্রহ হইলে সংস্কৃত গ্রন্থ অবলোকন কর! উচি, 
হেতু এই যে, প্রথমতঃ ভাঁধা গ্রন্থে উক্ত সকল শাস্ত্রের তর্কটিত তাৎপর্য্য 
অনুবাদ করা অত্যন্ত সুকঠিন ও দ্বিতীয়ত; একটী গ্রন্থে সমস্ত বিষয়ের বিশদ 
বিবরণও সম্ভব নহে। ফল কথা, শান্ত যুজি ও অন্ুতবের আশ্রয়ে যে দিকে 
যাও, যেরূপে পরীক্ষা কর. থে প্রকারে নির্ণয় কর, যে ভাখে বিচার কর, 
পক্ষপাত রহিত হইয়া অনুসন্ধান করিবে নত্যন্প পরিশ্রমে অনুভব গোচর 
হইতে পারে যে, বেদান্ত শান্ত ভিন পরম পৃরুষার্থ লাভের অগ্ত উপার নাই 
এবং বেদান্ত শান্ত্ই সর্ধ সিদ্ধান্তের মাও, সর্ব সিদ্ধান্তের পরাবা্ঠা, সর্ব 
আকাঙার নিবর্থক তথা সব্ব কল্যাণের হেতু । কিন্তু গুরু সম্প্রণায় তিঃ 
উক্ত শাস্ত্রের গভীর মন্ধ বুদধযারঢ হতে পারে না, ইহা পূর্বে বারন্বার উল্ত 
হইয়াছে। ইতি ॥ 


জ্তভ্তানাক্সত সমাল্প। 


্রহ্ধার্পণ মস্ত | 


হরি ভম। 


গৃষঠ।। গঙ্ি। 
মী ১৪ 
টি ৫ 
চে ৮ 
৩৪ ১৭ 
৫২ খ্৭ 
৬৩ ২৩ 
৮১ ২৭ 
৬৭ ১৮ 
৮৮ ২৮ 
€১ ১ ৯৭ 
নন ৯৯ 
১০৬ ১৭ 
১৬৮৩ &৯ 
১৪৯ ২৪ 
১১৭৯ ২৪$ 
৯২৯ ৯ 
এ ১০ 
১৩৭ ২৬ 
১৪৭ ৬ 


২৬ছি সভ্ £ 


প্রখম এণ্ড । 


দ্বিতায় পাদ । 

অস্তদ্ধ । শুদ্ধ 
কথিতোক্ু। দাখিত। 
মড়াঙ্গ। “ডগ 
কসুণ। কারণ । 
এামার কারগ। গ্রমার করণ । 
করিলে আর। আর। 
ইন্দছিয়বাদীপক্ষে মন-ইান্্য়বার্দী পক্ষে । 
শোভা পুরুষের । শোতু পুরুষের । 
“বহ্ছিমশাব্দামি” “বারম শাবয়াঘি”। 


“সাধ্যাভাববদন্তিহেতুঃ। “সাধ্যাভাববন্ধ ত্তিহেতুঃ | 
'পক্ষতাতাবচ্ছেদকভাবকে 1 | “পক্ষতাভাবচ্ছেদকাভাবকো।। 
সব্ধগ্গাতেরকর্তীরূপে। সব্ধ জগতের কর্তরূপে। 
অপবাদ উল্ত। তাপবাদ্‌ হওয়ায় উত্ত। 
“জ[তমহেসতিহপ্রত্যক্ষত্বাৎ” । “জাতিমন্বেসতি প্রতাক্ষ ত্বাৎ।” 
সঙ্গতিরিষ্যতে" প্রসন্থ | সঙ্গতিরিষ্তে ” | প্রসঙ্গ । 


ক[্যের কারণ ওগু৭ | কার্য-কারণেরও গুণ। 
সংযোগ । সংযোগ সন্বদ্ধ হয়। 
যেমন। অতএব । 
উভয়ইঅল্লজ্ঞ। উতগ্নইঅল্পজ্ঞ বা সর্বজ্ঞ । 


উপস্থিত উপহিত। | 


পষ্ঠ1। পুঙক্ি 


১৫৮ 
১৫৪ 


৪৫ 


১৬ 
৬ 
৫ 
১৪, 
ত্৭ 
২১ 
& 


৬ 


ত্)৪ 


4? ০ 


অশুদ্ধ | 
আধেয়ভাবিশিষ্টরূগ। 
হওয়ায় ইহ1। 
উপকার। 
ধ্বংসশূণ্য শন্তভারপ। 
ভালে। 
ধ্ম়ভাব। 
অতান্তাবের। 
পূর্বাহট তব জন্য ত্গন্ন ষে! 


**াথ পাদ 


অপ্রত্যক্ষতা। 

প্রমাণবিকদ্ধ ! 

ঘটোহভূং। 

দশম পুরুষ উক্ত, | 
কল্পতের গ্রতীতি | 
তমোরত। 

হওয়ায়! 

অঙ্গীকানে। 

অধাস্তগোচর সংস্কারদ্বার!। 
তান। 

হায়। 
“নৃদ্ষেন্টিী5হিহি”। 
সমবায় সংযুক্ত নাই। 
সমাবেশ বলিয়া । 

প্রমুষ্ তত্তা । 

পলায়নের হেত ও পলায়ন । 


অন্ত 
আধেয়তাবি'শষ্ট রূপ 
হয়? অতএব । 
উপকার়ক। 


বংস-শগতারপ 


ভাবের। 
ধঙ্মভাব। 
অঙ্যগ্তাভাবের। 
পু্বান্ত ভব জন্য যে 


প্রভাঙ্গঠ। 
প্রমাথ-নিশ্চি হ| 
ঘটোহুভ 
দশম পুরুষ উজ । 
কলিডের নাশ প্রচীতি। 
তমারৃত । 
অভিবিষ্ত | ছাপার ভূল 
অনঙ্গীকারে! 
সংস্ক1বঘারা অধ্যস্তগোহর 
হান। 
অগ্যাময। 
“সঙ্গেহটিবাহহি”। 
সংমুক্ত সমবায় ন।ই। 
সমাবেশ নাই বলিয়া। 
পমুষ্ট তত্তাক । 
পঙ্গায়নের হেড়, পলার়নও। 


পৃষ্ঠা। পঙ.ক্তি। 
৮ 
৪৬৯ ও 
১৩ 
8১৩ ১৩ 
৪.৮ 
৫৯৩ ২৬ 
৫২€ ৭ 
৮ ৮৬ 
১৩ ৩ 
| ৮৯ 
২ ৯৬ 
২৫ ৯ 
0 ১ 
ঞ্ 
ধ 
২ গী ৯ 
] ১৭ 
৫৩ 
না 
৫৮ টে 
৮ টে 
৭৯ ৩ 


₹/% 


অশুদ্ধ। শুদ্ধ, 
নিৰৃত্তর। আতরিক্ত। ছাপার'ভুল। 
বঙ্গতের হেদএাহ। ক্জতের অভেদগ্রাহ | 
প্রাতবন্ধক অন্গভবপিদ্ধ। নিবৃত্তির প্রতিবন্ধক অনুদান 
বাদীর [সদ্ধান্ত্র মঠে। বাদী সিদ্ধান্ত মতে। 
শারণ। করণ । 
চতথ পাদ । 
সাধারণের | সাধনের । 
অনন্তর । আন্ত । 
ভ্বিভীতা এ ্ 
পরাগ পাদ 
এশ্বারক এশ্বর | এই ভুগ অস্ত স্থানেও 
আাছে, শুদ্ধ করিয়া লইবেন। 
শাগ্সিদ্ধ স্বরোচক | শান্বোধ্য বা ব্বরোচক | 
অপ্এ | অগোএর। 
দৃষ্টান্ত সঙ্গত দৃষ্টান্ত নহে। দৃষ্টান্ত এ অংশে দৃষ্টাঞ্ধ নহে। 
অ।বিভাব! ' আবিভূণ্ত | 
বব | সর্ন্বহ | 
পিরাকারবাচী. বিকারবাচী। 
মিশ্নাবোধ্যবোধক | নিন্দাবোধক । 
উপাদান উত্তম্নই। শিমিত্তকারণ। 
নমিশুকারুণ। উপাদানকারণ উততম্বহ | 
লোকের তাহাতে থে অনু লোকের অন্তরাগ তি 
বাগ শক্তি প্রেম প্রীতি । গ্রেষ ও প্রীতি । 
কায়াকারত্ব । বলয়াকারত্ব। 
কিন্তু ইহা। কিন্তু আবিষ্ঠকবলা 


পৃষ্ঠা। গঙ্ক্তি। 
৯৩ ৮১৯) 
১১ ২৭১২৮ 


১৩৭ ৯ 


১২৫ ১ 


অপু । 
কারণ এমত- নহে। 


শুদ্ধ। 
ভূল, অতিবিক্ত। 


ফলধান্য দির বর্তমান অব-) ছুপ্ধ ফলধান্তাদির বণ্তষান 


স্থ(তে নিশ্দখল সাত্বকভাব 


অবস্থা নিষ্মপ সাত্বিক ভাৰ 


তথা মগ্যম1ংসাদির অপবিক্ বশত: (তথা হইতে অবস্থা 


তামসিক ভাববশতঃ দুর্ধা- 
দিবু বর্তমান অবস্থ।। 
ও মগ্যাদি মন্ত্রেরু। 


সংযষে4। 


প্র & 
১৪৫ ৩১৬১ শিক] । 


১৭৩ ১৩ 
১৭৫ ২৬ 
১৭৬ ৪ 


দ্বিতায় পাদ । 


ইন্যাদি। 


স 


হহতেও। 


পারে ।-অর্থা 


১৮৩ ফুটনোট (৪৭) পং ২-_কর্তৃক। 


১৮৪ ৪ 
২৩৭ ৬ 
৩৮১ ৯ 
৪8৬০ ৩৩ 
৪৬৫ ৪ 

ঁ থ 
5৪ ১৮ 


মিথ্যানের 
থগডনাতিপ্রায়। 


ঢচথ পাদ । 
অধিকারী । 
কল্পন! --দেখিয়া। 


একখওও । 


এহ নামের । 
ভাবুর। 


পর্যাস্ত এই অংশ ভূ, 
অতিরিক্ত )। 

ও মাংস মগ্যাদির বর্তমান 
অবস্থ। অপবিত্র তামপসিক- 
ভাব বশতঃ মন্ত্রের । 
সংযোগেন। 

ওজিফা। 


ইতার্টি শ্রুতি বাধ্ত। 
হইতেও পারে। পরন্ত প্রযাণ 
বিষয়ীৃত সিদ্ধবস্ত মাত্রেহ 
এরূপ নিয়মের অর্থাৎ! 


এই পচ.্জি ভূল। 
কর্তৃহ। 

মিখ্যাজ্াানের | 

খণ্ডন প্রদর্শনা তিপ্রায়। 


অধিকারা। 
এই পঙ.জি অতিরিক্ত ভুপ। 
এক ঘটে। 


এই চারি নাখের। 
জব্বব। 


পৃষ্ঠা। পঙ্ক্কি। 


৪6৭৪ 
ঠ*৬ 


৪৭৯ 


০৬ 
৫৫ 


৭৫ 


৭ এ] 


১৭ 
১৩ 


১৪৪ 


ও 


১৫ 


১৪ 


৯৩ 


১৬ 
২৩, ২8 


৭ 


২ 


145 


অগুদ্ধ। 
পক্ষপাতী হইয়াও। 
লামনী। 
কেবল সঙ্গ হইবে না এবং 
তংকারণে। 


০ 


ভ্তভীস্ব খগ্ড। 
প্রগম পাঁদ। 
তিন। 
হহবে। 
পরস্পর পরম্পরের সহিত 


অন্তন্তাভিমত | 

ভব প্রাপ্দি 

অসন্বদ্ধ 

্দ্ধ্প 

বিকল্পজাত। 

মুর্তিকার। 

বৃদ্ধি। 

অনবপ। 

শব্দাদির বিষয়তা বিপন্তি 


দ্বিতায় পাদ । 
গ্রতীত। 
গ্রগিযে|গিতা তহোর | 
ধটাদি বস্তু বিষয়ে বস্তর। 


মলিনগুণ। 
সঙ্জেপে বর্ণিত হইয়াছে। 
সুখ দুঃখ ন।ই। 


শুদ্ধ! 
পক্ষপাতী । 
লাজমী। 
কেবল পরশু হহলে। 


তিম্ন। 
অতিরিজ্ত । 
পরুম্পর সহিত 
পরস্পরের । 
শ্বাভিমত | 
তাব প্রাপ্তি। 
অনব্বদ্ধ হও্সার। 
অতিরিক্ত । ভুল। 
বিকারজাত। 
মুভভিকার। 

যুক্ত। 

তঙ্লরূপ। 

শব্দ দঁ-বিষয়ত।- 
রহিত ভাবেও । 


ভূল। 


পরিপুরিত। 
প্রতিযোশগিত। ভাহার। 
পটাদি বস্ত বিষয়ে 
ঘটাদি বস্তর। 
মলিনসত্ব গুণ । 

বর্ণিত হইয়াছে। স]ঙ্ষপে, 
স্থথ নাই। 


পৃষ্ঠ | পঙ্ক্তি। 


১৫২ 


৮৬৩ 


8৪৫২ 


৪৯. 


৯টি লী 


৫ 


১৬ 


৯৬ 


২ 


তথ 


৯৫ 


অস্তদ্ধ। 
বিষয়। 
স্বভাবপিশিষ্ঠ হওয়ায়। 
প্রভাবে আম। 


রা রঙ 


বিভিন্ন । 
য্ণ!। 


ভৃতীয় পাদ । 


তাগ। 

অধিন্ঠ' | 
দাগঠাব্হাবান্ও 

লয়। 

সমষ্টি অঞ্ঞানোপাধিক্ত । 


এদকে স্বপ্নে বাধহাবিক । 
তাহা হহয়াও। 
হইয়া থাকে তেমনহ | 


১৯ আউজনোঙপম জান 1 


সহিত বৃতি | | 
জ্ঞানের হয় সে। 
কারণবপে। 

চঠর্থ পাঁদ। 


অসঙ্গ। 
“ব্রেবেদকর্তারো, ধূর্ত | 


ভগ্খ নিশাচ রো” | 


শুদ্ধ। 
বিধায়। 
স্বতাববিশিষ্টত। বিধায় 
প্রভাবে জীবের আমি 


বিভগ্র। 
যখন 


ভাগ। 

অবিগ্া। | 
জ।গরদবস্থাবিশিষ্ঠুঞ | 
পয়-চিস্তরন | 

নমষ্টি বাষটি অঙঞ্জানো- 
পাধিকত | 

এদিকে বাধহারিক। 
তাহা না হহয়াও। 
হহয়! থাকে, জাগতে 
তাহাদের অভাব হয়, 
তেমনই। 

জ্ঞান সহিত অজ্গানোৎ- 
পন বৃত্তি। 

এই পও্ক্তি অতিরিজ, 
ছাপার ভুল। 
করণরূগে। 


সঙ্গত | 
“রেয়োবেদস্ত কর্তীরো, 


ভগুপর্ত নিশাচর”: | 


পৃষ্ঠা। গউক্জি। 


৫০৫ 
৫৪8৮ 


৪৬৭ 


৬১৩ 


৫ 


৬ 


১৯ 
১ 

€্‌ 
৯ 
» 


টা. 


অস্ট্। পা 
সুচনা । চিত | 
নিযুক্ত কর্মে কম্মে নিযুক্ত। 
শান্ে। অতরিষ্ত, ভূল। 
বিমুর। বিধুর। 
অধ্চারক। অঙ্গারক। 
বেদস্ে। এক বেদানে। 
অসৎ অর্থ । অসং শবের অর্থ। 


পক্ষে অনুতৎপত্তি উদাহরণ । অনুংপত্তিপক্ষেউদাহরধ। 


52 হব গু | 
গম পাদ 


এতজ্াাপ!নুরগ্‌। এতক্সলাগুদগ | 


হন শক্তি । কজন শন্তি। 
দ্বিতীয় পাদ । 

এনা বদ্ক | প্ররর্থ ৷ 

চন্ত [ পশু | 


চহগ পাঁদ। 


প্রব্প্তিতে, নিবৃত্তিতে নহে । নিবৃত্থিতে, পবত্তিতে নহে । 
অলনতির নিয়ম । অবনতি গ্রকৃতির নিয়ম ।